#সাইকো_নীড়
part : 37
writer : Mohona
.
নীড় : ভালোবেসেও তো কাজ করা যায়…
নীড়ের কথা শুনে সবাই অবাক হলো। কারন এটা মেরিনের ভাবনা …
নীড় : আমার না ক্ষুধা লেগেছে। কিছু খাবো।
নিপা : এই যে আমি সবার জন্য খাবার নিয়ে এসেছি … নির্ঝর-নিরব কোথায় ?
নির্ঝর : এই যে আমরা এখানে। চলে এসেছি ।
নিরব : একি রঙ্গী…
দীপ্ত ইশারা দিয়ে চুপ থাকতে বলল । নীড় খাবার নিয়ে খেতে লাগলো।
নিহাল : ড্যাডডার্লিং…
নীড় : হামমম।
নিহাল : লং ড্রাইভে যাবে ড্যাডডার্লিং এর সাথে ?
নীড় : না । আমি খেয়ে ঘুমাবো ।
বলেই নীড় চলে গেলো।
নিহাল : নীড়ের কি হয়েছে দীপ্ত ? এতো চুপচাপ কেন?
দীপ্ত : কারন মেরিনকে আঘাত করেছে।
নিহাল : মানে?
দীপ্ত : মেরিন বিরিয়ানি রান্না করেছিলো। নীড় বক্সটা ছুরে মেরেছিলো। ওটা গিয়ে মেরিনের কপালে লাগে। মেরিনের কপাল কেটে যায়। আবার নীড়ই কপালে ব্যান্ডেজ করে দি়য়েছিলো।
নিহাল : কি? নীড় না রক্ত দেখে ভয় পেতো? পালিয়ে যেতো?
দীপ্ত : হামম। কিন্তু এটা মেরিন…
নিরব : তারমানে দাদাভাইয়া সুস্থ হয়ে গিয়েছে ?
দীপ্ত : না। তবে মেরিনের উপস্থিতি হয়তো বুঝতে পেরেছে …
.
নীড় : পুন্টুস তোকে ১টা কথা বলবো। তুই কাউকে বলবিনা কিন্তু… ওই যে ওই অরিন না কি রিন আছেনা? আমার মনে হয় কি জানিস আমি ওকে চিনি। ওর শরীর দিয়ে না ১টা বাসনা আসে। ঠিক তোর মতো। ও কে ? আমারনা ওকে খুব ভালো লাগে । মনে হয় ওর চোখ ২টা যদি চশমা দিয়ে ঢেকে না রাখতো তবে ঠিকই চিনে নিতাম। মনে হয় ওর চোখ জোরা অনননেক সুন্দর … কিন্তু ওর সাথে কথা বললে যদি তুই রাগ করিস? এই কারনে ওকে ভালোলাগেনা। আমি তোকে অননননেক ভালোবাসি। তোকে ছারা থাকতে পারবোনা। পুন্টুস তুই আমার জান্টুস । তুই আমি সবসময় একসাথে থাকবো।
মেরিন ঘুমিয়ে আছে। স্বপ্ন দেখতে লাগলো যে কবির-কনিকাকে নীড় খুন করছে। মেরিনের ঘুম ভেঙে গেলো।
মেরিন : আম্মু-বাবা… খারাপ স্বপ্ন ছিলো। কিন্তু সত্য স্বপ্ন… নীড়…
.
পরদিন…
নীড় : এই এই তুমি আমাকে কোথায়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছো? ছারো ছারো আমার হাত।
মেরিন : না ছারবোনা। চলো সবাই মিলে খেলবো ।
নীড় : না আমি খেলবোনা । ভালো লাগছেনা। তাই খেলবোনা।
মেরিন : না খেলতেই হবে।
নীড় : কেন?
মেরিন : কারন আমি বলেছি…
নীড় : তুমি খুব পচা।
মেরিন : আমি জানি… এখন আসো আমার সাথে ।
সবাই মিলে খেলতে লাগলো। অনেকদিনপর নীড় মন খুলে হাসলো। যা দেখে সবার খুব ভালো লাগলো। মেরিনেরও।
মেরিন মনে মনে : কি অদ্ভুদ লোকটা… oh no…. আমি তো ওর পাগল হওয়া , না হওয়া বেরই করতে পারলাম না… কি যে করি ?
নীড় : ইইই… ২হাতেই দেখি কাদা লেগে গেলো। এখন পুন্টুস কে কোলে নিবো কি করে ? ১টা কাজ করি হাত ধুয়ে এসে ওকে কোলে নিবো। কিন্তু ওকে এখানে একা রেখে গেলে যদি কেউ এসে নিয়ে যায়? তাহলে আমি কি করবো?
নিহাল : কেউ নিবেনা। কারন ও আমার কাছে থাকবে। তুমি হাত ধুয়ে আসো।
নীড় : তুমি ওকে ভালোভাবে রাখতে পারবে তো?
নিহাল : হামম।
নীড় : ফেলে দিবে না তো?
নিহাল : না … তুমি হাত ধুয়ে আসো ।
নীড় : হামম।
নীড় যাচ্ছে আর বারবার পিছে তাকাচ্ছে।
নিহাল : ড্যাডডার্লিং এর হাতে আছে তো… ভয় নেই পরবেনা… তারাতারি যাও।
নীড় গেলো। নিহালের ১টা ফোন এলো। নিহাল কথা বলতে বলতে পাহাড়ের কিনারায় চলে গেলো। নীড় তো হাত ধুয়ে দৌড়ে আসতে লাগলো। নিহাল তো কথা বলতেই ব্যাস্ত। তখন ১টা বাচ্চার বল এসে নিহালের হাতে লাগলো। আর যেই বলটা লেগে নিহালের হাত থেকে পুন্টুস পরে গেলো।
নিহাল : oh no…
নীড় : পুন্টুস… ???
নীড় চিৎকার শুনে সবাই ওর দিকে তাকালো। নীড় ছুটে এলো। পুন্টুসকে আনার জন্য পাহাড় থেকে ঝাপ দিতে নিলে সবাই ধরে ফেলল। নীড় হাউমাউ করে কাদতে লাগলো। মেরিন অবাক চোখে দেখছে।
নিহাল : sorry বাচ্চা আমার জন্য …
নীড় নিহালের হাত সরিয়ে দিলো । দৌড়ে গিয়ে ১টা পাথর নিয়ে এসে নিহালের মাথায় আঘাত করতে লাগলো। সবাই যতোই সরানোর চেষ্টা করতে লাগলো ব্যার্থ হলো…
নীড় : i will kill you… i will kill you… তুমি আমার পুন্টুসকে ফেলে দিয়েছো। ছারবোনা তোমাকে… জানে মেরে দিবো। আমার snow white কে ফেলে দিয়েছো… ও আমার… ওর ওপর আমার অধিকার। তুমি কেন মেরে ফেললে?
নিহালের মাথা ফেটে রক্ত বের হতে লাগলো। তবুও নীড় থামছেনা। আর না কেউ থামাতে পারছে। অনেকদিন পর নীড়ের এই হিংস্র রূপ বেরিয়ে এসেছে । মেরিন ভয় পেয়ে গেলো নীড়ের এই রূপ দেখে। আর কোনো উপায় না পেয়ে দীপ্ত নীড়ের ঘাড়ে injection লাগিয়ে দিলো। নীড় বেহুশ হয়ে গেলো। নিহালকে হসপিটালে নেয়া হলো।..
.
মেরিন : লললোকটা কতো ভয়ংকর। অনেক ভয়ংকর। যে নিজের বাবাকে এভাবে মারতে পারে তার কাছে তো আমার আম্মু-বাবাকে মেরে ফেলা কোনো ব্যাপারই না। শুধু তাইনা এই লোকটা তো অনেক মানুষের অনেক ক্ষতি করেছে ।
তখন নাহিদ হসপিটাল থেকে এলো।
মেরিন : unc… চাচ্চু … বাবা কেমন আছে ?
নাহিদ : ভালো। কালকে জ্ঞান ফিরবে।
মেরিন : হামম।
ইশিতা : বড়বাবা ঠিক হয়ে যাবে তো বাবা?
নাহিদ : হামম। মেরিন মামনি…
মেরিন : হামমম।
নাহিদ : নীড় কেমন আছে?
মেরিন : ভালো। এখনও ঘুম।
নাহিদ : ওহ।
মেরিন : তুমি fresh হয়ে নাও ।
নাহিদ : হামম।
.
৩দিনপর…
নিহাল ফিরলো। নিহালকে নিয়ে সবাই ব্যাস্ত হয়ে পরলো। যদিও মেরিন কিছুটা দূরে দূরে। নিহালের জন্য খারাপ লাগলেও দূরেই থাকছে। কারন ও নিজেকে কেন যেন এই পরিবারের সদস্য ভাবতে পারছেনা । এতে দীপ্ত বেশ অবাক হলো। মেরিন তো এমন নয়।
দীপ্ত মনে মনে : জানিনা কেন মেরিন ফেরার পর থেকেই ওকে আলাদা লাগছে। আজকে তো আমি sure হয়ে গেলাম। না বিষয় নিয়ে ওর সাথে কথা বলতে হবে। আর সেদিনের সেই রাত নিয়েও কথা বলতে হবে যে নীড় কেন ওকে shoot করেছিলো…
.
পরদিন…
দীপ্ত : মেরিন মামনি…
মেরিন : আরে মামা আপ… তুমি? আসো ।
দীপ্ত : তোমাকে এমন লাগছে কেন? কি হয়েছে?
মেরিন : কিছুনা।
দীপ্ত : কিছু তো ১টা আছে। যেটা বলতে চাইছো না। সে যাই হোক ওটা তোমার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু আরো ১টা কথা জানার ছিলো।
মেরিন : কি ?
দীপ্ত : সেদিন রাতে কি এমন হয়েছিলো যে নীড় তোমাকে shoot করেছিলো?
মেরিন মনে মনে : আমার তো ওগুলো কিছু মনেই নেই।
দীপ্ত : কি হলো মামনি বলো। কি হয়েছিলো সেদিন রাতে?
মেরিন : …
দীপ্ত : কেন নীড় তোমাকে shoot করেছিলো?
মেরিন : কারন সে খুনী তাই।
দীপ্ত : কি যা তা বলছো?
মেরিন : এতো অবাক হওয়ার কি আছে? যা সত্যি তাই বলেছি।
দীপ্ত : এতে কিছুই সত্যি নেই । আমার নীড় খুনী নয়।
মেরিন : নীড় খুনী। আমার আম্মু-বাবার খুনী ।
দীপ্ত : কি যা তা বলছো? নীড় নয়। আসলো অপরাধী অর্নব। তোমার মামাতো ভাই।
মেরিন : একদম উল্টা পাল্টা কথা বলবেনা মামা। অর্নব ভাইয়া খুব ভালো। আর নিজের ভাগ্নের দোষ আমার ভাইয়ার ওপর চাপাবেন না প্লিজ । আমি প্রমান পেয়েছি যে নীড়ই খুনী।
দীপ্ত : ভুল প্রমান পেয়েছো। নীড় নির্দোষ। অর্নব নীড়ের গাড়ির গাড়ি break fail করেছিলো। এমন কি স্টিয়ারিং এর সাথেও ঝামেলা করেছিলো। আর তা…
মেরিন : ব্যাস আর কোনো বাজে কথা বলবেনা। আমি কোনো দুধের শিশু নই। যে যা বলবে তাই বিশ্বাস করবো। নীড় ১জন হিংস্র মানব। যার হিংস্রতা থেকে তো ওর বাবাও বাচতে পারেনি। তিনি পৃথিবীর বুকে থাকা মানে ভয়ংকর কিছু। ওর বেচে থাকার কোনো অধিকার নেই। ওকে আমি নিজের হাতে খুন করবো। খুন করে আমার আম্মু-বাবা এবং সেই সাথে অনেক লোককে ন্যায় বিচার দিবো। খুন করবো নও কেবল খারাপ লোকনা। ও ১টা জঘন্য লোক। ও ১টা খুনী , ও ১টা ধর্ষক , ও এ..
দীপ্ত ঠাস করে মেরিনকে থাপ্পর মারলো।
দীপ্ত : আমার নীড়ে সম্পর্কে কোনো বাজে কথা বলবেনা। সব যেমন তেমন … তুমি আমার নীড়কে ধর্ষক কিভাবে বলতে পারো? তুমিই কখনো ওকে ভালোবাসেনি। নীড় যদি জীবনে কাউকে ভালোবেসে থাকে কাউ স্পর্শ করে থাকে তবে সে তুমি কেবল তুমিই… আর খুনী? হয়তো তুমি প্রমানটা দেখোনি। আজ, এখনই আমি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবো। প্রমান এনে তোমার চোখের সামনে তুলে ধরবো। আমার নীড় সব হারিয়ে তোমাক আকরে ধরে বাচতে চেয়েছিলো। কিন্তু তুমি ওর যোগ্য নও।
বলেই দীপ্ত চলে গেলো।
তবে সেদিন ঢাকায় আসতে পারলোনা। কারন ফ্লাইট নেই। পরদিন গেলো।
.
২দিনপর…
রাত ৮টা কি ৯টা…
ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি পরছে। এই ২দিন ধরে মেরিন দীপ্তর বলা কথা গুলো ভেবেছে । মেরিন নীড়ের রুমে গেলো। মাস্ক-চশমা কিছুই পরে যায়নি। দেখলো নীড় ঘুমিয়ে আছে । রুমটা না তো আলোকিতো আরো না তো অন্ধকার… আধো আধো আলো । মেরিন গিয়ে নীড়ের সামনে দারালো।
মেরিন : আমার মন এক কথা বলছে আর আমার মস্তিষ্ক আরেক কথা বলছে। আমি জানিনা আমি কি করবো? জানিনা আপনি সত্যিই খুন করেছেন কিনা? আমি এটাও জানিনা তুমি সত্যিই কি অসুস্থ ? নাকি অসুস্থ হওয়ার নাটক করছো? মনে হচ্ছে তুমি নাটক করছো… সে যাই হোক। আম্মু-বাবাকে তো হারিয়েই ফেলেছি… এখন আর কারো অভিশাপ কুরিয়ে কি লাভ? কালকে সকালে চলে যাবো চৌধুরী পরিবার থেকে দূরে…
মেরিনের চোখের পানি নীড়ের কপালে পরলো। নীড়ের ঘুম ভেঙে গেলো। আলো-অন্ধকারের খেলায় নীড় মেরিনের চোখ জোরা দেখে ফেলল । নীড় তাকিয়েই আছে ।
নীড় : snow white …
মেরিন : …
নীড় : আমার snow white ….
মেরিন কিছু না বলে চলে যেতে নিলো। নীড় হাত ধরে ফেলল । মেরিন আজকেও সাদা পোশাক পরা । নীড় মেরিনের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে। মেরিন হাত ছারানোর চেষ্টা করতে লাগলো।
নীড় : তততুমি আমার snow white না?
মেরিন : …
নীড় : বববলো । তুমি আমার snow white না…. বলো না। তোমার চোখ না আমার snow white এর মতো…. বলো না… তুমি না পোশাকও পরেছো আমার snow white টার মতো। জানো ওনা আমার থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছিলো… কোথায় তা জানিনা… বলো না … তুমি কি আমার snow ??? বলো না …
মেরিন কিছু না বলে হাত ছারিয়ে চলে গেলো। কারন দীপ্ত বলেছিলো যে নীড় ওকে দেখলে হয়তো নীড়ের ওপর খারাপ প্রভাব পরবে । তাই বেরিয়ে গেলো। নীড়ও পিছে পিছে ছুটতে লাগলো।
নীড় : দারাও বলে যাও তুমি আমার snow কিনা? বলে যাও। আমি কিন্তু কান্না করবো খুব করে…
মেরিন রুমে ঢোকার সুযোগ পেলোনা । কটেজ থেকে বের হতে বাধ্য হলো । নীড় তো মেরিনে পিছে আছেই । ১টা পর্যায়ে নীড় মেরিনের ওরনা ধরে ফেলল। নীড় ধীরে ধীরে মেরিনের কাছে এলো। মেরিনকে নিজের দিকে ঘুরালো । বাচ্চাদের মতো করে চোখ মিটিমিটি করে মেরিনকে দেখতে লাগলো। মেরিনের মুখে হাত বুলিয়ে দিলো। এরপর মেরিনের হাত জোরা নিয়ে ঘ্রাণ নিতে লাগলো। মেরিন অবাক চোখে দেখছে । ওর চোখের পাতায় সেই দৃশ্য ভাসছে যখন নীড় এমন করতো। নীড়ের ঠোটের কোনে হাসি ফুটলো ।
নীড় : হামম তুমিই আমার snow white…
নীড় মেরিনকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো ।
নীড় : আমাকে ছেরে আর কখনো যেওনা। আমি তোমাকে আমার চকোলেট দিবো। যদিও আমি আমার চকোলেট কাউকে দেইনা। কিন্তু তোমাকে দিবো। কারন তুমি যে আমার snow …
বলেই নীড় মেরিনকে ছেরে দিয়ে ওর কপালে চুমু দিলো । মেরিনের চোখে এমন দৃশ্যও ভাসতে লাগলো। মেরিন নীড়ের হাত সরাতে সরাতে পিছে যেতে লাগলো। আর বিরবির করে বলতে
লাগলো : নননীড়… নীড় … নীড় …
মেরিন খেয়াল করেনিযে ও ও পাহাড়ের কিনারার দিকে এসে পরেছে। এখনও খানিকটা দূরে। আগের কথা কল্পনা করতে করতে মেরিনের মাথায় অসম্ভব ব্যাথা অনুভব করলো। চক্কর দিলো মাথা। পরে যেতে নিলে নীড় ছুটে এসে ধরে ফেলল।
নীড় : কককি হয়েছে তোমার snow ? ব্যাথা ব্যাথা ব্যাথা? আমি ফু দিয়ে দেই…. ফুহ… ফুহ… ব্যাথা গিয়েছে?
মেরিন নীড়কে দেখেই যাচ্ছে। মাথা তো ঘুরছেই। মনে হচ্ছে ভূমিকম্প হচ্ছে। তবুও নীড়কে দেখেই যাচ্ছে।
নীড় : তোমার ব্যাথা দেখলে আমার অনেক খারাপ লাগে। আমি না তোমাকে ভীষষষষন ভালোবাসি।
.
নীড় মেরিনের হাত ধরে টেনে আরো কিনারায় নিয়ে গেলো।
নীড় : আমি তোমাকে ভালোবাসি তোমাকে snow white … ???…
নীড়ের কথা প্রতিধ্বনিত হতে লাগলো।
নীড় : ইহিহিহি ইহিহিহি ইহিহিহি… কি মজা কি মজা। তাই না…?
মেরিন : ….
নীড় : আবার বলি হামমম? i love you snow white…. i just love you…. ???…
এবারও প্রতিধ্বনিত হতে লাগলো । তবে নীড়ের এই “i just love you” কথাটা মেরিনের মন আর মাথা ২জায়গাতেই বারি খেতে লাগলো।
মেরিন : i just love you আমি আমিহ… আমি বহুবার শুনেছি…. নীড়ের মুখে…
নীড় : ইহিহিহি…. ইহিহিহি… ইহিহিহি…. আমিই তো নীড়… আচ্ছা আবার বলি হামম হামম? i just love you snow white…. i just love you মেরিন….
.
((( আমি যখন এটা incomplete রেখেছি যে নীড় কিভাবে পাগল হয়েছে তখন নিশ্চয়ই বলবো। ইকটুশখানি wait করো। please …)))
চলবে…