#সাইকো_নীড়
part : 29
writer : Mohona
.
মেরিন : নিলাম case নীড়। এর সমাধান আমি করবোই । ন্যাহ…. আমার প্রশান্তির জন্য না। আমাক সুখের জন্য । আপনার রাগ , জেদ … সবকিছুর পেছনে কেবল মায়ের ভালোবাসা না পাওয়া… আপনি বলেছিলেন যে যেদিন আপনাকে ভালোবাসবো সেদিন আপনার চোখের কষ্ট দেখতে পারবো… বুঝতো পারবো…. । আজকে আমি আপনার চোখের কষ্টটা দেখেছি … আর সেই কষ্টটা দূর করবো। হয়তো আপনার মতো এতো বেশি ভালোবাসার সাধ্য আমার নেই… কিন্তু একটু হলেও আমি আপনাকে ভালোবাসি …. i also love you…
.
পরদিন…
নির্ঝর : love you জানটা… উম্মাহ উম্মাহ উম্মাহ…
মেরিন : আহা কি পেরেম…
নির্ঝর : ভভভাবি…. i will call you later …
মেরিন : কি নাম তার?
নির্ঝর : কার নাম ?…
মেরিন : কার নাম না?
বলেই মেরিন নির্ঝরের কান মলে দিলো …
মেরিন : এখন মনে পরেছে?
নির্ঝর : ভাবি লাগছে তো।
মেরিন : লাগার জন্যই তো ধরেছি… কে আমার দেবরানী…
নিরব : রঙ্গিলা ভাবি আমি বলছি। নাম।
নির্ঝর : ওই বাদর চুপ…
নিরব : তিন্নি…
মেরিন নির্ঝরের কান ছেরে।
মেরিন : wow… what a lovely name …
নির্ঝর : ভাবি ওরও আছে girlfriend …
মেরিন : তাই? কি নাম?
নিরব : ইশ… মানে ইশিতা…
নির্ঝর : ?।
নিরব : এমন করে তাকাচ্ছিস কেন? ভাবির কাছে লজ্জা বা ভয়ের কি আছে? ১টাই তো ভাবি আমাদের। তাও এমন মিষ্টি মিষ্টি।
মেরিন : হয়েছে আলুপাম দিতে হবে না।
নিরব : ভাবি…
নির্ঝর : ভাবি বুদ্ধিমতিও…
মেরিন : আচ্ছা ঝগড়া পরে। এখন বলো তো…. ওদের সাথে এই relation কি বিয়েতে পরিনত হবে নাকি প্রেম করেই টাটা বাই বাই…
২জন : we love them …
নীড় : বাবাহ… we love them… হামম?
নিরব-নির্ঝর : ভাবি…
মেরিন : হামম।
নিরব : দাদাভাইয়া এখন আমাদের লেগ পুল করবে।
মেরিন : i have an idea…
২জন : what?
মেরিন : পালাও।
২জন : good idea… পালা…
বলে়ই ২জন ভো দৌড় মারলো। মেরিন খিলখিল করে হাসতে লাগলো । নীড় দেখতে লাগলো। মেরিন নীড়ের দিকে তাকালো। নীড় মুচকি হেসে মেরিনের দিকে হাত বারিয়ে আবার চলে যেতে নিলো। মেরিন নীড়ের হাত ধরে ফেলল। টেনে রুমে নিয়ে গিয়ে হাতে মলম লাগিয়ে দিলো। এরপর কপালে নতুন করে ব্যান্ডেজ করে দিলো। এরপর নিচে বসলো।
নীড় : নিচে বসলা কেন? ওঠো…
মেরিন কিছু না বলে নীড়ের পা ধরলো। নীড় পা সরিয়ে নিতে চাইলো। কিন্তু মেরিন ছারলোনা।
নীড় : পা ধরতেছো কেন?
মেরিন নীড়ের জুতু খুলতে লাগলো।
নীড় : পাগল টাগল হলে নাকি…? ও বুঝেছি বুঝেছি বুঝেছে full romantic moodএ আছে। আগে আমার জুতু খুলবে এরপর শার্ট খুলবে। এরপর romance করবে। কি ঠিক না?
মেরিন কিছু না বলে মেডিসিন বক্সটা নিচে নামালো।
নীড় : ওটাকে নিচে নামালে কেন?
মেরিন : কারন কালকে আমার পা পুরে গিয়েছিলো।
নীড় : পা পুরেছে তোমার আর মলম লাগাচ্ছো আমাকে?
মেরিন কোনো কথা না বলে নীড়ের পায়ে মলম লাগিয়ে দিলো। বিশ্রী অবস্থা নীড়ের পায়ের।
মেরিন : এই পা নিয়ে হাটতেছেন কিভাবে? আর আমার পায়ে তো হালকা একটুখানি…
নীড় কোন কথা না বলে চলে গেলো।
.
রাতে…
মেরিন নীলিমার রুমে গেলো। দেখলো নীলিমা গহনাগুলো খুলছে। rash পরে গিয়েছে জায়গায়…
মেরিন : আন্টি…
মেরিনের কন্ঠ শুনে নীলিমা চোখের পানি মুছে নিলো। হাসি দিয়ে
বলল : আরে মেরিন আসো আলো…
মেরিন : i am sorry আন্টি… আমার জন্য আপনার এতো কষ্ট করতে হচ্ছে।
নীলিমা : না মা তোমার দোষ না। আমার কপালের দোষ।
মেরিন নীলিমার ক্ষতে ঔষধ দিতে দিতে
বলল : সব কিছুতে কেবল কপালের দোষ দিলে হয়না আন্টি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার , আমার …. সবার দোষ থাকে।
নীলিমা : হামম হয়তো ।
মেরিন : আচ্ছা আন্টি … আপনি বাবাকে ভীষন ভালোবাসেন তাইনা…
নীলিমা কিছু না বলে হাতে লেখা নিহাল নামটা ঢেকে নিলো।
মেরিন : কিছু জিনিস চাইলেই আড়াল করা যায় না আন্টি … জানেন আন্টি … সবাই জানে… দুনিয়া জানে যে নীড় সবথেকে বেশি আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু আমি জানি ও সবথেকে বেশি আপনাকে ভালোবাসে। মানে তোমাকে ভালোবাসে। নিজের মমকে ভালোবাসে…
নীলিমা : নারে মা। আমি সত্যর সাথে পরিচিত … নীড় আমাকে ঘৃণা করে । অনেকবেশি। আর জায়েজও আছে ওর ঘৃণার …
মেরিন : না আন্টি। সবসময় সেটাই হয়না যেটা দেখা যায়… মাঝে মাঝে সেটাই হয় যেটা দেখা যায় না…
নীলিমা : …
মেরিন : আচ্ছা আমি তোমাকে আন্টি আন্টি কেন ডাকছি? তুমি তো আমার শাশুড়িমম… হাহাহা। আমি তোমাকে মামনি বলেই ডাকবো।
নীলিমা মেরিনের গালে হাত রেখে
বলল : আচ্ছা ডেকো।
মেরিন : তুমি বসো আমি এখনই আসছি …
বলেই মেরিন বেরিয়ে গেলো। ১০ মিনিট পর মেরিন ৫-৭টা নরমাল শাড়ি নিয়ে এলো।
নীলিমা : এগুলো…
মেরিন : এগুলো সব আমার শাড়ি। ১দিনও পরিনি। এখন এগুলো রাখো। কালই তোমার জন্য নতুন শাড়ি এনে দিবো। আমি জানি যে তুমি চাইলেই কিনতে পারো। কিন্তু নীড়ের দেয়া শাস্তির জন্য এগুলোই পরতে হচ্ছে। কিন্তু কি হাল হয়েছে দেখেছো? এগুলো আর পরতে হবেনা কালকে থেকে।
নীলিমা : না মেরিন আমার কোনো অসুবিধা হচ্ছেনা। খামোখা নীড় অশান্তি করবে। তোর সাথে কি করবে তারও ঠিক নেই।
মেরিন : নীড় আমার সাথে তেমন কিছুই করেনা। এমন কোনো শাস্তি দেয়না যেটাতে আমার কষ্ট বা সমস্যা হয়।
নীলিমা : কিন্তু …
মেরিন : কোনো কিন্তু না। রুমকী… এই রুমকী…
রুমকী : এসে পরেছি ভাবি।
মেরিন : মামনির কাবার্ড থেকে সব রাজকীয় পোশাক নিয়ে যাও… একা না পারলে কারো help নাও…
রুমকী : জী ভাবি…
.
মেরিন রুমে গেলো।
নীড় : সাহস অতিরিক্ত বেরে গিয়েছে তোমার ।
মেরিন : মিসেস নীড়ের সাহস না হলে কি চলে?
নীড় : তোমার সাহস অন্যদেরকে দেখাবা আমাকে না।
মেরিন : সেটা আমার সাহস বারানোর আগে ভাবা উচিত ছিলো ।
নীড় : আমার বানানো rules তুমি …
মেরিন : overrule করেছি । oh no…. sorry sorry … আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমার অধিকার নেই । রুমকি … এই রু…
ডাকতে ডাকতে মেরিন দরজা খুলতে নিলে নীড় ধিরিম করে দরজা লাগিয়ে দিলো।। মেরিনের ২পাশে হাত রাখলো। মেরিন মাথা নিচু করে দারিয়ে আছে ।
নীড় : মাথা তুলো… তুলো মাথা…
মেরিন তুলল।
নীড় : তাকাও চোখের দিকে।
মেরিন তাকালো।
নীড় : তোমাদের মেয়েদের সমস্যা কি জানো? তোমরা একই বিষয়ের পিছে লটরলটর ঘটরঘটর করো। সেদিনের ওই ডাইরীর কাহিনি নিয়ে এখনও যে সব কাজে permission নাও। just বিরক্ত লাগে । সমস্যাটা কি বলবা?
মেরিন কিছু না বলে টুপ করে নীড় ঠোটে ১টা কিস দিয়ে দৌড়ে বেডে গিয়ে blanket এর ভেতরে ঢুকে গেলো । নীড় গিয়ে মেরিনের পাশে শুয়ে পরলো।
নীড় : what was that?
মেরিন মাথাটা বের করলো।
মেরিন : এভাবে react করার কি আছে? আপনাকে কিস করতে কি এখন আপনার gfদের permission লাগবে?
নীড় ১টা blanket টা সরিয়ে ফেলল। এরপর মেরিনকে বেডের সাথে চেপে ধরলো।
নীড় : ফালতু কথা কম বলবা। না হলে আমি সেদিনের থেকেও হিংস্র হয়ে যাবো …
মেরিন : …
নীড় : এমন কোন কাজ করোনা যে আমি তোমার ওপর রাগ করতে বাধ্য হই।
বলেই নীড় মেরিনকে ছেরে দিয়ে ঘুমিয়ে পরলো ।
.
৩দিনপর…
নীড় : এখনও রেডি হওনি? একো স্লো কেন তুমি?
মেরিন : একদম ফালতু কথা বলবেন না। একটু আগেই কেবল রেডি হতে বসেছি।
নীড় : বসবা কেন একটু আগে? কাল বলেছিলামনা যে আজকে যেতে হবে রাব্বির পার্টিতে… তবে দেরি করলে কেন?
মেরিন : আমি কি ইচ্ছা করে করেছি ? অনেক গুলো appointment ছিলো।
নীড় : ঝগড়া না করে তারাতারি রেড হও।
মেরিন : just ৫মিনিট….
মেরিন রেডি হয়ে গেলো।
মেরিন : নিন চলুন….
নীড় মেরিনকে ১বার দেখে চুল গুলে খুলে দিলো ।
মেরিন : আ…
নীড় : বলেছিনা যে আমার সামনে চুল বাধবে না।
বলেই মেরিনের দিকে বারতে লাগলো। আর মেরিন পিছাতে লাগলো । যেতে বেডের সাথে ঠেকে গেলো ।
মেরিন : নননীড়…
নীড় কিছু না বলে মেরিনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো।
মেরিন : ouch…
নীড় মেরিনের হাত ২টো বন্দী করে নিলো। নীড়ের রাগী চোখের থেকেও এই নেশা নেশা চোখ মেরিনের বেশি ভয়ংকর লাগছে। চোখ জোরা বন্ধ করে ফেলল। মেরিন বুঝতে পারছে যে নীড়ের নিঃশ্বাস ক্রমশ ভারী হচ্ছে। যার মানে নীড় কাছে আসতেছে … নীড় মেরিনের খুব কাছে। মেরিনের সাহস হচ্ছেনা চোখ মেলতে। কিন্তু পর মুহুর্তেই নীড় মেরিনকে ছেরে দিয়ে উঠে দারালো। coatটা হাতে নিয়ে
বলল : আমি গাড়িতে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। come fast…
বলেই নীড় চলে গেলো । মেরিন উঠে বসলো। চোখ থেকে ১ফোটা পানি গরিয়ে পরলো। এরপর চোখের পানি মুছে গিয়ে গাড়িতে বসলো। নীড় car start দিলো। মেরিন নীড়ের দিকে তাকালো । নীড় সোজা তাকিয়ে drive করছে । ওরা পার্টিতে পৌছালো । নীড় মেরিনের হাত ধরে ভেতরে ঢুকলো।
আকাশ : the most romantic couple is there…
নীড় : হেই whats up…
ইমান : ভাবি লুকিং ফাটাফাটি …
মেরিন : thank you…
আকাশ : by the way ভাবি … আজকেও কি রেগে গিয়ে… ?।
মেরিন হাসি দিলো । সারা পার্টিতে নীড় মেরিনের সাথেই ছিলো । ১বারের জন্যেও মেরিনকে ছেরে ওঠেনি ।
রাব্বি : by the way নীড় আজকে তুই dance floor এ নামলিনা?
নীড় : নামবো তো… couple dance start হোক । যাবো। মেরিন শাড়ি পরে এমন উন্মাদের মতো নাচবেনা। আর আমি নাচতে দিবও না। couple dance start হোক … আমি আমার better half এর সাথে যাবো …
দিনা : মিস্টার সবাই তোমার মতো লুচু না।
সূর্য : hey guys … i have an idea…
ইমান : কি?
সূর্য : আমরা আছি … আমাদের better half আছে । couple dance competition হয়ে যাক…
ইমান : not bad…
আকাশ : ওয় ভালোমানুষ … বল bravo… শালা… বলে not bad…
রাব্বি : ওই নীড় তুই কি বলিস ?
নীড় : কেন খামোখা হারতে শখ হচ্ছে তোদের? ১টা কাজ করি । আমি দর্শক হয়ে দেখি। তোদের কে জাজ করবে কে?
রাব্বি : তুই পার্ট নিবিনা?
নীড় : ন্যাহ …
বলেই মেরিনের দিকে তাকালো।
মেরিন মনে মনে : আপনি কি তা কেউই জানেনা ….
ইমান : not done ….
নীড় কিছু না বলে ইমানকে চোখ মারলো। ইমান মুচকি হাসি দিলো । সবাই dance floor এ নামলো । নীড়-মেরিন দর্শক সারিতে।
নীড় : snow white … একটু দারাও। important call…
মেরিন : হামম।
মনে মনে : শালা বেরসিক …
light off হয়ে গেলো…
মেরিন : কি হলো?
তখন নীড় এসে মেরিনকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলো। ওর ঘাড়ে মাথা রাখলো। মেরিন চমকে উঠলো।
মেরিন : আপনি…
নীড় : lets dance snow … remember … i want to win…
বলেই নীড় মেরিনকে নিয়ে dance floor এ নামলো। নাচ শুরু হলো।
মেরিন : নাচবেনই যখন তখন না করলেন কেন?
নীড় : আমি আমার ইচ্ছার মতো চলিনা … আমার ইচ্ছা আমার মতো চলে। আগেই বলেছি যে বলে কয়ে কাজ করা সবার character … আর হুট করে কাজ করা আমার character …
নীড়-মেরিনই জিতলো । এরপর বাসায় ফিরলো।
.
মেরিন নীড়ের দিকে তাকিয়ে আছে ।
নীড় : what?
মেরিন : আপনি কি?
নীড় : #সাইকো_নীড় …
মেরিন : আমি কখনোই আপনাকে বুঝতে পারবোনা।
নীড় : বুঝতে তো আমিও তোমাকে পারিনা । যাওয়ার সময় অভিমানী দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলে আর এখন রেগে বোম্ব হয়ে তাকিয়ে আছো ।
মেরিন : you know what? i just just & just hate you…
বলেই মেরিন খোপা করতে করতে গিয়ে বারান্দায় দারালো।
মেরিন : ঘোড়ার ডিমের মাথা খোপাটাও ঠিক মতো হচ্ছেনা। হতচ্ছারাটা চুল কেটে কতোটুকু করে দিয়েছে। মেরিন কোনোরকমে খোপা করলো ।
.
একটুপর…
নীড় এসে মেরিনের কানের সামনে ধিরিম করে ১টা বড় সরো বেলুন ফাটালো ।
মেরিন : আহ…
মেরিন ভয় পেয়ে নীড়কে পেয়ে জরিয়ে ধরলো। নীড়ও মেরিনকে আগলে নিলো। এরপর মেরিনের খোপাটা খুলে দিলো । অভিমানী মেরিন নীড়ের বুক থেকে সরে এলো । নীড় মুচকি হেসে মেরিনকে কোলে তুলে নিয়ে রকিং চেয়ারে বসলো। এরপর বুকের মধ্যে মেরিনকে জরিয়ে নিয়ে ওর মাথায় হাত বুলাতে লাগলো।
নীড় : আচ্ছা snow … you love me…& i love you… আর এটাই আমার কাছে চিরন্তন সত্য । universal truth …
মেরিন : আপনি মোটেও আমাকে ভালোবাসেন না…
নীড় একটু হেসে মেরিনের মাথায় চুমু দিলো ।
নীড় : do you really think so?
মেরিন : জানিনা…
নীড় : দেখো ভালোমতোই জানো যে নেকামো আমি করতে পারিনা। clear cut কথাই আমি বলি। কিন্তু … in this situation … i am too much helpless… মেরিন …সবথেকে বড় কথা হলো এই যে আমি তোমাকে ছারতে পারবেনা। আর তোমাকেও আমায় ছেরে যেতে দিবোনা।
মেরিন : …
নীড় : আচ্ছা snow … ১টা সম্পর্কে ভালোবাসা বেশি জরুরী না কি intimacy বেশি জরুরী…?
মেরিন আরো ১বার অবাক হয়ে গেলো।
নীড় : বলো…
নীড় কখনো এমন তরো কথাও বলতে পারে সেটা মেরিনের অজানা ছিলো।
নীড় : বুঝেছি… intimacy … ?…
মেরিন নীড়ের বুকে কিল মারলো।
নীড় : ouch….
মেরিন : আপনি সত্যিই ১টা রহস্য । সত্যিই এখন আমাকে গোয়েন্দা হতে হবে।
নীড় : হাহাহা… snow …
মেরিন : হামম।
নীড় : i am sorry for that day…. সেদিন খুব বাজে ব্যাবহার করেছিলাম। দেখো আমার সব তোমার। আমিও তোমার। কিন্তু প্লিজ আমার দুঃখের ভাগ চেওনা…
মেরিন : ok…. চাইবো না। কিন্তু ছোট্য ১টা কথা জিজ্ঞেস করতে পারি…?
নীড় : করো…
মেরিন : এমন কি আছে ওই ডাইরীতে?
নীড় : আমি আছি…
.
৩দিনপর…
নীড় অফিসে গিয়েছে। সেই সুযোগে মেরিন নীড়ের ডাইরীটা হাতে নিলো।
মেরিন : i am sorry নীড়… আপনি না দিলেও আপনার দুঃখের ভাগ আমি নিবো। password protected …. আমার নামই দিয়ে দেখি।
মেরিন দিলো। কিন্তু লাভ হলোনা। snow white দিলো লাভ হলোনা।
মেরিন : কি হতে পারে? মামনির নাম?
নীলিমার নাম দিলো। লাভ হলোনা।
মেরিন : ১মিনিট…. সেদিন নীড় মামনিকে দেখে কি বলেছিলো? গর্ভধারিনী… বাট এই word কেউ দেয় ? odd… but he is নীড়। দিয়েই দেখি।
এটাও হলোনা।
মেরিন : নীড় নীড় নীড়…. password টা কি? ধ্যাত এটাকে আগে রেখে দেই ।
মেরিন ডাইরীটা রেখে দিলো। আর পায়চারি করতে লাগলো। সেই সাথে নিজে নিজে বকবক। আর তখন নীড় এলো। মেরিন নিজের মধ্যে এতোটাই মগ্ন যে বুঝতেই পারেনি যে নীড় এসেছে।
মেরিন : ভালো লাগেনা … নীড় আমার অথচ নীড়ের দুঃখ আমার না। তার রহস্যও নাকি আমি জানতে পারবোনা । এটা কোনো কথা? আমি তো তোরই বউ। শালা ফকিন্নি।।। তোর রহস্য জানালে কি হয়? তোকে না ১দিন hipnotize করবো। এরপর তোর পেটের ভেতর থেকে সব কথা বের করবো। hipnotize ই করবো। huh…
নীড় : আমি তো already ই hipnotize my snow …
মেরিন: একি আপনি কখন এলেন?
নীড় : যখন আপনি planning করছিলেন…
মেরিন : huh…
নীড় : এতো ক্ষেপেছো কেন বলোতো…
মেরিন : password এর জন্য…
নীড় : password ? তুমি আমার ডাইরীতে হাত দিয়েছো?
মেরিন : আরে রাখুনতো মশাই আপনার ডাইরী…. ডাইরী ডাইরী ডাইরী… কেনরে ভাই আপনার ডাইরী ছারা কি অন্য কোথাও ক আর password লাগেনা? huh যত্তোসব।
নীড় : কার password এর পেছনে পরলা?
মেরিন : কার আবার আপনার ।
নীড় : আমার ?
মেরিন : হ্যা আপনার । আপনার facebook , email , blah blah … কোনো কিছুর password জানি আমি?
নীড় : কোনো কিছুর জানবে কি করে ? আমার সব জায়গায় তো একই password দেয়া।
মেরিন : কি?
নীড় : হ্যা।
মেরিন : তারমানে আমি কোনোদিনও আপনার password জানতো পারবোনা। নেহি…
নীড় মেরিনের নাক টেনে
বলল : drama queen …
মেরিন : huh… আমার নাম আপনার password এ নেই snow white নামও আপনার password এ নেই। যারমানে আমি আপনার password এও নেই….
নীড় : ওই তুমি আমার password কোথায় try করেছিলে?
মেরিন : messenger এ।
নীড় : কেন?
মেরিন : বারে… জানতে হবেনা কোন কোন কালনাগিনীরা আমার জামাইকে message পাঠায়…
নীড় : snow …
মেরিন : কথা বলবোনা।
নীড় মেরিনেক কাধে হাত রাখলো।
নীড় : ১টা কথা মাথায় রাখবে। তুমি আমার password এই না…. তুমি আমার সব জায়গাতেই আছো my snow white । কারন you are my need , love , passion , life , breath , heart , world …
.
চলবে…