#সাইকো_নীড়
part : 26
writer : Mohona
.
পরদিন…
নাহিদ : দাদা… সবাইকে যে এভাবে এখানে ডাকলে… কোন সমস্যা?
নিহাল : না… i have an announcement for you…
দীপ্ত : কি দুলাভাই?
নিহাল : বলছি… নিরব কোথায়…
নিপা : ওই তো আসছে …
নিরব : হ্যা বড়বাবা।
নিহাল : we are a family … right ?
সবাই : হ্যা…
নিহাল : কিন্তু কে বলবে যে আমরা ১টা পরিবার? আমাদের মধ্যে কোন তালমিল আছে?
সবাই : …
নিহাল : আজকে থেকে যার যা করার তা এই চৌধুরী বাড়িতে থেকেই করতে হবে। party , kitty parti, seminar , etc etc & etc… যার যা করার এ বাড়িতে থেকেই করতে হবে । কেউ কোনো বাধার সম্মুখীন হবেনা। স্বাধীনভাবেই করতে পারবে। কথা দিলাম। কিন্তু … এ বাড়িতে থেকেই। its an order …
নির্ঝর : বড়বাবা… বাসা থেকে বেরই হতে পারবোনা?
নিহাল : ?।
নিরব : তুই তো দেখি বিশ্ব গাধা…
নাহিদ : দাদা বলছে যে এ বাড়িতেই থাকবো। এমনিতে যেমন আমরা মাঝে মাঝে এ বাড়িতে আসি থাকি তা করা যাবেনা… got it…?
নির্ঝর : oh… ok..
নিহাল : সবার ok?
সবাই : ok…
নিহাল : শুনিনি… আরো জোরে…
সবাই : ok…
নিহাল : আরো জোরে….
সবাই : okk…. ???
.
মেরিন : বাবা …
নিহাল : হামমম মামনি?
মেরিন : কিছুনা …
নিহাল মেরিনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো । বুঝতে পারলো যে মেরিন ওর আম্মু-বাবাকে মিস করছে । মেরিনের চোখের কোনে পানি চলে এসেছে।
নিহাল : এই মেয়ে কাদছিস কেন। আমি আছি না…
মেরিন : ….
নিহাল : যদি আম্মুও চাই তবে আমি আরেকটা বিয়ে করতে পারি…
মেরিন ফিক করে হেসে দিলো।
নিহাল : হাসির কি বললাম…
মেরিন : কিছুনা। তুমি ১টা cute বাবা।
নিহাল : আর তুমি মহা cute মামনি…
দীপ্ত : আর আমি বিশ্ব cute মামা।
৩জন হাসতে লাগলো।
নিহাল : মামনি… রাত হয়ে গিয়েছে । যাও গিয়ে ঘুমিয়ে পরে।
মেরিন : হামমম। good night …
মেরিন চলে গেলো।
দীপ্ত : দুলাভাই…
নিহাল : হামমম।
দীপ্ত : কিছু কি হয়েছে?
নিহাল : কি হবে?
দীপ্ত : নীড় এভাবে চলে গেলো।
নিহাল : আরে ধ্যাত না … আসলে মনে হয় এখন সিরিয়াস হওয়ার চেষ্টা করছে ।
দীপ্ত : তাই যেন হয়। যাও ঘুমাবে… না হলে অসুস্থ হয়ে পরবে।
নিহাল : হামমম।
মনে মনে : আল্লাহ আমার ছেলেটার জীবনে সব ঠিক করে দাও ।
৪-৫দিনপর থেকে মেরিন হসপিটালে যাওয়া ধরলো। দিন কাটতে লাগলো । ২-১দিন পরপর নীড়ের সাথে কথা হয়। ভীরের মাঝেও মেরিন একা। সব থেকেও যেন ওর কিছুই নেই। কারন নীড়ই নেই।
.
২মাসপর…
মেরিন চেম্বারে বসে আছে। তখন অর্নব এলো।
মেরিন : তুমি?
অর্নব : হ্যা আমি।
মেরিন : কেন এসেছো?
অর্নব : ডক্টরের কাছে patient রা কেন আসে…
মেরিন : problem বলো…
অর্নব : ঘুম আসেনা । রাত দিন কেবল ১জনের চেহারাই চোখে ভাসে। তোর…
মেরিন : get out from here..
অর্নব : না যাবোনা আমি। আজও তোর অপেক্ষা করে আছি।
মেরিন : ভুলে যাবে না আমি কারো বউ…
অর্নব : তোর ১০টা বিয়ে হলেও, বাচ্চাকাচ্চা হলেও তোর জন্য অপেক্ষা করবো।
মেরিন : তুমি মনে হয় ভুলে গিয়েছো যে তুমি নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনের স্ত্রীর সাথে কথা বলছো..
অর্নব : এই নাম আমি চাইলেও ভুলতে পারবোনা । তুই যে এতো নীড় নীড় করছিস … তোর নীড় কি করেছে? বিয়ের পরদিনই ফেলে চলে গেলো।
মেরিন : mind your own business ..
অর্নব : no… i can’t… কারন এতে আমার জীবনও জরিয়ে আছে। নীড় নজর মেয়েদের চেহারায় নয় শরীরের দিকে থাকে। তোর সাথেও সেই attachment …
মেরিন : ভাইয়া…
অর্নব : আমার ওপর চিল্লিয়ে কি লাভ? আমি তোকে ভালোবেসেছি।তোর শরীরকে না… আর নীড় তোর শরীরকে ভালোবেসেছে। প্রয়োজন শেষ। ফেলে চলে গিয়েছে। ও তোকে ভালোবাসেনা।
মেরিন ঠাস করে অর্নবকে থাপ্পর মারলো।
মেরিন : নীড়ের নামে আর ১টা বাজে কথা বললে জানে মেরে ফেলবো।যাবে নাকি security ডাকবো?
অর্নব : চলে যাচ্ছি… কিন্তু তুই ভুলেও ভুলে যাস না নীড় কেমন…
বলেই অর্নব চলে গেলো। মেরিন রাগের চোটে টেবিলের ওপর সব কিছু ফেলে দিলো। ওর মনে পরলো সেই প্রথম দিনের কথা। নীড়
বলেছিলো : আমার বউ হবে? ১দিনের জন্য…. পরদিনই ডিভোর্স দিয়ে দিবো। ।
মেরিন রুমের সবকিছু লন্ডভন্ড করে বেরিয়ে গেলো।
.
নিহাল : নীড়… অনেক তো হলো। এখন ফিরে আসো ।
নীড় : আমি যে নিরুপায় ।
নিহাল : ১টা বার মেরিনের কথাটা তো ভাবো। ওর কেমন লাগতে পারে ভেবে দেখেছো?
নীড় : হামমম।
নিহাল : what হামম? রোজ তো ফোন দিয়ে কথাও বলোনা… নীড় এটা নিজেকে শাস্তি দেয়া না… এটা দায়িত্বহীনতা….
রাতে নীড় মেরিনকে ফোন করলো।
মেরিন : হ্যালো…
নীড় : অর্নব এসেছিলো আজকে তোমার সাথে দেখা করতে?
মেরিন : …
নীড় : answer me damn it…
মেরিন : এসেছিলো। তো?
নীড় : ওকে তো…
মেরিন : মেরে ফেলবেন? এগুলো ছারা আর কি পারেনটা কি আপনি? নিজের বিচার করেছেন ১বার? আপনার সাথে বিয়ে হওয়ার পরও ও আমাকে ভালোবাসে। আমার অপেক্ষায় আছে। আর আপনি? আমার তো মনে হচ্ছেনা যে আপনি কোনো কাজে গিয়েছেন। কারন যে নীড়কে আমি চিনি সে নীড় কোনো কাজকেই আমার থেকে বড় করে ভাবতো না। দুনিয়া ঘুরে গেলেও সে আমাকে ফেলে চলে যেতোনা । actually … আপনি কি সত্যি আমার চেনা? কখনও কি আপনাকে চিনতে পারবো? কি মনে হচ্ছে জানেন আপনি আমাকে ভালোইবাসেন নি। আমি কেবল আপনার জেদ ছিলাম। আপনাকে reject করেছিলাম বলে সব করেছেন… ১দিনের বউ বানাতে চেয়েছিলেন …. তাই করলেন… যেকোনো দিন divorce paper পাঠিয়ে দিবেন….
কথাটা শুনে নীড় টুস করে কল কেটে দিলো ।
মেরিন : hel…
মেরিন mobile টা আছার মারলো।
.
একটুপর…
মেরিন : oh no… কি করে ফেললাম। নীড়কে কতোটা hurt করে ফেললাম। খুব বেশি দরকার হয়েছে বলেই তো উনি গিয়েছেন… ধ্যাত ধ্যাত ধ্যাত… উফফ… ওই অর্নব ভাইয়াটা না আমার মাথাটাই গরম করে দিয়েছে। এখনই ফোন করে sorry বলতে হবে।
মেরিন নীড়কে ফোন করলো কিন্তু switched off বলছে ।
মেরিন : উনার যা রাগ… কাজ ফেলে না চলে আসে… কেন যে আমার এতো রাগ… ধ্যাত। কিন্তু কি করতাম? আমি যে নীড়কে মিস করছিলাম। এখন যদি চলে আসে…. নির্ঘাত শাস্তি পেতে হবে । পেলে পাবো…. নীড়েরই তো হবো…
তবে ৪-৫দিন পার হয়ে গেলেও নীড় এলোনা। মেরিন বুঝতে পারলো যে নীড় আসবেনা। নীড়কে ফোন করলো। আজকে switched off বলেনি।
নীড় : বলো…
মেরিন : i am sorry …
নীড় : হামমম। রাখছি…
নীড় রেখে দিলো।
মেরিন : এইরে সেই লেভেলের রাগ করেছে । তবে মিস্টার নীড়… আমিও তো মিসেস নীড়…. আপনি তো কোনোদিনও আমার আশা অনুযায়ী কাজ করেন না…. এবার একটু আমিও আপনাকে অবাক করি…. আপনি এখানে না আসতে পারেন… কিন্তু আমি তো আপনার কাছে যেতেই পারি… আপনার রাগ ভাঙাতে। কিন্তু এই কথা আমি বাবা বা মামাকে বলবো কি করে? যদি কিছু মনে করে?
নিহাল-দীপ্ত : হামম হামমম অনেক কিছু মনে করবো…
মেরিন : আরে তোমরা…
নিহাল : আমি কি এতোটাই পচা শশুড়?
মেরিন : এমা না…
নিহাল : তাহলে এমনটা বললে কেন যে আমি কিছু মনে করবো? হামম?
মেরিন : sorry …
দীপ্ত : sorry বললে তো হবে না । শাস্তি পেতে হবে…
নিহাল : আর শাস্তি হলো এই যে… next flight এই তুমি লন্ডন যাবে….
⛈️⛈️⛈️
]
.
বর্তমান…
নীড় মেরিনের মাথায় মলম লাগিয়ে দিচ্ছে । মেরিন অবাক হলো। কারন দীপ্ত বলেছিলো যে অসুস্থ হওয়ার পর থেকে নীড় রক্ত সহ্য করতে পারেনা। মেরিন অবাক চোখে নীড়কে দেখছে । কিন্তু নীড় দৃষ্টি কেবল মেরিনের ক্ষতে ।
মেরিন : কি ব্যাপার মলম লাগাচ্ছো যে?
নীড় : because i can’t bear it…
মেরিন তো আরো অবাক হলো ।
মেরিন : তু…
নীড় মলম লাগিয়ে দৌড়ে চলে গেলো।
মেরিন : নীড় কি বলে গেলো? আচ্ছা নীড় কি সত্যিই অসুস্থ ? নাটক করছে না তো… হয়তো পুলিশের থেকে বাচতে পাগলের অভিনয় করছে। দেখি মিস্টার নীড়… আপনি পাগল না ভন্ড….
.
অতীত…
[
⛈️⛈️⛈️
মেরিন লন্ডন পৌছালো। নিহাল মেরিনকে নীড়ের flat এর pair key দিয়ে দিয়েছে।
মেরিন : মিস্টার #সাইকো_নীড় আজকে আপনি ১টা ধামাকাদার surprise পাবেন আপনার snow white কে দেখে … এখন তো নিশ্চয়ই আপনি অফিসে হবেন । ততোক্ষনে আমি flat এ গিয়ে আপনার জন্য surprise plan করি…
মেরিন চাবি দিয়ে ভেতরে ঢুকলো।
মেরিন : সিগারেটের smell …?
মেরিন রুমের দিকে গেলো। দেখলো রুমটা অন্ধকার। নীড় রকিং চেয়ারে বসে আছে। হাতে সিগারেট আর vodka এর বোতল । হাতে ১টা সুইচ । সেটা ১বার off ১বার on করছে। on করলে মেরিনের ছবি ভেসে উঠছে সারা রুমে। মেরিন এসেছিলো নীড়কে surprise দিতে । কিন্তু ও নিজেই surprised…. ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো। চোখে টলমল পানি।
মেরিন : নীড়…
নীড় চমকে গেলো। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে মেরিন দারিয়ে আছে ।। নীড় দারালো।
নীড় : তোমার এখানে আসার কি প্রয়োজন ছিলো?
মেরিন : আমার ভুল টা ভাঙার প্রয়োজন ছিলো..
নীড় : …
মেরিন : আমার ভুল ছিলো । আমি বিশ্বাস করেছিলাম যে আপনি সত্যি কাজে এসেছেন এখানে। আমি ভেবেছিলাম যে এখানে এসে দেখবো আপনি অফিসে। আর সেই সুযোগে আমি এখানে আপনার জন্য surprise plan করবো। কিন্তু … দেখুন… নিজেই অবাক হয়ে গেলাম।
মেরিনের কান্না করছে।
নীড় : i can’t bear your tears…. stop crying…
মেরিন কান্না করেই যাচ্ছে। নীড় হাতের সিগারেট আর বোতলটা ফেলে দিয়ে হাত-মুখ ধুয়ে এলো। এরপর ২হাত মেরিনের মুখে রাখলো। বুড়ো আঙুল দিয়ে মেরিনের চোখের পানি মুছেদিলো। এরপর মেরিনের কপালে কিস করলো।
নীড় : কতোদিন কতোবার বলেছি যে আমার সামনে কান্না করবেনা… কেন কোনো কথা শোনোনা…
বলেই নীড় মেরিনকে বুকে জরিয়ে নিলো… তবুও বুঝতে পারছে যে মেরিন কান্না করছে ।
নীড় : কান্না থামাবে না কি নিজের জীবনটা নিজে দিয়ে দিবো…?
মেরিনের ইচ্ছা করছে কি করতে নিজেও জানেনা। নীড়ের কাছ থেকে নিজেকে ছারিয়ে নিতে চাইলো ।
নীড় : সেধে সেধে সেই বাংলাদেশ থেকে এখানে এসে আবার ছোটাছোটি করছো কেন?
মেরিন : আপনি ভীষন খারাপ ।
নীড় : i love you…
মেরিন : মিথ্যা কথা…
নীড় : সত্য মিথ্যা পরে যাচাই করবে । এখন fresh হয়ে গিয়ে বিরিয়ানি রান্না করো…
মেরিন : what?
নীড় : what… what? কতোদিন তোমার হাতের বিরিয়ানি খাইনা বলো তো…
মেরিন নীড়ের বুকে কিল দিতে লাগলো। ইচ্ছা মতো।
নীড় : বানরের মতো কিল মারছো কেন?
মেরিন : বেশ করেছি। আ…
মেরিন বুঝতে পারলো যে ওর হাত টা ভেজা ভেজা। দেখলো রক্ত। মেরিন সোজা হয়ে দারালো।
মেরিন : আমার হাতে রক্ত কোথায় থেকে এলো … নী … তখন মেরিনের চোখ গেলো নীড়ের বুকের দিকে। হালকা গোলাপী রঙের t-shirtটা ভিজে গিয়েছে। মেরিনের চোখ ওখানে যেতেই নীড় দৌড়ে washroom এ চলে গেলো।
মেরিন : নীড়… এই নীড়। দরজা খুলুন… নীড়….
নীড় : যাও গিয়ে বিরিয়ানি রান্না করো। বেরিয়ে যদি বিরিয়ানি না দেখি তবে কপালে দুঃখ আছে।
মেরিন : থাকুক । বের হন আপনি।
নীড় : তুমি গিয়ে বিরিয়ানি রান্না করো।
মেরিন : না আমি রান্না করবোনা । আপনি বের হন।
নীড় : না হবোনা। যাও গিয়ে বিরিয়ানি রান্না করো।না হলে আমি বের হবোনা।
মেরিন : আপনি এতো অদ্ভুদ কেন নীড়?
নীড় : যাও।
মেরিন বাধ্য হয়ে কিচেনে গেলো।
.
একটুপর…
রান্না হয়ে গিয়েছে।
নীড় : আমমম কি smell…
মেরিন : ?
মেরিন নীড়ের দিকে এগিয়ে গেলো।
নীড় : ওরে বাবারে… কিভাবে তেরে আসছে গো… ভয় পেলাম তো… ।
মেরিন কোন কথা না বলে বুকের দিকে থেকে শার্টটা সরালো। দেখলো ব্যান্ডেজ করা ।
মেরিন : একি কি হয়েছে? ববব্যান্ডেজ করা কেন?
নীড় : ছোট্ট ১টা accident হয়েছিল ।
মেরিন : ছোট্ট একটু accident ? কতোখানি… আর accident হলে কেবল এখানেই ব্যান্ডেজ থাকবে কেন?
নীড় : তুমি কি চাও আমার সারা শরীরে ব্যান্ডেজ থাকুক!!!
মেরিন : একদম কথা কাটাবেন না । আমি ভালোমতোই জানি যে এটা accident এর জন্য না। আমি নিজে করেছেন।
নীড় : …
মেরিন : কি হলো ? বলেন কেন করেছেন?
নীড় কপাল একটু চুলকে
বলল : তোমার কি মনে হয় না যে তোমার সাহস আকাশ ছুয়েছে… তুমি আমাকে চোখ রাঙাচ্ছো ? এতো সাহস?
মেরিন : সাহসের আর দেখেছেন কি? আমি কি এখন মেরিন বন্যা খান নাকি যে ভীতু থাকবো? আমি এখন মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরী। বুঝতে হবে…
নীড় মেরিনের কোমড় জরিয়ে ধরে কাছে টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো ।
নীড় : মিসেস নীড় হলেই তো আর হবেনা… মিসেস সাইকো হতে হবে…
মেরিন নীড়ের কাধে হাত রাখলো।
মেরিন : হবো…
নীড় : lete see…. come with me my snow white …
বলেই নীড় মেরিনকে গাড়িতে বসিয়ে কোথাও নিয়ে গেলো। চারদিকে বরফ আর বরফ। আবার হালকা snowfall ও হচ্ছে।
মেরিন : ও মা কি শীত? এখানে কেন এলেন?
নীড় : খেলতে।
মেরিন : খেলতে? কি খেলতে ?
নীড় : মৃত্যুর খেলা খেলতে। ?।
মেরিন : what?
নীড় : মিসেস সাইকো হবে আর মৃত্যুর খেলা খেলবে না? ন্যাহ । তা হবেনা ।
মেরিন : এই শীতে যে জমে যাবো । বাসাতেই তো খেলতে পারতাম।
নীড় : ন্যাহ।
মেরিন : কি খেলা?
নীড় ওর গান বের করলো। এরপর ওর থেকে সব গুলি বের করলো। এরপর ১টা গুলি ভরে ঘুরিয়ে দিয়ে বন্ধ করে দিলো।
নীড় : খেলার নাম shoot yourself ….
মেরিন : এটা কেমন খেলা…. এটা তো…
মেরিনের মনে পরলো যে সেদিন রাগের মাথায় নীড়কে কতো কিছু বলেছে। নিশ্চয়ই নীড় তার শাস্তি দিবে।
মেরিন : নীড়…
নীড় : নামটা কেমন হয়েছে বলো তো? shoot yourself …. sounds cool…. তাইনা snow….
.
চলবে…