#সাইকো_নীড়
part : 22
writer : Mohona
.
মেরিন : নীলিমা আন্টি ভীষন অসুস্থ …
নীড় : …. i don’t care….
মেরিন : আমি তো care করার কথা বলিইনি…
নীড় : তততুমি আজকাল বড্ড বেশি কথা বলো.. চলো আমার সাথে।
মেরিন : কোথায় যাবো?
নীড় : suicide করতে…
মেরিন : no no… আমি এখন যেতে পারবোনা। নীলিমা আন্টির case টা difficult …. অনেক ঘাটাঘাটি করতে হবে…
নীড় : ওই মহিলাকে আন্টি ডাকছো কেন?
মেরিন : তো কি শাশুড়ি ডাকবো… !!
মনে মনে : oh no….
নীড় : ওই মাইয়া.. নাবিলের বউ হওয়ার এতো শখ…
মেরিন : এ্যা…. thanks… যে আপনি ওই দিকে গিয়েছেন।
নীড় : মানে?
মেরিন : মানে কিছুনা। আপনি যান…
নীড় কোনো কথা না বলে মেরিনকে কাধে তুলে নিয়ে হাটা ধরলো গাড়িতে বসালো।
মেরিন : always গুন্ডাগিরি করার জরুরি?
নীড় : always ত্যারামি করা জরুরী?
.
একটুপর…
মেরিন : একি? আমরা airport কেন এলাম?
নীড় : কারন আমরা dubai যাচ্ছি।
মেরিন : dubai ? but why?
নীড় : আমার মিটিং আছে । তাই।
মেরিন : আপনার মিটিং আছে আপনি যান না। আমাকে টানছেন কেন? আমি যাবোনা।
নীড় : তোমার কি মনে হয় যে আমি তোমার কথা শুনবো?
মেরিন : …
নীড় : যতোবার তোমাকে রেখে দেশের বাহিরে গিয়েছি ততোবার ঝামেলা হয়েছে। so…. আর কোনো ড্রামা চাইনা…
মেরিন : নীড় আপনি বুঝতে পার…
নীড় মেরিনের ঠোটের ওপর হাত রাখলো।
নীড় : sshhh… কোনো কথানা….আরেকটা কথা বললে কিন্তু এখন এই মুহুর্তে কিস করবো….
মেরিন : …
নীড় : lets go…
মেরিন : হামমম।
২জন দুবাই গেলো। ওখানে ৩দিন থেকে দেশে ফিরে এলো ।
.
নাবিল মেরিনকে ফোন করলো।
মেরিন : হ্যালো ।
নাবিল : তুমি কি দেশে ফিরেছো?
মেরিন : জী…
নাবিল : তোমার assistant বলেছিলো রিপোর্ট দিয়ে যেতে।
মেরিন : জী ভাইয়া… sorry … মিস্টার রায়হান। আমিই ওকে বলতে বলেছিলাম।
নাবিল : sorry বলার কিছু নেই । দেখেছো মামনির রিপোর্ট?
মেরিন : জী ।
নাবিল : কি সমস্যা? মামনি ঠিক হবে তো?
মেরিন : জী ভাইয়া । তবে i need some information … can we meet?
নাবিল : ok… কবে করতে চাও?
মেরিন : কালকে। বিকালে। আপনি আমার চেম্বারে আসতে পারবেন?
নাবিল : চেম্বার কেন? কোনে কফিশপে…
মেরিন : না… ?.
নাবিল : ok… তোমার চেম্বারেই আসবো।
মেরিন : bye…
মেরিন ফোন রেখে দিলো।
মেরিন : তার সাথে দেখা করার জন্যে নীড় কোন তুলকালাম করে তার নেই ঠিক । আবার বুলে কফিশপ …
.
পরদিন…
বিকালে।
নীড় : তোমার মুখ দেখে এমন কেন মনে হচ্ছে যে তুমি আতঙ্কে আছো । কি হয়েছে?
মেরিন : কিছু না তো…
নীড় : কিছুনা তো… ?
মেরিন : হামমম।
নীড় : ভালোমতো জানি যে মিথ্যা কথা বলছো। আর তুমি বারবার ঘড়ি দেখছো কেন?
মেরিন : এমনিতেই। আচ্ছা নীড় by at any chance যদি কখনো আমাকে আর মিস্টার নাবিলকে একসাথে দেখেন তবে কি আবারও আমার সাথে অমন আচরন করবেন?
নীড় : i don’t know …
মেরিন : কথা তো কথাই। তাইনা? এতো অবিশ্বাস আমার ওপর?
নীড় : ন্যাহ… অবিশ্বাস ওই নাবিলের ওপর । actually রায়হানদের ওপর। ওরা নিকৃষ্ট। ওরা অন্যের ভালোবাসা বা স্ত্রী কেরে নেয়।
মেরিন : আপনি নীলিমা আন্টিকে ভীষন ভালোবাসেন তাইনা?
নীড় রেগে মেরিনের দিকে তাকালো। মেরিনোর গলা চেপে ধরলো।
নীড় : আমি ওই মহিলাকে just ঘৃণা করি… got it…?
বলেই মেরিনকে ছেরে দিয়ে চলে গেলো।
মেরিন : যাক সাইকোটা গিয়েছে। সাইকোটা কে নরমাল করতে হলে সাইকোর মা কে সাইকোর জীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে ।তাহলেই আমি মুক্তি পাবো ।
.
একটুপর…
আফরিন : ম্যাম … মিস্টার রায়হান এসেছে।
মেরিন : ওহ। হামম পাঠিয়ে দাও।
আফরিন : ok mam…
নাবিল এলো ।
নাবিল : ভালো আছো?
মেরিন : জী…
নাবিল : তো বলো কি বলবে?
মেরিন : ঠিক বুঝতে পারছিনা কিভাবে কথাগুলো বলবো…
নাবিল : বলো তো।
মেরিন : আসলে এগুলো আপনাদের পারিবারিক ব্যাপার … but তবুও আমার তথ্য গুলো জানা জরুরী…
নাবিল : নিঃসংকোচে বলো।
মেরিন : ok… মিস্টার রায়হান… নীলিমা আন্টি আর নিহাল আঙ্কেলের ডিভোর্স হয়েছিলো?
নাবিল : no…
মেরিন : না মানে…
মেরিন হাত কচলাচ্ছে…
নাবিল : আমি মনে হয় বুঝতে পেরেছি তুমি কি জিজ্ঞেস করবে…
মেরিন : …
নাবিল : মামনি আর বাবার বিয়ে হয়নি। তাদের মধ্যে কেবল আর কেবল সম্মানের সম্পর্ক। ২জন ২জনকে ভীষন respect করে। তবে হ্যা ১টা সময় বাবা মামনিকে ভালোবাসতো। তবে সেটা ছিলো একতরফা।
মেরিন মনে মনে : মাগো… কি পেচানো কাহিনী…
মেরিন : তাহলে নীলিমা আন্টি আপনাদের বাসায় কেন? তবে কেন দুনিয়া এটা জানে যে নিহাল-নীলিমা চৌধুরীর বিয়ে হয়েছে ? কেন দুনিয়া তাকে মিসেস রায়হান বলে জানে?
নাবিল : সবটাই হয়েছে মামনির সম্মান রক্ষা করার জন্য ।
মেরিন : মানে?
নাবিল : মানে মিস্টার নাহিল চৌধুরী যখন মামনির কাছে divorce paper পাঠায় তাও signature করে তখন মামনি বুঝতে পেরেছিলো যে মিস্টার চৌধুরী মামনিকে কোনোদিনও ক্ষমা করবেননা। মামনি পুরোপুরি ভেঙে পরেছিলো। কিন্তু মামনির পক্ষে divorce paper এ signature করাও সম্ভব ছিলোনা। আর চৌধুরী বাড়িতে ফিরে যাবারও কোনো পথ ছিলোনা। আর মামনিকে ওর বাবাও ভুল বুঝেছিলো। তাই বাবা মামনির পাশে দারায় । আর যেহেতু নিহাল চৌধুরী ভীষন famous তাই মামনি আমাদের বাসায় আছে জানলে মামনির অনেক বদনাম হতো। তাই মিসেস রায়হান হওয়ার অভিনয় টা আজও মামনি চালিয়ে যাচ্ছে।
মেরিন : too much critical ….
নাবিল : হামম।
মেরিন : এগুলো ঘটার কারন কি? নিহাল আংকেল কেন এমনটা বুঝেছিলো ?
নাবিল : আসলে বা…
তখন নীড় ভেতরে ঢুকলো।
নীড় : sn…
নাবিলকে দেখে থেমে গেলো।
মেরিন : oh no…
নীড় রেগে ১বার মেরিনের দিকে তাকিয়ে নাবিলের দিকে তেরে এলো।
মেরিন : নীড়.. আমি মিস্টার রায়হানকে আসতে বববলেছি…
নীড় নাবিলের মাথায় বন্দুক ঠেকালো।
নীড় : তোর জন্য অনেক ঘটনা ঘটে আসছে ১৩-১৪ বছর ধরে … even recently ও তোর জন্য অনেক কিছু হয়েছে। তাই আজকে তোকে মেরে কাহিনী শেষ করবো…
মেরিন নীড়ের হাত ধরে টান দিলো… নীড় বেসামাল থাকায় ধিরিম করে মেরিনের ওপর গিয়ে পরলো… ২জনেই নিচে পরলো…
মেরিন কোমরে ব্যাথা পেলো।
মেরিন : ouch…
এমন situation দেখে নাবিল ওখান থেকে চলে গেলো।
.
মেরিন চোখ মেলল।
মেরিন : আপ…
দেখলো নীড় ওর দিকে তাকিয়ে আছে। এভাবে কখনো ও নীড়ের চোখ জোরা দেখলো।
নীড় : এভাবে তাকিয়ে থাকলে তুমি প্রেমে পরে যাবে আর আমি আবার ভুল করবো ।
মেরিন : উঠুন…
নীড় উঠলো… তবে মেরিন কোমড়ে যথেষ্ট ব্যাথা পেয়েছে । তাই অনেক কষ্টে উঠে বসলো। দম নিতেও একটু কষ্ট হচ্ছে । একদম দারানো অবস্থা থেকে পরেছে। তাই ব্যাথাটাও অনেক পেয়েছে….
নীড় : ???।
মেরিন : একটু help করবেন…
নীড় : no…
মেরিন : ?।
নীড় : আমার হাত তো জীবনেও ধরোনা। তবে ওই নাবিলকে বাচানোর জন্য কেন হাত ধরে টান দিলা?
মেরিন : ….
নীড় : এতো দরদ কেন ওই নাবিলের জন্য ? ও তোমারে কে?
কথাটায় মেরিন কষ্ট পেলো । তাই নীড়ের থেকে চোখ ঘুরিয়ে ধীরে ধীরে ওঠার চেষ্টা করলো। নীড় ১টানে মেরিনকে দার করালো ।
মেরিন : ouch…
নীড় মেরিনকে couch এ ফেলল। এরপর coat টা খুলে শার্টের হাতা ফোল্ড করতে লাগলো। মেরিন মনে করলো আজও নীড় অমন হিংস্র আচরনই করবে। ভয়ে কাপতে লাগলো । কিন্তু নীড় মেরিনকে অবাক করে দিলো। নীড় মেরিনকে উপুর করে মেরুদন্ডের নিচের দিকে ২হাতের ২ বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে প্রেস করলো…
মেরিন : আম্মু…
নীড় উঠে দারালো। মেরিনতো সেই ক্ষেপে গেলো।
মেরিন : আপনি আমাকে মানুষ করেন না? নাকি আমাকে কোনো রোবট মনে করেন নিজের মতো? নিজেও যেমন heartless আমাকেও তেমন মনে করেন?
নীড় coat টা কাধে ঝুলিয়ে মেরিনের হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো …
মেরিন : আমার হাত ছারুন… আমার কোমড়ে ব্যাথা। হাটতে পারবোনা।
মেরিন খেয়ালই করেনি যে ওর কোমড়ে ব্যাথা চলে গিয়েছে।
নীড় : তোমার কোমড়ে এখনও ব্যাথা আছে?
মেরিন : হামমম।
নীড় : এখনই ব্যাথা vanish করছি… ?…
মেরিন : কিভাবে?
নীড় মেরিনকে ১টানে নিজের কাছে এনে ফেলে দিতে নিয়ে কোমড় ধরে ফেলল।
নীড় : ব্যাথা আছে ?
মেরিন : হামম।
নীড় : good…
বলেই নীড় ধাপ করে মেরিনের কোমড় ছেরে দিলো আর মেরিন দুম করে মেরিন পরে গেলো। আবার নতুন করে ব্যাথা পেলো।
মেরিন : আহ…
⛈️⛈️⛈️
]
.
বর্তমান…
নীড় সব জায়গাতে পুন্টুসকে খুজছে।
ভম্বল : কিরে তুই কি খুজছিসরে?
নীড় : আমার পুন্টুসকে। দেখেছিস?
ভম্বল : না। আমি তো ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে চা খাচ্ছিলাম..
নীড় : এই অভিভিভিভিভি অভিভিভিভিভি…. তুমি আমার পুন্টুসকে দেখেছো…?
অভি : উহু…
নীড় অস্থির হয়ে পুন্টুসকে খুজছে। রেগে নিজের বেড টা উল্টে ফেলে দিলো।
নীড় : পুন্টুস … ???
মেরিন : আমি এখানে…
নীড় ঘুরে দেখে ওর পুন্টুস দিয়ে কেউ নিজের মুখ আরাল করে আছে । নীড় ছুটে গিয়ে পুন্টুসটা কেরে নিলো। মেরিনকে দেখলো। আজকেও চেহারা ঢাকা।
মেরিন : এটাই খুজছিলে বুঝি?
নীড় : ….
মেরিন : কালকে আমার চকোলেট হাইজ্যাক করে নিয়ে গেলে তবুও কথা বলবেনা?
নীড় মাথা নেরে না করলো।
মেরিন : বেশ… তবে আমি আকরাম পাগলা গারদের কাছে গিয়ে বিচার দেই । আর সে তোমাকে electric shock দিক…
নীড় ভয়ের চোটে ঢোক গিলল।
মেরিন : ডক্টররররর আ…
নীড় : না না না.. আমার shock খেতে ভালো লাগে না। অনেক যন্ত্রনা হয়…
মেরিন : তাই বুঝি?
নীড় : হামমম হামমম।
মেরিন : তাহলে আর তাকে ডাকবোনা।
নীড় : সত্যি সত্যি ?
মেরিন : হামমম। কিন্তু আমার সাথে friendship করতে হবে…
নীড় : তোমার সাথে friendship করলে যে আমার পুন্টুস রাগ করবে…
মেরিন : উহু করবেনা। কারন পুন্টুস তোমার যেমন ভালো বন্ধু তেমনি আমারও ভালো বন্ধু। আমিই যে ওকে খুজে পেয়েছি…
নীড় : কে বলল যে পুন্টুস আমার ভালো বন্ধু? পুন্টুস তো আমাকে দেখতেই পারেনা । খালি চলে যেতে চায়। তাইতো শক্ত করে ধরে রাখি। কোথাও যেতে দেইনা।
মেরিন : তাহলে ও তোমার বন্ধুনা ?
নীড় : না… ও আমার need , love , passion , life , breath , heart , world …
মেরিন : মানে?
নীড় : জানিনা… আচ্ছা এগুলোর মানে কি?
মেরিন : ….
নীড় : বলো…
মেরিন : …
নীড় : জানোনা?
মেরিন : উহু…
নীড় : ইহিহিহি ইহিহিহি… কিচ্ছু জানেনা। কি বোকা….
তখন ডক্টর আকরাম হাজির হলো।
নীড় : ওরে বাবারে। পালাও পালাও…
বলেই নীড় চলে গেলো….
.
মেরিন : need , love , passion , life , breath , heart , world …. এই word গুলোর মধ্যেই কি password লুকিয়ে আছে? দীপ্ত মামা বলছিলো যে নীড় এই word গুলো প্রায়ই use করে? এগুলো থেকেই কোনো ১টা word ই কি password ? নাকি সব গুলো? …. এক কাজ করি ১টা ১টা করে সব গুলো দিয়ে দেখি।
মেরিন try করলো। কিন্তু লাভ হলোনা।
মেরিন : damn it… মেরিন মেরিন হার মানলে হবেনা। try & try… আজকে আর না। আবার কালকে….
.
অতীত…
[
⛈️⛈️⛈️
মেরিন : আপনি অনেক খারাপ।
নীড় : i know …
নীড় কাউকে ফোন করো।
নীড় : hello…
…
নীড় : মিস্টার নাবিল রায়হানের এতো সুন্দর ভাবে accident করাও যেন ৬মাসের মধ্যে হসপিটাল থেকে না বের হতে পারে। আর মুখ দিয়ে কথা না বলতে পারে… bye…
মেরিন : don’t do this… তার কোনো দোষ নেই… আমি তাকে ডেকেছিলাম…
নীড় devil smile দিলো ।
নীড় : my dear snow white… তুমি ওকে বাচাতে চেয়েছো তাই ওকে জানে মেরে ফেলার order দেইনি। আর বললে না যে তার কি দোষ? হ্যাহ… তু্মি ওকে বাচাতে চেয়েছো এটাই তার দোষ… got it…
বলেই নীড় চলে গেলো।
মেরিন : নীড়… নীড়… oh no… এ তো দেখি চলে গেলো… এখন আমি উঠবো কি করে? ও মা… কি ব্যাথা… আহ… কোন কুক্ষনে যে এই সাইকোর সাথে দেখা হয়েছিলো….
মেরিন ধীরে ধীরে ওঠার চেষ্টা করলো… পরক্ষনেই নিজেকে শূন্যে পেলো।
মেরিন : আহ…
দেখলো ও নীড়ের কোলে।
মেরিন : ছারুন আমাকে?
নীড় : sure?
মেরিন বুঝলো যদি ও হ্যা করে তবে নীড় ধাপ করে ওকে ছেরে দিবে। তাই কিছু না বলে নীড়ের গলা জরিয়ে ধরলো। নীড় বাকা হাসি দিলো।
নীড় : তোমার ব্যাথার কারনও আমি হবো… আরামের কারনও আমি হবো…. সবটাই আমার অধিকার। you are my need , love , passion , life , breath , heart , world ….
.
চলবে….