#সাইকো_নীড়
part : 11
writer : Mohona
.
মেরিনকে দেয়ালে ঠেকিয়ে রাখলো। মেরিন মাথা নামিয়ে রাখলো।
নীড় : honestly আমার কি ইচ্ছা করছে জানো?
মেরিন : …
নীড় : তোমাকে এখন এই মুহুর্তে নিজের করে নিতে ইচ্ছা করছে। যেই যেই জায়গায় ওই চয়নের ছোয়া লেগেছে সেই সেই জায়গায় নিজের চিহ্ন বসিয়ে দিতো ইচ্ছা করছে।
মেরিন : …
নীড় : তোমাকে কেটে টুকরো টুকরো করতে ইচ্ছা করছে… তোমার শরীরে আগুন ধরিয়ে দিতে ইচ্ছা করছে… কিন্তু আফসোস… ভালোবাসি তোমাকে… আঘাত করতে কষ্ট হয়… তবে তোমাকে এভাবেই ছেরে দিবোনা… বুঝতে পারছিনা কি শাস্তি দিবো…. তবে এখন তোমাকে ভীষন করে ভালোবাসতে ইচ্ছা করছে…
বলেই নীড় মেরিনের দিকে মুখটা ধীরে ধীরে বারাতে লাগলো। কিন্তু অতিরিক্ত ভয় আর শীতে মেরিন জ্ঞান হারালো…
.
একটুপর…
মেরিনের ঘুম ভাঙলো… দেখলো ও চেয়ারে বসে আছে । ওর হাত বাধা। তবে চেয়ারটা ভিন্ন রকম। মেরিন বেশ করে চিনতে পারছে এটা কিসের চেয়ার। এটাতে বসিয়ে shock দেয়া হয়। ওর মুখ বন্ধ করা।
নীড় : whats up my snow white …
মেরিন : …
নীড় : এটা কিসের switch জানো? এটা on করলে তুমি জোর কা ঝাটকা জোরসে খাবে…
মেরিন মাথা দিয়ে না করলো।
নীড় : না কেন করছো? দেখো তুমি একজন psychiatrist হতে চলেছো তাইনা? পাগলদের তো electric shock দেয়া হয়। তুমিও দিবে… তবে ? experience থাকা ভালো। we are from science … তো আমরা সবকিছুই practically করি। আর এটাই নিয়ম। shock দিতে হলে shock খেতেও হয়… তো আমি তো তোমাকে help করছি…
মেরিন কান্না করছে।
নীড় : আহা… কান্না করছো my snow white… দারাও…
বলেই নীড় ঠোট দিয়ে মেরিনের চোখের পানি শুষে নিলো।
নীড় : are you ready…? ok then … ready …1…2…& 3…
3 বলতেই মেরিন চোখ মুখ খিচে বন্ধ করলো। কিন্তু কিছুই feel হলোনা।
নীড় : হাহাহাহাহাহা….
মেরিন চোখ মেলল।
নীড় : বলে কয়ে warning দিয়ে কাজ করা অন্যদের character আর হুট করে নিজের মতো কাজ করা নীড়ের character …
বলেই নীড় চোখ মারলো। এরপরই button press করলো। আর মেরিন ১টা ঝটকা খেলো। তবে হ্যা সেটা বেশি জোরে ছিলোনা। খুবই সামান্য ছিলো। মেরিন অবাক হয়ে নীড়ে দিকে তাকালো। নীড় ঠোট ২টাকে কিস করার মতো করলো। নীড় মেরিনকে মুক্ত করলো।
নীড় : সারাদিন কিছু খাইনি… বি… ন্যাহ… এবার বিরিয়ানি না… খিচুরী ভূনা খিচুরী রান্না করে আনো… সাথে গরুর মাংস। জানি জানি জানি… তুমি পারোনা… but nothing to do…
মেরিন : আচ্ছা আপনি কি আমাকে মানুষ মনে হয়না? আমিও তো ১টা মানুষ নীড়… কেন আপনি এমন করেন? কি সমস্যা আপনার ? আপনি জানেন আপনাকে আমার ১জন মানষিক রোগী মনে হয়। পাগল মনে হয়… ঘৃণা…. না না ঠিক ঘৃণাও না … করুনা হয় আপনার ওপর করুন… আপনার কাজ কর্ম কোনো সাধারন মানুষের কাজকর্ম নয়। কষ্ট দিচ্ছেন তো আমায়… বেশ দিন… আজকে আমার ক্ষমতা নেই আপনার সাথে লড়াই করার… না আর্থিক , না মানষিক আর না শারীরিক… আর তাই বাধ্য হয়েই আপনার সব কথা শুনতে হচ্ছে। কিন্তু নীড় … the table will turn …
বলেই মেরিন কিচেনে গেলো।
.
মেরিন নীড়ের ওপর রাগ করে পেয়াজ কাটতে লাগলো। তখন ২টা হাত ওর পেছন দিয়ে সামনে এসে ওর হাত ধরলো।
মেরিন : …
নীড় কাটতে লাগলো।
নীড় : ভালো লাগলো আমার নামের complain গুলো। impressive … তবে কি জানো যা বলবো তা করতে হবে। আমার তো বউ ১টাই…
মেরিন : বউ…
নীড় : হওনি… হয়ে যাবে। চাইলে এখনই বিয়ে করে বউ বানাতে পারি…
মেরিন : তো বানান বউ…. আপনার কাজে কর্মে বদনাম হওয়ার আগে বউ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া ভালো।
নীড় : হাহাহা… বদনাম…? বদনাম তোমাকে … ন্যাহ… নীড়ের মেরিন কখনো বদনাম হতে পারেনা… study complete করো… বিয়ে করে ঘরে তুলবো। যাই হোক চলো আজকে ২জনে মিলে রান্না করি…
.
একটুপর…
নীড় : খাচ্ছো না কেন? নারাচারা বন্ধ করে খাও…
মেরিন : …
নীড় : সব কিছুতে তুমি কেন চাও যেন আমি তোমাকে force করি…?
মেরিন : নীড় ১টা কথা জিজ্ঞেস করতে পারি…
নীড় : করো…
মেরিন : আচ্ছা ১টা কথা বলুন তো… আপনারা ছেলেরা এমন কেন?
নীড় : কেমন কেন!!!
মেরিন : নিজেরা এতো এতো মেয়েদের সাথে এতো কিছু করেন অথচ বউ বানানোর জন্য pure কাউকে খোজেন… কেন? এই আপনি… আমার দিকে কেউ তাকালে, আমাকে কেউ স্পর্শ করলে সেটা আপনার সহ্য হয়না। অথচ আপনি… আপনি… কেমন সেটা সবাই জানে… আপনার কি মনে হয়না যে আপনি বউ হিসেবে যেমন মেয়েকে চান আপনারও তেমন করেই নিজেকে গড়ে তোলা উচিত । আপনি ১টা playboy… মেয়েবাজ । তাহলে কেন আমার বেলায় নিয়মটা উল্টা…
নীড় : তোমার কি বলা শেষ?
মেরিন : তাতে আপনার কিছুইনা…
নীড় : হামম।
নীড় দারিয়ে গেলো। এরপর টেবিল ক্লথ টেনে ফেলে দিলো। সব খাবার পরে গেলো।… মেরিন এর মানে কিছুই বুঝলোনা…
মেরিন : এতোগুলো খাবার ফেললেন কেন?
নীড় : কারন আমার অনেক টাকা আছে …
মেরিন : টাকার অহংকারে খাবার ফেললেন তো… এমন দিন না আসুক যেদিন আপনার টাকা আপনার কোনো কাজে আসবেনা…
বলেই মেরিন কাচভাঙা গুলো তুলতে লাগলো। ১টা কাচভাঙা মেরিনের হাতে ঢুকলো । মেরিন কোনো আওয়াজ করলোনা…
নীড় : কি করলা কি? দেখি দেখি দেখি… ইশ কতোখানি কেটে গিয়েছে…
নীড় মেরিনকে টেনে নিয়ে গেলো। হাতে ব্যান্ডেজ করতে করতে
বলল : তোমাকে ব্যাথা দেওয়ার অধিকারও কেবল আর কেবল আমার…. কতোটা ব্যাথা করছে বলো তো… তুমি কি আমার বাড়ির চাকরানী হবে যে এই সমস্ত কাজ করবে। stupid … আসো… হাটতে পারবা?
মেরিন : আমার হাত কেটেছে পা না…
.
কিছুদিনপর…
মেরিন : এই দোলা শোননা…
দোলা : বলনা…
মেরিন : তুই আমার দিকে এভাবে তাকাসনা প্লিজ…
দোলা : ৪ ৪টা বডিগার্ড নিয়ে ঘুরছিস… মনে হচ্ছে আমি কোনো celebrity এর সাাথে ঘুরছি…
মেরিন : কুছভি… চল yellow তে যাই…
দোলা : না না আবার রোড ক্রস কে করবে।
মেরিন : চলনা…
মেরিন টানতে টানতে দোলাকে নিয়ে যাচ্ছে।
দোলা : দারা তোকে দেখাচ্ছি…
বলেই দোলা রোড পার করে ফেলল।
দোলা : এবার আয়…
মেরিন : এই বাদর… আমাকে রেখে গেলি কেন? আমি তো পার হতে পারিনা…
দোলা : বেশ হয়েছে। আরো আন আমাকে জোর করে।
বডিগার্ড : ম্যাম আসুন আমি help করছি…
মেরিন : লাগবেনা। আমি পারবো। তেমন ১টা গাড়ি নেই এখন…
মেরিন ডানদিক বামদিক দেখে চোথ বন্ধ করে ১দৌড় মারলো।
দোলা : হাহাহা…
মেরিন : ওই ফকিন্নি একদম হাসবিনা বলে দিচ্ছি…
দোলা : হাসলে কি করবি?
মেরিন : তোকে punching bag বানাবো।
বলেই দোলার পিঠে কিল দিতে লাগলো।
দোলা : ছার এবার … আমার পিঠ শেষ হয়ে গেলো রে…
মেরিন : শয়তান…
দোলা : এই দারা আব্বা ফোন করেছে…
দোলা কথা বলতে গেলো…
২বান্ধবি মারামারি করতে করতে রোডের কিছুটা মাঝে চলে এসেছিলো। মেরিন হঠাৎ করে ধাক্কা অনুভব করলো। পরে গিয়ে কপাল কিছুটা কেটে গেলো। মেরিন উঠে দারালো। পিছে ঘুরলো।
নীলিমা : তুমি ঠিক আছো?
মেরিন : হ্যা…
নীলিমা : ইশ তোমার কপাল কেটে গিয়েছে। sorry … আসলে ১টা গাড়ি আসছিলো তুমি খেয়াল করোনি।
মেরিন : অনেক ধন্যবাদ আন্টি।
নীলিমা ছোট্ট ১টা স্যাভলন বের করলো।
নীলিমা : দেখি দেখি…
নীলিমা হাত বারাতে নিলো। তখন নীড় এসে নীলিমার হাত ধরে ফেলল। সরিয়ে দিলো নীলিমার হাত।
নীড় : আপনার সাহস অনেক বেরে গিয়েছে… আপনি আমার কলিজার দিকে হাত বারান… ধাক্কা মেরে ফেলে দেন… আপনার জন্য আমার snow white এর কপাল কেটে রক্ত বের হচ্ছে…
মেরিন : আন্টির জন্য accident হতে হতে বেচে গিয়েছি…
নীড় : তুমি চুপ করো। তুমি জানোনা এই মহিলা কতো খারাপ… বাজে মহিলা…
নীলিমা : বাবারে…
নীড় : just shut up… hello … commissioner …
….
নীড় : মিসেস নীলিমা রায়হান নামের একজন মহিলা আমার fiance কে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। প্লিজ do something ….
…
নীড় : thank you… come fast…
মেরিন : নীড় বোঝার চেষ্টা করুন… আপনি ভুল বুঝেছেন। অমন কিছুইনা…
নীড় : এই মহিলাকে আমি ছারা কেউই ভালো বুঝতে পারেনা….
মেরিন : নী…
নীড় : not a word… এখন এনাকে আমি attempt to murder এর দায়ে jail এ ঢোকাবো…
তখন পুলিশ এলো। নীলিমাকে arrest করলো।
পুলিশ : মিস্টার চৌধুরী… আপনাকে ১টা বার police station যেতে হবে…
নীড় : oh sure… আপনারা আগে বারুন আমি আসছি…
.
police station …
মেরিন : নীড় প্লিজ…
নীড় : অফিসার কোথায় signature করতে হবে… just tell me… বড় আনন্দে করবো…
নীড় কেবল signature করবে তখন জহির রায়হান এলো।
জহির : stop…
নীড় ঘাড় বাকা করে দেখলো….
মেরিন মনে মনে : এটা আবার কে? নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনকে stop বলে!!! এটার সাথেও দেখি সেনাবাহিনীর অভাব নেই…
নীড় : oh my my… মিস্টার রায়হান… whats up? হায় … impressive … what a connection …. একেই বলে ভালোবাসার টান… a big hand for মিস্টার & মিসেস রায়হান…
মেরিন মনে মনে : মিস্টার & মিসেস রায়হান…
নীড় : অফিসার প্লিজ মিসেস রায়হানকে নিয়ে আসুন… i insist …
জহির : অফিসার…. এই যে bail order…. নীলাকে ছেরে দিন…
অফিসার : sure… এখানে signature করুন…
জহির : sure…
নীড় : এতো এতো এতো ভালোবাসা কিভাবে আপনার মনে? you are my লাভগুরু… আপনাদের ২জনকে তো hot couple of the year award দেয়া উচিত …
জহির : দিন যাচ্ছে তুমি আরো বেয়াদব হচ্ছো…
নীড় : হাহাহা… বেয়াদবে phd করা ব্যাক্তিরা যদি আমাকে বেয়াদব বলে তবে কি মানায়? ন্যাহ… বেয়াদব কাকে বলে জানেন? যে অন্যের সংসার ভাঙে… বেয়াদব কাকে বলেন জানেন ? যে কিনা পরকীয়া করে… বেয়াদব কাকে বলেন জানেন ? যে অন্যের বউকে নিজের বউ বানায়… বেয়াদব কাকে বলেন জানেন? যে অন্যের বউয়ের স…
আর বলতে পারলোনা… নীলিমা এসে নীড়কে নিজের দিকে ঘুরিয়ে ঠাস করে থাপ্পর মারলো।
নীলিমা : তোমার মতো বাজে ছেলের মুখে এই কথা মানায়না… তোমার খবর আমি রাখিনা ভেবেছো? তোমার মতো অসভ্য ছেলের কোনো অধিকার নেই উনার মতো একজন ভালোমানুষকে এধরনের কথা বলার… বুঝেছো? চলুন …
নীলিমা আর জহির চলে গেলো। নীড় অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে তাদের যাওয়া দেখে নিজেও হনহন করে বেরিয়ে গেলো।
মেরিন : একি ? এটা কি হলো? আমাকে এখানে ফেলে চলে গেলো কেন? ধ্যাত…
⛈️⛈️⛈️
]
.
বর্তমান…
মেরিন হুরমুর করে উঠলো… দীপ্ত আর নিহাল ছুটে এলো।
নিহাল : ও বাবা… বাবারে…
মেরিন : কি হয়েছে উনার..?
দীপ্ত : মেরিন…
দীপ্তর মুখে নামটা শুনে নিহাল মেরিনের দিকে তাকালো। নিহালের ঠোটের কোনে হাসি ফুটলো। তখন পাইলট ছুটে এলো।
পাইলট : whats happen …? oh no… দেখি দেখি patient কে এখানে নিয়ে আসুন … আমি দেখি কোনো ডক্টর আছে কিনা…
দীপ্ত : not needed….
নীড়কে shift করা হলো। দীপ্ত নীড়ের check up করতে লাগলো। নিহালের মেরিনের কাছে গেলো। মেরিনের মাথায় হাত দিলো।
নিহাল : মমমামনি…
মেরিন : কককে আপনি?
কথাটা শুনে নিহাল একটু অবাক হলো।
নিহাল : আমাকে চিনতে পারছোনা মা…?
মেরিন : না…
নিহাল : আমি নিহাল আহমেদ চৌধুরী…
মেরিন : নিহাল আহমেদ চৌধুরী? sorry আমি আপনাকে চিনলামনা…
নিহাল : …
মেরিন : আচ্ছা ওই লোকটা কে? কি হয়েছে উনার? উনি চিৎকার করলো কেন?
নিহাল : আসলে …. ও mentally sick…
মেরিন : ওহ…. আচ্ছা উনার নাম কি?
নিহাল : নীড়…
মেরিন : নননীড়…. নীড়…
দীপ্ত : দুলাভাই… নীড়ের অবস্থা ভালোনা…. emergency landing করালে ভালো হবে… ।
নিহাল : হ্যা হ্যা দেখছি…
মেরিন ধীর পায়ে নীড়ের দিকে এগিয়ে গেলো। বুকে চিনচিন ব্যাথা অনুভব করছে… নীড়ের মুখটা দেখলো….
.
অতীত…
[
⛈️⛈️⛈️
রাতে…
নিহাল হন্তদন্ত হয়ে মেরিনদের বাসায় ঢুকলো।
কবির : আপনি এতোরাতে এখানে?
নিহাল : মেরিন মামনি কোথায়?
কবির : আপনারা বাবা-ছেলে আমার মেয়েকে কি পেয়েছেন বলুন তো…
নিহাল কবিরকে ঠেলে ভেতরে ঢুকলো।
নিহাল : মেরিন মামনি…. মেরিন মামনি…
নিহালের চিৎকার শুনে মেরিন ছুটে এলো।
মেরিন : uncle আপনি?
নিহাল : মামনি আমার সাথে চলো…. আমার ছেলেকে বাচাও…
কবির : ছেলেকে বাচাতে হলে ডক্টরের কাছে নিয়ে যান…
নিহাল : আমার ছেলের এই মুহুর্তে মেরিনের প্রয়োজন… প্লিজ বাধা দিবেন না। আপনার মেয়েকে আমি স্বসম্মানে দিয়ে যাবো… প্লিজ যেতে দিন… প্লিজ….
মেরিন গেলো। গিয়ে দেখলো…
.
চলবে…