সম্মোহন পর্ব ৫

0
495

পর্ব- পাঁচ

সুরাইয়া অতীত থেকে ফিরে আসে মীরার কন্ঠ শুনে। অন্তরার বন্ধু এসে দেখে গেছে। যে ঔষধ দিয়ে গেছে এটা খাবার পর ই জ্বর নেমে গেছে। মীরা পানি খেতে চাইছে। জ্বর কমার কথা শুনে অন্তরা ঘরে প্রবেশ করে। পরনে সবুজ রং এর জামদানী। কোথাও বেরুবে বোধহয়। অন্তরার বয়স সাতাশ বছর। তথাকথিত সুন্দরী বলতে যা বোঝায় অন্তরা তা নয়। বেটে, স্যামলা বরণ, ছোট ছোট চোখ, ভোঁতা নাক। সাতাশ বছর বয়স হলেও দেখে মনে হচ্ছে সাঁইত্রিশ। ভীষণ মেধাবী, সাহসী আর ব্যক্তিত্ববান মেয়ে হলেও অন্তরা দেখতে খুব সুন্দরী নয় বলে এত বছরে প্রেম আসেনি অন্তরার জীবনে। অথবা অন্তরা নিজের সৌন্দর্য্য নিয়ে কিঞ্চিত হীনমন্যতায় ভুগতো বলে সবকিছু এড়িয়ে গেছে।। সবুজ শাড়িতে অন্তরাকে আরো একটু বয়স্ক লাগছে। তবে বেশ পরিপাটি লাগছে। ঘরে ঢুকেই সুরাইয়াকে উদ্দেশ্য করে বলে:

-সুরাইয়া কী অবস্থা এখন মীরার?

-মনে হচ্ছে জ্বর নেমে গেছে।

-তাহলেই ভালো। তুমি কাঁদছো কেনো? মীরার জন্য নাকি জাবেদের জন্য!

সুরাইয়া কথা বলে না। মাথা নিচু করে চোখ মুছে। অন্তরা ঘরের পর্দা সড়াতে সড়াতে বলে:

-আলো দেখো সুরাইয়া। সৃষ্টিকর্তা জ্ঞান বুদ্ধি সব দিয়েছেন তোমাদের। তাহলে কেনো তোমরা বোকামী করো? যতদিন অন্ধকারে ছিলে ততদিন কেঁদেছো সেইটা ঠিক আছে। সব যখন চোখের সামনে তখন কার জন্য কাঁদছো?? একটা নোংরা মনের, মানসিক বিকারগ্রস্থ ছেলের জন্য?

সুরাইয়া এবার ও চুপ। মমতাজ এসে এক গ্লাস গ্লুকোজ মেশানো পানি আর এক গ্লাস সাদা পানি দিয়ে গেছে। মীরা গ্লুকোজটা খেয়ে নেয়। কপাল চেপে ধরে উঠে বসলো। মীরাকে উঠতে দেখে অন্তরা বলে:

-আমাকে চিনতে পেরেছো মীরা!

মীরা কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকে। মনে করার চেষ্টা করে কোথায় দেখেছে। কিন্তু মনে পড়ছে না। তবে মনে হচ্ছে দেখেছে মুখটা। অন্তরা বুঝতে পারলো মীরা ওকে চিনতে পারছে না।

-আমাকে তুমি সামনাসামনি দেখোনি কখনো। গতরাতে তোমার মেইলে একটা ছবি পাঠিয়েছিলাম। জাবেদের সাথে যে মহিলা ছিলো ঐটা আমি। মনে পড়েছে?

মীরা চমকে উঠলো অন্তরার কথা শুনে। কপাল কুঁচকে কৌতুহলী দৃষ্টিতে বলে:

-মেইল আর মেসেসগুলো তাহলে আপনি পাঠিয়েছিলেন?

-হ্যাঁ। তোমরা ঢাকা হতে রওনা দেবার পর থেকে চব্বিশ ঘন্টা নজর রেখেছি আমি। কাল থেকে যতগুলো আননন মেসেস পেয়েছো সব আমি পাঠিয়েছি।

-কিন্তু এভাবে কেনো?

-তোমার, আমার, সুরাইয়ার সহ আরো অনেক মেয়ের ভালোর জন্য!

-প্লিজ বুঝিয়ে বলুন।

মীরার চোখে মুখে কৌতুহল। চিন্তায় মুখ শুকিয়ে গেছে। টেবিলের উপর থেকে পানি নিয়ে ঢক ঢক করে খেয়ে নিলো। অন্তরা মীরার পাশে বসে মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো:

-সব বলার জন্যেই তো তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছি। তোমার ভালোর জন্যেই তো তোমার উপর সর্বক্ষন নজর রেখেছি। এখনো কি ভয় পাচ্ছো? এখনো তোমার মনে হচ্ছে আমি বা সুরাইয়া তোমার কোনো ক্ষতি করবো?

মীরা চুপ করে আছে। অন্তরা আবার বলে:

-ছোটবেলায় মা বাবাকে হারিয়ে মানুষ হয়েছি বড়লোক চাচার কাছে। চাচা নিঃসন্তান ছিলো আর তাই কার এক্সিডেন্টে যখন আমার নানু সহ মা বাবা মারা যান তিনি আমাকে নিজের সন্তান হিসেবে মানুষ করার দায়িত্ব নেন। তখন আমার ছয় বছর বয়স। ঢাকা থেকে চাচার সাথে কক্সবাজার চলে আসি। আমাকে এখানে স্কুলে ভর্তি করানো হলো। চাচা চাচী ভীষণ ভালোবাসতো আমাকে কিন্তু তবুও সর্বক্ষন মনে হতো উনাদের সাথে কেনো থাকবো আমি? আমার ঐ বয়সেই কেনো যেনো মনে হতো দয়া করছেন আমাকে উনারা। তার উপর এখানে আসার বছর দুই পরে ই আমার চাচীর ফুটফুটে ছেলে হয়। খুব স্বাভাবিক ভাবেই ছোট বাচ্চার প্রতি এটেনশন দিতে হতো বেশি। ব্যস আমি ভাবতে থাকলাম আমাকে আর ভালোবাসেননা উনারা। নিজে নিজে একটা দুরত্ব তৈরি করে ফেলি।

এই অবদি বলার পর মীরা অন্তরাকে থামিয়ে দেয়।বিনয়ী হয়ে বলে:

-আপা আমি দুঃখিত আপনার কথার মাঝে ইন্টারাপ্ট করলাম। আসলে আমি বুঝতে পারছিনা আপনি আমার প্রশ্নের উত্তরে আপনার লাইফের স্টোরি কেনো বলছেন?

অন্তরা মুচকি হাসে। তারপর বলে:

-কারণ এখানেই যে উত্তর লুকিয়ে আছে।

মীরা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। অন্তরা একটু থেমে আবার বলে:

-চাচা চাচী আর আমার মাঝে আমি যে মানসিক দুরত্ব তৈরি করেছিলাম ছোট বেলায় সেইটা বয়ে বেড়িয়েছি জীবনের ছাব্বিশটা বসন্ত। যাই হোক ঐভাবেই আমি বড় হচ্ছিলাম। একদিন দেখা হলো জাবেদ মাহমুদের সাথে..

মীরা আবার থামিয়ে দেয়।

-জাবেদ?

-হুম জাবেদ! তোমার জাবেদ। সুরাইয়ার মাহমুদ। সব একজন ই।

মীরা কিছু বলে না। অন্তরা আবার বলে:

-আমার এক ক্লাসমেটের কাছ থেকে নোট আনতে গিয়েছিলাম ও ছিলো তখন তার সঙ্গে। প্রথম দিন দেখেই জাবেদ আমার সেই বন্ধুকে বললো “বাহ তোমার বান্ধুবীর চোখ গুলো ভারী মিষ্টি তো!” আমি অবাক হয়ে জাবেদের দিকে তাকালাম। জানিনা কি হলো আমার। এই এত বছর ধরে আমার নিজের সৌন্দর্য্য নিয়ে আমি যে অসস্থিতে ভুগতাম সব কেমন যেনো কেটে গেলো। মনে হচ্ছিলো জাবেদের কথাতে এক ফোঁটা মিথ্যে নেই।

অন্তরার চোখে জল ছল ছল করছে। চোখ মুছে অন্তরা আবার বলে:

-সেদিন জাবেদ আমার ফোন নাম্বার নিয়ে যায়।
পরেরদিন দেখি ফেসবুকে মাহমুদ নামের এক আইডি থেকে রিকুয়েষ্ট। ওটা জাবেদ মাহমুদ সেইটা বুঝতে পারি। আমি যেহেতু নিজের চেহারা নিয়ে কনফিডেন্ট ছিলাম না তাই ফেসবুকে কোনো ছবি দিতাম না কখনো। তারপর জাবেদের সাথে টুকটাক কথা হতো। ও এত সুন্দর কথা বলতো!! ধীরে ধীরে ও আমার মধ্যে এটা পুস করে যে আমি সুন্দর। এবং আশ্চর্য্য আমি আসলেই নিজেকে সুন্দর ভাবছিলাম। আয়নাতে বারবার নিজেকে দেখতাম। আর ভাবতাম জাবেদ তো ঠিকি বলে। আমি তো সুন্দর ই। ওর কথাতে এতটাই সাহস পেলাম আমি ফেসবুকে ছবি দেয়া শুরু করলাম। এবং আমার মন সবসময় ভালো থাকতো। জাবেদকে আমি আমার লাইফের সব কথা শেয়ার করলাম। একদিন জাবেদ বললো সে আমার সব কষ্টের ভাগ নিতে চায়, আমার সাথে পথ চলতে চায়। আরো বললো সুন্দরী সে অনেক দেখেছে আমার মতো এমন সুন্দর নাকি ওর চোখে আর কাউকে লাগেনি। কি বোকা বনে গেলাম আমি! দুম করে বিশ্বাস করে ফেললাম। জাবেদের যে কাউকে নিজের বসে করে নেবার অদ্ভুত ক্ষমতা আছে এটা হয়তো তোমরাও জানো। ও কিছুই করতে বলে না তবু সব হয়ে যায়। এমন সিচুয়েশন ক্রিয়েট করা কেবল জাবেদের দ্বারা ই সম্ভব। কোনো জাদুবিদ্যা না অথচ কী অদ্ভত সম্মোহনী প্রভাব।

মীরা হা করে শুনছিলো সব। সুরাইয়া ও চুপ করে আছে। মীরার চোখ থেকে টপ টপ করে জল পড়ছে। ওরা দুজনেই ভাবছে আসলেই তো! অন্তরার কথা তো মিথ্যে নয়। জাবেদের মধ্যে একটা সম্মোহনী ব্যপার আছে। যে কারণে সুরাইয়া বারবার চলে এসেও ছেড়ে আসতে পারেনি।

সুরাইয়া মীরাকে বলে:

-মীরা অন্তরা আপা একদম ঠিক বলেছে। তুমি এখন যেমন অবাক হচ্ছো, বিশ্বাস করতে চাইছো না অন্তরা আপাকে। আমিও তেমন অবিশ্বাস করেছিলাম কারন আমার মনে হচ্ছিলো যে মানুষ আমার সব কষ্ট দুর করে দিতে পারে সে কি করে অন্য নারীর গন্ধ নিবে? তারপর আপা আমাকে দেখিয়েছে আমাকে ব্যস্ততার কথা বলে অন্তরা আপার ই ফেইক আইডিতে জাবেদ কিভাবে এডাল্ট কথা বলছিলো! এদিকে আমি একটু কথা বলার জন্য ছটফট করছি আর ওদিকে মাহমুদ; মানে জাবেদ আমার ভালোবাসার মিনতি দু পায়ে দলে ঐ অদেখা মানুষটার পায়ে পড়ে ভালোবাসা ভিক্ষে চাইছিলো। তবুও নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আসলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হবার ই কথা। কারণ জাবেদের ভালোবাসায় কোনো গ্যাপ ছিলো না। ভেবেছিলাম সবচাইতে ভালোবাসে ও আমাকে। কিন্তু সব ছিলো মিথ্যে। ও শুধু আমার শরীরের গন্ধ নিবে বলে আমার জন্য এত কিছু করেছে। সবচাইতে আশ্চর্য ব্যাপার হলো এখন জাবেদকে যে দোষ দিবো সেই পথ ও নেই। কারণ ও কোনোকিছুর জন্যেই জোর করেনি। এমন একটা অবস্থা তৈরি করেছে, এমন একটা জায়গা নিয়ে নিয়েছে যে জাবেদ ছাড়া কিছু তো ভাবা ই যায়না আর নিজের শেষ রক্তবিন্দু ও ওকে দিতে ইচ্ছে করে।

সুরাইয়া বলতে বলতে কেঁদে ফেলে। অন্তরা সুরাইয়ার মাথায় হাত রেখে বলে:

-তুমি তো ভালোবেসেছিলে ও বাসতে পারেনি সেইটা ওর ব্যর্থতা। মীরার সাথে যা হয়েছে তোমার সাথেও তাই আমার সাথেও। জানিনা আরো কত মেয়ের সাথে এমন হয়েছে। ও এরকম শত শত ফেইক আইডিতে এডাল্ট কথা বলে। সব কিরকম অশ্লীল! জানিনা কি পায়? সে আইডি যাচাই করার ও প্রয়োজন মনে করেনা।

মীরা কি বলবে বুঝতে পারেনা। প্রশ্ন করে:

-আচ্ছা যে মেয়েটির কথা জাবেদ আমাকে বলেছিলো যে জাবেদকে ছেড়ে গেছে সে কে তাহলে?

-তোমাদেরকে অনেক কষ্টে বের করতে পারলেও তাকে পারিনি। তবে তার কথা জাবেদ আমাকেও বলেছে। আর সুরাইয়াকেও বলেছে। এইটা ওর সিম্প্যাথি আদায় এর গল্প। তবে এই মেয়েটিও আছে নিশ্চয়।

-আপনাকে আর সুরাইয়াকেও কি জাবেদ বলেছিলো পরিবার মানবে না? আপনারাও বিয়ে করেছিলেন ওকে?

অন্তরা দীর্ঘশ্বাঃস ফেলে বলে:

-এটা খুব হাস্যকর প্রশ্ন। বোকা বোকা প্রশ্ন কিন্তু তোমার জায়গা থেকে এরকম প্রশ্ন করাটা অযৌক্তিক না। তবে জাবেদ সবার সাথে একটাই গল্প বলে সিম্প্যাথি অর্জন করলেও সবার সাথে বিছানায় যাবার কৌশল ওর এক না। আমার মতো মেয়েকে ঐ অবদি নেয়া অত সোজা ছিলো না। জাবেদ জানতো আমি আমার ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিবো না কখনো। তাই বারবার করে আমাকে বলতো ও আমার এই ব্যক্তিত্বকে বেশি ভালোবাসে। আর এই ব্যক্তিত্বটাই ও চায়। আসলে জাবেদ আমার জন্য এত এত এত বেশি এফোর্ট দিয়েছে আমি এর একশো ভাগের এক পাবো বলেও কখনো আশা করিনি।। ও আমার দৃষ্টিভঙ্গিই পাল্টে দিয়েছিলো।

অন্তরার মোবাইল বেজে উঠে। ফোন রিসিভ করার আগে সুরাইয়া আর মীরাকে রেডি হতে বলে বাইরে যাবার জন্য। ফোন ধরে একটা এড্রেস দিয়ে কাউকে আসতে বলে। মনে হচ্ছিলো যাদের আসতে বলেছে উনারা বয়স্ক কেউ। এরপর ওরা বের হয়ে যায়। গাড়িতে বসে অন্তরা আবার বলে:

-জানো ও আমার চাচা চাচীর সাথে আমার যে দুরত্ব ছিলো সেইটাও দুর করে দিয়েছিলো। ওর সাথে সম্পর্ক ব্রেকআপ হবার আগে আমি আমার চাচা চাচীর সাথে সম্পর্ক ঠিক করে ফেলি। উনাদেরকে মা বাবার মতো লাগতে থাকে। কি অদ্ভুত সম্মোহনী শক্তি জাবেদের ভালোবাসাতে ভাবতে পারো?

মীরা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে। সুরাইয়া মীরাকে ধরে বসে আছে ভাবলেশহীন ভাবে। মীরা বলে:

-আপনাদের ব্রেক আপ কেনো হলো?

-কোনো কারণ নেই। মিলছিলো না। জাবেদ অকারণে ঝগড়া বাধাতো। খুত ধরতো সব কাজে। মানে ও সবসময় ছোট করতো আমাকে। খুব ছোট খাটো বিষয় নিয়ে বিচ্ছিরি রকম ঝগড়া বাধাতো। এই সবুজ শাড়িটা দেখছো এইটার রং ভুল করেছে ও। আর দোষ দিয়েছিলো আমার। কেনো আমি চেক করে পার্সেল রিসিভ করলাম না? ওর এই সব আমার সহ্য হতো না তাই আমি আস্তে আস্তে গুটিয়ে নিয়েছি নিজেকে। কিন্তু ও আমাকে একবার ও ফেরাতে চায়নি। ও যেমন ভালোবাসতে বাধ্য করতে পারে ও ছেড়ে আসতেও বাধ্য করতে পারে। তুমি ভালোবাসার জন্যে ওকে দায়ী করার একশো কারণ দেখাতে পারলেও ছেড়ে আসার খুব যৌক্তিক কোনো কারণ ই দেখাতে পারবেনা।

মীরার হঠাৎ মনে পড়ে মীরার জন্মদিনে যে হলুদ শাড়িটা জাবেদ দিয়েছিলো সেইসময় এই সবুজ জামদানীটাই দেখিয়েছিলো। এবার মীরা বুঝতে পারে জাবেদ অন্তরার এড্রেস আর ওর এড্রেস একসাথে দিয়ে শাড়ি দুটো অর্ডার করেছিলো বলেই উলট পালট হয়েছে। হয়তো এটা জাবেদের ভুল আর না হয় অনলাইন শপটার। মীরা উদাস হয়ে বলে:

-তাই বলে আমি একটুও বুজতে পারলাম না? জাবেদ এভাবে এক সঙ্গে একাধিক মেয়ের সাথে… ছিঃ ছিঃ

অন্তরা বিদ্রুপের হাসি হেসে বলে:

-ছেড়ে যাবার আগ পর্যন্ত কেউ বুঝতে পারেনা। আমিও পারিনি। আমার মতো মেয়ে ওর অভিনয়ের কাছে ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে বিছানা অবদি চলে গেছি। আর তুমি তো একটা টিন এইজের বাচ্চা মেয়ে! তোমাদের বয়সী মেয়েদেরকে একটু ইমোশনাল কথা বললেই দুনিয়ার সব ভুলে যাও। আমিও ঐ বয়স পার করে এসেছি। আমি বুঝি এই বয়সের আবেগটা। দেখতে ভালো না তাই ভয়ে কাউকে পাত্তা দিইনি। কিন্তু কি যে করলো জাবেদ!!

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here