শ্রেয়সী পর্ব ২২

0
204

#শ্রেয়সী
#পর্ব_২২
#লেখনীতে_নাদিয়া_সিনহা

সময় গুলো বেশ দ্রুত পার হচ্ছিলো। আমার আর আরাবী প্রণয়ের পথচলা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি গভীরতা ভরপুর কোনো এক অজানা গন্তব্যে। সেদিনের পর আরাবী আর কখনও প্রশ্ন করেনি তাকে ভালোবাসি কি না তা। তবে পাগলামিটা বেড়ে গেছে দ্বিগুন। হুটহাট হলে চলে আসে দেখা করতে। কখনও মাঝ রাতের আঁধারে এসে চুপচাপ চোখের দেখা দেখি যায়। আবার কখনও আমার ক্লাসের বাইরে দাড়িয়ে আড়াল থেকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। না হয় লাইব্রেরিতে বসে মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকে তার প্রেয়সীর মুখশ্রী। আমি তার দিকে ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলে সে নিম্ন স্বরে উত্তর দেয়,
-“তুমি বই পোকা, আমি দর্শক।”

আরাবী এমন ছোট ছোট কথাগুলো আমার হৃৎপিণ্ড কাঁপিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। একদিন লাইব্রেরি থেকে ফিরতে প্রচন্ড বৃষ্টির মাঝে আঁটকে গেছিলাম। বর্ষণ কার না পছন্দ। আমারও প্রিয়! তাই ইচ্ছে করে বৃষ্টি বিলাসে মেতে উঠেছিলাম। একা দাঁড়িয়ে বৃষ্টি কমবার অপেক্ষা ছিলাম। আচমকা আরাবী পেছন থেকে এসে থেমে যাওয়া কন্ঠে বলে,
-“তুমি প্রকৃতি বিলাসি, আমি তোমাতে বিলাসি।”

তার কথার জবাবে আমি কেবল চুপ ছিলাম। লজ্জায় জড়সড় হয়ে দাঁড়িয়ে মাটির দিকেই তাকিয়ে ছিলাম। ছেলেটা আমাকে এত লজ্জায় ফেলতে পারে। হলে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত চুপ থেকেছি। ইচ্ছে করে নয় তবে কেন জানি গলা দিয়ে শব্দ বের হচ্ছিলো না। আরাবী আর আমার দিন গুলো এভাবে পার হচ্ছি। তবে ভালো সময়ের মাঝে খারাপ সময়টা অবশ্যই আসে। আমার এই সকল ভালো সময়েও খারাপ সময়টা এসেছে। আর সেই খারাপ সময়টার নাম ওয়ালিদ তাজওয়ার!
ওয়ালিদ প্রায় আমার সাথে দেখা করতে আসতো। যেটা আমার কিংবা আরাবী কারোই পছন্দ ছিলো না। তবুও সে এসে আমাকে বিব্রত করতো। ওয়ালিদের এখানে আসাটা আরাবীর একদম পছন্দ ছিলো না। এ নিয়ে সব সময় রাগ করে থাকতো। এমনকি আমার সাথেও কথা বলা বন্ধ করে দিতো।
ওয়ালিদ কে আমি যতই এরিয়ে চলতাম ততোই সে আমার কাছে চলে আসতো। সহ্যের সীমাও পার করে ফেলেছে। তাই আমি একদিন বলেই দিয়েছি,
-“এভাবে আমার সাথে দেখা করতে আসার মানে কী? আপনি কি আমার প্রেমিক পুরুষ নাকি পরিবারের কেউ? অন্তত একটা মানুষের লজ্জা থাকা উচিত এভাবে একা অবিবাহিত একটা মেয়ের সাথে দেখা করা কোনো ভদ্রতার মাঝে পরে না। এভাবে আর কখনও আমার সাথে দেখা করতে আসবেন না। নয়তো আমি অন্য কোনো পথ বেছে নিব। আর তা মোটেও আেনার জন্য সম্মানজনক হবে না।”

আমার কথায় ওয়ালিদ তীব্র অপমানবোধ করেছে তা তার মুখশ্রীতেই স্পষ্ট বোঝা গেছে। অক্ষিদ্বয় কেমন লাল রক্তবর্ণ ধারন করেছে। রক্তবর্ণ চোক্ষে তাকিয়ে আছে আমার পানে। তার এহেন চাহনিতে আমি কিছুটা ভয়ও পেয়েছি তাই দ্রুত চলে আসতে উদ্যত হতেই পেছন থেকে ওয়ালিদ শক্ত কন্ঠে বলে,
-“পুচকি মেয়ে তুমি তা ভুলে যেও না। কথা বলার আগে মেপে বলতে হয়। কাকে কি বলছি, বলার পর পরিনাম কি হবে তা অন্তত একবার ভাবতে হয়। আফসোস তুমি ভাবনি। তাই পরিনামও পাবে।”

ওয়ালিদের প্রতিটা কথায় কেমন অজানা ক্ষোভের আভাস অনুভব হয়েছে। কি করবে সে? আমার কোনো ক্ষতি করবে কি? নাকি আরাবীর? আমার মস্তিষ্কের এহেন চিন্তায় নিজেই নিজেকে বার কয়েক বকা দিয়ে সামলানোর চেষ্টা করি তবে লাভ বিশেষ হয়নি। হৃদয় গহিনে অজানা এক ভয় জেঁকে বসেছে।

হঠাৎ একদিন প্রচন্ড রেগে বাইক চালিয়ে কলেজে প্রবেশ করে আরাবী। আমি রোদ্দু, নুসু সবাই মাঠে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। আরাবী দ্রুত হেঁটে এসে আমার হাত ধরে টেনে দাঁড় কিয়ে বলে,
-“প্রশ্ন করব শুধু উত্তর চাই। এর বেশি কথা আমি শুনতে চাই না।”

আচমকা এহেন কান্ডে বেশ চমকে যাই। কোনো মতে মাথা নাড়িয়ে ‘হ্যাঁ’ সম্মতি দেই। আরাবী রাগান্বিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করে,
-“ঠকাচ্ছো আমায়?”

আমি মাথা নাড়িয়ে না বোঝাই। আরাবী আমার প্রশ্ন করে,
-“বাবার কথার দোহাই দিয়ে আমার থেকে দূরে চলে যাবে?

এবারও আমি মাথা নাড়িয়ে না বলি। আরাবী একবার চোখ বন্ধ করে আবার আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে,
-“কেনো? বাবার অমতে যেতে পারবে?”

-“না! আমি বাবাকে বোঝাব। না হয় রিকুয়েষ্ট করব আমি জানি আমার বাবা কখনও আমার ইচ্ছে বিরুদ্ধে যায়নি।”

-“তবুও যদি না মানে তখন?”

-“আমি জানি বাবা মানবে ওমন কিছুই হবে না।”

-“ওয়ালিদ যদি আবার আসে ওকে আমি খু’ন করব। মাইন্ড ইট।”

আমার হাত ঝারা দিয়ে ছেড়ে চলে যায়। আমি বোকার মতো তাকিয়ে আছি আরাবী যাওয়ার পানে। কি হয়ে গেলো বুঝতে পারিনি। তবে এইটুকু বেশ বুঝতে পারছি কিছু একটা হয়েছে যার দরুন আরাবী এতটা রেগে আছে। তবে তার রাগের উৎস আমি ঠিক বপর করতে পারিনি। আরাবী সেই বিষয় আমাকেই কিছুই বলেনি। জিজ্ঞেস করলেও এরিয়ে গেছে।

প্রায় এক বছর কেটে যায়। ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার থেকে সেকেন্ড ইয়ারে প্রমোশন হয়ে যায়। সেকেন্ড ইয়ারের সময় গুলোও দ্রুত পার পচ্ছিলো। পড়াশোনা, পরিক্ষা সব মিলিয়ে ব্যস্ত সময় পার হচ্ছিলো আমার। আরাবীর সাথেও তেমন দেখা হয় না। সেও তার পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত। এত ব্যস্ততার মাঝেও মাঝ রাতে দেখা করা বাদ দেয়নি। তার মাঝ রাত্রির আগমন আমার কেমন অভ্যসে পরিনত হয়েছিলো। রাত জেগে অপেক্ষায় বসে থাকতাম৷ প্রায় বেশ কয়েকদিন মাঝ রাতেও আরাবী দেখা করতে আসেনি। ফোনে অথবা মেসেজে খোঁজ খবর নিয়েছে। কারণটা আমার পরিক্ষা। তাই দেখা করাটা আরাবী যুক্তিযুক্ত বলে বোধ করে না৷
একদিন সকাল বেলায় হঠাৎ ফোন করে বলে দেখা করতে৷ আমিও অমত করিনি। তার কথা মতো দ্রুত রেডি হয়ে বেরিয়ে পরি।

নিস্তব্ধ পুকুর পারে দু-পা মুড়ে বসে আছি। মাথার উপর বিস্তর আকাশ থেকে টুপটাপ করে একটা দুটো শিউলি ফুলের বৃষ্টি ঝরছে। মাটির দিকে তাকিয়ে থাকার দরুন মনে হচ্ছে ফুল গুলো আকাশ থেকে বৃষ্টি হয়ে ঝরছে।
হঠাৎ অনুভব করি তার পাশে ধাম করে কিছু পরার। চোখ তুলে পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি আরাবী। আমার দিকে তাকিয়ে দাঁত বের করে হাসছে। কিছুক্ষণ নিরব থেকে আচমকা আরাবী প্রশ্ন করে,

-“বিয়ে করবে কবে আমায়?”

আমি তাত্ক্ষণিক উত্তর দেয়,
-“কখনও না।”

ভ্রুদ্বয় কুঁচকে যায় আরাবীর,
-“কেনো?”

-“আপনার মাথায় দুইটা ঘূর্ণিঝড় আছে। যা জলোচ্ছ্বাস হয়ে আমার জীবন ভেঙে দিবে।”

-“তোমার মাথায় নেই?”

-“না নেই।”

-“তুমি জানো কি করে নেই? চলো আমার সাথে।”

-“কোথায়?”

-“সেলুনে।”

-“কেনো?”

-“চুল কাটতে।”

-“নাআআআ যাব না আমি।”

-“যেতে হবে। চলো।”

হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে আমাকে। আমি বার বার তার হাতে টেনেটুনে ছাড়ানোর চেষ্টা করছি। হাঁটতে হাঁটতে পেছনে ফিরে আমার পানে তাকিয়ে আরাবী বলে,
-“হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে লাভ নেই। জানো না? যখন কেউ একবার কারো হাত ধরে তখন ছাড়ে না আমৃত্যু পর্যন্ত।”

বলতে বলতেই কারো সাথে ধাক্কা লাগে আরাবী। দুপা পিছিয়ে দাড়িয়ে পরে। আমি আরাবী দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে সম্মুখে থাকা ব্যক্তির পানে তাকাতেই চমকে উঠি। সর্বাঙ্গ কেমন ভারসাম্যহীন অনুভব হচ্ছে৷ বোধ হয় এখনই ঢলে পরব। আমার ঠিক সম্মুখে স্থীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে দাদাভাই। দাদাভাই কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আরাবী বলে,
-“স্যরি! দেখিনি আপনাকে তাই ধাক্কা লেগে গেছে।”

দাদাভাই আমার দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে আরাবী পানে নিক্ষেপ করে বলে,
-“রাস্তা ঘাটে ভদ্র পরিবারের মেয়েদের হাত ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া কোন ধরনের ভদ্রতা।”

-“এক্সকিউজ মি! আপনি ভুল ভাবছেন। আর না জেনে কথা বলা ঠিক নয়।”

-“জেনেই বলছি। সাহস হয় কি করে ওর হাত ধরার?”

-“দেখুন আপনি কিন্তু লিমিট ক্রস করে যাচ্ছেন। আপনি কে বলার?

দাদাভাই একবার আমার দিকে তাকিয়ে আরাবী ধরে রাখা হাতে দিকে তাকায়। ভয়ংকর রকমের ভয়ে আমার হাত-পা কাপছে। কপাল বেয়ে বিন্দুবিন্দু ঘাম চুয়িয়ে চুয়িয়ে পরছে। দাদাভাই আরাবী দিকে তাকিয়ে বলে,
-“হাতটা ছেড়ে দে। না হয় খারাপ হয়ে যাবে৷”

-“ভদ্র ভাবে কথা বলুন……….”

আরাবী কে পুরো বাক্য বলতে না দিয়ে আমি বলি,
-“দাদাভাই প্লিজ।”

আরাবী আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকায়। দাদাভাই আরাবী কে বলে,
-“এখনও কি ভদ্রতা বজায় রাখতে হবে? হাতটা ছেড়ে দে। সাহস কোথায় পেলাম তার উত্তর এতক্ষণে নিশ্চয়ই পেয়ে গেছিস।”

হাত ছাড়ার কোনো ভাবান্তর দেখা গেলো না আরাবীর মাঝে৷ আমি টলমল দৃষ্টিতে ইশারায় ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলি। তবুও তাতে তার ভ্রুক্ষেপ নেই। আরাবী দাদাভাইয়ের পানে তাকিয়ে বলে,
-“হাত ধরে ছেড়ে দেওয়ার মতো ছেলে আরাবী নয়। তাই ছাড়ছি না এবং ছাড়বও না।”

দাদাভাইয়ের রাগ এবার বেরিয়ে আসে৷ তড়াক গতিতে এগিয়ে এসে আমার হাত আরাবীর হাত থেকে ছাড়িয়ে নেয়। আর এক মুহূর্ত সময় ব্যয় না করে আমাকে নিয়ে হাঁটতে শুরু করে। আমি পিছন ফিরে আরাবীর পানে তাকাই সে চোখের ইশারায় কিছু একটা বোঝায় যা আমি বুঝতে পারিনি। দাদাভাই আমাকে বাড়ি নিয়ে যায়। বাড়িতে ঢুকতেই আমি থমকে যাই। মা-বাবা সবাই গম্ভীর হয়ে বসে আছে। মা ঘৃন্য দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আমার পানে। তবে এই দৃষ্টির অর্থ আমার অজানা। দাদাভাই ড্রয়িংরুমে এসে সবার উদ্দেশ্য বলে,
-“শ্রেয়সীর সঙ্গে আমি একান্তে কথা বলতে চাই। আসা করি কেউ বিরক্ত করবে না।”

দাদাভাই আমার হাত ধরে উপরে দাদাভাইয়ের ঘরে নিয়ে আসে। বিছানায় বসিয়ে এক গ্লাস পানি এগিয়ে দেয়। আমার চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝরছে। ভয়ে গলা শুকিয়ে চৌচির। আমি দাদাভাইয়ের হাত থেকে পানি নিয়ে এক নিশ্বাসেপান করি। দাদাভাই আমার হাত থেকে গ্লাসটা নিয়ে যথা স্থানে রেখে দেয়। এগিয়ে এসে আমার সম্মুখে হাঁটু গেরে বসে সযত্নে দুহাতে আমার ছোট মুখশ্রী তার বলিষ্ঠ হাতের বন্ধনে আবদ্ধ করে আদুরে কন্ঠে বলে,
-“বাচ্চা! তুই আমার ছোট্ট শ্রেয়ু তাই না? দাদাভাই কে কখনও মিথ্যা বলতেই পারিস না৷ আমি জানি আমার শ্রেয়ু মিথ্যা বলে না। সত্যি বলবি তো?”

দাদাভাইয়ের করা প্রশ্নে আমি ‘হ্যাঁ’, ‘না’ কোনো উত্তর দেই না। কিয়ৎক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে আবার বলে,
-“সত্যি করে বল ছেলেটা কে?”

-“আ…আ..আরাবী।”

-“সম্পর্কে তোর কি হয়?”

এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। এবারও আমি চুপ করে বসে আছি৷ দাদাভাই আরও কয়েকবার একই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে। আমি মনে মনে খানিক সাহস সঞ্চয় করে উত্তর দেই,

-“নেই সম্পর্ক।”

-“তাহলে তোর হাত কেনো ধরে রেখেছিলো?”

এবারও আমি চুপ করে আছি। অবশ্য বলার মতো কিছুই নেই। এ সমাজে প্রণয়ের সম্পর্ক কেবল বৈবাহিক সম্পর্কের পরই সম্পর্ক নাম দেওয়া যায়। তার আগে তা কোনো সম্পর্কের মাঝে গণ্য হয় না। আমার আর আরাবীর বেলায়ও তাই৷ আমার কাছে উত্তর নেই বিধায় চুপ করে থাকাই শ্রেয়। আমার নীরবতায় দাদাভাই রেগে গর্জন দিয়ে বলে,
-“কি হলো বল? কেনো ধরে রেখে ছিলো তোর হাত?”

দাদাভাইয়ের গর্জনে ভয় পেয়ে বলি,
-“তাকে ভালোবাসি।”

কথা শেষ করতে না করতেই দাদাভাই সজোড়ে কষিয়ে চ’ড় বসিয়ে দেয় আমার গালে। আমি স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি। দরজার পাশ থেকে ভাবি দৌড়ে এসে এক হাত দিয়ে আমাকে আগলে নেয়। ভাবির কোলে তাওফ কান্না করছে। ভাবি দাদাভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলে,
-“বাচ্চা মেয়ের গায়ে হাত তোলার সাহস হয় কি করে? হাত কাঁপলো না?”

দাদাভাই কিছু না বলে আমার দিকে তাকিয়ে বেরিয়ে যায় ঘর থেকে। আমি ভাবিকে জড়িয়ে ধরে শব্দ করে কেঁদে দেই। এই প্রথম দাদাভাই আমার গায়ে হাত তুলেছে। বক্ষস্থলে চাপ দিয়ে উঠছে। শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। দাদাভাই আমার গায়ে হাত তুলেছে তা নিয়ে কষ্ট হচ্ছে না তবে ভুল বুঝেছে এটা আমি মানতে পারছি না।

~চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here