শেষ বিকেলের প্রণয় পর্ব ১৩

0
631
Made with LogoLicious Add Your Logo App

#শেষ_বিকেলের_প্রণয়
#আলো_ইসলাম
১৩

— ছায়ার কথা বলাতে তাশরিফ রেগে যায় ভীষণ। আসিফের কলার চেপে ধরাতে আসিফ মুচকি হেসে তাশরিফের হাতের দিকে তাকায়।
– তোর ওই নোংরা মুখ দিয়ে ছায়ার নাম নিলে তোর জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলবো আমি। আসিফ শব্দ করে হাসে তাশরিফের কথায়।

– হাত’টা নামিয়ে নে। কেনো শুধু শুধু উত্তেজিত হচ্ছিস তুই! আরে আমি তো ভালোবেসে ফেলেছি ছায়াকে। প্রথম দেখায় আমার হৃদয় হরণ করেছে। আর করবে না কেন বল? এত কিউট দেখতে একটা মেয়ে। তুই আমাকে কোনো দিন বলিসই নি তোর বাড়িতে এমন একটা ফুল ঘুরে বেড়ায়। তুই কি একাই সে ফুলের ঘ্রাণ নিতে চাস নাকি হুম।

– আসিফ! তাশরিফ মারার জন্য হাত উঠায়।

– ভুলেও এই কাজটা করতে যেওনা বন্ধু। তুই নিশ্চয়ই ইমরানের কথা ভুলে যাসনি। ইমরানের কথা বলাতে দমে যায় তাশরিফ। অসহায়ত্ব প্রকাশ পাই তার চোখ মুখে। নিজেকে সামলানোর চেষ্টা। আসিফ আবারও হাসে।

– সব হাওয়া ফুস! তুইও না তাশরিফ মাঝে মাঝে যেনো সব ভুলে যাস। যেমন এই কয়দিনে সব ভুলে গিয়ে আবারও নতুন জীবন শুরু করার চিন্তাভাবনা করছিস। আমার কথা তোর মনেই নেই। তাই তো আজ আসলাম তোকে আবারও তোর জায়গা দেখায় দেওয়ার জন্য। বাই দ্যা ওয়ে! তুই কি আবারও গান গাওয়ার চিন্তা করছিস? ভ্রু কুচকে বলে আসিফ।

– না আমি নতুন জীবন শুরু করার কথা ভাবছি আর না গান৷ তাশরিফ দাঁতে দাঁত চেপে জবাব দেয়।

– তাহলে গিটার?
– আমি জানি না৷ মা হয়তো ভেবেছিলো আমি আজ গান করবো। তাছাড়া আমি তো বাসায় ছিলাম না তুই জানিস। খুব স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা তাশরিফের।

— হুম জানি বাসায় ছিলিস না৷ কোথায় গিয়েছিলি এটাও জানি! গা ছাড়া ভাব নিয়ে বলে আসিফ। এইদিকে তাশরিফ আতংকিত চোখে তাকায়।

– তোর কি মনে হয় বল তো! তুই খুঁজলেই ইমরানকে পেয়ে যাবি? এতই সহজ? যদি তাই হতো তাহলে তো তিন বছর আগেই পেয়ে যেতিস ওকে। তখন তোর নাম-ডাকও ছিলো, পাওয়ার জশ সব কিছুই ছিলো। তখনই যখন পারিসনি এখন কেনো বৃথা চেষ্টা করিস। আমি আগেই জেনে গিয়েছিলাম তুই ইমরানের খোঁজ পেয়ে লোক লাগিয়েছিস৷ তাই আমিও ওকে কায়দা করে আরেক জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছি। তোর ফাসির রায় না হওয়া পর্যন্ত এমনই চলবে। ইমরানকে তুই কখনোই পাবি না।

— আমি তো তোর সব কথা মেনে নিয়েছি, সব দোষ নিজের করে নিয়েছি৷ তাহলে কেনো এমন করছিস? কেনো ইমরানকে ছাড়ছিস না৷ আমি তো বলছি আমি আমার সিদ্ধান্ত থেকে এক চুল পরিমাণ সরবো না। তুই ইমরানকে ফিরিয়ে দে আসিফ প্লিজ। অনুনয় করে বলে তাশরিফ।

– উচ্চস্বরে হাসে আসিফ। তাশরিফ বিস্ময় নিয়ে তাকায়।
– কি করুণ অবস্থা তাশরিফ খানের। আমার না সত্যি করুণা হয় তোকে দেখে কিন্তু কি করবো বল৷ আমি আবার সহজে কাউকে বিশ্বাস করতে পারিনা। তাই আমার কাজ না হওয়া পর্যন্ত ইমরান আমার কাছেই থাকবে৷ ও ভালো আছে বিশ্বাস কর৷ বেশ আয়েশে আছে। যদিও মাঝে মাঝে আপু আপু করে। কখনো তোকে খুঁজে তো কখনো খালা নাকি যেনো,হাউএভার, তবে ভালো আছে। তাশরিফ একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।

— আমার ফাসির রায় হওয়ার পর যে ইমরানকে ছেড়ে দিবি তার কি গ্যারান্টি আছে? তাশরিফের কথায় আসিফ হেসে বলে আমি হারামি আছি তাই বলে এতটাও খারাপ ভাবিস না। আর আমাকে বিশ্বাস করা ছাড়া তোর কাছে কোনো অপশনও নেই৷ তাই আমাকে বিশ্বাস কর ঠকবি না। তোর শুনানির দিনই ইমরানকে আদালতে দেখতে পাবি৷ কারণ ইমরানের সাক্ষীও যে লাগবে সেখানে। আগের বার যে সবাই ইমরানের খোঁজ করেছে সেটা আমি জানি। নেক্সট টাইম তাকে কোর্টে হাজির করতে বলেছে। তা নাহলে যে তোর রায় হবে না৷ তাই ইমরান আসবে সেদিন তোর বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে। তবে হ্যাঁ! কোনো রকম চালাকি করার চেষ্টা করলে সেখানেই ইমরানের লা/শ পড়ে যাবে। সে ব্যবস্থা করেই পাঠানো হবে ইমরানকে।

— তাশরিফের নিজেকে বড় অসহায় লাগছে এই মুহুর্তে। কিছু করার নেই৷ জীবন তাকে নিয়ে অনেক আগেই নিষ্ঠুর খেলায় নেমেছে।

– এবার আসল কথায় আসা যাক! আসিফের কথায় তাশরিফ কৌতুহলী হয়ে বলে আসল কথা?
– ছায়াকে আমার ভালো লেগেছে। ওকে আমার চাই৷ আর কিভাবে পাবো সেটা তুই জানিস৷ আই মিন ওকে পেতে যা যা করা লাগবে তুই করবি সব৷ এনি হাউ ছায়াকে আমার চাই। অনেকদিন তো হলো সিঙ্গেল থাকা৷ এবার বিয়েটা করা দরকার কি বলিস?

তাশরিফের হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে আসে রাগে৷ কিন্তু কিছু করতে পারবে না সে। হাত-পা যে বাধা তার।

– তুই কেনো ছায়াকে জড়াচ্ছিস এসবের মধ্যে। দেখ আসিফ তুই যা ইচ্ছে আমার সাথে কর৷ প্লিজ এর মধ্যে আর কাউকে টানিস না। ছায়া ছোট এখনো। তাছাড়া ও খুব ভালো মেয়ে৷ তুই ওর জীবন টা নষ্ট করিস না৷ আমি তোর বন্ধু হয়ে হাত জোড় করছি আসিফ প্লিজ।

– তোর কেনো মনে হচ্ছে যে ছায়ার জীবন নষ্ট করবো আমি। বললাম না ওকে ভালোবেসে ফেলেছি৷ বিয়ে করতে চাই৷ খুব ভালো রাখবো বিশ্বাস কর৷ কিন্তু তুই যদি আমার কথা না শুনিস তাহলে.. শয়তানি হাসি দেয় আসিফ

– একটা মানুষকে ধরে কতজনের ক্ষতি করবি তুই? আমার জীবন শেষ করে দিয়েছিস, ইলহামকে.. তাশরিফের দম বন্ধ হয়ে আসে কথাটা বলতে৷ চোখ ভরে পানি। তাশরিফ নিজেকে সামলে নিয়ে বলে এখন আবার ছায়ার পেছনে কেনো পড়ছিস? তুই ছায়ার থেকে অনেক ভালো আর সুন্দরী মেয়ে পাবি৷ প্লিজ ছায়ার কথা ভুলে যা।

– আমার তো ছায়াকেই লাগবে। তার ব্যবস্থা কর দ্যাটস এনাফ। যদি আমার কথার বাইরে যাস তাহলে ইমরানের এক হাত তোর কাছে গিফট হিসেবে পাঠিয়ে দেবো। তাশরিফ কি করবে কি বলবে বুঝতে পারছে না। আমি আজ আসি, আর একটা কথা,, নেক্সট টাইম আমার ফোন ইগ্নোর করার সাহস দেখাসনা। তাহলে ফল ভালো হবে না৷ যত আনন্দ,যত তামাশা করে নে কয়দিন। এরপর.. আসিফ উপরে ইশারা করে দেখিয়ে হাসতে হাসতে বেরিয়ে যায়।

– আসিফ যাওয়ার মিনিট পাঁচের মধ্যে তাশরিফের ঘরে থেকে ভাঙচুরের শব্দ শোনা যায়। সবাই ভয় পেয়ে যায় তাতে, সাথে অনেকটা অবাক হয়। ছুটি, ছায়া, রোহান, আবির ছুটে আসে তাশরিফের ঘরে।মমতা খান আতংকিত চেহারায় সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে।

— তাশরিফ কি হচ্ছে এইসব! কেনো পাগলামো করছিস? আবির বলে তাশরিফ কে ধরে।
— সব তছনছ করে দেবো আমি। কিছু ভালো লাগছে না আমার। আমি একা থাকতে চাই। কাউকে চাইনা আমার। উন্মাদের মতো করে তাশরিফ। ছায়া ভয়ে গুটিয়ে যায়। ছুটি অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে। তাশরিফকে দেখে তারও ভয় করছে। রোহান তো স্তম্ভিত হয়ে গেছে।

— কি হয়েছে তোমার তাশরিফ ভাইয়া? সবই তো ঠিক ছিলো তাহলে হঠাৎ কি এমন.. ছুটি কথাটা শেষ করার আগেই তাশরিফ তেড়ে যায় ছুটির দিকে। ছুটির দুই হাত চেপে ধরে দেয়ালে ঠেসে ধরে। সবাই তো ঘাবড়ে যায়। ছায়া ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে। এদিকে ছুটির অবস্থা বেহাল। হৃদস্পন্দন দ্রুত ওঠানামা করছে।

– আমি বলেছিলাম কেউ এসো না আমার জীবনে। কাউকে চাইনা আমার! আমি একা আছি একাই থাকবো৷ কেনো এলে তোমরা? কেনো শুনলে না আমার কথা? কি করবো এখন আমি? কিভাবে বাঁচাবো ছায়াকে? শকুনের নজর পড়েছে ওর উপর! তাশরিফ চিৎকার করে বলে কথাগুলো। কিন্তু ছায়ার নাম শুনে সবাই কৌতুহলী হয়ে উঠে। ভীষণ আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে থাকে। ছায়া কোথায় থেকে আসছে এখানে, সবার মনে প্রশ্ন।

– ছায়াকে বাঁচাবে মানে? কার থেকে বাঁচাবে, কি বলছো তুমি? ছুটি বলে সব ভয় দূরে রেখে নিজেকে শক্ত করে।
– তাশরিফ হুসে আসে। কি বলে ফেলেছে ভেবেই বিরক্ত হয় নিজের উপর। ছেড়ে দেয় ছুটিকে। এক হাতে চুল টেনে উপরে তাকিয়ে জোরে জোরে নিশ্বাস ফুঁকে স্বাভাবিক হতে চাই।

– কি হয়েছে তাশরিফ? আবির বলে আবারও।

– আবির প্লিজ সবাইকে নিয়ে যা এখন৷ আমি একা থাকতে চাই একটু। তোরা কেউ আর ডিস্টার্ব করবি না আমাকে। আর ছুটিকে বল ওর নিজের বাড়িতে যেতে। ছায়া, ছুটি কেউ যেনো এখানে না আসে। হঠাৎ এতো কঠোর কেনো হচ্ছে ওদের প্রতি বুঝতে পারছে না কেউ।

— কি হয়েছে বলবি তো? আসিফ আসার পর থেকে তুই…. শাট আপ আবির। তোকে যেতে বলেছি আমি। এক কথা কতবার বললে শুনবি তোরা। আচ্ছা তোরা থাক আমি বেরিয়ে যাচ্ছি বাসা থেকে! তাশরিফ চলে যাবে তখন ছুটি বলে তোমাকে কোথাও যেতে হবে না৷ আমরাই চলে যাচ্ছি। তবে হ্যাঁ, তোমার ঘর থেকে যাচ্ছি শুধু এই বাড়ি ছেড়ে নয়। সব সত্য না জানা পর্যন্ত আমি কোথাও যাবো না৷ আমি এসেছি নিজের ইচ্ছেতে আর যাবো নিজ ইচ্ছাতেই। ছুটি বেরিয়ে যায় কথাটা বলে। একে একে সবাই বেরিয়ে গেলে তাশরিফ মেঝেতে বসে খাটের সাথে হেলান দেয়। কিছু ভালো লাগছে না তার। ছায়াকে কিভাবে বাঁচাবে ভেবে পাচ্ছে না।

– ব্রো হঠাৎ রেগে গেলো কেনো বুঝলাম না। সব তো নরমাল ছিলো একটু আগে পর্যন্ত। রোহান বলে আপসেট হয়ে।
– আমার তো সন্দেহ ওই আসিফকে নিয়ে। ওর মধ্যে নিশ্চয় রহস্য আছে কোনো! আমার তো একদম ভালো লাগেনি বেডাকে। ছুটির কথায় রোহান ভ্রু কুচকে বলে এটা কেমন ভাষা?

খাঁটি বাংলা ভাষা রোহান ভাইয়া৷ আপনি বুঝবেন না৷ আপাই যখন রেগে যায় তখন এমন দুই একটা বাংলা ভাষা বলে। ছায়ার কথায় আবির ধমক দিয়ে বলে তুই চুপ থাক৷ সব সময় বেশি বকা। আচ্ছা ছুটি, তাশরিফ কিন্তু ছায়ার কথা বলছিলো৷ ওকে বাঁচাতে পারবে না কি যেনো৷ এই কথা কেনো বললো ও? আবিরের ভীষণ কোতুহল।

– সেটা তো আমিও বুঝতে পারছি না৷ আমি আপনাকে একটা কাগজের ব্যাপারে বলেছিলাম মনে উকিল সাহেব? ছুটির কথায় রোহান বলে ওই যে ব্রোর ঘরে যেটা দেখেছিলে তুমি?

– হ্যাঁ! আমার বিশ্বাস ওই কাগজে কিছু একটা আছে৷ কাগজটা পেলে আমরা আরও একধাপ এগিয়ে যাবো সামনে। কিন্তু উনি তো কাগজটা আলমারিতে লক করে রেখেছেন। কিভাবে পাবো বুঝছি না৷ ভাবান্তর হয়ে বলে ছুটি।

– তোমাকে একটা কথা জানিয়ে রাখি ছুটি, তাশরিফ কিন্তু আসিফকে একদম পছন্দ করে না। এটা আসিফও জানে। ইলহামের সাথে বিয়ে হওয়ার পরেই আসিফের সাথে তাশরিফের ঝামেলা হয় কিছু একটা নিয়ে। এরপর থেকে দুজন আলাদা হয়ে যায়। আমি তো সব সময় ওদের সাথে থাকতাম সব বুঝতে পারি৷ যদিও তাশরিফ কিছু বলেনি আমাকে আলাদা করে আর আমিও জানতে চাইনি। আবিরের কথায় সবাই গভীর ভাবনায় ডুব দেয়।

– এই আসিফের মধ্যে গোলমাল আছে কোনো। কি রহস্য আছে সেটাই বের করতে হবে আমাদের ছুটি বলে ভ্রু উঁচিয়ে।
-আইডিয়া! রোহান বলে উত্তেজিত কন্ঠে। সবাই কপাল কুচকে তাকায়।

– ওই কাগজটা পাওয়ার একটা আইডিয়া পেয়েছি আমি৷ যদিও জানি না কাজে দেবে কি-না। তবে ট্রাই তো করতে পারি আমরা।
– কি আইডিয়া পেয়েছেন শুনি? ছুটির কথায় রোহান বেশ হাসি মুখে বলতে থাকে৷ সব শোনার পর সবার মধ্যে যতটা আগ্রহ হয়েছিলো ততটাই নিরাশ হয়।

– এই নাকি আপনি উকিল! কি উদ্ভট চিন্তা রে বাবা। ছুটির কথায় ছায়া আর আবির মুচকি হাসে৷ রোহান মুখটা বাংলার পাঁচের ন্যায় করে রাখে।

– এইভাবে হবে না৷ অন্য কিছু ভাবতে হবে৷ আবিরের কথা শেষ হতেই রোহান বলে আমার কথার দাম দিলে না তো। ওকে ফাইন! আমি কাজটা করে দেখাবো ইটস মাই চ্যালেঞ্জ।

– ওকে! ক্যারি অন ছুটি বলে হেয়ালি নিয়ে।

— কাটে আরও একদিন। তাশরিফ ঘর থেকে বের হয়নি তারপর থেকে। খাবার দিতে গেলে ফিরিয়ে দেয় আবার নিচে সবার সাথে খাওয়ার জন্য ডাকলে বারণ করে দেয়। যতটা আশাবাদী হয়েছিলো সবাই তাশরিফ কে নিয়ে ঠিক তার বেশি হতাশ হয় আবার।

– তাশরিফ সকাল সকাল শাওয়ার নিয়ে রেডি হয়। আজ বাইরে যাবে সে। এইভাবে ঘর বন্দি হয়ে বসে থেকে কোনো লাভ হবে না আর না সমাধান আসবে। তাশরিফ আলমারি খুলে শার্ট বের করে তখনই রোহান আসে হন্তদন্ত হয়ে।

– ব্রো সাপ! হঠাৎ রোহানের এমন কথায় হকচকিয়ে উঠে তাশরিফ।

চলবে..

❌কপি করা নিষেধ ❌ভুলক্রুটি মাফ করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here