শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প)
Part….9
#Maishara_Jahan
আহান,,,,,,,,ওর কথা জানি না, তবে তুই কিছু একটা খেয়ে নিয়েছিস, সোজা হয়ে দাঁড়া।
রিমান,,,,,,,,, আমি সোজায় আছি, এই ফ্লোর নড়ছে, মনে হয় কোনো ডান্সিং ফ্লোর এনেছে।
আহান,,,,,,,,,,,,, হোয়াট।
রিমান,,,,,,,,,,, এই আহান আমার কেমন কেমন জানি লাগছে, (বড় করে হাসি দিয়ে)
আহান,,,,,,,,,,কেমন লাগছে।
রিমান,,,,,,,, জানি না।
দিয়া,,,,,,,,,রিমান ভাইয়া নেশা জাতীয় কিছু খেয়েছে নাকি৷
রিমান,,,,,,, ছিঃ আমি এসব কিছু খাই না।
রুহি আসে সেখানে, এসে রিমানকে ধরে বলে,,,,,,,,তুমি এভাবে ডুলছো কেনো।
রিমান,,,,,,,, আরেহহ পাগলী আমি ঢুলছি না।
পেটি,,,,,,,,, ওহহ আহান আমি তোমাকে কতো জায়গায় খুঁজেছি আর তুমি এখানে চলো চলো আমার সাথে ডেডের সাথে কথা বলবে।
আহান কিছু বলার আগেই পেটি আহানকে টেনে নিয়ে যায়। দিয়া রাগে দাঁড়িয়ে থাকে।
রিমান,,,,,,,, দিয়া কিছু করো না হলে, পেটি আহানকে নিয়ে ফুড়রর হয়ে যাবে। (জোরে জোরে হাসতে হাসতে)
রুহি,,,,,,, সুসস এটা কোনো হাসার কথা হলো।
আহান জোর করে হাসছে, পেটি আর তার বাবা অনেক হেঁসে হেঁসে বার বার বিয়ের কথা বলছে। যেগুলো দেখে দিয়ার অনেক রাগ হচ্ছে।
ইয়াস,,,,,,,,হাই দিয়া।
দিয়া,,,,,,,, আপনি এখানে।
ইয়াস,,,,,,,, তুমি যেখানে আমি সেখানে।
রিমান,,,,,,,, দিয়া এর কথায় যেয়ো না, ওর চেহেরায় বাটপার লেখা আছে। এতোই যখন পিরিত তাহলে এতো দিন কোথায় ছিলে স্বর্গে।
ইয়াস,,,,,,,,,, হেই ইউ,,
রিমান,,,,,,,, লিসেন টু মি, ইউ আর মাই লাভ জানো তুমি (রুহির দিকে তাকিয়ে, গান গেয়ে)
রুহি,,,,,,,,, ওয়াও গানটা কিন্তু সেই।
ইয়াস,,,,,,,,এখানে সব পাগল নাকি৷
রিমান,,,,,,, হ্যাঁ আমি ছাড়া (জোরে জোরে হেঁসে, রুহি রিমানকে ধরে রেখেছে)
ইয়াস তাকিয়ে দেখে দিয়া সেখানে নেয়। দিয়া আহানের কাছে যাচ্ছে।
দিয়া আহানের কাছে গিয়ে আহানের এক হাত জরিয়ে ধরে কাঁধে মাথা রাখে। আহান অভাক হয়ে যায়, দিয়ার এমন কান্ডে।
পেটি,,,,,,,,,, হেই হাত ছাড়ো, কি করছো।
দিয়া,,,,,,,,,আহানের কোনো সমস্যা নেয় তাহলে তোমার কি সমস্যা হুমম।
আহান,,,,,,,দিয়া কি করছো,ছাড়ো।
দিয়া,,,,,,,,,, না ছাড়বো না আমি, সব সময় আপনার কথায় চলতে হবে নাকি আমার হুমম, আমি আপনার হাত ধরেই রাখবো দেখি কে কি করে।(মাতাল মাতাল ভাবে)
পেটি,,,,,,,,, কি হয়েছেটা কি ওর।
রিমান,,,,,,,, আরে আমি বলে ছিলাম না দিয়া বোটকা খেয়ে নিয়েছে, তারি প্রতিকিয়া।
আহান,,,,,,,,,,, সবাই দেখছে দিয়া,ছাড় আমাকে।
দিয়া,,,,,,,দেখছে তো দেখুক আমার বাপের কি, আমি তো ছাড়বো না,, অন্য মেয়েরা ধরলে তো ঠিকি হেঁসে হেঁসে থাকেন আর আমি ধরলেই দোষ।(পেটির দিকে তাকিয়ে)
পেটি দিয়াকে জোর করে ছুটাতে নেয়, আর দিয়া শক্ত করে আহানকে ধরে। পেটি দিয়াকে ছেড়ে রাগে ফুঁসতে থাকে।
আহান,,,,,,,, দিয়া অনেক হয়েছে ছাড় এবার।
বলে আহান দিয়ার হাত ছুটাতে নিলে দিয়া আহানের এক সাইডে হয়ে আহানের কোমর দুই হাত দিয়ে শক্ত করে জরিয়ে ধরে। আহান মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকে। রুহি অভাক হয়ে দেখছে, রিমান দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছে। দিয়ার এমন করায় আহানের মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না।
পেটি,,,,,,,,, আহান কিছু করো, পার্টিতে সবাই তামাশা দেখতে আসেনি।
আহান,,,,,,,,, এক্সকিউজ মি, আমি একটু আসি।
দিয়া,,,,,,,,, আমিও যাবো (বাচ্চাদের মতো ঠোঁট বেকিয়ে)
আহান,,,,,,,,তোকে নিয়েই যাবো।
আহান যায়, দিয়া আহানকে ধরে ধরে যায়। আহান বাড়ির ভিতরে যেখানে কেও নেয় সেখানে নিয়ে যায়। আর দিয়াকে জোর করে ছুটিয়ে বলে,,,,,,,, দিয়া পাগল হয়ে গেছিস, কি করছিস।
দিয়া,,,,,,,,, এতে পাগলামির কি আছে, আমি আমার ললিপপ কাওকে দিবো না। (আহানের হাত ধরে মাতালের মতো হেঁসে হেঁসে)
আহান,,,,,,,,ললিপপ,, হোয়াট দ্যা হেল। দিয়া দেখ আমি জানি,,
ইয়াস,,,,,,,,,, দিয়া
আহান,,,,,,,,, একটা নমুনা কম ছিলো যে, আরেকটা চলে এসেছে। তুই এখানে কি করতে এসেছিস।
ইয়াস,,,,,,, আমি দেখতে এসেছি, নেশার অবস্থায় তুই দিয়ার কোনো সুযোগ নিচ্ছিস নাকি সেটাই দেখতে এসেছি৷
আহান কিছু বলার আগেই দিয়া আহানের সামনে এসে দুহাত কমরে রেখে বলে,,,,,,,,, আহান আমার সুযোগ নিলে আপনার সমস্যা কি, আমার তো কোনো সমস্যা নেয়।
ইয়াস,,,,,,,,,, কি বলছো দিয়া,, তুমি হুশে নেয়।
দিয়া,,,,,,,,সেটা আমি বুঝে নিবো, আপনি কেনো সবসময় আমার পিছনে পিছনে আসেন হে (ধমক দিয়ে)
আহান,,,,,,,, সরো আমি কথা বলছি।
দিয়া আহানকে ধমক মেরে বলে,,,,,,আরে আপনি চুপ থাকেন বলতে দিন আমাকে৷
আহান দিয়ার ধমক খেয়ে চুপ হয়ে যায়৷
দিয়া,,,,,,,,,,, ইয়াসের বাচ্চা, তোর জন্য আমার আমাকে কি কি সহ্য করতে হয় জানছ। প্রতেক দিন দেখে আমার পিছনে ঘুড় ঘুড় করতে। আমার ভিতরে তোড জন্য যে রাগ আছে, কবে জেনো ফুটে যায় আর তোর মরনের টিকেট কেটে যায়৷ গেছস তো গেছস আবার আমার জীবনে কেনো ফিরে এলি তোকে তো,, (একটা ফুলের টপ নেয় ইয়াসকে মারার জন্য, আহান দিয়াকে ধরে)
ইয়াস,,,,,,,, দিয়া ভালো করে দেখো আমি ইয়াস, তোমার ভালোবাসা।
দিয়া,,,,,,,আরে তেল নিতে গেছে তোর ভালোবাসা, আমার ভুল এট্রাকশনকে ভালোবাসা ধরে নিয়েছিলাম। আমি আর তোকে ভালোবাসি না। আরে কোনো দিন বাসতামও না৷ আরেক বার যদি দেখি আমার আশেপাশে তাহলে তোকে আমি খুন করে ফেলবো। ঐদিন জরিয়ে ধরেছিস আহানের জন্য কিছু বলতে পারিনি, আরেক বার যদি এমন ভুল করিস তাহলে সবার সামনে জুতো খুলে মারবো। (প্রচুর রাগে)
ইয়াস,,,,,,,,,, তুমি এখন হুশে নেয়, আমরা পরে কথা বলবো। (বলে তাড়াতাড়ি চলে যেতে থাকে)
দিয়া,,,,,,,,,, আব্বে দাড়া পরের বাচ্চা।
আহান দিয়াকে ছেড়ে হাসছে, দিয়া আহানের দিকে তাকাতেই আহান হাসি বন্ধ করে দেয়। আর শক্ত গলায় বলে,,,,,,হয়েছে তোর এবার চল।
দিয়া আহানের এক বাহু ধরে হেঁসে বলে,,,,,,,চলেন ।
আহান মুশকি হেঁসে হেঁসে নিচে নামে। আহান নিচে আসতেই রুহি রিমানকে নিয়ে আসে।
রুহি,,,,,,,, ভাই রিমানকে সামলানো যাচ্ছে না, যা মুখে আসছে তাই বলছে। এক মহিলাকে গিয়ে বলছে, আপনার মেকাপ অনেক সুন্দর হয়েছে কিন্তু বিশ্বাস করেন তার পরেও আপনাকে ভালো লাগছে না। অন্য মহিলাকে গিয়ে বলছে, পাখির বাসা আপনি মাথায় নিয়ে ঘুড়ছেন কেনো।
দিয়া হেঁসে দেয়, দিয়ার সাথে সাথে রিমানও জোরে জোরে হাসতে শুরু করে।
রুহি,,,,,,,চুপ একদম (ধমক দিয়ে)
রিমান একটু চুপ হয়ে আবার হাসি লাগিয়ে দেয়। রিমানের সাথে সাথে দিয়াও হাসছে।
রুহি,,,,,,,দুজনের ভালো মতো চড়েছে,, আমি রিমানকে আর সামলাতে পারবো না।
আহান,,,,,,,,,, ওকে নিয়ে বাসায় যা,নাকি আমার যেতে হবে।
রুহি,,,,,,,, না আমিই দিয়ে আসবো,, তুমি দিয়ার খেয়াল রাখো।
দিয়া,,,,,,,আমরাও চলে যাবো, থাকবো না এই কচুর পার্টিতে, (মাতালের মতো ঝুলে ঝুলে)
পেটি,,,,,,,,,কি হলো আহান।
আহান,,,,,,,,আমরা এখন চলে যাবো পেটি।
রিমান,,,,,,,, পেটি (মুখ চেপে হেঁসে) এটা তো বলো কোন মাছের পেটি, ইলিশ মাছের নাকি বোয়াল মাছের।
বলে দিয়া আর রিমান জোরে জোরে হাসা শুরু করে দেয়।
পেটি,,,,,,,,,, সেটাপ। আমার নাম পেট্ট্রা।
রিমান,,,,,,,,, এটা আবার কেমন নাম, কোন আইন্সটাইন রেখেছিলো এটা,, পে পে পেট্ট্রা। বলতে নিলে দাঁত ভেঙে যাওয়ার অবস্থা, এর থেকে ভালো পেট্রোল রেখে দিতো।
রিমান আর দিয়া হেঁসে হেঁসে হাত মিলায়।
পেটি,,,,,,,,,, সেটাপ ইউ৷
রুহি,,,,,,,,,ইউ সেটাপ,,, আমার রিমানকে সেটাপ বলার সাহস কি করে হয়।
রিমান বাচ্চাদের মতো ঠোঁট বেকিয়ে রুহির কাঁধে মাথা রাখে। রুহি রিমানের গালে ধরে হাত বুলাতে থাকে।
আহান রুহির দিকে সন্দেহর নজরে তাকায়, রুহি দেখতে পেয়ে রিমানকে ধাক্কা দিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। আর রিমান ঠাস করে পড়ে যায়।
রিমান,,,,,,,, আল্লাহ আমার কোমর,,, এটা কি হলো ভূমিকম্পে শুধু আমি একায় পড়লাম, আর কেও পড়লো না৷
রিমান উঠে দাঁড়িয়ে ঢুলতে থাকে। রুহি গিয়ে আবার ধরে।
রুহি,,,,,,,, ভাইয়া বেশি ক্ষন থাকা যাবে না।
পেটি,,,,,,,,,, আহান আরেকটু থাকো পিল্জ।
আহান,,,,,,,,দেখছোই তো অবস্থা, আজকে আর থাকা যাবে না।
পেটি,,,,,,ঠিক আছে দাঁড়াও আমি কেকটা কেটে ফেলি, পড়ে যাও৷
আহান,,,৷ ওকে হারি আপ।
পেটি সবাইকে ডাকে, কেক নিয়ে আসে,কেক কেটে আহানকে খাওয়াতে নেয় দিয়া খেয়ে ফেলে।
পেটি,,,,,,,এটা কি করলে।
দিয়া,,,,,,,,, আমার খেতে ইচ্ছে করছিলো, আর ওনাকে মিষ্টি খায়িয়ে লাভ নেয়, ওনার মুখ দিয়ে মিষ্টি কথা বের হবে না। তাই আমি খেয়ে নিয়েছি, চলো আহান চলো চলো।
বলে আহানকে টেনে নিয়ে যায়। রুহি রিমানকে খুঁজছে, খুঁজতে খুঁজতে দেখে রিমান আয়নার সামনে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ভাবছে। রুহি রিমানের কাঁধে হাত রাখে, রিমান রুহির দিকে তাকায়।
রুহি,,,,,,,এখানে দাঁড়িয়ে কি ভাবছো।
রিমান,,,,,,,, আমি ভাবছি পিছনে যে ছেলেটা আছে সেটা কে, একদম আমার মতো দেখতে, আমার জমজ ভাই না তো আবার, ছোট বেলায় মেলায় হারিয়ে গেছিলো, দেখ তুই পুরো আমার মতো।
রুহি,,,,,,,,, হুমম বুঝেছি এখন চলো।
রিমান,,,,,,,, আমি আরেকটা কথা ভাবছি।
রুহি,,,,,,,,তুমি সব কিছু নিয়ে ভাবো শুধু আমাকে নিয়েই তোমার কোনো ভাবনা নেয়।
রিমান,,,,,,,,, আমি তোকে নিয়েই ভাবছি।
রুহি,,,,,,,, আচ্ছা কি ভাবছো।
রিমান,,,,,,,, দেখ সামনে যাকে দেখা যাচ্ছে সে একদম আমার মতো, তুই এক কাজ কর একে বিয়ে করে নে,, আমি তোর জন্য বিপদজনক।
রুহি আয়নার সামনে এসে দাঁড়ায়।
রিমান,,,,,,, এ কি তোর ও জমজ বোন ,, আজ কি জমজ ডে নাকি, সবার জমজ বের হচ্ছে।
রুহি,,,,,,, তুমি তো আমাকে পছন্দ করো না, তো এক কাজ করো একে বিয়ে করে নাও।
রিমান,,,,,,,,, নাহহ,,, আমার তোর ফটো কপি না তোকে চাই।
রুহি,,,,,,,,তাহলে এক কাজ করা যায়, সামনের দুজ দুজনাকে বিয়ে করে নিবে, আর আমরা দুজন দুজনকে বিয়ে করে নিবো।
রিমান,,,,,,,, হুমম এটা করা যায়।
রুহি,,,,,,,,, আজ তো এর পেট থেকে সব বের করবো,, চলো তুমি আগে বাসায় যায়।
রুহি রিমানকে গাড়িতে বসিয়ে, গাড়ি ড্রাইভ করতে থাকে। আর রিমান জোরে জোরে গান গেতে থাকে।
আহান আর দিয়া যেতে থাকে অর্ধেক রাস্তায় তাদের গাড়ি খারাপ হয়ে যায়।
দিয়া,,,,,,,,, এখন কি হবে, হেঁটে হেটে যেতে বলে (হেঁসে হেঁসে)
আহান,,,,,,চল বের হ দেখি কোনো গাড়ি পাওয়া যায় নাকি।
আহান আর দিয়া হেটে হেঁটে যেতে থাকে। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে দিয়া লাফিয়ে লাফিয়ে যাচ্ছে। পাগলামি করছে, ছোট বাচ্চাদের মতো কখনো এদিক সেদিক যাচ্ছে। আর জোরে জোরে গান গাচ্ছে।
আহান দিয়াকে দেখে মুশকি মুশকি হাসছে, আর তার পিছনে পিছনে যাচ্ছে। দিয়া পিছনে ফিরে দেখে আহানের মুখে হাসি। দিয়া আহানের কাছে আসে, এসে বলে,,,,,,,,,আপনি হাসছেন।
আহান,,,,,,,আমি হাসিনি।
রুহি,,,,,,,,,,, নাহ আমি দেখেছি আপনি হেঁসেছেন।
,,,,,,,,,, না আমি হাসিনি।
আহান বার বার বলছে সে হাসেনি, আর দিয়া বার বার জোরে জোরে বলছে আপনি হেঁসেছেন। আহান যখন মানছে না, তখন দিয়া জোরে বলে,,,,,,গোমরা মুখো কোথাকার।
,,,,,,,,কিহহ (রাগী ভাবে)
দিয়া আহানের নাক ধরে টেনে বলে,,,,,,, রাগ সব সময় নাকের আগায় থাকে তাই না, কিছু হতেই রাগ দেখাবে। নাকের আগায় সব সময় রাগ লেগেই থাকে।
আহান অভাক হয়ে যায় দিয়ার এমন করনে।
,,,,,,,দিয়া এমন কিছু করো না, যাতে পড়ে পচতাতে হয়।
,,,,,,,,,আমার ইচ্ছা আমি করবো, কি করবেন আপনি হুমম,, সব কিছু কি আপনার কথা মতো হবে হুমম। আমার কোনো দোষ ও ছিলো না, আপনি আমার জামা ছিঁড়ে ফেলেছেন, আর আপনি যে পেটিকে সব সময় জরিয়ে ধরেন তার জন্য কি করবো, আমিও জামা ছিড়বো।
দিয়া আহানের কোর্ট টেনে খুলে ফেলে, আহান দাঁড়িয়ে চুপচাপ দেখছে কিছু বলছে না। দিয়া কোর্টটাকে টেনে ছিঁড়া অনেক চেষ্টা করে কিন্তু পারছে না তাই দূরে গিয়ে ছুঁড়ে মারে।
আহান,,,,,,,,শান্তি হয়েছে।
,,,,,,,,,,হুমম অনেকটা।
,,,,,,,,,,এবার চল৷
,,,,,,,আরে যাবোই তো,,, একটা কথা বলেন জম্মের সময় আপনাকে কি মধু খাওয়ানি হয় নি। একটু ভালো করে মিষ্টি করে বলতে পারে না৷ আমার ও তো মনে চাই আমার সাথে একটু ভালো করে মিষ্টি করে কথা বলবেন।
আহান,,,,,,,,, চল চুপচাপ।
,,,,,, না আমি যাবো না,, আমাকে পিঠে উঠিয়ে নিয়ে যান, না হলে আমি যাবো না, এই এখানেই বসলাম (নিচে বসে)
,,,,,,,,, বারা বারি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু চল।
,,,,,,না
,,,,,তাহলে এখানেই থাক।
আহান অনেকটা গিয়ে আবার দাঁড়িয়ে যায়, দিয়া ঐখানেই বসে আছে৷ আহান এসে দিয়ার সামনে পিঠ করে বসে, দিয়া এক লাফে পিঠে চড়ে যায়। আহান দিয়াকে পিঠে নিয়ে হাঁটছে। দিয়া আহানের গলার কাছে মাথা রেখেছে।
দিয়া,,,,,,, আমার অনেক মজা লাগছে এভাবে যেতে।
আহান,,,,,,,,,, দিয়া তোর মুখ সরা আমার গলা থেকে।
,,,,,,,,কেনো সুরসুরি লাগছে। (গলায় ফু দিয়ে)
,,,,,,,,,,দিয়া এমন করিস না। (দিয়াকে ঝাঁকি দিয়ে)
দিয়া বার বার এমন করতে থাকে, আহান হাসতে হাসতে নড়াচড়া করতে থাকে।
আহান,,,,,,,দিয়া আমি কিন্তু তোকে ফেলে দিবো।
,,,,,,,, তাহলে আমি এখানেই বসে থাকবো, আর দুমিনিট হাটলেই তো বাসা চলে আসবে, আমি দেখতে পারছি।
দিয়া আাহানের সাথে এমন দুষ্টমি করতে থাকে, আহান না পেরে জোরে দৌড় দেয় দিয়াকে নিয়ে। দিয়া জোরে জোরে হাসতে থাকে।
আহান তাড়াতাড়ি বাসার সামনে পৌঁছে, ভিতরে ডুকে দিয়াকে সোফায় ছেড়ে দেয়, কিন্তু দিয়া গলায় ঝুলে থাকে।আহান দিয়ার হাত ছুটিয়ে, দিয়াকে সোফার সাথে মিশিয়ে ধরে৷
আহান,,,,,,,,,, কি করছিস এইসব,আর করবি।
দিয়া তার মাথাটা একটু উঠিয়ে আহানের দিকে মুখ তুলে, আহান দিয়ার দিকে তাকিয়ে কয়েকটা ডোগ গিলে, তার দিকে তাকিয়ে আছে। দিয়া মুখ তুলে জিহবা বের করে আহানকে ভেঙিয়ে জোরে জোরে হাসতে থাকে।
আহান,,,,,,,,, তুই বুঝছিস কি করছিস, এর জন্য কিন্তু তোকে।
,,,,,,,,কি করবেন হুমম,, বোটকা কি আমি ইচ্ছে করে খেয়েছি, মানুষ মাতাল হওয়ার পর কতো কিছু করে, আর তাছাড়া কালকে সকালে উঠলে আমার কিছু মনে থাকবে না।
,,,,,,,তাই বলে যা খুশি তাই করবি।
,,,,,,,হুমম
বলে আহানের গালে একটা কিস করে।
আহান,,,,,,,,, দিয়া (ধমক দিয়ে)
,,,,,,,,,, কি দিয়া হুমম,,আপনার মন চাইলে আমাকে কিস করবেন আর আমি করলেই দোষ। ঐটা আমার ফাস্ট কিস ছিলো আর আপনি এমনি করে দিলেন।
,,,,,,সত্যি ঐটা তোর ফাস্ট কিস ছিলো।
,,,,,,,,,, তাহলে আবার, এখন আমার ইচ্ছে আমি করবো তাছাড়া মাতাল হলে কারো কোনো হুশশ থাকে না।
দিয়া আহানের গালে আরেকটা কিস করে। আহান হেঁসে দিয়ার দিকে এগিয়ে যায়, দিয়া তার চোখ বন্ধ করে মুখটা এগিয়ে আনে। আহান দিয়ার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে,,,,,,, আমি জানি তুই নিশায় নেয়, কারন যে জুসটা তুই খেয়েছিস সেটা আমিই পাঠিয়েছিলাম, আর ঐটা কমলার জুস ছিলো।
চলবে,,,,,,,
ভালো লাগলে like, comment করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।