#শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প)
Part 4
#Maishara_Jahan
রিমান,,,,,,, আমার তো সন্দেহ হচ্ছে,, তোর চোখ মুখ এমন লাল হয়ে গেছে কেনো, ভয় ভয় লাগছে,, ডাল মে কুছ কালা হে।
আহান,,,,,,,,,,আরে না, তুই সব সময় বেশি বুঝিস।
রিমান,,,,,,,, রুহি গিয়ে দেখে আয় তো।
আহান উঠে দাঁড়িয়ে যায় আর বলে,,,,,,,,,আরে ভাই দেখার কি দরকার। তোদের সাথে আমার অনেক জরুরি কথা আছে একটু ঐদিকে চল তো।
রিমান,,,,,,,, আরে রাখ তোর জরুরি কথা,রুহি আমার পায়ে ব্যাথা নাকি তোর যা গিয়ে দেখ।
আহান,,,,,,,আরে নাহহ
বলতে না বলতে রুহি লাফ দিয়ে রান্না ঘরে যায়, গিয়ে হা করে দাঁড়িয়ে থাকে। আর দিয়াকে দেখে হিহি করে হাসতে থাকে।
রিমান,,,,,,,,,, কে ওখানে রে,, এমন ভাবে হাসছিস কেনো।
রুহি,,,,,,,,, মেম উঠে পড়েন, এখন লুকিয়ে কোনো লাভ নেয়।
দিয়া ইনোসেন্ট একটা হাসি দিয়ে উঠে, দিয়াকে দেখে রিমান দাঁড়িয়ে যায়। দাঁড়িয়ে আহানের দিকে তাকায়, আহান অন্য দিকে ফিরে যায়।
দিয়া,,,,,,,,,হিহিহি হ্যালো।
রুহি,,,,,,,,, তো এটা আপনার আন্টির বাসা,,তা আপনার আন্টির তো অনেক হেন্সাম, একদম আমার ভায়ের মতো দেখতে।
রিমান,,,,,,,,, আমাকে কি যেনো বলেছিলি যে, দিয়া এসেছে তো আমি কি করবো, এটা সেটা,, এমন একটা ভাব নিলি যেনো জীবনে দেখিস নি। ঐ আমার দিকে ফির তুই, শালা ড্রামা ভাজ। কি চাপা গুলোই না মারলো,, ফির আমার দিকে দেখি তোর চাপা খুইলা পরে যায় নাই তো আবার।
আহান,,,,,,,,,, না মানে হয়ছে কি।
রিমান,,,,,,,,, কি হয়ছে।
রুহি,,,,,,,,,, তোমরা কি লুকিয়ে বিয়ে করে নিছো নাকি আবার।
রিমান,,,,,,,,,,, ও তাহলে এখনো ভালোবাসিস দিয়াকে।
আহান রেগে গিয়ে বলে,,,,,,,, কিসের ভালোবাসা হুমম, আমি আর দিয়াকে ভালো কখনোই না, ঘৃণা করি ওকে আমি। শুধু আশ্রয় দিয়েছি ওকে আমি এখানে তাও আবার ওর ভুলের শাস্তির দেওয়ার জন্য। যার চেহেরা দেখতে পারি না তাকে আবার বিয়ে।
বলে দিয়ার দিকে তাকায়, দেখে দিয়ার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে, দিয়া নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। আহান তার চোখ ফিরিয়ে উপরে চলে যায়। রিমান ডাক দেয় কিন্তু আহান শুনে না। দিয়া দৌড়ে তার রুমে চলে যায়। রুহি দিয়ার পিছনে যায়।
রিমানও সিরির কাছে যায়, গিয়ে দাঁড়িয়ে বলতে থাকে,,,,,,,, শালা আর জায়গা পেলো না যাওয়ার জন্য। এখন এতো উপরে আমি উঠবো কিভাকে তাও আবার এই ভাঙা পা নিয়ে। রিমান তুই পারবি আল্লাহ শক্তি দাও।
রিমান অনেক কষ্টে উপরে উঠে,,, তারপর আহানের রুমে যায়৷ আহান বিছানায় বসে আছে, রেগে আছে অনেক। রিমান গিয়ে আহানের পাশে বসে। আহান উঠে যেতে নেয় রিমান আহানের হাত ধরে আবার বসিয়ে দেয়।
রিমান,,,,,,,, মন দিয়ে শুন আমার কথা,,দয়া করে এখান থেকে আর কোথও যাইস না, দেখ আমারে নেংড়াতে নেংড়াতে আসছি আবার যেতে পারবো না। ব্যাথা লাগে ভাই।
আহান,,,,,,,তাহলে এক জায়গায় বসে থাক, তোকে আসতে কে বলেছে।
রিমান,,,,,,,,, আমার অন্ত আত্মা। আচ্ছা মজা পরে তুই এটা বল,,, তুই কি এখনো দিয়াকে মাফ করতে পারিস নি।
,,,,,,,,,কখনো মাফ করবো না। মাফ করার মতো কোনো কাজ সে করেনি।
,,,,,,,,,, কেনো নিজেকে আর দিয়াকে কষ্ট দিচ্ছিস, ভালোবাসিস তো একটা সুযোগ দে।
,,,,,,,,,, বললাম না তোকে আমি ভালোবাসি না দিয়াকে। আর দিয়া ও আমাকে না কোনো দিন ভালোবেসেছে না ভাসবে। তো কাকে সুযোগ দিবো আমি।
,,,,,,,,,,, জানি না কেনো তোর ঘৃণার মাঝেও আমি ভালোবাসা দেখতে পাই। পারলে সব ভুলে যা।
,,,,,,,,,, কি করে ভুলে যাবো আমি। ওর দশ বছর বয়স ছিলো যখন আমাদের বাসায় এসেছিলো আমার তখন পনেরো বছর ছিলো। দিন দিন ভালোবেসে ফেলেছিলাম তাকে, আর সেই ভালোবাসার কি মূল্য দিলো সে। সব জেনেও এমন কথা কেনো বলছিস।
,,,,,,,,,,
দিয়া রুমে গিয়ে কান্না করছে, রুহি দিয়াকে বুঝানোর চেষ্টা করে।
দিয়া,,,,,,, আমাকে এতো ঘৃণা করে, থাকবো না আমি এখানে (কান্না করে)
রুহি,,,,,,,,,, দিয়া পিল্জ আমাকে একটু বলবি তোদের মাঝখানে এমন কি হয়েছে, স্পষ্ট করে তুই আমাকে কিছুই বলিস নি। দয়া করে বল আমাকে।
দিয়া,,,,,,,,,, সত্যিটা বললে তুই ও আমাকে ঘৃণা করবি।
,,,,,,,,, এমন কিছুই না,, আর আমি একটু একটু বুঝতেও পেরেছি। তুই সবটা না বললে আমি বুঝবো কি করে। আর তোর সাহায্য করবো কি করে।
,,,,,,,,,,,, সব কিছু ঠিক চলছিলো, কিন্তু যখন আমি কলেজে উঠি তার কয়েক মাস পরেই আহান ভাইয়া আর খালু একটা কাজে দুমাসের জন্য বাহিরে যায়। তখন আমার জীবনে ইয়াস আসে।
ও আমার সাথে এমন অভিনয় করে যেনো ওর থেকে ভালো মানুষ হয় না। আমার অনেক কেয়ার করতো, খেয়াল রাখতো অনেক স্বপ্ন দেখাতো। ওর এই মুখোসটাকে আমি ভালোবেসে ফেলি।
আসলে না ভালোবাসি নি, অ্যাট্রাকশন হয়ে যায় 18 বছর বয়সে যা হয় আর কি। আর আমি সেটাকে ভালোবাসা মনে করে ফেলেছি। দুমাস পরে আহান চলে আসে এসে যখন জানতে পারে আমাদের বিষয়টা তখন খুব রেগে যায়।
আহান আমাকে বারবার বোঝাতে থাকে যে সে ছেলেটা ভালো না এমনকি একদিন রাগের মাথায় আহান ইয়াসকে অনেক মেরেছিল। একদিন রাতে ইয়াস লুকিয়ে আমার রুমে এসে ছিলো। তার নিয়ত ভালো ছিলো না। সে আমাকে বুঝাতে থাকে যে আহান আমাদের এক কোনদিন হতে দেবে না। তাই তার সাথে যদি কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি তাহলে আমাদের আর কেউ আটকাতে পারবেনা। তার সাথে বিয়ে দিয়ে দিবে।
একসময় সে আমার সাথে জোড়াজোড়ি করতে থাকে। ইয়াসের হাত লেগে আমার জামা ছিড়ে যায় আর শব্দ পেয়ে আহান ভিতরে চলে আসে, আর ইয়াস জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
আহান ভাই রাগে আমাকে থাপ্পড় মারে, আহান ভাইয়া আমাকে ভুল বুঝে। সেই সময় সবাই চলে আসে আর আমি বুঝতে পারছিলাম না যে আমি কি করবো আমার মাথায় কিছুই ঢুকছেনা।
এই অবস্থায় সবাই মনে করে যে আহান ভাই আমার সাথে কিছু করার চেষ্টা করেছে আর সবাই আমাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে থাকে। ভয়ে আমার মুখ দিয়ে কোন আওয়াজ বের হচ্ছিলোনা, আমি শুধু কান্না করছিলাম নিচের দিকে তাকিয়ে।
আর সবাই মনে করে আহান ভাইয়া আমার কোন ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে সবাই ভাইয়াকে বকাবকি করছিল আর আমি কিছু বলছিলাম না, আহান ভাইয়া সব তার নিজের ঘাড়ে দোষ নিয়ে নেয়।
খালু রাগে আহান ভাইয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমি সেদিন সত্যিটা বলতে পারিনি আর না এর পরে বলতে পেরেছি। সত্যিটা বললে সবাই আমার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন করত আর আমি সেটা চাইনি। আহান ভাইয়া সব দোষটা তার নিজের ঘাড়ে নিয়ে বিদেশে চলে যায়, কাওকে কিছু বলে নি।
ভাইয়া যাওয়ার পর বিশ্বাস কর আমি অনেকবার চেষ্টা করেছি সত্যিটা বলতে কিন্তু বলতে পারিনি। এটা আমার ব্যর্থতা ছিলো। কিছুদিন পর আমার কাছে ইয়াসের একটা ভিডিও আছে সেখানে টাকার জন্য সে আমাকে ছাড়তে রাজি হয়ে গেছিলো।
আমার মন ভেঙে গিয়েছিল আমি আহান ভাইয়ের রুমে গিয়ে কান্না করতে থাকি। আর সেখানে একটা ডাইরি পায় আর ডাইরিটা পড়ে আমি জানতে পারি যে,আহান ভাই আমাকে কতটা ভালোবাসে আর আমি তার ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারিনি।
সেই বাড়ীতে আমার মন টিক ছিলো না, যেখানে দেখি শুধু আহান ভাইয়ার স্মৃতি মনে পড়ছিলো। আমি সেখানে কিছু থাকতে পারছিলাম না,তাই আমি হোস্টেলে চলে আসি। একটা অপরাধ বোধ তো ছিলোই মনে কিন্তু আমি সবচেয়ে বেশি আহান ভাইয়াকে মিস করতে থাকি। তার বকা, শাসন, কেয়ার সব কিছু। তখন আমি বুঝতে পারি যে আহান ভাইয়াকে আমি কতোটা ভলোবাসি। (কান্না করতে করতে)
রুহি,,,,,,,,,,,আমার কেমন রিয়েক্ট করা উচিত বুঝছি না। তুই এটা কিভাবে করতে পারলি।
দিয়া,,,,,,,,, পরিস্থিতিটাই এমন ছিলো যে, কিছু বুঝতে পারিনি, আমার যায়গায় তুই থাকলে কি করতি। খালা খালুকে আমি কি বলতাম যে, আমার বয়ফ্রেন্ড আমার রুমে এতো রাতে এসে কি করতে চেয়েছিলো। আমি বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু সাহস হয়নি।
রুহি,,,,,,,,,এজন্য ভাইয়া তোকে ঘৃণা করে। আর ঘৃণা করারি কথা। ভালোবাসার মানুষকে অন্য জনের সাথে কেও দেখতে পারে না। আচ্ছা তুই শান্ত হ। যা হওয়ার তো হয়েই গেছে, এখন এটা ভাবতে হবে যে আগে কি করতে হবে।
দিয়া,,,,,,,,, তুই আমার সাথে রেগে নেই।
রুহি,,,,,,,,, রাগ তো একটু হচ্ছে কিন্তু কি করব বল তোর খালাতো বোন হওয়ার সাথে সাথে আমি তোর বেস্ট ফ্রেন্ড ও তাই তোকে আমি বুঝি। আমি জানি সচ্ছাই এমন কাজ তুই কখনো করবি না। আর ভুল তো মানুষেই করে।
দিয়া রুহিকে জরিয়ে ধরে, কান্না করতে করতে বলে,,,,,,, থেংক ইউ রুহি।
রুহি,,,,,, আচ্চা তুই সত্যি ভাইয়াকে ভালোবাসিস তো।
,,,,,,,,হুমম অনেক।
,,,,,,,,,, ভাইয়াও তোকে ভালোবাসে, না হলে তোকে কেনো আশ্রয় দিয়ে এখানে আনবে।
,,,,,,,,,, কাজের লোক বানিয়ে এনেছে তোর ভাইয়া আমাকে এখানে।
,,,,,,,,,, আহারে আমার বান্ধবীটা বউ হয়ে না এসে কাজের লোক হয়ে এসেছে। আচ্ছা প্যারা নাই, তুই ভাইয়াকে বুঝিয়ে দে যে, তুই ভাইয়াকে কতোটা ভালোবাসিস৷
,,,,,,,,কিভাবে।
,,,,,,,,,সেটা তো এখন জানি না তবে আস্তে আস্তে জেনে যাবো। কান্না বন্ধ কর।
,,,,,,,,,
আহান,,,,,,,,,,,সবচেয়ে বেশি কষ্ট আমার তখন লেগেছে যখন আমি দেখি আমার ভালোবাসার মানুষ অন্যের সাথে ছি।৷ আমার মা বাবার কথাও ভাবেনি, তুই বুঝতে পারছিস কতোটা ভালোবাসলে একটা মেয়ে তার সাথে রুম শিয়ার করতে রাজি হয়।
রিমান,,,,,,,, হতে পারি তুই ভুল বুঝেছিস।
আহান,,,,,,,,পিল্জ এ বিষয়ে আমি আর কোনো কথা শুনতে চাই না। (রাগে)
রিমান,,,,,,,,,,, ওকে ওকে,,,,, এ বিষয়ে কোনো কথা হবে না। আচ্ছা আরেকটা কথা হঠাৎ তিন বছর পরে কেনো আসলি, আর দিয়াকে এখানে রাখার কি মানে।
আহান,,,,,,,,দিয়া অনেক বড়ো বিপদে মধ্যে আছে। যেটার খবরও নেয় তার।
রিমান,,,,,,,,,, মানে।
আহান,,,,,,,,তোকে সব পড়ে বলবো, এখন ভালো লাগছে না।
,,,,,,,,,, ঠিক আছে নিচে চল।
,,,,,,,,, আমার ভালো লাগছে না।
,,,,,,,,, কিন্তু আমার এখানে বসে থাকতে ভালো লাগছে না, আমি নিচে যাবো।
,,,,,,,,তো যা, তোকে কে নিষেধ করেছে।
রিমান তার পায়ের দিকে ইশারা করে বলে,,,,,,,একটু আমার সাথে গেলে ভালো হতো।
আহান,,,,,,,,,,, উফফ চল।
আহান রিমানকে ধরে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
রিমান,,,,,,,,, ইশশ তোকে দেখে আমার হিংসা হচ্ছে, তোর পা ভেঙে দিতে পারলে মনে হয় শান্তি লাগতো।
আহান রিমানকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়ে বলে,,,,,,এটা কেমন ইচ্ছা, তুই আমার বন্ধু না শত্রু।
রিমান,,,,,,,, সত্যিকারের বন্ধু,,,, আর শালা একটু আস্তে ধাক্কা দিতে পারলি না, এখনি আমার পায়ে লাগতো, ধর আমাকে।
সিরির কাছে গিয়ে রিমান দাঁড়িয়ে গিয়ে বলে,,,,,,,দোস্ত আমি এতো গুলো সিরি দিয়ে নামতে পারবো না, আমি নিশ্চিত পড়ে যাবো।
,,,,,,,,,আরে কিছু হবে না, চল আমি আছি না।
,,,,,,,,,,,, এই জন্য আরো বেশি ভয় লাগছে, তুই যে জোরে জোরে হাঁটিস,, আর আমার বর্তমান গতি কচ্ছপের সমান।
আহান রিমানকে কোলে উঠিয়ে নিয়ে, নিচে নামছে।
রিমান,,,,,,,,, ঐ কি করতাছস, আল্লাহ এবার মনে হয় আমার হাত পা এর সাথে কোমর ও ভাঙবো।
আহান,,,,,,,,ইশশ চুপ থাক না হলে ফেলে দিবো।
দিয়া আর রুহি রান্না ঘর থেকে ওদের দেখছে। আহান নিচে এসে দাঁড়ায়।
রিমান,,,,,,,, এবার নিচে নামা আমাকে, আমি তোর বউ না যে, এভাবে আমাকে কোলে নিয়ে রেখেছিস বেশরম।
আহান তাড়াতাড়ি রিমানকে নিচে নামিয়ে দেয়। নামিয়ে সামনে তাকায় দেখে দিয়া আর রুহি এক ব্রু উঠিয়ে তাকিয়ে আছে।
আহান,,,,,,,,,, কি হয়েছে, এভাবে তাকানোর কি আছে।
রুহি,,,,,,,,, না মানে সিনটা ভালো ছিলো শুধু একটা জায়গায় মিস্টেক হয়ে গেছে, এখানে দুনোজনি ছেলে ছিলো, তাই দেখতে কেমন জানি দেখা গেছে।
রিমান,,,,,,,,,,, আমার হরমোন একদম ঠিক আছে, বাকি অন্য জনের আমি জানি না।
আহান,,,,,,,,,রিমান আমি তোকে মারতে চাচ্ছি না সো, চুপ থাক।
রুহি,,,,,,,,,,হরমোনের কথা উঠলে সবার আগে আমার তোমার উপরেই সন্দেহ হবে, হার্ট ছাড়া মানুষ।
আহান,,,,,,,,,তোর কথার মানে কি।
রিমান,,,,,,,,, বুঝা এখন।
রুহি,,,,,,,,, আরে আমার কথা এতো সিরিয়াসলি নেওয়ার কোনো দরকার নেয় ভাইয়া।
তখনি দরজার বেল বাঝে, রুহি দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে। পেটি দাঁড়িয়ে আছে।
আহান,,,,,,,,,পেটি ভিতরে আসো।
দিয়া,,,,,,,,এসে গেছে শাঁকচুন্নি।
পেটি ভিতরে আসে,, এসে রুহি আর রিমানকে দেখে জিজ্ঞেস করে,,,,,,,এরা দুজন কে।
আহান,,,,,,,এ আমার ছোট বোন রুহি, আর এ আমার ফ্রেন্ড রিমান। আর ও হলো প্রেট্রা।
রিমান,,,,,,,,, কিন্তু তুই তো ওনাকে পেটি বললি।
পেটি,,,,,,,, আহান এটা আমাকে ভালোবেসে ডাকে।
রিমান,,,,,,,,,, ভালোবেসে ডাকে নাকি উচ্চারণ করতে পারোস না কোনটা।
পেটি,,,,,,,, ওহহ তুমি অনেক ফানি।
রুহি,,,,,,,,,,, তুমি কি ভাইয়ার সাথে বিদেশে ছিলে।
পেটি,,,,,,,,হুমম তুমি কি করে জানলে।
রুহি,,,,,,,,দেখে বুঝা যাচ্ছে, (যে ড্রেস)
আহান,,,,,,,,তুমি একদম ঠিক টাইমে এসেছো,, আমাদের সাথে লাঞ্চ করতে বসো। খাবার কি হয়েছে নাকি হোটেল থেকে আনতে হবে।
দিয়া,,,,,,,,,, হয়ে গেছে সবাই বসে পড়ো।
সবাই খেতে বসে, দিয়া খাবার বেরে দিচ্ছে।
রুহি,,,,,,,,,তোর খাবার সার্ফ করতে হবে না, তুই বস।
পেটি,,,,,,,,এভাবে কাজের লোকদের সাথে বসে খাবে।
রুহি,,,,,,,,এক্সকিউজ মি,, ও আমার বন্ধু।
পেটি,,,,,,,, একজন সার্বান তোমার বন্ধু।
রুহি,,,,,,,হ্যাঁ তো।
আহান,,,,,,,,,, দিয়া এখানে একজন সার্বান, সো আমাদের সাথে খাওয়ার ওর যোগ্যতা নেয়।
দিয়া,,,,,,,,,, রুহি আমার খিদে নেই, তুই চুপচাপ বসে খা। আমাকে আমার কাজ করতে দে।(রাগে)
রুহি,,,,,,,, তুই না খেলে আমিও খাবো না।
দিয়া,,,,,,,,,চুপচাপ বসে খা বলছি।
পেটি,,,,,,,,ও হ্যালো কিভাবে কথা বলছো, কাজ করো তুমি এখানে, যতোসব অশিক্ষিত।
রুহি,,,,,,,, ও হ্যালো কে অশিক্ষিত, ডক্টরি পড়ছে আমার বন্ধু।
পেটি,,,,,,,, হোয়াট।
রিমান,,,,,,,, ওর সামনে ইংলিশে কথা বললে লাভ নেয়, ও যদি ইংলিশে কেনো বাংলাতেও লিখে তাও তোমার পড়তে পাড়তে দাঁত ভেঙে যাবে।
দিয়া,,,,,,,,,, রিমান ভাইয়া আমার হাতের লিখা যথেষ্ট ভালো আছে।
রুহি,,,,,,,, আর আমার টাও,,,
রিমান,,,,,,, তুই কোনো কথ বলিস না এই বিষয়ে, তোর হাতের লিখা সম্পর্কে সব ধারণা আছে আমার, একটা লাভ লেটার দিছিলি আগা মাথা কিছুই বুঝিনি।
আহান,,,,,,,,,, কিহহ কি দিয়েছে।
রিমান,,,,,,,, মানে যদি কাওকে লাভ লেটার যদি তাহলে কিছু বুঝতে পারবে না সে, এটা বলছি।
আহান,,,,,,, আমার বোন এমন কিছু করবে না,, ভালো আছে।
রিমান,,,,,,, ভালোই উল্টায়া পড়তাছে।
আহান,,,,,,,সবাই চুপচাপ মুখ বন্ধ করে খাও।
রিমান,,,,,,,,, মুখ বন্ধ করে খাবো কিভাবে নাক দিয়ে।
সাথে সাথে সবাই হেঁসে দেয়। আহান কপালে হাত দিয়ে বলে,,,,,চুপচাপ খাবার খা ইয়ার।
চলবে,,,,,,,
ভালো লাগলে like, comment করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।