শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প) Part..26

0
2429

#শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প)
Part..26

#Maishara_Jahan

আহান,,,,,,,, দিয়ার কিটনাপ হয়ে গেছে,, আমি ওকে নিয়ে আসছি আর হ্যাঁ এসে যদি একে এখানে দেখতে পায় তাহলে এর জান আমি এখানেই নিয়ে নিবো (লিজার দিকে পয়েন্ট করে) আর বাকি গুলোকে তো আমি পড়ে দেখে নিবো।

বলে আহান বেরিয়ে চলে যায়।

লিজা,,,,,,,,, আন্টি ওরা সবাই আমাকে অপমান করে চলে গেলো। আমি সত্যি বলছি আমি এমন কিছু করিনি।

মানিক,,,,,,, মা ওর কথায় বিশ্বাস করো না, ও চমার সাথেও এমন জবর্দস্তি করছিলো।

চাচি,,,,,,,,কিহহ।

লিজা,,,,,,,,,, কিহহ,,না আন্টি ও মিথ্যা বলছে।

মানিক,,,,,,,, মিথ্যাবাদী আমি না তুই,,, আমার সাথেও এমন করছিলো অনেক কষ্টে ছুটিয়েছি, ও সব ছেলের সাথেই এমন করে আমি নিজ চোখে দেখেছি। (জোর গলায়)

লিজা,,,,,,,, না, আমি শুধু আহানের সাথেই এমন করেছি,আর কারো সাথে না।(বলে চুপ হয়ে যায়)

মানিক,,,,,,,, দেটস্ অল মাই লট। ওয়াও অরেকটু ভালো করে লেখা পড়া করলে আমি তো উকিল হয়ে যাবো কিন্তু আমি তো আর্টস নিয়ে পড়ি।
,,,,,,,,,,,,

রুহি মিটমিট করে চোখ খুলে, চোখ খুলে সে অভাক হয়ে যায়, সে একটা রুমে বিছানায় শুয়ে আছে তাও আবার রিমানের সাথে। রুহি চিৎকার করে রিমানকে ধাক্কা দেয়, কিন্তু রিমানের কোনো হুশ নেয়।

রুহি,,,,,,,,, দেখো মজা করবা না। আমি জানি এসব তুমি করেছো, আমাকে উঠিয়ে নিয়ে এসেছো তাই না। উঠো (ধমক দিয়ে)

অনেক ক্ষন চিল্লা চিল্লি করেও কোনো হুশশ আসছে না। রুহির একটু অদ্ভুত লাগে তাই সে রিমানকে চেক করে দেখে।

রুহি,,,,,,,,, ও আল্লাহ রিমান তো অজ্ঞান অবস্থায় আছে। ওর আবার কি হলো, রিমান, রিমান।

রুহি রিমানের মাথা তার কোলে রাখে, পাশে গ্লাসে পানি রাখা ছিলো, রুহি সেই পানি নিয়ে রিমানের মুখে ছিটা দেয়, একটু পরে রিমান হুঁশে আসে, রিমান চোখ খুলে নিজেকে রুহির কোলে দেখে একটা হাসি দেয়।

রিমান,,,,,,,, ওয়াও তুই রাজি হয়ে গেছিস আর আমাকে ভালোবেসে নিজের কোলেও শুয়িয়ে রেখেছিস, ইশশ এটা যাতে স্বপ্ন না হয়।

রুহি ধাক্কা দিয়ে রিমানের মাথা সরিয়ে নেয়। রিমান আউউ করে উঠে বসে বলে,,,,,,, তারমানে এটা স্বপ্ন না।

রুহি,,,,,,, ভালো করে উঠো আর দেখো আমরা কোথায়,, আমাদের এখানে কে নিয়ে এসেছে।

,,,,,,,ওহহ হ্যাঁ মনে পড়েছে, তোকে কারা জেনো উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো আমি দুটোকে মেরে ছিলাম ও পরে একজন আমার মুখে কি জেনো স্প্রে করেছে আর আমি অজ্ঞান হয়ে যায়।

রিমান রুহির দুবাহুতে ধরে বলে,,,,,,,,,,, তুই ঠিক আছিস তো, তোকে কিছু করেনি তো , তোকে কোথায় নিয়ে গেছে কিটনাপ করে।

,,,,,,আমাকে একটা জঙ্গলে নিয়ে গেছে কিটনাপ করে।

,,,,,,,মানে

,,,,,,,, পাগল তুমি আমার সাথে তোমাকেও কিটনাপ করে এই রুমে নিয়ে এসেছে। দেখতে পারছো না (ধমক দিয়ে)

,,,,,,,,ভালে হয়েছে।

,,,,,,,,, এতে ভালো কি হয়েছে।

,,,,,, আরে তোর সাথে আমাকেও কিটনাপ করে নিয়ে এসেছে এটা ভালো হয়েছে, তোকে একা কিটনাপ করলে আমার তোর কথা ভাবতে ভাবতে জান চলে যেতো। এখন আমি আছি তোরা সাথে তোর কিছু হতে দিবো না।

,,,,,,,,,,হুমম জানি।

,,,,,,,,,, তবে একটা জিনিস ভালো হয়েছে। আমার তোকে কাল কিটনাপ করার প্ল্যান ছিলো, কিন্তু কিটনাপ করে তোর মা বাবাকে কি বলতাম জানা ছিলো না, কিন্তু এখন তো আমরা দুজন কিটনাপ হয়ে গেছি, তোর বিয়েটাও হবে না।

,,,,,,,, কিন্তু আমাকে কিটনাপ করলো কে আর কেনো।

,,,,,,,,,,, কে জানে কাকে আবার ভুলবাল ঔষধ টৌষধ দিয়ে দিছস নাকি আবার।

,,,,,,,,,, বেশি বললে তোমাকে ইনজেকশন লাগিয়ে দিবো।

,,,,,,,তবে যাই বলিস, কিটনাপরা কিন্তু ভালো আছে।

,,,,,,,,কিভাবে।

,,,,,,,,আমাদের এক রুমে রেখেছে,, হাউ রোমান্টিক।

,,,,,,,, চুপচাপ গিয়ে গিয়ে চেক করে দেখো দরজা খুলা আছে নাকি৷

,,,,,,,, কিটনাপরা তো পাগল উঠিয়ে এনে রুমে রেখে দরজা খুলে রাখবে৷ তাও চেক করে দেখি।

,,,,,,,,, আরে খুলা না থাকলে লাথি দিয়ে দরজা ভেঙে ফেলো।

,,,,,,,,, আমাকে কি তোর CID এর দয়া মনে হয় যে, এক লাথি দিয়ে দরজা ভেঙে ফেলবো। তাছাড়া কাঠের হলে কথা ছিলো লোহার দরজা লাথি দিলে পা ভাঙবো দরজা না৷

রিমান চেক করে কিন্তু কোনো লাভ হয় না, রুহি এসে দরজা ধাক্কিয়ে কিছু ক্ষন চিল্লা চিল্লি করে। কোনো লাভ হয় না, তাই গিয়ে আবার বসে পড়ে।

রিমান,,,,,,,, সবাই কানে কম শুনে নাকি, এতো চিল্লা চিল্লি করার পরেও কেও শুনলো না। মনে হয় সবার কানে সমস্যা আছে তোর থেকে ফ্রি চিকিৎসা নিতে চাই। কিন্তু এমন হলে তোর মতো ডক্টরকে কেনো কিটনাপ করবে কোনো ভালো ডক্টরকে করতো।

,,,,,,, আমার মতো ডক্টর মানে, কি বলতে চাও (রাগে)

,,,,,,, না মানে, তোর তো এখনো পড়া কমপ্লিট হয়নি তাই বললাম।

একটু পর দরজা খুলার আওয়াজ শুনে দুজনে দাঁড়িয়ে যায়৷ কালো লম্বা বডি ওলা একটা লোক দরজা খুলে।

রুহি,,,,,,,,, কে আপনি আমাদের এখানে কেনো এনেছেন। জানেন আমি কে। (হুমকি দিয়ে)

রিমান,,,,,,,, নাহহ,,না জেনে তোকে কিটনাপ করছে। কি ফালতু প্রশ্ন করছিস।

,,,,,,,,,, এসেছি চিৎকার কম করতে বলতে এসেছি। আর এখানে তোদের কেনো নিয়ে এসেছে এটা আমি জানি না, না জানতে চাই, সো চুপচাপ বসে থাকবি।

রুহি,,,,,,,, কিসের চুপচাপ,,, রিমান মার ওকে।

রিমান,,,,,,,,,,, ও শক্তি কপুরের বোন,,কেনো বিয়ের আগে বিধবা হতে চাস,,, দেখতে পারছিস না ওনি একা আসেনি সাথে বন্ধুক নিয়ে এসেছে আর ওনি নিশ্চয়ই একা হবে না বাহিরে হয়তো আরো আছে।

,,,,,,,,বুদ্ধিমান,,, আরেক বার আওয়াজ করলে আমি না আমার বন্ধুক কথা বলবে।

রিমান,,,,,,,, বন্ধুক ও কথা বলে,, আরে বা বন্ধুক কে কি মুখ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে নাকি।

,,,,,,,,,চুপ,,, আর এখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে লাভ নেয়,,এখানের সব কাচঁ বুলেট প্রুভ।

রিমান,,,,,,,, থ্যাংকস ফর ইনফরমেশন।

,,,,,,পাগল সব।

বলে দরজা বন্ধ করে দেয়।

রুহি,,,,,,,,, ভালো বুদ্ধি দিয়ে গেছে,, চলো আমরা কাচঁ ভেঙে বেরিয়ে যাবো। এখানে তো কাঁচের দেওয়াল ও আছে।

রিমান,,,,,,,,, কিভাবে ভাঙবি বুলেট প্রুফ তো।

,,,,,,,,,,, এমন কতো ভাঙলাম।

রুহি একটা বড়ো টপ নিয়ে কাঁচে মারছে।

রিমান,,,,,,,,, আল্লাহ কোন পাগলকে নিয়ে পড়ছি,, এটা বুলেট প্রুফ আর এ গামলা দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করছে,, কাঁচের এতো বড় অপমান করছে।

একটু পর গামলাটা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে নিচে পড়ে যায়। রিমান দৌড়ে গিয়ে ধরে।

রিমান,,,,,,,, লাগেনি তো তোর।

,,,,,,, না, কিন্তু কাচঁটা ভাঙলো না।

,,,,,,,ইস্টুপিট,, চুপচাপ এসে বস।

দরজা আবার খুলে বলে,,,,,, কিসের আওয়াজ এটা।

রিমান,,,,,,, কিছু না, হাতে লেগে টপটা পড়ে ভেঙে গেছে, আপনি জান।

লোকটি চলে যায়।

রুহি,,,,,,,ভাইয়া আমাদের বাঁচিয়ে নিবে।

,,,,,,,,,,, মনে তো হয় না,কে জানে।

,,,,,,,,,,, কেনো।

,,,,,,, যদি ও মনে করে যে, আমি তোকে কিটনাপ করেছি তখন।

,,,,,,,,, তখন আর কি ভাইয়া তোমাকে আর আমাকে খুঁজবে।

,,,,,,,,,, কেনো খুঁজবে,,আমার সাথে আছিস জানা শর্তেও।

,,,,,,,, কেনো খুঁজবে না,, তার বন্ধু তার বোনকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে এটা জানা শর্তে ও কোনো খুঁজবে না। তুমি ওর ছোটোবেলার বন্ধু হলেও আমি ওর বোন। (একটা ভাব নিয়ে বলে)

,,,,,,,,,, তোকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার বুদ্ধিটা তোর ভাইয়েরই ছিলো।

,,,,,,,,,, হাড়ামি ভাই, শয়তান। সবাই শয়তান কেও আমাকে ভালোবাসে না।

,,,,,,,,, আমি বাসি তো।

,,,,,,,,, কচু বাসো,আমাকে ভালোবাসলে ঐ মেরিনকে কিস করতে না।

,,,,,,,,, আমি নিজের চোখে দেখেছি, ওকে লিপ কিস করতে ঐ দিন।

,,,,,,,,, আরে নারে ভাই, ও হঠাৎ করেই আমার গালে কিস করে, তুই হয়তো উল্টো পাশে দাঁড়িয়ে ছিলি তাই মনে হয়েছে লিপে করেছে, আর আমি তাকে সরিয়ে দিয়ে বেরিয়ে চলে এসেছিলাম, তাই তো তোর সাথে দেখা হলো।

,,,,,,,,, সত্যি।

,,,,,,,,,, হুমম,,তোর কছম।

,,,,,,,,আমি এতো তাড়াতাড়ি মরতে চাই না,, তাছাড়া আমার কাছম নেওয়া তো তোমার জন্য সহজ।

,,,,,,,,,, আচ্ছা বাবা আমার কছম, আমার চৌদ্দ ঘুষ্টির কছম। ভাই কছম দেওয়ার মতো আমার আর কেও নাই। এবার বিশ্বাস হয়ছে।

,,,,,,,,সত্যি কিস করো নাই তো।

,,,,,,,,আল্লাহ,, মেয়েদের মন পাওয়া যায় কিন্তু এদের বিশ্বাস কোনো দিন পাওয়া যায় না।

,,,,,,,,আচ্ছা কোন গালে কিস করছে তোমাকে শুনি।

,,,,,,,, বাম গালে।

,,,,,,, বাহহ এটাও মনে রাখছো।

,,,,,,,,, আল্লাহ উঠিয়ে নাও, আমাকে না সব কিটনাপারদের।

রুহি তার ওড়নাটা দিয়ে রিমানের গাল ধরে মুছতে থাকে, গ্লাসে থাকা পানির মধ্যে ওড়না ভিজিয়ে মুছতে থাকে।

,,,,,,,,,, কি করছিস তুই।

,,,,,,,,, ওর কিস মুছছি।

,,,,,,,তোর কি মনে হয় আমি গোসল করি না, নাকি মুখ ধুই না। এটা এখনো লেগে আছে নাকি।

,,,,,,,,,,, আমার আত্মার শান্তির জন্য মুছছি।(জোরে জোরে ঘষে)

,,,,,,,,, ভাই হয়ছে,, আমার চামরা উঠে যাবে যেভাবে ঘষছিস।

,,,,,,,,আচ্ছা এটা বলো আমাকে কতো বার কিস করছো।মনে আছে এটা তোমার।

,,,,,,,থাকবে না কেনো, মাত্র দুইবার (মুখ বেকিয়ে)

,,,,,,,,, জ্বী না,,, তিন বার করছো, জানতাম বলতে পারবা না।

,,,,,,,, জ্বী না, দুবার করছি,, আর বাকওটা মনে হয় তুই স্বপ্নে দেখছস,,এমন স্বপ্ন আমি প্রতিদিন দেখো, আরো অনেক কিছু দেখি,শুনবি।

,,,,,, না থাক লাগবে না। তিন বার কিস করছো, মাতাল অবস্থায় আমাকে প্রথম কিস করছিলা।

,,,,,,,,হেহহহ,, সত্যি,, আমার মনে নাই কে।

,,,,,,,কারন তুমি হুশে ছিলা না।

,,,,,,,,, বলিস নি কেনো।

,,,,,,,ভেবে দেখো কেনো বলিনি৷

,,,,,,, ইশশ কেনো যে মনে নেয়,, আচ্ছা ঐটা কি আবার রিপিট করা জাবে,, না আরকি জানতাম কেমন লেগেছিলো।

,,,,,,, সেটাপ,,, চুপচাপ বসে থাকো।

,,,,,,,হুমম ওকে,, সবি গরিবের কপাল।
,,,,,,,,,,

আহান গাড়ি নিয়ে সব জায়গায় খুঁজে যাচ্ছে, পুলিশ ও খুঁজছে। আহান অনেক লোক ও লাগিয়েছে কিন্তু পাচ্ছে না। আহান বার বার রিমানকে ফোন করছে কিন্তু পাচ্ছে ফোনে।

আহান,,,,,,,,,, শালা আমার বোনকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার আর সময় পেলো না,, আচ্ছা নিয়ে গেছে তো গেছে আমাকে তো বলতে পারতো। আর আমার ফোনটাও তো ধরতে পারতো। পাইলে বুঝামু মজা।

আহান এই রাতে সব জায়গায় খুঁজে যাচ্ছে কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না। খুঁজতে খুঁজতে সকাল হয়ে যায় প্রায়।

আহান,,,,,,,,,,দিয়ার কিছু হলে আমি কাওকে ছাড়বো না,, না জানি কোথায় নিয়ে গেছে৷ যারা নিয়ে গেছে তারা মানুষ মারার আগে দুমিনিট ভাবে না। কিন্তু এতো কড়া গার্ড থাকার সর্তেও নিয়ে গেলো কিভাবে। আম সিউর গার্ডের মধ্যে কোনো গন্ডগোল আছে।

আহান হতাশা হয়ে বাসায় যায়। সেখানে তার বাবা মা কান্না করছে। আহান যেতেই তার মা তাকে ধরে বলে,,,,,, আহান রুহিকে পাওয়া যাচ্ছে না। কোথায় ও।

আহান,,,,,,, (ইশশ কি বলবো এখন) মা রুহিও কিটনাপ হয়ে গেছে।

মা,,,,,,, কিহহহ,, আল্লাহ এখন কি করবো।

মানিক,,,,,,,,, রিমান ভাইয়া কোথায়।

আহান,,,,,,,সেও কিটনাপ হয়ে গেছে। মানিক তুই গিয়ে এই বাড়ির সব সিসি ফুটেজ দেখেছিস বলেছিলাম যে।

মানিক,,,,,,,,, কিভাবে দেখবো ভাইয়া বাড়ির সিসি ক্যামেরা তো কে জানি নষ্ট করে দিয়েছে। আর বাহিরের ক্যামেরাও।

আহান,,,,,,,,, বাড়ির ক্যামেরাও নষ্ট করে দিয়েছে, তাও আবার গায়ের হলুদের দিন, কেও তো সাহায্য করেছে, এখানে সব প্যান করা।

মানিক নতুন যতো গার্ড আছে সবাইকে আমার রুমে নিয়ে আসো।

মানিক,,,,,,,,, কিভাবে আনবো সবাই তো তোমার সাথে সাথে বেরিয়ে গেলো।

আহান,,,,,,,,,,কিহহহ। আমার সন্দেহই ঠিক।

আহান কাকে যেনো ফোন করতে করতে তার রুমের দিকে যায়।

মানিক,,,,,,,,, কালকে কি কিটনাপ ডে ছিলো নাকি যে সবাই কিটনাপ হয়ে গেছে।

একটু পর আহান মোবাইল নিয়ে বেরিয়ে যেতে থাকে,, মানিক ডাক দেয়।

মানিক,,,,,,, ভাইয়া আমিও যাবো।

আহান আর মানিক বেরিয়ে পড়ে।
,,,,,,,,,,,
দিয়া চোখ খুলে নিজেকে বাঁধা অবস্থায় পায়।

দিয়া,,,,,,,, কোথায় আমি,, আমাকে বেধে রেখেছে কে, কেও আছেন হ্যালো।

দিয়া ছটফট করছে রশি খুলার জন্য। ছটফট করতে করতে চেয়ার সহ পরে যেতে নেয় একজন পিছন থেকে ধরে ফেলে।

,,,,,,,, আরে আরে কি করছো, পড়ে গেলে অনেক ব্যাথা পাবে, আর তুমি ব্যাথা পেলে আমার ব্যাথা লাগবে।

দিয়া,,,,,,,,, কন্ঠ অনেক চিনা চিনা লাগছে কে তুমি সামনে আসো।

,,,,,,,,,, আমাকে দেখার এতো তাড়া কিসের, আমি তো তোমারি। আর সবচেয়ে বড় কথা, না থাক সে পড়ে বলবো,নাকি দেখাবো,বুঝছিনা কি করবো।

,,,,,,,, দেখেন আপনি যে মাডার করেছেন, আমি কিন্তু কাওকে দেখিনি, আমি আপনাকেও দেখিনি।

,,,,,,,,জানি আমি।

,,,,,,জানেন মানে।

,,,,,,,সেটা আমি অনেক আগেই বুঝে গেছি।

,,,,,,,,, তাহলে আমার পিছনে পড়ে আছেন কেনো।

,,,,,,,,,, কারন আমি তোমাকে ভালোবাসি,, আমার মন এসে গেছে তোমার উপর।

,,,,,,,,,,, কিহহহ,,,আপনি আমাকে মারার জন্য আনেন নি।

,,,,,,,, একদমি না,, তোমাকে মারলে আমি বাঁচবো কিভাবে। যত তোমার কাছে এসেছি ততো তোমাকে ভালো লেগে গেছে।

,,,,,,,,, সামনে আসুন, আপনি আমার। সাহস থাকলে সামনে আসুন।

,,,,,,,, সাহস তো আমার অনেক আছে। সামনে আসলেই বুঝতে পারবে।

লোকটি দিয়ার সামনে যায়, দিয়া অভাক হয়ে যায়। দিয়া কিছু ক্ষন বুঝার চেষ্টা করে।

,,,,,, আ আ আপনি।

,,,,,, হ্যাঁ আ আ আমি,অভাক হলে নাকি।

,,,,,,,, মানে আমি তো কিছু বুঝতে পারছি না, এটা কিভাবে সম্ভব।

,,,,,,,,,,,, এই দুনিয়াতে সব সম্ভব।

,,,,,,,,,,,আপনি একটা ক্রিমিনাল বিশ্বাস হচ্ছে না।

,,,,,,,,, অনেক বড়ো ক্রিমিনাল, চেহেরা দেখে বুঝা যায় না তাই না। যতোটা মাছুম আমাকে দেখা যায় তার থেকেও বেশি হিংস্র আমি।

,,,,,,,,আহান আপনাকে ছাড়বে না।

,,,,,,,,, ইশশশ এই নামটা নিয়ো না, রাগ হয়, কবে তুমি আমার বউ হতে কিন্তু ওর জন্য এতো লেইট হয়েছে। আর ও কিছু বুঝলে তো আমার কিছু করবে।

চলবে,,,,,,,

ভালো লাগলে like, comment করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here