রজনীগন্ধা, পর্ব:১১

0
860

রজনীগন্ধা -১১
অলিন্দ্রিয়া রুহি

গাড়ি চলছে মোতালেবের দেওয়া মধ্যম গতিতে। ব্যাক সিটে মাথা এলিয়ে দিয়ে চোখ দুটো বুঝলো আদ্র। প্রচন্ড ঘুম ঘুম পাচ্ছে তার। এই কয়দিনে বারো-তেরো ঘন্টা শুধু শ্যুটের উপরেই ছিল সে। বাকি যেটুকু সময় পেয়েছে, সেটুকু কাজে লাগিয়েছে রজনীর কথা ভাবার জন্যে। এর মধ্যে ঘুম হয় নাকি? তার উপর নাছির মিয়া যা বলেছে, তাতে আরও ঘুম চলে গেছে আদ্র’র। নাছির উদ্দীনের থেকে রজনীর সব খবরাখবর নিয়েছে আদ্র। তার মাধ্যমেই জেনেছে, রজনীর মনে চলা অস্থিরতা সম্পর্কে। মানুষ তার প্রতি অস্থির হয়, যাকে নিয়ে অন্যরকম ভাবনা-চিন্তা,অনুভূতি কাজ করে। তবে কী তার জন্য রজনীর মনেও অন্যরকম অনুভূতির মেলা বসেছে?
ঠোঁটের কোণ প্রসারিত করে মুচকি হাসে আদ্র। নেত্রের পর্দায় রজনীর কৃষ্ণাভ বদন ভেসে উঠতেই আদ্র চোখজোড়া মেলে তাকাল। ফোন বাজছে। খানিকটা বিরক্তি নিয়েই নাছির উদ্দীনের ফোন ধরল সে।

-হ্যালো।

-স্যার, এদিকে একটা সমস্যা হয়ে গেছে।

-কী সমস্যা?!

-মুক্তি ম্যাডাম…

-হুম?

-মুক্তি ম্যাডাম আপনার বাসায় এসেছে স্যার। ডাইনিং রুমে বসে আছে। সঙ্গে রজনী মা-ও আছে। আমি সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম, কিন্তু মুক্তি ম্যাডাম এমন ভাবে আমাকে বলল একটু স্পেস দিতে তাদের, আমি না দিয়ে পারলাম না।

-হোয়াট!!
চেঁচিয়ে উঠল আদ্র।
-মুক্তি আমার বাড়িতে ঢোকার সাহস পেল কী করে? আর ঢুকলোই বা কীভাবে?

-আমি তো ঢুকাইনি স্যার। আমি ছিলামও না। দারোয়ানকে একপ্রকার হুমকি ধামকি দিয়ে ঢুকেছে। বলছিল আপনার সাথে খুব ইম্পর্ট্যান্ট কথা আছে নাকি। আপনি নেই শুনতে বলল, রজনী মায়ের সঙ্গে কথা আছে। আমি এখন কী করব স্যার?

-আপনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আঙুল চুষুন। ব্লাডি পিপলস!!

ফোন কেটে ফোঁস করে একটি নিঃশ্বাস বাতাসে মিশিয়ে দিয়ে মোতালেবকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করল আদ্র,
-কতক্ষণ লাগবে ঢাকা পৌঁছোতে?

-ঘন্টা তিনেক স্যার।

নিভে গেল আদ্র। একটা হেলিকপ্টারের প্রয়োজনীয়তা দারুণ করে অনুভব করল সে। তার বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে মুক্তি চলে যাবে। নইলে আজকে মুক্তিকে একদফা দেখে তবেই ছাড়তো। কিন্তু মুক্তির হঠাৎ আসার পেছনের রহস্য কী? আর সে এসেই রজনীর সঙ্গে কী এমন গোপন আলোচনায় গেল? মিডিয়ায় আদ্র’র প্রপোজ করা আর রজনীর অজ্ঞান হওয়ার ব্যাপারটা ভালোই ভাইরাল হয়েছে বলতে হয়! সোজা মুক্তি অবধি খবর পৌঁছে গেছে!

গাঁট হয়ে বসে রয়েছে রজনী। একরাশ অস্বস্তি খেলা করছে তাকে ঘিরে। সে এখনো বুঝতে পারছে না, তার সঙ্গে কী কথা বলতে চায় এই সুপারস্টার?

কফি মগ সেন্টার টেবিলের উপর রেখে এক পায়ের উপর আরেক পা তুলে, পেছনে হেলান দিয়ে আয়েশী কায়দায় বসল মুক্তি। তার পরনে ডার্ক ব্লু ডেনিম জিন্স, লেমন কালারের ঢোলা একটি টি-শার্ট। চুলগুলো শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপনের মতো সুন্দর। ছবিতে যতটা সুশ্রী লাগে দেখতে, তার চেয়েও বহুগুণ সুন্দর বাস্তবে। একেবারে আগুন সুন্দরী.. মনটা খারাপ হয়ে এলো রজনীর। কোথায় মুক্তি, আর কোথায় সে! মুক্তির মতো সুন্দরীর থেকে মন উঠে গিয়েছে যার, তার মন যে রজনীর থেকেও উঠে যাবে না, গ্যারান্টি কী? অবশ্য মুক্তির থেকে মন উঠে যাওয়ার পিছনে কারণ ছিল। তবুও.. একটা হীনমন্যতার সৃষ্টি হচ্ছে রজনীর বুকের মাঝটায়। নিঃশব্দে বুক ভেঙে একটি দীর্ঘশ্বাস গড়িয়ে পড়তেই মুক্তি বলে উঠল,
-তা তোমাকেই বিয়ে করতে রাজী হয়েছে আদ্র? সিরিয়াসলি? নাকি যাস্ট মিডিয়ায় তোলপাড় ঘটানোর জন্য?

মুক্তির কথা বলার ধরনটা পছন্দ হলো না রজনীর কাছে। কেমন একটা অহংকারী অহংকারী ভাব, কটাক্ষতা স্পষ্ট।
ভ্রু জোড়া কুঁচকে একটু শক্ত করেই বলে উঠল রজনী,
-সেটা উনাকেই জিজ্ঞেস করুন। আমি জানি না।

-বাব্বাহ! এর মধ্যে আবার উনি উনিও হয়ে গেছে?

-দেখুন, আপনি যদি দিব্যি আপনার লাইফ এনজয় করতে পারেন, তাহলে উনি কেন পারবেন না? আপনি বিয়ে করেছেন। উনার ইচ্ছে হলে উনিও করবেন। আপনাদের রাস্তা তো আলাদা.. তাই না?

চোখেমুখে কাঠিন্যতা ভর করল মুক্তির। শিরদাঁড়া সোজা করে বসল সে। ভস্মীভূত চাহনি নিক্ষেপ করে রজনীকে বলল,
-তোমাকে দেখে যতটা নিরীহ বলে মনে হয়, আসলে অতটা নিরীহ তুমি না।

কথার প্রতুত্তরে হেসে ফেলল রজনী।
মুক্তি কঠিন স্বর নাড়িয়ে বলল,
-যাইহোক, তোমরা যা ইচ্ছে তাই করো, আই ডোন্ট কেয়ার!! আমি এসেছি একটা অন্য কাজে।

-কী কাজ?

-আমার মেয়েকে আমি নিয়ে যেতে চাই।

প্রথম কয়েক সেকেন্ড স্তব্ধ, পরবর্তী কয়েক সেকেন্ড বাকরুদ্ধ রজনী ফ্যালফ্যাল চোখ জোড়া বলের মতো গোল গোল করে তাকিয়ে রইল মুক্তির দিকে। মুক্তির ধারণা, এই মুহূর্তে রজনী ভীষণ উত্তেজিত হয়ে চিল্লাচিল্লি করে ফেলবে। যতটুকু শুনেছে, তাতে বুঝেছে অর্থি আর রজনীর মধ্যকার মিলমিশ অনেক দূর অবধি গড়িয়েছে! ওষ্ঠদ্বয়ের ফাঁক গলে একচিলতে ‘নাই নাই’ ধরনের হাসি দেখা দিতে না দিতেই হো হো করে হেসে উঠল রজনী। থতমত খেয়ে কপাল কুঁচকে ফেলল মুক্তি। ভেতরে জন্ম নেওয়া হতচকিত ভাবখানা রজনীর সামনে না প্রকাশ হয়ে যায়, এই ভয়ে দ্রুত নিজেকে সামলে নিলো সে। পূর্বের চেয়েও কঠিন করে বলল,
-হাসছো কেন? আমি হাসির কী বলছি?

-শিয়াল এসে বলতেছে, আমাকে মুরগী দেন। আমি হাসবো না?

-কী বললে! আমি শিয়াল?

বিস্ফোরিত চোখজোড়ায় বিস্ময়ের ঝলকানি। ঠোঁট টিপে হাসিটুকু আঁটকানোর বৃথা চেষ্টা চালায় রজনী। বলল,
-না, না, আপনি শিয়াল হতে যাবেন কেন! আমি কথার কথা বললাম!

মুক্তি উঠে দাঁড়াল। হাতের মুঠো মুষ্টিবদ্ধ করে নিয়ে বলল,
-তোমার সাথে কথা বলাই বৃথা। এর চেয়ে আদ্র ফিরুক, ওর সঙ্গেই না হয় কথা বলব আমি।

-আরে, বসুন না.. আমার দুটো কথা শুনে যান।

-নট ইন্টারেস্টেড।

-তবুও আপনাকে শুনতে হবে। বসতে হবে না, দাঁড়িয়েই শুনুন।

রজনী নিজেও উঠে দাঁড়াল। হাসি হাসি ভাবটা পুরোপুরি কেটে গেছে মুখ থেকে। রোষপূর্ণ কণ্ঠে বলে উঠল,
-এই কথা একবার উচ্চারণ করেছেন, করেছেন। নেক্সট টাইম আপনার মুখ থেকে এই ধরনের কথা শুনলে আমি তো কী, পাবলিকও জুতো মারবে আপনার মুখ বরাবর। আপনি মা? মা নামের কলঙ্ক যেন কোথাকার! জন্ম দিয়ে অন্য পুরুষের সঙ্গে ধেই ধেই করে নেচে বেরিয়েছে। আজ এতদিন পর এসেছে উনার মেয়েকে নিতে! শুনুন, অর্থি আপনার মেয়ে না। ও আদ্র সাহেবের মেয়ে। আর আমার.. আমার মেয়ে। আমাদের মেয়ে অর্থি। জন্ম দিলেই মা হওয়া যায় না। বুঝেছেন?

-মুখ সামলে কথা বলো তুমি! কত্তোবড় সাহস! আমার মুখের উপর এধরনের কথা বলা!

-আরও বলতে পারি। শুনতে চান? না শুনতে চাইলে কেটে পড়ুন এখান থেকে। এক্ষুনি… আর…

আঙুল তুলে শাসানোর ভঙ্গিতে বলে উঠল রজনী,
-আর কক্ষনো আমাদের পরিবারের দিকে নজর তুলেও তাকাবেন না। আপনি সুপারস্টার, সেটা পৃথিবীর চোখে। আমার চোখে একজন নোংরা মহিলা… লোভী মহিলা.. পাপী মহিলা। আপনার মতো মহিলাকে ‘মা’ হিসেবে কখনো মানাবে না। আল্লাহর রহমত ছিল, তাই অর্থি আপনার থেকে বেচে গিয়েছে।

-তোমাকে আমি দেখে নিব রজনী। কেস করব আমি.. অর্থিকে আমার কাছে নিয়ে তবেই ছাড়ব।

-যা ইচ্ছে করুন। অর্থি কোত্থাও যাচ্ছে না।

এ যেন সাপুড়ে আর সাপের নিরব স্নায়ুযুদ্ধ। দু’জনে দু’জনের দিকে রোষানলে দগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইল নিষ্পলক কয়েক সেকেন্ড। তারপর মুক্তি গটগট আওয়াজ তুলে বেরিয়ে গেল ঘর ছেড়ে। শূন্যে দীর্ঘশ্বাস মিলিয়ে দিয়ে রজনীও এগোলো অর্থির রুমের উদ্দেশ্যে।

-আম্মা, গেলাম তাইলে।

জহুরা বেগম অভির কথার প্রত্যুত্তরে মুখ ঘুরিয়ে নিলেন। আনিকা শুভ’র দিকে একবার তাকিয়ে অভিকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠল,
-তোমার ভাইয়ের থেইকা কিছু শিক্ষা নাও অভি। বয়স তো কম হয় নাই। প্রথমে কী একটা মাইয়া ধইরা আনলা, বাচ্চাকাচ্চা হয় না। এখন আবার আম্মায় ভালো বুইজা একটার লগে বিয়া দিল, সেইটারে কই টাইট দিয়া রাখবা। তা না, তার কথায় কথায় তাল মিলাইয়া নাচো!! এইটা কোনো কথা অভি? তুমিই কও। আম্মার বয়স হইছে না? এখন এই শেষ বয়সে আইসা নিজের সংসার ভাঙতেছে দেখা কতটা কষ্টের, বুঝতে পারতেছো তুমি?

শুভ বলল,
-তুমি চুপ থাকো। ওর ভালো ওরে বুঝতে দাও।

-কীসের ভালো? এর মধ্যে ভালোটা কই পাইলা তুমি? একজনে ভুল করতেছে, তারে না বুঝাইয়া তুমি আরও তাল দিতেছো।

-তো কী করব? আম্মাও নাছোরবান্দা আবার ওই মেয়েও মানাইয়া চলবে না। তাইলে ও-ই বা করব কী?

-ক্যান? বউরে টাইট দেওন যায় না? আমি এখন অবধি আম্মার মুখের উপর একটা কথা কইছি? বাসর রাতেই তুমি আমারে কইয়া দিছিলা, এই বাসায় থাকতে হইলে আম্মার মন জুগাইয়া চলতে হইবো। মনে আছে সেইটা তোমার? আমার বাপেও তো কম দেয় না। মানলাম দোলার বাপের মতো এত টাকা দেয় না, কিন্তু জিনিসপত্র দেওনে কমতি রাখছে কোনো? আবার প্রতি বছরেই তোমারে এইটা ওইটা দেয়। গরমে ফল দেয়, শীতে পিঠা পাঠায়। রোজায় ঈদ বাজার দেয়। আর চাও টা কী? তারপরও আমি মন জুগাইয়া চলতেছি না? তাইলে দোলা এমন কী হইয়া গেছে যে ও মন জুগাইয়া চলতে পারব না?

শুভ আমতা আমতা করে বলল,
-সবাই তো এক না আনিকা।

-হ, এখন এইটাই কইবা। আর কওনের আছে কিছু?

আনিকা আরও কিছু বলতে চাচ্ছিল, তার আগেই জহুরা বেগম উঠে দাঁড়ালেন। অভি মাথানিচু করে দাঁড়িয়ে ছিল। তার হাতে কাপড়চোপড়ের ছোট্ট একটা ব্যাগ। বাদবাকি সব জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে নতুন ঘরে। জহুরা বেগমকে শেষবারের মতোন বলেই চলে যাবে অভি। জহুরা বেগম ঠান্ডা গলায় বললেন,
-যাইতাছো, যাও। শুইনা রাখো, এই বাড়িটা তোমগো আব্বা আমার নামে লেইখা দিয়া গেছিলো। এই বাড়ির তিন ভাগের দুই ভাগ আমি তোমার বড় ভাই শুভরে দিয়া দিলাম। আর একভাগ পাইবা তুমি।

অভি চমকে মায়ের মুখপানে তাকাল। শুভ আর আনিকা মিটিমিটি হাসছে। ওরা আগে থেকেই জানত, মায়ের মনের মধ্যে রাগের যেই বীজ জন্মিয়েছে ছোট ছেলের প্রতি, তাতে একটু পানি ঢাললেই চলবে। আর সেটাই করেছে দু’জনে যুক্তি পরামর্শ করে। অভি অস্ফুটস্বরে বলার চেষ্টা করল,
-আম্মা!

কিন্তু তার মুখ দিয়ে স্পষ্ট ভাবে শব্দ বের হলো না। হতবিহ্বল চোখে সে তাকাল বড় ভাইয়ের দিকে। শুভ মিনমিনিয়ে বলল,
-এগুলা কী কইতাছেন আম্মা! বাদ দেন।

অভিকে দেখানোর চেষ্টা, যাতে অভি না বুঝে যায় এই সম্পত্তির উপরে তার ভাইয়ের শকুনের নজর রয়েছে অনেক বছর আগে থেকেই। একমাত্র মায়ের কারণে কিছু থেকে কিছু করতে পারছিল না। দু’ভাগ পাওয়া হয়ে গেছে। অভিকে ভুজুংভাজুং দিয়ে বাকিটুকু নিতে পারলে এপার্টমেন্টের লোকদের দিয়ে দিবে। কয়েকটা ফ্ল্যাট পেলেই চলে যাবে আরামসে তার.. তখন কাজও করতে হবে না। বসে বসে খাওয়া যাবে বছরের পর বছর। যে বড় জায়গা… বিশাল এপার্টমেন্ট হবে এখানে!

জহুরা বেগম রুমের মধ্যে ঢুকে গেলেন। শুভ এগিয়ে এসে অভির কাঁধের উপর হাত রেখে বলল,
-তুই চিন্তা করিস না। রাগের মাথায় বলছে আম্মা।

-আম্মা এক জবানের মাইয়া।

-তাও চিন্তা করিস না তুই।

কথার মাঝখানে ফোড়ন কাটলো আনিকা,
-তোমার শ্বশুরের কম আছে নাকি? তুমি বেহুদা চিন্তা করতাছো ক্যান অভি?

অভি এই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ব্যাগটা শক্ত করে চেপে ধরে ক্ষীণ স্বরে বলল,
-আসি ভাবি।

-দোয়া করি, তোমগো সংসার সুখের হোক।

রাস্তা ধরে হাঁটার সময় একটা দোকানে ঢুকলো অভি। সিগারেটের তৃষ্ণা জেগেছে তার। দোকানে লোক গিজগিজ করছে। ছোট্ট একটা টিভিও চলছে এক কোণে। সেদিকেই নজর সবার। অভি বিরক্তমুখে সিগারেট ধরিয়ে পকেট থেকে টাকা বের করল। দোকানীর দিকে টাকাটা বাড়িয়ে ধরার সময় তার চোখ গেল টিভিতে ভেসে ওঠা রজনীর মুখের উপর। ঘর্মাক্ত নাকের উপর জল ফোঁটাগুলো পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। তাকে এত বিভ্রান্ত আর হতচকিত মনে হচ্ছে কেন? মনোযোগ দিলো অভি। আদ্রকে ফুলের তোড়া সমেত হাঁটু গেড়ে রজনীর সামনে বসতে দেখে এবার অভি নিজেই বিভ্রান্তিতে পড়ল।

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here