#যদিও_অসময়ে_এসেছো_তুমি
#লেখিকা_সুমাইয়া_সেহরিন_সুইটি
#পর্ব_১৬
রাফিয়া আহমেদ ছেলের খুশি দেখে মনে মনে শান্তি অনুভব করছে।সকালে ঘুম থেকে উঠেই ডেকুরেটরের লোকজন নিয়ে বাড়ির বাহিরে এবং ভিতরে ডেকুরশন করাচ্ছে।সাহিল কে এখানের দায়িত্ব সব বুঝিয়ে দিয়ে সাফরান তার মায়ের কাছে গেলো “মা আমি ফুপি বাড়ি যাচ্ছি,ওখানের কাজ গুলো ফুপি একা পারবে না”
—আচ্ছা যা,,আর শোন কী ফুপি ফুপি লাগিয়ে রাকছিস আজকের পর থেকে আতিয়াকে মা ডাকতে হবে।
সাফরান মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো তারপর বাইক ছুটিয়ে উধাও।রাফিয়া আহমেদ প্রফুল্ল মন নিয়ে কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন।
—————–
সকাল সকাল সাফরান’কে দেখে আতিয়া রহমান ও স্নিগ্ধা বেশ অবাক হয়ে যায়।সাফরান সাথে করে কয়েকজন ডেকুরেটর এর লোক নিয়ে এসেছে।আতিয়া রহমান থেকে অনুমতি নিয়ে সাফরান কাজ শুরু করে দেয়।বাড়ির গেইট এর ডিজাইন অবশ্য স্নিগ্ধার পছন্দ অনুযায়ী ছিলো।পাশেই দাড়িয়ে সাফরানকে সাহায্য করছিলো স্নিগ্ধা। কে বলেছে তারা একা,সাফরান তাদের কখনোই একা অনুভব করতে দেয় নাই।আনন্দে আতিয়া রহমানের চোখে অশ্রু চলে আসে। বেশ ঘটা করে বিয়ে করবে না বলেছে দুজনে।খুবই কম সংখ্যাক আত্মীয় ও কিছু এতিম শিশু দের নেমন্তন্ন দিয়েছে সাফরান।
স্নিগ্ধা মুগ্ধ নয়নে সাফরানের কাজ দেখছিলো।
“ভাইয়া,সাহিল কে নিয়ে আসো নাই কেনো”
—বাড়িতে কাজ আছে না ওর। আসতে চেয়েছিলো সবাই এখানে আসলে বাড়ির কাজ গুলো কী তুই করবি?
—দরকার হলে তো করতেই হবে।আপন মানুষদের কাজ করতে অলসতা আসে না আমার।
—তাই বুঝি এখন বাড়ির ভেতর যেয়ে ফুপি কে কাজে সাহায্য করেন মিসেস আহমেদ,,,
সাফরানের কথায় স্নিগ্ধা লজ্জায় লাল হয়ে যায় তারপর দৌড়ে বাড়ির ভেতর চলে যায়।সকাল থেকে দুপুর অবধি সকলে কাজ করে। স্নিগ্ধা কিছুক্ষণ পর পরই সাফরানের জন্য পানি,চা,জুস নিয়ে আসে। বাড়ির গেইট,বিয়ের স্টেজ সব ডেকুরেশন করা হয়ে গেলে বাবুর্চির সাথে কথা বলে খাবারের সব আয়োজন করে নেয় সাফরান।
স্নিগ্ধার চাচাতো,ফুফাতো ভাই বোন সকলে চলে আসায় সাফরান স্নিগ্ধাকে বলে বাড়িতে চলে আসে।বাকি কাজ সবাই মিলে সামলে নিতে পারবে।
সন্ধ্যা হতে হতেই সব আত্মীয় মেহমান আসতে শুরু করে,বউ সেজে ব্যল্কনিতে দাঁড়িয়ে স্নিগ্ধা সাফরানের অপেক্ষা করতে থাকে “কবে তার দুলে রাজা আসবে” কিন্তু সময় যেন নড়ছেই না।কাজিন,ও ফ্রেন্ডস সবাই স্নিগ্ধাকে নিয়ে মজা করছে। বাড়ি ভর্তি মানুষ। স্নিগ্ধা মোবাইল নিয়ে ছাদে চলে আসে।তারপর কয়েকটা সেলফি তুলে সাফরান কে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠায়।সাথে সাথে সি’ন করে সাফরান। স্নিগ্ধা সাফরানের সাথে চ্যাটিং করায় ব্যস্ত কখন তার সামনে ফাহিমা এসে দাড়িয়েছে স্নিগ্ধা খেয়াল করে নাই।
—আই’ম সো সরি স্নিগ্ধা।
ফাহিমার কথায় স্নিগ্ধা মাথা তুলে সামনে ফাহিমাকে দেখে অবাক হয়ে যায়।ফাহিমাকে বিষ্ময়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে আবারো বলে উঠে ” তোমাদের মাঝে আমার আসা উচিৎ ছিলো না সরি স্নিগ্ধা পারলে আমাকে মাফ করে দিও,আমি শুধু আমার কথাই ভেবে গেছি তোমাদের কথা ভাবি নাই।প্লীজ স্নিগ্ধা মাফ করে দাও আমাকে” ডুকরে কেদে উঠে ফাহিমা।স্নিগ্ধা ফাহিমাকে এভাবে কাদতে দেখে বলে ” দেখো ফাহিমা তুমি তোমার জায়গায় ঠিক ছিলে,তুমিও তো ভালোবেসেছো,কিন্তু সেটা ছিলো এক তরফা যে ভালোবাসা কখনো পূর্নতা পাবে না,সেই ভালোবাসায় নিজেকে জড়ালে কষ্ট তোমারই বেশি হবে” স্নিগ্ধা ফাহিমা কে জড়িয়ে ধরে কিন্তু সাথে সাথে ফাহিমা স্নিগ্ধাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়।স্নিগ্ধা ছাদের রেলিং ধরে ঝুলে আছে।ভয় ও আতংকে স্নিগ্ধার চোখ বড় হয়ে আছে।ফাহিমা হোহো করে হেসে উঠে ” মাফ করে দিও স্নিগ্ধা,আমাদের মাঝখান থেকে তোমাকে চিরতরে সরিয়ে দিলাম।ওপারে ভালো থাকিও,” কথাটা বলে ফাহিমা ছাদ থেকে নেমে যায়।এদিকে স্নিগ্ধা চিৎকার করে সবাইকে ডাকতে থাকে কিন্তু সবাই নিচে ব্যস্ত থাকায় স্নিগ্ধার চিৎকার কেউ শুনতে পায় না।স্নিগ্ধা আর রেলিং ধরে রাখতে পারছে না। নিচের দিকে তাকাতেই বুকটা কেপে উঠছে স্নিগ্ধার।
অন্যদিকে সাফরান স্নিগ্ধা কে খোজতে খোজতে হয়রান।কোথাও স্নিগ্ধা কে দেখতে না পেয়ে চিন্তিত হয়ে পরলো তখনি কিছুক্ষণ আগে দেওয়া স্নিগ্ধার ছবির কথা মনে হলো।ছবি গুলো স্নিগ্ধা ছাদে তুলেছে তার মানে স্নিগ্ধা এখন ছাদে আছে।সাফরান দৌড়ে ছাদে এসে স্নিগ্ধা কে দেখতে পেলো না।সাফরান স্নিগ্ধার নাম ধরে কয়েকবার ডাকতেই।
স্নিগ্ধার কান্না ভেসে আসলো।সাফরান ছাদের কিনারে যেতেই স্নিগ্ধা কে রেলিং ধরে ঝুলে থাকতে দেখলো। চিৎকার দিয়ে উঠলো সাফরান। স্নিগ্ধা এখানে কীভাবে।দ্রুত স্নিগ্ধা কে টেনে তুললো।স্নিগ্ধার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আছে।স্নিগ্ধাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো সাফরান “তুই ঠিক আছিস তো স্নিগ্ধা”
স্নিগ্ধা মাথা তুলে তাকালো।তারপর সাফরান কে জড়িয়ে ধরে কাদতে শুরু করলো।স্নিগ্ধা সাফরানকে সব খুলে বললো।সব শুনে সাফরান রাগে ফেটে পরলো। স্নিগ্ধার হাত ধরে নিচে নিয়ে আসলো সাফরান।ফাহিমা তাদের দুজনকে এক সাথে দেখে চমকে উঠলো।সাফরান রাফিয়া আহমেদ কে বললো “এখনি বিয়ের সব নিয়ম শুরু করতে” ফাহিমা ও বক্কর আহমেদ একে অপরের দিকে তাকিয়ে চোখ নিচু করে নিলো।
——————–
বাসর ঘরে হাজারো ফুলের সাথে কথা বলছে স্নিগ্ধা। সাফরানের কবুল বলার প্রতিধ্বনি হচ্ছে এখনো কানের মাঝে।কী দ্রুত সে কবুল বলেছিলো তা শুনে সবাই হেসে দিয়েছে। সাফরানের চিরচেনা সেই বাইকে করেই স্নিগ্ধা এ বাড়িতে আসে। তাদের দিকে তাকিয়ে থাকে সবাই।বাইকে করে বর বউ কে নিয়ে যাচ্ছে। এরকম মূহুর্ত তাদের জীবনে কখনো আসবে এ তো এক সময় কল্পনা ও করে নাই।মামাতো ভাই থেকে বর হয়ে যাবে ওই রোবট লালচোখ ওয়ালা কল্পনার বাইরে ছিলো।যাকে সহ্যই করতে পারতো না আজ তাকে ছাড়া সব কিছু ফ্যাকাসে,বর্ণহীন।
স্নিগ্ধা সাফরানের অপেক্ষা করছিলো।কিন্তু এতোক্ষণ হয়ে গেলো এখনো বর মহাশয়ের আসার নাম নেই।স্নিগ্ধা মুখ বাকিয়ে বসে রইলো।
হঠাৎ দরজা খোলার শব্দে একটু নড়ে বসলো স্নিগ্ধা। সাফরান এসেছে।নিঃশব্দে খাট থেকে নামলো স্নিগ্ধা,তার সামনে সাফরান দাড়িয়ে ছিলো স্নিগ্ধা এসে সাফরানের পায়ে সালাম করতেই
হোহো করে হেসে উঠলো। হাসি শুনে চমকে উঠলো স্নিগ্ধা। এ তো সাফরানের হাসি না স্নিগ্ধা ঘোমটা তুলে সামনে সাহিলকে ভেংচি কেটে হাসতে দেখে চোখ মুখ খিচিয়ে উঠে দাড়ালো,,,
—তুই?
—আমি তো কি হয়েছে,বরের ভাই মানে অর্ধেক বর আমি আসলে দোষ কিসের,,,
—তবে’রে,?????????
কথাটা বলে শেষ করতে পারলো তার আগেই স্নিগ্ধা সাহিলকে ধাওয়া করতে লাগলো। সাহিল দৌড়ে পালালো। সিড়ি দিয়ে দৌড়াতে যেয়ে শাড়ির সাথে পা লেগে পড়তে যাচ্ছিলো স্নিগ্ধা তখনি হিরো আন্দাজে স্নিগ্ধার কোমড় জড়িয়ে ধরলো তার বর। ভয়ার্ত চোখে স্নিগ্ধা সাফরানের দিকে তাকিয়ে আছে। সাফরান তার মুখের কাছে এসে বললো ” আমি এসে ধরে ফেলবো এজন্য কী একটু বেশি অসাবধানে থাকিস?”
স্নিগ্ধা কথা বলতে পারলো না।এদিকে ঘরভর্তি মানুষ তাদের দিকে তাকিয়ে হাসছে।সাফরান সবার সামনে স্নিগ্ধা কে পাজাকোলা করে রুমে নিয়ে আসলো লজ্জায় স্নিগ্ধা সাফরানের বুকের মধ্যে মুখ লুকিয়ে রাখছে।সাফরান স্নিগ্ধাকে খাটের উপর আলতো করে শুইয়ে দিলো।সাথে সাথে স্নিগ্ধা উঠে বসলো।এক অন্যরকম শিহরণ কেপে উঠলো স্নিগ্ধার সর্ব শরীর। সাফরান স্নিগ্ধার কাছে বসে তার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।কী মিষ্টি দেখাচ্ছে স্নিগ্ধা কে লাল হিজাব,চোখে গাড় করে কাজল দেওয়া, গোলাপী রঙে রাঙানো ঠোঁট সাফরানকে তার দিকে টেনে নিচ্ছে।সাফরান ধীরে ধীরে স্নিগ্ধার আরো কাছে আসতে লাগলো।এদিকে স্নিগ্ধার নিশ্বাস ভারী হয়ে আসছে।ঘন ঘন নিশ্বাস নিচ্ছে স্নিগ্ধা।সাফরান স্নিগ্ধার ঠোঁটের কাছাকাছি আসতেই থমকে গেলো। বা হাত দিয়ে বালিশের নিচে থেকে একটা বই বের করে স্নিগ্ধার হাত দিয়ে বললো “পড়েন কাল এক্সাম,ফেল করলে তখন বাহানা হিসেবে বলবেন,বিয়ে ছিলো পড়তে পারি নাই,এই বাহানা যেন দিতে না হয়”
স্নিগ্ধা চোখ মেলে বইটার দিকে তাকিয়ে কপাল কুচকে বললো “বাসর রাতে কেউ বই পড়ে ”
—তা কী করে মিসেস আহমেদ?বলেন আমাকে আমরা তাই করবো।
স্নিগ্ধা সাফরানের দুষ্ট কথার মানে বুঝতে পেরে মুচকি মুচকি হাসলো তারপর বললো ” ইউ আর ভেরি আনরোমান্টিক” কথাটা শুনে সাফরান আগুন চোখে স্নিগ্ধার দিকে তাকালো তারপর স্নিগ্ধার চিবুক ধরে বললো ” এই কথাটা আরো একবার বলেছিলি আমাকে,মনে আছে তো সেদিন নিজেকে রোমান্টিক প্রমাণ করার জন্যে কী করেছিলাম?”
স্নিগ্ধা চোখ নিচু করে রিদ্ধির বিয়েতে করা সাফরান ও স্নিগ্ধার প্রথম কিসের সিন’টা ভাবতে থাকে।তারপর সাফরান বিয়ের শেরওয়ানি খুলে ফেলে তা দেখে স্নিগ্ধা দু হাত দিয়ে চোখ ঢেকে ফেলে।
—কী করছো তুমি ভাইয়া।
—কী করছি, সবাই যা করে বাসর রাতে তাই করবো।
—আমার ভয় করছে ভাইয়া
—কিসের ভয় আর ভাইয়া ডাকছিস কোন দুঃখে,,তোকে বলছি না তোর বর আমি শুধু সাফরান ডাকবি আদর করে জান বেবি ডারলিং ও বলতে পারিস,এই সব নামে তো তুই তোর বান্ধবীদের ডাকিস আমাকে কেনো ডাকবি?
মুখ টিপে টিপে কথা গুলো বলে সাফরান।সাফরানের নেশা নেশা চোখে স্নিগ্ধার দিকে তাকিয়ে থাকা স্নিগ্ধাকে অনেক লজ্জার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। খালি গায়ে একটা মাত্র পাতলা গেঞ্জি গায়ে দিয়ে আছে সাফরান।স্নিগ্ধা লজ্জায় আর তাকিয়ে থাকতে পারছে না। সাফরানকে টেনে সাফরানের বুকের মাঝে মুখ লুকিয়ে রাখে স্নিগ্ধা। দু হাত দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে সাফরান।এভাবে এতো কাছে স্নিগ্ধাকে কখনো পাবে তা ছিলো কল্পনার বাইরে।এখন কিছুটা লজ্জা ভেঙেছে স্নিগ্ধার।সাফরানের কাছ থেকে নিজেকে মুক্ত করে সাফরানের চোখের দিকে তাকায়,তারপর চোখে চোখ রেখে বলে
“খুব অসময়ে এসেছো তুমি, ভালোবাসা কী আগে তো বুঝিনি, কারো এতো কাছাকাছি কখনো আসিনি,,,
তুমি শিখিয়েছো,ভালোবাসা,তুমি হয়েছো আমার দামি অনুভূতি।
বেচে আছি যতোদিন থাকবো পাশাপাশি, কথা দিলাম কখনো যাবো না দূরে আমি।
ভালোবাসি নিজের থেকেও বেশি।
আই লাভ ইউ,লাভ ইউ সো মাচ সাফরান ভাইয়া”
শেষের কথা শুনে বেলুনের মতো চুপসে গেলো সাফরান।
—আমি ভাইয়া না? যা! বাসর করবো না তোর সাথে।
সাফরান অভিমান করে ল্যাপটপ নিয়ে বসে।তা দেখে স্নিগ্ধা পিছন থেকে সাফরানকে জড়িয়ে ধরে বলে “সরি আমার লাল চোখ ওয়ালা রোবট,আর ভাইয়া ডাকবো না,তবে মাঝে মাঝে ডাকবো তোমার এই রাগী রাগী চেহারা দেখার জন্যে” খিলখিলিয়ে হেসে উঠে স্নিগ্ধা। সাফরান স্নিগ্ধা কে হেচকা টান দিয়ে তার কোলে শুইয়ে দেয়।ভয়ে স্নিগ্ধা সাফরানের গেঞ্জি খামচে ধরে।সাফরান স্নিগ্ধার গোলাপি ঠোঁটে নিজের ঠোঁট স্পর্শ করাতেই কেপে উঠে স্নিগ্ধা। স্নিগ্ধার ঠোঁটে আলতো করে চুমু খেয়ে সাফরান বলে ” কাল এক্সাম’টা শেষ হোক তারপর বুঝাবো আমি রোমান্টিক কিনা, এখন যা কাপড় চেঞ্জ করে আয়,তারপর একটু করে পড়ালেখা কর।ফুপা কে আমি কথা দিয়েছি তার স্বপ্ন আমি পূর্ণ করবো।আর আমাকে তোর সাহায্য করতে হবে।
—জো হুকুম পা’তিদেব।
স্নিগ্ধা কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।বাসর রাতে তাকে কিনা পড়ালেখা করতে হচ্ছে।এমন বাসর রাত কখনো কারো হয়েছে কিনা কে জানে।তবে মনে থাকবে এই রাত’টা আজিবন।
(চলবে)
গল্পটা সবার কাছে কেমন লাগছে কমেন্টস করে জানাবেন।সবার গঠনমূলক মন্তব্য আশা করবো। আগামীকাল গল্পের অন্তিম পর্ব পোস্ট করা হবে। গল্প কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ। ধন্যবাদ সবাইকে