মন পিঞ্জর পর্ব ১০

0
952

#মন_পিঞ্জর
#লেখিকা_আরোহী_নুর
#পর্ব_১০

ভার্সিটি শেষে বাড়ি ফিরছিলো আঁখি,হঠাৎই নজরে গেলো কয়েকটা বাচ্চা কানামাছি খেলছে,আঁখিরও ওদের সাথে সঙ্গ দেওয়ার বড্ড ইচ্ছে হলো,তাই ছুটে গেলো ওদের কাছে,ওরাও আঁখিকে সঙ্গে নিলো, বাচ্চাদের সাথে আঁখি বাচ্চাদের মতোই খেলতে লাগতে,বাচ্চাদের সঙ্গ যেনো আঁখিকে খনিকের জন্য নিজের তিক্ত অতীত ভুলতে সাহায্য করলো,এদিকে তখনি সে ছোট্টো মাঠের পাশ দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলো আদৃত,হঠাৎ চোখ পড়লো আঁখির উপর,তৎক্ষনাৎ গাড়ি থামিয়ে নিলো আদৃত,আনমনে আঁখিকে নিয়ে অনেক কথা জমে উঠলো ওর।

মেয়েটাকে দেখে বুঝাই যায় না ওর জীবনে এতো কিছু ঘটে গেছে,সবকিছুই হাসিমুখে মেনে নিতে জানে।তবে কি সব হাসিমুখে মেনে নেওয়া এতোটাও সহজ?
কথাটা ভাবতেই আদৃতের স্মৃতিতে কিছু তিক্ত স্মৃতি জমা হয়,সাথে সাথেই চোখের কোনে জল খেলা করতে শুরু করে ওর,আদৃত আর সেখানে দাঁড়ায় না,গাড়ি স্টার্ট করে চলে যায়,এদিকে আঁখির চোখে কাপড় বেঁধেছে বাচ্চাগুলো আঁখি ওদের ধরতে হাত নাড়িয়ে হাঁটছে আর ওরা ছুঁটছে,আঁখিও ওদের খুঁজতে ব্যাস্ত,হঠাৎই ও কাউকে পাকড়াও করলো,কিন্তু আঁখি বুঝতে সক্ষম হলো ও কোনো বাচ্চা না বরং বলিষ্ঠ দেহী কেউ একজন,আঁখি যেনো হাতের স্পর্শেই লোকটাকে চিনতে সক্ষম হলো,চট করে চোখের কাপড় খুলে নিলো,আঁখি যা অনুমান করেছিলো তাই,সে লোকটা যে আর কেউ না সয়ং আয়ান,ওকে দেখা মাত্রই আঁখির মনে পড়ে গেলো জীবনের তিক্ত অতীতের কথা,মুখের হাসি মলিনতা পূর্ণ হলো,এদিকে আয়ান আঁখির দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে উঠলো।

এখনও তোমার সে বাচ্চামো অভ্যাসগুলো যায় নি না?তোমার এ বাচ্চামো অভ্যাসগুলোই আমার অনেক ভালো লাগতো।

আঁখি এবার মুখে বেশ বিরক্তি ভাব টাঙিয়ে বললো।

ভালোলাগার দিন শেষ মি.আয়ান রাহমান,অভ্যাস না পাল্টালেও মানুষের রুচি পাল্টে যায়,তা আপনার সাথে থেকে জানতে পারলাম আমি।

কথাটা বলে আঁখি যেতে নিলে আয়ান আবার ওর হাতটা পিছন দিক দিয়ে ধরে নেয়,আঁখি আয়ানের এমন পিছুটানে থমকে দাঁড়ায়, নিজেকে একটু শক্ত করে মুখে আবারও বিরক্তি ভাব নিয়ে ফিরে তাকায় আয়ানের ধরে থাকা স্থানের দিকে।আয়ান এবার নরম কন্ঠে বলে উঠলো।

আসলে কাল রাতের কান্ডের জন্য আমি দুঃখিত,তখন আদৃত আর তোমাকে একসাথে দেখে কেনো যেনো অনেক রাগ হয়েছিলো আর রাগের মাথায় না জানি কিসব বলে গেছিলাম,আমার তোমাকে আঘাত করার কোনো ইচ্ছে ছিলো না।

আঁখি এবার নিজের হাত টান দিয়ে ছাড়িয়ে নিলো,অতপর মুখে তাচ্ছিল্যের হাসি ফুঁটিয়ে বললো।

আমাকে অন্য কারো সাথে দেখে আপনার রাগ হওয়ার কোনো মানে হয় না মি.আয়ান।কথাটা যে পুরোই অযুক্তিক।আর যেখানে কথা আপনার কথায় আমার খারাপ লাগার সেটাও এখন আর হওয়ার না মি আয়ান,কারন মানুষ আপনজনের কথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়,আর আপনি এখন আর আমার আপন কেউ না,আপনার কোনো কথায়ই আমার এখন আর কোনো আসে যায় না।

কথাগুলো কিঞ্চিৎ আঘাত হানে আয়ানের বুকে,আয়ান কন্ঠে খনিক ব্যাথার্থ ভাব এনে বলে।

তবে কি তুমি জীবনে এগুনোর কথা ভেবে নিয়েছো?

আপনি তো অনেক এগিয়ে গেলেন, আমি কেনো পিছুটানে মন হারাবো।

কথাটা বলে আঁখি চলে গেলো,আয়ান আঁখির যাওয়ার পানে নিরাশাময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,মনের অজান্তেই আয়ানের চোখের কোনে জল খেলা করতে শুরু করলো,যার কারন ওর অজানা।এদিকে আঁখি অনেক কষ্টে নিজের চোখের জল দমন করলো আয়ানের সামনে,তারপর ওর পাশ থেকে সরে এসে চোখের বয়ে আসা জল অগোচরে মুছে নিলো।

কিছুক্ষণ পর আঁখি পিলু পিলু পায়ে ফুটপাত দিয়ে হাঁটছিলো হটাৎই লক্ষ্য করলো একজন অনেক বৃদ্ধ মহিলা ধিমি ধিমি পায়ে আরোহী বলে বলে ওর পানে একপ্রকার ছু্ঁটে আসছিলেন,আরোহী বুঝতে পারছিলো মহিলাটি শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে ওর পিছন ছুঁটে আসার চেষ্টা করছে,এদিকে মহিলাটির খেয়ালেই নেই পিছনে অনেক বড় ট্রাক উনার দিকে তেঁড়ে আসছে,আঁখি আর দেড়ি করলো না,যেহেতু ও মহিলাটির অনেকটাই পাশে ছিলো সেহেতু আঁখি চট করেই মহিলাটাকে টান দিয়ে রাস্তার মাঝখান থেকে সড়িয়ে নিয়ে এলো,ট্রাকটা পাশ কাটিয়ে চলে গেলো।

দাদিমা আপনি ঠিক আছেন?

আরোহী,আমার আরোহী,আমি জানতাম তুই আমায় ছেঁড়ে কোথাও যাবি না,তুই তোর দিদুকে ছেঁড়ে কোথায় যেতে পারিস না,তাই না?চল আমার সাথে চল,চল।আয়।

আঁখি হতবাক হয়ে গেছে মহিলাটির কথায়,কিছুই বুঝে উঠতে সক্ষম হচ্ছে না।

দেখেন আমি আঁখি,আমি আপনার আরোহী না।

চুপ একদম চুপ,অনেক পাজি হয়ে গেছিস না তুই?চল আমার সাথে,আমি জানি তুই আমার আরোহী।

আরে দিদু তুমি এখানে কি করছো, তোমাদের কি কাজে এমনি রেখেছি? দিদু তোমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কি করে কোথাও যেতে পারে?এখন যদি দিদুর কিছু হয়ে যেতো একটাকেও আসতো রাখতাম না,এবার চুপচাপ দিদুকে নিয়ে যাও।

না আমি যাবো না,আমি আমার আরোহীকে না নিয়ে যাবো না,আমাকে আমার আরোহীর কাছে যেতে দাও,ছাড়ো আমায়।

তখন নোমান এসে যায় নিজের কিছু গার্ড নিয়ে,তারপর গার্ডগুলোকে উদ্দেশ্য করে ওসব কথা বললে ওরা দিদুকে নিয়ে চলে যায়,দিদু যেতেই চাইছেন না,পাগলের মতো আরোহী আরোহী বলে চিৎকার করছেন,নোমান এবার আঁখিকে উদ্দেশ্য করে বললো।

মিস আঁখি প্লিজ আপনি কিছু মনে করবেন না,আমার দিদু একটু অসুস্থ তাই এমন করলেন।ধন্যবাদ আমার দিদুর প্রাণ বাঁচানোর জন্য,চলি।

নোমান চলে গেলো,এদিকে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না আঁখি।
_________________

আদৃত ছুঁটতে ছুঁটতে ঘরে ঢুকলো।

দিদুর কি অবস্থা নোমান?

তোমাকে তো ফোনে বলেছিলাম বিকেলে যখন আমি দিদুকে বেড়াতে নিয়ে গিয়েছিলাম তখন উনি আঁখিকে দেখে ফেলেছেন তারপর থেকেই পাগলামি শুরু করেছেন,রুমের এটা ওটা ভাঙছেন,বার বার বলছেন আরোহীকে এনে না দিলে নিজেকে শেষ করে দিবেন, দিদুর মানসিক অবস্থা সম্পর্কে তুমি ছাড়া আর কে ভালো জানে বলো ভাইয়া?আমার তো মনে হয় আঁখিকে না আনলে অনেক বড় ক্যাল্যাঙ্কারি হয়ে যাবে এবার,দিদু যদি কিছু করে ফেলেন।

কিছুই হবে না আমার দিদুর,আমি দেখছি।

আদৃত ছুঁটে গেলো রুমের ভিতর,কেউ দিদুকে আটকাতে পারছে না,দিদু এটা ওটা ছুঁড়ছেন,নিজেকে আঘাত করতে চাইছেন।আদৃত ছুঁটে গিয়ে দিদুকে জড়িয়ে ধরলো।

দিদু শান্ত হও,আমার কথা শুনো,এই দেখো তোমার দাদুভাই চলে এসেছে।

দাদুভাই,তুই জানিস আমি আজ আমার আরোহীকে দেখেছি কিন্তু কেউ ওকে আমায় আনতে দেয় নি,তুই আমার আরোহীকে এনে দে,দে না দাদুভাই।

দিদু ও তোমার আরোহী না,তুমি যাকে আরোহী ভাবছো ও আরোহী না।

ও আমার আরোহী,আমার আরোহীকে এনে দাও, নইলে আমি নিজেকে শেষ করে দিবো,আমি নিজেকে শেষ করে দিবো।

কথাটা বলে দিদু আপেলের প্লেটে থাকা ছুঁড়ি হাতে নিয়ে নেন,আদৃত দিদুর হাত থেকে ছুঁড়িটা নেওয়ার চেষ্টা করছে,এমন জরাজুরিতেই দিদু জ্ঞান হাঁড়িয়ে যান।

বেশখানিক্ষন পর,

গালে হাত দিয়ে দিদুর পানে একনজরে তাকিয়ে বসে আছে আদৃত,তখনি রুমের বাইরে থেকে নোমান ইশারা করে আদৃতকে ডাকে ওর সাথে হয়তো কিছু কথা বলতে চায় তাই,আদৃতও বেড়িয়ে যায়।

কি দেখলে ভাইয়া দিদুর হাল,এখনও কি নিজের জেদেই অটল থাকবে তুমি বলো?

দেখ নোমান এটা জেদ নয়,আমি এভাবে ওই মেয়ের আত্নসম্মানে আর দিদুর বিশ্বাসে আঘাত হানতে পারি না,আর তুই জানিস আমি মিথ্যের একদম বিরুদ্ধে, আমি কখনোই মিথ্যে বলতে পারি না,আর আঁখিকে এখানে নিয়ে আসার মানে মিথ্যের আশ্রয় নেওয়া,দিদুকে ধোকা দেওয়া,যা আমি কখনোই করতে পারবো না,এক না একদিন তো দিদু সত্যটা জানতে এবং বুঝতে পারবেই ,ওকে আমরা সারাজীবন তো আর ধরে রাখতে পারবো না এখানে।

সারাজীবন কে চাইছে ভাইয়া,দিদু ঠিক হয়ে গেলে দিদুকে আমরা সব বুঝিয়ে বলবো তখন হয়তো দিদু সব মেনেও নিতে পারেন,তাছাড়া তুমি কাল রাতে তো আঁখিকে এখানে নিয়ে এসেছিলে,আর আমরা বললেই আনতে পারবে না।
কান্নারত অবস্থায় মুখ ফুলিয়ে কথাটা বললো সায়েদা।

তারমানে কাল রাতে তুমি লুকিয়ে আমাদের দেখছিলে সায়েদা,এসব চৌধুরী বংশের ম্যানার না কি,শুনি?হুম?

আদৃতের ধমকে সায়েদা ভয় পেয়ে কেঁপে উঠলো আর চোখ নিচু করে আমতা আমতা করে বললো।

আসলে আমি তখন পানি খেতে নিচে যাচ্ছিলাম তখন তোমাদের দেখেছি।

ঠিক আছে এখন যাও এখান থেকে।

সায়েদা পালিয়ে গেলো,এবার নোমান বলতে লাগলো।

তুমি আঁখিকে নিয়ে কাল রাতে এখানে এসেছিলে কেনো ভাইয়া?

আসলে ওকে কালকে আমি এক রাস্তায় পেয়েছিলাম হঠাৎ ও জ্ঞান হাঁড়িয়ে গেছিলো তাই নিয়ে এসেছিলাম।

দেখো ভাইয়া সায়েদা ভুল কিছু বলে নি,আমরা তো আঁখিকে সারাজীবনের জন্য আনছি না,দাদুর অবস্থা এখন অনেক খারাপ,আঁখিকে দেখলে উনি আগের মতো স্বাভাবিক হতে শুরু করবেন,তারপর স্বাভাবিক হলে উনাকে বুঝিয়ে বলা যাবে সবকিছু, দেখ ভাইয়া আঁখিও আমাদের হেল্প করতে মানা করবে না আমার যতোটুকু মনে হয়,আমাদের ওর হেল্পের দরকার ভাইয়া আমরা তো ওকে এখানে দয়া দেখাতে আনছি না,আর কারো প্রাণ বাঁচানোর জন্য মিথ্যা বলাও তো অযুক্তিক হয় না ভাইয়া,আমার আর কিছু বলার নেই,তুমি জিনিসটা ভেবে দেখো,দিদুর যে অবস্থা আঁখিকে না আনলে কি হবে কে জানে।যখনি জ্ঞান ফিরছে আরোহী আরোহী বলে চিৎকার করে আবার জ্ঞান হারাচ্ছে,প্লিজ যা করার জলদি করো।

কথাটা বলে স্থান ত্যাগ করলো নোমান,আদৃত গভীর চিন্তার দেশে ডুব দিলো।

________________

পারলো না আঁখি টাকা জোগাড় করতে,অনেক চেষ্টা করেছিলো,পারে নি,এখন বাড়ির মালিককে কি বলবে সে,এ চিন্তায় ধিমিধিমি পায়ে হেঁটে ঘরে প্রবেশ করলো আঁখি,দরজাটা খোলা,ঘরে ঢুকে দেখে বাড়ির মালিক আগে থেকে ঘরে বসে আছে।

এসেছেন মহারানী তা আমার ভাড়া কোথায়?

আসলে বাড়িমালিক সাহেব আমি টাকাগুলো জোগাড় করতে পারি নি,আপনি আমাকে আরও কটাদিনের সময় দিন আমি সব টাকা সুধ করে দেবো।

আমি ধরমশালা খুলে রাখি নি যে তুমি ফ্রিতে এখানে ছলচাতুরী করে থাকবে,টাকা দাও নইলে ফুঁটো।

দয়া করে আরও কয়েকটাদিনের সুযোগ দিন আমায় প্লিজ।

আঁখি হাত জোরে সুযোগ চাইলে এবার বাড়ির মালিক কেমন দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকালো,তারপর ঠোঁটের কোনে একটা খারাপ হাসি ঝুলিয়ে বললো।

আমার কাছে এমন সুযোগ আছে যে সুযোগে তুমি এখানের রানীও হয়ে যেতে পারো,কখনোই তোমাকে এখানে থাকার ভাড়া দিতে হবে না।

লোকটির কুদৃষ্টি নিজের শরীরের দিকে খেলায় করতে সক্ষম হলো আঁখি,ওড়না দিয়ে ভালো করে নিজের শরীর ঢেকে নিলো তারপর ভ্রুযোগল কুঁচকে বললো।

আপনি কি বলতে চাইছেন?

দেখো তুমি একজন ডিভোর্সি নারী,মাথার উপর স্বামীর ছায়া নেই,আমি বুঝতে পারি তোমার কষ্ট, তাই তোমার সুবিধার্তেই বলছি,আমি তোমাকে স্বামীর মতো ছায়া দিবো বদলে তুমি আমায় বউয়ের আদর দিবে।

কথাটা শুনে রাগে সমস্ত শরীর জ্বলে উঠলো আঁখির,আমাদের সমাজের লোকগুলো আজকাল এতোটা নিচে নেমে গেছে ভেবেই আঁখির গায়ের পশম খাঁড়া হয়ে যায়।এবার ধিক্কার ভরা কন্ঠে বলে উঠে আঁখি।।

ছি,চাচা,আপনি আমার বাবার মতো,নিজের মেয়ের বয়সি মেয়েকে এমনটা বলতে আপনার মুখ কাঁপলো না একবারও।

চুপ,আমি তোর বাবার বয়সী হলেও বাবা না,চুপচাপ আমার সাথে খাটে চল টাকায় ভড়িয়ে দেবো।

কথাটা বলে লোকটা আঁখির দিকে এগুতে লাগলো,আঁখিও পিছাতে লাগলো।

আমার দিকে এগুবেন না চাচা,নয়তো অনেক খারাপ হবে।

লোকটার কানে যেনো কোনো কথাই যাচ্ছে না আঁখির,শয়তানি হাসি দিয়ে আঁখির দিকে এগিয়েই যাচ্ছে,লোকটি আঁখির একদম কাছে চলে গিয়ে আঁখির দিকে হাত বাড়ালেই আঁখি পাশে থাকা কাঁচের একটা বোতল তুলেই লোকটার মাথায় ফাঁটিয়ে দেয়,লোকটা সাথে সাথে মাটিতে পড়ে কাঁতরাতে শুরু করে,মাথা ফেঁটে রক্ত ঝরতে শুরু হয়েছে লোকটির,আঁখি এ সুযোগে পালিয়ে যায় সেখান থেকে,দৌঁড়াতে শুরু করে,থামছেই না আঁখি,অনেকটা রাস্তা দৌঁড়ার পর হঠাৎ আঁখির মাথা ঘুরে যায়,পড়ে যেতে নিলে এক জোড়া হাত ধরে নেয় ওকে আঁখি চোখ তুলে তাকিয়ে দেখে সে আর কেউ নয়……………….

চলবে………….?

,আসসালামু আলাইকুম সবাইকে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here