মন খারাপের ডায়েরি (৬-শেষ পর্ব)

0
681

#অলিন্দ্রিয়া_রুহি

মন খারাপের ডায়েরি (৬-শেষ পর্ব)

নিগূঢ় রজনী, একটা চিকন সুর থেমে থেমে কাঁদছে তরীর মাথার ধারে। তরীর নিশ্চল হাতজোড়া শক্ত করে আঁকড়ে ধরে আছে সেলিনা বেগম। তার চোখ স্তব্ধ, শীতল। এখনো বোধগম্য হচ্ছে না, দশ মাস দশদিন পেটে রেখে, দুনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করে জন্ম দেওয়া নাঁড়ি ছেঁড়া ধন তার,আর নেই! তরী আজ সবকিছু থেকে চিরতরে মুক্তি পেয়েছে। নিষ্ঠুর পৃথিবীর মোহমায়া ছেড়ে সে পাড়ি জমিয়েছে শান্তিময় এক দুনিয়ায়। সেখানে কেউ তাকে অবহেলা করবে না! কেউ তাকে মানসিকভাবে আঘাত দিতে পারবে না। নিজের ভেতরের জমা কষ্ট গুলো ব্রেইন স্ট্রোক ঘটাতে পারবে না। তার দেহের মৃত্যু বহু আগেই ঘটেছিল, আজ আত্মার মৃত্যু ঘটলো।

_
প্রিয়… না!আয়মান সাহেব,
আপনি আর আমার প্রিয় নন। ‘প্রিয়’ শব্দটার গুরুত্ব অনেক! সেই গুরুত্বটুকু আপনাকে আমি দিতে চাই না। ভালোবাসা অপাত্রে দান করেছি। আর কোনোকিছুই আপনার নামে ত্যাগ করতে চাই না আমি। আমি যেন মরে যাই, একমাত্র কাম্য এটাই। উপর ওয়ালা যদি সত্যি আমাকে শান্তি দিতে চান,তবে আমার হায়াত কমিয়ে দিক। নিশ্চিত মৃত্যু লিখে দিক আমার এই অনিশ্চিত জীবনে। শুধু আপনিই না, যাবতীয় সবকিছু থেকে সরে গিয়ে একা,একাকী থাকতে চাই আমি! আপনাকে ভালোবেসেছিলাম… শুনুন, আবারও বলছি, ভালোবেসেছিলাম! এখন আর ভালোবাসি না। আমি এমন একটি মেয়ে,যে শত অত্যাচারেও মুখ তুলে জবাব দিতে পারে না। লাথি খেয়েও তার কাছেই পড়ে থাকতে হয়। আমার সাহস,শক্তি সবটাই কম ছিল অথবা আমিই কাজে লাগাতে পারিনি। বিনিময়ে কী পেলাম? একবুক ভালোবাসা ও আশার সহিত যার হাত ধরলাম, সে মাঝ রাস্তা অবধিও আমায় নিয়ে গেল না! অন্ধকারে যাকে ভেবে বুকে সাহস জোগাতাম, তার কারণে আজ একলা অন্ধকার কবরে শুতে চাই! যাকে বিশ্বাস করতাম বাবা-মায়ের পরে, তার কাছে আমার স্থান ছিল সর্বনিম্ন! যার চেহারা আমার স্বস্তি, সে আমাকে দেখতেই চায় না! আমি তরী, আমার মতো আরও কতই না তরী এই দুনিয়াতে ধুকে ধুকে মরছে! প্রতি সেকেন্ডে,প্রতি মুহূর্তে..! আমি তাদের খুঁজে বের করে বলতে চাই, তোমরা ভুল কোরো না। তোমরা অন্তত সাহস জোগাও! বাঁচো, শ্বাস নাও। আর এই দুনিয়ার সুন্দর রূপ গুলো খুঁজতে থাকো। কিছু একটা করো। মেয়েদের কাজ রান্নাঘরের চার দেয়ালের ভেতরই আবদ্ধ থাকা নয়! মেয়েরা পর্দার সহিতই অনেক কিছু করতে পারে! আমি পারিনি, কিন্তু তোমরা করে দেখাও। আমি জানি না, আমার এই বার্তা তাদের কাছে কখনো পৌঁছোবে কী-না! শুধু এটা জানি, এই ডায়েরিটা একদিন না একদিন আপনার কাছে ঠিকই পৌঁছাবে আয়মান। সেদিন শুধু আমি বেঁচে না থাকলেই হলো, দোয়া করি এমনটা আল্লাহর কাছে। আমার মৃত্যুর পর আপনার ছায়াও যেন আমার লাশ দেখতে না পায়। আমাকে শেষ দেখার সৌভাগ্য আপনার না হোক! আমার নিশ্চুপ কবর আপনার জন্য আজাব হোক, যন্ত্রণা হোক। আপনার জীবন থেকে উঠে যাক ভালোবাসা,সম্মান,আত্মবিশ্বাস অথবা বেঁচে থাকার ইচ্ছাটাই। যে আগুনে আপনি আমাকে পুড়িয়েছেন, সেই আগুনে একদিন আল্লাহ আপনাকে পুড়াক। মনে রাখবেন, আপনার দেওয়া প্রতিটি সূক্ষ্ণতম আঘাত আমি মনে রাখব এবং আপনার দাবী আমি কোনোদিন ছাড়বো না।

_
মাথার উপর উজ্জ্বল রোদ। তরীকে দেখতে আসা মানুষদের ভেতরে অনেকের শরীর থেকেই দরদর করে ঘাম ঝড়িয়ে ছাড়ছে সূর্যমামা। শুধু অনুভূতি নেই তরীর পরিবারের মধ্যে। তরীর বাবা,মা,ভাই,ভাইয়ের বউ- সবাই যেন শক্ত মানবে পরিণত হয়েছে। যে যার মতো কাজ করে যাচ্ছে। কারো মুখে বুলি নেই, ভাষা নেই। কারো চোখে অশ্রু নেই, স্বস্তি নেই। সেলিনা বেগম কপালে হাত ঠেস দিয়ে মেয়ের নিথর দেহের পাশে বসে রয়েছেন। গোসল শেষে সাদায় আলোকিত তরী,আর কিছুক্ষণ পর নামানো হবে সাড়ে তিন হাত মাটির তলায়। কী অদ্ভুত এই নিয়ম-কানুন! যে মেয়েটা দিনেও একলা একঘরে থাকতে ভয়ে কাঁপতো,সেই মেয়ে আজ জনম জনমের জন্য ওই অন্ধকার কবরের বাসিন্দা হতে চলেছে!
তরীর ভাইয়ের বউ নাসিমা ঘরে ঢুকলো। অতিথি মহিলারা সবাই সেলিনা বেগমকে কান্না করার জন্য অনুরোধ করছেন। তার একমাত্র মেয়ে মারা গিয়েছে,অথচ সে কাঁদছে না একটুও! এ যে ভয়ংকর কথা। সেলিনা বেগমের কারো কথাতেই কোনো হেলদোল নেই। নাসিমা সবার মাঝ দিয়ে এসে শ্বাশুড়ির পাশে বসল। চাপাস্বরে বলল, ‘আম্মা,তরীর জামাই আইছে।’
এই প্রথম চাপা হুংকারে কণ্ঠটি নাড়ালেন সেলিনা বেগম, ‘তারে ভিতরে আসতে মানা করো।’
‘কী বলতেছেন আম্মা! জামাই তার বউরে শেষ দেখা দেখব না?’
‘যখন আমার মাইয়ার জীবন থাকতেই ও মরতাছিল, তখন কী হেয় খেয়াল করছিল? করে নাই। তাইলে এখন আমার মাইয়ার দেহ দেইখা কী লাভ? তারে চইলা যাইতে বলো।’
‘হের মা আর বুইন ও আইছে।’
সেলিনা বেগম এক সেকেন্ড সময় চুপ করে থেকে বললেন, ‘তারা আসুক, কিন্তু ছেলে আইতে পারব না।’
নাসিমা বোঝানোর চেষ্টা করল, কিন্তু শ্বাশুড়িকে কোনোভাবেই বোঝাতে পারল না। উপস্থিত সকলেই হায় হায় করল। এ কেমন কথা! বউ মারা গেছে,জামাই আসছে। জামাইকে শেষ বার বউকে দেখতে দিবে না! যতই রাগারাগি থাকুক,এমন করা উচিত কী?
আরে! যখন ধুকে ধুকে একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছিল তরী, তখন কোথায় ছিল আয়মান? এক ছাদের তলায় থেকেও স্ত্রীর প্রতি সামান্যতম সম্মান, ভালোবাসা অথবা কেয়ার- কিছুই তো ছিল না তার! আজ যখন সব ছেড়ে অজানা দেশে শান্তির উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে তরী,তখন এসেছে দেখতে? নাটক! আয়মানের মতোই বলতে ইচ্ছে করছে, নাটক! ড্রামা! হুহ!

আয়মানের চোখ জোড়া লাল টকটকে বর্ণ ধারণ করেছে। চুল আলুথালু। শেষ রাতে ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মা ও বিভাকে নিয়ে রওনা করেছে তরীদের বাড়ির উদ্দেশ্যে। সারা রাস্তা তার বুকের ভেতর একধরনের চিনচিনে ব্যথার আবির্ভাব ছিল। সেই ব্যথা এখন শক্ত হয়ে জমাট বেঁধেছে। বাড়িতে এত এত মানুষের সমাগমই বলে দিচ্ছে,তরী সত্যিই তাকে ছেড়ে চলে গেছে। শেষ আশাটুকুও প্রদীপের ন্যায় ধপ করে নিভে গিয়েছে। ভেতর থেকে কে যেন বলছে, একবার ফিরে আসো তরী। আমরা আবার সব নতুনভাবে শুরু করব। কসম তরী… কসম!
নাসিমা এসে কাচুমাচু কণ্ঠে হালিমা বেগমকে ও বিভাকে ভেতরে যাওয়ার জন্য বলল। আয়মান পা বাড়াতেই নাসিমা এক হাত সামনে তুলে ধরল। কাঠ কাঠ গলায় বলল, ‘আপনি যাইবেন না। ভেতরে অনেক মহিলা মানুষ।’
‘তো?’ চোখ রাঙিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়লো আয়মান।
‘আপনারে আম্মা ভেতরে যাইতে নিষেধ করছে।’
‘আমাকে নিষেধ করছে!’ অবাক কণ্ঠে নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করল আয়মান। পরমুহূর্তেই বলল, ‘আমাকে নিষেধ করছে- মানেটা কী! আমার স্ত্রী, আমি তাকে দেখতে যাব না?’
‘না, যাইবেন না। আমার বইনে মাথায় স্ট্রোক কইরা মরছে। আর হের মৃত্যুর লইগা দায়ী আপনি। আপনি হেরে কষ্ট না দিলে আমার বইনে আজকে বাঁইচা থাকতো। যারে মারছেন,হের লাশ দেইখা কী করবেন?’ আয়মানের পাশে দাঁড়ানো হালিমা বেগম ও বিভাকে উদ্দেশ্য করে নাসিমা বলল, ‘আপনেরা আহেন।’
আয়মান চোয়াল শক্ত করে বলল, ‘আমি যাব।’
‘ঝামেলা করিস না আয়মান।’ এইবার কথা বললেন হালিমা বেগম। তার মনের অবস্থা বড়ই দুর্বল। গলায় কাঠিন্য যোগ করে তিনি পুনরায় বললেন, ‘তরীর ভাবী তো ভুল কিছু বলেনাই। বউটা তোর জন্যে… এখন দেখে লাভ কী? তুই বরং ঢাকায় চলে যা। এখানে তোর কোনো কাজ নেই। উল্টো তোর তো খুশি হওয়া উচিত,তোকে মুক্তি দিয়ে চিরবিদায় নিয়েছে মেয়েটা।’ হালিমা বেগম ডুকরে উঠলেন। আয়মান স্তম্ভের ন্যায় বলল, ‘মা!’
বিভা বলল, ‘ভাইয়া, ভাবীকে এবার অন্তত শান্তি দে। তুই ভাবীর লাশ দেখলে ভাবীর আত্মাও শান্তি পাবে না, আমি জানি। যতটা ভালো ভাবী তোকে বাসতো,তার চাইতেও বেশি ঘৃণা নিয়েছে মৃত্যুবরণ করেছে। এখান থেকে চলে যা ভাইয়া। ঝামেলা করিস না,প্লিজ।’
নাসিমার সঙ্গে হালিমা বেগম ও বিভা ভেতরে প্রবেশ করল। আয়মান শক্ত কাঠের ন্যায় দাঁড়িয়ে রইলো উঠোনের এক পাশে। কিছু শব্দচয়ন বাতাসের ন্যায় কানের গোড়ায় বাজছে।

‘আমার জন্য চকলেট আনবেন? খুব পছন্দ আমার।’

‘আমাকে একটু ভালোবাসলে কী হয়!’

‘আপনি এত দেড়িতে ফিরেন কেন? জানেন না,আপনাকে ছাড়া আমি খেতে বসি না।’

‘আমরা কবে ঘুরতে যাব আয়মান?’

কত কত আবদার ছিল মেয়েটির! আয়মান কোনোটাই পূর্ণ করতে পারেনি। ব্যর্থ সে… বুকচিঁড়ে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো। ধপ করে বসে পড়ল মাটিতে। এই প্রথম তার অনুভব হচ্ছে,বুকের কতখানি জায়গা জুড়ে ছিল তরীর নাম! কতটা অবহেলা পেয়েছিল তরী! কতটা ভালোবাসতো তাকে! কতটা সুন্দর হতে পারতো তাদের জীবন! চোখজোড়া জ্বালা করছে।ক্রমশ পানি জমে উঠল। অস্পষ্ট মনিতে সামনে তাকাতেই একদল মানুষকে বেরোতে দেখল। তারা কাঁধে খাট তুলে নিয়েছে ইতিমধ্যেই। ওইতো তরী… তরীকে নিয়ে যাচ্ছে। নিয়ে যাচ্ছে ওরা…

আয়মান টলতে টলতে কোনোরকমে উঠে দাঁড়াল। দৌঁড় দিতে গিয়ে একবার উল্টে পড়ল, একবার পা ভেঙে পড়ল। তবুও থামলো না। ততক্ষণে সবাই বড় রাস্তায় উঠে পড়েছে। আয়মান ভীড়ের মধ্য দিয়ে তরীর খাট ধরবার চাইলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হলো। তরীর বাবা ও ভাই- কোনোভাবেই আয়মানকে সহ্য করতে পারছে না। আয়মানের কারণে আজ তাদের আদরের সন্তান/বোন,নেই… খুনীকে কী করে খুন হওয়া ব্যক্তির লাশ দেখতে দেওয়া যায়? আয়মানকে ধাক্কা মেরে রাস্তায় ফেলে চলে গেল সবাই। পড়ার সময় পেছন দিকে উবু হয়ে পড়ে আয়মান। মাথার পিছনে ইটের বারি লেগে জ্ঞান হারায় সঙ্গে সঙ্গে।

_
‘তরী! আমার তরী.. তু..তুমি কোথায় গিয়েছিলে আমায় ফেলে? ওরা আমাকে তোমার কাছে আসতে দেয়নি।’

তরী মৃদু হেসে বলল, ‘আমিই চাইনি আপনি আমার কাছে আসুন।আমাকে দেখুন! আপনার উপর জমা সমস্ত অভিমানের পাল্লা এতই বেড়ে গিয়েছিল যে… থাকগে সেসব কথা। এবার আপনি সুখে আর শান্তিতে থাকুন। রোজ রোজ আমায় নিয়ে আর অশান্তি হবে না।’
আয়মান দ্রুত বিছানায় উঠে বসল। তরীর হাত চেপে ধরল শক্ত করে, ‘আমার ভুল হয়ে গেছে তরী। আমাকে ক্ষমা করো। আমি.. আমি আর একটা সুযোগ চাই তরী,আর একটা শুধু। আমাদের আবার নতুন জীবন হবে, সুখের সংসার হবে। আমাকে ক্ষমা করে দাও তরী,ক্ষমা করে দাও।’ তরী মুচকি হেসে আয়মানের হাতের ভেতর থেকে নিজের হাতজোড়া ছাড়িয়ে নিয়ে উঠে দাঁড়াল।
‘আসি আয়মান সাহেব। আমার দেড়ি হয়ে যাচ্ছে।’
‘ক..কোথায় যাচ্ছো তুমি? তরী.. এই তরী।’
তরী হেঁটে চলেছে। পেছন থেকে আয়মানের সমস্ত ডাক অগ্রাহ করে, হঠাৎ থমকে দাঁড়াল। পেছন ঘুরে তাকাল। বলল, ‘আমি বলেছিলাম, একদিন আপনি আমায় খুঁজবেন, আর সেদিন আমার আত্মা শান্তি পাবে।’

_
আয়মান ঘামে জবজবে হয়ে উঠে বসল। তার ঘুম ছুটে গেছে। কোথায় সে, খেয়াল করতেই বুঝল এটা তরীদের বাসা। তাকে এখানে কে এনেছে! আর তরী.. ও কোথায়? আয়মান গায়ের উপর থেকে পাতলা কাঁথাটা সরিয়ে উঠে দাঁড়ানোর সময় বালিশ টান লেগে সরে যায়। সেই সঙ্গে বেরিয়ে আসে তরীর মন খারাপের ডায়েরি। আয়মান বিস্মিত নয়নে ডায়েরিটা হাতে তুলে নিলো। একেকটা পাতা উল্টাচ্ছে আর ঝড় বয়ে চলেছে তার বুকের ভেতর। এতটা ঘৃণা,অবজ্ঞা,উপেক্ষা, তাচ্ছিল্য নিয়ে হারিয়ে গেল মেয়েটা! এরকিছুর পরও তাকে ভালোবাসতে চেয়েছিল আর আয়মান কী করল! আয়মান চিৎকার করে উঠে আচানক। মাটিতে ধপ করে শুয়ে পড়ল। বুকের উপর চেপে ধরল ডায়েরিটা। হাউ মাউ করে কেঁদে ফেলল তরী তরী করে। দূর থেকে একটা গানের সুর ভেসে আসছে, ‘সময় গেলে সাধন হবে না….’

(সমাপ্ত)
[সব গল্পেই নায়িকাকে একদম সাবলম্বী করে তোলার ব্যাপারটা আমার ভালো লাগে না। বাস্তবে কয়টা মেয়ে সাবলম্বী হয়? কয়টা মেয়ে সব ছেড়ে হাসিমুখে জীবন কাটাতে পারে? গল্প বাস্তব থেকেই আসে। তাই আমি এই গল্পে কিছুটা ব্যতিক্রম করে স্যাড এন্ডিং টেনেছি। যাদের ভালো লাগবে না তারা ইগনোর করবেন। গল্পটি কেমন হয়েছে জানাবেন। আমি ভীষণ অসুস্থ, আমার জন্য দোয়া করবেন সকলে। আসসালামু আলাইকুম।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here