ভ্রমর (পর্ব – ৬)

0
555

ভ্রমর (পর্ব – ৬)
সুমাইয়া আক্তার
__________________
ঘরে বসে সিগারেটের ধোঁয়া ওড়াচ্ছেন সিকিন্দার। স্নিগ্ধা যাওয়ার পর থেকে মস্ত বড় বাড়িটা ফাঁকা পড়ে আছে। টি-টেবিলে থাকা মোবাইল ফোনটা হাতে নিলেন তিনি। সন্ধ্যার নির্দিষ্ট একটা সময়ে প্রত্যেকদিন স্নিগ্ধাকে কল করা হয়। আজ কল করতে একটু দ্বিধা হচ্ছে। কেননা, গতকাল স্নিগ্ধা হঠাৎ’ই আবেগপ্রবণ হয়ে জমিদার বাড়িতে ফিরে যাওয়ার কথা বলেছিল। সিকিন্দার চুপ করে ছিলেন। মেয়ের আবেগি গলায় সবকিছু তুচ্ছ মনে হচ্ছিল। কিন্তু কলটা কাটার পরেই তার ভাবনার দ্বারে কড়া নাড়ে শফিকের কথাটা, ‘তোকে ত্যাজ্যপুত্র করলাম। বেরিয়ে যা এ বাড়ি থেকে। আর কখনও ফিরবি না; আমি মরে গেলেও না।’

আরেকটা সিগারেট ধরালেন সিকিন্দার। আবারও ধোঁয়া ওড়াতে লাগলেন। তিনি নিজেও জানেন, সিগারেট কখনও ডিপ্রেশন, কষ্ট-যন্ত্রণা কমানোর কাজ করে না—তারপরও তিনি মানতে নারাজ।
তামান্না এসে সামনে দাঁড়ালেন। সিগারেট কেঁড়ে বললেন, ‘এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।’
সিকিন্দার হেসে তামান্নাকে পাশে বসিয়ে নিলেন। তামান্নার কাঁধে মাথা রেখে বললেন, ‘স্নিগ্ধাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।’
তামান্না চমকে কাঁধ সরিয়ে নিলেন, ‘তুমি কি ওই বাড়িতে যাওয়ার কথা ভাবছ?’
‘ভাবলেও কী যাওয়ার উপায় আছে?’
‘যে বাড়ি থেকে তোমাকে ত্যাজ্যপুত্র করেছে, সে বাড়ির কথা ভাবছ?’ ভৎসনা করলেন তামান্না, ‘তুমি পারও বটে! তোমার স্বভাব কি পাল্টাবে না?’
উঠে বাইরে চলে গেলেন তামান্না। সিকিন্দার দরজার দিকে তাকিয়ে আরেকটা সিগারেট বের করলেন।

সিকিন্দার যখন পড়াশোনা করতেন, তখন তামান্নার সাথে তার পরিচয় হয়। তামান্না পড়াশোনায় খারাপ হলেও দেখতে মোটেই খারাপ ছিলেন না, এখনও নয়। আর সেই সৌন্দর্যের প্রতি ভালোলাগা থেকে একসাথে ঘুরে, সময় কাটিয়ে ভালোবাসা! সমবয়সী তারা। বলতে গেলে তাওহিদার সাত বছরের বড় তামান্না; অথচ তাওহিদা প্রথম স্ত্রী’র অধিকার দখল করে আছে। তাওহিদাকে বিয়ের বিন্দুমাত্র ইচ্ছে ছিল না। পড়াশোনার শেষেই যে এমন বিব্রতকর এক ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে জানতেন না সিকিন্দার—জানলে তামান্নাকে বিয়ে করেই ফিরতেন। তাওহিদার সাথে যখন বিয়েটা হয়ে যায়, তখন তামান্নাকে বোঝাতে পারবেন না ভেবে বিয়ের ব্যাপার লুকিয়ে যান। প্রায়’ই দেখা করেন তামান্নার সাথে। স্ত্রী’র স্থানে তাওহিদাকে বসাবেন না ভেবে নিলেও শেষ পর্যন্ত সমাজ, পরিবার আর সন্তানের কাছে হার মানেন সিকিন্দার। যখন তিনি জানতে পারেন তাওহিদা মা হতে চলেছেন, তখন একা ঘরের অন্ধকারে হেসেছেন তিনি, আনন্দিত হয়েছেন। কিন্তু তাওহিদার প্রতি তখনও একটা বিরক্ত কাজ করত। সেই সময়ে কেমন করে তামান্না সব জেনে যান—আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সিকিন্দার তার যন্ত্রণা দেখে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন এবং তা বাস্তবায়ন করেন। তিনি কি ভুল করেছেন? দ্বিতীয় বিয়ে করা তো ভুল না। শুধু একটা ভুল হয়েছে; তাওহিদার অনুমতি নেওয়া হয়নি, তাওহিদার প্রতি কর্তব্য পালন করা হয়নি। এতে এতটুকুও কষ্ট নেই সিকিন্দারের। শুধু মেয়েটিকে নিয়েই তার চিন্তা। স্নিগ্ধা’ই যে তার বর্তমান ও ভবিষ্যতের একমাত্র বংশধর। ভবিষ্যতের কথা বলার কারণ, তামান্না কোনোদিনও মা হতে পারবেন না। তিনি এই ব্যথিত কথাটা জানেন না। অথচ ‘কবে আমাদের একটা বাচ্চা হবে?’ জিজ্ঞাসা করে জর্জরিত করে ফেলেন তামান্না। কী করে তাকে এই দুঃসংবাদ দেওয়া যায় ভেবে দিন-দিন আরও কাতর সিকিন্দার।

টি-টেবিলে থাকা ফোনটা শব্দ করে বাজতেই চমকে উঠলেন সিকিন্দার। ফোনের দিকে তাকালেন তিনি, স্নিগ্ধা ফোন করেছে। এই সময়েই স্নিগ্ধাকে ফোন করার কথা তার। কীসব ছাইপাঁশ ভাবতে গিয়ে আজ কল করেননি তিনি। অনামিকা আঙুল কপালে ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করলেন সিকিন্দার। লম্বা একটা নিঃশ্বাস নিয়ে, হাতের সিগারেটটা অ্যাশ-ট্রেতে ফেলতে গিয়ে দেখলেন সিগারেট জ্বালানোই হয়নি!
হেসে ফোন কানে ধরলেন সিকিন্দার। ওপাশ থেকে ভেসে এসো এক চিকন সুর, ‘আসসালামু আলাইকুম।’
__________

প্রায় অনেকক্ষণ কানে ফোন ঠেকিয়ে রেখেছেন তাওহিদা, কিন্তু ওপাশ থেকে কোনো শব্দ আসছে না। আবারও তিনি সালাম দিলেন।
ওপাশ থেকে সিকিন্দার সালামের উত্তর দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কে বলছেন?’
‘আমি—’ হাত পা কাঁপছে তাওহিদার। কথা আটকে যাচ্ছে, ‘আমি তাওহিদা।’
সিকিন্দার চুপ করে থাকলেন। তাওহিদাও চুপ; স্নিগ্ধার দিকে তাকালেন তিনি। স্নিগ্ধা ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে দেখে তাওহিদা পিছু ফিরলেন। চোখের অশ্রুটুকু কৌশলে লুকিয়ে নিলেন। স্নিগ্ধা বুঝতে পেরেও কিছু বলল না। মায়ের ঘর থেকে বেরিয়ে এলো। তাওহিদাকে এখন একা ছাড়া দরকার।
নিজের ঘরে এসে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ল স্নিগ্ধা। চোখের টলটল অশ্রু বারবার মুছছে। এতদিন পর তাওহিদা নিজে সিকিন্দারের সাথে কথা বলতে চাইলেন—নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিল না স্নিগ্ধা। নিজের ঘরে টেনে নিয়ে ফিসফিস করে তাওহিদা জানিয়েছিলেন, সিকিন্দারের সাথে তার কথা বলতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে বাবার নাম্বারে কল করে মা-বাবার সম্পূর্ণ আদর,ভালোবাসা নিতে না পারা মেয়েটি। তাওহিদার হাত বারবার ঘেমে যাচ্ছিল। কতবার যে গলা ঠিক করছিলেন আর কতবার যে কপালের ঘাম মুছছিলেন তার হিসাব নেই!

মনি নিঃশব্দে ঘরে ঢুকে স্নিগ্ধার কাঁধে হাত রাখল। স্নিগ্ধা মুখে মুচকি হাসি রেখে উঠে বসল।
‘কাঁদছ?’ মলিন মুখে জিজ্ঞাসা করল মনি।
‘উঁহু!’ দু’হাত মুখ থেকে সরিয়ে বলল স্নিগ্ধা, ‘আজ মা-বাবা কতদিন পর একসাথে কথা বলছে!’
‘তা ঠিক। কিন্তু এতদিন পর বড়আম্মু কেন কথা বলতে চাইল?’
স্নিগ্ধা মুখে গম্ভীর ভাব এনে ভাবতে বসল। আসলেই তো! হঠাৎ কেন? একটু আগে তাওহিদা বিয়ের ব্যাপারে কিছু বলছিল। পরে সিকিন্দারের কথা ওঠানোর পর ও ব্যাপারে কিছু বললেন না। সত্যি কী কোনো বিষয়ে সিকিন্দারকে ফোন করা হলো না কি তাওহিদা তার স্বামীর সাথে কথা বলার বাহানা খুঁজেছেন মাত্র?

পরদিন।
খুব সকালে উঠে পড়ল স্নিগ্ধা। তখনও জমিদার বাড়ির অনেকে ওঠেনি। পশু, পাখিদের কোলাহলও খুব একটা নেই। ভারাক্রান্ত মন নিয়ে জানালার কাছে দাঁড়াল স্নিগ্ধা৷ গ্রামে সবাই তাড়াতাড়ি ওঠে বলে রাস্তায় অনেক জনকেই দেখা গেল। দেখা গেল মিন্টুকেও। কুড়াল দিয়ে কাঠ ফাড়ছে সে। পলকহীনভাবে মিন্টুকে দেখে ভারাক্রান্ত মনটাও একটু শান্তি খুঁজে পেল। প্রিয় মানুষের দিকে তাকিয়ে থাকলে শান্তি লাগে—কথাটি আগে বিশ্বাস করত না স্নিগ্ধা। কিন্তু বাস্তবে যখন অবিশ্বাস্য কিছু তার সাথে অনবরত হয়ে চলেছে, তখন সে মানতে বাধ্য।

‘দাদুভাই…’ দরজায় ঠকঠক আওয়াজ হলো।
জানালার পাশ থেকে সরে দাঁড়াল স্নিগ্ধা। ওড়না ঠিক করে দরজা খুলে দিল। শফিক হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন।
স্নিগ্ধা প্রায় জোর করেই একটু হাসল, ‘ভেতরে এসো দাদু।’
‘তোমার মা কি ওঠেনি?’ মাথা বাড়িয়ে ঘুমন্ত তাওহিদাকে দেখে নিলেন, ‘আজ এত দেরী পর্যন্ত শুয়ে আছে যে!’
পিছু ফিরল স্নিগ্ধা। তাওহিদা ঘুমিয়ে আছেন। খুব অশান্তি, মন ভরা বিশৃঙ্খলা নিয়ে ঘুমিয়ে আছেন। সারারাত ঘুমাতে পারেননি তিনি। সিকিন্দারের সাথে কথা বলার পর থেকে তিনি উতলা, অস্থির। স্নিগ্ধা জানতে চায়নি কী কথা হয়েছে; তাওহিদা নিজেই বলেছেন। সিকিন্দার কল কাটেনি ঠিক’ই, কিন্তু কোনো কথার উত্তর দেননি। ফোনের এ প্রান্ত-ও প্রান্তে দু’টো মানুষের মধ্যে একটি মানুষ যখন বরাবর চুপ করে থাকে, তখন কথা এগোনো দুষ্কর। তাদেরও কথা এগোয়নি। সিকিন্দার ঘৃণাবশত তাওহিদার উত্তর দেননি ভেবে তিনি নিজেই কথার মাধ্যম কেটে দেন।

দীর্ঘশ্বাস ফেলল স্নিগ্ধা। বাংলাদেশে হয়তো এমন সন্তান কম আছে, যে নিজের মা-বাবার মান-অভিমান, রাগ, বিরক্ত এভাবে দেখছে। শফিক স্নিগ্ধার মাথায় হাত বুলালেন। স্নিগ্ধা তাকাল। শফিকের চোখে ক্ষীণ অশ্রুর পরশ চোখে পড়ল।
শফিক বললেন, ‘আচ্ছা দাদুভাই, তুমি কি আমাকে বিশ্বাস করো?’
‘হঠাৎ এমন কথা বলছ যে?’
সেই উত্তর দিলেন না শফিক। নিজের কথাই বলে চললেন, ‘তুমি কি আমাকে বিশ্বাস করো? এটা কি ভাবো, তোমার জন্য আমি যা করব, তা ভালোই করব?’
‘করি।’ শফিককে জড়িয়ে ধরল স্নিগ্ধা, ‘বিশ্বাস করি দাদু।’
স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন শফিক। এবার তিনি নিঃসংকোচে আতিককে শাওন-স্নিগ্ধার বিয়ের বিষয়টি এগোনোর কথা বলতে পারবেন!

আজ একটুও রোদ নেই৷ তাই ফুরফুরে মেজাজে সকালের খাবার সেরেই একপাল গরু নিয়ে বেরিয়ে গেল মিন্টু। স্নিগ্ধা দেখল। বাড়িতে ঘুরেফিরে কিছু সময় পেরিয়ে দিয়ে নিজেও বেরিয়ে পড়ল সে। বাড়িতে থাকলে মন খারাপ থাকবে, অস্থির লাগবে—এরচে’ বরং বটমূলে মিন্টুর পাশে নীরবে বসে থাকাও শান্তির।
বটগাছের আশেপাশে গরুগুলো চরছে। শিকড়ে বসে আছে মিন্টু। নিত্যদিনের মতো সেই বাঁশির সুর মোহময় করে তুলেছে পরিবেশ। মিন্টুর খুব পাশে বসল স্নিগ্ধা। এখনও কোথাও একটু মন খারাপ তার। তবে মিন্টু যেন তা না বুঝতে পারে, তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। মিন্টু দেখল স্নিগ্ধার মুখ, বুঝল তার প্রেয়সীর মন খারাপ। স্নিগ্ধার ওটুকু মন খারাপ—অন্ধকার হয়ে মিন্টুর মনের আকাশে মেঘ জমিয়ে দিল। বাঁশি তার সুরের পথ হারিয়ে ফেলল। সুরের বিকৃতিতে স্নিগ্ধা বিস্মিত হয়ে তাকাল।
স্নিগ্ধার চাহনিতে মহূর্তেই বাঁশি কোমরে গুজে ফেলল মিন্টু। বলল, ‘এটা তোমার দোষ। তোমার মন খারাপ বলেই বাঁশির সুরটা এমন হয়ে গেল।’
মুচকি হাসল স্নিগ্ধা, ‘কে বলল আমার মন খারাপ?’
‘দেখলেই তো বুঝা যাচ্ছে।’
‘উঁহু, আমি না চাইলে আমার মন খারাপের খবর কেউ জানতে পারে না শুধু মা ছাড়া। তোমার কাছেও লুকিয়ে রাখার চেষ্টা ছিল, অথচ তুমি জানতে পেরে গেছ।’
অন্যপাশে তাকাল মিন্টু। যে উত্তর সে ভাবছে, সে উত্তর’ই বেখাপ্পা লাগছে। না, আর উত্তর দেওয়া হলো না তার। কিচ্ছু ভালো লাগছে না। কেন উচ্ছ্বাসিত মেয়েটিকে মন খারাপ করে থাকতে হবে?
এবার স্নিগ্ধা মন খারাপের ব্যাপার লুকানোর চেষ্টা ছাড়ল। মুখ মলিন করে নৌকার দিকে তাকাল, ‘আমাকে নৌকায় ঘোরাবে একটু?’
শিকড় থেকে তড়াক করে নামলো মিন্টু, ‘চলো। তবে এবার পড়ে গেলে কিন্তু ওঠাব না।’
‘তুমি হাত ধরে রাখলেই আর পড়ব না।’
আবারও বেকায়দায় মিন্টু! আবারও সে উত্তরবিহীন।

নৌকায় উঠে পড়ল দু’জন। বৈঠা হাতে চারপাশে নৌকা ঘোরাতে লাগল মিন্টু। পুকুরের মাঝে আসতেই স্নিগ্ধা দাঁড় করাতে বলল। মেঘযুক্ত ফাঁকা আকাশের নিচে, পানির উপরে ভাসমান দু’জন। টলমল জলের দিকে তাকিয়ে আছে স্নিগ্ধা, আর স্নিগ্ধার দিকে তাকিয়ে আছে মিন্টু। নৌকার কোণ থেকে নৌকার মাঝে অল্প সরে এলো মিন্টু—স্নিগ্ধার দেড় হাত দূরে। স্নিগ্ধার ডান হাত আস্তে করে পুকুরের অথৈ জলে নেমে পড়ল। মিন্টুর হিংসা হলো—জলগুলো কী সুন্দর স্নিগ্ধার ছোঁয়া পেয়ে চলেছে, আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে বয়ে বেড়াচ্ছে, স্নিগ্ধতাকে আলিঙ্গন করে আপন করছে। মিন্টুও তো এত কাছে, সে কেন সাহস পায় না?

তখনও স্নিগ্ধার মলিন মুখ। তার মুখে হাসি ফোটানোর আর নিজের চাওয়ার পূর্ণতা দেওয়ার পথ খুঁজে পেল মিন্টু। স্নিগ্ধার হাতে রুক্ষ হাতের স্পর্শ এসে লাগল। শিউরে উঠল সে। নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে দেখল, তার কোমল হাত মিন্টুর রুক্ষ হাতে ঢাকা। হাতটি একটু নড়লেই মিন্টুর হাতের রুক্ষতা স্নিগ্ধার কপালে ভাঁজ ফেলে দিচ্ছে—রাগ নয় কিন্তু! পছন্দের মানুষটির সবকিছুই ভালো লাগে। তাই মিন্টুর রুক্ষতা স্নিগ্ধার মনে ব্যতিক্রম প্রভাব ফেলছে না। সে আনন্দিত, তৃপ্ত। একটু আগের মন খারাপ ভস্মীভূত!
মিন্টু একটা লম্বা নিঃশ্বাস নিয়ে কাঁপা গলায় সাহস করে বলল, ‘আজও কিন্তু বটমূলে তোমার জন্যই এসেছি।’

(চলবে)

(কেউ যুক্তিযুক্ত কমেন্ট করে না, মতামত জানায় না। আপনারা যদি না জানান যে গল্পটি কেমন হচ্ছে, তাহলে বুঝব কী করে? আরও ভালো করব কী করে?)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here