ভালোবাসি_প্রিয় পর্ব_১৩

0
1973

ভালোবাসি_প্রিয়
পর্ব_১৩
#সুলতানা_সিমা

অরিনের সাথে সারাদিন ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে দিহান। সে ভুলেই গেছে তার সাথে যে নীল আর শাওন ছিল। বাসায় এসে সোজা তার রুমে চলে যায়। অন্য দিনের মতো ইশি দিশার সাথে এক দফা ঝগড়া হয়নি আজ। রুমে গিয়ে পকেট থেকে ওয়ালেট আর ফোন বের করে ড্রেসিং টেবিলের উপর রেখে ওয়াসরুমে চলে যায়। আজ তার অনেক ভালো লাগছে। অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছে। নিজেকে পূর্ণ পূর্ণ লাগছে। কিন্তু কেন? সেটা সে নিজেও জানেনা। অরিনের চেহারাটা বার বার চোখে ভেসে উঠছে। অরিনের হাসি অরিনের কথা বলার ভঙ্গি অরিনের নেশা ধরানো চোখ সব কিছু। মুখে পানি দিয়ে আয়না তাকিয়ে একা একা হেসে উঠল দিহান। মুখ মুছতে মুছতে ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে আসলো। এসে ফোন হাতে নেয়। তন্দ্রা ১০০+ ফোন দিছে। তার ফোন সাইলেন্ট থাকায় সে বুঝেনি। তন্দ্রার নাম্বারে ডায়েল করল দিহান। তন্দ্রা সাথে সাথে কল রিসিভ করল মনে হয় হাতে ফোন নিয়ে বসে ছিল। ফোন ধরেই কান্নাজড়িত গলায় বলল ”

_সারাদিনে এখন মনে হল তাইনা?” দিহান ছোট করে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল”
_সরি ফোন সাইলেন্ট ছিল।
_তুমি আমাকে আর আগের মতো ভালোবাস না দিহান। তুমি বদলে গেছ অনেক বেশি বদলে গেছ।” বলেই ফুপিয়ে কেঁদে উঠল তন্দ্রা।
_বদলি নি। কান্না থামাও। কেমন আছো?
_সারাদিন কই ছিলা তুমি?
_একটা ফ্রেন্ডের সাথে।
_ছেলে নাকি মেয়ে?
_মেয়ে।
_অহ।” তন্দ্রা আর কিছুই বলনা কিন্তু স্পষ্ট তার কান্নার শব্দ শুনা গেল। দিহান তন্দ্রাকে বলল”
_তুমি কি আমাকে সন্দেহ করছো? আমি চাইলে কিন্তু তোমাকে মিথ্যে বলতে পারতাম কিন্তু আমি বলিনি। তুমি যদি এখন এই বিষয় নিয়ে আমায় সন্দেহ কর তাহলে নেক্সট টাইম আমি এমন কথা তোমার থেকে লুকাবো। কারণ একটাই,আমি চাইব না তুমি অযথা কিছু নিয়ে আমার সন্দেহ কর বা ঝগড়া কর।
_আমি সন্দেহ করছিনা আমার খারাপ লাগছে।
_খারাপ লাগার কি আছে আমি তো তার সাথে খারাপ কিছু করছি না।
_ কাল যাবে ভার্সিটিতে?
_হুম যাবো। এখন রাখছি আমার খিদে লাগছে।

দিহান ফোন রেখে দিল। কেন জানি তার কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। ফোন রেখে ড্রয়িংরুমে আসল তার বাবা আর চাচারা মিলে কি নিয়ে যেন আলাপ আলোচনা করছেন। আর মা চাচিরা সোফার পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন। দিহান সোফায় গিয়ে বসল। সবাইকে দেখে চিন্তিত মনে হচ্ছে। দিহান বলল ”

_কি হইছে বাবা? কোনো সমস্যা?” দিহানের কথায় উনারা কোনো জবাব দিলেন না। দিহান তার মায়ের দিকে তাকিয়ে ইশারায় জানতে চাইল উনি কিছু বললেন না। দিহানের বড় মা বললেন”
_তোদের কলিজার বড় ভাই জিহান বিয়ে করছে।
_কিইইইইইই ভাইয়া বিয়ে করছে? কবে?
_কি জানি কবে করছে। আমাদের কি বলে করছে নাকি? পরিবারের মানসম্মানের কথা একবারও ভাবল না। আশেপাশের লোক এসব শুনলে না জানি কি কি কথা বলে।” দিহানের বড় মায়ের কথার উপর দিহানের বাবা রাগান্বিত স্বরে বলেন”
_তারপরও তো ভাইয়া মেনে নিয়ে বলছেন বউ নিয়ে বাড়ি আসতে। যদি এটা দিহান করত তাহলে আমি তাকে বাড়িতেই আসতে দিতাম না ত্যাজ্যপুত্র করে দিতাম।

দিহানের বাবার মুখে এমন কথা শুনে দিহান আঁতকে উঠল। সে যে এমন কিছু করেনি সেটা তো নয়। যেভাবেই হোক সেও তো জিহানের মতো কাজ করেছে। যা নিজের পরিবারের সম্মানে আঘাত আনার জন্য যথেষ্ট। দিহান একটু নড়েচড়ে বসে তার বড় মা কে বলল”
_বাসায় আসার পথে ঝিনুকের [জিহানের জিএফ] সাথে দেখা হয়েছে কই ঝিনুক তো আমাকে এসব কিছু বলল না।
_সেটাই তো আমরাও ভাবছি ঝিনুকের সাথে বিয়ে ঠিক থাকার পরেও অন্য মেয়েকে বিয়ে করল কেন?[বড়মা]
দিহানের কপাল কুঁচকে এলো। তার সাথে যা হয়েছে জিহানের সাথেও তা হইনি তো? এমন তো নয় দিহানের বিয়ে আর জিহানের বিয়ের পিছনে একই কারণ? ভাবতেই দিহানের মনে অজানা এক ভয় কাজ করতে লাগল।
__________________________

পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দিহান ভার্সিটি চলে গেল। ভার্সিটিতে গিয়ে নীল আর শাওনকে খুঁজতে লাগল। অনেক খুঁজার পরে কেন্টিনের কোণে একটা গাছের নিচে তাদের পেল। শাওন নীল বাদে আর কেউ নেই সেখানে। দিহান নীল শাওনের মাঝখানে বসে দুজনের পিঠে চাপড় দিয়ে বলল”
_কি ব্যাপার আমাদের নীল দরিয়া সুনশানের কি হলো?” দিহানের কথাটা বলতে দেরী হয়েছে তার পিঠে কিল গুসি পড়তে দেরী হয়নি। দিহান নিজেকে ছাড়িয়ে একটু দূরে দাঁড়িয়ে বলল”

_মারছিস কেন তোরা? কি করছি আমি?
_শালা প্রথমে তো যেতেই ভয় পাইছিলি যাওয়ার পরে আমাদের আর খুঁজও নিলি না?[নীল]
_একদিনেই তুই আমাদের ভুলে গেছিস আর কিছুদিন পরে তো তুই আমাদের চিনবিই না।[শাওন]
_দোস্ত দেখ আমি নিজেই জানিনা আমার সাথে কি হয়েছে। ওর সামনে যাওয়ার পরে আমার সব কিছু অন্য রকম লাগছিল। অনুভূতি গুলা অন্য রকম ছিল যা আগে কখনো হয়নি। বিশ্বাস কর আমার নিজের সাথে কি হইছে তা আমি নিজেই জানিনা। সারাদিন শেষে ও যখন বিদায় নিছিল খুব খারাপ লাগছিল। কেন লাগছিল জানিনা। তাই তদের আর খুঁজ করা হয়নি। সরি রে।” শাওন নীল দিহানের দিকে কেমন যেন সন্দেহের চোখে তাকাল। দিহান বোকা ভনে গেল। শাওন বলল”

_প্রেমে ট্রেমে পড়িস নি তো?
_আরে দূর কি বলছিস প্রেমে পড়ব কেন? ও আমার খুব ভালো বন্ধু।
_বাহ একদিনেই ভালো বন্ধু হয়ে গেল? [নীল]
_ওর সাথে তো আমার পরিচয় টা একদিনের নয় তাইনা?

কার সাথে একদিনের পরিচয় না?”

হঠাৎ কারও কথা শুনে তিনজন সেদিকে তাকাল। তন্দ্রা দাঁড়িয়ে আছে। তন্দ্রাকে দেখে নীল বিরক্ত হল কিঞ্চিত স্বরে বলল” আইছে ন্যাকার খালাম্মা।” তন্দ্রা হেলেদুলে হেটে এসে তাদের সামনে দাঁড়াল। নীল আর শাওন চলে গেল সেখান থেকে। দিহান কপাল কুঁচকে তাকিয়ে তন্দ্রাকে জিজ্ঞেস করল”
_এভাবে হেলেদুলে হাটো কেন তুমি?” তন্দ্রা কিঞ্চিত রাগি স্বরে বলল”
_আমার তো সব কিছুই তোমার খারাপ লাগে। আমার হাটা,ড্রেসাপ,কথা বলা সবকিছুই তোমার খারাপ লাগে।
_ সামান্য কথায় রেগে যাচ্ছ কেন?
_এটা সামান্য কথা?
_না এটা অনেক বড় কথা। তাই ক্ষমা চাচ্ছি আমি এটা বলার জন্য। তোমার যেভাবে খুশি তুমি চল আমি আর কিছু বলব না।
_বাহ তুমি দেখছি আজকাল রাগ করতেও জানো।
_সব কিছুর একটা সীমা থাকা উচিত। অলওয়েজ ঝগড়া করলে সম্পর্কে ফাটল ধরে। সব কিছুতে সব সময় শুধু ঝগড়া আর ঝগড়া। সবসময় কি মোড একরকম থাকে?” তন্দ্রা আর কিছু বলল না দুজন চুপচাপ বসে থাকল। কিছুক্ষণ পরে দিহান তন্দ্রার দিকে তাকিয়ে দেখল তন্দ্রা বসে মাথা নিচু করে কান্না করছে। দিহান একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে তন্দ্রার পাশে বসল।

_সরি। তুমি এমন কাজ করো যে আমি রাগ না করে থাকতে পারিনা। কান্না বন্ধ কর আর ক্লাসে চল।” তন্দ্রা চোখের পানি মুছে বলল ”
_আমার ক্লাসে যেতে মন চাচ্ছে না। চল একটু ঘুরে আসি।
_একটা ক্লাস করে যাই?
_ওকে। আজ কিন্তু আমাকে ওই শাড়িটা কিনে দিতে হবে।
_আমার কাছে তো টাকা নাই। বিকাশেও এক টাকা নাই।
_বলে দিলেই পার আমাকে দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গেছ। এখন যদি এই অবস্থা হয় বিয়ের পরে আমায় কি দিবে আমি তো সেটাই ভাবতেছি। ওকে থাকো তুমি আমি যাচ্ছি। বাই।” বলেই তন্দ্রা কটকট করে হেলেদুলে হেটে চলে গেলো। দিহানের মাথায় একটা কথা আসেনা সবসময় কেন তন্দ্রা শুধু টাকা টাকা করে। সে কি বুঝেনা দিহানও চলে মা-বাবার থেকে নিয়ে। ছোট একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ক্লাসের দিকে চলে যায় দিহান।

ক্লাস শেষে নীল ও শাওনকে বসতে বলে চলে গেল অরিনদের কলেজের দিকে। অরিনকে দেখার জন্য মনটা আঁকুপাঁকু করছে তার। অরিনের ছোঁয়াতে সে যে সুখ পায় সেই সুখ পেতে মনটা ব্যাকুল হয়ে আছে। হঠাৎ করে অরিনের জন্য এতোটা টান কেন হচ্ছে সেটা সে নিজেও বুঝতে পারেনা। অরিনদের কলেজের গেটের সামনে যেতেই তার চোখে পড়ল অরিন আর লুপা কথা বলে বলে গেটের দিকে হেটে আসছে। দিহান সেখান থেকে সরে এসে লুপাকে কল দিল লুপা কল ধরতেই বলল তারাতাড়ি বাসায় যেতে। লুপা অরিনকে বিদায় জানিয়ে চলে গেলো। লুপা চলে যাওয়ার পরে দিহান অরিনের সামনে গেল। দিহানকে দেখে অরিন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো”

_আরে আপনি এখানে? মাত্রই না লুপাকে কল দিয়ে বাসায় যেতে বললেন?
_হুম যদি লুপা বাসায় না যেত তাহলে আমি এখানে আসতাম কি করে?
_আপনি দেখছি খুব চালাক।
_হুম তোমার থেকে কম।” দিহানের কথায় কিঞ্চিত হাসল অরিন।
_চল একটু ঘুরে আসি।” অরিন ফোন বের করে টাইম দেখে নিল। তারপর দিহানকে বলল”
_হুম যাওয়া যাবে কিন্তু বেশিক্ষণ থাকা যাবে না আমাকে আজ টিউশনিতে যেতেই হবে নয়তো এটা আর থাকবে না।
_ওকে এবার চলো।
_হুম।

দিহান অরিনকে নিয়ে নির্জন একটা জায়গায় গেল। চারিদিকে সারি সারি গাছ প্রতিটি গাছের নিচে শুকনো পাতা পড়ে আছে। এ যেন পাতার বিছানা। দেখতে অপরূপ সুন্দর লাগছে। অরিন চারিদিকে তাকিয়ে দিহানকে বলল”
_জায়গাটা একদম নিরিবিলি কেমন যেন ভুতুড়ে টাইপ।
_তোমার ভয় করছে না?
_কেন?
_এই যে এমন একটা জায়গায় আমি তোমায় নিয়ে এলাম। যদি খারাপ কিছু করি।
_ভয় তো আপনার পাওয়ার কথা।” দিহান অরিনের কথার জবাব দিতে যাবে তার আগেই তার কানে কিছু একটা শব্দ এল। যেন পাতার উপর দিয়ে কেউ হাটছে। তাও খুব সতর্ক ভাবে। দিহান তৎক্ষনাৎ পিছন ঘুরে তাকাল কিন্তু কাউকে দেখতে পেলনা। এখানের আসার পথেও তার মনে হয়েছে কেউ তাদের পিছু পিছু হাটছে। দিহানের সামনে তুড়ি বাজিয়ে অরিন বলল”
_ কি হইছে?
_না কিছু না চল একটু বসি।” দিহান অরিন একটা গাছের নিচে বসল। দু’জনেই গাছে পিঠ ঠেকে বসেছে। একদম কাছাকাছি। দিহানে তীব্র ইচ্ছা জাগছে অরিনের কোলে মাথা রাখতে। যদি অরিন কিছু মনে করে বা তাকে খারাপ ভাবে? এসব মনে হতেই নিজেকে আটকে রাখল দিহান। কিন্তু বেশিক্ষণ পারল না। একসময় তার মনে হলো ক্ষতি কি? বউ তো আমার। বউয়ের কোলে মাথা রাখলে পাপ তো আর হবেনা। দিহান আর দেরী না করে অরিনের কোলের উপর মাথা রেখে শুকনো পাতায় শুয়ে পরল। অরিন যেন ৪৪০ ভোল্টের শকড খেল। হা হয়ে দিহানের দিকে তাকিয়ে তাকল দিহান চোখ বন্ধ করে তার কোলে শুয়ে আছে। অরিন বলল”

_এভাবে শুয়ে পড়লেন যে?
_জানিনা। কেন জানি ইচ্ছে করছিল তোমার কোলে শুতে। বন্ধু ভেবে শুয়েছি কোনো খারাপ মতলব নেই কিন্তু।” চোখ বন্ধ রেখেই বলল দিহান। অরিন কিঞ্চিত হাসল। ভাবল মানুষটা একদম সহজ সরল কোনো কিছুতেই কোনো প্যাচ নাই সব কথা সোজা ভাবে বলে দেয়। আর সে কিনা এই মানুষটাকে ঠকাচ্ছে? ভাবতেই বুক ছিড়ে আসা একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল অরিন। দিহানের চুলের দিকে দুবার হাত বারিয়ে হাত ফিরিয়ে নিল । দিহান চোখ বন্ধ রেখেই অরিনের হাত এনে তার মাথায় রেখে বলল “একটু হাত বুলিয়ে দাও প্লিজ। একজন বন্ধু হিসাবে অনুরোধ করছি।” অরিন বিস্মিত হল তার মনের ইচ্ছে আর দিহানের ইচ্ছের কত মিল। তারও তো ইচ্ছে করছিল দিহানের চুলে হাত বুলিয়ে দিতে। অরিন দিহানের চুলের ভেতর নিজের হাত ডুবিয়ে দিলো। দিহানের চুল গুলা অনেক ঘন একদম নরম। অরিন কাল যা ভেবেছিল সত্যিই তাই। এ যেন দিহানের চুল নয় তুলোর রাজ্য। অরিনের ইচ্ছে করছে সারাজীবন এই চুলে হাত ডুবিয়ে রাখতে। কত্ত সুন্দর চুল তার স্বামীর। ভাবতেই লজ্জার হাসি হাসল অরিন। হোক ক্ষনিকের জন্য কিন্তু স্বামীই তো তার।

দিহান চোখ বন্ধ করে আছে অরিন দিহানের দিকে নেশা ভরা চোখে তাকিয়ে আছে। অরিন দিহানের চুলে মাঝে মাঝে মুঠি করে ধরছে। যখনি এভাবে ধরে দিহান মুখের ভঙ্গিটা এমন করে যেন সে খুব বেশি সুখ পাচ্ছে। অরিনের ইচ্ছে করছে দিহানের সাথে নিজেকে মিশিয়ে দিতে। দিহানের ঠোঁট গুলা অরিনকে খুব টানে। হালকা গুলাপি ঠোঁট দুটো যেন ঠোঁট নয় কোনো চম্বুক তাইতো তাকে এতো টানে। দিহান চোখ খুলে তাকিয়ে দেখল অরিন তার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এই চোখ দুটোর দিকে তাকালে তার এত নেশা ধরে যে সে নিজেকেই ভুলে যায়। ঠোঁটের কোণে হাসির রেখা টেনে বলল ”

_কি দেখছ?” অরিন তৎক্ষনাৎ চোখ সরিয়ে নিল। দিহান অরিনের একটা হাত ধরে এনে উল্টে পাল্টে দেখতে লাগল। অরিন বলল” “কি দেখছেন এভাবে?” দিহান অরিনের চোখে চোখ রেখে বলল”
_দেখি কি জাদু আছে এ হাতে
যে আমি এতো সুখ পেলাম তার ছোঁয়াতে।
_বাহ বাহ কবি হয়ে গেছেন দেখছি।” দিহান অরিনের হাতটা আবার নিজের মাথায় রেখে বলল” কবি টবি পরে হবো আগে আরেকটু সুখ দাও প্লিজ।” অরিন আবারও দিহানের চুলে নিজের হাত ডুবিয়ে দিলো। এই মানুষটার প্রেমে পড়ে গেছে সে তাইতো আজকাল তার সাথে আগের মতো বিহেভ করতে পারেনা। দিহান চোখ বন্ধ করে সুখের রাজ্যে ভেসে চলছে। সে কি জানে আড়াল থেকে কেউ একজন তাদের মূহুর্তটা ভিডিও করছে।

চলবে……।

কাল এমবি ছিলনা তাই দিতে পারিনি সরি।❤

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here