ভালোবাসি হয়নি বলা পর্ব ১২ +১৩

0
793

ভালোবাসি_হয়নি_বলা
লেখকঃmahin_al_islam
পর্বঃ১২

দেখেন এখন এসব কিছু হচ্ছে না এখন তাড়াতাড়ি উঠেন আর আমি রুম গুলা ঝাড়ু দেবো

মাহিনঃ উফফফফ সব সময় এত কাজ কাজ কাজ কাজ করলে কি চলবে

আমিঃ না সারা দিন আপনার সাথে আমি রোমান্স করি তাহলে সুন্দর চলবে তাই না

মাহিনঃ আপনি এত আনরোমান্টিক কেন বলেন তো আমার মতো রোমান্টিক হতে পারেন না

আমিঃ আমার আর খেয়ে দেয়ে কাজ নাই রোমান্টিক হই আমি,,,,আপনি থাকেন আপনার মত বেয়াদব,,,, ?

বেয়াদব কথা ভাবলেই জিভে কামড় দিলাম এটা আমি কি বললাম ধুর

মাহিনঃ আচ্ছা জান তাহলে আপনি আপনার কাজগুলো সেরে আসেন আমি একটু রেস্ট নেই আমার কিছু ভালো লাগতেছে না

আমিঃ একা একা শুয়ে থাকলে আরো খারাপ লাগবে এর থেকে ভালো আপনি আমার সাথে সাথে আসুন তাহলে দুজনে গল্প করতে করতে কাজ গুলো করবো আমার কাজ করতে ভালো লাগবে আর আপনার খারাপ মনটা ভালো হয়ে যাবে

মাহিনঃ আমার মন খারাপ তাতে আপনার সমস্যা কি আমার মন খারাপ থাক,, তাই ভালো আপনি তো সেটাই চান আমার মন সারা দিন খারাপ থাক, আমি আপনার সাথে কথা না বলি বা আমি আপনাকে ডিস্টার্ব না করি আপনি এটাই তো চান তাই না?

আমিঃ দেখেন এরকম ছোট বাচ্চাদের মতো বারবার ঝগড়া লাগাবেন না আমার সাথে প্লিজ ;!

মাহিনঃ নিজের ছোট বাচ্চা আমাকে বলে ছোট বাচ্চা “”

আমিঃ আমাকে কোন দিক থেকে আপনার ছোট বাচ্চা মনে হয় বলুনতো ?

মাহিনঃ তাহলে আমাকে আপনার কোন দিক থেকে ছোট বাচ্চা মনে হয় ?

আমিঃ উফফফ আপনি এত ঝগড়া শিখেছেন কোথা থেকে ?

মাহিনঃ আপনার থেকেই শিখতেছি আস্তে আস্তে বুঝতে পারছেন ম্যাডাম ?

আমিঃ তাহলে আমি আপনার শিক্ষক তাইতো তাহলে শিক্ষককে এখন থেকে সম্মান দিয়ে কথা বলবেন বুঝতে পারতেছেন ?

মাহিনঃ আচ্ছা ম্যাডাম দিবনি অনেক অনেক সম্মান দেবো এখন চলেন এরকম ঝগড়া করলে আপনার বাসার কাজ কিছুই হবে না ?

তারপর অনেক খুন ছুটি চললো আমাদের মাঝে খুনসুটির সাথে সাথে আমাদের কাজও শেষ হয়ে গেল বাসা একদম পরিষ্কার করে ফেললাম দুজনে ?

এখন বাজলো আরেক ঝামেলা উনি নাকি টিউবওয়েলে গোসল করতে পারেন না,, এখন পরলাম আমি মহাবিপদে এত বড় মানুষটি বলে কিভাবে গোসল করতে হয় তা নাকি জানেনা ?

মনডা চাইতাছে মাথায় তুলে একটা আছাড় দিয়ে মেরে ফেলি?

সব ঝামেলা এখান থেকেই শেষ হয়ে যাবে কিন্তু দুঃখের বিষয় আমার অতটা শক্তি নেই যে ওনাকে মাথার উপর তুলে নিচে ফেলে দিব???

আমিঃ আচ্ছা আপনি এত বড় হয়েছেন কিভাবে বলুন তো আমি একটু শুনি

মাহিনঃ কি আজব মার্কা প্রশ্ন করতেছেন আপনি যেভাবে বড় হয়েছেন দিনে দিনে আমিও ঠিক সেইভাবে বড় হয়েছি ?

আমিঃ তাহলে আমি টিউব ওয়েল গোসল করতে পারলে আপনি পারেন না কেন ?

মাহিনঃ সেটা আমাকে জিজ্ঞেস না করে আমার আম্মুকে জিজ্ঞেস করে নিজে ?

আমিঃ মানে?

মাহিনঃ আমার আম্মু কেন আমাকে টিউব ওয়েলে গোসল করায়নি আমি বড় হয়েছি টিউব অয়েল কোন দিন গোসল করিনি ?

আমিঃ ও মোর আল্লাহ তুমি উপর থেকে দড়ি ফালাও মুই এহান থেকে উপরে ওঠা যায় ?

তারপর অনেক কষ্ট করে বালতিতে পানি তুলে ওনাকে গোসল করিয়ে দিলাম ,, আমি এই প্রথম কোনো পুরুষ মানুষকে গোসল করিয়ে দিলাম লজ্জা লজ্জা লাগতে ছিল,, কিন্তু কিছু করার নাই লজ্জার মাথা খেয়ে গোসলটা করিয়ে দিলাম ??

আমিঃ এই যে আপনার গোসল করানো শেষ এখন আপনি রুমে গিয়ে আপনার জামা কাপড় গুলো পড়ে নেন আমি এখন গোসল করব ??

মাহিনঃ এটা আবার কেমন কথা আপনি আমার গোসল করানো দেখলেন আমি আপনার গোসল করানো দেখব না এটা কেমন কথা ❓❓?

আমিঃ কিইইইইইইইইওঅঅঅঅ??

মাহিনঃ এত চিৎকার করার কি আছে আমিতো সাধারণ একটা কথা বললাম তার জন্য এত রেগে যাওয়ার কি আছে বাবা চিৎকার করার কি আছে ?

আমিঃ আপনার কাছে খুব সাধারন মনে হচ্ছে কিন্তু আমার কাছে অনেক কঠিন মনে হচ্ছে তাই আমি চিৎকার করছি আর আপনি এখন বাহিরে যাবেন এটাই ফাইনাল ?

মাহিনঃ যদি বাহিরে না যাই তাহলে ?

আমিঃ প্লিজ আমি আপনানার পায়ে পড়ি আপনি এখন বাইরে যান আমাকে শান্তি মত গোসল করতে দেন?

মাহিনঃ আমি বাহিরে যাচ্ছি না যেতে পারি তবে আমার একটা শর্ত আছে যদি শর্ত পালন করতে পারেন তাহলে বাহিরে যাব আমি ??

আমিঃ উফফফফ এখন আবার কিসের শর্ত লাগাবেন,,,আচ্ছা বলেন শুনি যদি মনের মত হয় তাহলে মানবো না হলে আজকে গোসল করব না ?

মাহিনঃ আমাকে এখন একটা পাপ্পি দিতে হবে এবং সেটা ঠোটে?

আমিঃ না এটা আমার পক্ষে কখনোই সম্ভব হবেনা এর থেকে আমি গোসল না করে চলেন বাইরে চলেন?

মাহিনঃ যদি গোসল না করেন তাহলে পাঁচটা পাপ্পি দিতে হবে ??

আমিঃ কিইইইইওঅঅঅঅ?

মাহিনঃ জিইইইইইইইইই?

আমিঃ এটা কেমন কথা গোসল করলে একটা গোসল না করলে পাঁচটা আজব ধরনের কথাবার্তা বাদ দিয়ে আপনি এখান থেকে চলে যান ?

মাহিনঃ আমি কোথাও যাচ্ছি না এখন যদি রাজি থাকেন তো বলেন কোনটা করবেন আপনার ইচ্ছা একটা না 5 টা ??

উফফফফ কী মহা ঝামেলায় পড়ে গেলাম রে বাবা এইরকম তারা মানুষ আমি জীবনে কখনো দেখিনি ?

মাহিনঃ এত কি ভাবতেছেন কোনটা করবেন?

আমিঃ আচ্ছা এখান পাপ্পি দিব কিন্তু পাপ্পি পাওয়ার পর আমার দিকে না তাকিয়ে বাহিরে চলে যেতে হবে ?

মাহিনঃ ওকে?

তারপর লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে উনার ঠোঁটের মধ্যে আমার ঠোঁটদুটো ঢুকিয়ে দিলাম এবং কেমন জানি একটা অনুভূতি ফিল হচ্ছে এর আগে যেটা কখনো ফিল হয়নি আজকে কেন জানি হচ্ছে ?

কিছুক্ষণ পর ঝটপট করে অনেক ঠোঁট থেকে আমার ঠোঁট টা সরিয়ে নিলাম এমনি এমনি অন্যদিকে ঘুরে তাকালাম উনি বাইরে চলে গেলেন একটা মুচকি হাসি দিয়া ?

তারপর আমি গোসল শেষ করে বাইরে আসলাম বাহিরে এসে দেখি উনি সবকিছু পড়ে রেডি আছেন হয়তো এখন যাওয়ার জন্য রেডী হচ্ছে ?

আমিঃ একই আপনি সব দেখি পরে রেডি হয়েছেন কোথাও যাচ্ছেন নাকি ❓

মাহিনঃ কোথাও যাচ্ছেন নাকি মানে আপনি যাচ্ছেন না ❓

আমিঃ মাত্র গোসল শেষ করলাম কিছু খাওয়া দাওয়া করি তারপর একটু রেস্ট নিয়ে তারপর যাবো ?

মাহিনঃ আজকে বাসায় এখনও খাওয়া দাওয়া হচ্ছে না আমরা রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে নেব তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বেরিয়ে আসে ☺

আমিঃ এই না টাকা খরচ করার কি দরকার আমরা তো বাসায় রান্না করে খেতে পারি তাইনা ?

মাহিনঃ টাকা খরচ করার কি দরকার নাই ?

আমিঃ আচ্ছা আমি যাচ্ছি খুব তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আসতেছি আপনি একটু বসেন ?

এখন আর ঝগড়া করার কোন ইচ্ছা নাই কিছু বললেই ঝগড়া লেগে যাবে তাই যেমন আছি তেমন থাকাই ভালো

তারপর আমি রুমে গিয়ে কাপড় গুলো চেঞ্জ করলাম

নীল রঙের একটা জামা পড়লাম কপালে টিপ দিলাম হাল্কা সাজলাম

তারপর রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম

রুম থেকে বেরিয়ে আমি যাই ওনার কাছে আসলাম মনে যেটা করলেন আমার সাথে আমি কখনোই ভাবতে পারিনি উনি এরকম কাজ টা আমার সাথে এখন করবে

চলবে……..

#ভালোবাসি_হয়নি_বলা
#লেখকঃmahin_al_islam
#পর্বঃ১৩

আমি নিচে আসার সাথে সাথে উনি একটান দিয়ে ওনার বুকের সাথে আমাকে মিশিয়ে নিলেন আমি বুঝলাম না হঠাৎ করে এরকম করার কি আছে!!!!!

আমিঃ এই আপনি এসব কি করতেছেন আপনার মাথা ঠিক আছে তো নাকি আবার মাথার সবকিছু আউলা ঝাউলা হয়ে গেল

মাহিনঃ আপনাকে এভাবেই শাজতে কে বলেছিল,,,

আমিঃ মানে

মাহিনঃ আপনি যেভাবে সেজেছেন না আমাকে হয়তো পাগলা গারদে যাইতে হবে আপনার এই রুপ দেখে আমি হয়তো পাগল হয়ে যাব।।।

আমিঃ দেখুন এসব ডায়লগ মারা বাদ দেন ছবির ডায়লগ মারা বুঝছেন,,,, এখন আমাকে ছেড়ে দেন চলেন, না হলে তো আপনার রাগ আছে আমার উপর ঝারতে আপনি তো এক মিনিট দেরী করেন না।।।

মাহিনঃ কেন আমার বুকে শুয়ে থাকতে আপনার ভালো লাগতাছে না তাই না???

আমিঃ এইসব আজব প্যাঁচাল বন্ধ করুন আর এখন কোথায় যাবেন সেখানে নিয়ে চলুন একটু পর হসপিটালে যেতে হবে।।।।।

মাহিনঃ ইসসস আমার মনগড়া কোথাও যেতে চাচ্ছেনা মন চাচ্ছে আপনাকে দুচোখ ভরে দেখি আপনাকে সামনে বসায় রাখি,, আর আমি আপনার পাশে বসে থেকে আপনাকে দুচোখ ভরে দেখতে থাকে আজীবন।।।।।

আমিঃ অরে বাপ রে আমি এটা কখনোই পারবোনা আমার খুব ক্ষুদা লেগেছে এখন যদি আপনি আমাকে খাওয়াতে না নিয়ে জানতো””,,, তাহলে আমি রান্নাটা বসিয়ে দেই কারন আমার খুব খিদা পেয়েছে আমার খিদা পেলে আমি কান্না করে দেই।।।।

মাহিনঃ আপনি তো ছোট বাচ্চা কান্না ছাড়া আর কি করতে পারবেন সেটা আমি ভালো করে জানি ওকে চলুন।।

আমিঃ না আমি যাব না আমি আপনার সাথে একদম যাব না আপনি আমাকে ছোট বাচ্চা বললেন কেন????

মাহিনঃ তার জন্য রাগ করে না খেয়ে থাকবেন???

আমিঃ কে বলছে আমি রাগ করে না খেয়ে থাকবো? আমি রান্না করে খাব কিন্তু আপনার সাথে যাব না।।।।

মাহিনঃ আচ্ছা সরি আমার ভুল হয়ে গেছে আমাকে এখন মাফ করে দিন এখন চলুন আর কোন কথা হচ্ছে না এখানে যা কথা হবে গাড়িতে বসে আর রেস্টুরেন্টে খাওয়ার সময় :::.

আমিঃ না আমি আপনার সাথে যাচ্ছি না আপনি আমাকে ছোট বাচ্চা বললেন কেন???

মাহিনঃ আরে বাবা তার জন্য এত রাগ করে থাকতে হবে না এই যে কানে ধরতেছি উঠবস করতেছি তাও চলেন প্লিজ হাতজোড় করে বলতেছি ??

আমিঃ থাক আর ন্যাকামো করতে হবে না

মাহিন: আমার সবকিছুই তো আপনার ন্যাকামো মনে হয় আমি তো আর জানি অনেক আগ থেকে তাই এখন আর ঝগড়া করার কোন ইচ্ছা নাই চলেন আপনার হয়তো অনেক খুদা লাগছে আমার অনেক ক্ষুধা লাগছে চল আমি এখন খাব গিয়ে

আমি আর কিছু বললাম না জানি এখন কথা বললে অনেক কথা বাড়বে এখানে তাছাড়া কমবেনা তাই কথা না বলাই বেটার

চুপচাপ গাড়িতে গিয়ে বসলাম আর উনি গাড়িতে চালাতে লাগলেন উদ্দেশ্য যেকোনো একটা রেস্টুরেন্ট আমি যেহেতু জানিনা কোথায় যাচ্ছি

কিছুক্ষণ পর উনি আমাকে একটা রেস্টুরেন্টের সামনে নিয়ে আসলেন এবং গাড়ি থেকে নামতে বললে না

মাহিনঃ আমরা চলে এসেছি নামেন এখন

নেমে দেখি কুড়িগ্রামের নামকরা রেস্টুরেন্টে রুপশিবাংলা সেখানে নিয়ে এসেছে আমাকে

আমি অবাক দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম

মাহিনঃ এইরকম অবাক হওয়ার কিছুই নেই বুঝছেন ম্যাডাম এখন ভিতরে চলেন অনেক ক্ষুধা লাগছে এখন আর কোন কথা হচ্ছে না।।।

আমিও চুপচাপ ভিতরে চলে গেলাম আর কোনো কথা বাড়ালাম না আমার খুব খিদা লাগছে খিদায় পেটের ভিতর ইদুর দৌড়াদৌড়ি করতেছে
,,

আমার পছন্দের সব মেনু অর্ডার করে পেট ভরে খাওয়া-দাওয়া করলাম খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিল পেমেন্ট করে বাইরে চলে আসলাম।।।

মাহিনঃ এখন বিকাল তিনটা বাজে এখনই হসপিটাল যাবেন নাকি???

আমিঃ এখন হসপিটাল যাব কিন্তু তারা একটা খাচ্ছে সেটা আমাকে করতে হবে।।।

মাহিনঃ কি কাজ? বলুন আমাকে আমি করে দিচ্ছি আপনাকে কষ্ট করতে হবে না।।।

আমিঃ সেটা একান্তই ব্যক্তিগত আমার কাজ আর আপনাকে ওই কাজের কথা বলাও যাবে না বুঝছেন।।।

মাহিনঃ অরে বাবা রে আচ্ছা আপনার যেত পার্সোনাল কাজ সেহেতু আমি চুপ করে থাকে এখন বলেন আপনাকে কোথায় নিয়ে যেতে হবে???

আমিঃ আপনি এখন আপনার বাসায় যান কারণ কয়েকদিন থেকে তো আপনি আমার সাথে ঘুরঘুর করতেছেন আপনার বাসা আপনার জন্য হয়তো টেনশন করতেছে তাই এখন আপনি বাসায় যান আর আমার কাজগুলো করে আমি হসপিটালে আসব আর আপনিও সন্ধ্যার দিকে হসপিটালে চলে আসেন

মাহিনঃ তাই বলে আমি আপনাকে এখানে একা রেখে বাসায় চলে যাব এটা কখনো হতে পারে না আপনি আসলে আমি আপনাকে হসপিটালে নামিয়ে দিয়ে তারপর বাসায় যাব।।।।

আমিঃ দেখেন ছোট বাচ্চাদের মতো বায়না ধরবেন না আপনার বাসায় হয়তো অনেক টেনশন করতেছে কিন্তু আপনি হয়তো বাসার কথা ভুলেই গেছেন,,, তাই এখন আপনি বাসায় যাচ্ছেন আর কোন কথা হচ্ছে না।।।

মাহিনঃ তাই বলে,, ?

আমিঃ আমি আর কোন কথা শুনতে চাচ্ছি না আপনি এখন বাসায় যাচ্ছেন এটাই ফাইনাল যদি আর কোন রকম কথা বলেন তো আপনার সাথে আমি আর কোনদিন কথা বলব না।।।।

মাহিনঃ আচ্ছা আমি এখন বাসায় যাচ্ছি আপনাকে এত টেনশন করতে হবে না বললেই তো পারেন।।

আমিঃ আপনি একটু বোঝার চেষ্টা করুন কারন প্রতিটা মেয়ে তার সন্তানের জন্য টেনশন করে আর আপনি আপনার মায়ের সাথে জব্দ কোন কন্টাক করেনি আমার জানামতে তাই এখন বলছি আপনি বাসায় যাবেন সন্ধ্যায় আমার সাথে দেখা করবেন।।।

তারপর বোন আছে আর কোন কথা বাত্রা বলতে না দিয়ে গাড়িতে তুলে দিলাম দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দিলাম কারণ কালকে থেকে উনি যা শুরু করেছে হয়তো বাসায় অনেক টেনশন করতেছে উনার জন্য।।।

উনাকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে আমি একটু মেডিসিনের দোকানে গেলাম,,

তারপর ওর গাইনী ডাক্তার দেওয়া সেই প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে ওষুধ টা নিয়ে নিলাম

ওষুধ টা নিয়ে একটা রিক্সা ভাড়া করলাম সেটা করে হসপিটালে চলে আসলাম

আমিঃ মামা কত হইছে???

রিক্সাওয়ালা : 50 টাকা হইছে

আমিঃ এইযে মামা আপনার টাকা আর আপনাকে ধন্যবাদ,,

রিক্সাওয়ালা মামা কিছু না বলে একটু মুচকি হাসি দিয়ে চুপচাপ থাকলে তা নিয়ে চলে গেলেন

আর আমি হসপিটালের ভিতরে ঢুকে আমার ভাইয়ার কেবিনে চলে আসলাম

কেবিনে প্রবেশ করে দেখি আম্মু শুয়ে আছে আর ভাইয়া তার বেডে শুয়ে আছে

আমাকে দেখে আম্মু উঠে বসলেন আর ভাইয়া চোখ খুলে আমার দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হাসি দিলেন

আম্মুঃ কিরে মা বাসায় সব ঠিকঠাক আছে তো??

আমিঃ হ্যাঁ মা বাসার সব ঠিকঠাক আছে আর বাসাটা একদম পরিষ্কার করে তারপর এখানে এসেছি।।।।

আম্মুঃ আমার জন্যই তোকে অনেক কষ্ট স্বীকার করতে হয় তাই নারে মা????

আমিঃ তুমি যদি আর একবার ওইসব কথা তোলো তাহলে আমি এখানে আর এক মুহূর্ত থাকো না এখনই বাসায় চলে যাব।।।

আম্মুঃ আচ্ছা অনেক হয়েছে আর রাগ করে লাভ নেই ডক্টর এসে বলে গিয়েছিল মিলনকে নাকি কালকে রিলিজ দিয়ে দিবে।।।

আমিঃ কিন্তু মা হসপিটালের তো কিছু টাকা বাকি আছে সেটা দাওয়া হয়নি।।।

আম্মুঃ সে টাকা একটু পরে দিলেও হবে।।

আমিঃ অহহ আচ্ছা

আম্মু আর ভাইয়ের সাথে কথা বলতে বলতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেল
আমিঃ আম্মু আমি একটু আসতাছি

আম্মুঃ এখন আবার কই জাবি???

আমিঃ কোথাও না বাইরে যাব আর আসবো

আম্মুঃ ওকে তাড়াতাড়ি আয়।।

উনি এসেছে কিনা তাই দেখার জন্য একটু বাইরে আসলাম

বাইরে এসে উনার গাড়িটা খুজতে লাগলাম কিন্তু কোথাও দেখা যাচ্ছে না উনার গাড়িটা

আরো একটু বাইরে আসলাম রাস্তায় এসে ওনার গাড়িটা খুজতে লাগলাম কিন্তু আমার গাড়িটা দেখা যাচ্ছে না তাহলে কি উনি আসেনি এখনো

তারপর ভিতরে চলে আসলাম কিছুই ভালো লাগতেছে না কেন কিছুই জানি না আমি কেন আমার এমন হচ্ছে,,,

আমার বাড়ি আসলাম এসে উনার গাড়ি খুঁজতে লাগলাম কিন্তু উনার গাড়ি দেখা যাচ্ছেনা উনাকে দেখা যাচ্ছে না কোথাও

উফফ উনার আবার কি হলো এখনো আসতেছেনা কেন সন্ধ্যা তো পেরিয়ে গেল এখনো আসতেছেনা ব্যাপার কি না কি আজকে আসবে না

এসব ভাবতে ছিলাম হঠাৎ করে কে জানি আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরল এবং চোখে হাত দিয়ে রাখলো।

চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here