ভালোবাসা পর্ব ৬

0
554

ভালোবাসা
পায়েল ব্যানার্জি
পর্ব ৬

* * ১৫ * *

যেমন পরিকল্পনা তেমন কাজ। আমিও কাল দার্জিলিং এসে পৌছেছি। এসে যা ভেবেছিলাম তাই হল। সুজাতার বাবা কিছুতেই ঘর দিতে রাজী নয় প্রিবুকিং নেই বলে। আমিও ছাড়ার পাত্র নই। যার মনে জায়গা করবো বলে এতদুর চলে এসেছি, তার বাবার হোটেলে জায়গা করতে না পারলে আর কি করলাম। উনিও ঘর দেবেন না, আর আমিও ওই হোটেলেই থাকবো। ছোটো হোটেল তাই অনেক কষ্টে যখন কিছুতেই চিঁড়ে ভিজছে না, আমি আমার ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করলাম। ব্যাড রিভিউ আর নেগেটিভ পাব্লিসিটির। ব্যাস! মহারানীর বাপ তাতেই কাৎ। যদিও জানি এটা অন্যায় তবু জ্ঞানীজন বলে গেছেন ভালোবাসা আর যুদ্ধে সবই সঠিক। অন্যায় বলে কিছু নেই। যাই হোক চেক-ইন করার পর মহারাণীর দেখা পেলাম। এসেছিলো আমার ঘরে কোনো কিছুর প্রয়োজন আছে কিনা জানতে। মনে মনে বললাম যা প্রয়োজন ছিলো তা তো পেয়েই গেছি ম্যাডাম। আর বাকী যা প্রয়োজন সেটাও ঠিকই নিয়ে নেবো। এখন এক সপ্তাহ থাকবো। তোমার মনে জায়গা করে তবেই ফিরবো কলকাতায়।

তবে কাল আসার পর একবারই মাত্র মহারাণীর দর্শন পেয়েছি। আজ সকাল থেকে মাড্যামকে দেখতে না পেয়ে অধৈর্য হয়ে উঠেছিলাম। যা বুঝেছি তাতে ও ছুটিতে বাড়ী এসে বাবার হোটেলে কাজ করে। কিন্তু সকাল থেকে তো ওকে একবারও দেখলাম না। শেষে আর ধৈর্য রাখতে না পেরে দুপুরে লাঞ্চ সেরে বেড়িয়ে পরলাম ঘুমের উদ্দেশ্যে।

একটা লোকাল গাড়ী করে ঘুম স্টেশনে এসে নামলাম। ভারতের উচ্চতম রেলওয়ে স্টেশনে পৌছে প্রথমে কিছুই দেখতে পেলাম না। সৌজন্য মেঘ। শিলিগুড়িতে জন্ম আর বড় হওয়া। তাই এখানে আগেও এসেছি বাবা-মায়ের সাথে। এখানের এই ধরনটা তাই আমার জানা। মাঝে মাঝেই মেঘের পুরু চাদরে ঢেকে যায় চারদিক। আবার খানিক পরেই মেঘের চাদর সরে বেরিয়ে আসে ঝলমলে নীলাকাশ! প্রকৃতির এ-এক অদ্ভুত লুকোচুরি খেলা।

কিন্তু এপরিস্থিতিতে নিজের হাতও যেখানে ঝাপসা দেখাচ্ছে, আর চরাচরের কিছুই নজরে আসছৈ না, সেখানে সুজাতার বাড়ী খুঁজবো কি করে। তাই খানিকক্ষণ অপেক্ষা করাই শ্রেয় মনে করে ঘুম স্টেশনের একটা বেঞ্চে এসে বসলাম। আর অপেক্ষা করতে লাগলাম মেঘ কাটার।

খানিকপরে ভাগ্যদেবী সহায় হলেন। মেঘ আস্তে আস্তে কাটতে লাগলো। আমিও উঠলাম। লোকজনকে জিজ্ঞেস করে পুরোনো মনাস্ট্রির রাস্তাটা খুঁজে বের করে পাহাড়ী আঁকাবাকা রাস্তা ধরে এক ঘিঞ্জি জনবসতি অঞ্চলের মধ্য দিয়ে হেঁটে চললাম। কিন্তু এখানে এত বাড়ী, কোনটা সুজাতাদের বুঝবো কি করে? আসে পাশের কটা দোকানে জিজ্ঞেস করে অবশেষে যে বাড়ীটার দরজায় এসে দাঁড়ালাম সেটার দরজায় তালা বন্ধ। এত কান্ড করে শেষে ভাগ্যের দরজায় তালা! বন্ধ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ইতস্তত উঁকিঝুকি মারতে লাগলাম। হায় রে! সুপারস্টার রজত কুমার! যার এক ঝলক পাওয়ার জন্য সুন্দরীরা উঁকিঝুকি মারে সে আজ তার ভাগ্যদেবীর দর্শন পেতে উঁকিঝুকি মারছে।‌ কি পরিনতি!

এভাবে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পাশের বাড়ীর এক নেপালী ভদ্রমহিলা আমাকে দেখে বলে উঠল আপ কিসি কো ঢুন্ড রহে হ্যায়? আমি প্রথমে চমকে গেলেও সামলে নিয়ে বললাম। ইয়াহা সুজাতা সেন নাম কি কোই লড়কি রহেতি হ্যায়? আপ বতা সকতি হ্যায়?
-জ্বী হাঁ। সুজাতা ইয়েহি রহতি হ্যায়। আপ কৌন?
-জ্বী ম্যায় কলকত্তা সে আয়া হুঁ। উসকি স্কুল সে, যাঁহা ও পড়াতি হ্যায়।
-ও আচ্ছা!
-ঘর মে তো তালা লগা হুঁয়া হ্যায়। বো কাঁহা গয়ি হ্যায় বতা সকতি হ্যায় আপ?
-কহাঁ গয়ি ও তো মালুম নহি। পর কুছ দের পহেলে ও উসকো পুরানি মঠ কি তরফ জাতে হুয়ে দেখি থী। মঠ মতলব মনাস্ট্রি।
-আচ্ছা আচ্ছা। কিস তরাফ হ্যায় ও?
-ইস রস্তে সে সিধে জানা। ওর এক তক জানে কে বাদ রস্তা দোনো তরফ বাট যতা হ্যায় ও রাইট ওয়ালা রস্তা লেনা। মনাস্ট্রি সামনে হ্যায়।

ভদ্রমহিলার থেকে মনাস্ট্রির রাস্তা যেনে নিয়ে ওনাকে থ্যাঙ্ক ইউ বলে রওনা তো দিলাম। কিন্তু তখনও কি জানতাম ওখানে আমার জন্য কি শক অপেক্ষা করছে! মনাস্ট্রি পৌছে সব থেকে বড় ঝটকাটা খেলাম। মনাস্ট্রির ফাঁকা চত্বরের সিঁড়িতে সুজাতা বসে আছে, সঙ্গে একটি ছেলে। সুজাতা ওর হাত ধরে বসে আছে! এই দৃশ্য দেখার পর আমার সারা শরীর টলতে লাগলো। সুজাতার সঙ্গে বসে এটা কে?

* * ১৬ * *

পলাশদের বাড়ী থেকে বেড়িয়ে দুজনে পাহাড়ী পথ বেয়ে হাঁটতে লাগলাম পুরোনো মনাস্ট্রির দিকে। কিন্তু দুজনেই নিস্তব্ধ। একজন নিজের মনে নিজেকে গুছিয়ে নিচ্ছে আর দ্বন্দ্ব কাটাচ্ছে, আর অপরজন অপেক্ষা করছে প্রথমজনের মনের অন্ধকারকে জানার জন্য। হাঁটতে হাঁটতে আমরা দুজনে এসে পৌছলাম মনাস্ট্রির ভেতরে। আমি ওকে ইশারায় সিঁড়িতে বসতে বলে নিজে গিয়ে বসলাম সিঁড়ির ধারে। ও-ও নিঃশব্দে আমার পাশে এসে বসল। আমি এবার নিজেই মৌন ভেঙে বললাম বল এবার। ও খানিকক্ষণ চুপ করে বলল তোর কুহেলীকে মনে আছে?
-কুহেলী সরকার। আমাদের স্কুলেই পড়ত।
-কুহেলী সরকারররর!!! কুহেলী সরকারররর!!! দার্জিলিংয়ের কুহেলী সরকার? অন্তরা সরকার-কুহেলী সরকার দুই বোন। সেই কুহেলীর কথা বলছিস?
-হ্যাঁ সেই কুহেলী সরকারের কথা বলছি।
-অফকোর্স! মনে থাকবে না কেনো? কেন কি হয়েছে?
-আমি কুহেলীকে ভালোবাসি।
-হোয়াট! আমি চমকে লাফিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম। পলাশ আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো। আমি খানিকটা ধাক্কা সামলে বললাম কুহেলী জানে? এবার যেটা পলাশ বলল সেটা আরোও শকিং।
-কুহেলীও আমাকে ভালোবাসে!
-হোয়াট! এসব কবে থেকে চলছে?
-স্কুলে থাকতেই পছন্দ করতাম ওকে। এক তরফা তাই তোদের বুঝতে দিই নি। প্রেম শুরু হয় কলকাতায়। কলেজে পড়তে।
-তারপর?
-তোরা তো জানিস আমাদের দুজনেরই সায়েন্স ছিলো, আর দুজনেই জয়েন্ট দিয়েছিলাম। কোইন্সিডেন্টালি দুজনেই একই কলেজে ভর্তিও হয়েছিলাম। উই আর প্রিভিয়াসলি নোন ইচ আদার, তাই ওখানে আমরা দুজনেই দুজনের একমাত্র বন্ধু ছিলাম। ক্রমে বন্ধুত্ব বাড়তে বাড়তে দুজনেই দুজনকে ভালোবেসে ফেলি। আমি খেয়াল করলাম আস্তে আস্তে চারিদিকে মেঘে ঢেকে যাচ্ছে। তাই আমি ধীরে ধীরে আবার পলাশের পাশে বসতে বসতে বললাম এটা তো ভালো ব্যাপার। তাতে তুই এত আপসেট কেন?
-কারণ গত কয়েকদিনে সমস্যা শুরু হয়েছে।
-সমস্যা! কিসের সমস্যা!
-অনেক লম্বা ঘটনা।
-তুই বল, আমি শুনছি।
এরপর পলাশ বলতে শুরু করল। এখন চারিদিকে মেঘে ঢেকে গেছে, তাই পাশে বসলেও আমি পলাশকে পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি না, তবে ওর প্রতিটা কথা শুনতে পাচ্ছি, তাই ও যা বলতে লাগলো শুনতে লাগলাম। ওর কাহিনীর সারার্থ এই-

কুহেলী আর পলাশ একে অপরকে খুবই ভালোবাসে। ওদের ভালোবাসায় কোনো খাদ নেই। দুবছর হতে চলল ওদের ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ হয়েছে, কিন্তু চাকরীর মন্দার বাজারে দুজনের কেউই চাকরী জোটাতে পারে নি। চেষ্টা করছে দুজনেই, কিন্তু সফলতা নেই। এর মধ্যে কুহেলীর যমজ বোন অন্তরার বিয়ে ঠিক হয়। এখবরটা স্কুলের বন্ধুদের মারফত আমিও পেয়েছিলাম। সম্প্রতি অন্তরার বিয়ে হয়েছে। আর তারপর থেকেই ওদের বাবা কুহেলীর বিয়ে দেবে বলে উঠে পড়ে লেগেছে। কুহেলী বাড়ীতে জানিয়েছিলো যে ও পলাশকে ভালোবাসে কিন্তু কুহেলীর গোঁড়া রক্ষণশীল বাবা সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে একজন নিম্নবিত্ত নেপালী পরিবারের, কর্মহীন, ছেলেকে তিনি তার জামাই হিসাবে‌ কিছুতেই মেনে নেবেন না। কুহেলী অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছে ওনাকে। কিন্তু উনি নিজের বক্তব্যে অনড়। তাই পলাশকে কুহেলী আল্টিমেটাম দিয়ে দিয়েছে। যদি পলাশ তাড়াতাড়ী কোনো ব্যবস্থা না করে তাহলে ও আত্মহত্যা করবে। পলাশ অনেক বুঝেছে ওকে, কিন্তু কুহেলীও ওর বাবার মতই জেদি। তাই পলাশ দিশাহীন হয়ে পড়েছে। কি করবে কিছু বুঝতে পারছে না।

এই পর্যন্ত বলে কান্নায় ভেঙে পড়ল পলাশ। খারাপ লাগছিলো একটা প্রাণবন্ত ছেলের মনের কষ্ট হতাশা দেখে। আস্তে আস্তে চারপাশের মেঘ কেটে পরিষ্কার আকাশ বেড়িয়ে এসেছে কথার মাঝখানেই। দুজনে পাশাপাশি বসে আছি। পলাশ মাথা নীচু করে ডুকরে কাঁদছে। আর আমি নিঃশব্দে ওকে দেখে যাচ্ছি। খানিকপরে ও নিজেই নিজেকে সামলে নিয়ে আমার দিকে তাকালো। ওর চোখে এক গভীর শূন্যতা দেখলাম। ও ধরা গলায় বলল কুহেলীর যদি কিছু হয়ে যায়, আমিও বাঁচবো না। শেষ করে দেবো নিজেকে।
-শাট আপ ইডিয়ট। এসব কথা মনেও আনবি না। তোর কিছু হলে কাকু কাকিমার কি হবে ভেবে দেখেছিস? আমাকে দুটো দিন সময় দে। আমি দেখছি কি করা যায়।
এবার পলাশের চোখ মুখ একবারের জন্য উজ্জ্বল হয়েই আবার আগের মত নিষ্প্রভ হয়ে গেলো। তুই আর কি করবি?
-সেটা আমি বুঝবো। তুই শুধু আমায় কথা দে নিজের কোনো ক্ষতি করবি না। কথা দে। বলে আমার হাতটা ওর দিকে বাড়িয়ে দিলাম। ও খানিকক্ষণ আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। কি রে! কথা দে! এবার ও একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আমার হাত ছুঁয়ে সম্মতি সূচক মাথা নাড়লো। আমিও হেসে বললাম দীর্ঘশ্বাস ফেলার কিচ্ছু হয়নি। আমি আছি তো। ঠিক ব্যবস্থা করে দেবো। শুধু দুটো দিন সময় দে। ও-ও এবার মৃদু হেসে মাথা নাড়লো।

* * ১৭ * *

কাল পলাশকে ভরসা তো দিলাম। কিন্তু আদৌ কি করবো কিচ্ছু বুঝতে পারছি না। কাল থেকে মাথা কুটে মরছি কিন্তু কিছুই মাথায় আসছে না। কাল একবার সন্ধ্যের কুহেলীকে ফোন করেছিলাম। পলাশই দিয়েছিল ওর নম্বর। আজ ওর বাড়ী যাচ্ছি। ওর সাথেও একটু সামনাসামনি‌ কথা হওয়া দরকার। তাই বাবাকে বলেছি হোটেলে পৌছতে দেরী হবে।

অন্যমনস্ক হয়েই হাঁটছিলাম। ম্যালের রাস্তা পার করে বাজারের ভেতর দিয়ে যেতে গিয়ে সজোড়ে ধাক্কা খেলাম আর হুমড়ি খেয়ে পড়লাম। আমি বুঝতে পারছি না গত কিছুদিন ধরে লোকে আমাকেই কেন ধাক্কা মারছে, সেদিন পলাশ আজ আবার এটা কে ভাবতে ভাবতেই চোখ তুলে যাকে দেখলাম তাকে কোথায় যেন দেখেছি আমি! খানিক ভাবতেই মনে পড়ল এটা সেই লোকটা যে দুদিন আগে আমাদের হোটেলে এসে উঠেছে বিনা বুকিং-এ। এ এখানে কি করছে! লোকটার চোখের দিকে তাকাতেই আমার ঝটকা লাগলো। এই চোখদুটো আমার খুব চেনা। কোথায় দেখেছি এই চোখ! মনে করতে পারছিলাম না। ওদিকে আমি একে তো মাঝরাস্তায় ওনার ঘাড়ের ওপর পড়েছি তারপর না উঠে হা করে ওনার চোখে তাকিয়ে আছি তাই উনিই আমাকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিলেন।

তাড়াতাড়ী দুজনে উঠে দাঁড়ালাম। চারপাশে লোক জড়ো হয়ে গেছে দেখে আমি সরি বলে ওখান থেকে দৌড়ে চলে এসেছি। খুব অস্বস্তি হচ্ছিলো ওখানে। সবাই কি ভাবছে কে জানে! আমি তাড়াতাড়ী পা চালিয়ে কুহেলীদের বাড়ী এসে পৌছলাম। একই স্কুলে পড়ার দরুণ কাকিমা আমাকে চিনতেন কুহেলী অন্তরার ক্লাসমেট বলে, তাই কাকু মানে ওদের বাবার বেশী প্রশ্নবাণ সহ্য করতে হয়নি। তবে সন্দেহের চোখে বারবার দেখছিলেন। কাকিমা আমাদের কুহেলীর ঘরে গিয়ে গল্প করতে বললে‌ কুহেলী তাড়াতাড়ী আমাকে ওর ঘরে নিয়ে গেলো, আর আমিও হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।

ওর সঙ্গে খানিক কথা বলে বুঝলাম কুহেলী যে করেই হোক পলাশকেই বিয়ে করতে চায়। পলাশ চাকরী পায়নি সেটা ওর কাছে মাথা ঘামানোর বিষয় নয়। ওর বক্তব্য আজ চাকরী নেই দুদিন বাদে তো পেয়ে যাবে। কিন্তু ততদিন ওর বাবা অপেক্ষা করবে না। ওর অন্য কোথাও বিয়ে দিয়ে দেবে। এমনিও ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছে নিজের জেদে। ওর বাবা ওর চাকরী করার ইচ্ছাকে সমর্থন করে না। আমি সব শুনে পলাশের মত ওকেও আস্বস্ত করে বললাম চিন্তা না করতে, আমি আছি। আমি ব্যবস্থা করবো। তারপর ওর বাড়ী থেকে বেড়িয়ে এলাম এই দুজনকে কিভাবে মেলাবো সেই চিন্তা মাথায় নিয়ে।

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here