ভালোবাসা পর্ব ১৪

0
604

ভালোবাসা
পায়েল ব্যানার্জি
পর্ব ১৪

* * ৩৯ * *

শরৎকালের সকাল, আজ রবিবার, ছুটির দিন। চারদিকে পুজো পুজো গন্ধ। আর দু সপ্তাহ পরেই পুজোর ছুটি শুরু হয়ে যাবে। মা দুর্গা কৈলাস থেকে বাপের বাড়ী আসলে সেই উপলক্ষে আমিও আমার বাড়ী ফিরে যাবো। পিসি আর আমি রান্নাঘরে কাজ করতে করতে সেই কথাই আলোচনা করছিলাম। পাপাই বেলা এগারোটায় ঘুম থেকে উঠে আধো ঘুম চোখে টলতে টলতে হলে এসে খবরের কাগজটা হাতে নিয়েই আচমকাই চিৎকার চেঁচামিচি জুড়ে দিলো।

এখানে বলা প্রয়োজন সাধারণ মানুষের সঙ্গে পাপাইকে গোলালে চলে না। কারণ পাপাই হল পাপাই-ই। সাধারণ মানুষ যা করে ও তা করে না। লোকে খবরের কাগজ পড়ে দেশ দুনিয়ার খবর জানার জন্য। কিন্তু পাপাই কাগজ পড়ে শুধু সিনেমার পাতাটা পড়ার জন্য। বাকী খবর ওর কাছে নাকী বোরিং। যাই হোক্! ওর চিৎকার শুনে তো পিসি রান্নাঘর থেকে গরম খুন্তি হাতে তেড়ে এলো। আমিও পিছন পিছন কি ব্যাপার দেখতে এলাম। বেলা এগারোটায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ না হয়ে বাসি মুখে খবরের কাগজ হাতে নিয়ে এরকম চিৎকারের জন্য পিসি তো ওকে প্রায় খুন্তি পেটা-ই করতে যায়। আমি শেষে মধ্যস্থতা করে বেচারীকে মায়ের মারের হাত থেকে বাঁচিয়ে ঘরে পাঠালাম। তারপর পিসিকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে ঠান্ডা করে ঘরে এসে দেখি পাপাই দেবী গালে হাত দিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন। আমি তাড়া দিয়ে বললাম সাত বেলায় আবার মার খাবি। যা ব্রাশ কর, ফ্রেশ হ। ম্যাডাম আমার কথা শুনে এবার আমার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে অত্যন্ত গম্ভীর স্বরে বলল শেষে ওই মেয়েটাকে রজতকুমার ডেট করছে? ওর সঙ্গে রিলেশনে আছে! পাপাইয়ের কথা শুনে আমি চমকে উঠলাম। কে মেয়ে! কি কথা বলছে ও! আমার সর্বাঙ্গে শিহরণ খেলে গেলো। আমি বিস্ময়ে পাথরের মত দাঁড়িয়ে রইলাম। মাথায় কিচ্ছু ঢুকছিলো না! কার সঙ্গে রিলেশন! কই উনি তো আমায় কিছু বললেন না। গলার স্বর আটকে আসছিলো। কোনোরকমে নিজেকে সামলে বললাম মান-নে? কোন মেয়ে? কি বলছিস? পাপাই উত্তেজিত হয়ে বলল আরে ওই হিরোইনটা, পল্লবী পল্লবী। ওর সঙ্গেই নাকি রজতকুমার ডেট করছে, ওদের মধ্যে হয়ত কোনো রিলেশন আছে। আজকের পেপারে বেরিয়েছে দেখ না। পল্লবীর বার্থডে পার্টিতে সপরিবার রজতকুমার ইনভাইটেড ছিলো। একসঙ্গে সব দাঁড়িয়ে ছবিও তুলেছে। আজকের পেপারে দিয়েছে ছবিটা। আমার এটা শুনে পায়ের তলার মাটি অবধি দুলছিলো। উনি আমাকে বলেছিলেন সব বলবেন। তাও এতবড় কথাটা লুকলেন? কেন? পাপাই মাথা নেড়ে আবার বলল ব্যাড চয়েস। মেয়েটা বড্ড ন্যাকা। ওর সঙ্গে রজতকুমারকে একদম মানাবে না, দেখিস দিদি। আমার আর তখন মাথা কাজ করছে না। আমি কোনোরকমে বাইরের হলে এসে খবরের কাগজটা তুলে চোখের সামনে ধরতেই দেখলাম ছবি সমেত খবরটা “সম্ভাব্য হবু শ্রীমতি রজতকুমার!” শিরোনামটা দেখে চারদিকটা কেমন যেন ফাঁকা হয়ে গেলো। একটা কান্না হঠাৎ করে গলার কাছে দলা পাকিয়ে এলো। কেন জানিনা মনে হতে লাগলো আমার সবই শেষ হয়ে গেলো।

* * ৪০ * *

রাতে প্রতিদিনের মত সুজাতাকে ফোন করলাম। অনেকক্ষণ রিং হয়ে যাওয়ার পর ও ফোনটা ধরল। কি ব্যাপার ঘুমিয়ে পড়েছিলো নাকী!
-হ্যালো!
-হ্যালো!
কি ব্যাপার! সুজাতার গলাটা এরকম ধরা ধরা লাগছে কেন? সব ঠিক আছে তো! কি হলো? ঘুমিয়ে পড়েছিলে?
-না বলুন।
-তোমার গলাটা এরকম শোনাচ্ছে কেন? কি হয়েছে?
-কই কিছু হয়নি তো!
সিওর ঢপ দিচ্ছে। কিছু হয়েছেই। হয় ঘুমাচ্ছিলো, নয় কাঁদছিলো, নয় ঠান্ডা লাগিয়েছে। নইলে এরকম ধরা গলা ওর নয়।
-ঠান্ডা লাগিয়েছ নাকী?
-কই না তো! কেন?
-না তোমার গলাটা কেমন ভারী ভারী, ধরা ধরা লাগছে।
-ও এমনি।
-আচ্ছা! কি করছ?
-রোজ যা করি, শুয়ে আছি, ঘুমাবো।
-আচ্ছা তোমার কি মুড অফ?
-না।
সিওর কিছু হয়েছে। ওর এই না বলার ভঙ্গীই বলে দিচ্ছে। এবার একটু গম্ভীর হয়েই বললাম
-দেখো সুজাতা তুমিই বলেছিলে বন্ধুদের মধ্যে কথা লুকাতে নেই। তুমিই কিন্তু কথার খেলাপ করছ। কথা লুকোচ্ছো।
কথাটা বলে প্রত্যুত্তরের অপেক্ষা করলাম কিন্তু ওদিকে নীরবতা ছাড়া কিছুই নেই। আমি উত্তর না পেয়ে আবার বললাম কি হলো? চুপ করে আছ যে! এবার অপর প্রান্ত থেকে উত্তর এলো
-আপনি কি সত্যিই সব কথা বলেন?
আবার কি লুকালাম আমি! আমি তো শুনে আকাশ থেকে পড়লাম। বললাম
-মানে! আমি আবার কি কথা লুকালাম!
-সত্যিই কিছু লুকাননি আপনি? ভেবে দেখুন তো!
-দেখো সুজাতা! আমি তোমাকে যখন কথা দিয়েছিলাম তখন তোমার থেকে কোনো কথা আর লুকাই না! যা হয়! ছোটো ছোটো ঘটনাও জানাই তোমায়।
-তাই নাকী! তাহলে পল্লবী আর আপনার সম্পর্কের কথাটা লুকালেন কেন?
আমি চমকে উঠলাম কথাটা শুনে! তোমাকে কে বলল কথাটা?
-কে আর বলবে! আজকের খবরের কাগজটাই বলল। সম্ভাব্য শ্রীমতি রজতকুমার! নবাগতা অভিনেত্রী পল্লবী ও রজতকুমার একে অপরের সঙ্গে পল্লবীর জন্মদিনের পার্টিতে।
-ওহ! শিট!
-মানে?
-কিছু না! এই ভয়টাই পাচ্ছিলাম। সুজাতা যদি এই বাড়াবাড়ীটা জানে আমাকে খারাপ ভাববে। এখন একে কি করে বোঝাই! ওটা সত্যি নয়, সত্যি এটাই যে আমি তোমাকে, আর শুধু তোমাকেই ভালোবাসি সুজাতা। গত চারমাস ধরে বলার চেষ্টা করছি। কিন্তু বলতে পারছি না। এখন তোমায় কি করে বোঝাই। তাড়াতাড়ী নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম দেখো সুজাতা! তোমাকে আমি কিচ্ছু লুকাইনি। পল্লবী আমার কলিগ ছাড়া আর কিছুই নয়। হ্যাঁ দুয়েকবার ওর অনুরোধেই ওর সঙ্গে ডিনারে গেছি। আর সেদিন ওর বার্থডে পার্টিতে আমাকে বাবা মাকে নেমন্তন্ন করেছিলো। শুধু আমাদেরই নয়, আমাদের লাস্ট সিনেমাটার প্রোডিউসর, ডাইরেক্টর, কো-অ্যাক্টর সবাই ইনভাইটেড ছিলো। ও যেহেতু একটাই সিনেমা করেছে, তাও আমার বিপরীতে তাই আমাদের মিডিয়ার সামনে একসাথে ছবি তুলতে হয়েছে। মিডিয়া নিজেদের পেপার বিক্রির জন্য ওই আগের ডিনার ইনভিটিশন, জন্মদিন পার্টি সব মিলিয়ে মশলাদার খবর ছেপেছে। এটা সত্যি নয়। সত্যি হলে আমি নিজেই তোমাকে জানাতাম না কি?
এতটা বলার পর আমি থামলাম। সুজাতা চুপ করে আছে। আমি আবার বললাম কি হলো? চুপ করে আছ কেন? সুজাতা কথা বলল না শুধু বলল হুম! আমি বললাম কি হুম? বিশ্বাস হলো না আমার কথা? ও ধীরে ধীরে বলল হয়েছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তাহলে! এবার ও যা বলল তাতে আমার প্রথমে কথাই আটকে গেলো। তারপর কথাটা হজম হতেই হাসি পেয়ে গেলো! ও বলল মেয়েটা খুব গায়ে পড়া। মানে শুধু কলিগের সঙ্গে কেউ এরকম জড়িয়ে জাপটে ধরে ছবি তোলে নাকি! পল্লবী জড়িয়ে জাপটে ধরে যদিও ছবি তোলেনি এটা আমি জানি, কিন্তু সুজাতার কথাটা বলার ঢঙে আমার হাসি পেয়ে গেলো। অনেক কষ্টে হাসিটা চাপলাম বটে, তবে সেই সঙ্গে আমি অনেকাংশে নিশ্চিত হয়ে গেলাম যে সুজাতা আমাকে ভালোবাসে। আর আমাকে নিয়ে ঈর্ষাকাতর। নইলে ও একথা বলত না। ভালো না বাসলে কেউ খামোখা কাউকে নিয়ে ঈর্ষাকাতর হয় না। লোকে তো নিজের প্রিয় জিনিসটার প্রতিই বেশী অনুভূতিপ্রবণ হয়। মানে শুধু বন্ধু হলে ও আমাকে এই কথা বলত না। ওর মনে আমি বন্ধুত্বের থেকে বেশী জায়গা পেয়ে গেছি। তাই ও পল্লবীকে না চিনেও শুধু আমাকে পল্লবীর সঙ্গে ছবিতে দেখে এই কথা বলল। ওর মনে যে আমার জায়গা হয়ে গেছে এটা আমি জেনে গেছি। হয়ত ও-ও জানে, কিন্তু প্রকাশ করে না। কিম্বা হয়ত প্রকাশ করতে লজ্জা পায়। কিম্বা এমনও হতে পারে নিজের মনের অনুভূতি নিজেই বুঝতে পারছে না! কিন্তু আমি বুঝে গেছি মহারাণী। তুমি আমায় ভালোবাসো, আর তোমার চিন্তা নেই আমার মনের কথাও এবার তুমি জানতে পারবে। খুব শিগগিরই। আমি হাসি চেপে বললাম হ্যাঁ মেয়েটা একটু গায়ে পড়া আছে। যাকগে! বাদ দাও ওর কথা। ওহ্ হ্যাঁ তোমায় একটা কথা বলার ছিলো।
-কি?
-আগামী একুশ তারিখ এই অধমের শুভ আবির্ভাব দিবস। তাই ওইদিন সান্ধ্যবাসরে একটি পার্টির আয়োজন করিয়াছি। আপনি সপরিবারে আমার পার্টিতে হাজির থাকিয়া, উহার শোভাবর্ধন করিয়া আমাকে বাধিত করিবেন। আমার বলার ঢঙে এবার মহারাণী খিলখিলিয়ে হেঁসে উঠলেন। যাক বাবা! হাসাতে পারলাম তাহলে। হাসি থামলে সুজাতা বলল
-পাতি কথায় বললেই হয়, বার্থডে পার্টিতে ইনভাইট করছেন। অত ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বললে কি আর যাওয়া যায়?
-এই সেরেছে! না না তাহলে এমনিই বলছি, নেক্সট একুশে সেপ্টেম্বর আমার সন্ধ্যেবেলা তোমাদের স্যোসাইটির ব্যাঙ্কোয়েট হলেই আমার বার্থডে পার্টিতে তোমার ফুল ফ্যামিলির নেমন্তন্ন রইলো। পিসি পিসেমশাই আর সমর্পিতাকে নিয়ে অবশ্যই চলে আসবে।
-এবার ঠিকঠাক হলো। আচ্ছা আসবো। তবে আপনি একবার পিসেমশাইকে ফোন করে এটা জানাবেন। নইলে আমরা যেতে পারবো না।
-আরে সে আর বলতে! আমি-ই ফোন করে জানিয়ে দেবো। বাবাও হয়ত কার্ড দিয়ে বলে আসবে।
-হুম ঠিক আছে।
-ঠিক আছে নয়। আসতেই হবে।
-বাব্বা, এতবার করে যখন বলছেন অবশ্যই যাবো।
একথা শুনে আমি নিশ্চিন্ত হলাম। চিন্তা করো না সুজাতা, এই একুশ তারিখটা তোমার জীবনে সবচেয়ে স্পেশাল হবে। একুশ তারিখ আমি অফিশিয়ালি তোমাকে আমার ভালোবাসার কথা জানাবো। আর তোমার মনের কথাও আমি জানবো। সুজাতা এবার বলল, অনেক রাত হলো। এবার ঘুমাবো।
ওর কথায় আমি চিন্তার জগত থেকে বাস্তবে এলাম। বললাম হ্যাঁ হ্যাঁ। ঠিক আছে, গুড নাইট। সুজাতাও গুড নাইট বলে ফোন রেখে দিলো। ফোন রাখার পর আমি চুপ করে ঘরের সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে শুয়ে রইলাম। মনটা আজ আমার উড়ছিলো। মনে মনে ভাবছিলাম কবে একুশ তারিখ আসবে! উফ্! আমার যে আর তর সইছে না!

* * ৪১ * *

আজ রজতকুমারের জন্মদিনের পার্টিতে আমি আর পাপাই যাব। পাপাই তো সকাল থেকেই আনন্দে লাফাচ্ছে, কি পড়বে কেমন সাজবে ভেবে ভেবেই অস্থির হয়ে গেলো মেয়েটা। ওর মত নাচানাচি করতে না পারলেও আমারও বেশ আনন্দ হচ্ছিলো। বেলাতে আমার আর পাপাইয়ের আলমারীটা গোছাতে বসেছি এমন সময় মুর্তিমতী তুফান চেঁচাতে চেঁচাতে ঘরে এসে ঢুকলেন।
-দিদি! অ্যাই দিদি!
-ষাঁড়ের মত চেঁচাচ্ছিস কেন? বল কি হয়েছে?
-তোর নামে চিঠি এসেছে! এই নে!
-চিঠি! আমার নামে? কোত্থেকে? দে দেখি!
পাপাইয়ের হাত থেকে চিঠিটা নিয়ে তাড়াতাড়ি খুলে দেখি এটা একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার। এবার বাড়ী গিয়ে ওখানের অনেকগুলো স্কুলে অ্যাপ্লাই করে এসেছিলাম। এটা সেগুলোর মধ্যে একটা। ইংলিশ টিচারের জন্যই অ্যাপ্লাই করেছিলাম। কিন্তু যখন অ্যাপ্লাই করেছিলাম। তখন এরা ভ্যাকেন্সি নেই বলে ফিরিয়ে দিয়েছিলো। আর এখন নিজেরাই অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পাঠিয়েছে! তাড়াতাড়ি চিঠিটা খুলে পড়তে লাগলাম। ওরা যত শিগগির সম্ভব জয়েন করতে বলেছেন। পুজোর ছুটির আগেই। চিঠিটা পেয়েই খুব আনন্দ হচ্ছিলো। অবশেষে আমি আমার পরিবেশে পাকাপাকি ভাবে ফিরে যেতে পারব। এতদিনে আমার স্বপ্ন সত্যি হলো। আনন্দে নাচতে ইচ্ছা করছিলো।

কিন্তু ক্রমশ সেই আনন্দটা কমে এলো। একটা চাপা দুঃখ বুকের ভেতর চেপে বসতে লাগলো। এই কয়েকবছরে এই শহরটার এই শহরের লোকজনগুলোর মায়ায় জড়িয়ে গেছিলাম। সেটা ছিঁড়ে বেরোতে হবে ভেবে কষ্ট হচ্ছিলো। এখানের ইউনিভার্সিটির বন্ধু-বান্ধব, স্কুলের সহকর্মীদের খুব মনে পড়বে। পিসি পিসেমশাইয়ের আদর ভরা শাসন মনে পড়বে, বিশেষত পাপাইটার পাগলামী, ছেলেমানুষী মনে পড়বে। এই স্যোসাইটির লোকঝনেদের মনে পড়বে। জয়তি আন্টি, রমেন আঙ্কেল, আর…………………। আচ্ছা আমি চলে গেলে ওনার আমাকে আর মনে পড়বে? আর এরকম যোগাযোগ থাকবে? ওনার কথাটা ভেবেই মনটা যেন আরোও খারাপ হয়ে গেলো। এখন সত্যিই আমার ওনাকে ভালো লাগে। ওনার সঙ্গে কথা বলতে, ওনার কথা ভাবতে। আশ্চর্য বাঁধনে বাঁধা পড়ছি আমি ওনার কাছে। আচ্ছা আমি যা অনুভব করি উনিও কি তাই অনুভব করেন? ওনার কথা ব্যবহারে আমাকে উনি এত স্পেশাল অনুভব করান। সেটা কি সত্যিই! নাকি ওনার মনের খেয়াল। এখন আমাকে এত স্পেশাল অনুভব করাচ্ছেন, হয়ত আমি চলে গেলে আমাকে ভুলে যাবেন।

না না! এসব কি ভাবছি! উনি আমাকে ওনার খুব ভালো বন্ধু বলে মনে করেন। তাই ওরকম স্পেশাল অনুভব করান। নিজের জীবনের সব কথা আমায় বলেন, ভালো বন্ধুই তো এরকম হয়। তবে এবার আমার পালা। আমার এই আনন্দের কথাটাও আমাকে ওনাকে জানাতে হবে। আজই রাতে পার্টিতে ওনাকে জানাবো আমার নতুন চাকরীর কথাটা।

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here