#ভালোবাসার_ফোড়ন_২
#মিমি_মুসকান
#পর্ব_২
রিক্সার টুং টুং শব্দে ভাবনার ছেদ ঘটল না আমার। হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার মাঝ পথে চলে এসেছি। পেছন থেকে রিক্সা বলছে..
“আপা সামনে যেতে সরুন, মাঝপথে হাঁটতেছেন কেন। পরে তো কিছু হলে দোষ হবে আমাগো”
আমি তৎক্ষণাৎ সরে গেলাম। আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি পুরো আকাশ কালো অন্ধকার কিন্তু তবুও এর মাঝে যে তারা মিটিমিটি করছে কিন্তু আমার মনের আকাশে যে শুধুই অন্ধকার!
অতঃপর আবারো হাঁটা শুরু করলাম নিজের গন্তব্যের দিকে। সবসময় সন্ধায়’ই চলে আসি বাড়িতে তবে আজ বাসায় আসতে আসতে রাত হয়ে গেল। কিছুক্ষণ পার্ক এ একা একটা বেঞ্চে বসে ছিলাম। মজার ব্যাপার ছিল বেঞ্চের সামনে বরাবর একটা জবা ফুলের বাগান ছিল। আমি বসে বসে লাইটের আলোতে সেই জবা ফুল দেখছিলাম! দেখতে বেশ ভালো লাগছিল।
এসে দাঁড়ালাম একটা বাড়ির সামনে। বাড়িটা বেশ পুরোনো, তিন তলা একটা বাড়ি। নিচ তলা টা এভাবেই পড়ে আছে। কেউ থাকে না এখানে, বেশ অন্ধকার! মাঝে মাঝে আমার বেশ ভয় লাগে। বাড়ির গেটের সামনে একটা লাইট জ্বলছে ঠিক আমার মাথার উপর। আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠলাম। আমি থাকে দুতলা আর বাড়ি ওয়ালা থাকে তিন তলা এর উপর ছাদ। তাদের ছাদটায় একটা দোলনা আছে আর আছে কিছু শাকের গাছ। আসলে তিন তলার বাড়িওয়ালা দুজন বৃদ্ধ। বয়সের শেষ বয়সে এখন তারা দুজন একাই থাকে এখানে। একমাত্র ছেলে নাকি বউ বাচ্চা নিয়ে বিদেশে সেটেল হয়ে গেছে। ভাগ্যও কি অদ্ভুত নাহ! এতো টাকা থাকা সত্ত্বেও নিজের বাবা মা’র দেখাশোনা করছে না আর আমি টাকার জন্য তাদের দেখা শোনা করতে পারছি না!
দরজায় একটা তালা ঝুলানো। বেশ পুরোনো এটা! আমি ব্যাগ থেকে চাবি টা বের করে তালা খুলে ঘরে ঢুকলাম। সব কিছু অন্ধকার, জানালা’র পর্দা টা উড়ছে। বাতাস এসে আমার গায়ে লাগলেই শরীর কাঁটা দিয়ে উঠলো। ঠান্ডা বাতাস, মনে হচ্ছে বৃষ্টি আসবে। ঘর টা বেশ বড় আর এখানে তিন টা বেড। একটা আমার আর দুটো দুই বোনের। কিন্তু তারা হলো যময। দেখতে বেশ সুন্দরী। একজনের নাম হলো মিতু আরেকজনের মুন্নি। মিতু আপু বড় তার সাথে আমার ভাব হলেও মুন্নি’র সাথে তেমন ভাব নেই। মনে হয় যেনো সে আমাকে সহ্য করতে পারে না।
বিছানায় এসে বসলাম। এখানে দুই বিছানায় খাট আছে তবে আমার নেই। আমি শুধু একটা তোশক আর বালিশ নিয়ে ঘুমায়। তবে এটাও দাদু’র দেওয়া। মানে বাড়ি ওয়ালার! তাকে দাদু বলেই ডাকি আমি। আর দাদি আমাকে একটা খ্যাতা দিয়েছিল গায়ে দেবার জন্য। বেশ সুন্দর ছিল সেটা, অনেক সুন্দর নকশা করা। দাদি বলেছিলেন এটা তিনি নিজের হাতেই করেন।
আমাদের যার যার রান্না আলাদা। দুটি চুলা, আপুরা হয়তো আজ আসবে না। তারা দুজনেই চাকরি করে। মাঝে মাঝে নাইট ডিউটি হয়। আর তা না হলে সন্ধ্যায় এসে পড়ে। যেহেতু আজ এখনো আসে নি তার মানে আর আসবে না। আজকের রাত টা বোধহয় একা থাকতে হয়।
আমার বেশ ভয় লাগে এতো বড় রুমে একা থাকতে। আমি সকালের করা আলু ভর্তা দিয়ে ক’টা ভাত খেয়ে নিলাম। অতঃপর পড়তে বসলাম।
পড়া শেষ করে উঠে দাঁড়াতেই বৃষ্টি শুরু হলো। আমি জানালার সামনে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখতে লাগলাম। বৃষ্টির ছিটি ছিটি ফোঁটা এসে আমার মুখে পড়ছিল। আমি চোখ বন্ধ করে তা উপভোগ করতেই আবারো হারিয়ে গেলাম আমার অতীতে..
“বিয়েতে হ্যাঁ বলায় মা বাবা কেউ খুশি ছিল না। তবে ভাইয়া আর ভাবী বেশ খুশি ছিল। আমার আত্মীয় স্বজন বলতে একজন চাচা ছাড়া আর কেউ ছিল না। তবে সে খুব দরিদ্র ছিল। তার কোন সংসার ছিল না সে একা থাকত। তিনি বেশ বুদ্ধিমান লোক ছিলেন। তিনি ও এসে আমাকে বিয়েতে রাজি না হতে বললেন। কিন্তু আমার মাথায় শুধু বাবার চিকিৎসা’র কথা ঘুরপাক খাচ্ছিল। এই কথাই শুধু কানে বাজছিল আমার।
বিয়ের তারিখ ঠিক করা হলো, ভাবী বিয়ের আগ অবদি আমাকে আর মা কে কোন কাজ করতে দেয় নি। এমনকি খুব ভালো ব্যবহার করেছিলেন আমাদের সাথে। তখন বেশ অবাক হতাম! একটা বিয়েতে রাজি হলে বুঝি এতো আদর পায় মানুষ!
বিয়ের দিন, বিয়ের সাজে বসে ছিলাম ঘরে। বেশ কান্না পাচ্ছিল সেদিন তবুও সব কষ্ট চেপে রেখেছিলাম। হুট করেই মা আর চাচা লুকিয়ে এলেন আমার কাছে। মা’র হাতে ছিল একটা ব্যাগ। সেটা মা আমাকে দিয়ে বললেন..
“তুই পালিয়ে যা মা!
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম তার দিকে। চাচাও বলে উঠলো..
“হ্যাঁ রে মা তুই পালিয়ে যা।
“কিন্তু কেন?
“কারন ওরা তোর বাবার কোন চিকিৎসা করাবে না। এসব মিথ্যে কথা ছিল। যাতে তুই এই বিয়েতে রাজি হস তাই!
“তোর ভাইয়া আর ভাবী এই বিয়েটা শুধু টাকার জন্যে দিচ্ছে। খালেদের সাথে তোর বিয়ে দিতে পারলে সে অনেক টাকা দেবে তাদের। সেই টাকা তারা ভোগ করবে আর তোর মা আর বাবা কে বের করে দেবে।
“কি বলছো কি এসব? তোমাদের একথা কে বলেছে।
মা কাঁদতে কাঁদতে আমার মাথায় হাত রেখে বলে..
“আমি শুনেছি রে, নিজের কানে সবকিছু। আজ আমার নিজের ছেলে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেবার কথা বলছে। কতোটা বোঝা এখন আমি তার কাছে।
“ভাবী তুমি কেঁদো না। নিহা এখন মোটেও সময় নেই তুই এখন’ই বেরিয়ে পর। এখান থেকে সোজা স্টেশনে যাবি, ১ ঘন্টা পর ঢাকার জন্য একটা ট্রেন ছাড়বে। তুই সেটাতে চড়বি।
“কিন্তু আমি বিয়েটা না করলে যে ভাইয়া আর ভাবী দুজনে মিলে মা আর বাবা অনেক অত্যাচার করবে চাচা
“আমি আছি মা তুই চিন্তা করিস না। তোর মা আর বাবা কে আমার কাছে রাখবো। যা রোজগার করি তাতে আমাদের তিন জনের বেশ চলবে।
“তাহলে আমিও থাকবো তোমাদের সাথে। কোথাও যাবো না আমি।
বলেই মা কে জরিয়ে ধরলাম। মা আমার মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বলল..
“তা হয় না মা! তুই থাকলে তারা তোকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিবে। তাই দূরে কোথাও যাওয়া তোর জন্য মঙ্গল!
“আমি তো ঢাকায় কাউকে চিনি না মা! কোথায় থাকবো কি করবো আমি। কখনো যায় নি সেখানে, কি হয় না হয় সব কিছুই যে অজানা!
চাচা আমার মাথায় হাত রেখে বলেন..
“গেলেই তো চিনবি রে মা, আজকালকার যুগে কাজ পাওয়া টা তেমন কঠিন না। কিন্তু একটা কথা মনে রাখিস এখান থেকে চলে যাবার পর আর কখনো ফিরে আসিস না। তাহলে এই পশুর মতো হিংস্র লোকগুলো তোকে বাঁচতে দেবে না।
আমি মা’র দিকে অসহায় ভাবে তাকালাম। আমি যেতে চাই না তাদের ছেড়ে। কি করে থাকবো তাদের ছাড়া। মা নিজের চোখেল জ্বল মুছে আঁচলের গিট্টু টা খুলে আমার হাতে কিছু টাকা দিলেন। বললেন..
“আমার জমানো কিছু টাকা, কিছুদিন চলতে পারবি এগুলো দিয়ে।
“কিন্তু মা!
“তুই তো বলেছিলে কলেজে ভর্তি হবি নাহ, এই যে তোর কানে এক জোড়া দুল আছে এগুলো স্বর্ণের। হয়তো এতে তোর ভর্তির টাকা জোগাড় হয়ে যাবে। আর ভাবিস না কিছু বেরিয়ে পর!
আমি মা’র কাছে অনেকবার অনুরোধ করলাম বাবা কে একবার দেখবো বলে, কিন্তু আর দেখা হলো না। আফসোসের শেষ রইল না আমার! যদি আর কখনো না দেখতে পাই তাকে তখন। শেষবারের মতো দেখতে পেতাম যদি। কিন্তু আমার কাছে যে বেশি সময় ছিল না। আমি ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে গেলাম। পালিয়ে গেলাম নিজের বিয়ের আসর থেকে।
স্টেশনে এসে হাঁপিয়ে উঠলাম। এতোক্ষণ দৌড়েচ্ছি বলে অনেক হাঁপিয়ে গেছি। এর মধ্যে অ্যানাউসমেন্ট হলো ট্রেন ছেড়ে দেবে। আমি দ্রুত গিয়ে ট্রেনে বসলাম। একটা সিট খালি ছিল তাতে গিয়েই বসে পড়লাম। আমি শুধু বসে বার বার বাইরের দিক তাকাতে লাগলাম। এই মনে হচ্ছে তারা এসে পড়বে, নিয়ে যাবে আমাকে। এই বুঝি আমি ধরা পরে গেলাম। এসব কথাই শুধু মাথায় ঘুরছে আমার।
হঠাৎ মুখে কেউ পানির ছিটা দিলো, আমি লাফিয়ে উঠলাম। তাকিয়ে দেখি একটা ছেলে আমার দিকে ঢ্যাব ঢ্যাব করে তাকিয়ে আছে। তার হাতে একটা পানির বোতল। সে হাত নেড়ে আমাকে বলল..
“আমার কথা শুনতে পারছো তুমি, তুমি কি কানে শুনতে পাও না!
এতো চিন্তার মাঝে তার কথা শুনে রেগে গেলাম। ফট করে দাঁড়িয়ে বললাম..
“কি বললেন আপনি!
পেছন এ আরো কয়েকজন ছেলে দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের মাঝে একজন বলে উঠল…
“কিরে আহি! এই মেয়ে তো কানে শুনে না বলে মনে হচ্ছে না। একটু বেশিই শুনে।
এতো ছেলেদের একসাথে দেখে ভয় পেয়ে গেলাম আমি। বলে উঠি…
“কি বললেন আপনি, আপনারা কারা আর এখানে এসেছেন কেন। আমি কিন্তু চিৎকার করবো।
আমার সামনে থাকা ছেলেটা বলল..
“এটাই যে এটা আমাদের সিট, তুমি আমাদের সিটে বসে আছো। বাকি রইল চিৎকার! করতেই পারো আমাদের কিছু যায় আসেনা কারন দোষ টা তোমার!
পেছন থেকে আরেকটা ছেলে বলল..
“একটু বাইরে গেলাম এতেই দেখি সিট দখল করে ফেলেছে।
“মেয়েটাকে দেখেও তো সুবিধার মনে হচ্ছে না।
“মনে হচ্ছে বিয়ে থেকে পালিয়ে এসেছে।
“কোন ঝামেলা আছে এর মাঝে আমি সিউর!
তাদের কথা শুনে আমি নিশ্চুপ হয়ে গেলাম, আমি ব্যাগ টা ধরে দাঁড়িয়ে রইলাম। আমার সামনে থাকা ছেলেটা যাকে সবাই আহি বলে ডাকছিল সে আমার দিকে ছোট ছোট চোখ করে তাকিয়ে রইল। আমি কিছুটা পেছনে সরে গেলাম। পেছনের ছেলে গুলো তাদের মতোই কথা বলে যাচ্ছে। হঠাৎ সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটা বলল..
“চুপ করবি তোরা! না জানে এতো কথা কি রে বলছিস। এটা তো মেয়েদের কাজ!
আরেকজন বলল..
“আহি একদম ঠিক বলেছে। মেয়েটাকে দেখে মনে হচ্ছে হয়তো কোন বিপদে পড়েছে। দেখছিস কেমন ভয় পেয়ে আছে।
দু’জনের কথায় আমার ভয় কিছুটা হলেও কমলো। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটা বলল..
“তুমি চাইলে এখানে বসতে পারো!
উনার কথা শেষ হবার আগেই আমি ধপাস করে বসে পরলাম। হাত পা গুটিয়ে ব্যাগ টা নিয়ে চুপচাপ বসে আছি। মাঝে মাঝে বাইরে তাকাচ্ছি। ছেলেটা হাতে থাকা পানির বোতল টা আমাকে এগিয়ে দিয়ে বলল..
“নাও পানি খাও!
আমি তার দিকে তাকিয়ে রইলাম। এখন অনেক সন্দেহ হচ্ছে। হয়তো বসে পড়েটা ঠিক হয় নি। যদি পানিতে কিছু মিশিয়ে থাকে আর সেটা আমি খেয়ে ফেললে তখন… আমি দ্রুত মাথা নাড়িয়ে না না বললাম। ছেলেটা কিছু না বলে আমার সামনের সিটে বসে পরল। বাকি ছেলেগুলো অন্য সিটে বসল। শুধু আমার সামনের ছেলেটা আর পেছন থেকে যে আমার পক্ষে কথা বলেছিল সেই দুজন আমার সামনে বরাবর বসল।
সামনে থাকা ছেলেটা আমাকে ডাকল। অতঃপর পানি নিজে খেয়ে আমার দিকে বোতল টা ধরল। বেশ অবাক হলাম কি করে বুঝল আমি এটাই ভাবছিলাম। ছেলেটার কিছু হয় নি আমি তার থেকে পানি খেতে লাগলাম। তার পাশে বসা ছেলেটা আমার কাহিনী দেখে ফিক করে হেসে দিল।
আমি পানি খেয়ে বোতল টা আবার তার দিকে দিলাম। সে সেটা নিয়ে পাশে রাখল। অতঃপর কানে হেডফোন ঢুকিয়ে ফোন নিয়ে বসল। দুহাত দিয়ে ফোন টিপছে। পাশে বসা ছেলেটা ভ্রু কুঁচকে আমাকে দেখছে। হয়তো ভাবছে আমি এভাবে, বিয়ের সাজে এখানে কি করছি। হঠাৎ সেই ছেলেটা বলল..
“আচ্ছা তুমি কি সত্যি বিয়ে থেকে পালিয়েছো!
তার কথায় কেন জানি ভরসা পেলাম। তাই মাথা নাড়লাম। সেই ছেলেটা হেসে বলল..
“ঢাকায় যাবে বুঝি, সেখানে কি তোমার কেউ মানে প্রিয় কেউ থাকে।
ছেলেটার কথা আমি বেশ বুঝতে পারলাম সে কার কথা বলছে। আমি কি বললো ভাবছিলাম। না বলবো! কিন্তু না বললে যদি ছেলে গুলো আমার সাথে কিছু করে। আচ্ছা তাহলে কি হ্যাঁ বলবো! বলবো সে আমাকে ঢাকায় স্টেশন থেকে নিয়ে যাবে। আমি তার কাছেই যাবো। তাহলে হয়তো ছেলেগুলো আমাকে কিছু করবে না। আমি এবারও মাথা নেড়ে বললাম..
“হুম!
“সে জানে তুমি আসছো!
“( আবারো মাথা নাড়লাম)!
“তার মানে তোমাকে নিয়ে যাবে নাহ!
“( এবার ও মাথা নাড়লাম )
সে এবার জোরে হেসে দিয়ে বলল..
“যাক ভালো, আজকাল তো এমন হয় যে মেয়েরা যার জন্য নিজের সব কিছু ছেড়ে চলে আসে, সে আর তাকে মেনে নেয় না। এখন যদি তোমার জন মেনে নেয় তাহলে তো খুব ভালো!
“( তার কথায় হাসার চেষ্টা করলাম।)
.
অতঃপর সে আমার চোখ বন্ধ করে হেলান দিয়ে সিটে বসে পরল। কিন্তু পেছনের তার সাথে ছেলে গুলো বার বার আমায় উঁকি দিয়ে দেখছে। আর কথা বলাবলি করছে। খুব ভয় করছে আমার। আমি যত সম্ভব নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে বসে পরি।
আগাম একটা করে বেশি পর্ব পড়তে চাইলে আমাকে এক্ষনি ফ্লো করুন ✊?️
#চলবে….