বেলা_শেষে_শুধু_তুমি পর্ব ৫
#আনিশা_সাবিহা
–“আচ্ছা অভয় ভাইয়া, একটা কথা বলুন। আমার এই ইনোসেন্ট মার্কা ফেস দেখে কি আপনার একটুও দয়ামায়া লাগে না? আমার এই কাঁদো কাঁদো মুখের জন্য হলেও বিয়েটা তো ভেঙে দিতে পারেন নাকি?”
অভয় ভ্রু উঁচিয়ে পায়ে পা তুলে আয়েশ করে বসে। মুখের সামনে হাত উঠিয়ে বড়সড় একটা হাই তোলে। ও ঐশানীর কথাবার্তা শুনেও শুনছে না। ঐশানী রাগে চোখমুখের রঙ পাল্টে ফেলে। হাতটা ইশবিশ করছে অভয়কে ঝুলিয়ে বক্সিং করতে। কিন্তু তার তো হবার নয়।
–“অভয় ভাইয়া আমি কি বললাম আপনি কি শুনলেন?”
–“শুনেছি। আমার কান খারাপ নয়। তবে অন্য কান দিয়ে বেরও করে দিয়েছি। আচ্ছা তোমার কি মনে হয়? তুমি আজ পর্যন্ত দয়ামায়া হবার মতো কোনো কাজ করেছো?”
ঐশানী বেশ কিছুটা ভেবে উত্তর দেয়….
–“না তা অবশ্য করিনি। এই ওয়েট, আপনাকে সেদিন ঘোড়ার মতো দৌড়ে যেতে দেখেছি আপনার গার্লফ্রেন্ড এর কাছে। তার মানে আপনার গার্লফ্রেন্ড আছে। তাহলে আমাকে বিয়ে করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন কেন? হুয়াই? বউ আর গার্লফ্রেন্ড একসঙ্গে রাখা কিন্তু বড়ই অন্যায়!”
ঐশানীর এতো এতো কথায় কোনো ভাবান্তর হলো না অভয়ের। বেশ কিছুক্ষণ চোখ বুজে থেকে উঠে পড়ে সোফা থেকে।
–“বকবক করা শেষ? এখন কাইন্ডলি স্টপ। আর তোমার ওই মুখে বার বার যদি ভাইয়া শুনেছি তাহলে মুখ চির জীবনের মতো বন্ধ করে দিতে দুই সেকেন্ডই যথেষ্ট। যদি রেসপেক্ট দিয়ে ভাইয়া ডাকতে তাহলে খুশি হতাম। বাট তুমি ভাইয়া ডাকো বিয়ে ভাঙতে। তাছাড়া তো আমাকে গরু, ছাগল, মহিষ, ঘোড়া, উজবুক, শালা সব বানিয়ে দাও। ভাইয়া ডাক শুনতে চাই না আমি। ঘরে যাচ্ছি। অনিন্দিতা বা মা কফি নিয়ে এলে বলবে আমি ওপরে চলে গেছি। নিচে এসেছিলাম মাথাব্যাথা কমাতে। দশগুন বাড়িয়ে দিল ইডিয়ট।”
মুখ দিয়ে বিরক্ত নিয়ে ‘উফফ’ শব্দটি বের করে দ্রুততার সাথে পা চালিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠে চলে যায় অভয়। ঐশানী চোখ অতি ছোট্ট করে বিরবির করতে থাকে।
–“ঐশীর বাচ্চা কাশি! বাড়ি ফিরি। তোর কাপল পিক ভাইরাল করব আমি। তোর কোনো প্লান কাজে দেয়নি। বরণ আমাকে আবুল সাজিয়ে শ্যামলা ঘোড়া চলে গেল।”
–“একা একা কি কথা বলছো ভাবি?”
হাতে কফি নিয়ে কিটকিটিয়ে হাসতে হাসতে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে আসে অনিন্দিতা। পেছন পেছন গরম গরম পাকোড়াসহ দুইরকম পিঠা নিয়ে এলেন মিসেস. তনয়া।
–“আরে আরে! অভয় কোথায়? ছেলেটাকে বলেছিলাম নিচেই তোমার সঙ্গে থাকতে। চলে গেছে?”
–“সমস্যা নেই আন্টি। (ধীরে) তাছাড়াও উনি গিয়ে ভালোই করেছেন। আরো অপমানিত হতে ইচ্ছে করছে না।”
–“কিছু বললে?”
টেবিলে খাবার রেখে প্রশ্ন করে মিসেস. তনয়া। ঐশানী এদিক ওদিক মাথা নাড়ায়। হঠাৎ অনিন্দিতা ঐশানীর হাতে কফির কাপ আর ছোট প্লেট ধরিয়ে দেয়। ঐশানীকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে অনিন্দিতাই বলে….
–“যাও তুমিই গিয়ে না হয় ভাইয়াকে কফি দিয়ে এসো। তাছাড়া পুরো দায়িত্ব তোমার। ওপরটা ঘুরে এসো। ভাইয়ার রুমটাও দেখে এসো। সিঁড়ি দিয়ে উঠে লাস্ট রুমটা ভাইয়ার।”
ঐশানীর কপাল জড়িয়ে যায়। বোকার মতো সেজে প্রশ্ন করে….
–“আ…আমি?”
–“হ্যাঁ ঐশানী। তুমিই যাও বরং। ভালো লাগবে।”
সম্মতি প্রকাশ করে বলেন মিসেস. তনয়া।
–“হ্যাঁ হ্যাঁ। বাঘের গুহায় সেধে ঢুকতে কার ভালো লাগে?” (আস্তে করে)
–“আবার কিছু বললে?”
–“না না। আমি আর কি বলব?”
হাতে ব্যাগটাও নিয়ে একপা একপা করে অভয়ের রুমের দিকে ধাবিত হয় ঐশানী। অভয়ের রুমের সামনে গিয়ে দাঁড়ায় সে। ঘর থেকে অভয়ের গলা ভেসে আসছে। তার কন্ঠস্বর বেশ কাতর।
–“গিভ মি চান্স সায়রা। আই প্রমিস তোমার সব ভুল ধারণা ভাঙিয়ে দেব। আমি ইচ্ছে করে বিয়ে করছি না।”
ঐশানী স্পষ্ট শুনতে পায় অভয়ের কন্ঠ। এতোটুকু শোনার পর ব্যাপক ভাবে আগ্রহী হয়ে ওঠে অভয়ের কথা শোনার জন্য। কি এমন কারণ আছে? যার কারণে নিজের অনিচ্ছায় গিয়ে অভয় তার সঙ্গে বিয়েতে রাজি হয়েছে?
–“তোমাকে নয়। তোমাকে যদি বিয়ে করার পারমিশনই থাকত তাহলে দেশে এসেই তোমার বাড়িতে প্রপোজাল পাঠাতাম। বিয়েটা ঐশানীকেই করতে হবে। বাট আই লাভ ইউ সায়রা। শেষমেশ আমি তোমারই হবো ভরসা রাখো।”
ঐশানী কিছু স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে না। আরেকটু এগিয়ে যায় শোনার জন্য। কিন্তু ঐশানীর ভাগ্য বরাবরের মতোই খারাপ। দুই ধাপ এগোতেই দরজা হালকা করে ভিড়িয়ে দেওয়া থাকায় সে ভর দিয়ে হাত রাখতেই খুলে যায় দরজা। টাল সামলাতে না পেরে কফির কাপ নড়ে বেঁকে গিয়ে যায়। দরজার কাছেই পায়চারি করা অভয়ের গায়ে গরম গরম কফি গিয়ে পড়ে। এতো গরম কফি কি কেউ সইতে পারে? ফোনটা পড়ে যায় হাত থেকে। মুখ দিয়ে ‘আহহহ’ শব্দটি করে বসে পড়ে সে।
ঐশানী রীতিমতো আহাম্মক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। হাত দিয়ে কোনোমতে কাপটি ধরে রাখে।
–“স্টুপিড! গড নোস তোমার সাথে কেন আমার দেখা হলো? ইউ আর জাস্ট ইম্পসিবল। কেন এলে আমার লাইফে? নিজে এসেছো সঙ্গে সঙ্গে শনিও ডেকে এনেছো। আহহহ!”
অভয়ের শরীরে গরম কফি পড়ায় বেশ জ্বালাপোড়া করতে শুরু করে। কোনো উপায় না পেয়ে দাঁত দিয়ে নখ কামড়াতে থাকে ঐশানী। মনে মনে ভাবে….
–“ঐশানী, তুই একটা স্টুপিড। একটা মানুষকে আর কত বিপদে ফেলবি তুই? গো ঐশানী গো। হেল্প করার সময় এসেছে।”
মস্তিষ্ক জানান দেয় অভয়কে হেল্প করার জন্য। কাপটা ড্রিমলাইটের টেবিলে ওপরে রেখে ধড়ফড় করে অভয়ের কাঁধে হাত দিয়ে বসে ঐশানী। আরেক হাত বাড়িয়ে দেয় অভয়ের দিকে। অভয় তিক্ততা নিয়ে তার সাহায্য ছাড়াই উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বলে….
–“ডোন্ট টাচ মি।”
ঐশানীর এবার রাগ হয়। অদ্ভুত তো! হেল্প করতে চাওয়ায় হয়ত তার ভুল হয়েছে।
–“গেট আউট। আই সেইড গেট আউট। যখন থেকে আমার লাইফে এসেছো একটার পর একটা সমস্যা লেগেই রয়েছে। তুমি জাস্ট একটা পেইন আমার কাছে। বেরিয়ে যাও।”
অভয়ের ধমকানিতে হঠাৎ ঐশানী কেঁপে ওঠে। মলিন হয়ে আসে তার মুখভঙ্গি। সে হয়ত অভয়ের কাছে আসলেই একটা পেইন। হাতের ব্যাগটা সেখানেই রেখে মিনমিন করে বলে….
–“এই ব্যাগে আপনার রুমাল আর জামা আছে।”
কোনোরকম কথা না বলে দরজা দিয়ে বেরিয়ে যায় ঐশানী।
ঐশানীর বেরিয়ে যাওয়া দেখে নিজের গেঞ্জি খুলে ফেলে অভয়। গিয়ে দাঁড়ায় আয়নার সামনে। পেছন ঘুরে পিঠের দিকে তাকানোর চেষ্টা করে সে। কফি তার পিঠেই পড়েছে। কিন্তু এখন কি করবে সে? আপনমনে বলে ওঠে……
–“ধুর এই ব্যাথা সারিয়ে কি লাভ? ক্ষত দাগ সবই সারবে। তবে আমার মনের ব্যাথা ও আঘাত সারানোর মানুষ বড্ড কম!”
ঠিক সেই সময় দরজার ওপাশ থেকে মাথা বের করে উঁকি দেয় ঐশানী।
–“আমি হেল্প করব?”
আয়না থেকেই অভয় দেখতে পায় ঐশানীকে।
–“হোয়াট দ্যা….! এখনো যাওনি? আমার ওপর আরো কিছু ফেলা বাকি আছে?”
ঐশানী ঢুকে আসে ঘরে। হাতের মলম দেখিয়ে বলে….
–“আমি আপনার মতো নির্দয় মানুষ না। হেল্প করতেই এসেছি। আপনি চাইলে মলম লাগিয়ে দিতে পারি।”
–“নো থ্যাংক। ইউ মে গো।”
ঐশানী পাত্তা দেয় না অভয়কে। মলম নিজের আঙ্গুলে লাগিয়ে জোরপূর্বক অভয়ের পিঠে ছোঁয়ায়। হঠাৎ এক মেয়ের ছোঁয়াতে শিরদাঁড়া সোজা হয়ে যায় অভয়ের।
–“ক্ষতিটা যখন আমিই করেছি। ক্ষতিপূরণ আমিই করব। পরে যেন খোঁটা দিতে না পারেন।”
আস্তে আস্তে করে পিঠে লাল হয়ে যাওয়া অংশে সযত্নে মলম লাগিয়ে দেয় ঐশানী। অভয় যেন নিঃশ্বাস নিতে পারছে না। কি যে দম বন্ধকর পরিস্থিতি পার করছে একমাত্র সে নিজেই বুঝতে পারছে।
একসময় সে ঐশানীর দিকে ঘুরে চেঁচিয়ে বলে ওঠে….
–“এই মেয়ে, হয়েছে অনেক সেবা। যাও তো। যাও এখান থেকে আমি বের হবো।”
–“হ্যাঁ হ্যাঁ। এমনিতেও হয়ে গেছে আমার কাজ।”
সরে আসে ঐশানী। বাইরে যেতে উদ্যত হয় সে। অভয়ের কথা শুনে তার চলার গতি থেমে যায়।
–“বাই দ্যা ওয়ে, আমার কাপড় ভালো করে ধুয়েছো তো? আইরন করেছো? আমি ওটাই পড়ব। ওটা সায়রার পছন্দ করা কটি আর রুমাল ছিল।”
ভয়ের ঠেলায় হেঁচকি ওঠে ঐশানীর। সে কিছু না বলেই দ্রুত কেটে পড়ে সেখান থেকে। অভয়ও কিছু বলে না।
ঐশানী খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে দৌড়ে বাড়ির বাইরে চলে এসেছে। কিছুক্ষণ পরেই ঝড় উঠবে বাড়িতে। তারওপর ওসব সায়রার পছন্দ করা জিনিস ছিল। ছোটখাটো পাতাবাহারের গাছের বাগান অতিক্রম করতেই অভয়ের গগনবিদারী চিৎকারে কেঁপে ওঠে আশপাশ।
–“ঐশানী!!!!”
অভয় ঐশানীরই নাম নিয়ে চিৎকার দিচ্ছে। ঐশানীকে আর পায় কে? বাগানটাও পেরিয়ে দ্রুত একটা রিকশা ধরে কেটে পড়ে সেখান থেকে।
অভয় রেগেমেগে চিৎকার চেঁচামেচি করতে করতে রুমের বাইরে আসে। তার চেঁচামেচিতে সবার কানে তালা লেগে যাবার উপক্রম। রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে আসেন মিসেস. তনয়া। অভয় আশেপাশে তাকিয়ে ঐশানীকে খুঁজছে। কিন্তু সে নেই। অভয়কে দেখে মিসেস. তনয়ার চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম। অনিন্দিতাও নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। অভয়কে দেখে হাসি লুকোতে না পেরে শব্দ করে হেঁসে দেয়। অভয় এ্যাশ কালার গেঞ্জির ওপর কটি টা পড়েছিল। তবে কটির অবস্থা বেহাল। কোনোমতে কটির দুটো অংশ সামনের দিক থেকে সুতো দিয়ে জোড়া দেওয়া। অভয়ের কন্ঠে থেমে যায় অনিন্দিতার হাসি।
–“ঐশানী কোথায়? কোথায় ও?”
–“ভাইয়া, ও তো জাস্ট মিনিট দুয়েক আগে বাড়িতে কাজ আছে বলে বেরিয়ে পড়ল। শুনলাম তোর ওপর গরম কফি পড়েছে ঠিক আছিস?”
–“কাজ না অকাজ! মা জাস্ট দেখো। তোমার পছন্দ করা হবু বউমার কান্ডকারখানা। আমি তো বুঝতেই পারছি না তুমি কি দেখে ওকে পছন্দ করলে?”
মিসেস. তনয়া ফিচেল কন্ঠে জবাব দেন…..
–“মেয়েটা যতই হোক ভালো মনের মেয়ে। মনে কোনো প্যাঁচ নেই। তোর পোশাকটা তো অনেকদিন হয়ে গেল ব্যবহার করছিস। তাই হয়ত ছিঁড়ে গেছে।”
অভয় এবার অতি মাত্রায় রেগে যায় মায়ের ওপরেও। এতোকিছুর পরেও ঐশানী ঐশানী ঐশানী! কবে পিছু ছাড়বে এই নামটি?
সকাল গড়িয়ে দুপুর। সকাল থেকে দরজা বন্ধ থাকায় এবার বেশ চিন্তিত হয়েই সায়রার দরজার সামনে এসে দাঁড়ান সায়রার মা মিসেস. রুপা। মৃদু আওয়াজে ডাকতে থাকেন নিজের মেয়েকে।
–“সায়রা মা? সকাল তো কিছু খেলি না। কলেজেও গেলি না। ক্লাস মিস করলে কি করে হবে মা? এতো যেমন তেমন ক্লাস নয়। মেডিক্যালে পড়িস। ক্লাস মিস দিলে কি করে চলবে?”
ভেতর থেকে সায়রার দুর্বল গলা ভেসে আসে….
–“আমার ভালো লাগছে না মা। শরীর দুর্বল লাগছিল তাই যাইনি।”
–“তাহলে খেতে তো আয়। এভাবে করলে কি করে চলবে?”
–“খিদে নেই আমার। তুমি যখন বলছো আমি বের একটু পর খেতে যাচ্ছি। তুমি যাও।”
মিসেস. রুপা হতাশ হন। মেয়েটা বড্ড চাপা স্বভাবের। মিসেস. রুপা জানেন দিনদিন মেয়েটার এমন পরিণতি হবার কারণ অভয়। তবে সায়রা নিজে থেকে কিছু বলে না। হয়ত বলবেও না। এসব আকাশ-পাতাল ভাবতে ভাবতে সেখান থেকে বিদায় নেন তিনি।
ঘরের ভেতরে ডায়েরী সামনে রেখে কলম নিয়ে বসে আছে সায়রা। খয়েরী রঙের আবরণে মুড়ানো ডায়েরীতে লিখা আছে অভয়ের প্রতি তার সমস্ত অনুভূতি। সে একজন মেডিক্যাল স্টুডেন্ট। এতোটা ইমোশনাল হওয়া বোধহয় তার মানায় না। কিন্তু সে কি করবে? অভয়কে না জেনেই ভালোবেসেছে দিনের পর দিন। একটু একটু বেড়েছে তার ভেতরের সুপ্ত অনুভূতির জোয়ার!
–“কীসের অভাব আমার অভয়? সৌন্দর্যে কমতি? তাও তো না। যোগ্যতায় কমতি? তাও না। আমি একজন মেডিক্যাল স্টুডেন্ট। একেবারে ডক্টর হয়ে বের হবো। তাহলে আমাকে ছেড়ে ওই ঐশানীর মাঝে কি পেলে তুমি? ভালোবাসি তোমায়। স্বপ্ন দেখি তোমায় নিয়ে। এর পরিণতি কি হবে?”
চলবে……
[বি.দ্র. আপনাদের কি মনে হয়? কি হবে এই ত্রিকোণ প্রেমের পরিণতি? ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।]