বেলা_শেষে_শুধু_তুমি পর্ব ৩
#আনিশা_সাবিহা
নিজেকে ফ্রেশ করার জন্য গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছিল অভয়। চলতে চলতে মিরপুর-৬ রোডে এসে ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়ে যায় সে। তার বিরক্ত লাগতে শুরু করে। লাগাটা স্বাভাবিক। আমেরিকাতে এমন কিছু কখনো ফেস করতে হয়নি তাকে। বিরক্ত থেকে অতি বিরক্ত সে তখন হয় যখন ঐশানীর দিকে নজর পড়ে তার। সেই সঙ্গে তার বান্ধবীর দল দেখে রাগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। একটা সময় ঐশানীও তাকে দেখতে পায় এবং ম্যানহোলে পড়ে যাওয়াতে আয়েশ করে সিটে ঠেস দিয়ে বসে থাকা অভয় ধড়ফড়িয়ে ওঠে। বেশ কিছুক্ষণ সূক্ষ্ম নজরে সেদিকে তাকিয়ে থাকার পর হাসি পায় তার। তবে হাসে না।
বেশ কিছুক্ষণ ঐশানীর বান্ধবীদের কীর্তিকলাপ দেখার পর গাড়ি সাইডে পার্কিং করে বেরিয়ে আসে অভয়। পা বাড়ায় ফুটপাতের দিকে।
–“নাউজুবিল্লাহ! আমাদের ঐশানীর তো আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। ম্যানহোলে পড়ে বিয়ে ভাঙার চিন্তায় শহীদ হয়ে যায়নি তো?”
বিস্ফোরিত নয়নে ম্যানহোলের নিচে উঁকি মারতে মারতে বলে দিয়া(ঐশানীর বান্ধবী)। রিনি কথাট মাঝে ফোঁড়ন কেটে বলে….
–“এই সময় একদম নেগেটিভ কথা বলতে নেই। বলা যায় না কখন সত্যি হয়ে যায়।”
রিনি একটু নিচু হয়ে বসে ঝুঁকে পড়ে ম্যানহোলের দিকে। অতঃপর মৃদু চিৎকার দিয়ে বলে….
–“বান্ধবী! বেঁচে আছিস? নাকি কালো কালো নিজের চেহারা দেখে অজ্ঞান হয়ে গেছিস?”
–“আমারে উঠা অসভ্যের অসভ্য।”
নিচ থেকে ভেসে আসে ঐশানীর ধমকানি। সবাই চমকে উঠে শ্বাস নেয়। একে ওপরের দিকে চেয়ে ভাবতে থাকে কি করা যায়। পেছন থেকে পুরুষালী কন্ঠস্বরে তাদের ধ্যান ভাঙে।
–“তোমাদের দ্বারা অকাজ ছাড়া কিছু হবে না। এটা হান্ড্রেড পার্সেন্ট সিউর। আমাকে অন্তত সাইড দিলে তোমাদের প্রিয় বান্ধবীকে উদ্ধার করতে পারতাম।”
অভয়কে দেখে জুবুথুবু হয়ে পড়ে সবাই। আবার কিছুটা অপমানিত বোধও করে। তবে হয়ত ভুল কিছুও বলেনি। তাই সবাই চেপে গিয়ে সাইড করে দেয় অভয়কে।
অভয় ধীর পায়ে এগিয়ে আসতেই ওপর থেকে দুটো হাত বেড়িয়ে আসে। হাতটা রাখে ম্যানহোলের সাইডে। ওঠার চেষ্টা করে নিচ থেকে ঐশানী। কিন্তু শক্তিতে কুলাতে পারছে না সে। অভয় দুই পা ভাঁজ করে গম্ভীর ভাবভঙ্গি নিয়ে নিচু হয়। মেয়েটাকে ফেলে রেখে চলে যাওয়া অবশ্যই মানবতার কাজ নয়। তাই ঐশানীর নোংরা এবং কাঁদামাখা হাতজোড়া নিজের হাতের মুঠোয় নেয় অভয়। একটু অস্বস্তি লাগলেও হাত ধরে কোনোমতে টেনে তোলে ঐশানীকে।
ঐশানী ওপরে উঠে এসে প্রথমে নিজেকে দেখে নেয়। তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত কালো আর নোংরা কাঁদা। কিছুটা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। নিজের বেহাল অবস্থা দেখে নিজের প্রতি মায়া হয় ঐশানীর। ছলছল নয়নে নিজের হাত দেখতে দেখতে বলে….
–“আজ বুঝলাম শ্যামলা ঘোড়ার কথা ভাবা মানে অশুভ কাজ। যখন তার সামনা-সামনি হই বা তার কথা ভাবি আমার সাথে সবসময় কিছু খারাপ ঘটে। উজবুক শালা!”
ঐশানী এখনো খেয়াল করেনি তাকে কে বাঁচিয়েছে। পেছন থেকে তার বান্ধবীদের চাপা হাসির আওয়াজ আসছে। তারা না পারছে মন খুলে হাসতে না পারছে হাসি দমিয়ে রাখতে। ওপরদিকে ঐশানীর কথা শুনে ক্রুদ্ধ হয় অভয়। মনে মনে ভাবতে থাকে, মেয়েটাকে বাঁচানো ভুলই হয়েছে হয়ত। নিজের রাগ দমিয়ে শান্ত সুরে বলে….
–“তাহলে তো তোমার ওর কথা ভাবা একদমই উচিত না।”
–“না-ই তো। ভাবতে তো চাই না। ব্যাটা বেহায়ার মতো নিজেই আমার ভাবনার মাঝে ঢুকে পড়ে। বিয়েটা ভাঙতে হবে তো।”
ঐশানী পেছনে মানুষজনকে দেখতে বিজি ছিল কথাটা বলার সময়। সে কি জানে? যার নামে এতো বদনাম করছে সেই মানুষটা ওরই সামনে? অভয় এবার রাগে একাকার হয়ে পড়ে। বাম হাত মুঠো করে ডান হাত দিয়ে পকেট থেকে রুমাল বের করে ঐশানীর সামনে ধরতেই ঐশানী যেই না থ্যাংক ইউ বলতে সামনে তাকাবে চোখ ভয় এবং বিস্ময়ে বড় বড় হয়ে আসে তার। এমনিতে তার সারা শরীর থেকে অসম্ভব দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। তার ওপর সামনের মানুষটাকে দেখে ঠিক থাকতে পারে না সে। অস্থির হয়ে পড়ে। অভয় দাঁতে দাঁত চেপে বলে….
–“আমি উজবুক? আমি বেহায়া? তোমার চিন্তা ভাবনার মাঝে হুট করে ঢুকে পড়ি?”
বলেই রাগে একপা দুইপা করে এগোতে থাকে অভয়। ঐশানী যে বেফাঁস বলে ফেলেছে সেটা বুঝে গেছে এতোক্ষণে। মাথা নাড়াতে নাড়াতে পিছুতে থাকে সে। অভয় আবারও বলে….
–“নিজের হবু বরকে শালা ডাকছো? এটা কি বরকে ডাকার ইউনিক নাম?”
কথাগুলো হাসির শোনালেও অভয় বেশ কাটকাট গলায় প্রশ্ন ছুঁড়ে ঐশানীর দিকে। পিছুতেই থাকে ঐশানী। তার খেয়াল হয় ডান পা নাড়াতে বড্ড কষ্ট হচ্ছে। একসময় নাড়াতে না পেরে পড়ে যেতে নেয় পাশে অন্য মানুষের ওপর। তবে মূহুর্তেই অভয় দ্রুত তার হাত ধরে নিজের দিকে জোরে টান দিতেই ঐশানীর কাঁদামাখা গা এসে লাগে অভয়ের সাথে।
এই প্রথম তারা দুজন দুজনের সংস্পর্শে এলো। শিউরে ওঠে দুজনেই। তবে অভয় কড়া চাহনি নিয়ে সরে যায়। তার হালকা গোলাপি শার্টেও লেগে গেছে বেশ কাঁদা। নাক শিটকে কাঁদার দাগ দেখতে থাকে। ইতিমধ্যে রাস্তার লোকজনের অদ্ভুত চাহনির স্বীকার হচ্ছে ঐশানী। ডান পা হাঁটুর কাছে কেটে দিয়েছে যার ফলে ব্যাথা পাচ্ছিল সে। কনুইয়ে রয়েছে কাটাছেঁড়ার দাগ। হঠাৎ অভয় খেয়াল করে আশেপাশের কিছু লোকজন ঐশানীর ছবি তুলতে শুরু করেছে। বিষয়টা বড্ড খারাপ লাগে অভয়ের। যতই হোক না কেন ঐশানী একটা মেয়ে। সবার দিকে গরম চাহনি দিয়ে নিজের পড়া ওপরে কালো রঙের কটি খুলে ঐশানীর গায়ে দিয়ে বলে….
–“এভরিওয়ান স্টপ টেকিং পিকচারস!”
এক চিৎকারে থম মেরে যায় আশপাশটা। অভয় ঐশানীর হাতে রুমাল গুঁজে দিয়ে ঘাড় ঘুড়িয়ে পেছনে তাকিয়ে রিনিদের কড়া চাহনি নিক্ষেপ কডে বলে….
–“আর তোমরা? হা করে কি দেখছো? তোমাদের বান্ধবী তো ঐশানী না? ওকে সাবধানে নিয়ে যাও দাঁড়িয়ে না থেকে।”
হাওয়ার গতিতে দৌড়ে আসে সবাই। ঐশানী ডান পা ফেলতেই বেশ ব্যাথা পায়। তার কাটা জায়গা থেকে যতদূর সম্ভব রক্ত পড়ছে হয়ত। চোখমুখ খিঁচে তৎক্ষনাৎ খামচে ধরে অভয়ের হাত। অভয় কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে নড়েচড়ে ওঠে।
ঐশানী স্বাভাবিক হলে নিজেই সরে আসে। অভয়ের দিকে এক পলক তাকিয়ে হাঁটতে শুরু করে রিনি আর মেঘনাকে ধরে। কয়েক ধাপ হাঁটতেই পেছন থেকে অভয়ের গলা ভেসে আসে…..
–“আমি নিজের জিনিসগুলো এমনি এমনি তোমায় দিইনি। রিমেম্বার দ্যাট। রুমাল আর গায়ে দেওয়া কটি দুটোই সুন্দর করে ধুয়ে, শুকিয়ে এবং আইরন করে আমার সামনে চাই।”
ঠোঁট বেঁকিয়ে ভেংচি কাটে ঐশানী। বিরবির করে বলে….
–“জাস্ট কয়েক সেকেন্ড আগে ভাবছিলাম, খুব একটা খারাপ মানুষ না। এখন দেখি খারাপের খারাপ। বানর ঠোঁটওয়ালা! পোশাকের সাথে যদি এই অভয়কেও ধুয়ে দিতে পারতাম। গিরগিটির উপদ্রব বোধহয় অভয় ভাইয়ার জন্যই কমেছে। সব গিরগিটি সুইসাইড করার আগে বড় বড় করে লিখে যায়, ‘আমার মৃত্যুর জন্য অভয় খান দায়ি।’ হু তাই হবে।”
–“তুই কি বিরবির করছিস বল তো?”
মেঘনার প্রশ্নে ঐশানী তেতিয়ে বলে ওঠে….
–“আমার পারসোনাল বিরবিরানি তোকে এতো শুনতে হবে না। বাড়ি যাব। তাড়াতাড়ি নিয়ে চল।”
বাড়ির দিকে যেতে শুরু করে সবাই।
–“এই শোনো রিত্তিক! আমি এতোসব জানি না হ্যাঁ? কাল কলেজের ফার্স্ট দিন। আমি কলেজে যাচ্ছি না।”
রাগে গটগট করে বলে ওঠে ঐশী। ওপাশে যে ফোন ধরে ঐশীর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছে সে ঐশীর প্রেমিক রিত্তিক। এসব শুনে রিত্তিক ভ্রু কুঁচকায়।
–“কলেজে না গেলে কোথায় যাচ্ছো তুমি?”
–“ক্লাস ব্যান করব। স্কুলে তো এসব করার চান্স ছিল না। কলেজে উঠেছি আর এই নিয়ে স্বপ্ন নিয়ে। আহা!”
রিত্তিক ওপাশ থেকে দুটো ভ্রু উঁচিয়ে জানালা দিয়ে বাইরের দিকে কিছুটা বিরক্ত নিয়েই তাকায়। সে বুঝতে পারে না গার্লফ্রেন্ড মানেই কি প্যারা নাকি ঐশী মানে প্যারা? ছোট্ট শ্বাস নিয়ে বলে….
–“কোথায় যেতে চাও বলো?”
–“আরে আজিব তো! তুমি জেনে কি করবে? আমি তো ফ্রেন্ডদের সাথে যাব।”
–“ওহ হো, ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার প্লানিং চলে?”
পেছন থেকে আসা ঐশানীর কথাকে পাত্তা না দিয়ে ঐশী অসাবধানতার সঙ্গে উত্তর দেয়….
–“ইয়াহ ইয়াহ! কি আছে আর লাইফে অনলি ইনজয়।”
কথাটুকু শেষ হবার পর ঐশীর মনে হয় ও বেফাঁস কিছু বলেছে। ভয়ে চোখমুখ জড়িয়ে দ্রুত ফোনটা কেটে ভয়াতুর দৃষ্টি নিয়ে তাকায় ঐশী। সে কিছু বলতেই ঐশানী হেলেদুলে এসে বেডে শুয়ে পড়ে। বালিশ জড়িয়ে ধরে সুন্দর হাসি দিয়ে বলে….
–“তোর হাড়গিলা প্রেমিক কে খুব জ্বালাস না? বেচারা ভাবলো তোর জন্য ক্লাস ব্যান করবি কিন্তু হলো তো উল্টো টা।”
শুকনো ঢক গিলে তাকায় ঐশী। তার মানে ঐশানী সব শুনে নিয়েছে। ফোন দিয়ে নিজের মাথায় বাড়ি মারে ঐশী। কয়েক সেকেন্ড পর মুখটা ফুলিয়ে তার হাতের কাছে থাকা সোফার কুশন ঐশানীর দিকে ছুঁড়ে মেরে বলে….
–“আপু! কারো রুমে ঢুকতে হলে নক করতে হয় জানিস না?”
–“নক করলে সাবধান হয়ে যেতিস। এতে তো তোরই সুবিধা হতো। তোর হাড়গিলা প্রেমিকের কল কেটে দিতিস।”
ঐশী অবিশ্বাস্য চোখে তাকায়। ঐশানী যে তার আর রিত্তিকের ব্যাপারে জানে সেটা তো ঐশীর জানা ছিল না। সে কখনো জানায়নি তার আপুকে। জানালে ঐশানী যে পুরো বিশ্ব ব্যাপারটা ছড়িয়ে বেড়াবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই ঐশীর। তাই সে না জানার ভান করে বলে…..
–“কি যা তা বলছিস আপু? হাড়গিলা প্রেমিক মানে বুঝলাম না তো?”
–“রিত্তিক করিম। অনার্স সেকেন্ড ইয়ার। দেখতে হাড়গিলা টাইপের। চিকনা পেনসিলের মতো। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। আরো কিছু শুনবি?”
ঐশীর বলতি বন্ধ হয়ে যায়। ঐশানী তা দেখে খিলখিল করে হাসে।
–“কি এখনো চিনতে পারছিস না? ওকে আই এম গোয়িং। আমার ফোনে তোদের যত ফটো আছে সব পোস্টার ছেপে শহরে লাগিয়ে দিচ্ছি।”
ঐশানী উঠে যেতে শুরু করতেই কাঁদো কাঁদো মুখ নিয়ে ঐশী দাঁড়ায়। ঐশানী হাসি দিয়ে ঐশীর নাক টেনে বলে….
–“ছোট হয়ে রঙ্গলীলা করে বেড়াবি তোর বড়বোন জানবে না? এখন যদি না চাস তোদের কাপল ফটোর পোস্টার না ছাপুক তাহলে আমার বিয়ে ভাঙার একটা প্লান কর।”
কি আর করার? ঐশী অসহায় কন্ঠে গান গেয়ে ওঠে….
–“আমি ফাঁইসা গেছি! আমি ফাঁইসা গেছি মাইনকার চিপায়।”
ঐশানী ঠোঁট সরু করে বলে….
–“ঐশীরও দিলে চোট বোঝে না কোনো হালায়! ঐশীরও দিলে চোট বোঝে না কোনো হালায়। এখন উপায় বল বেয়াদব।”
ঐশী আর ঐশানী ফিসফিস করে আলোচনা করতে থাকে বিয়ের ব্যাপারে।
রুমে টিমটিমে আলো জ্বলছে। সবটা আবছা দেখা যাচ্ছে। রাত প্রায় দশটা। অভয় পায়চারী করছে নিজের ঘরে। হাতে ফোন। চোখেমুখে অস্থির ভাব। আবারও সায়রার নম্বর ডায়াল করে আবারও ফোন কানের কাছে ধরে। রিং হতে হতে অবশেষে রিসিভড হয় কল। যেন প্রাণ ফিরে পায় অভয়। দ্রুততার সে বলে ওঠে….
–“এট লাস্ট তুমি ফোন ধরলে সায়রা। তোমার ধারণায় নেই আমার এই কয়েকদিনে কি অবস্থা হয়েছে।”
–“কি চাও তুমি অভয়?”
সোজাসুজি বলে ওঠে সায়রা। অভয় অবাক হয়।
–“তুমি জানো না আমি কি চাই?”
–“অবশ্যই না। তুমি তো এখন অন্য কাউকে পেয়ে গেছো। এখন কি চাইছো আমার কাছে? ভেঙেছে তো আমার মন।”
–“হোয়াট ডু ইউ মিন, সায়রা?”
–“গতকাল একটা মেয়েকে হিরোর মতো বাঁচিয়ে নিজের কাছাকাছি টেনে নিয়েছিলে। তার গায়ে নিজের পোশাক জড়িয়ে দিয়েছো। মনে আছে নাকি আরো মনে করাবো?”
অভয় নিজের কপালে আঙ্গুল দিয়ে টোকা মারে। মাথার চুল এদিক ওদিক নাড়ায়। উত্তেজিত হয়ে ওঠে। সায়রা কি আবারও তাকে ভুল বুঝলো?
চলবে…..
[বি.দ্র. ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গঠনমূলক কমেন্টের আশায় রইলাম।]