বৃষ্টিশেষে প্রেমছন্দ পর্ব ৪৮

0
520

#বৃষ্টিশেষে_প্রেমছন্দ
#মুমুর্ষিরা_শাহরীন

৪৮.
রাহুল ইটের রাস্তা দিয়ে নির্বিকারভাবে হেঁটে আসছিলো। দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলো রাস্তায় ছায়ার যোগানদাতা। বাহারি পাতাগুলো সকালের নরম রোদ আর নির্মল হাওয়ার সাথে দুলতে দুলতে রাস্তায় নানান ধরের নকশা আঁকছে। আকাশ ফেটে আসা তপ্ত রোদের ভ্যাপসা গরম। আচমকা রাহুল সামনে আর্দ্রকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলো। খানিকটা চমকে মুখটাকে নিচে নামিয়ে এগিয়ে যেতেই আর্দ্র রাহুলের কাধ চাপড়ে বলল,

‘কি ভাই? কি খবর? বিয়ে করে নিচ্ছো? সাথে আবার হুটহাট বাসাটাও ছেড়ে দিলে। যাওয়ার আগে দেখাটা পর্যন্ত করে গেলে না।’

রাহুল শুকনো ঠোঁট দুটো ভিজালো। নিভার জন্যই তো এতোসব কাণ্ড। রাহুল উল্টে প্রশ্ন করলো, ‘তুমি এখানে যে?’

আর্দ্র খুব জোরে শ্বাস ফেলল। বলল, ‘সামনে আমার বিয়ে। মা-বাবা এসেছে শপিং করতে। সাথে বগলদাবা করে আমাকেও নিয়ে এলো। বুঝলে আজকালকার দিনে ছেলেমেয়ের ইচ্ছের কোনো মূল্যই নেই।’

রাহুলের চোখ ফেটে বেরুতে চাইলো। অবাক গলায় বলল, ‘তোমার বিয়ে? আদর ভাইকে ছেড়ে তোমার বিয়ে?’

আর্দ্র দ্বিতীয় বার জোরে দীর্ঘশ্বাস ফেলল। আকাশের দিকে মুখ করে তাকালো। খানিক বাদে ঠোঁট কামড়ে ধরলো। থুতনি’টা কেঁপে কেঁপে উঠলো। রাহুল আর্দ্রর কাধে হাত রেখে বলল, ‘কার সাথে বিয়ে হচ্ছে তোমার? আর কবে বিয়ে?’

আর্দ্র হাত চোখের উপর রাখলো। কিছুক্ষণ পর সরিয়ে বলল, ‘তিনদিন পর৷ সামনের শুক্রবার। তোমাকে দাওয়াত দেইনি কারণ সেদিন তোমারও বিয়ে। তুমি নিজেই উল্টে দাওয়াত দিয়ে রেখেছো। আর দাওয়াত দেওয়ার মতো পরিস্থিতিতে আমি নেই। তবুও পারলে এসো।’

শেষের কথাগুলোর মুচকি হাসিতে আর্দ্রর ভেতরের কষ্ট গুলো দৃশ্যমান হলো। রাহুল মাথা দুলিয়ে বলল, ‘পাত্রীর নাম কি ভাই?’

আর্দ্র উদাস কণ্ঠে বলল, ‘নিভা ইয়াসমিন। আমার খালাতো বোন। চেনো নিশ্চয়ই? চেনার কথা তো!’

রাহুল চমকে উঠলো। বুকের ভেতর কি যেনো ধক করে উঠলো। আত্মা কাঁপলো। এরপর অবাক গলায় বলল, ‘নিভার বিয়ে? তোমারও বিয়ে? তোমাদের দুজনের একসাথে বিয়ে?’

,

টিকলি হাত মোচড়াতে মোচড়াতে টায়রার পাশে বসে বলল, ‘যাহ তো টায়রা। খবর লাগা তো। রাহুল ভাইয়া কি নাম্বার চেঞ্জ করেছে নাকি?’

দুপুরের খাওয়া শেষে অলস শরীরে শুয়েছিলো টায়রা। টিকলির কথায় যারপরনাই বিরক্ত হলো। টিকলি অস্থির হয়ে উঠলো, ‘যা না! আর তিনদিন পর বিয়ে। কি করবো কিচ্ছু বুঝতে পারছি না।’

টায়রা ঘুমের ভান ধরে বলল, ‘পরে যাবো।’

‘এক থাপ্পড়ে সব দাঁত ফেলে দিবো। আমার এদিকে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে আর তুই পরে আছোস তোর ঘুম নিয়ে?’

টায়রা বড় একটা হাই তুলে মুখ হামলাতে হামলাতে বলল, ‘আমার বদলে তুই গেলে বেশি ভালো হবে। রাহুল ভাইয়া বোধ হয় ছাদে। এই ছেলে বেশিরভাগ সময় ছাদে থাকে। নিভাও বলেছিলো একদিন।’

টিকলি ভ্রু কুচকে তাকালো। নিভা আজ সকালে একবার এসেছিলো। রাহুল এ বাড়িতে থাকে শুনেই চমকে উঠলো। চোখ জোড়া টলমল করে উঠলো তার। আধ ঘন্টাও বসে থাকলো না। চলে গেলো। টায়রা তখন বাড়িতে ছিলো না। রাহুলও বাড়িতে ছিলো না। শুধু ছিলো একা টিকলি।

টিকলি সব ভাবনা একদিকে ফেলে ছাদের দিকে ছুটলো। রাহুল ছাদে দাঁড়িয়ে সিগারেট ফুকঁছিলো। টিকলিকে দেখে সে হাসলো কিন্তু হাত থেকে সিগারেট ফেলল না। কি আশ্চর্য! অথচ নিভাকে দেখলে সে তড়িঘড়ি করে ফেলে দিতো। অবশ্য টিকলি আগে থেকে জানে রাহুল সিগারেট খায়। কিন্তু তবুও যাকে দেখে তার ভয় পেয়ে সিগারেট ফেলে দেওয়ার কথা তাকে দেখেই ফেলল না। যাক গে, এসব এতো ভেবে কাজ নেই। এক একজনের প্রতি এক একরকমের সম্মান। নিভার সাথে রাহুলের টিকলির মতো ঘনিষ্ঠতা ছিলো না বলেই হয়তো সামনে সিগারেট খেতে জড়তা কাজ করতো। টিকলি ইতস্তত করে বলল,

‘ভাইয়া?’

রাহুল হেসে বলল, ‘হুম বল।’

টিকলি তৎক্ষণাৎ কথা খুঁজে পেলো না। কিছুক্ষণ ভেবে চিন্তে শুকনো ঠোঁট দুটো ভিজিয়ে বলল, ‘বলছিলাম…বলছিলাম যে তুমি আজ সকালে কোথায় গিয়েছিলে? ফোন দিয়েছিলাম। কিন্তু ফোন বন্ধ এলো।’

দু’আঙ্গুলের ফাঁকে পোড়া ঠোঁটে সিগারেট ফুকতে ফুকতে রাহুল আস্তেধীরে জবাব দিলো, ‘সকালে একটা কাজে গিয়েছিলাম। ছাত্রদের আর পড়াবো না বলে না করে দিয়ে আসলাম। সাথে আবার রাস্তায় আর্দ্রর সাথেও দেখা হলো। আর ফোনের সিম চেঞ্জ করেছি। পুরোনো সব জিনিস বাতিলের খাতায় নাম লেখাচ্ছি।’

টিকলি চমকে বলল, ‘কি বলো! আর্দ্র ভাইয়ার সাথে দেখা হয়েছিল? কি বলল?’

‘তেমন কিছুই না। শুনলাম ওর নাকি বিয়ে তাও আদর ভাইয়ার আগে। আমাদের যেদিন বিয়ে সেই একই দিনে বিয়ে।’

টিকলি এই সম্পর্কে আর কিছু বলল না। জড়তা নিয়ে চাইলো, ‘তোমার নাম্বারটা দেও ভাইয়া।’

রাহুল নাম্বার দিলো। টিকলি নাম্বার নিয়ে নিশ্চুপে চলে যেতে গেলেই আবার ঘুরে দাঁড়ালো। ভাবলো, ও নিজে কি রাহুলকে সবটা বলে দিবে? পরক্ষণেই চিন্তা করলো থাক আগে আদর কথা বলুক। ভ্রু কুচকে টিকলি প্রশ্ন করলো,

‘তুমি এতো ইজি কীভাবে? আমাকে বিয়ে করায় তোমার মত আছে?’

রাহুল টিকলির চোখের দিকে তাকালো। চোখের তাঁরায় তার জন্য কিছু খুঁজে না পেয়ে আবারো চোখ সরিয়ে নিলো। টিকলি অনেক্ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলো৷ রাহুলের থেকে উত্তর না পেয়ে চলে যেতে নিলো। রাহুল চোখ বন্ধ করে নিঃশ্বাস আটকে তৃপ্তি নিয়ে বলল,

‘আজ পর্যন্ত বলা হয়নি। আমি এই তুই নামের ভেবলি টাকে খুব ভালোবাসি। অনেক ছোটবেলায় থেকে তুই যখন আমার কাছে এসে আধো আধো গলায় বিচার দিতি , টায়রা তোর চকলেট খেয়ে ফেলেছে। সেই আধো আধো গলায় কথা বলা থেকে ভালোবাসি। কক্ষনো না কাঁদা তুই হঠাৎ বিশাল আকারে আয়োজন করে ঠোঁট চোখ ফুলিয়ে কেঁদে বন্যা বইয়ে দেওয়ার পানি গুলোকে ভালোবাসি। তোর শব্দবিহীন জটিল হাসিগুলোর ডঙ্কার কে আমি অনেক ছোটোবেলা থেকেই ভালোবাসি…!

টিকলি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলো। চোখে বিস্ময়তার মেলা। চোখের ভাঁজে ভাঁজে অনুতাপ, অসহায়ত্ব। থুতনিতে কাঁপন৷ সে অবাক, হতবাক, নির্বাক। চোখের দৃষ্টি শুন্য। টিকলির মাথাটা দপদপ করছে। কানের ভেতর শাঁ শাঁ থেকে পু পু একধরনের শব্দ হচ্ছে। টিকলির পা স্থির থাকলো না। শূন্য চোখের দৃষ্টি পানি ফেলতে ফেলতে এক দৌড়ে নিচে চলে গেলো। এতোসব গোলমেলে জটিল সমস্যার বেড়াজালে টিকলির জীবন ছিন্ন করে দিতে ইচ্ছে হলো। মাথার চুল টেনে ধরলো। কোন দিকে যাবে? কোনপথটা খোলা? একদিকে রাহুলের এতো বছরের ভালোবাসার উপর মায়া অন্যদিকে নিজের ভালোবাসার উপর ভালোবাসা। কাকে রেখে কাকে কষ্ট দিবে টিকলি? কারোর কষ্টই তো কারোর থেকে কম নয়।

টিকলিকে কথাগুলো বলতে পেরে রাহুলের মনে অন্যরকম প্রশান্তি জাগলো। টিকলি যেভাবে দৌড়ে চলে গেলো রাহুল ধরে নিলো টিকলি লজ্জা পেয়েছে।একবারো ভাবতে পারলো না আবারো কষ্টের পঁচা সমুদ্রে সে গা ভাসাতে চলেছে।

রাহুল আকাশের দিক তাক করে সিগারেট ফুকতে ফুকতে স্মিত হেসে উঠলো। মনে মনে ভাবলো, ভালোবাসার চাইতে বড় অভিনয় এ পৃথিবীতে আর দুটি নেই। মানুষের চাইতে বড় বেঈমান এবং নিমকহারামও বোধহয় আর কেউ হয়না। যেই মেয়েটা দুদিন আগেও ভালোবাসি ভালোবাসি করে কেদে বুক ভাসালো। সেই মেয়েটা দুদিন না যেতেই তার ই খালাতো ভাইকে বিয়ে করতে বসে গেছে। তাও আবার তারিখ ফেলেছে একই দিনে। রাহুলের আরো মনে হলো তার জীবনের প্রথম মেয়ে বান্ধবী’টির নতুন জীবনের উদ্দেশ্যে তার অভিনন্দন জানানো উচিত। কিন্তু দুভার্গ্যবশত জানানো যাচ্ছে না। কারণ সেইদিন তারও বিয়ে। তার অনেকদিনের জমানো ভালোবাসার সাথে তার বিয়ে। রাহুল ভেবে রেখেছে বাসর রাতে তার ভালোবাসার ভাণ্ডার এবং সিন্দুক উভয়ই টিকলির জন্য উন্মুক্ত করে দিবে। সাথে ঝার বোতল গুলোতে অনেকগুলো প্রজাপতি আর জোনাকি ধরে টিকলিকে উপহার দিবে। টিকলি নিশ্চয়ই খুশিতে রাহুলকে জড়িয়ে ধরবে? ইশশ কত্ত স্বপ্ন পূরণ হওয়া বাকি রাহুলের!

,

টিকলি কাঁপা কাঁপা হাতে আদরকে ফোন করলো। মুখে হাত রেখে কান্না চেপে নিজেকে স্বাভাবিক করলো। সে ভেবেছে একজনের ছোটবেলার ভালোবাসার জন্য তিনটে জীবন নষ্ট হতে পারে না, কিছুতেই না। রাহুলকে বিয়ে না করলে রাহুল সাময়িক কষ্ট পাবে। হয়তো সারাজীবন কষ্ট পাবে। কিন্তু রাহুলকে বিয়ে করলে টিকলি আদর এমনকি রাহুল সারাজীবন আরো বেশি কষ্ট পাবে৷ টিকলি কখনো রাহুলকে মানতে পারবে না। আর সব শুনে রাহুলও নিশ্চয়ই এই বিয়ে করতে চাইবে না। যে স্বপ্ন রাহুল দেখছে তা বাস্তবায়ন করার বিন্দুমাত্র ক্ষমতা টুকু টিকলির নেই, একদম নেই।

টিকলি আদরকে রাহুলের নাম্বারটা দিয়ে সতর্ক করে দিলো, ‘আর মাত্র তিনদিন। তারপর কিন্তু আমার বিয়ে, ডাক্তার।’

টিকলির কণ্ঠটা কেমন যেনো ভেজা ভেজা শোনা গেলো। আদরের নিজেকে অসহায় লাগলো। সে গেছে এক গ্রামে গরিব অসহায় লোকজনদের মেডিকেল ট্রিটমেন্ট করতে। জরুরি ভিত্তিতে আজ ভোরেই যেতে হয়েছে। আবার রাতের গাড়িতে ফিরে আসবে। সব মিলিয়ে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত নিজেকে খুব বেশি নিঃসহায় লাগলো তার। মাথা কাজ করছে না। এই প্রায় দুপুর শেষ হয়ে যাওয়া সময়টাতেও তার সকালের খাবার খাওয়া হয়নি। এতোদিকের চাপ আদরের আর সহ্য হচ্ছে না। আল্লাহ মুখ তুলে তাকালে হয় এবার!

,

‘হ্যালো? রাহুল?’

রাহুল নাম্বারটা আরেকবার দেখে নিলো। এরপর কানে ধরে বলল, ‘জি ভাই। আসসালামু আলাইকুম। নতুন সিম তো চিনতে পারিনি।’

আদর টিকলির কাছ থেকে নাম্বার নিয়ে শত ব্যস্ততার আড়ালেও সাথে সাথে রাহুলকে ফোন করেছে। সে যদিও ঢাকায় এই মুহুর্তে উপস্থিত নেই তবুও বলল, ‘তুমি কি এক্ষুণি আমার সাথে দেখা করতে পারবে রাহুল?’

রাহুলের এখন কোথাও বের হতে ইচ্ছে করলো না। একটার পর একটা সিগারেট মনের সুখে খেতেই বেশি ভালো লাগছে। টিকলি তো সিগারেট সহ্য করতে পারে না। বিয়ের পর তো টিকলির কারণে রাহুলের সিগারেট খাওয়া বাদও দিতে হতে পারে। তাই বিয়ের আগ পর্যন্ত মনের সুখে সিগারেট খাবে বলেই প্রতিজ্ঞা করেছে সে। তাই রাহুল একটা মিথ্যে কথা বলল, ‘না আদর ভাই। এখন তো দেখা করতে পারছি না। সামনে বিয়ে ভাই বুঝেন ই তো। ব্যস্ততা!’

আশেপাশের গ্রামের মানুষের নানান শব্দে চিৎকারে আদর আবছা শুনতে পেলো রাহুলের কথা। সেই আবছা কথা শুনেই দাঁতে দাঁত পিষে বলল, ‘তাহলে ফোনেই বলছি শোনো…’

ওপাশ থেকে অনেক শব্দ ভেসে এলো। এক তো গ্রামে নেটওয়ার্কের সমস্যা। দুই. মানুষের কোলাহলে ঠিক মতো আদর কথা বলতে পারছে না। চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে বলছে। রাহুল ভ্রু কুটি করে হ্যালো হ্যালো করে বলল,

‘হ্যালো আদর ভাই। কথা কেটে কেটে আসছে। একটু দূরে সরুন। অনেক মানুষের শব্দ। আমি ঠিকমতো শুনতে পাচ্ছি না। হ্যাঁ? কি বললেন? ভাই একটু জোরে বলুন।’

আদরের সমানতালে রাহুলও চিতকার করে বলল। আদরের আশেপাশে মানুষজন গিজগিজ করছে। দূরে সরেও লাভ নেই। আদর হতাশ মনে জোরে চেঁচিয়ে বলল,

‘যেভাবেই পারো প্লিজ রাহুল কাল সকালে আমার সাথে দেখা করো। এভাবে ফোনে বলা সম্ভব নয়।’

রাহুল আচ্ছা বলে ফোন রেখে দিলো। এরপর কিছুক্ষণ ফোন সামনে নিয়ে আদরের নাম্বারের দিকে তাকিয়ে থাকলো।

_____________________________

বিকেল দিকে নিভা আবার এলো। টিকলি আধশোয়া হয়ে কিছু চিন্তা করছিল। নিভাকে দেখে ভ্রু নাচিয়ে তাকালো। সন্দিহান গলায় বলল,

‘কিরে! সকালেই তো এলি। এখন আবার? কাহিনি কি? বিয়ের কনেদের ওতো বাইরে বের হতে হয়না জানিস না। তোর জন্য বাইরে বের হওয়া নিষেধ। বুঝলি?’

নিভা কাধ থেকে ব্যাগ নামিয়ে জোরে শ্বাস ফেলে বলল, ‘সকালে টায়রার সাথে দেখা হয়নি তাই এখন আবার আসলাম।’

টায়রা গিয়েছিলো ওয়াশরুমে। ভ্যাপসা গরমে ঘেমে নেয়ে অস্থির হয়ে উঠেছিল। তাই আবার গোসল করলো। ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে নিভাকে দেখতেই খানিক অবাক হলো। সাথে নিভাকে দেখে রাগে গা পিত্তি জ্বলেও উঠলো। মাথা থেকে সাদা তোয়ালে টা খুলে নিভার দিকে ছুড়ে মারলো। ড্রেসিংটেবিলের আয়নায় নিজেকে দেখতে দেখতে নিজের বানানো উদ্ভট একটা গান গাইলো,

“ও আমার সতিন গো
চিরসাথী জামাইয়ের ঘরে
তোমারি জন্যে এনেছি আমি ঝাড়ুর বাড়ি যে..
ও…একই সাথে করবো মারামারি
যাবোনা কোনোদিন ছেড়ে
ও…থাকবে না কোনো বাধা
আমার আর জামাইয়ের মাঝে
তুই মরলে….জামাই আমার হবে
ও আমার সতিন গো
চিরসাথী জামাইয়ের ঘরে…”

টায়রা গানটা গাইলো ‘ও আমার বন্ধু গো’ গানের সুর নকল করে।

চলবে❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here