বিরহের নাম তুমি পর্ব-৭

0
438

#বিরহের_নাম_তুমি
#পর্ব_৭
#মুন্নি_আক্তার_প্রিয়া
__________________
১৬.
গতকাল রাতে বৃষ্টি হওয়ার দরুণ প্রকৃতির সতেজ রূপ পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঘাসের গায়ে লেগে আছে এখনও বৃষ্টির পানি। নড়াচড়া করতেই জানালার কাঁচ ভেদ করে সূর্যরশ্মি রাসেলের চোখে-মুখে পড়ে। রোদের কিরণ চোখের ওপর পড়ায় ভ্রুঁ কুঁচকে ফেলে সে। মুখের ওপর হাত রেখে রোদ থেকে দৃষ্টি আড়াল করে পিটপিট করে তাকায়। আড়মোড়া ভেঙে শোয়া থেকে উঠে বসে। ঘুম ঘুম ভাবটা এখনও যায়নি। চোখ বন্ধ করতেই লিন্ডার কথা মনে পড়ে যায়। রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে তার। দরজা খুলে দেখতে পায় লিন্ডা নেই। পুরো বাড়ি খুঁজেও তাকে পাওয়া গেল না। মনে মনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে রাসেল। সকাল সকাল লিন্ডাকে দেখলেই তার মেজাজ চড়ে বসত। ফ্রেশ হয়ে এসে সে ভূমিকে ফোন করে। দু’বারের বেলায় ভূমি ফোন রিসিভ করে। ঠোঁটের কোণে হাসি ফুঁটিয়ে বলে,’সরি গো! ঘর মুছছিলাম তো তাই ফোন রিসিভ করতে দেরি হলো।’

রাসেল কিছু বলল না। শুধু নিরব হয়ে তাকিয়ে রইল। ভূমির চুল কিছুটা এলোমেলো। কপালে ঘামের বিন্দু। কোনো সাজগোজ নেই। তবুও কত সুন্দর এবং সাবলীল লাগছে। রাসেল মুগ্ধ হয়। অন্যদিকে তাকে এভাবে নিষ্পলকভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ভূমির অস্বস্তি হয়। লজ্জা লাগে। বিয়ের সাড়ে তিন মাস চললেও ভূমির লজ্জা কমেনি বিন্দুমাত্রও। দৃষ্টি নত করে ভূমি বলল,’এভাবে তাকিয়ে থাকবে না। আমার লজ্জা লাগে।’
রাসেল শব্দ করে হেসে ফেলে। দেয়ালের সাথে পিঠ ঠেকিয়ে বসে বলে,’তাই? এত লজ্জা আসে কোত্থেকে?’
ভূমি কিছু বলল না। লজ্জামিশ্রিতভাবে হাসছে শুধু। রাসেল ফোনটা কাছে এনে বলল,’অন্যদিকে তাকিয়ে আছ কেন? আমার দিকে তাকাও।’
ভূমি তাকিয়েও আবার দৃষ্টি সরিয়ে নিল। রাসেল প্রশ্ন করল,’আমাকে দেখতে ইচ্ছে করে না তোমার?’
‘কতটা যে দেখতে ইচ্ছে হয় সেটা জানলে আর দূরে থাকতে পারতে না।’ এ কথাটাও ভূমি অন্যদিকে তাকিয়ে বলল। রাসেল দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করে বলল,’একটু অপেক্ষা করো বউ। খুব শীঘ্রই তোমায় আমার কাছে নিয়ে আসব। একটা সত্যি কথা কি জানো? তোমার থেকে দূরে থেকে আমি নিজেও ভালো নেই।’

ভূমি এবার রাসেলের দিকে তাকালো। মোহময় কণ্ঠে বলল,’আমি অপেক্ষায় আছি।’
একটু থেমে স্বাভাবিক কণ্ঠে প্রশ্ন করল,’এখন বলো তো কেমন আছ?’
‘আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ।’
‘অফিসে যাবে কবে থেকে?’
‘কাল বা পরশু থেকেই যাব। সকালে খেয়েছ তুমি?’
‘হ্যাঁ, তুমি খেয়েছ?’
‘না। আমি মাত্র ঘুম থেকে উঠলাম। ফ্রেশ হয়েই তোমায় ফোন দিয়েছি।’
‘তাহলে আগে খেয়ে নাও।’
‘খাব এখন। অফিসের কিছু কাজ বাকি আছে কমপ্লিট করতে হবে।’
‘আগে খেয়ে তারপর যা করার করো।’
‘যথাআজ্ঞা আমার মিষ্টি বউ।’
প্রত্যুত্তরে ভূমি লজ্জামিশ্রিত মিষ্টি করে হাসে। আরও কিছু্ক্ষণ কথা বলে ফোন রেখে দেয় রাসেল। বুকটা হাহাকার করে ওঠে। সিদ্ধান্ত নেয় যত দ্রুত সম্ভব ভূমিকাকে নিজের কাছে নিয়ে আসবে।

___________
১৭.
মিঠাইকে কোলে নিয়ে বসে রয়েছে সূচনা। দুজনে নিজেদের ভাষায় চোখে চোখে কথা বলছে। মিঠাই কী বুঝেছে জানা নেই। তবে সে সূচনার কথার প্রত্যুত্তরে ম্যাউ ম্যাউ করে আওয়াজ করে। সূচনা মৃদু হাসে। জয়ের কথা মনে পড়লেই সেই হাসি আবার মিলিয়ে যায়। জয়কে দেখে তো মনে হয়নি সে পরিবর্তন হতে পারে। অবশ্য মুখ দেখে কি আর মানুষ চেনা যায়? তবু মনের ভেতর কিন্তু কিন্তু একটা ভাব থেকেই যায়। মানুষটা কেন এভাবে উধাও হয়ে যাবে? জয়ের সাথে নিজ থেকে যোগাযোগ করার মতো কোনো উপায় সূচনার হাতে নেই। তবে জয়ের আছে। সে জানে, সূচনা কোন বাস স্টপেজ থেকে কলেজে যায়। সর্বোপরি সে সূচনার কলেজ চেনে এমনকি এই বাড়িও। যদি দেখা করার প্রয়োজন মনে করত কিংবা যোগাযোগ করার প্রয়োজন মনে করত তাহলে তো নিজ থেকেই চেষ্টা করত। মন ভারী হয়ে ওঠে তার। অজানা কারণেই কেমন জানি কষ্ট লাগছে। ভালোবাসা নামক কোনো অনুভূতির সাথে সে পরিচিত নয়। সুন্দরী হওয়ার দরুণ সকলের চোখে তাকে ভালো লাগলেও যখনই কেউ জানত, সূচনা বোবা। কথা বলতে পারে না। তখনই তারা পিছিয়ে যেত। কেই বা চাইবে যেচে কোনো বোবা মেয়েকে জীবনসঙ্গী করতে? কেউ কেউ আবার জানার পরও বলত, তারা সূচনাকে সত্যিই ভালোবাসে। আসলে ওসব ভালোবাসা বলতে কিছুই ছিল না। উদ্দেশ্য ছিল তাদের অন্যকিছু। সূচনা বুঝতে পেরে ঐসব নামধারী ভালোবাসা থেকে নিজেকে দূরে রাখত। তবে এবার যেন তার সাথে ভিন্নকিছু হতে চলেছে। কতটুকু সময়ের পরিচয় তার জয়ের সাথে? এরমাঝেও কি সম্ভব এমন অনুভূতি সৃষ্টি হওয়ার?

বিছানা হাতরিয়ে বাটন ফোনে সময় দেখে নেয়। কলেজে যেতে এখনও অনেক সময় বাকি। সকালের নাস্তা বানিয়ে মিঠাইকে নিয়ে বসে রয়েছে। সময় যেন কাটতেই চাচ্ছে না। মিঠাইকে কোল থেকে নামিয়ে আর্ট পেপার আর পেন্সিল বের করে। জয়ের এবং নিজের একটা স্কেচ তৈরি করে ফেলে। যদিও সে শুধুমাত্র জয়ের ছবিই আঁকতে চেয়েছিল; তবে কেন জানিনা সঙ্গে নিজের ছবিটাও এঁকে ফেলেছে। অনেকক্ষণ সে ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকে। পরক্ষণেই আবার ভাবে জয় যদি জানতে পারে তাহলে কী ভাববে?

দরজায় করাঘাত করে ডাকছে জারিফ। কাগজটা দ্রুত বইয়ের ভাঁজে লুকিয়ে দরজা খুলে দেয় সূচনা। মুখের ভাবসাব অস্থির দেখে জারিফ জিজ্ঞেস করে,’কিরে তোর চোখ-মুখের এই অবস্থা কেন?’
সূচনা জোরপূর্বক হাসল। জারিফ বলল,’খেয়ে রেডি হয়ে নে। বাস স্টেপেজে দিয়ে আসব। ওখান থেকে বাসে করে যাবি। আমার জরুরী একটা কাজ আছে।’
সূচনা দু’দিকে মাথা নাড়াল। ছবি আঁকতে গিয়ে ক্লাসের কথাই বেমালুম ভুলে গিয়েছিল। মিঠাইকে বাক্সের মধ্যে রেখে ঝটপট রেডি হয়ে নিল সে।

জারিফ সূচনাকে সিট আছে এমন বাসে উঠিয়ে দিয়ে তারপর নিজের কাজে চলে যায়। জানালার পাশের সিটটিতে সূচনা বসেছে। উৎসুক চোখ তখনও খুঁজে বেড়াচ্ছে জয়কে। কোনোকিছুর বিনিময়েও সে জয়কে ভুলতে পারছে না। একটা মানুষ হুট করে এসে এভাবে মনের ভেতর জায়গা করে নিতে পারে? সামনের বাস স্টপেজে সূচনার পাশে বসা লোকটি নেমে যায়। একই বাসে উঠতে দেখতে পায় তার কিছু ক্লাসমেটদের। ওদের মধ্যে ইউসূফও ছিল। সে কেন জানি সূচনাকে দেখে বাঁকা হাসি প্রদান করে। দৃষ্টি সরিয়ে নেয় সূচনা। ইউসূফ একদম তার পাশের সিটেই বসল। তবে কিঞ্চিৎ দূরত্ব বজায় রেখে। সূচনা একটিবার তাকালোও না। বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাস ছুটে চলেছে। ইউসূফ একটু নড়েচড়ে বসে জিজ্ঞেস করল,’বয়ফ্রেন্ড আছে সে কথা বললেই হতো। আচ্ছা বয়ফ্রেন্ডগুলো এমন হয় কেন বলো তো? ক্লাসমেট কোনো ছেলের সাথে কথা বললে ওদের সমস্যা কোথায়?’
সূচনা ভ্রুঁ কুঁচকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। বুঝতে পারছে না কীসের ভিত্তিতে ইউসূফ এই কথা বলছে। এবারও সূচনা কোনো কথা বলছে না দেখে ইউসূফ রাগে ফেঁটে পড়ে। দাঁত কিড়মিড় করে বলে,’এত এটিটিউড দেখাও কেন?’
সূচনা কী প্রত্যুত্তর করবে বুঝতে পারছে না। তার আগেই বাস কলেজের সামনে এসে পড়ে। ইউসূফ কে কোনো প্রকার তোয়াক্কা না করেই সূচনা নেমে যায়। এদিকে তার প্রতি ইউসূফের ক্ষোভ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। এই পর্যন্ত কোনো মেয়েই কখনো তাকে ইগনোর করেনি। এটিটিউড দেখায়নি। তাকে উপেক্ষা করতে পারেনি। সেখানে এই মেয়ের এমন এমন ব্যবহার করার মানে কী? শুধুমাত্র বয়ফ্রেন্ড আছে বলে? আর থাকলেই বা কী! সে তো আর প্রেম নিবেদন করেনি। দাঁতে দাঁত চেপে শিহাবের সঙ্গে সে কলেজে প্রবেশ করে।

সূচনা ক্লাসে গিয়ে পেছনে যাওয়ার সময় এক মেয়ে হাত টেনে ধরে। মিষ্টি করে হেসে বলে,’এখানে বসো।’
সে না করল না। মেয়েটির পাশেই বসল। মেয়েটি নিজ থেকেই জিজ্ঞেস করল,’তোমার নাম তো সূচনা। রাইট?’
সূচনা উপর-নিচ মাথা ঝাঁকাল। মেয়েটি বলল,’আমার নাম নুসরাত।’
সূচনা হাত দিয়ে ইশারা করল,’সুন্দর।’
নুসরাত শব্দ করে হেসে বলল,’তোমার নামের চেয়ে বেশি না। তুমি দেখতে যেমন সুন্দর। তোমার নামটাও তেমন সুন্দর।’
সূচনা সলজ্জিতভাবে হাসে। সূচনা বলে,’ক্লাসে তোমার কোনো বেস্টফ্রেন্ড আছে?’
সূচনা মনে মনে হাসে। ফ্রেন্ড-ই তো নেই। আবার বেস্টফ্রেন্ড! সে দু’দিকে মাথা নাড়ে। নুসরাত খুশিতে উচ্ছস্বিত হয়ে বলে,’আমারও কোনো ফ্রেন্ড নেই কলেজে। তুমি কি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হবে?’
সূচনা হতাশ হয়ে তাকায়। ব্যাগ থেকে খাতা বের করে লিখে,’তোমার উৎসাহ দেখে আমার ভীষণ খারাপ লাগছে। কেননা তুমি যতটা উৎসাহ এখন দেখাচ্ছ, পরে আর থাকবে না। আমার সঙ্গ তোমার ভালো লাগবে না।’
‘ধুর! কেন ভালো লাগবে না? তুমি কথা বলতে পারো না তাই? আমার কোনো সমস্যা নেই। এর কিন্তু একটা বেনিফিটও আছে।’ বলল নুসরাত। সূচনা সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে তাকালে সে বলল,’ধরো আমাদের কোনো বিষয় নিয়ে ঝগড়া হলো। তখন আমি রাগে ইচ্ছে মতো তোমায় বকতে পারব। আর তুমি চুপচাপ শুনে যাবে। মজা না?’
নুসরাতের সঙ্গে সূচনাও হেসে ফেলে। জয়কে যেমন ফিরিয়ে দেয়নি, তেমন-ই নুসরাতকেও সে ফিরিয়ে দিল না। যার ইচ্ছে হয় আসুক, ফ্রেন্ডশিপ করুক। মিশুক। যখন ইচ্ছে হবে চলে যাবে। কোনো কিছুতে এক্সপেকটেশন রাখা যাবে না এটাই হচ্ছে মেইন কথা।

ক্লাস শুরু করে গেলে যে যার জায়গায় বসে পড়ে। ম্যাম এসে রোল কল করে। ইউসূফ আড়চোখে সূচনাকে দেখছিল। সূচনার রোল কল করার সময়ে ম্যাম মেয়েদের সারিতে তাকায়। সূচনা দাঁড়ায় তো ঠিক বাট প্রেজেন্ট দেয় না। এই বিষয়টাতেই খটকা লাগে ইউসূফের। সে সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। তখনই পেছনের বেঞ্চের থেকে বন্ধুদের ফিসফিসিয়ে বলা কথাগুলো শুনতে পায়। তারা একজন আরেকজনকে বলছে,’শালার কপাল রে ভাই! মাইয়াডা কথা কইতে পারলে কী হইতো? তাইলে আম্মারে আইনা কইতাম এই মাইয়ারে ছাড়া আর কাউরে বিয়ে করমু না।’
বন্ধুর এমন ইচ্ছে পোষণের কথা শুনে বাকিরা চাপা হাসিতে ফেঁটে পড়ে। আরেকজন বলে,’ইশ! তুমি ওরে বিয়ে করতা আর আমরা কি দেখতাম? তগো আগে আমি আব্বারে কইতাম।’
অন্যজন জিজ্ঞেস করল,’বোবা তাতে কী? বোবাদের কি ভালোবাসা যায় না?’
‘ধুর বাল! সব কথা খাতায় লেইখা কইব। এত সময় থাকে নাকি? আর এত খারাপ সময় এহনও আহে নাই যে বোবা মাইয়া বিয়ে করমু।’

ইউসূফ মনে মনে আহত হয়। খারাপ লাগছে ভীষণ। না জেনে অকারণেই সে সূচনাকে ব্লেইম করেছে। আরও বেশি খারাপ লাগছে বন্ধুদের এমন কথাবার্তা শুনে। সে পুরোটা ক্লাসে সূচনাকে আড়চোখে দেখেছে শুধু। একটামাত্র কমতিই কি একটি মানুষের জীবনের সকল রঙ কেড়ে নিতে পারে?

ক্লাস শেষ করে সূচনা ফোন বের করে দেখে জারিফ ম্যাসেজ করেছে। ‘একা আসিস না। আমি নিয়ে আসব।’
নুসরাতের সঙ্গে সূচনা বের হয়। নুসরাত গল্প করছে আর সূচনা শুনছে। মেয়েটা বড্ড বেশি চঞ্চল। সূচনার ভালোই লাগে। কলেজ থেকে বের হয়ে নুসরাত বিদায় নিয়ে চলে যায়। ইউসূফ দ্রুত বের হয়েছিল সূচনার সাথে কথা বলবে বলে। কিন্তু তার আগেই সূচনা জারিফের বাইকে উঠে বসে। সেদিনও সে জারিফের বাইকে সূচনাকে দেখে ভেবে নিয়েছিল সূচনার বয়ফ্রেন্ড। আজ যেন শিওর হয়ে গেল।
প্রতিবারের মতো সূচনার ব্যর্থ দৃষ্টি যেন জয়কে খুঁজে না পেয়ে হাঁপিয়ে উঠেছে। মাঝপথে গিয়ে জ্যামে আটকে যায় ওরা। মনমরা হয়ে বসে থেকে এদিক-ওদিক তাকায় সূচনা। দৃষ্টি আটকে যায় রোডের সাথে থাকা মন্দিরের দিকে। জয় সেই মন্দির থেকে বের হচ্ছে। জ্যাম ছুটে যায় তখন। জারিফ বাইক স্টার্ট দেয়। যতক্ষণ মন্দিরটিকে দেখা যায় সূচনা বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকে।

চলবে…
[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here