বামনের ঘরে চাঁদ পর্ব ৪

0
676

বামনের ঘরে চাঁদ

সাজিয়ানা মুনির

৪.

( কার্টেসি ছাড়া কপি নিষেধ )

রাত দশটায় বাড়ি ফিরল আষাঢ়। সবসময়কার অভ্যাসের মত নিজের ঘরে ঢুকল। গরমে ঘেমে নেয়ে একাকার। প্রথম দুই বোতাম খুলে পেছনের দিক এলিয়ে দিলো শার্টের কলার। অসচেতন দৃষ্টিতে চারপাশে চোখ বুলাতে, থমকে গেল সে। বিছানায় গুটিসুটি হয়ে বসে আছে চাঁদ। কমলা রঙের শাড়ি গায়ে, কোমর অবধি খোলা কেশ। খটখট করতে থাকা ফ্যানের বাতাসে এলোমেলো উড়ছে। শাড়ির আঁচল বিছানায় ছড়িয়ে। পুতুল চোখ জোড়া মেলে আনমনা হয়ে বাহিরে তাকিয়ে। চোখে রাজ্যের মায়া ছড়িয়ে। বাচ্চা মেয়েটিকে হ্ঠাৎ কেমন বড়বড় লাগছে। গলা ঝেরে আওয়াজ করল আষাঢ়। চাঁদ ছিটকে উঠল। আষাঢ়ের দিকে এক পলক চেয়ে, তড়িঘড়ি হাতে শাড়ির আঁচল গুছিয়ে। বিছানা ছেড়ে নামল। গ্লাসে পানি ঢেলে, ঝটপট করে তার দিকে এগিয়ে দিলো। কপাল কুঁচকে পানির গ্লাসটা হাতে নিলো আষাঢ়। সন্দিহান দৃষ্টিতে চাঁদের মুখপানে চেয়ে জিজ্ঞেস করল,
‘ এসব করতে কে বলেছে তোমায়?’
চাঁদ চুপ। আষাঢ় সন্দিহান দৃষ্টিতে চেয়ে আছে তখনো। ঠাহর করে আলতো আওয়াজে বলল চাঁদ,
‘ আপু বলেছে।’
‘ আরশি?’
মাথা নাড়াল চাঁদ। আষাঢ় জিজ্ঞেস করল আবার,
‘ আর কি কি বলছে?’
‘ বলেছে আপনার সেবা করতে। সবসময় আশেপাশে থাকতে। মন জুগিয়ে চলতে।’
রা/গে কিড়বিড় করে উঠলো আষাঢ়। বোনের উপর মেজাজ খা/রাপ হলো। বিড়বিড় করে বলল,
‘ আমার দিকটা কেউ ভাবছেনা। যে যেভাবে পারছে চা/পিয়ে দিচ্ছে। শুনো, আমার কোন কাজ করতে হবেনা। যতদিন এখানে আছো তুমি নিজের মন মত চলো।’
শেষ কথাটা স্পষ্ট স্বরে চাঁদের উদ্দেশ্যে বলল। চাঁদের সামান্য রাগ হলো। অধৈর্য কন্ঠে বলল,
‘ আমাকে এখান থেকে তাড়ানোর এত তাড়া কেন আপনার? সকাল বিকাল একই কথা শোনান।’
‘ কারণ এই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ দেখতে পারছি। বেশিদূর গড়াবেনা।’
‘ কি ঘটবে, তা সময় বলে দিবে।’
আষাঢ় বি/রক্ত হলো। সারাদিন পর বাড়ি ফিরে ঝামেলা করতে ইচ্ছা করছেনা তার। তাই গামছা নিয়ে বাথরুমে চলে গেল চুপচাপ।

রান্নাঘরের সামনে খোলা জায়গাটায় চার চেয়ারের ছোট পুরাতন টেবিল বসানো। মাথার উপর নাম মাত্র ফ্যান ঘুরছে। খটখট শব্দ হচ্ছে। আলু বেগুন দিয়ে রান্না ছোট মাছের ঝোল দিয়ে তৃপ্তি করে ভাত খাচ্ছে আষাঢ়। পাশ থেকে চাঁদ ফ্যালফ্যাল চেয়ে। মাছ তার তেমন পছন্দ না। মুরগীর মাংস খেতে বেশি ভালোবাসে। বাড়িতে সবসময় তার জন্য আলাদা করে কম ঝালের মাংস রান্না হয়। মাঝেসাঝে ভাবির জোরাজোরিতে বড় মাছ হলে একটু আকটু মুখে তুলে। এখানে মাছের ঝাল তরকারি দেখে হাত গুটিয়ে রেখেছে। তরকারির টকটকে রঙ দেখেই ভয় করছে। না খেতে পারছে, না থালা ছেড়ে উঠে যেতে পারছে। আষাঢ়ের ফিরিয়ে দেওয়ার পরও জেদ চেপে বাড়িতে এসে উঠেছে। নিজেকে নিজে কথা দিয়েছে, পরিস্থিতি যেমনই হোক এখানে মানিয়ে নিবে সে। তাহলে এই সামান্য খাবারের ব্যাপারটা নিয়ে কি করে পিছিয়ে যাবে? সাহস করে খাবারের প্লেটে হাত দিলো। তরকারি দিয়ে ভাত মেখে এক লোকমা মুখে তুলল। বাচ্চাদের মত করে খাবার চিবিয়ে সাথে পানির গ্লাসে চুমুক দিচ্ছে। মালা বেগম অনেকক্ষণ যাবৎ চাঁদের দিকে ঠাহর করে ছিল। মেয়েটি দুপুরেও ঠিকঠাক খায়নি। ভেবেছিল লজ্জায় হয়তো। এতক্ষণে ঝাল না খাওয়ার ব্যপারটা ধরতে পারলো। ফ্রিজ থেকে ডিম নিয়ে ভেঁজে এনে চাঁদের প্লেটে তুলে দিলো। চাঁদ হতভম্ব মালার মুখপানে তাকালো। না বলতেই মানুষটা কি সুন্দর তার সমস্যা বুঝে নিলো। মায়েরা বুঝি এমনি হয়। না বলতেই সব সন্তানদের মনের কথা বুঝে নেয়।
পুরো ব্যাপারটা কপাল কুঁচকে আষাঢ় খেয়াল করল। মায়ের উদ্দেশ্য বলল,
‘ শিয়ালকে ভা/ঙা বেড়া দেখাচ্ছ মা। গরিব ঘরে বিয়ে করেছে, বাস্তবতা মানতে না পারলে বাড়িতে চলে যাবে। এখানে থাকতে হলে এসব কিছু মানিয়ে নিতে হবে।’
চাঁদ আষাঢ়ের মুখপানে অভিমানী দৃষ্টিতে তাকালো। ছেলের কথায় মালা বেগমের রা/গ হলো। চোখ ঘুরিয়ে বলল,
‘ আমাকে রা/গ দেখাচ্ছ? অথচ গতকাল রাত জেগে তুমিই সেবাযত্ন করছিলে। চাঁদের সাথে তোমার বিয়ে হয়েছে, বিয়েটা কোন ছেলেখেলা না। ওকে সহযোগিতা না করলে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিবে কি করে?’
আষাঢ় চুপসে গেল। খানিক চুপ থেকে চাঁদের উদ্দেশ্যে মালা বেগম বলল,
‘ কলেজে কবে থেকে যাচ্ছো। সামনে এইচএসসি পরীক্ষা। এখন ক্লাস কামাই করা ঠিক হবেনা।’
চাঁদের আলতো আওয়াজ,
‘ জি মা, শনিবার থেকে যাবো।’
মালা বেগমের ঠোঁটের কোণে সরু হাসি ফুটল। কিছু ভেবে খানিক গম্ভীর হয়ে বলল,
‘ বিয়ের বিষয়টা কলেজে জানাতে হবেনা আপাতত। ভার্সিটিতে বিবাহিতা ব্যাপারটা স্বাভাবিক হলেও। কলেজে দৃষ্টিকটু, চোখে বাঁধে সবার। তাছাড়া তোমাদের বিয়েটা যেহেতু আর পাঁচটা বিয়ের মত স্বাভাবিক নয়। কাউকে কিছু জানানোর প্রয়োজন নেই। শুধু শুধু হেরে/জমেন্ট হবে নয়তো।’
চাঁদ ‘আচ্ছা’ বলে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়াল।

গভীর রাত। চারিদিক অন্ধকারে নিমজ্জিত। লোডশেডিং হয়েছে। প্রচন্ডরকম গরম। দুজন দুদিকে মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে। মাঝে বিশাল ফাঁকা। বালিশের বেড়া। প্রথমে আষাঢ় নিচে বিছানা করে ঘুমাতে চাইলেও, চাঁদের অনু/তপ্ততা, ঘাড়ত্যাড়ামোর প্যাচে পড়ে বিছানায় উঠতে বাধ্য হয়েছে। সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রমের পর, ঘুমানোর জন্য একটু শান্তির প্রয়োজন। তাই আর কথা বাড়ায়নি। চুপচাপ বিছানায় উঠে এসেছে।
বিছানায় ছটফট করছে চাঁদ। প্রচন্ডরকম গরমে ঘেমে নেয়ে একাকার। বারবার এদিক ওদিক পাশ ফিরছে। চোখে অজস্র ঘুম। অথচ গরমে মশার কা?মড়ে দুই চোখের পাতা এক করতে পারছেনা। মশারী টানানো। তবুও কোথাকার ছিদ্রি দিয়ে যেন হুড়মুড় করে মশা ঢুকছে। বিরক্ত হয়ে আধোঘুমে শাড়ির আঁচল টেনে সরানো। চুল গুলো বালিশের উপর ফেলে, ফোঁসফোঁস শ্বাস ফেলছে। সেই সাথে গো/ঙানির আওয়াজ।

মাত্রই আষাঢ়ের চোখ লেগেছিল। চাঁদের গো/ঙানির আওয়াজে ঘুম কেটে গেল। ভারী-ভারী ফোঁসফোঁস আওয়াজ শুনে ভয় হলো। অতিরিক্ত গরমে মেয়েটা অসুস্থ হয়ে পড়ল না তো আবার? বিছানা হাতিয়ে মোবাইল বের করল। ফ্লাশ জ্বা/লিয়ে চাঁদের দিক ধরতে থ/মকে গেল। বিস্মিত দৃষ্টিতে শক্ত পাথর হয়ে রইল। শাড়ির আঁচল অগোছালো ঝুলছে, ব্লাউজ পেটিকোটের মধ্যেখানে ফকফকে ফর্সা পেট ভেসে। অর্ধচেতন চাঁদের সেদিকে খেয়াল নেই। হাত পা ছড়িয়ে ঘুমাচ্ছে। প্রচন্ড গরমে অসুস্থ প্রায়। চোখ বুজে গো/ঙাচ্ছে। মুহূর্তে আষাঢ়ের রাগ হলো। গরম সহ্য করতে পারেনা। তাহলে শাড়ি পরে ঘুমানোর মেয়েটির কি দরকার ছিল? সবসময় জেদ, ঘাড়ত্যা/ড়ামি তার। অস্বস্তি নিয়ে শাড়ির আঁচলটা শরীরের উপর পাতলা করে ছড়িয়ে দিলো। ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি এনে চাঁদকে ডেকে খাওয়ালো। ঘুম জড়ানো চোখ নিয়েই একটু উঠে বসলো চাঁদ। পানিটা শেষ করল। তারপর আবার ঘুমানোর জন্য বিছানায় লু/টিয়ে পড়ল। তপ্ত নিশ্বাস ফেলল আষাঢ়। এতটা ঘুম কাতুরে কেউ কি করে হয়?
চাঁদের ঘামে ভেজা এলোমেলো খোলা কেশ আদুরে হাতে বালিশের উপর ছাড়িয়ে দিলো। কপাল গলার নিচে জমা বিন্দুবিন্দু ঘাম আলতো করে মুছে দিলো। তালপাতার পাখা খুঁজে এনে। এক হাতে ভর দিয়ে পাশে শুয়ে বাতাস করতে লাগল। প্রচন্ড গরমে, একটু খানি শীতল পরশ পেয়ে চাঁদের যেন স্বস্তি মিলল। কপালে ভেসে থাকা, বিরক্তির রেখা গুলো মিলিয়ে গেল। চোখ বুজে ঘুমের ঘোরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল। ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসি ফুটল। চাঁদের চোখেমুখে সন্তুষ্টি দেখে, আনমনে হেসে ফেলল আষাঢ়। বিড়বিড় করে বলল,
‘ দরিদ্র বামনের ঘরে অমূল্য চাঁদ’

আজ শনিবার। আকাশ পরিষ্কার। ঝকঝকে আলোয় চারিদিক ছড়িয়ে। সূর্যের প্রচন্ড তাপ। ব্যস্ত শহর, সকাল সকাল বাজারের হৈচৈ। রাস্তার কাছে দাঁড়িয়ে আছে আষাঢ়। গরমে ভিজে চৌচির অবস্থা। চোখেমুখে বিরক্তি ছেয়ে। বারবার ঘড়ি দেখছে। বেশ কিছুক্ষণ পর বাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে এলো চাঁদ। পরনে নীল সাদা কলেজ ড্রেস। গলায় ঝুলানো আইডি কার্ডে স্পষ্ট অক্ষর ফুটে ‘ মেহজাবিন চাঁদ’। দুই বিনুনি করে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে। ছোট ছোট পায়ে এদিকে আসছে। আষাঢ়ের কাছে এসে লঘু স্বরে বলল চাঁদ,
‘ সরি! আপনাকে এতক্ষণ বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকতে হলো।আসলে…নতুন জায়গা, নতুন পরিবেশ অনেকদিন পর কলেজে যাওয়া, তাই সবকিছু গুছিয়ে বের হতে দেরি হয়ে গেল।’
মনে মনে অনেক কথা গুছিয়ে রেখেছিল আষাঢ়। চাঁদকে কয়েকটা কড়া কথা শুনাবে আজ। হ্ঠাৎ মাথাটা ফাঁকা হয়ে গেল। বিরক্তি ভাবটা মুহূর্তেই কে/টে গেল। অদ্ভুত স্নিগ্ধতা ভর করলো। মেয়েটির মায়া মায়া সরল চোখের চাহনিতে কি যেন একটা ছিল। কি বলবে! কথা গুলো সব ভুলে গেল।

আশেপাশের লোকজন তাকিয়ে। ভ্যানগাড়ি থেকে সবজি কিনতে এসে প্রতিবেশী চাচিরা হাসাহাসি করছে। তাদের একজন ঠাট্টা করে ডেকে বলছে, ‘ আষাঢ়! বাবা, বউকে স্কুলে দিতে যাচ্ছ? সাথে করে ফিটার নিয়ে যেও। ডাইপার নিয়েছ তো? বড়লোক বাড়ির মেয়ে দেখে লোভে পড়ে, কচি মেয়েটিকে ভাগিয়ে আনলে। ঝাঁঝ বুঝো এবার।’
আষাঢ়ের রাগ হলো খুব। তপ্ত কন্ঠের কাটখোট্টা উত্তর, ‘ কেন চাচি আপনার দুইবার মেট্রিক ফেল করা মেয়েকে সাথে করে ফিটার ডাইপার দিয়ে দেন নাকি? লাভ কি হলো! সেই তো ক্লাস বাদ দিয়ে পাড়ার মোরে চটপটির দোকানের রাসেলের সাথে পার্কে বসে টাংকি মা/রে।’
মহিলার মুখখানা কালো হয়ে এলো। পাওনা মিটিয়ে সবজি নিয়ে হনহন করে বাড়ির ভিতরে চলে গেল।
ফোঁস করে বিরক্তির চাপা শ্বাস ফেলল আষাঢ়। বিড়বিড় করে বলল,
‘ এই বয়সে এসে বাচ্চা মেয়েকে হাতে ধরে কলেজে নিয়ে যেতে হচ্ছে।’
কথাটা চাঁদের কানে এলো। শুনে, কপাল কুঁচকে নিলো চাঁদ। কন্ঠে অভিমান জুড়ে মুখ ভার করে বলল,
‘ আপনার আমার সাথে হাঁটতে খুব বেশি লজ্জা লাগছে? তাহলে আপনি আগে যান আমি দুরত্ব রেখে পিছুপিছু আসছি।’
কথাটা যুৎসই মনে হলো না আষাঢ়ের। গম্ভীর কন্ঠে বলল,
‘ পিছন পিছন হাঁটতে হবেনা। পাশাপাশি থাকো।’
কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হলো দুজন। মূল সড়ক পাড় হয়ে অপরপাশ হতে রিকশা নিয়ে কলেজে যেতে হবে। এমনিতেই রাস্তা পাড় হতে ভীষণ ভয় পায় চাঁদ। তারউপর আবার ব্যস্ত শহরের বে/পরোয়া গাড়ি চলাচল। পা জোড়া অসাড় করে, দাঁড়িয়ে রইল চাঁদ। চোখেমুখে খানিক আতঙ্ক।
পিছন ফিরে তাকাল আষাঢ়। চাঁদের চোখমুখ ভী/তি দেখে দু’ কদম পিছিয়ে এলো। চাঁদের নরম হাত নিজের হাতের মুঠোয় গুজে সামনের দিক পা বাড়ালো।
খানিক চমকাল, দৃষ্টি উঁচিয়ে নিগূঢ় চাহনিতে তাকালো চাঁদ। কড়া রোদের ঝলকানিতে আষাঢ়ের কপালের বিন্দুবিন্দু ঘাম চিকচিক করছে। নিঃসন্দেহে বলিষ্ঠ শরীরের একজন সুদর্শন পুরুষ। যেন কোন রাজপুত্র। কাজের ফাঁকে কারখানা থেকে এসেছে। চেহারায় ক্লান্তি ভেসে, তবু্ও কোন অভিযোগ নেই। এক মুহূর্তের জন্য চাঁদের মনে হলো। এই মানুষটা রোদে পুড়ে, কারখানার গরমে খাটনি খাটার জন্য নয়। এসির বাতাসে বসে হুকুম করা, দামি গাড়িতে চলাচল করার জন্য। জীবনে অনেক কিছু প্রাপ্য। অথচ ভাগ্যের হেরফেরের কারণে আজ এমন দশা। এতে অবশ্য চাঁদের আফসোস নেই। সবচেয়ে সুদর্শন, ব্যক্তিত্ববান, দায়িত্বশীল পুরুষ মানুষটা তার স্বামী। হয়তো তাদের সম্পর্কে প্রেম, ভালোবাসা নেই! কিন্তু চাঁদের একার ভালোবাসা যথেষ্ট দুজনের। তার দৃঢ় বিশ্বাস, একদিন সময় বদলাবে। সকল দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে তাকে অগাধ ভালোবাসে আষাঢ়।

চলবে…..

( ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। অনেক দিন পর গল্প দিচ্ছি পেজের রিচ কম। গল্প পৌঁছালে রেসপন্স করবেন)

টাইপোগ্রাফি করেছে Afsana mimi আপু❤️🌺

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here