প্রীতিলতা আসবে বলে(পর্ব ১০)

0
574

প্রীতিলতা আসবে বলে
লেখিকা :আফরিন ইসলাম
পার্ট :১০

প্রীতি ভার্সিটি থেকে বাসায় চলে এসেছে ৷শরীর এখনো কালো রং এ ভর্তি ৷ রাস্তা দিয়ে আসার সময় অনেকেই তাকে দেখে হাসছিল ৷প্রীতি বাসায় এসে দেখলো ছেলে মেয়ে দুটো ঘুমিয়ে আছে ৷প্রীতি ওদের কপালে চুমু দিল ৷তারপর ফ্রেশ হতে চলে গেল ৷

প্রীতি ফ্রেশ হয়ে এসে দেখলো ওরা এখনো ঘুমাচ্ছে ৷ গায়ের রং গুলো উঠাতে বেশ সময় লেগেছে ৷প্রীতি মাথা মুছে ছেলে মেয়েদের কাছে গেল ৷তারপর আদুরে গলায় ডাকতে লাগলো

বাবাই ওঠো ৷আমার মা তাড়াতাড়ি ওঠো ৷খাবার খেতে হবে তো সোনা ৷

প্রীতির আদুরে গলায় ছেলে মেয়ে দুটো চোখ খুলে তাকালো ৷প্রীতি মুচকি হেসে বলল

তাড়াতাড়ি ওঠো ৷ এখন খেয়ে নেবে ৷আর দেরি করা যাবে না ৷প্রীতি খাবার নিয়ে আসার জন্য যাবে ৷এমন সময় পেছন থেকে মেয়েটা বলল

আমরা তোমার কাছে থাকবো না ৷আমরা আব্বু আম্মুর কাছে যাবো ৷আমাদের বাসায় দিয়ে আসো ৷প্রীতি মেয়েটার কথায় কোনো জবাবা দিল না ৷আবারো হাটা দিল কিচেনের দিকে ৷

ঘড়ির কাটায় রাত নয়টা ৷প্রীতির বাড়ীটা বেশ নিরিবিলি ৷একাই এই বাড়ীটাতে থাকে ৷বাড়ীটা কেমন যেন একটা নিস্বব্ধ ভাব নিয়ে থাকে সব সময় ৷প্রীতির কাছে ছেলে মেয়ে দুটো আসতে চায় না ৷প্রীতিও ওদের খুব একটা জোর করে না ৷জোর করে আটঁকে রেখেছে ওদের ৷এটাই তো অনেক ৷বারান্দায় বসে সিগারেটের ধোয়া শূন্য উড়িয়ে দেয় প্রীতিলতা ৷চোখের পানিতে গাল গলা ভিজে গেছে ৷ পাচঁ ছয়টা সিগারেট শেষ ৷একটার পর একটা খাচ্ছে ৷আজকাল নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে করে ওর ৷ভালো লাগে না আর এই জীবন ৷মরনটাই যেন তার এক মাত্র বন্ধু ৷জীবনের কোনো মানে এখন আর খুজে পায় না ৷পাবে কি করে নিজের ভাইয়ের কাছে চাইলেই যেতে পারে না ৷চাইলেই সন্তানতুল্য ঐ ছেলে মেয়ে দুটোকে বুকে জড়াতে পারে না ৷চাইলেই ভালোবাসার মানুষটাকে নিজের আসল পরিচয় দিতে পারে না ৷চৌদ্দ বছর ধরে অভিনয় করে আসছে ৷আর যেন পারছে না সে ৷এই তো সে কাদঁছে ৷কিন্তু কেউ তার চোখের পানি মুছে দেওয়ার নেই ৷আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ে সে ৷নিজেকে আজ কাল জোকার মনে হয় প্রীতি ৷যার এক এক সময় এক একটা রুপে অভিনয় করতে হয় ৷

আকাশের দিকে তাকিয়ে নিরবে চোখের পানি ফেলছিল প্রীতি৷ হঠাৎ নিজের গালে নরম একটা স্পর্শ পেল সে ৷ পাশে তাকিয়ে দেখলো ছেলেটা দাড়িয়ে আছে ৷কত মায়া এই ছোট মুখটাতে ৷ ছোট ছেলেটা তার অস্পষ্ট ভাষায় বলল

তুমি কাদঁতো কেন পতা আন্তি ৷তুমি সিগালেল খাও ৷এতা তো পতা লোকেলা খায় ৷এতা খেলে মানুত তালাতালি মলে যায় আন্তি ৷তুমি এতা খেও না ৷

কেন যেন এই ছোট ছেলেটার কথায় প্রীতি হিচঁকি দিয়ে কেদেঁ উঠলো ৷ বড্ড কষ্ট হচ্ছে ৷এই ছেলে মেয়ের মধ্যে এত মায়া কেন প্রীতি জানে না ৷ওদের তো সে কাছে টানতে চায় না ৷তাহলে কেন ওর এই পাপে ভরা জীবনে ওরা জরিয়ে যাচ্ছে ৷

ছোট ছেলেটা প্রীতির মাথায় নিজের ছোট নরম হাতটা বুলিয়ে দিতে দিতে বলল আন্তি তুমি তো আমাদেল ধলে এনেতো ৷তুমি তো খালাপ মানুত ৷খালাপ মানুতরা এভাবে কাদেঁ ৷আল তুমি আমাদেল না মেলে ৷এভাবে আদল কেন কলছো ৷

প্রীতি কাদঁতে কাদঁতে বলল এই রকম ছোট ছোট মা বাবাকে কেউ মারে নাকি বাবাই ৷

আমাদের একদম ছোট বলবে না ৷ আমরা অনেক বড় ৷প্রীতি পাশে তাকিয়ে দেখলো ছোট মেয়েটা কোমরে হাত দিয়ে কথা গুলো বলছে ৷প্রীতি চোখের পানি মুছে বলল

আমি তো ভুলেই গিয়ে ছিলাম তোমরা অনেক বড় ৷দাড়াও দেখাচ্ছি মজা ৷প্রীতি ছেলে মেয়ে দুটোকে কাতুকুতু দিতে লাগলো ৷আর ছেলে মেয়ে দুটো হাসতে হাসতে ফ্লোরে গড়াগড়ি খাচ্ছে ৷প্রীতির প্রানহীন গৃহে আজ হাসির জোয়ার ৷প্রীতিও হাসছে ৷

রাত গভীর ৷প্রীতি নিজের বাড়ী থেকে বের হয়ে গেল ৷ছেলে মেয়ে দুটো ঘুমিয়ে গেছে ৷ প্রীতি বাসার বাইরে এসে নিজের বাইক স্টার্ট দিল ৷তারপর এগিয়ে চলল নিজের গন্তব্যে ৷অনেকক্ষন পরে একটা বিশাল বড় বাড়ীর সামনে প্রীতি বাইকটা থামায় ৷বাড়ীটার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকে সে ৷হ্যা এই বাড়ীতেই তো তার বউ হয়ে আসার কথা ছিল ৷ কিন্তু তা আর হলো না ৷এখানেই তার স্বপ্ন মানবের বাস ৷প্রীতি দেওয়াল টপকে বাড়ীর ভেতরে ঢুকে গেল ৷প্রীতি খুব সাবধানে দুই তলায় উঠে গেল ৷তারপর একটা ঘরে প্রবেশ করলো ৷ঘরের মধ্যে কোনো আলো নেই ৷তবে চাদেঁর আলোয় বিছানায় ঘুমিয়ে থাকা যুবকটাকে দেখা যাচ্ছে ৷কত নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছে সে ৷কিন্তু তার জন্য এখনো যে কেউ রাত জাগে ৷সেই খবর কি এই স্বপ্ন পুরুষ জানে ৷প্রীতি ছেলেটার পাশে যেয়ে বসলো ৷তারপর কপালে পরে থাকা চুল গুলো সরিয়ে দিল ৷কত শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে আছে ৷আর কখনো কি তাকে এভাবে দেখা হবে ৷তা প্রীতি জানে না ৷বলা তো যায় না কখন ওপারে যাওয়ার সময় চলে আসে ৷আচ্ছা শরীরের রং বদলে গেলেই কি মানুষ বদলে যায় ৷হয়তো তাই হবে ৷ তা না হলে তার সূর্য সেন কেন তাকে চিন্তে পারছে না ৷এভাবে ভুলে যাওয়ার তো কথা ছিল না ৷সে কি একবারও তার প্রীতিলতাকে চিনতে পারে নি ৷সে তো নিজের কাজে সব সময় প্রমান দিয়ে চলেছে মানুষটার কাছে ৷কিন্তু তবুও এই মানুষটা কেন তাকে চিনতে পকরছে না ৷প্রীতি নির্ঝর নামক তার স্বপ্ন পুরুষের কপালে একটা চুমু দিল ৷

ঘুমের মাঝে নিজের পাশে কারো উপস্থিতি বুঝতে পেরেই নির্ঝর চোখ খুলল ৷আর খপ করে প্রীতির হাত ধরে ফেলল ৷নির্ঝরের হঠাৎ জেগে যাওয়ার প্রীতি কেপেঁ উঠলো ৷প্রীতি নির্ঝরকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল ৷প্রীতি বেশি দূর যেতে পারলো না ৷তার আগেই নির্ঝর তাকে ধরে ফেলল ৷তারপর বলল

কে আপনি ৷এত রাতে আমার ঘরে কি করছেন ৷ আপনি এর আগেও আমার ঘরে এসে ছিলেন ৷ কিছু দিন আগেও আপনি এসে ছিলেন ৷কিন্তু আমি আপনাকে ধরার আগেই চলে গেছেন৷কেন আসেন এখানে আপনি ৷

প্রীতি জবাব দিল না ৷এখানে বেশিক্ষন থাকলে সে ধরা পরে যাবে ৷তাই উপায় না পেয়ে আজও নির্ঝরের মুখে চেতনা নাশক স্প্রেটা স্প্রে করে দিল৷

চলবে….

প্রীতিলতা আসবে বলে
লেখিকা :আফরিন ইসলাম
বোনাস পার্ট

প্রীতি নির্ঝরকে ধরে বিছানায় শুইয়ে দিল ৷তারপর কিছুক্ষন নির্ঝরের দিকে তাকিয়ে থাকলো ৷ নির্ঝরের দুই চোখে চুমু দিল প্রীতি ৷নির্ঝরের গায়ে একটা চাদর দিয়ে ঢেকে দিল ৷তারপর আবারো বেরিয়ে গেল ৷

চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার ৷কোথাও জন মানবের চিহ্ন নেই ৷প্রীতি নিজের মুখ থেকে মাস্কটা খুলল ৷তারপর পেছনের পকেট থেকে একটা ফোন বের করলো ৷মোবাইলটা অন করলো প্রীতি ৷তারপর একটা নাম্বারে কল করলো ৷

কিছুক্ষন বাজার পর প্রীতির কল ওপাশ থেকে রিসিভ হলো ৷ওপাশ থেকে একটা চিরচেনা কন্ঠ প্রীতির কানে ভেসে আসছে ৷ আজ কত দিন পর এই কন্ঠটা সে শুনছে ৷ফোনের ওপাশ থেকে আবেশ কথা বলে যাচ্ছে ৷কিন্তু প্রীতি কথা বলছে না ৷অবশেষে আবেশ কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে বলল

এত রাতে ফোন করে মানুষকে কেন জালাচ্ছেন ৷যত্তসব ৷আবেশ ফোন রাখতেই যাবে ৷এমন সময় একটা কথা শুনে সে থমকে গেল ৷

নিজের সন্তানদের চাই আবেশ চৌধুরী প্রীতি বলল ৷

আবেশ কাপাঁ স্বরে বলল আপনি কে ৷প্লিজ আমার ছেলে মেয়েদের ফিরিয়ে দিন ৷আমার স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি ৷ওরা ছাড়া আমার কেউ নেই ৷দয়া করে ওদের কোনো ক্ষতি করবেন না৷ আপনার কত টাকা লাগবে আমাকে বলুন ৷কিন্তু তবুও আমার ছেলে মেয়ের কিছু করবেন না ৷আমি আপনার পায়ে পড়ি বোন ৷দয়া করুন ৷আবেশ কথাটা বলেই কাদঁতে লাগলো ৷

প্রীতির বুকটা ফেটে যাচ্ছে ৷ প্রীতি নিজের কন্ঠে অতি কষ্টে রাগ ফুটিয়ে বলল

আপনি অতিরিক্ত কথা বলেন ৷আমি কি আপনার কাছে টাকা চেয়েছি ৷আপনার টাকা আমার দরকার নেই ৷আপনার স্ত্রী কেমন আছে আগে সেটা বলুন ৷

আমার নিরুপমা ভালো নেই ৷কাল থেকে কিছুই খায় নি ৷ঘুমায় ও না ৷পাগলের মতো করছে ৷নিরুপমার কিছু হলে আমি মরে যাবো ৷একটু দয়া করুন ৷

আপনার স্ত্রীর কাছে কি ফোনটা দেওয়া যাবে ৷

হ্যা ৷

তাহলে তাকে ফোনটা দিন ৷ফোনটা দিয়ে বলুন তার সন্তানকে যে কিডন্যাপ করেছে ৷সে কল করেছে ৷

আবেশ দৌড়ে নিরুপমার কাছে গেল ৷সে বালিশে ফুপিয়ে কাদঁছে ৷আবেশ স্ত্রীর কাছে যেয়ে বলল

নিরু কথা বলো ৷

আমি কারো সাথে কথা বলবো না ৷আমাকে আমার ছেলে মেয়ে এনে দাও আবেশ ৷ওরা কোথায় আছে আমি জানি না ৷আর তুমি নাটক করছো আমার সাথে ৷নিরুপমা চিৎকার করে কথা গুলো বলল ৷

একটু শান্ত হও নিরু ৷ যে কিডন্যাপ করেছে ৷ সেই কল করেছে ৷তোমার সাথে নাকি তার কথা আছে ৷ একটু কথা বলো লক্ষী ৷

নিরুপমা স্বামীর হাত থেকে খাবলে ফোনটা নিয়ে নিল ৷তারপর বলল

আমার ছেলে মেয়েকে কেন নিয়ে গেলে ৷আমি তো কারো ক্ষতি করি নি ৷আমার কোলটা খালি করো না ৷আমি আমার বাচ্চাদের ফেরত চাই ৷আমাকে ভিক্ষা দাও সন্তান ৷নিরুপমা কাদঁতে লাগলো ৷

একটা শর্তে দিতে পারি ৷

কি শর্ত বলো ৷আমি রাজি ৷যা বলবে সব করবো ৷দরকার হলে আমাকে মেরে ফেলে দাও ৷কিন্তু ওদের ছেড়ে দাও৷

কে বলেছে আমি ওদের মারবো ৷দরকার হলে নিজের জীবনটাই দিয়ে দেব আমি ৷তাও ওদের কিছু হতে দেব না ৷আর আপনাকে এখন থেকে ঠিক করে খেতে হবে ৷নিজের যত্ন নিতে হবে ৷ তবেই ওদের দেব আমি ৷

আমি এখনই খাবার খাবো ৷শুধু আমার মানিকদের ফেরত দাও ৷

দু দিন পর ফেরত পাবেন ৷আর একটা কথা ৷ওদের ফেরত পাবার পর দূরে কোথাও পাঠিয়ে দিবেন ৷এখানে ওদের জীবনের ঝুকি আছে ৷আপনার আত্মীয়ের মধ্যে কেউ ওদের খুন করতে চায় ৷নামটা আপনাদের এখন বলতে পারবো না ৷আর হ্যা আমি যে কল করেছি ৷এই ব্যাপারে কাঊকে কিছু বলবেন না ৷যদি বলেন তাহলে ছেলে মেয়ের আশা ছেড়ে দিন ৷এই জীবনে আর ওদের মুখ দেখবেন না ৷

তুমি যেমনটা বলেছ ৷আমরা ঠিক তেমন টাই করবো ৷কিন্তু ওদের ফিরিয়ে দাও ৷ আর আমার ছেলে মেয়েকে কেউ কেন মারতে চাইবে ৷

ওটা এখন বলা যাবে না ৷ সময় হলেই জানতে পারবেন ৷ ওদের নিয়ে একদম চিন্তা করবেন না ৷ওরা ঠিক আছে ৷একটু পর ওদের ছবি পাঠিয়ে দেব ৷দেখে নিবেন ৷এবার আমি ফোন রাখি দুষ্টু ছেলের বউ ৷

নিরুপমার কান্না হঠাৎ করেই থেমে গেল ৷ফোনের স্পিকার অন থাকায় আবেশেও এমন কথায় চমকে উঠলো ৷এই নাম ধরে প্রীতি ডাকতো নিরুপমাকে ৷তাও সবার সামনে না ৷প্রীতি কেবল আবেশের সামনেই তাকে দুষ্টু ছেলের বউ বলে ডাকতো ৷

প্রীতিলতা হাসছে ৷হাসতে হাসতে বলল কি চৌদ্দ বছর পর ডাকলাম এই নামে তোমাকে তাই না ৷

নিরুপমা শুধু বলল প্রীতিলতা ৷

প্রীতি জবাব দিল না ৷নিজের কন্ঠ স্বাভাবিক করে বলল রাখি ভালো থেকো ৷বেচেঁ থাকলে দেখা হবে ৷

আবেশ ফোনটা কানে নিল ৷আর চিৎকার করে প্রীতির নাম ধরে ডাকতে লাগলো ৷কিন্তু ততক্ষনে প্রীতি কল কেটে দিয়েছে ৷আবেশের ফোনে হঠাৎ মেসেজ আসার শব্দ এলো ৷আবেশ দেখলো তার ছেলে মেয়ের ছবি পাঠিয়েছে ৷তাদের হাসিমাখা মুখের ছবি ৷নিরুপামা আর আবেশ একে ওপরকে জরিয়ে কাদঁতে লাগলো ৷তাদের ছেলে মেয়ে ঠিক আছে ৷যেখানেই আছে ভালো আছে ৷এর থেকে আর কি চাই ৷

সকালের সোনালী রোদ নির্ঝরের চোখে পড়তেই তার ঘুম ভেঙ্গে গেল ৷মাথাটা এখনো ভার হয়ে আছে ৷কাল রাতেও মেয়েটা তাকে অঙ্গান করে পালিয়েছে ৷এখন থেকে সাবধানে থাকতে হবে ৷আবার আসুক সে ৷তখন নির্ঝরও তাকে বোঝাবে কত ধানে কত চাল ৷নির্ঝর ঝাড়া মেরে চাদরটা সরিয়ে দিল তারপর ওয়াসরুমে চলে গেল ৷

নির্ঝর দাতঁ ব্রাশ করতে করতে আয়নায় নিজের চেহারা দেখে থমকে গেল ৷একি তার চোখে ,কপালে ঐ ফাজিল মেয়েটা চুমু খেয়েছে ৷আবার লিপস্টিকের দাগও রেখে গেছে ৷একদম লাল টকটকে রং ৷হাতের কাছে পেলে দেবে এক চড় ৷বেয়াদব মেয়ে একটা ৷

অপরদিকে প্রীতি বাচ্চাদের খাইয়ে দিল ৷তারপর নিজে রেডি হতে বসলো ৷ আজ সে ছদ্দবেশ ধারন করবে ৷আজ প্রীতি পুরুষের ছদ্দবেশ ধারন করলো ৷তাকে তার পরবর্তী শিকারের জন্য বের হতে হবে ৷বাচ্চা দুটো তার দিকে তাকিয়ে আছে ৷প্রীতি ওদের দিকে তাকিয়ে হাসলো ৷তারপর ওদের চুমু দিয়ে বেড়িয়ে গেল ৷

প্রীতি ছদ্দ বেশে একজন বৃদ্ধ সেজেছে ৷কেউ বলবেই না সে কোনো মেয়ে ৷প্রীতি একটা রিকশা নিয়ে নিজের গন্তব্যে বেড়িয়ে গেল ৷তার এবারের লক্ষ্য ডঃ শাকিল ৷প্রীতি রিকশা করে একটা বিরাট হাসপাতালের কাছে এলো ৷তারপর রিকশা থেকে নেমে খুড়িয়ে হাটতে লাগলো ৷ হাসপাতালের ভেতর যেয়ে প্রীতি ডঃ শাকিলের খোজ করলো ৷

প্রীতি চেয়ারে বসে আছে ৷একটু পরেই ডঃ শাকিল আসবে ৷প্রীতির মাথায় ঘুড়ছে ভয়ংকর কিছু ৷একেও সে ছাড়বে না ৷যেই লোকটা তার মাকে তারই সামনে দুই বার ধর্ষন করেছে ৷তাকে সে কি করে ছেড়ে দেবে ৷

প্রায় একঘন্টা পর ডঃ শাকিল এলো ৷কয়েক জনের পর প্রীতির সিরিয়াল ৷সেও আজ শাকিলের কাছ থেকে চিকিৎসা নেবে ৷একটু পরে প্রীতির ডাক পড়লো ৷প্রীতি ভেতরে ঢুকে গেল ৷

(খুব তাড়াতাড়ি এই গল্পের প্রথম সিজন শেষ হবে….এবং রহস্যে অর্ধেকটা সিজন টু তে বলা হবে…..আর অনেকেই বলে ছিলেন আমি কেন কাল গল্প দেই নি…..আজকে আবার ছোট করে পার্ট ১০ দিয়েছি ৷গত পরশু একজনকে ব্লাড দিয়ে আসার পর ….শরীরটা অনেক খারাপ হয়ে গিয়ে ছিল ….শরীরে জ্বর ছিল কাল…..আজ একটু ভালো আছে আপনাদের দোয়ায় ….যারা অপেক্ষা করেছেন কাল গল্পের জন্য ….তাদের কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থী ……কাল নতুন পর্ব দেব ……চার পাচ দিনের মধ্যেই সিজন ওয়ান শেষ হবে….😊😊😊😊)

চলবে …..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here