না_চাওয়া_পূর্ণতা পর্ব : ০৯

0
2015

#না_চাওয়া_পূর্ণতা ?
লেখক : সানজিতা আক্তার মীম
পর্ব : ০৯

অন্তুর ডাকে বাস্তপর্ববে ফিরলো সায়ন। তারপর বসে পরলো অন্তুকে কোলে নিয়েই।
অন্তু : বাবাই তোমাকে মাম্মাম নাস্তা করতে ডেকেছে। চলো।
সায়ন : ওকে তুমি যেয়ে বসো আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।
অন্তু : ওকে বাবাই।

সায়ন উঠে ওয়াশরুমে চলে গেল ফ্রেশ হতে আর অন্তু ডাইনিং এ। অন্তুকে একা দেখে তনু জিজ্ঞেস করলো সায়ন কই।অন্তু কিছু বলার আগেই সায়ন চলে এসেছে।

সায়ন : ওয়াশরুমে ছিলাম মেরি জান। ( চেয়ারে বসতে বসতে)
অন্তু : বাবাই আজ তুমি আমাকে খাইয়ে দিবা? ( সায়ন এর সামনে দারিয়ে।
তনু : তুমি নিজে খেতে পারো তাহলে বাবাইকে কেন বলছো। একা একা খাও। ( চোখ রাঙিয়ে)
সায়ন : মেরি জান তুমি এতো কথা বলো কেন। আমি আমার প্রিন্সেস কে খাইয়ে দিবো। তুমি চাইলে তোমাকেও খাইয়ে দিতে পারি ( চোখ মেরে দিল তনুকে)

তনু রাগে গজগজ করতে করতে খেতে লাগলো। আর সায়ন অন্তুকে খাইয়ে দিতে লাগলো আর অন্তু সায়নকে। এই দৃশ্য দেখে তনু রাগ বাদ দিয়ে ওদের দেখতে লাগলো মুগ্ধ হয়ে।
তনু 🙁 এমনটাই তো চেয়েছিলাম আমি। সবসময় এমনভাবে বাঁচব মেয়েকে নিয়ে সায়নকে নিয়ে। কিন্তু সব চাওয়া পূর্নতা পায় না।) মনে মনে এসব ভেবে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল।

নাস্তা শেষ করে সায়ন আর অন্তু খেলা করতে লাগলো। এমন সময় সায়নের ফোনে কল আসলো। সায়ন বিরক্ত হয়ে কল রিসিভ করলো।

সায়ন : ফালতু কোনো কথা না বলে কেন কল করেছো সেটা বলো। ( বিরক্তির সাথে)
তাহা : বেবি তুমি এভাবে কথা বলো কেন সবসময়। আমি তোমাকে কতো ভালোবাসি তুমি কেন তা বুঝো না ( ঢং করে করে)
সায়ন : আর কল দিবা না আমাকে। ( রেগে কল কেটে দিল)
অন্তু : বাবাই কাকে বকা দিলা?
সায়ন : এক চুরেল কে।
অন্তু : চুরেল তোমাকে কল কেন দিল?
সায়ন : ডিস্টার্ব করতে। আমার প্রিন্সেস এর সাথে খেলার সময় কেও কল দিলে তাকে এই ভাবে বকে দিবো।
অন্তু : love you বাবাই। ( বলে সায়নকে জড়িয়ে ধরলো)

সায়ন আর অন্তুর খেলার মাঝে তনু এসে বকতে লাগলো ২ জনকেই।

তনু : কয়টা বাজে, হ্যাঁ?
সায়ন : দেখলা মামনি তোমার মাম্মাম টাইম ও দেখতে জানে না। কিভাবে যে কলেজের লেকচারার হলো বুঝি না। ( তনুর লেগ পুল করে)
তনু : তোমার বেশি কথা ছুটাচ্ছি ওয়েট। ( বলে কিচেনে চলে গেল আবার)

অন্তু সায়ন এর কানে কানে বলতে লাগলো,,,
অন্তু : বাবাই তুমি না একটু আগে বললা কেউ ডিস্টার্ব করলে বকুনি দিবা এখন মাম্মাম কে ও বকে দেও।
সায়ন : তোমার মাম্মাম কে বকুনি দিতে গেলে চাকরি থাকবে না। ভিষণ রেগে গেছে। আমি তো ভাবছি কোথায় লুকাবো। চলো ওয়াশরুম গিয়ে লুকাই।
অন্তু : বাবাই তুমি মাম্মাম কে ভয় পাও।
সায়ন : নাহ তো। ( বউ রে কে না ভয় পায়। আমার যে বউ, আমি তো আরও বেশি ভয় পাই। আল্লাহ আজকের জন্য বাচাইয়া দিও)

এসব ভাবনার মাঝে তনু হাতে খুন্তি নিয়ে হাজির। সায়ন এর দিকে তেরে যেতে নিলে সায়ন অন্তুকে নিয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল। তনু বাইরে বসে চিল্লাচ্ছে।

তনু : বাইরে তো আসতেই হবে। তখন কই পালাও দেখে নিব। ওয়াশরুমে যেহেতু আছো দুজনেই গোসল সেরে নিও। ( বলে তনু চলে গেল নিজের কাজ করতে)

সায়নও তনুর কথা মতো অন্তুকে গোসল করালো নিজেও করলো।

এদিকে নুহাশ কল করেছে তনুকে। তনু ভাবছে ভাইকে বলবে কি না সায়ন এর কথা।

নুহাশ : কিরে কথা বলছিস না কেন? কি এতো ভাবছিস, কিছু হয়েছে? কোনো কিছু লাগবে?
তনু : না ভাইয়া কিছু না। এমনি। বাবা মার কি অবস্থা? তুমি বিয়ে করছো না কেন বলো তো। বাবা মায়ের তো এখন কাউকে দরকার তাই না।
নুহাশ : তুই এইসব বলা কবে বন্ধ করবি বল তো? ( রেগে)
তনু : তুমি যে দিন বিয়ে করে ফেলবা ওই দিন থেকে আর বলবো না। হি হি
নুহাশ : তা আমার প্রিন্সেস কই। কোনো শব্দ পাচ্ছি না যে!!
তনু : ও,, ও আসলে,, গোসল করে।
নুহাশ : ওকে তাহলে পরে কল করে কথা বলবো নে। রাখছি।
তনু : ওকে।

নুহাশ তনুর সাথে কথা বলা শেষ করে অফিস থেকে বের হচ্ছিলো এমন সময় একটা মেয়ে হতোদন্ত হয়ে অফিসে ঢুকতে যেয়ে নুহাশ এর সাথে ধাক্কা লেগে পরে যেতে নিলে নুহাশ মেয়েটাকে ধরে নিজের দিকে টেনে নিল। নুহাশতো মেয়েটিকে দেখে নিজের চোখ ফেরাতে পারছে না। মেয়েটির চোখে যেন অদ্ভুত মায়া দেখতে পাচ্ছে নুহাশ। মেয়েটির কথায় নুহাশ এর হুশ ফিরলো।

মেয়ে : sorry , আসলে তাড়াতাড়ি করতে যেয়ে এমনটা হয়েছে।
নুহাশ : It’s ok. I am Nuhas Chowdhury.Nice to meet you. ( হাত বারিয়ে দিয়ে)
তাহা : I am Taha Mahmud. Nice to meet you too.( নুহাশের সাথে হাত মিলিয়ে) আসি। ( বলে চলে গেল)

নুহাশ তাহার যাওয়ার দিকে চেয়ে রইলো। তারপর গাড়িতে উঠে বাসায় চলে এলো।

#চলবে

[ কাল গল্প দেই নি তাই দুঃখিত। আর যারা বলেন যে বড় করে লিখতে তাদের জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করি বড় করে লিখার কিন্তু বুঝেনই তো বাংলা টাইপ করতে কতোটা কষ্ট হয় আর সময় ও লাগে। আমার বাসায় কম্পিউটার নাই তাই বেশি বড় করে দিতে পারি না। ??তাই এ নিয়ে রাগ হবেন না প্লিজ। ধন্যবাদ আমার গল্প পড়ার জন্য। আশা করি সবাই ভালো থাকবেন। আমার জন্যও দোয়া করেন। আল্লাহ হাফেজ। ??]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here