#দেবী
লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি(ছদ্মনাম)
কপি করা সম্পুর্ণ নিষেধ।
১২ঃ
_______________
সিরাজী মঞ্জিলের ফাকা মাঠে হলুদের জন্য রুহুল কে বসানো হয়েছে। সবাই রুহুল কে হলুদ দেওয়া শুরু করলো। বাড়ির বড় সদস্য হিসেবে দুলাল সিরাজী সবার আগে দিলো তারপর একে একে বাকিরাও দিলো। রোকেয়ার আর আলেয়ার স্বামী রুহুল এর দুপাশে বসেছে। শ্যালক এবং শালিকাদের সাথে ইয়ার্কি করছে। সাথে জোট বেধেছে বকুল। তবে বকুলের মন অন্য জায়গায়।
শাড়ি পরিহিত সামিয়া কে আজ কিশোরী নয় বরং পরিপূর্ণ নারী মনে হচ্ছে বকুলের। একজন পুরুষের মনে যখন কোনো নারীর প্রতি ভালো লাগা জন্মে আর সেই নারী যখন সুসজ্জিত হয়ে পুরুষের সামনে থাকে তখন পুরুষের নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা বড় দায়।
বকুল দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ করে রুহুলের কাধে হাত রাখলো। বকুল বললো,” বন্ধু রুহুল তুইও বিয়ে করছিস,,বাকিরাও বিয়ে করে ফেলেছে শুধু আমি কি শরৎচন্দ্রের দেবদাস হয়ে থাকবো নাকি রে”?
রুহুল বকুলের পানে চেয়ে বললো,”কেনো তোর আবার কি হলো। তোর শখ হলে তুই ও বিয়ে কর তোকে দেবদাস থাকতে বলেছে কে শুনি?”
(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
রুহুল মুখ গোমড়া করে বললো,”তোর এই কথার জন্যই আরো বেশি মনে হচ্ছে যে আমাকে আজীবন দেবদাস হয়েই থাকতে হবে।”
রুহুল এবার আশ্চর্য হলো গামছা দিয়ে গায়ের হলুদ মুছতে মুছতে বললো,” কেন কি বললাম আমি”?
বকুল বললো, “কিছুই না গো দুলাভাইয়েরা আমার আমি এবার সত্যিই দেবদাস হবো ”
আলেয়ার স্বামী বকুলের কাধে হাত রেখে বললো,”আরে বকুল মিয়া এই খানে এত মাইয়া থাকতে তুমি দেবদাস হইবা কেন”?
রোকেয়ার স্বামীও তাতে তাল মেলালো “হ ঠিক ই তো আমার শালিরা সহ আরো কত মাইয়া আছে।এরা থাকতেও তুমি দেবদাস হইতে চাও”?
বকুল এবার অন্যদিকে ঘুরে নিম্নস্বরে বললো,” হুম,, কাউকে লাগবে না তবে আপনার একটা শা’লিকে আমার বউ করার সখ জাগছে।”
রুহুল বকুলের কথায় ক্ষেপে উঠলো বললো, “খবরদার,, আমার বোনদের প্রতি কু নজর দিলে খুন করে ফেলবো তরে সা*লা *********”
বকুল বন্ধুর হাত ধরলো বিনয়ের সুরে বললো,”চ্যাতস কেন, আর সা’লা তো তুই আমার হবি আর আমি তো তোর বোনের দিকে নজর দিছি বোনদের দিকে না। সিরাজী বংশের জামাই হওয়ার জন্য কি আমি অযোগ্য নাকি?”
রুহুল ভ্রকুচকে তাকালো বকুলের দিকে তারপর বলল,” তুই কি বলতে চাইছিস পরিষ্কার করে বল?”
বকুল হাত টা আরো শক্ত করে ধরলো তারপর বললো,”তুই আমার বন্ধু কম ভাই বেশি। তাই তোরে সত্যি কথাই বলছি আমি সামিয়া কে ভালোবাসি। বিয়ে করতে চাই ওরে ।যেহেতু তোর বাবা এখন স্বাভাবিক নয় তাই তোকেই আগে জানালাম। সুখে রাখবো সারাজীবন ওকে কথা দিচ্ছি। ওর হাত টা চাই তোর কাছে আমি।”
(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
বন্ধুর মুখে বোনের জন্য এমন প্রস্তাব শুনে নিরব হয়ে গেলো রুহুল। বকুল যে সত্যিই সিরজী বংশের জামাই হওয়ার যোগ্যতা রাখে। মুখে কিছু না বলে বকুলের হাতে হাত রাখলো কেবল।তারপর বললো,” তবে আমার বোনের সম্মতি সবার আগে মাথায় রাখিস।”
বকুল হেসে দিলো রুহুলের চাপা কথার ভাজে সে তার উত্তর পেয়ে গেলো। খুশিতে রুহুলকে জড়িয়ে ধরে বললো, “সে তুই চিন্তা করিস না,আমি মানিয়ে নিবো”।
রোকেয়ার স্বামী বললো,”তুমি যে রাস্তায় পা দিতাছো বৎশ কাটা দিয়া পুরা। আমারে যে জিনিস খাইয়াইছিলো ২দিন ভুগছিলাম।”
আলেয়ার স্বামী জোরে দম ফেলে বললো,” সে আর কইতে সাবধান বকুল সামিয়া কিন্তু কোনো যমরানির চেয়ে কম না।”
বকুল বাকা হেসে বললো, “বেশ আমিও দেখতে চাই সে কেমন যমরানি।” বলেই চোখ মেরে উঠে দাড়ালো বকুল আর হাতে নিলো বাটা হলুদ। সে এখন তার রানির কাছে যাবে।
___________________
সব মহিলারা একে অপরের গায়ে হলুদ দিচ্ছিলো।
হঠাৎ কেউ এসে সামিয়ার গালে হলুদ দিলো। সামিয়া ঘুরে দেখলো বকুল। বকুল কে দেখেই তার মেজাজ গরম হয়ে গেলো।
সামিয়া রাগান্বিত হয়ে বললো, “এই ব্যাডা এই লাজ সরম নাই। এই ভাবে কেউ মাইয়া মানুষরে হলুদ দেয়। আর একবার আমার পিছে দেখলে দাদাভাই রে কইয়া দিমু।”
বকুল না পরোয়া ভাব নিয়ে বললো,” যাও এখনি যাও। বলো গিয়ে বকুল তোমাকে হলুদ দিছে।”
(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
সামিয়া দাত কিড়মিড় করে বললো,” আপনি আসলেই অসভ্য,,বেহায়া পুরুষ।”
বকুল সামিয়ার দিকে ঝুকে বললো, “তোমার জন্যই অসভ্যতামি করতে হয়। কিন্তু বেহায়াপনা কিন্তু এখনো করি নাই।”
সামিয়া আবারো মুখ ভেচকিয়ে বললো,” করতে আর কি বাকি রাখছেন কালকেও তো” ,,, বলতে গিয়ে থেমে গেলো সামিয়ার নিজের কাছেই লজ্জা লাগলো।
বকুল মুচকি হেসে বললো, “থামলে কেন বলো কালকে ও আমি”।
সামিয়া লাজুক কন্ঠে বললো, “কিছু না বাপু আপনার নিজের কাজে যান। হুদাই আমাকে জালান কেন?”
বকুল দুইহাত বুকে গুজে বললো, “বেশ জালাবো না আর তবে এক শর্তে “।
সামিয়া সেকেন্ড দেরি না করে বললো,” কি শর্ত?”
বকুল বলল,” আমার জন্য খাবার এনে দাও না প্রচন্ড ক্ষিদে পেয়েছে। ”
সামিয়া মুখ ভেচকিয়ে বললো, “ঠ্যাকা পড়ে নাই ,, আমি কারো চাকরানি না।”
বকুল বললো,”চাকরানি হবে কেন স্বামীর হুকুম পালন করা সুন্নত। যাও নিয়ে আসো এখন। ”
সামিয়া অবাক হওয়া মুখ নিয়ে বললো, “স্বামী কে হ্যা কি যা তা কইতাছেন,,,মুখে যা আসে তাই কইবেন আপনে আর একবার ফালতু কথা কইলে খুন্তি পুড়া ছ্যাক দিমু।”
বকুল শয়তানি হাসি হেসে বললো, “কিহ,,,খুন্তি পোড়া ছ্যাক। এত বড় অপমান। খাইতে চাইছি দেখে এত বড় অপমান। এখনি দুলাল সিরাজী সাহেব কে বলবো ভাত খেতে চেয়েছি বলে সামিয়া আমায় অপমান করেছে।”
সামিয়া এবার ভয় পেলো।অতিথি কে খাওয়ার জন্য অপমান করা হয়েছে বলে জানলে তার রক্ষে নেই। তাই বললো,” না না কইয়েন না। আপনি দাড়ান আমি এইখানে নিয়ে আসতাছি।”
বকুল বললো, “না এইখানে না আমি আমার কক্ষে অপেক্ষা করছি। তুমি নিজে হাতে বেড়ে নিয়ে এসো কেমন।”
সামিয়া প্রায় ঝড়ের গতিতে দৌড়ে রন্ধনশালায় গেলো তারপর বকুলের জন্য ভাত বাড়লো। তরকারি দিবে ওমন সময় ওর মাথায় একটা শয়তানি বুদ্ধি এলো।সামিয়া দুষ্টু হেসে তরকারি তে রসুন বাটা আর গুড়া মরিচ দিলো। তারপর চামচ দিয়ে নেড়ে হাসতে হাসতে বকুলের উদ্দেশ্যে নিয়ে গেলো। বকুলের কক্ষের সামনে গিয়ে হাসি লুকিয়ে দড়জায় কড়া নাড়লো।
বকুল অনুমতি দিলো,” ভিতরে আসেন সামিয়া সিরাজী।”
সামিয় প্রবেশ করে বকুলের সম্মুখে ভাত নিয়ে গেলো তারপর মুচকি হেসে বললো, “নেন আপনার ভাত । আপনি চাইলেই খাইয়ে দিতে পারি। “( বললো)
বকুল যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি পেলো। কোনো কিছু না বলেই হা করলো। যেন একটা পুরো মানুষের মাথা খেয়ে ফেলতে পারবে।
(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
সামিয়া বকুলের কান্ড দেখে হাসলো। তারপর বেশি করে ঝোল দিয়ে ভাত মাখিয়ে এক বড় লোকমা ভাত বকুলের মুখে দিলো। তারপর হাত দিয়ে বকুলের মুখ চেপে রাখলো। বেচারা বকুল কিছুক্ষণ চিবিয়ে চোখ বড় বড় হয়ে গেলো।ভাত না গিলতে পারছে তার বের করতে পারছে।শেষে গিলেই ফেললো। সামিয়া হাসতে হাসতে বকুল এর বিছানায় বসে পড়লো।
বকুল ঝাল আর রসুনের ঝাজে অবস্থা নাজেহাল। সে জগে রাখা পানি ঢকঢক করে পান করতে শুরু করলো। পানি খাওয়া শেষে সে সামিয়ার ঝঙ্কার তোলা হাসি দেখে পাগল হয়ে গেলো। ঝালে অবস্থা নাজেহাল অথচ সে ভুলে গেলো।এত সুন্দর হাসি তার আগে দেখা হয় নি। হটাৎ দুজনের চোখাচোখি হওয়াতে সামিয়ার টনক নড়লো। বকুলের কক্ষ থেকে পালাতে হবে তাই সে বের হওয়ার উদ্দেশ্যে বের হবে এমন সময় বকুল সামিয়ার হাত ধরে নিজের কাছে নিয়ে এলো। তারপর বকুল বললো, “তুমি আমাকে বিষ খাইয়ে দিলে বিনা বাক্যে আমি গ্রহণ করবো।তবে ঝাল দেওয়ার জন্য শাস্তি পেতে হবে তোমাকে তবে আজ না,,–
❝আজকের শাস্তিটা তোলা থাক সেই দিনের কাছে, যেদিন আমার জায়গা হবে তোমার হৃদয়ের মাঝে।❞
সামিয়ার হাত ছেড়ে দিলো বকুল।সামিয়া বকুলের কথায় স্তব্ধ হয়ে গেলো। তার কিশোরী মনে কেমন যেন এক অনুভুতি হলো। সামিয়া দৌড়ে বকুলের কক্ষ ত্যাগ করলো। (লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
বকুল হাসতে হাসতে মাথা চুলকে সামিয়ার যাওয়ার পানে চেয়ে রইলো।
__________________
“বিয়ে” দুই বর্ণের এই শব্দ খুব ই ছোট। কিন্তু এর বিশালতা অনেক। হঠাৎ করেই এই বিশালতায় মানুষ কে হারিয়ে যেতে হয় । তবে কেউ কেউ হারাতে চায় না। কেউ কেউ চায় না এই সংসার নামক বেড়াজালে জড়াতে। কাকন ও তাদের ব্যতিক্রম নয়। কিশোরী বয়সে যেখানে মেয়েরা বিয়ের স্বপ্ন দেখে সেখানে সে নিতান্তই নিজের জগতে ডুবে ছিল। ওর খুব ইচ্ছে ছিল লেখাপড়া করে বাচ্চাদের পড়াবে। ও তো কেবল চেয়েছিল যারা ওর মতো পিতা-মাতা হীন তাদের কে নিয়ে নিজের সংসার গড়তে। সেদিনের জঙ্গলের কথা মনে পড়ে কাকনের তীব্র ক্রোধ জন্মালো ওই লোক গুলোর প্রতি যাদের জন্য ওর সব সাজানো স্বপ্ন ভেস্তে গেলো। মনের ভিতর অস্থিরতা বিরাজ করছে কি থেকে কি হয়ে গেলো। ও তো কখনোই সিরাজী বাড়ির বউ হতে চাই নি। না ওর জীবনে সংসার করার কোনো লক্ষ্য ছিল। কাকন যে কোনো পরিবার চায় না।পরিবার যখন ছেড়ে চলে যায় এর চেয়ে বড় বেদনা দুনিয়ায় হয় না।কাছের মানুষকে ফিরে না পাওয়ার বেদনা দুনিয়ার সকল কস্ট কে হার মানায়। কাকন যদি সিরাজী মঞ্জিলের মানুষ দের আপন করে নেয় আর তারা যদি ছেড়ে চলে যায় কাকনের যে বড্ড কষ্ট হবে। বিছানা থেকে উঠে বসলো কাকন। গ্রীষ্মের চেয়ে চিন্তার দাপটে ঘেমে একাকার হয়ে গেছে কাকন। এক মনে ভাবছে সে কিছুতেই বিয়ে করবে না পালিয়ে যাবে এই সিরাজপুর থেকে। আবার ভাবছে তার তো কেউ নেই যাবে কোথায়। বিয়ে টা না করেও উপায় নেই। ফাতিমার কাছে বার বার না করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। কি করবে এখন কাকন। (মনে মনে ভাবতে লাগলো কাকন)হঠাৎ ফুল,নুপুর, রিতাসহ অন্যদের ডাকে চিন্তার জগৎ থেকে বাস্তবে ফিরে এলো। সেই যে সন্ধ্যায় হলুদের সব কিছু শেষে ইচ্ছে করে ঘরে এসেছিল কাকন আর বের হয়নি। ওরা সকলেই এসে কাকন কে ঘিরে ধরলো। সকলের হাসিমুখ দেখে কাকন ও মিথ্যে হাসি দিলো।
পাশে রাখা কাঠালের বড় পাতায় মেহেদী বেটে কাকনের কাছে দিয়েছিল ফুল। কাকন কে দিয়ে দিতে চাইলে বলেছিল সে নিজেই দিবে। অথচ ওমনি ফেলে রেখেছে। (লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
রিতা মেহেদি দেখেই বললো,” কি রে কাকন তুই এখোনও মেন্দি দেস নাই কেন। ফাতিমা আপারে কি ডাকমু সে কিন্তু এমনি তেই কাম কইরা ক্ষেইপা আছে।আপারে যাইয়া কই যে যার বিয়া সে এখনো মেন্দি দেয় নাই। ”
কাকন অপরাধীর ন্যায় বললো, “না তুমি দয়া করে বলো না ওনাকে রিতাপা। আমার এগুলা দিতে ইচ্ছে করছে না।ভালো লাগছে না আমার বিশ্বাস করো। ”
নুপুর বলে উঠলো, ” তা কইলে তো চলবো না। আয় দেখি হাত দে আমরা দিয়া দিতাছি। ”
নুপুর আর রিতা জোর করে কাকন কে খাটে বসিয়ে দিলো। তারপর কাকন এর দুই হাতে বেটে রাখা মেহেদি দিয়ে দিতে লাগলো।
নুপুর হাতের আঙুলে মেহেদী লাগিয়ে দিতে দিতে বললো,”শোন কাকন আমার দাদি কইতো যেসব মেয়ের হাতে মেন্দি সুন্দর কালার হয় তাদের জামাই বেশি ভালোবাসে।”
রিতা বললো, ” হ আমিও শুনছি। জামাই নাকি মেলা সুহাগ করে।”
ফুল এবার হাসি মুখে বললো, ” হুম কাকনের যে রুপ ওর জামাই তো ওরে এমনিতেও অনেক ভালোবাসবো আর সুহাগ করবো। হাহাহাহা”
রিতা বললো,” হিহিহি,, হ্যা রে কাকন শোন না,, তোর বাসর রাতে যা যা হইবো আমাদের কইবি কিন্তু।”
ফুলঃ হ্যাঁ আমরা কিন্তু সব শুনমু। তুই কিন্তু না করতে পারবি না। হিহিহি
কাকন ওদের কথায় লজ্জা পেলো। ওরা আবার
এগুলা বলা শুরু করেছে। এই জন্যই গত ৫ দিন হলো ওদের থেকে দূরে থাকে কাকন।
এর ই মধ্যে নুপুর কাকনের কানের কাছে যা বললো তা শুনে কাকনের চোখ বেড়িয়ে যাওয়ার অবস্থা।ঢোক গিললো কাকন না সে কিছুতেই বিয়ে করবে না।
(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
________________________
সিরাজী মঞ্জিল~
আজ রাত টা প্রাণপ্রিয় বন্ধুর সাথে কাটানোর সিদ্ধান্ত নিলো বকুল। হয়তো আর কোনো রাতে একসাথে থাকা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে এক সঙ্গেই থেকেছে।কত সুখকর মুহুর্ত স্মৃতি দুজনের। রুহুলের কক্ষে যেয়ে দেখলো রুহুল কক্ষে নেই। বেরিয়ে যাবে ভেবে না যেয়ে বাড়ান্দায় উকি দিলো। দেখলো তার প্রাণ প্রিয় বন্ধু সিগারেট টানছে। বকুল হাসলো কারণ যেখানে পুরুষেরা কষ্টের সময় সিগারেট টানে সেখানে তার প্রাণ প্রিয় বন্ধু রুহুল সিরাজী যখন মন ভালো থাকে তখন সিগারেট টানে। বড় অদ্ভুত তাই না হ্যাঁ এই রুহুল সিরাজী এমন ই অদ্ভুত মানব।
চলবে……
#দেবী
#Srotoswini_স্রোতস্বীনি
বিদ্রঃ দয়া করে কেউ কপি করবেন না। ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
®️ Srotoswini-স্রোতস্বীনি ✍️