দেবী পর্ব ১৩

0
298

#দেবী
লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি (ছদ্মনাম)
কপি করা সম্পুর্ণ নিষেধ।
১৩ঃ

সিরাজী মঞ্জিল~
আজ রাত টা প্রাণপ্রিয় বন্ধুর সাথে কাটানোর সিদ্ধান্ত নিলো বকুল।হয়তো আর কোনো রাতে একসাথে থাকা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে এক সঙ্গেই থেকেছে।কত সুখকর মুহুর্ত স্মৃতি দুজনের। রুহুলের কক্ষে যেয়ে দেখলো রুহুল কক্ষে নেই। বেরিয়ে যাবে ভেবে ওমনি বাড়ান্দায় উকি দিলো। দেখলো তার প্রাণ প্রিয় বন্ধু সিগারেট খাচ্ছে। বকুল হাসলো কারণ যেখানে পুরুষেরা কষ্টের সময় সিগারেট খায় সেখানে তার প্রাণ প্রিয় বন্ধু যখন মন ভালো থাকে তখন সিগারেট টানে। বড় অদ্ভুত তাই না হ্যাঁ এই রুহুল সিরাজী বড়োই অদ্ভুত।

বাড়ান্দায় রুহুলের পিছে দাড়াতেই রুহুল বকুলের অবয়ব টা চিনতে পারলো।পাশে বকুল দাড়ালে সিগারেট টা বকুল এর হাতে দিলো। তারপর বাড়ান্দায় রাখা বেত এর চেয়ারে বসে বলল,”এত রাতে আমার কাছে এলি যে।”

বকুল সিগারেট টান দিয়ে বললো,” আজ রাতে তোর কাছে থাকবো। বিয়ের পর তো আর এই সুযোগ টা দিবি না। তখন তো ভাবি কে নিয়ে স্বর্গসুখে মেতে থাকবি। “(বলেই চোখ মারলো)

রুহুল বললো,”সা’লা,, বস এখানে। এসেই শুরু করে দিলি তোর জা*রা কথা বলা।”

–”আরে সবসময় সা’লা সা’লা করস কেন। সা’লা তো তুই হবি আমার।”

–” এখনো নিশ্চিত নয়। তাই যা ই বলিস না কেন আমাকে ভেবে চিন্তে বলিস।”

বকুল এবার বললো, “আসলে বন্ধু মন টা আজ অনেক ভালো আমার।কাল তো তোর বিয়ে চল না আজ রাতে এক সাথে নিদ্রাবিলাশ করি।”

–” মানে,, এ আবার কেমন কথা “নিদ্রাবিলাশ’।”

–” মানে তোর বিয়ের আগের রাত টা তোর প্রাণ প্রিয় বন্ধু বকুল এর সাথে কাটা।”

রুহুল স্পষ্টস্বরে বললো,”মোটেও না। কাল আমার বিয়ে। আর আমি চাই না আজ রাত নিদ্রাহীন কাটাতে।তোর ঘুমানোর যা ছিড়ি আমায় আস্ত রাখবি না।হল এ যখন থাকতাম কম জ্বালাস নি আমায়। সাথে তোর বিনামুল্যে নাক ডাকা আছেই।”

–“এভাবে বলতে পারলি। তুই কিন্তু এবার আমাকে অপমান করছিস।”

-“রুহুল সিরাজী কাউকে অপমান করে না।আমি কাউকে অপমান করি না এটা তুই জানিস।যেটা সত্যি সেটাই বললাম।”লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি

–” সা’লা আমাকে এভাবে আমাকে খোটা দেওয়া না অভিশাপ দিলাম বিয়ের পর তোর বউ ঘুমের মধ্যে আমার চেয়ে ও বেশি জ্বালাবে তোকে। আর নাক আমার চেয়েও বেশি নাক ডাকবে।”

রুহুল বকুলের হাত থেকে সিগারেট নিয়ে হাসতে শুরু করলো। রুহুলের হাসি দেখে বকুল বলল, “এত হাসিস না তো তোর সুখ সইবে না।তোর বউ তোকে কোনো দিনো ভালো বাসবে না দেখিস। তখন সারাজীবন কাদতে হবে তো.. ”

কথাটা শেষ করতে পারলো না বকুল তার আগেই
রুহুল অগ্নিচোখে তাকালো বকুলের দিকে
বললো,”খবরদার আমার বউ কে নিয়ে কোনো কথা বলবি না। আর এই অভিশাপ ফিরিয়ে নে। কাকন আমাকে ভালোবাসতে বাধ্য।”
তারপর রুহুল সিগারেট এর ধোঁয়া উড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো,” কাকন এর ভালোবাসা না পেলে আমি মরে যাবো বকুল। এই স্বল্প দিনেই ও আমার হৃদয়ে এক সাজানো বাগান তৈরি করেছে যে বাগানের ফুল না ফোটা অব্দি নিস্তার নেই।”

রুহুলের কঠিন কন্ঠে বলা কথায় ভড়কে গেলো
বকুল। -“মজা করছিলাম ভাই।কিন্তু তুই যে এটা এভাবে ধরে নিবি বুঝি নি।এতটা উন্মাদ হয়েগেছিস কি করে?কাকন কে এত ভালোবাসিস তুই? ”

-” আমার হৃদপিঞ্জর জুড়ে কেবল আমার কাকন। ভীষণ ভালোবাসি। ওর চেহারায় যে সরলতা তা দুনিয়ার আর কোনো নারীর নেই। ওর মিহি কন্ঠ দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ কন্ঠস্বর। সব দিক দিয়ে সে আমার দেখা শ্রেষ্ঠ সুন্দরী। জানিস আল্লাহ তায়লা জান্নাতে একজন পুরুষকে ৭০টি হুর দেয় কিন্তু আল্লাহ তায়লা দুনিয়াতে আমার জন্য হুর পাঠিয়েছেন আর সেই হুরটি হলো আমার কাকন। বিশ্বাস কর আমি জান্নাতে সত্তর টি হুর চাই না আমি জান্নাতেও আমার কাকন কেই চাই।”

এতক্ষণ রুহুলের কথা শুনে হতবাক হয়ে গেলো বকুল। রুহুল যে এতটা ভালোবাসে কাকন কাকনকে বকুল সেটা কল্পনা করতে পারে নি। বকুল কেবল বললো, “সত্যি বলতে তোর এই কথার কি জবাব দেওয়া উচিত জানি না,,, শুধু বলবো তোর সকল চাওয়া যেন পুর্ণ হয়”

রুহুল উঠে দাড়ালো বললো, ” পুরো দুনিয়া না চাইলেও আমার সকল চাওয়া পুর্ণ হবেই। আমার সাথে নিদ্রাবিলাশ করতে এসেছিলি না চল। অনেক রাত হয়েছে”।

রুহুলের কথায় বকুল হেসে বললো, ” হুম চল আজ রাত ই তো তোর শেষ নিদ্রাবিলাশ কাল থেকে তো আবার সুখ বিলাশ এর যাত্রা শুরু”।হেহেহে

রুহুল প্রাণখোলা হাসি দিয়ে বললো, ” ****** তুই জীবনেও ভালো হবি না, চল”
_______________________

মহিলাশালায় দুহাতে পাতা মেহেদি দিয়ে বসে আছে কাকন। নুপুর, ফুল, রিতা একপ্রকার জোর করেই বসিয়ে রেখেছে যাতে হাত না ধুতে পারে। সরষের তেলের বোতল দিয়ে গেছে মেহেদি তুলে সরষের তেল হাতে দিলে নাকি রঙ বেশি সুন্দর হয়। কাকন মেহেদি তুলে ফেললে বাঁচে সরষের তেল হাতে দেওয়া তো দুরে থাক। এর ই মধ্যে ফাতিমা দুধ-ভাত মাখিয়ে কাকনের জন্য নিয়ে এলো। কাকন তা দেখে বললো,” আপা আমার তো হাত বন্ধ খাবো কি করে ”

ফাতিমা ভাত কাকনের মুখের কাছে নিয়ে বললো, ” হা কর টপাটপ গিলে ফেলবি ”

কাকন হা করে ভাত মুখে নিলো।তারপর বললো, “এতোই যখন ভালোবাসেন তাহলে আমাকে বিদায় করছেন কেন আপা,,রেখে দেন না আমাকে আপনার কাছে ” (লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)

ফাতিমা আবার ভাত ওর মুখে দিলো তারপর বললো, “রাইখা দেওয়ার জিনিস হইলে আজীবন তোরে নিজের কাছে রাইখা দিতাম। তূই তো সেই কাকন যে আমারে প্রথম মা বইলা ডাইকা জড়ায়া ধরছলি। তুই যেদিন প্রথম আমার বুকে মাথা রাইখা মা মা কইয়া কানছিলি আমার মনে হইছিল তুই আমার গর্ভের সন্তান, আমার নাড়ি কাটা ধন। তরে ছাড়া আমার ও খুব কষ্ট হইবো কাকন তয় তরে বিয়া না দিয়াও উপায় নাই। এই যে আমরা যে ভাত টা খাই হেইডা ও সিরাজী মঞ্জিলের বাড়ি থিকা আসে। এইখানে তর মতো কয়েকশত মাইয়া আছে। সকলের মুখের দিকে চাইয়া ই আমি তরে বিয়া দিতাছি।

ফাতিমার চোখে যেন জলস্রোত বইছে। কাকন ফাতিমার চোখের পানি দেখে কেদে ফেললো।ফাতিমার বলা প্রত্যেক টা কথায় কাকনের এবার ফাতিমা কে নিজের মা ই মনে হলো। নিজের মা হলে হয়তো এমন ই নিস্বার্থ ভালোবাসতো। কাকন চুপচাপ খেতে লাগলো।কাকন আর কোনো কথাই বললো না। দুজনের ই যে গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না।

ফাতিমা কাকন কে সব টুকু ভাত খাইয়ে দিয়ে বললো,” এখন চুপচাপ ঘুমা। আজ সারাদিন অনেক ধকল গেছে এখোন তোর বিশ্রাম প্রয়োজন। ”

-“কবুল বলার সময় আপনার হাতটি যেন আমার হাতে থাকে আপা।তা না হলে আমি কবুল বলবো না আপা ”

ফাতিমা কাকনের পানে চেয়ে চলে গেলো কিন্তু কাকন এখনো স্থির হয়ে বসে আছে। এই অল্প বয়সে মস্তিষ্কে এত চাপ বোধহয় নিতে পারবে না। বিছানায় শুয়ে দুই হাত দুপাশে রেখে টিনের চালের দিকে তাকিয়ে রইলো কাকন। বেশ কিছুক্ষণ চিন্তা ভাবনা করার পর সিদ্ধান্ত নিলো সে মন থেকেই এই বিবাহ কবুল করবে। সে গ্রহণ করবে রুহুল সিরাজী কে নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে। ভাবনার জগতে ডুবে যেয়ে কখন যে ঘুমিয়ে গেলো সে নিজেও বুঝলো না।

মধ্যরাতে কাকনের ঘুম ভেঙ্গে গেলো। নিজেকে সোজা ভাবে শুয়ে থাকা অবস্থায় আবিষ্কার করল বুঝিতে পারলে ফাতিমা ঠিক ভাবে শুইয়ে দিয়েছে। কাকন হাত দুটো যে কখন ভাজ করেছে বুঝতেও পারে নি। পাশে ফাতিমা কে দেখলো ঘুমিয়ে আছে। কাকন আস্তে করে বিছানা থেকে উঠে দরজা খুলে বাড়ান্দায় বেরোলো। তারপর দুই হাতের আঙুলে লাগানো মেহেদি তুলে ফেলে দিলো। হঠাৎ কিছুর ছায়া দেখতে পেলো ভয়ে দ্রুত দরজা আটকিয়ে বিছানায় সুয়ে পড়লো।
__________________________

অবশেষ সেই শুভক্ষণ চলে এলো। আজ সেই বিবাহ যার মাধ্যমে দুজন মানুষ একে অপরের সাথে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ বন্ধনে আবদ্ধ হবে।পবিত্র জুম্মাবারে পবিত্র বিয়ে।(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)

কাকন রোজকার ন্যায় আজও বেশ সকালে উঠলো। উঠে নামাজ পড়লো। মোনাজাতে আল্লাহর কাছে মনের সকল চাওয়া চাইলো। কিছুক্ষণ কুরআন পড়লো। কুরআনের ২৭ পারার সুরা আর-রাহমান পড়লো। কাকনের সবচেয়ে প্রিয় সুরা এটা।তার কারণ হলো এর ১টা আয়াত যা ওর ভীষণ ভালো লাগে,
“ফাবি আইয়ি আ-লা-য়ি রব্বিকুমা তুকাজ্জিবান”
অর্থঃ “-এবং তোমারা তার(আল্লাহর) কোন কোন নেয়ামত কে অস্বীকার করিবে।”
কাকন বার বার এই আয়াতটি পড়লো এবং আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলো। সত্যি আল্লাহর নেয়ামতের জন্যই আজ সে জীবিত। একটি সুন্দর পরিবার পেয়েছে সে। নিজের মায়ের পর দ্বিতীয় মা হিসেবে ফাতিমা কে পেয়েছে। কাকন কুরআন শরীফ বন্ধ করে আবারো মোনাজাত করলো। তবে এই মোনাজাতে কেবল আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলো। কাল রাতে ভাবার পর তার মনে হয়েছে এই বিয়েটা তার জন্য কল্যাণকর। তাই সে যা চায় তা এই বিয়ের মাধ্যমেই সম্ভব। সে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে বিয়ে করবে। “কেননা আল্লাহ তায়লা উত্তম পরিকল্পনাকারী”

———————–
সিরাজী মঞ্জিল ~
জুম্মার নামাজ পড়ে সিরাজী বাড়ি থেকে বর‍যাত্রী বের হবে।সকল পুরুষেরা নামাজ পড়ে এলো সিরাজি মঞ্জিলে। রুহুল সাদা আর সোনালী মিশ্রিত বর এর পাঞ্জাবি পড়েছে। সাথে সোনালি রঙের পাগড়ী। হাতে রুমাল। বর এর পোশাকে যথেষ্ট সুন্দর লাগছে। সামিয়া,আলেয়া,রোকেয়া সকল নারীরা শাড়ি পড়েছে। আর পুরুষেরা পাঞ্জাবি।
সিরাজী মঞ্জিলের ফাকা মাঠে সকলে তৈরি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রুহুল সিরাজী মঞ্জিলের ভিতরে প্রবেশ করলো। রুহুল বাবার কক্ষে গেলো। দেখলো তার মা পোশাক বদলিয়ে দিচ্ছে। রুহুল বিলাল সিরাজী কে সালাম করল। তারপর মাথা থেকে পাগড়ী নামিয়ে বাবার হাত মাথায় নিয়ে বললো, ” আব্বা আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি। কেউ বিশ্বাস করুক আর না করুক আমি বিশ্বাস করি আপনি সব শোনেন এবং সব বোঝেন। আপনি আমাকে মন ভরে দিয়া করে দেন।”

সুভা ছেলের কান্ড দেখে হাত নামিয়ে রাখলো। তারপর ছেলেকে বুকে জড়িয়ে কাদলো। বললো, “তুই অনেক সুখি হবি খোকা এটা তোর মায়ের দুয়া। তবে আজ একটা কথা দিবি আমায়?

রুহুল মায়ের চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো,” জি আম্মা বলেন”

সুভা ছেলের হাত দুটো ধরে বললো, ” তুই কথা দে কখনো কাকন কে তোর বাপ-দাদাদের মতো বাবা- মা তুলে গালি দিবি না, আর কখনোই স্বামী নামক পশুর মতো নির্যাতন করবি না”

রুহুল মায়ের কথা শুনে তার মায়ের মনের কষ্ট বুঝতে পারলো।তার মায়ের হাতে চুমো খেয়ে বললো, “আমি আপনাকে কথা দিলাম আম্মা আপনার সকল কথা রাখবো “।
তারপর মাকে সালাম করে বললো, ” আপনার জন্য আরেকটা মেয়ে আনতে গেলাম আম্মা”

সভা ছেলের সাথেই ঘর থেকে বের হলো। সকলের থেকে বিদায় নিয়ে রুহুল সিরাজী চললো তার কাকন কে বিয়ে করার জন্য।

_______________________
বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে। তবে মহিলশালায় পুরুষদের আগমন শোভা পায় না। তাই সিরাজী পুরুষশালায় বরযাত্রী থেকে আসা পুরুষদের থাকার আয়োজন করা হয়েছে।রুহুল সহ সকলে সেখানেও গেলো। বিয়ে পড়ানোর পর কয়েকজন যাবে কাকন কে আনতে।(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)

অন্যদিকে বরযাত্রী তে আসা মেয়েরা মহিলাশালায় গেলো। মহিলাশালা কাগজের ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। লাল-খয়েরি বেনারসি পরিহিত কাকন রয়েছে।আর কাকন কে ঘিরে রয়েছে অনেক মেয়ে। সামিয়া সহ সকলে কাকন কে দেখে আজ আরো পছন্দ করলো। কাকন এর রুপ যেন উপচে পড়ছে বউ সাজে। চোখ ফিরানো বড় দায়

আসরের পর কাজী নিয়ে হাজির হলো দুলাল সিরাজী। ঘোমটা মাথায় দিয়ে চুপটি করে বসে আছে কাকন। সকল ব্যস্ততার মাঝে ফাতিমা কাকনের বলা কথাটি স্মরণ রেখে কাকনের কাছে বসলো।কাকন ফাতিমার হাত শক্ত করে ধরলো। কাজি যখন কবুল বলতে বললো “কবুল” নামক এই শব্দটি তিনবার উচ্চারণ করলো কাকন। ব্যাস হয়ে গেলো সেও এখন সিরাজী মঞ্জিলের বউ।

চলবে…..

#দেবী
#Srotoswini_স্রোতস্বীনি

বিদ্রঃ দয়া করে কেউ কপি করবেন না। ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট শেয়ার করবেন, ধন্যবাদ।

®️ Srotoswini-স্রোতস্বীনি ✍️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here