দেবী পর্ব ১১

0
320

#দেবী
লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি(ছদ্মনাম)
কপি করা সম্পুর্ণ নিষেধ
১১ঃ
______________________
সিরাজী মহিলাশালা~
রাতে ঘুমানোর জন্য ফাতিমার কাছে সুয়ে আছে কাকন।এখানে সে যতদিন আছে প্রতি রাতেই ফাতিমার হাত জড়িয়ে ধরে ঘুমায় সে। এটা তার ছোট বেলার অভ্যাস। মায়ের হাত ধরেও সে ঘুমিয়েছে। মা মরে যাওয়ার পর যখন মহিলাশালায় এলো তখন থেকে ফাতিমার হাত জড়িয়ে ঘুমায়। বিয়ের দিন যত ঘনিয়ে আসছে তার মস্তিষ্কে ততই চিন্তার চাপ বাড়ছে। সে তো ফাতিমা কে ছাড়া থাকতে পারবে না।একজন অপরিচিত পুরুষের হাত ধরে ঘুমাতে হবে এটা সে কখনোই পারবে না। আবার হাত না ধরলে ঘুম ও হবে না।আবার অন্য আপাদের থেকে স্বামীর কাছে আসার কথা শুনে আরো বেশি ভয় হয় তার। ঘুম হচ্ছে না বারবার নড়েচড়ে উঠছে কাকন।একবার ডান তো আবার বাম। (লেখিকাঃ Srotoswini_স্রোতস্বীনি)

ফাতিমা রোজ ই লক্ষ্য করে কাকনের এই অবস্থা। তাই ফাতিমা বললো, “কি রে কাকন ঘুমাস না কেন,ইদানীং দেখতাছি তুই কেমন জানি করস,,কিছু হইছে কি মা?”

কাকন ফাতিমার আরো নিকটে গেলো তারপর বললো, “না কিছু হয়নি শুধু ভালো লাগছে না আপা,, আমার আপনাদের ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছে না। আর মাত্র দুটো রাত আপনার সাথে থাকবো। বিয়ের পর যদি প্রতিদিন রাতে আপনার সাথে থাকতে দেয় আমার খুব ভালো হতো।আপনি কাছে না থাকলে ঘুম হবে না আমার।”

ফাতিমা মুচকি হেসে বললো,” বিয়া তো একদিন না একদিন হইতো তাই ছাইড়া ও যাওয়া লাগতো। বিয়া হইলো দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দর ফরজ কাম। আল্লাহ বিয়া সবার জন্য ফরজ করছেন। আর বিয়ার পর স্বামীর কাছেই থাকা লাগে। স্বামীর সুহাগ হইলো জান্নাতের সুখ।দেখবি তুইও সে সুখে সুখী হবি। ”

কাকন করুণ চোখে চেয়ে বললো,”দরকার নেই সেই সুখে সুখী হওয়ার।আমি আপনার কাছেই থাকতে চাই। আর তাছাড়া আমি যদি সুখী না হই আপা তখ…”

ফাতিমা কাকনের মুখে হাত দিয়ে থামিয়ে বললো, “চুপ, কিসব বলতাছা তুই,,এইসব কুকথা মুখ দিয়া কইতে নাই। স্বামী হইলো আল্লাহর পর সবচেয়ে কাছের। স্বামীরে অসন্তুষ্ট করা লাগে না।আর তুই অনেক সুখী হবি দেখিস মা এগুলার দুশ্চিন্তা মাথা থিকা ঝাইড়া ফালা। আয় তোর মাথায় হাত বুলায়া দেই ঘুমা।”
কাকন আর কিছু না বলে চুপ করে চোখ বুজে রইলো।
ফাতিমা কাকনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো। কাকন চোখ বুজে থাকতে থাকতে ঘুমের দেশে পাড়ি জমালো।
___________________

সিরাজী মঞ্জিল~
(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
অন্যদিকে ঘুম নেই আরো এক জোড়া চোখের।বাড়ান্দায় দাড়িয়ে সিগারেটের ধোয়া উড়াচ্ছে। আম্মার কথায় সে কিছুই মনে করে নি কেননা গত দুই বছর যাবৎ এগুলো শুনে সে অভ্যস্ত। তার আম্মার তো দোষ নেই। ভাগ্যদোষে আজ এগুলো শুনতে হলো।তবে সেগুলো তে তার কোনো মাথা ব্যাথা নেই কারণ সে তো তার হৃদয় হরণীর চিন্তায় মগ্ন।প্রথম যেদিন কাকন কে দেখেছিল সেদিনই রুহুলের হৃদয়ের গতি হাজার গুণ বেড়ে গিয়েছিল। জীবনে অনেক নারী কে দেখেছে সে। ঢাকায় পড়াকালীন সময়ে অনেক মেয়েদের প্রেম নিবেদন পেয়েছে সে কিন্তু কাউকে ভালো লাগে নি তার। তার দাদাজানের কাছে ও অনেক কন্যার পিতারা তার হাত চাইতে এসেছে কিন্তু সে প্রত্যাখ্যান করেছে। অথচ এই পঞ্চদশী তরুণীর প্রতি ২৮ বছরের রুহুল সিরাজী আকৃষ্ট হয়ে গেছে। কাকনের সেই সাদা ওড়নায় জড়ানো মুখ খানা যে সাদা শাপলার মতো আজো ফুটে আছে রুহুলের অন্তরে।তাহার মিহি কন্ঠের সালাম রুহুল সিরাজীর বক্ষপিঞ্জর কাপিয়ে দিয়েছিল এ খবর কি রুহুলের হৃদয়হরণী জানে। উহু জানাতে হবে তাকে। রাতে রুহুলের ঘুম হয় না চোখ বন্ধ করলেই কাকনের চেহারা ভেসে উঠে। লাল শাড়ি তে ফুটন্ত রক্তজবা তার সামনে ধীর পায়ে এগিয়ে আসা,,সবার সাথে মিচকি হেসে মাথা নিচু করে কথা বলা সব কিছু রুহুলের মন- মস্তিষ্কে বিচরণ করে। তবে কি রুহুল সিরাজী সত্যিই প্রেমে পড়লো। সেদিন দাদির সামনে ভালোবাসার প্রকাশ করার পর ও মনে হয়েছিল কাকনের প্রতি তার মোহ কাজ করছে। কিন্তু এখন সে নিশ্চিত সে কাকনের প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে গেছে। এই জগতে সে তো কেবল একজন নারী কেই ভালো বেসেছে। তার আম্মা কে। তাহলে কি তার এই হৃদয়ে অন্য নারীর স্থান ও পেতে চলেছে? নানা চিন্তায় তার মস্তিষ্ক বিকল হবে ভেবে হাসতে শুরু করলো রুহুল। গম্ভীর স্বভাবের রুহুল সিরাজী আজকাল হাসে অকারণেই হাসে। তার বুকে যে অগ্নিকুণ্ড দাউদাউ করছে। কাকন ব্যতীত তার বক্ষের ভয়াবহ অগ্নিকুণ্ড কোনো কিছুই নিভাতে পারবে না। হাতের সিগারেট এর শেষ টান দিয়ে ফেলে দিলো। বুকের বা পাশে হাত রেখে আকাশের চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললো,_

“নিজের বুকের চিতায় নিজেই দগ্ধ হচ্ছি।”

(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
______________________

আযানের সুমধুর ধ্বনিতে ঘুম ভাঙলো কাকনের।
ঘুম থেকে উঠেই ফজরের নামাজ পড়লো কাকন। কোরআন শরীফ পড়লো কিছুক্ষণ। তারপর বাইরে আলোর ছোয়ার দেখা মিললে বাইরে বেরিয়ে এলো। আজ তার কেন যেন হঠাৎ মহিলাশালায় ঘুরতে ইচ্ছে করলো। হয়তো এভাবে আর কোনো সকাল মহিলা শালায় দেখা হবে না।তাই সে বাইরে বেড়োলো। হেটে পুরো টা মহিলাশালা দেখলো। সবাই যার যার কক্ষে। কাকন মহিলাশালার পিছনের দিকে হাটা শুরু করলো। কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই মহিলাশালা জুড়ে। সব কিছু হারিয়ে যাওয়ার পর এই মহিলাশালাই তার ঠাই হয়েছিল। খানিক বাদেই চোখে পড়লো এক অসম্পুর্ণ দালান। যার কাজ শুরু হয়েছিল গত ১ বছরের ও বেশি হবে কিন্তু অসম্পূর্ণ ই রয়ে গেলো। তার হবু শশুড় বিলাল সিরাজীর জন্য তা আর সম্ভব হয় নি। বিলাল সিরাজীর দুর্ঘটনার পর কেউ আর পা রাখে নি এই দালানে।কাকন ভাঙা সিড়ি পেড়িয়ে দোতলায় উঠলো। চারিদিকে চোখ বুলালো। সেখান থেকে কিছু দূরে এগোলে চোখে পরে এক বিশাল খাদ। যেখান থেকে পড়লে যে কেউ প্রাণ হারাবে,,লোকমুখে শোনা যায় এক ভয়ংকর ভুত আছে সেখানে যার জন্য একবার পড়লে জান নিয়ে ফেরা অসম্ভব। ভুতে অবিশ্বাসী কাকন কথা টা ভেবে হেসে দিলো। পুরো টা জায়গা চেয়ে চেয়ে দেখলো। কাকন খাদের বিশালতা মাপতে চেষ্টা করলো।হঠাৎ তার কানে এলো ফাতিমার ডাক। ফাতিমা হয়তো কাকনকে না পেয়ে খুজছে তাই কাকন ডাক অনুসরণ করে ফাতিমার কাছে যাওয়ার জন্য দালান থেকে নেমে এলো।সামনে মুখোমুখি হলো ফাতিমার।
কাকন ভয় পেলো কারণ সে জানে ফাতিমা এখানে আসা পছন্দ করে না।

ফাতিমা পা থেকে মাথা অব্দি পর্যবেক্ষণ করে বললো, ” কাকন তুই এইখানে। এই খাদের কাছের দালানে গেছিলি কেন তুই?”

কাকন আমতা আমতা স্বরে বললো, “আসলে ফাতিমা আপা আমি বাইরে বেরিয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে কেন যেন ওখানে যেতে ইচ্ছে করলো তাই গিয়েছিলাম। ভয় নেই আমি খাদের কাছে যাই নি” (কাকন মিথ্যা বললো)

ফাতিমা মাথায় হাত রেখেবললো,” হায় আল্লাহ কি কয়। বিয়ার গন্ধ পাইয়া ওই হিন্দু ভুতে তরে নিয়া যায় নাই তো তরে আবার ।তর কথা শুইনা আমার আত্মা শুকা গেছে মা আর জানি যাস না। চল দুয়া দরুদ পইড়া ফু দেওয়া পানি লাগবো তর। ওর কু নজর তোর উপর পড়লে তোর রক্ত চুইষা খু’ন করবো।”

কাকন এর হাসি পেলো তবুও স্বাভাবিক ভাবে বললো,”কিছু হয় নি তো।শুধু কিসব যে বলেন না আপা। আর আমি ভেবে দেখলাম দালান টা ঠিক করা উচিৎ। এই দালানের কাজ হলে কাউকেই আর টিনের ভাঙা ঘরে থাকতে হবে না।”

ফাতিমা এবার বললো,” যা মন চায় ভাব তয় ওইখানে আর কিন্তু যাবি না। ওই জায়গা ভালো না। মানুষ খায় ওই ভুতনী। গত বছর কি কাম ডাই না হইলো সিরাজী সাব এর সাথে। থাক ওগুলা আর মনে করবার চাই না। চল দেখি”
(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)

কাকন মাথা নেড়ে বললো,”ঠিক আছে আপা,, চলেন আমি আজকে আপনাকে রান্নার সব কাজে সাহায্য করবো। না করতে পারবেন না কিন্তু।”

ফাতিমা এবার সস্তি পেলো তাই বললো,” সে করবি তো চল আমার লগে। কাম করবি এইডা ভালোই হইলো। আইজ বাদে কাল শশুড় ঘরে যাবি। সেই খানে সব কাম নিজে হাতে করবি। নিজের সংসার নিজের মতো কইরা কাজ করলে দেখবি শাশুড়ী মেয়ের মতো কইরা রাখবো তোকে।”

ফাতিমার বলা শেষ কথা শুনে কাকনের নিজের মা-র কথা মনে পড়লো।সে তো নিজের মা ছাড়া আর কারো মেয়ে হতে চায় না।বুকে ব্যাথা অনুভব হলো কাকনের।
_______________________

বিকেলে সিরাজী মঞ্জিলে বিশাল আকারে গায়ে হলুদের আয়োজন করা হয়েছে। সকল আত্মীয় সজন হলুদ দেবে। মেয়েরা হলুদ আর লাল পাড় এর শাড়ি পড়েছে।সাথে তাজা লাল গোলাপ আর গাদা ফুলের মালা দিয়ে সবাই নানা রকমে সেজেছে। গাদা ফুল দিয়ে সিরাজী মঞ্জিলের বাম পাশের ফাকা মাঠ টায় গায়ে হলুদের আয়োজন করা হয়েছে। শহর থেকে অনুষ্ঠান করার জন্য অনেক কিছু আনা হয়েছে। সেই অনুযায়ী ই সব করা হয়েছে। একদম রাজকীয় ভাবে আয়োজন যাকে বলে। মরিচ বাতির হলুদ আলো এখনি জালিয়ে দেওয়া হয়েছে। একেবারে রমরমা পরিবেশ। মেয়েরা কাকন কে হলুদ দিতে যাবে। তারপর সন্ধ্যার পর রুহুল কে হলুদ দিবে। সব মেয়েরা দল বেধে চললো কাকন কে হলুদ দিতে।

অন্যদিকে দুলাল সিরাজীর আদেশে মহিলা পাঠশালা সাজানো হয়েছে।কাকনের কেউ নেই তাই এই সকল দায়িত্ব পালনের ও কেউ নেই। দুলাল সিরাজী ই আয়োজন করেছে বিয়ের সবকিছু।ফাতিমা শুধু নিজ দায়িত্বে এগুলোর খেয়াল করছে।
কাকন কে কাচা হলুদ আর আর কমলা রঙ মিশ্রিত একটি শাড়ি পড়ানো হয়েছে। ফুলবানু আর রিতা দুজনে কাকন কে সাজিয়ে দিয়েছে। কাকন কে হলুদ পরীর মত লাগছে। ঠোঁটে লাল লিপ্সটিক,,কপালে লাল টিপ। ডাগর ডাগর চোখে কালো কাজল। গলায়,কানে, হাতে ফুলের অলংকার। অপরুপা লাগছে তাকে। আজ যেকোনো পুরুষ তার এই ভয়ংকর রুপে গ্রাস হতে পারবে।

মহিলা শালার মাটির বাড়ান্দায় শীতল পাটি বিছিয়ে বসিয়ে রেখেছে কাকন কে। তার খুব লজ্জা লাগছে এভাবে বসে থাকতে। তার পাঠশালার সকলের করা নানা ইয়ার্কিতে তার আরো বেশি লজ্জা লাগছে। তাকে সবার আগে হলুদ দিলো ফাতিমা। তারপর পায়েস খাইয়ে দিলো। তারপর কাকনের মাথায় হাত দিয়ে দুয়া করলো। কাকন একটি বারের জন্য ও ফাতিমার দিকে তাকায় নি। তার ভিতরে বড্ড কষ্ট হচ্ছে। ফাতিমাও চোখ মুছে উঠে গেলো।তার যে অনেক দায়িত্ব সাথে কান্না পাচ্ছে তার।
একে একে কাকনকে আরো অনেকেই হলুদ দেওয়া শুরু করলো। কিছুক্ষণ পর সিরাজী মঞ্জিলের মহিলারা এলো। (লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
কাকনের সাজ সজ্জায় সকল এর চোখ আটকে গেল।
সবার আগে কাকনের কাছে গেলো সামিয়া। যেয়েই কাকন কে জড়িয়ে ধরলো তারপর বললো,” ভাবি কেমন আছো গো?”

কাকন মুচকি হেসে বললো, ” জি আলহামদুলিল্লাহ ভালো,, আপনি কেমন আছেন?”

সামিয়া বললো,” আমি সব সময় ই ভালো থাকি ভাবিজান!” বলেই কাকন এর নাকে হলুদ দিলো। সামিয়া কাকন কে সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো।
কাকন মুচকি হেসে সালাম দিলো সবাইকে।
আলেয়া, রোকেয়া,পারুল রাও বড় ভাই এর বউ কে দেখে মুগ্ধ হলো। তারাও কাকনের রুপের প্রশংসা করলো। তবে আসমা কাকন কে দেখে অবাক হলো। সে ভেবেছিল কাকন হয়তো সুন্দরী হবে । কিন্তু এমন রুপবতী হবে সে ভাবে নি। কাকন দেখে তার মনে একটু স্বস্তি হলো।তবে একটা জিনিস মনে মনে ভাবলো তার বড় ভাবির সাথে কাকন কে ছেলের বউ হিসেবে ভালো মানাবে।
আলেয়া বললো,” বাহ দাদাভাই এর বউ তো পরী রে রোকেয়া এই জন্যই বুঝি দাদাভাই বিয়েতে রাজি হইছে।”

রোকেয় তাল মেলানো সুরে বললো, “হুম আমিও তাই ভাবতেছি।দাদাভাই এর মতো মানুষ কি আর এমনি এমনি পাগল হইছে নাকি।”

সামিয়া ওদের দু-বোনের উদ্দেশ্যের বললো,” আরে দাদাভাই কি কইছে জানো আপা সে নাকি ভাবির জন্য মাতোয়ারা হইয়া গেছে।”

হাহাহাহা করে সবাই হেসে উঠলো। কাকন লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললো।তার যেন এবার রুহুলের উপর চরম রাগ লাগলো।এমন অসহ্য লোকের সাথে তার বিয়েটা না হলেই ভালো হতো। অন্তত এসব লজ্জার সম্মুখীন হতে হতো না।
(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)

ধীরে ধীরে সবাই কাকন কে হলুদ দিতে শুরু করলো।
আসমা বয়সে বড় বিধায় সে আগে দিলো। তারপর আলেয়া,রোকেয়া,পারুল, সামিয়া সহ সাথে আসা বাকি মেয়েরাও হলুদ দিলো। হলুদ শেষে সবাই প্রস্থান নিলো সিরাজী মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে।
কারণ এবার রুহুল সিরাজীকে হলুদ দেওয়ার পালা।

চলবে……..
#দেবী
#Srotoswini_স্রোতস্বীনি

বিদ্রঃ কেউ কপি করবেন না। ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

®️ Srotoswini-স্রোতস্বীনি ✍️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here