দেবী পর্ব ১০

0
293

#দেবী
লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি (ছদ্মনাম)
কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ।
১০ঃ
________________

রুহুলের কথা মতো শরবত বানাতে গিয়ে বিরক্তি লাগছে সামিয়ার। সে বরাবরই কাজ চুরি তে পটু।মায়ের নানা বকা শুনেও সংসারের কোনো কাজে হাত দেয় না।অথচ কোথাকার লোকের জন্য শরবত বানাতে হচ্ছে তার। শরবত নিয়ে উপরে গেলো সামিয়া। রুহুলের কক্ষে যাওয়ার পর রুহুল জানালো বকুল বাম পাশের অতিথি কক্ষে আছে। অজ্ঞতা সামিয়া শরবত নিয়ে সেখানেই গেলো। কক্ষে উকি দিয়ে দেখলো শুধু লুঙ্গি পড়ে খালি গায়ে রয়েছে বকুল। পর-পুরুষ কে এমন অবস্থায় দেখে খানিক টা লজ্জা পেলো সামিয়া তবুও বিনা বাক্যে শরবত নিয়ে বকুলের সম্মুখে গেলো।শরবত নেওয়ার সময় বকুল সামিয়া কে কাছ থেকে দেখলো। মেয়েটা যে সুন্দরী বকুল তা মানলো। ধন্যবাদ দিয়ে মুচকি হেসে শরবত মুখে নিলো কিন্তু হাসিমুখ হঠাৎ এমন হলো যেন সে বিষ পান করেছে। গড়গড় করে সব ফেলে দিলো।

বকুল বললো, ” এটা কি,,তুমি এত চিনি দিয়েছো কেন?তোমাকে না বললাম ১চামচ চিনি দিতে ।শুধু শুধু মুখটা নষ্ট করে দিলে।”

সাময়া অবাক হয়ে বললো,” নষ্ট করলাম মানে,, শরবতে কেউ এক চামচ চিনি খায়। কম হইলেই ৩চামুচ দেওয়া লাগে। আর নুন দিছি তাই আমি মাত্র দুই চামুচ দিছি। ”

বকুল বললো,”আমি মিস্টি পছন্দ করি না।তার চেয়ে শুধু পানি এনে দিলে তবুও তৃপ্তি হতো।”

সামিয়া বললো,”কিহ,,মিস্টি পছন্দ করেন না এ আবার কেমন মানুষ।”
(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
–“এই বকুল এমনই মানুষ। যাই হোক যাও আমার জন্য এক গ্লাস পানি নিয়ে এসো।”

সামিয়া বিরক্ত হলো তবুও ভদ্রতার খাতিরে পানি নিয়ে এলো। সামিয়া পানি এনে দিলো, “এই নেন পানি”

বকুল পানি খেয়ে গ্লাস টা দিলো। সামিয়া যে বিরক্ত
হয়েছে বুঝলো এবং বিরক্তিতে মুখের অবস্থা দেখে বকুলের খুব ভালো লাগলো।সাময়া কে জিজ্ঞেস করলো,” কিসে পড়ো তুমি?”

” মেট্রিক দিমু।( ঝাজালো স্বরে বললো)”

সামিয়ার কথা শুনে বকুল খুব খুশি হলো।মুখে প্রকাশ করলো না।বললো,”ওহ বেশ ভালো। ভালো ভাবে পড়াশোনা করো।”
_____________________

রাতে সিরাজী মঞ্জিলে খাসির মাংস দিয়ে খিচুড়ির আয়োজন করা হয়েছে । ভোজ কক্ষে জমিদার দের মতো বিশাল বড় টেবিল এবং চেয়ারের আয়োজন করা। একসাথে ৫০ জন বসে খেতে পারে। সিরাজী মঞ্জিল পুর্বপুরুষদের তৈরি করা বাড়ি। প্রত্যেক কক্ষ, রান্নাঘর ভোজন কক্ষ সব ই অনেক বছর আগের তৈরি। ভোজন কক্ষে সকল পুরুষেরা খেতে বসেছে।
রুহুল এখনো আসে নি তাই সামিয়ার দ্বারা রুহুলকে ডাকতে পাঠালো সুভা।
সামিয়া রুহুল কে ডাকার জন্য গেলো।কিন্তু অন্ধকার কক্ষে কাউকে পেলো না। দাদাভাই বলে ডাকলো সাড়া না পেয়ে পিছন ফিরবে ওমনি কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে গেলো। সামিয়া উঠে দাড়াতে দাড়াতে বললো,”ওমা গো কোন ইট এর বস্তা রে,,,চোখ কি সাপ এর গর্তে রাইখা আইছা নাকি,,,ধাক্কা দিয়া মাঞ্জা ভাইঙ্গা ফালাইলো রে,,আম্মা গো”

–”ইট এর বস্তা মানে আমি বকুল একজন জলজ্যান্ত মানুষ। আর এভাবে কেউ কাউকে কথা বলে। আমি রুহুলের রুমে আসছিলাম তুমিই তো আমাকে ধাক্কা দিলে। নিজে চোখে দেখো না আবার আমাকে বলছো। তুমি আসলেই একটা কানা “।

সামিয়ার ছোটবেলা থেকে অভ্যাস যার সাথে ঝগড়া লাগবে তাকে কামড় দিবে আর না হয় চিমটি দিবে।সামিয়া এবার রেগে বকুলের হাতে চিমটি কাটলো।
বকুল আহ করে উঠলো। সামিয়া বললো,” আমি কানা মেয়ে তাই না,, আর আপনি কি হ্যাঁ। আমি যদি হই কানা আপনি হইলেন শয়তানের নানা।
(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)

বকুল সামিয়ার কথা শুনে হি হা করে হেসে উঠলো, “বেশ আমি শয়তানের নানা হলে তুমি শয়তানের নানি” বলেই সামিয়ার কোমরে চিমটি কেটে চলে গেলো।

সামিয়া এবার আশ্চর্যের শেষ সীমানায় গেলো।কি হলো এটা লোকটা তার কোমড়ে চিমটি দিলো।
সামিয়া রাগে ফুসলো যে করেই হোক সে প্রতিশোধ নিবে।
_____________________________
খাওয়া শেষে সবাই যার যার মতো আনন্দে আড্ডা জুড়ে দিয়েছে। মেয়েরা আলাদা ছেলেরা আলাদা। মেয়েরা সবাই পাতা মেহেদী বেটে রেখেছিল।সবাই এখন যার মতো করে হাতের আঙুলে লাগাচ্ছে।আর গল্প করছে। অন্যদিকে ছেলেরাও নিজেদের মতো আছে।

রুহুলের রুমের সাথে বড় উন্মুক্ত বাড়ান্দায় রুহুলের দুই বোন জামাই বসে আছে।তারা বয়সে রুহুলের সমবয়সী। আর সাথে জোট বেধেছে বকুল।

আলেয়ার স্বামীর সাথে রুহুলের ব্যবসার খাতিরে ভালো সম্পর্ক হয়েছিল।সেখান থেকেই ভালো সম্পর্ক আর বোন বিয়ের পর আরো গভীর হয়েছে। আর রোকেয়ার স্বামী সিরাজী বংশের পুর্বের আত্মীয়। সেই সুবাদে আগে থেকেই পরিচয়।
আলেয়ার স্বামী বললো, “তা রুহুল বিয়ে করছো কেমন অনুভুতি হচ্ছে?”

রোকেয়ার স্বামী ও তাল মেলালো,” হ্যাঁ রুহুল দাদাভাই আমিও জানতে চাই এতদিনে তাহলে বিয়েতে মত দিলেন। সেই জন্য আমরাও খুব খুশি।”

বকুল বললো,” সে আর বটে রুহুল সিরাজী যে রাজি হয়েছে চিঠি পেয়ে ও বিশ্বাস হয়নি।কি এমন জাদু করলো ভাবি সে রাজি হয়ে গেলি।”

রুহুল এবার একে একে সকল ঘটনা খুলে বলল কেন তার বিয়ে হচ্ছে।(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
রুহুলের কথা শুনে তিনজন ই অবাক হলো।রুহুলের মতো মানুষ কে এমন অপবাদ দিয়ে বিয়ে।

বকুল সব শুনে বললো,” একদিকে ভালোই হয়েছে এই সুবাদে বিয়ে টা তবুও হল।তা না হলে তো আজীবন কুমার থেকে যেতি”

রোকেয়ার স্বামী এবার বললো,” সে বিয়া করো নিকা করো আমাগো হক কিন্তু আগে। আমাগো ভুইলো না।”

রুহুল অবাক হয়ে বললো,” হক আছে মানে,,, মতলব কি বলোতো। ঝেড়ে কাশো তো এবার।”

আলেয়ার স্বামী মিথায় হাসি দিয়ে বললো,” আরে সেরকম কিছু না।আমরা তোমারে বৈবাহিক জীবনের উপদেশ দিতে আইলাম।আমরা তোমার দুলাভাই লাগি তো। ”
রোকেয়ার স্বামী রুহুলের কাছে এগিয়ে গেলো বললো,”হ্যাঁ কাল বাদে পরশু তোমার বিয়া দাদাভাই। আমরা বেশি কিছু না ইয়ে মানে শুধু কিছু খামু।”

রুহুল স্বাভাবিক ভাবেই বললো,”সে তো বিয়ে খেতেই এসেছো।যত ইচ্ছে খাও। না করেছে কে।”

বকুল মুখ টা ছোট করে বললো,”তোর বিয়েতে শুধু পোলাও কোরমা খাইতে আসছি নাকি।মালপানি কিছু খাওয়াবি না।”
রুহুল ভ্রু কুচকে তাকালো তিনজনের দিকে।

রোকেয়া স্বামী আমতা মাওতা করে বলা শুরু করলো, “ইয়ে মানে তোমার বাসর রাতে আমাদের একটু জলপানির ব্যবস্থা কইরা দেওয়া লাগবো। জমিদার বাড়ি তোমাদের। বেশি না একটু হলেই হইবো।”

আলেয়ার স্বামী বললো,”না কইরো না। হাত জোর করি। তোমার চাচা কিন্তু ঠিক ই খাইবো। শশুড়ের কাছে কি আর চাওয়া যায়। তোমার বোন দের জন্য কতদিন খাইতে পারি না।তোমার বিয়া উপলক্ষে চাই ই চাই।”

এবার রুহুল বুঝলো কেন খাওয়ার শেষে জোর করে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে তাকে।
রুহুল না করলো না সে চায় তার বিয়েতে সকলের হাসিমুখ দেখতে তাই বললো,” বেশ আমার বিয়ে উপলক্ষে চাইছো তাই দিলাম। কিন্তু খবর দার কাক পক্ষিও যেন টের না পায়। এখন বিদেয় হও তিন বদ’জাত।”

যো হুকুম সিরাজী সাহেব। বলেই বিদায় হলো তিনজন।
রুহুল ওদের যাওয়ার পানে হেসে দিলো।আজকাল রুহুল একটু বেশিই হাসে।
(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)

___________________
সিরাজী মঞ্জিলে জামালের গোপন কক্ষে বসেছে মদের আসর। সেখানে মদ গিলছে জামাল,মহীবুল, হেলাল। জামালের বিশ্বস্ত চাকর হবীবুল্লাহ মদ ঠেলে ঠেলে দিচ্ছে। সাথে নিজেও বিনা পয়শায় গিলছে।

হেলাল মদ এর গ্লাস শেষে আরেক গ্লাস মদ নিচ্ছে আর বলছে,” দাদাভাই এর কপাল সত্যি খুব ভালো। তা না হইলে এত্ত সুন্দর একখান পরী কি কেউ পায়।”

মহীবুল ক্ষ্যাপা কন্ঠে বললো,” সে আর কইতে। সা’লী কাকন রে দেখছিলাম গতবছর। দেইখাই ভাবছিলাম এক রাইতের জন্য হইলেও কাছে আনমু। কিন্তু তোর ভাই এর জন্য তাও হইবো না।সা’লা রুহুল সিরাজী সব ই পাইলো। রানী ও পাইলো কয়দিন পর রাজত্বও পাইবো।”

হেলাল বললো,”সে আর কইতে। ও বিদেশ যাইতে চাইলো গেলেই ভালো তো। বুইড়া আর বুড়ি ই তো ওরে ঠেকাইলো।”

জামাল ভীতু গলায় বলল, “আস্তে কথা ক গাধার দল।আব্বাজান হুনলে রাস্তায় ভিক্ষা করার অবস্থায় ও থাকবি না।”

মহীবুল বাবার কথায় রেগে গেলো,-” ফকির ই হমু কয়দিন পর। আপনি যদি ঠিক থাকতেন তাইলে আমার কাধেই সব দায়িত্ব দিতো ওই দুলাল সিরাজী।আপনে আর কথা কইয়েন না আব্বা।”

জামাল ছেলের পিঠে হাত বুলালো আর বললো,”আহ বাপ চেতোস কেন।সঠিক সময় আইতে দে সব ঠিক হইবো। তুই আমার কইলজা। রাগ করে না বাপ।সব তো তোর ই।”

জামালের ছেলের প্রতি ভালোবাসা দেখে হেলাল মন খারাপ করলো।তার বাবা রুহুল কে বেশি ভালোবাসতো। তাই মহীবুলকে বলল,”চাচাজান তাও তরে ভালোবসে মহী। আর আমার নিজের বাপ সারাজীবন খালি রুহুল রুহুল ই করছে। মানলাম ও আমার সৎ ভাই। কিন্তু আব্বা সে তো আমার নিজের বাপ। সারাজীবন ওই রুহুলের সাথেই তুলনা কইরা গেছে। ওই রুহুলের ভালো কাম এর জন্য খোটা শুনতে শুনতেই বড় হইলাম।রুহুল ব্যবসায় উন্নতি করছে, বুদ্ধি দিছে সব কামে এই জন্য আমারেই কতাহ শুনাইতো।ওরে দেখলেই আমার রগ খাড়া হইয়া যায়। ইচ্ছা করে খুন কইরা ফালাই। ”

জামাল নিজের গ্লাস টা হেলাল কে দিলো আর বললো, “শোন হেলাল তরে আমি মহীর মতোই ভালোবাসি। তর আব্বার থিকা ও বেশি। ”

হেলাল সাই দিলো,” হ্যাঁ চাচাজান আমি জানি। আপনে আমার আব্বার চেয়েও আপন।”

জামাল বললো,”হ্যাঁ বাজান এই জন্যই তো তরে কই আমার কথা মতো চলতে।তয় তুই এখন যা। শুইয়া পড় গা।বহুত রাইত হইছে। রুহুল রে মা’রার জন্য তোর সুস্থ থাকতে হইব।একটু পর আমরা আসমু। একসাথে গেলে সন্দেহ করবো।”

হেলাল যেন চাচার ইশারায় চলা কুকুর। ওমনি বললো,” আচ্ছা চাচা আমি গেলাম।” বলেই ঢুলতে ঢুলতে চলে গেলো।
(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)

হেলালের যাওয়ার পর মহীবুল বললো,” আব্বা,,এই হেলাল কিন্তু আমাগোর ডিম পারা হাস। ওরে দিয়াই সবাইরে খতম করমু। হাহাহা”

জামাল শয়তানি হাসি দিয়ে বললো,” সে আর কইতে। ছাড়ুম না কাউরে ছাড়ুম না। কাটা দিয়া কাটা তুলুম। ওর বাপে আমার থিকা সব অধিকার কাইড়া নিছিলো আর এখন ওর ভাই তর থিকা সব নিবার চায়। ওরে দিয়াই ওর ভাই রে খুন করুম।”

হবীবুল্লাহ মহীবুলের গ্লাসে মদ ঢালছে আর বললো, “ছোট সাব একখান কথা কই যা ই করেন দুলাল সিরাজী মরার পর কইরেন। সে কিন্তু বাইচা থাকতে সম্ভব না।”
মহীবুল গ্লাস টা ছুড়ে ফেলে দিলো,হবীবুল্লাহর ফতুয়ার কলার টেনে ধরে বললো,” তাইলে সবার আগে ওই বুড়া রেই মা’রুম। খুব সিঘ্রই সব কিছুর মালিক আমরা হমু।”

——————————
সুভা ঘরের বাতি নিভিয়ে সবেমাত্র বিছানায় বসেছে ওমনি দরজায় করাঘাতের শব্দ পেলো।
রুহুল এর কন্ঠে শোনা যাচ্ছে,” আম্মা,আম্মা আপনি কি জেগে আছেন?”

ছেলে এসেছে বুঝে দরজা খুলে দিলো। বললো,” আয় ভিতরে আয়। কি দরকার খোকা?”

রুহুল বললো,”ইয়ে মানে আম্মা আপনি রাতে খেয়েছেন?”
সুভা বিছানায় বসতে বসতে বললো,” হ্যাঁ,”

রুহুল মিনিট পর বললো,”না মানে আব্বা ঘুমিয়েছে?”

সুভা সন্দেহ চোখে বললো,”তুই এই কথা শোনার জন্য এসেছিস?”

রুহুল শুয়ে থাকা বাবাকে দেখে মাথা নিচু করে বললো,”আসলে আম্মা সবাই কেই তো দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। আমি চাইছিলাম তাদের কেও দাওয়াত দিতে কিন্তু তাদের কোনো খোজ তো আমি জানি না। আপনি বললে আমি দাদাজান কে যেভাবেই হোক মানিয়ে নিয়ে তাদের কেও দাওয়াত করবো এবং নিয়েও আসবো।আপনি যদি তাদের ঠিকানা টা বলতেন।”

রুহুলের কথায় সুভা যেন ক্রোধের আগুনে জ্বলে উঠলো। রাগ দমন না করেই বললো, “লজ্জা করে না তোর,, এত কিছুর পর যেতে চাস। কেনো যেতে চাস আবার রক্ত খেতে। সিরাজী মঞ্জিলের কি রক্তের পিপাসা জেগেছে আবার ।আমাকে কি শান্তি তে থাকতে দিবি না।”

মায়ের কথায় কষ্ট লাগলো রুহুলের বলল,” আম্মা ভুল বুঝছেনন কেন। আমি তো আপনার জন্যই …..”

সুভা তীব্র ঘৃণায় বলল,”চুপ,, চুপ কর তুই। আমি কিচ্ছু শুনতে চাই না। বের হ তুই। পরশু তোর বিয়ে খারাপ আচরণ করতে চাই না”।
(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
বলেই রুহুল কে হাত ধরে ঘর থেকে বের করে দিলো।
তোদের রক্তের ই দোষ। তোরা সব এক নর’পি’শাচ।বলে দরজা লাগিয়ে বিছানায় বসে কাদতে শুরু করলো সুভা।ভিষণ কষ্ট হচ্ছে তার ভিতরে।
সুভাঃ কেন মা কেন,, কেন আমার সব শেষ হইয়া গেলো।সব দোষ আমার। আমার দ্বারা এই পাপ হওয়ার আগে কেন মরলাম না আমি। মা আমার আর সহ্য হয় না। আমার মতো পাপির যে বাইচা থাকার অধিকার নাই।আমার মরণ দেও মা মরণ দেও।

বিছানায় সুয়ে থাকা বিলাল সিরাজী সুভা কে চেয়ে চেয়ে দেখছে। সে অচল- অক্ষম, কিছুই করার নাই তার। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখাই যেন তার রাজ কার্য।

চলবে………..

#দেবী
#Srotoswini_স্রোতস্বীনি

বিদ্রঃ দয়া করে কেউ কপি করবেন না। ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

®️ Srotoswini-স্রোতস্বীনি ✍️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here