দূর আলাপন,পর্ব:১৩

0
419

দূর আলাপন
পর্ব-১৩
_____________
আফরিন তিতিক্ষার ঘরের সামনে এসে দাঁড়িয়ে রইল। এই অসময়েও ঘরের দরজাটা ভিড়ানো। হঠাৎ দরজা ঠেলে ভেতরে যাওয়ার সাহস করে উঠতে পারল না সে। ইতস্তত করতে লাগল। তারপর খানিক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে নিরুপায় হয়ে বেশ শব্দ করেই দরজাটা খুলে আস্তে আস্তে সে পা বাড়াল ভেতরে।

মাগরিবের সালাত শেষে তিতিক্ষা শুয়ে ছিল বিছানায়। আজ বহুদিন পর সে বিছানায় এসে শুয়েছে। নাহয় এই কয়েক মাস যাবৎ ওই সফেদ ঠান্ডা মেঝেই ছিল ওর বিছানা। তার শরীর গরম, গায়ে হালকা জ্বর। তিহার অনেক চেঁচামেচি আর নিষেধের পর তাই আজ তাকে বাধ্য হয়ে শুতে হয়েছে বিছানায় এসে।

দেয়ালের দিকে মুখ করে চোখ বুজে শুয়েছিল তিতিক্ষা। বাম চোখ বেয়ে ক্রমাগত পানি পড়ে যাচ্ছে। সবসময়ই হয় এমনটা। আজকাল কারণ ছাড়াই চোখ তার ভেজা থাকে সবসময়। ঘরে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে সন্তর্পণে সে ডান হাতের তর্জনী দ্বারা মুছে নিল চোখের জলটুকু। তারপর পাশ ফিরে শুল। তাকিয়ে দেখল আফরিন কেমন স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার চোখের দৃষ্টি কিছুটা ভীত। তিতিক্ষা সহসা মিষ্টি করে হাসল। হাত বাড়িয়ে বলল, ‘এসো আফরিন। এখানে এসে বসো।’

আফরিন কলের পুতুলের মত এসে বসল সিথানে, তিতিক্ষার মাথার কাছে। তিহার মুখে তিতিক্ষার অসুস্থতার কথা শুনে সে একাই এসেছিল তিতিক্ষার ঘরে তার সাথে দেখা করতে। কিন্তু অসুস্থতাটা ঠিক কি, সে তার জানা ছিল না। এবং অসুস্থতা যাই হোক, সে নিয়ে তার ভাবনাও ছিল না। কিন্তু তিতিক্ষার ঘরে এসেই সে একটা ধাক্কা খেল। এসেই তার মনে হল কি যেন একটা বড় ব্যাপার ঘটে গেছে। যেন এক ঝড় লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেছে সবকিছু। নাহয় তিতিক্ষা আর তার এই ঘর তো এমন ছিল না আগে। এত বদলে গেল কি করে? পুর ঘর জুড়ে কেবল ওই কালো, পুরনো দিনের উঁচু পালঙ্কটা, একটা আলমিরা আর একটা বইয়ের তাক। তাছাড়া ছিল একটা ড্রেসিং টেবিল। সেদিন কাঁচ ভেঙে ফেলার পর সরিয়ে নেয়া হয়েছে সেটা। আগের সেই স্নিগ্ধ ভাবটাও আর নেই ঘরে। গুমোট পরিবেশ। আবহাওয়া টা এমন, যেন এখানে একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে সবসময়। আফরিনের সম্বিৎ ফিরল হাতে তিতিক্ষার স্পর্শ পেয়ে।
তিতিক্ষা তার রেশমি চুড়ি পড়া রাঙা হাতে নিজের ফ্যাকাসে সাদা ছুঁইয়ে শীতল স্বরে জিগ্যেস করল, ‘কেমন আছো?’
অস্বস্তি নিয়ে মৃদু হাসল আফরিন। নিচু স্বরে মাথা ঝাঁকিয়ে বলল, ‘ভালো। আপনি?’
এইবার তিতিক্ষাও মৃদু হাসল। আসলেই তো! কেমন আছে সে? নিজেরও তো জানা নেই। তবে যেমনই থাকুক, এর চেয়েও কি করুণ হতে পারত না তার অবস্থা? ক’জনই বা তার মত শুয়ে বসে এভাবেই নিজের ভীষণ দুঃখে, তার বিলাস করতে পারে নিশ্চিন্তে? সেই অবসর টুকুও তো জোটে না সবার কপালে। তবে সে কি করে বলে যে সে ভালো নেই? এত বড় অকৃতজ্ঞতা তো সে করতে পারে না আল্লাহর সাথে। তিতিক্ষা মনে মনে শুকরিয়া গুজার করে আল্লাহ তায়ালার কাছে। তারপর মুখে বলে, ‘আলহামদুলিল্লাহ।’
বলে সে চুপ হয়ে যায় স্বভাবমত। অন্যমনস্ক হয়ে কিসব ভাবতে শুরু করে কপালে ঈষৎ ভাজ ফেলে। পাশে বসে থাকা আফরিনের কথা আর খেয়াল থাকে না তার।

আফরিন আড়চোখে তাকিয়ে দেখে তিতিক্ষা কে। তার কিশোরী মন ছটফট করে কথা বলার জন্য। সে ভেবেছিল আজ তিতিক্ষার সাথে খুব জমিয়ে তার বিয়ের গল্পটা করবে। মিনহাজের সাথে তার বিয়েটা বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে পুরো গ্রাম জুড়ে। তার সৎ মায়ের ধারণা ছিল শেষ অবধি কোনো এক দিন খাটা কামলা মজুরের ঘাড়ে ঝুলতে হবে আফরিনকে। গ্রাম বাসিরও তাই ধারণা। কিন্তু সৎ মায়ের এবং পুরো গ্রাম বাসির ধারণার মুখে ছাই দিয়ে আফরিন বিয়ে করেছে এক বিদেশ ফেরত শহুরে ছেলেকে। মিনহাজের জন্ম গ্রামে হলেও সে শহরেই মানুষ। সিঙ্গাপুরে গিয়েও ছিল সেখানে বেশ কিছুদিন। তারপর আবার দেশে ফিরে ব্যাবসায় ঢুকেছে।
গ্রামের অনেক ছেলের সাথেই প্রেম প্রেম খেলা চলত আফরিনের। সৎমায়ের এত অত্যাচার আর সবার কাছে পাওয়া মাত্রাতিত অবহেলার মাঝে এভাবেই নিজের সুখ খুঁজে নিয়েছিল সে। তার মায়াবী মুখশ্রী আর মোহনীয় চোখের ওই কটাক্ষ দেখে অনেক ছেলেই পাগলপারা হত। আফরিনও তাদের দূর্বলতা টের পেয়ে সুযোগের সৎ ব্যাবহার করত। তার যাবতীয় প্রসাধনী ও বিলাসিতার খরচ যুগতো তার সেই মিথ্যে প্রেমের সত্যিকারের প্রেমিক গুলোর থেকেই!
এভাবে মিনহাজকেও জালে আটকেছিল সে। কিন্তু একসময় দেখা গেল মিনহাজের চেয়েও বড় জালে সে নিজে আটকা পড়েছে। ফাঁদ না পেতেও মিনহাজ তার মন হরণ করে নিয়েছে। তারপর আফরিন আর খেলা নয়, বুঝল সত্যিই ভালোবেসে ফেলেছে সে মিনহাজকে। মিনহাজ কালো, দেখতে অসুন্দর এবং মা হারা। বাবা তার আরেকটা বিয়ে করেছে। গ্রামে থাকা তাই তার আর চলে না। ইতোমধ্যে ব্যাবসা করে ভালো উন্নতি করেছে সে। ঢাকায় নিজের বাড়িও নিয়েছে। তখন পুরো গ্রামকে অবাক করে দিয়ে বিয়ে হল আফরিন আর মিনহাজের। গ্রামের অনেক মেয়ের বাবারই আশাভঙ্গ হল।
আফরিন ভেবেছিল আজ মিনহাজের মাথা খাওয়ার সেই বিস্ময়কর ইতিহাস টা আগাগোড়া সে বলে শোনাবে তিতিক্ষা কে। কিন্তু তিতিক্ষার দিক থেকে কোন সারা পাওয়া গেল না আর। আফরিন তখন শাড়িতে আঙুল পেচাতে পেচাতে চেয়ে দেখতে লাগল তিতিক্ষাকে।
ভীষণ সাদা ফ্যাকাসে মুখের ওপর এখানে সেখানে লাল লাল আঁচড়। অবগুণ্ঠিত মাথার লম্বা খোলা চুল পাশের বালিশের ওপর এলানো। তার কিছু অংশ এলোমেলো হয়ে ছড়িয়ে আছে মুখের ওপর। চোখের ওপর-নিচে গাঢ় বাদামি রেখা আর ঠোঁট জোড়া ভয়ানক লাল। যেন লিপস্টিক মাখানো। পড়নে হালকা ধূসর রঙা একটা সুতির কুর্তি। জামার রঙ যেন মিশে গেছে তার শরীরের রঙে। যেন এক আসমানী পরী শুয়ে আছে, ভীষণ দুঃখে ক্লান্ত যার মন, মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় উদাস যার দৃষ্টি। আফরিনের চোখ ধাধিয়ে যায় সেই বন্দিনী অভিশপ্ত আসমানী পরীর দিকে চেয়ে।
তিতিক্ষা তখন সামনের দেয়ালে একদৃষ্টে তাকিয়ে অনবরত বিরবির করে চলেছে নানান কথা।
আফরিনের চোখে বিস্ময়। কি হয়েছে তিতিক্ষার? সে যে স্বাভাবিক নেই তা বুঝতে বাকি নেই তার। কিন্তু এত বদলে গেল কি করে মেয়েটা? কোনো বড় অসুখ কি করেছে তার? তিহা কি তবে তাকে জানাতে চাইছে না সেসব? আফরিন আনমনেই হাত দেয় তিতিক্ষার কপালে। সাথে সাথে চমকে ওঠে সে। তিতিক্ষার গায়ে ভীষণ জ্বর। আফরিন ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায়।

নিনাদের সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। গত ছ’দিনে অসংখ্য বার কল করেছেন শিউলি বেগম। ওপাশ থেকে জবাব আসে নি একবারও। সেই নিয়ে তিনি খানিক চিন্তিত। তিহাকে সেকথাই বলছিলেন তিনি। তিহা নিশ্চুপ। সেদিন রাতেই নিনাদের সাথে তার শেষ কথা হয়েছিল। যেদিন সে নিনাদকে জানিয়েছিল এসবকিছু। এরপর কাজের চাপে আর কল করা হয়ে ওঠে নি।
কিন্তু নিনাদ কেন হঠাৎ যোগাযোগ বন্ধ করল? ফুআম্মা কেমন মানুষ সে তো তার অজানা নয়। তিনি যে ভীষণ চিন্তায় পড়ে যাবেন জানার পরও তবে কেন এই ছেলেমানুষী? নিনাদ ঠিক আছে তো। কোন অসুখে পরে নি তো আবার? তিহা ভাবছিল। আফরিনের ডাকে সে সম্বিৎ ফিরে পায়। তিতিক্ষার জ্বরের কথাটা আফরিন তাকে জানায় চিন্তিত মুখে । তিহা তৎক্ষনাৎ উঠে পা বাড়ায় বোনের ঘরের দিকে। শিউলি বেগম আর আফরিনও ছোটে পেছন পেছন।

তিহা বোনের কাছে এসে কপালে হাত রেখে দেখে। তারপর দ্রুত একটা রুমাল ভিজিয়ে এনে কপালে দিয়ে সে ব্যাস্ত হয়ে পরে বোনকে নিয়েই। কখনো হাত পা মালিশ করে দেয়, কখনো মাথায় হাত বুলাতে থাকে। শিউলি বেগম অবাক চোখে তাকিয়ে ছিলেন তিতিক্ষার মুখের দিকে। তিহার ব্যগ্রতা দেখে তার কপালে ভাজ পড়ে এবার। তিতিক্ষাকে দেখেও তো মনে হচ্ছে মানসিক ভাবে পুরোপুরি সুস্থ নয় মেয়েটা। শুধু বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় কোন মেয়ে কি এতটা প্রভাবিত হতে পারে? প্রেমের বিয়ে হলেও নাহয় একটা কথা ছিল! তবে এদের ব্যাপারখানা কি?

নিনাদের কথা সেদিন চাপা পরে যায়। শিউলি বেগম আফরিনকে নিয়ে ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যাস্ত হয়ে ওঠেন। রাত বাড়ছে। আবহাওয়া ভালো নয়। তাই খানিকপর চলে যান তারা।
বাইরে বৈশাখের তান্ডব শুরু হয়েছে তখন। থেকে থেকে মেঘের ভীষণ গুড়ুম গুড়ুম শব্দ আর জোড়াল বাতাস। ঝড়ের ইঙ্গিত পুরো রাতের আকাশ জুড়ে। তিতিক্ষার জ্বরও রাত্রির গভীরতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তিহা চিন্তিত মুখে বসে আছে বোনের সিথানের ধারে। মারুফ সাহেব ছোটনকে নিয়ে ঘুমোচ্ছেন পাশের ঘরে। আর এ ঘরে তিতিক্ষা জ্বরের ঘোরে অনবরত বলে চলেছে আবোলতাবোল কথা।

তিহা তখন আনমনেই হিশেব মেলাতে বসে জীবনে তার সকল প্রাপ্তি -অপ্রাপ্তির। শুরু থেকেই জীবনটা তার গোছানো, সুন্দর। মা মারা গেলেন অল্প বয়সে, মা হারা তিতিক্ষা জীবনের কঠিনতম পরীক্ষা দিচ্ছে এখন, বাবা মারুফ সাহেবও পুরোপুরি সুস্থ নন। শরীরে তার নানান জটিল রোগ বাসা বেঁধেছে। রাতের পর রাত তার নির্ঘুম কাটে। ছটফট করেন তিনি যন্ত্রণায়। অথচ তাদের এত কাছে থেকে তিহা তাদের যন্ত্রণার ভাগই নেয় শুধু। তার নিজের কোনো কষ্ট নেই। ছোট বেলায় সে পেয়েছে বাবা মায়ের আদর, বড় হয়ে পেয়েছে সৎ একজন স্বামী, তিহার একবিন্দু চোখের জল যে সইতে পারে না। তারপর এসেছে ছোটন, তার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। জীবনে তো নিজস্ব কোন দুঃখ তার নেই। কেন তবে তার প্রতিই আল্লাহর এই বিশেষ অনুগ্রহ? তিহা ভাবে। আল্লাহর কাছে প্রিয় হওয়ার মত কোন কাজই তো সে করেনি কোনদিন। তবুও সবসময় একটা নিয়মের মধ্যে আছে তার জীবন। যে জীবনে কখনো ঝড় আসে না। পরন্তু তার পাশেই তার ছোট বোন দিয়ে চলেছে কঠিন পরীক্ষা।
তিহা সমাচ্ছন্ন হয়ে বসে থাকে অনেকক্ষণ। বাইরে তখন ঝড় প্রবল। লোডশেডিং হয়েছে। বাতি জ্বালানোর কথা তিহার খেয়াল থাকে না। বোনের সিওরে বসে দুহাত একত্রে তুলে হঠাৎ সে মোনাজাত ধরে। তার হাত কাঁপতে থাকে, চোখ বেয়ে ঝরঝর করে পানি ঝরে যায় ঝর্ণা ধারার মত। গুনগুন করে সে বলে, ‘আল্লাহ, না চাইতেও সারাজীবন আপনি আমাকে দিয়ে গেছেন সব। কোনদিন আপনার দুয়ারে শুকরিয়া জানাই নি এত নিয়ামতের জন্য। আজ আপনার এই অধম বান্দা হাত তুলেছে আপনার দুয়ারে। আপনি ফিরিয়ে দিবেন না। কবুল করে নিন মালিক। আমাকে সবর , ধৈর্য দিন। আর নিজেকে বদলে ফেলার তৌফিক দিন। যেন আমি আপনার সন্তুষ্টি অর্জনের যোগ্য হতে পারি। আর আমি চাইব না কিছু কোনদিন।’
তখন অদূরে কোথাও একটা বাজ পরল। তিহা একটু কেঁপে ওঠে। মুখে হাত রেখে সে কেঁদে চলে অনবরত। আরশের মালিক কি তার মত পাপী বান্দার কথা শুনবেন? সে যে ভীষণ পাপী, সারাজীবন অবাধ্য থেকেছে আল্লাহর। না শুনুক, আজ থেকে সে বদলে যাবে, সব সে করবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। ক’দিন ফিরিয়ে দেবেন তিনি? তার দয়ার বিশালতা যে সমুদ্রের চেয়েও অসীম।

কেমন অদ্ভুত, অপরিচিত এক ঘোরে যেন চলে যায় তিহা। পাশে তিতিক্ষা শুয়ে জ্বরের ঘোরে গোঙাতে থাকে। তার উষ্ণ দেহের উত্তপ্ত আঁচ তিহার গায়েও অনুভূত হয়। কিন্তু সে খেয়াল করে না। কি যেন ভাবতে থাকে।
তার ধ্যান ভাঙ্গে ফোনকলের আওয়াজে। তিহা অবাক হয়। তখন শেষরাত। কে এই রাত্রে ফোন করেছে। ফোন হাতে নিয়ে দেখে একটা বিদেশি নাম্বার। সে কাঁপা কাঁপা হাতে ফোন রিসিভ করে। ওপাশ থেকে একটি অপরিচিত কণ্ঠস্বর তখন বলে ওঠে, ‘আপনি কি তিহা?’
-‘হ্যাঁ ‘
-দুঃখীত। বড় অসময়ে ফোন করে ফেললাম। বাংলাদেশে তো এখন বোধহয় মধ্যরাত। তাইনা?’
-‘মধ্যরাতও শেষ। এখন শেষরাত। ভোর হবে খানিক বাদেই।’
-‘আসলে এতটা ভয়ে ছিলাম যে সময়ের হিশেব টা খেয়াল করারও সময় ছিল না। আসল কথাটা বলি। আপনি তো নিনাদের খুব কাছের মানুষ। প্লিজ শুনবেন মনোযোগ দিয়ে। ‘
তিহার হৃদকম্পন হঠাৎ বেড়ে যায়। সে বসে যাওয়া গলায় বলে, ‘ কি হয়েছে আমাকে বলুন।’
সেই অপরিচিত কণ্ঠস্বরে কেমন কোমলতা নেমে আসে। সে একটা নিশ্বাস ফেলে বলে,’ নিনাদের কি হয়েছে আমরা জানি না। তবে সে একদম ভালো নেই। গতকাল রাতে আমরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।’
চলবে……

★অদ্রিজা আশয়ারী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here