তোমার_তুমিতেই_আমার_প্রাপ্তি লেখক-এ রহমান পর্ব ১৭

0
899

তোমার_তুমিতেই_আমার_প্রাপ্তি
লেখক-এ রহমান
পর্ব ১৭

দুপুর ১ টা বাজে হয়তো। আকাশে সূর্যের দেখা নেই। মাঝে মাঝে কোথা থেকে কালো মেঘ এসে ভিড় করছে। আবার নিজের মতো হারিয়ে যাচ্ছে কোথায় যেন। দেখে মনে হচ্ছে খানিকবাদেই বৃষ্টি নামবে। এতক্ষন দমকা বাতাস এসে সব কিছু এলোমেলো করে দিয়ে এবার একটু শান্ত হল। কলেজের পাশেই রুফ টপের রেস্টুরেন্টে বসে আছে ঈশা। খোলা আকাশের নিচে সারি সারি টেবিল। ছাদের কিনার ঘেসে একটা টেবিলে বসলেই প্রায় সারা শহরটা দেখা যায়। মন ভরে যায় সেই দৃশ্য চোখে পড়লেই। ঈশার বেশ পছন্দের জায়গা এটা। কিন্তু এই পছন্দের জায়গাটাও এখন বিষিয়ে উঠছে ঈশার কাছে। কারন তার সামনে বসে থাকা ইফতির জন্য। তার সামনে একটা চেয়ারে মাথা নিচু করে বসে আছে ইফতি। ঈশা জুসের গ্লাসে রাখা স্ট্রটা দুই আঙ্গুলে চেপে ধরে এদিক সেদিক ঘুরাচ্ছে। আর সেদিকে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে আছে। গভির চিন্তায় মগ্ন ঈশাকে দেখে ইফতি আমতা আমতা করে বলল
–ঈ…ঈশা।

–চুম একদম চুপ। একটা কথা বললে একদম খুন করে ফেলবো।

গর্জে উঠে কথাটা বলতেই ইফতি পুরোই দমে গেলো। মাথা নিচু করে বসে পড়লো আবার আগের মতো। তার ডান পাশে বসে থাকা মিরাকে উদ্দেশ্য করে ঈশা বলল
–তুমি কি দেখে এই বলদটার প্রেমে পড়েছিলে? দুনিয়াতে আর কোন ছেলে ছিল না?

মিরা মাথা নিচু করে কাঁদো কাঁদো গলায় বলল
–আ…আসলে আ…আপু……।

তাকে থামিয়ে দিলো ঈশা। ইফতির দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল
–তোর গার্ল ফ্রেন্ডের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে আর তুই জানিস না? কি অদ্ভুত মানুষ তুই ইফতি। আগে ওর কথা সবাইকে বললে কিছু একটা ব্যবস্থা করা জেতনা? দুইদিন পর ওর বিয়ে আর আজ তোরা……।

ঈশা কথা শেষ করতে পারলো না। তার আগেই ইভান হন্তদন্ত করে আসল। প্রচণ্ড অস্থির সে। তাকে দেখে ইফতি ভয়ে চুপসে গেলো। শুকনো ঢোক গিলে চুপচাপ বসে থাকলো। ঈশা ইভান কে দেখে নিজেকে স্বাভাবিক করে নিয়ে একটা হাসি দিলো। ঈশার সেই হাসি দেখে ইভান স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। ঈশার পাশে চেয়ারে বসে বলল
–এভ্রিথিং অল রাইট?

ঈশা ইভানের দিকে তার জুসের গ্লাসটা এগিয়ে দিলো। শান্ত সরে বলল
–রিলাক্স! সব ঠিক আছে। খাও।

ইভান জুসের গ্লাসটার দিকে তাকাল। অর্ধেকটা ঈশা খেয়েছে। সে একটু হেসে বাকিটাতে চুমুক দিতেই তার সামনের চেয়ারে বসে থাকা মেয়েটাকে চোখে পড়লো। আগে কখনও দেখেনি। মেয়েটা মাথা নিচু করে বসে আছে। জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলছে। দেখেই মনে হচ্ছে কোন কারনে প্রচণ্ড ভয় পাচ্ছে। গ্লাসটা রেখে ঈশার দিকে তাকাল। ভ্রু নাচিয়ে জানতে চাইল মেয়েটা কে। ঈশা বুঝতে পেরে বলল
–ও মিরা। ইফতির ফ্রেন্ড।

ইভান ভ্রু কুচকাল। ইফতি আর ঈশা ছোট থেকেই একসাথে পড়াশোনা করে। ওদের দুজনের ফ্রেন্ড একি। কাজেই ইফতির ফ্রেন্ড হলে ঈশারও হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এভাবে ঈশার কথা বলার কারণটা ইভান বুঝতে পারলো না। জিজ্ঞেস করেই বসলো
–শুধু ইফতির ফ্রেন্ড?

ঈশা ইফতি দুজনে তার কথার মানে বুঝতে পারলো। দুজন দুজনের দিকে তাকাল। ইভান দুজনের দিকে তাকিয়েই বুঝতে পারলো কিছু একটা বিষয় আছে। শীতল কণ্ঠে ডাকল
–ঈশা!

ঈশা কেঁপে উঠলো। ইভানের দিকে তাকাল। ইভান শান্ত দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে। ঈশা বুঝতে পারলো ইভান আন্দাজ করতে পারছে কিছু একটা হয়েছে। ইভান আবার ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করলো
–কি হয়েছে একদম সত্যি কথা বল।

ঈশা একটা শ্বাস নিয়ে বলল
–আচ্ছা আমরা যদি আঙ্কেলের সাথে ইফতির বিয়ে নিয়ে কথা বলি তাহলে আঙ্কেল রাজি হবেন না?

ইভান ঈশার এমন কথা শুনে যেন আকাশ থেকে পড়লো। নিজের বিয়ে নিয়েই যত ঝামেলায় ছিল। আবার এখন ইফতির বিয়ের কথা আসছে কোথা থেকে? আর তাছাড়াও ইফতি তো এখনো পড়ালেখা কমপ্লিট করেনি। সামনে ওর ফাইনাল পরিক্ষা। এখন তো এসব নিয়ে কথা বলা বোকামি ছাড়া কিছুই না। ইভান তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে ঈশার দিকে তাকাল। ঈশা তার সেই দৃষ্টি উপেক্ষা করে আবার বলল
–তুমি বলবে আঙ্কেল কে?

ইভান কিছুক্ষন চুপ করে ভাবল। তারপর নিজের মুখে প্রশস্ত হাসি টেনে বলল
–থাপ্পড় খেয়েছ?

ঈশা তার কথা বুঝতে না পেরে না সুচক মাথা নাড়াল। ইভান আবার জিজ্ঞেস করলো
–ইচ্ছে আছে?

এবার ঈশা বুঝতে পারলো। ভ্রু কুচকে বলল
–আমার থাপ্পড় খাওয়ার সাথে ইফতির বিয়ের কি সম্পর্ক?

ইভান খুব শান্ত সরে বলল
–পাগলেরা যখন পাগলামি করে তখন তাদেরকে থাপ্পড় দিয়ে সোজা করতে হয়। এই যে এখন তুমি পাগলামি করছ তাই তোমার এখন থাপ্পড় থেরাপি প্রয়োজন।

ঈশা কথাটা শুনে পুরোপুরি বোকা হয়ে গেলো। সে কিছু বলতে যাবে তার আগেই ইভান গম্ভীর গলায় বলল
–কি চলছে তোদের দুজনের মধ্যে? পুরোটা খুলে বল। যত দেরি করবি তত শাস্তি বাড়বে। ফাস্ট!

ঈশা এবার আর কোন ভুমিকা না করে বলতে শুরু করলো।
–আসলে মিরার সাথে ইফতির এক বছরের রিলেশন। কিন্তু কিছুদিন আগে মিরার বাবা মা তাকে না জানিয়েই তার জন্য ছেলে পছন্দ করেছে। আর মিরা সেটা জানতে পেরে বিয়েতে না করে দিয়েছে। কিন্তু তারা মিরার উপর মানসিক ভাবে অত্যাচার করে। ওই ছেলের সাথেই বিয়ে করতে বাধ্য করে। আর মিরা সেটা মানতে না পেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে।

–হোয়াট?

ঈশার কথা শুনে ইভান প্রায় চেচিয়ে কথাটা বলে। সবাই এক রকম কেঁপে উঠে। ইভান তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে ইফতির দিকে তাকায়। তারপর ঈশার দিকে তাকিয়ে বলে
–আব্বু জানতে পারলে কি হবে ধারনা আছে তোদের?

ঈশা কাঁদো কাঁদো গলায় বলে
–আছে জন্যই তো তোমাকে বলছি বলতে।

–আমি কি তোর মতো পাগল?

কথাটা বলেই নিজের মাথায় হাত দিয়ে চেপে ধরে ইভান আবার বলল
–আমার বিয়ের বিষয়টাই এখনো পেন্ডিং! তার মধ্যে এখন নতুন ঝামেলা। আমার বিয়ে নিয়েই তো আমি আব্বুকে কিছু বলিনি। আর তোর কি কোন ধারনা আছে এই সময় আব্বুকে ওর বিয়ের কথাটা জানালে কিভাবে রিয়াক্ট করবে। সামনে ফাইনাল পরিক্ষা। তাছাড়াও ও তো এখনো নিজেকেই সামলাতে শিখেনি। বউ কিভাবে সামলাবে?

ঈশা এবার করুন সুরে বলল
–প্লিজ! ঠাণ্ডা মাথায় একটু ভাবো। কিছু তো একটা করতেই হবে। মেয়েটার কথা একবার ভাবো। প্লিজ!

ইভান কিছু বলতে চেয়েও পারলো না। কারন সে ঈশার এমন করুন সুরের আবদারে কখনও না বলতে পারেনা। সে মেয়েটার দিকে তাকাল। নিচের দিকে মুখ রেখেই অঝরে কেদে যাচ্ছে। সে ভালো করেই মেয়েটার মনের অবস্থা বুঝতে পারছে। কারন এই পরিস্থিতির স্বীকার সে নিজেও হয়েছে। সে চায়না মেয়েটাও তার মতো কষ্ট পাক। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল
–তোর গার্ল ফ্রেন্ডের বিয়ে হচ্ছে আর তুই সেসব কিছুই জানিস না? এটা কেমন ভালবাসা রে ভাই? তুই আমাকে দেখেও কিছু শিখতে পারিস নি। আমি ঈশার প্রতিটা পদক্ষেপ সম্পর্কে ধারনা রাখি। ওর প্রতিটা নিঃশ্বাসের হিসাব আমার কাছে আছে। ওকে কিভাবে সামালতে হয় সেটাও আমার ভালো করেই জানা। আর আমার ভাই হয়ে তুই কিনা।

বলেই আবার একটা তপ্ত শ্বাস ছাড়ল ইভান। মাথা তুলে ঈশার দিকে তাকাতেই দেখল অদ্ভুত ভাবে ঈশা তার দিকে তাকিয়ে আছে। কিছু একটা ভেবে ইভান হাসল। ঈশার চোখে চোখ রেখে বলল
–আমাকে যেভাবে কনভেন্স করলি আব্বুকে করতে পারবি?

ঈশা বিষম খেলো। মোটামুটি জোরেই বলল
–কি বলছ এসব?

ইভান আশে পাশে তাকিয়ে গলা নামিয়ে বলল
–আসতে কথা বল। তোকে কাউকে খুন করতে বলিনি। জাস্ট আব্বুকে বুঝিয়ে বলবি। আর আমি জানি তুই বুঝিয়ে বললেই এক মাত্র কাজ হবে।

ঈশা কি বলবে সে বুঝতে পারছে না। ইমতিয়াজ রহমান কে সে ভয় পায়না কিন্তু তবুও কেমন জানি সংকোচ হয় ওনার সাথে কথা বলতে। আর উনি যদি ভেবে বসে যে এখনো বিয়েই হয়নি তাতেই এই মেয়ে সংসারে খবরদারি করতে এসেছে। এভাবে তাকে ফাসিয়ে দেয়াটা কি ইভানের ঠিক হচ্ছে? ইভান ঈশার হাতে হাত রাখল। খুব শান্ত ভাবে বলল
–আমি থাকবো তো তোর সাথে। তুই শুধু বলবি। আমি তো তোকে কখনও একা ছাড়বো না।

ঈশা ভাবনায় ডুবে গেলো। কিভাবে বলবে আর কোথা থেকে শুরু করবে। ইভান বুঝতে পেরে বলল
–আমি তোকে কখনই এমন কোন সিচুয়েশনে ফেলবো না যাতে তুই কোন প্রবলেমে পড়িস। আমি তোকে সব সময় সব সিচুয়েশন থেকে রক্ষা করেছি আর ভবিষ্যতেও করবো।

ইভানের কথা শুনে ঈশা হাসল। অদ্ভুত মানুষ আর কি অদ্ভুত ভালবাসা তার। এতো কিছুর পরেও সে এভাবে ভালবাসতে পারে? কোথা থেকে আসে এই ভালবাসা? যাকে বলে একদম নিখুত ভালবাসা। ভাবনার মাঝেই হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হল। এক পাশের ছাউনি দেখে সবাই সেদিকেই গেলো। কিন্তু ঈশা বসে থাকলো। সে তার ভাবনার মাঝেই ডুবে আছে। তাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো। বিরক্তিকর দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল
–ম্যাডাম! কখনো তো একটু বাস্তবে ফিরে আসেন। সব সময় এভাবে কল্পনায় থাকলে কিভাবে হবে বলেন। সেদিনও এভাবে আবেগের সাগরে ভেসে অসুস্থ হয়ে গেলেন। আজও কি সেরকম ইচ্ছা আছে নাকি?

ঈশা কিছু বলল না। ইভান বিরক্তিকর শ্বাস ছেড়ে আরেকদিকে ফিরে তাকাল। ঈশা সামনে তাকিয়ে বৃষ্টি দেখছে। কি অদ্ভুত দৃশ্য! বরাবর এই বৃষ্টির মাঝে হারিয়ে যায় ঈশা। অবেলার বৃষ্টি আজ তার খুব মন কেড়েছে। ঈশা চোখ বন্ধ করে হাসল। সামনের ছোট ছোট চুল গুলো এসে চোখে মুখে পড়ছে। এক অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য যেন উপভোগ করছে ইভান। এক দৃষ্টিতে ঈশার দিকে তাকিয়েই আছে সে। বেশ খানিকটা সময় তাকিয়ে থেকে আনমনেই বলে উঠলো
–এই মহময়ি রুপের দহনে আমি এমনিতেই দগ্ধ। আর পোড়ার ক্ষমতা যে আমার নাই।

চোখ খুলে ফেলল ঈশা। ইভানের দিকে তাকাল। সেই চাহুনি যে ঈশার ভিতরে সব কিছু এলোমেলো করে দিলো মুহূর্তেই। সে চোখ নামিয়ে নিলো। ইভান চোখ ফিরিয়ে সামনে তাকাল।

–শুষ্ক মরুভুমিতে যে প্রেমের বর্ষণ ঘটায় তার মুখে কি এসব দহনের কথা মানায়? তোমাকে নিজের রুপে পুড়িয়ে আবার মুহূর্তেই প্রেমের বর্ষণে শীতল করার ক্ষমতা আমি রাখি। তাহলে সেই দহন কি তোমার কাম্য নয়?

কথাটা ইভানের কানে আসতেই সে মুহূর্তে ঘুরে তাকাল ঈশার দিকে। ঈশা সামনে তাকিয়ে আছে। ইভান অবাক চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে। ঈশা তার দিকে না তাকিয়েও বেশ বুঝতে পারছে ইভান তাকেই দেখছে। সামনে তাকিয়েই একটু হেসে ইভান কে বলল
–এভাবেই দাড়িয়ে থাকবে নাকি বাসায় যাবে। বৃষ্টি থেমে গেছে।

ইভান মাথা নামিয়ে নিশব্দে হাসল। নিচের ঠোট কামড়ে একটু হেসে বলল
–চল।

পরক্ষনেই আবার ইফতির দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল
–ওকে নিয়ে আয়।

–কোথায় ভাইয়া?

ইভান দাত কেলিয়ে বলল
–ওর হবু শশুর বাড়িতে।

ইফতি ঢোক গিলে ফেলল। ইভান ঈশার দিকে একবার তাকিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো। ঈশা ইফতির ঘাড়ে হাত দিতেই সে চমকে গেলো। ঈশা আশস্তের সুরে বলল
–রিলাক্স! আমরা আছি তো। আয়।

বলেই সেও চলে গেলো। নিচে নেমেই দেখে ইভান গাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে। ঈশা পাশে দাড়াতেই বলল
–আমাদেরকে রিকশায় যেতে হবে। গাড়িতে একটু প্রবলেম হয়েছে।

ইভানের কথা শুনে ঈশা খুব খুশি হল। এরকম বৃষ্টি ময় দিনে এরকম একজন মানুষের সাথে রিকশায় ভাবতেই কেমন অদ্ভুত অনুভুতি হচ্ছে তার। মুখে হাসি নিয়ে ইভানের দিকে তাকাতেই দেখল সে ভ্রু কুচকে তার দিকে তাকিয়ে আছে। ঈশা নিজের হাসিটাকে চেপে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করতে শুরু করলো। ইভান তার কপালে হাত দিয়ে বলল
–তুই সুস্থ আছিস তো? মানে সম্পূর্ণ সজ্ঞানে?

ঈশা বিরক্ত হল।ইভান মনে মনে হাসল। তারপর একটা রিকশা ডেকে তাতে উঠে গেলো। পিছনে আরেকটা রিকশাতে মিরা আর ইফতিও উঠলো। রিকশায় উঠার সময় নড়াচড়া করায় ঈশার চুলের খোপা খুলে যায়। সমস্ত চুল চোখে মুখে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। হাত দিয়ে সেগুলো ঠিক করতে গেলে ইভান হাত ধরে ফেলে। শান্ত কণ্ঠে বলে
–কেন?

ঈশা বুঝতে না পেরে তার দিকে তাকায়। ঈশার দিকে তাকিয়ে খুব শান্ত কণ্ঠে বলে
— থাক না কিছু জিনিস অবাধ্য। ক্ষতি নেই তো তাতে।

ঈশা চোখ ফিরিয়ে নিলো। একটু ভাবল এখন সেও যদি অবাধ্য হয়ে যায় তাহলে কেমন হবে? ইভান তার দিকে তাকিয়ে কঠিন গলায় বলল
–একটা থাপ্পড়ও এদিক সেদিকে যাবে না।

ঈশা অবাক চোখে তাকাল। ইভান কিভাবে বুঝল ওর মনের কথা। এই মানুষটাকে যতই দেখে ততই অবাক হয়ে যায় সে। এই মানুষটার কাছে প্রতিনিয়ত ভালবাসার এক নতুন সঙ্গা শেখে সে।

চলবে…………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here