বিয়ের আসরে উপস্থিত অতিথিদের সামনে সজো°রে থা°প্পড় পড়ল বেলীর গালে। বধূ সেজে বসে থাকা বেলী আচমকা আ°ঘাতে কিছু সময়ের জন্য থমকে রইল। অজান্তেই গালে হাত চলে যেতেই, প্রচন্ড চিনচিন ব্যাথা অনুভব করল। চোখ দুটো মুহূর্তেই অশ্রুতে টলমল করে উঠল। ছলছল নয়নে মাথা উঁচু করতেই, সর্বপ্রথম সীমার রাগান্বিত চোখ দুটো নজরে পড়ল। রিতাসহ উপস্থিত সবাই অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে। বেলী নিজেকে সামলে নিলো। উঠে দাঁড়াল। বিধ্বস্ত স্বরে প্রশ্ন করল,
“বড়মামি তুমি…?”
সীমা গর্জন করে উত্তর দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হলো। তার আগেই রিতা বিস্ফোরিত চেহারা নিয়ে সীমার সামনে এসে দাঁড়াল। বেলীর চোখের অশ্রুকনা গুলো গড়িয়ে গাল বেয়ে পড়ছে। মেয়েটার নুয়ে যাওয়া মুখপানে তাকিয়ে রিতার বুক ধক করে উঠল। এক হাতে মেয়েকে আঁকড়ে ধরে কর্কশ কন্ঠে বলতে লাগল,
“ভাবি, আপনি কী পেয়েছেন? যখন ইচ্ছে আমার মেয়ের গায়ে হাত তুলবেন। আবার যখন ইচ্ছে বুকে আগলে নিবেন। এক অঙ্গের কত রুপ দেখাবেন আপনি? আজ আপনার ছেলের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে। আর সেই বিয়ের আসরে ভরা মেহমানদের সামনে, আপনি আপনার পুত্রবধূর গায়ে হাত তুললেন। এটা কোন ধরনের ভদ্রতার মুখোশ, ভাবী?”
রিতার এমন সব কথায় যেন সীমার রাগ দ্বিগুণ হয়ে উঠল। সঙ্গে সঙ্গে চ্যাঁচিয়ে উঠলেন। বললেন,
“পুত্রবধূ! কে? এই মেয়েটা? জীবনে না। এই মেয়েটা কখনোই আমার ছেলের বউ হওয়ার যোগ্য ছিল না। শুধু মাত্র আমার ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে, সব মেনে নিছিলাম। অনুক্ষণে মেয়েটা প্রথমে রাফিনের জীবনটা নষ্ট করল। আর এখন আমার ছেলেটাকে আমার থেকে কেড়ে নিলো।”
বলতে বলতে কান্না করে উঠল সীমা। আর বেলীর পায়ের তলা থেকে যেন মাটি সরে গেলো। চোখ দুটো বড়বড় করে তাকিয়ে আছে সীমার দিকে। রিতাও যেন অবুঝ হয়ে গেলো। কিছু বুঝতে পারল না। রিতা অবাক স্বরে তৎক্ষনাৎ প্রশ্ন ছু°ড়ে মা°রল,
“আপনার ছেলেকে কেড়ে নিয়েছে, মানে? এইসব কি আবোল-তাবোল বলছেন? ”
সীমার ক্ষতটা যেন এবার আরো গভীর হলো। শরীরের সমস্ত রাগ মুহূর্তেই হাওয়া হয়ে গেলো। এতক্ষনের সব জোর-বল পানি হয়ে গেলো। ধপ করে বসে পড়ল মাটিতে। কান্নারত স্বরেই অসহায়ের মতো বলতে লাগল,
“আবোল-তাবোল আমি বলছি না, রিতা। আমার নীলাভ্র আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। কেনো গেছে? কোথায় গেছে? আমি কিছু জানিনা। আমি শুধু জানি, নীলাভ্র চলে গেছে। আমার ছেলে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। আমার বুকটা শূণ্য, শূন্য লাগছে রে। বিশ্বাস কর, আমি তোর মেয়ের খারাপ চাইনা। কিন্তু বেলীর জন্যই আমার ছেলেটা আমাকে ছেড়ে চলে গেলো। তাহলে, আমি বেলীকে কী করে মেনে নিব বল? কী করে?”
ভরা বিয়ের আসরটা যেন থমথমে হয়ে আছে। পিন-পতন নিরবতার মাঝে সীমার কান্নার আওয়াজ কেমন একটা শুনাচ্ছে? বেলী কাঠের মতো ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে। পা নড়ছে না। ঠোঁট গুলো কাঁপছে তিরতির করে। শরীর ক্রমশ শক্তিহীন হয়ে আসছে। চারদিকটা ঘুরছে। এ কেমন অনুভূতি? রিতাও হাটু ভে°ঙে নিচে বসে পড়ল। তার চোখ থেকে অনবরত জলরাশি গড়িয়ে পড়ছে। বেলী কয়েকপা করে পিছিয়ে যাচ্ছে। কিছুতেই নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না। কিছু একটা আকঁড়ে ধরার জন্য খুঁজে চলেছে। কিন্তু আশেপাশে এমন কোনো বস্তু নেই যে, তাকে আকঁড়ে ধরবে। পায়ের সাথে কিছু একটা লেগে পড়ে যাওয়ার আগেই কেউ একজন আঁকড়ে ধরল, বেলীকে। কোনো মতে নিজেকে সামলে চোখ তুলে তাকাল বেলী। ইশুকে দেখে নিজেকে আর সামলাতে পারল না। ইশুর দুই কাঁধে হাত রেখে চিৎকার করে বলে উঠল,
“ইশু, নিলাভ্র। নীলাভ্র কোথায়? বল না, আমার নীলাভ্র কোথায়? মামি এইসব কি বলছে?”
ইশু কাঁদছে। নিরবে। শব্দহীন কান্না। এর মধ্যেই গেট দিয়ে প্রবেশ ঘটল মেরিনা, আইরিন সহ নীলাভ্রর বাবার। বিয়ের বাড়ির আমেজটা মুহূর্তেই নষ্ট হয়ে গেলো। মেরিনা ছুটে এসে বেলীকে জড়িয়ে ধরল। একদিক দিয়ে ইশু। অন্যদিক দিয়ে মেরিনা। দুজনেই বেলীকে ধরে নিঃশব্দে কাঁদছে। আর বেলী অবাক নয়নে সবটা দেখছে। কী হচ্ছে এইসব? বার বার মস্তিস্ক প্রশ্ন করছে। কিন্তু উত্তর পাচ্ছে না। নীলাভ্রর বাবা এসে বিয়ের বাড়ির সকলের উদ্দেশ্য জোর গলায় বলে উঠল,
“আপনারা সবাই এখন আসতে পারেন। অনাকাঙ্ক্ষিত এই পরিস্থিতির জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। দয়া করে এখন আমাদের সবটা সামলে নিতে দিন।”
তার কথায় কয়েকজন সাথে সাথে বেরিয়ে গেলো। আর কয়েকজন নিরবতা ভেঙে কানাঘুষা শুরু করল। ভীড়ের মধ্য থেকে হঠাৎ একজনের কথা বেলীর কানে ভেসে আসল। সে বলছে,
“ডিভোর্সি মেয়ের আবার দ্বিতীয় বিয়ের করার সখ উঠেছিলো। একেবারে ঠিক হয়েছে।”
তার কথা শেষ হতে না হতেই দ্বিতীয় মহিলাটি বলে উঠল,
“একদম ঠিক বলেছেন, ভাবি। ওমন সুন্দর একটা ছেলের কপালে না-কি ডিভোর্সি মেয়ে জুটছিল। যতই দেখতে সুন্দর হোক। ডিভোর্সি তো। ছেলেটা চলে গিয়ে একদম ঠিক করেছে।”
প্রথম মহিলাটি সেই তালে তাল মেলানোর জন্য বলল,
“আমার কি মনে হয় জানেন, ভাবি। মেয়েটার চরিত্রের ঠিক নেই। চরিত্রে সমস্যা আছে বলেই, স্বামী ডিভোর্স দিয়েছে। নয়ত কি আর সাধে কেউ এমন সুন্দরী বউ ছাড়ে?”
দুজনের মুখেই কেমন তৃপ্তির হাসি৷ আরো কিছু নোংরা কথা বলতে বলতে তারা চলে গেলো। এদের মতো কিছু মহিলাদের জন্য সমাজের অনেক বেলী অবেলায় হারিয়ে যায়। বেলীর বুকে কথাগুলো তী°রের মতো গেঁথে যাচ্ছে। বুকের ভেতরটা কেমন চে°পে আসছে। দম বন্ধ হয়ে আসছে। চারদিকের কোনো কথা, কোনো শব্দ ওর কানে ঢুকছে না। সবাই চলে যেতেই কিছুক্ষণ চারদিকটা নিরব থাকল। সবার মুখের অবস্থা দেখে রিতার বুঝতে বাকি নেই যে, নীলাভ্রর সত্যিই কিছু হয়েছে। কিন্তু কী হয়েছে? কোথায় গেছে? প্রশ্ন গুলো মনের মধ্যে উঁকি দিতেই সে চোখ মুছে উঠে দাঁড়াল। নীলাভ্রর বাবার কাছে গিয়ে অসহায় স্বরে প্রশ্ন করল,
“ভাইজান, আপনি আমারে বলেন। কী হয়েছে? নীলাভ্র কোথায়? আপনারা সবাই এখানে। তাহলে, নীলাভ্র কোথায়? বলেন ভাইজান। আর চুপ করে থাকবেন না। দয়া করে সব খুলে বলেন।”
নীলাভ্রর বাবা একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। আইরিন সীমাকে শান্ত করার কাজে ব্যস্ত। বেলী চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে উত্তরের আশায়। কিছুক্ষণ চুপ থেকে নীলাভ্রর বাবা বলতে লাগলেন,
“নীলাভ্র বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। কোথায় গেছে? কেনো গেছে? আমরা কিছু জানিনা। কাল রাত অব্দি তো সবার সাথে হাসি-তামাশায় ব্যস্ত ছিল। সকাল থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও নীলাভ্রকে কোথাও খুঁজে পাইনি। শুধু এই চিঠিটা বাদে…।”
বলেই একটা সাদা কাগজ এগিয়ে দিলেন তিনি। রিতা কাঁপা-কাঁপি হাতে চিঠিটা নিলো। কিন্তু পড়তে পারল না৷ পড়ার মতো শক্তি নেই তার গায়ে। অনেক কষ্টে মনকে স্থির করল। এই চিঠিতে কি লেখা আছে? তা পড়তেই হবে। চোখের জলটুকু দুই হাতে মুছে নিলো। চিঠিটা খুলতেই দমকা হাওয়ার মতো এসে ছু মে°রে নিয়ে নিলো বেলী। কঠিন স্বরে বলল,
“তোমাদের কারোর পড়তে হবে না। আমিই পড়ব।”
শব্দ করে নিঃশ্বাস ছাড়ল। চোখ গুলো বার বার ঝাপসা হয়ে আসছে। দাঁড়িয়ে থাকার মতো শক্তিটুকু অবশিষ্ট নেই শরীরে। সর্বাঙ্গ কাঁপছে। ভয়ের বুকের ভেতরে অজস্র যন্ত্রণা হচ্ছে। সব ভয়-ডর কা°টিয়ে দৃঢ় কন্ঠে মনে মনে বলল,
“আমি জানি, আমার নীলাভ্র কোনোদিন আমাকে ঠকাবে না। তাই এই চিঠিতে যাই লেখা থাকুক। আমি ভেঙে পড়ব না।”
চিঠিটা খুলতেই প্রথমেই ‘বেলীপ্রিয়া’ শব্দটায় চোখ আটকে গেলো। হৃদপিন্ডের স্পন্দন বৃদ্ধি পেলো। শব্দ করেই পড়তে শুরু করল,
“বেলীপ্রিয়া,
জানিস, যেদিন তুই জন্ম হলি। সেদিন সব থেকে বেশি খুশি আমি হয়েছিলাম। দাদু আমার কোলে ছোট্ট বেলীপ্রিয়াকে দিয়ে বলেছিলো ‘কিরে দেখ তো পছন্দ হয় নাকি? তোর বউ বানাব’। সেদিনের আমি কি বুঝেছিলাম জানিনা। শুধু এতটুকু বুঝেছিলাম যে, তুই আমার বউ। বড় হয়ে আমি তোকে বিয়ে করব। তাই, সারা বাড়ি লাফিয়ে সবাইকে বলেছিলাম, আমার বউ এসেছে। তুই কি জানিস? তোর বেলী নামটাও আমি দিয়েছিলাম। কারন, তোর গায়ের রঙ আমার কাছে বেলী ফুলের মতোই সুন্দর মনে হয়েছিল। আমার চোখের সামনে সেই ছোট্ট বেলী একটু একটু করে বড় হতে শুরু করল। সারা বাড়ি দৌড়ে বেড়াত। সেই ছোট্ট বেলীপ্রিয়ার খিলখিল হাসির শব্দে আমাদের বাড়িটা আপন ছন্দ ফিরে পেলো। আধো আধো স্বরে যখন তুই আমার নামটা ঠিক করে উচ্চারণ করতে পারতি না। তখন আমার রাগ হতো। ভীষন রাগ! ফুপ্পির কাছে গিয়ে নালিশ করতাম। বলতাম ‘তোমার মেয়েকে বলবা আমার নাম ধরে না ডাকতে’। জানিস, তোর যখন শরীর খারাপ হতো। আমি সারা রাত ঘুমাতে পারতাম না। ফুপ্পির সাথে তোর পাশেই বসে থাকতাম। আবার মাঝে মধ্যে তোকে গল্প শুনাতে শুনাতে ঘুম পাড়িয়ে দিতাম। আচ্ছা বেশি গভীরে চলে যাচ্ছি। সে সব আগের কথা বাদ। এখন আমার সেই ছোট্ট বেলীপ্রিয়াটা অনেক বড় হয়ে গেছে। কে°টে গেছে অনেক গুলো বছর। জীবন থেকে চলে গেছে ভালো কিছু মুহূর্ত। শুধু রয়ে গেছে কিছু স্মৃতি।অনেক ঝড়ের পর আজ তুই আর আমি একসাথে হতে চলেছিলাম। কিন্তু ভাগ্য বোধহয় কোনোদিন তোর আর আমার মিলন চায়নি। তাইতো আজ বাধ্য হয়ে তোকে ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে। জানিস এই যে লিখছি, আমার হাত দুটো চলছে না রে। বড্ড যন্ত্রণা হচ্ছে আমার, বেলীপ্রিয়া। তবুও লিখতে হচ্ছে। আমি তোকে ঠকাতে চাইনি। কিন্তু ঠকিয়ে দিলাম। কাল তুই আমার জন্য বউ সেজে বসে থাকবি। কিন্তু আমি আসব না। এর থেকে বড় শাস্তি তোর জন্য আর কি হতে পারে, বল? মনে পড়ে ঠিক একই ভাবে তুই আমাকে ঠকিয়েছিলি। রাফিনকে বিয়ে করেছিলি। মনে কর, তোর করা সেই ভুলের শাস্তি এটা। আজ থেকে নীলাভ্র তোর জীবন থেকে হারিয়ে গেলো। ফুপ্পি আর তুই পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিস। ভালো থাকিস…ও হ্যাঁ, আমার খোঁজ নেওয়ার দরকার নেই। ভেবে নিস আমি ম°রে গেছি।
… নীলাভ্র”
চিঠিটা পড়া শেষ হতেই বেলী আচমকা উচ্চস্বরে হাসতে শুরু করল। হাসতে হাসতে চিঠিটাকে কয়েক টুকরো করে ফেলল। তারপর ইশুর কাছে গিয়ে ইশুর গালে হাত রাখল। ইশুর চোখের পানি গুলো মুছিয়ে দিলো। মুখে হাসির রেখে টেনে, শান্ত স্বরে বলতে লাগল,
“ইশু তুই বল, নীলাভ্র কোথায়? সে আমাকে ভয় দেখাচ্ছে, তাইনা? এইসব কিছু তার সাজানো প্লান। তোরা সবাই আমার সাথে মজা করছিস, তাইনা? হ্যাঁ, হ্যাঁ। আমি জানি, তোরা সবাই মজা করছিস। আচ্ছা ঠিক আছে দেখ, আমি তোদের এই মজা দেখতে গিয়ে অনেক ভয় পেয়ে গেছি। আর ভয় পেতে গেলে হয়ত ম°রেই যাব…।”
বলেই হেসে দিলো বেলী। একটু থেমে পুনরায় বলতে শুরু করল,
“আর মজা করিস না, প্লিজ। তোর নীলাভ্র ভাইকে বল, যেখানে লুকিয়ে আছে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে। আমার আর এইসব ভালো লাগছে না। প্লিজ, বল না।”
ইশু একাধারে কেঁদেই চলেছে। কোনো প্রশ্নের উত্তর নেই ওর কাছে। এবার বেলী জোরেই বলে উঠল,
“বল না। এইসব মিথ্যা। সব সাজানো। নীলাভ্র কোথাও যায়নি। আমাকে ছেড়ে কোথাও যায়নি। সে আমাকে ছেড়ে যেতে পারেনা। বল, প্লিজ। বল না…।”
এবার ইশু চুপ থাকতে পারল না। চিৎকার করে বলতে লাগল,
“কিছু মিথ্যা না। সব সত্যি। চলে গেছে। নীলাভ্র ভাই, আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেছে। কোথায় গেছে জানিনা। কিন্তু চলে গেছে। শুনতে পেয়েছিস। চলে গেছে নীলাভ্র ভাই।”
বলেই বেলীকে ঝাপটে ধরল। কান্নায় ভেঙে পড়ল। আর বেলী যেন শান্ত হয়ে গেলো। সম্পূর্ণ শান্ত। চোখ দুটো স্থির হয়ে রইল। চারদিকটা কেমন যেন অন্ধকার হয়ে আসতে শুরু করল। কয়েক মুহূর্তের ব্যবধানে ঢলে পড়ল ইশুর কাঁধে। কোন দিকে মোড় নিতে চলেছে জীবন……….
#তুমি_নামক_প্রশান্তি
#লেখনীতে_জেনিফা_চৌধুরী
#দ্বিতীয়_খন্ড
#পর্ব_প্রথম