#তুমি_আমার_অভিমান❤
|| পর্ব – ৮ ||
#লেখনীতে_বিবি_জোহরা_ঊর্মি
ভোঁরের সূর্যের আলো ফুটে অভিকের রুমের জানালা ভেদ করে অভিকের চোখে মুখে পড়তেই ঘুম ভেঙে যায় অভিকের।
ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করে নিচে ড্রয়িং রুমে আসে অভিক। ডাইনিং এ বসতেই সার্ভেন্ট এসে কফি আর ব্রেকফাস্ট দিল। অভিক খেতে খেতে মোবাইল চাপছে। একজনকে কল দিয়ে বলে,
‘দ্রুত বাসায় এসো।’
অভিক খেতে খেতে মোবাইল এ কাকে যেন মেসেজ করছে। এমন সময় দরজার কলিং বেল বেজে উঠে। সার্ভেন্ট গিয়ে দরজা খুলে দেয়। কয়েকটা লোক অভিকের সামনে এসে দাঁড়ায়। অভিক ডাইনিং থেকে উঠে ওদের বলে,
‘তোমাদের যে জন্যে ডাকা। আজ আমার জন্মদিন জানো নিশ্চয়ই?’
সবাই একসাথে বলে উঠে,
‘জি স্যার।’
অভিক বলে,
‘ড্রয়িং রুমের পুরোটা সাজানোর দায়িত্ব তোমাদের। আর একটা কাজ করতে হবে। ওটা সিক্রেট। ওই ছোট যে রুমটা দেখছ? ওটা ফাঁকা করে সুন্দর করে ফুল আর বেলুন দিয়ে সাজাবে। মাঝখানে একটা বৃত্তের মতো রাখবে ওটা যেন ফাঁকা থাকে৷ আর আমার রুমে একটা ছবি আঁকা আছে ক্যানভাসে। একটা পর্দা দিয়ে ঢেকে রেখেছি। ওটা নিয়ে এসে ওই রুমে রাখবে। খবরদার পর্দা সরিয়ে দেখেছ তো। সিক্রেট ছবি ওটা।’
সবাই অভিকের কথায় মাথা নাড়ায়। অভিক ফরমাল পোশাক পরে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
.
নীরা ঘুম থেকে উঠে হোয়াটসঅ্যাপ এর নোটিফিকেশনের আওয়াজ পেয়ে। এর আগেও একবার উঠেছিল, তখন নামাজ পড়ে আবার ঘুমিয়ে পরেছিল। নীরা উঠে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখে অভিক কিছু ছবি পাঠিয়েছে। কাল অভিক নীরার অনেকগুলো ছবি তুলেছে সেগুলোই পাঠিয়েছে। অভিক নীরার সাথে যে ছবিগুলো তুলেছে সেসব ছবিও নীরাকে পঠিয়েছে। অভিক আবার নীরাকে মেসেজ দিয়েছে।
‘স্যালারি পেয়েছ?’
নীরা চেক করে দেখে তার একাউন্ট থেকে মেসেজ এসেছে। পয়ত্রিশ হাজার টাকা এসেছে। নীরা অভিককে মেসেজ দিয়ে বলে,
‘হুম এসেছে। কিন্তু পয়ত্রিশ হাজার টাকা কেন এলো?’
নীরার মেসেজের উত্তর না দিয়ে অভিক মেসেজ দিল
‘তাড়াতাড়ি অফিসে আসো। আমি বের হয়ে গেছি।’
নীরা দ্রুত রেড়ি হয়ে নেয়। নাশতাও করে না। আগে ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলে আনে। তারপর দশ হাজার টাকা নিজের কাছে রেখে বাকিগুলো তার বুড়ো দাদুর হাতে তুলে দেয়। আশ্রমের এক মহিলা, যাকে নীরা মাসি বলে ডাকে, সে নীরাকে জোর করে ব্রেকফাস্ট করায়। এদিকে নীরার টেনশন হচ্ছে অভিক যদি অফিসে গিয়ে দেখে নীরা অফিসে নেই তাহলে কি যে হবে! নীরা তাড়াতাড়ি করে আশ্রম থেকে বের হয়ে যায়।
প্রায় দশ মিনিট পর নীরা অফিসে এসে পৌঁছায়। ম্যানেজারকে অভিকের কথা জিজ্ঞেস করতেই সে বলে,
‘স্যার এখনো আসেননি।’
নীরা ভাবে, সেই কবে বেরিয়েছে, এখনো আসেনি? নীরা ব্যাগ থেকে মোবাইল নিয়ে অভিককে কল করে। অভিক কল রিসিভ করে বলে,
‘আমি জ্যামে আটকে ছিলাম। দু মিনিট ওয়েট করো, আসছি।’
নীরা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,
‘আপনি কিভাবে জানলেন যে আমি এটাই জিগ্যেস করবো?’
অভিক বলে,
‘পরে বুঝবে। রাখি।’
নীরার সামনে একটা মেয়ে এসে জিজ্ঞেস করে,
‘বোনাস পেয়েছ নীরা?’
‘হুম।’
‘অভিক স্যার তার জন্মদিন উপলক্ষে সবাইকে বোনাস দিয়েছেন। পাশাপাশি ডোনেশন দিয়েছেন বিভিন্ন আশ্রমে, হাসপাতালে। প্রতি বছরই দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন সময়ে বোনাস দেন। অফিসে কারো টাকা পয়সার সমস্যা হলে অভিক স্যার সহায়তা প্রদান করেন।’
নীরা একটা লিস্ট দেখছিল, সেখানে অভিক কোথায় কত টাকা ডোনেশন দেয় তার ডিটেইলস দেওয়া আছে। নীরা তাদের আশ্রমের নাম দেখে চমকে যায়। মেয়েটা নীরাকে আবার জিজ্ঞেস করে,
‘আজ পার্টিতে যাবে না নীরা? তুমি কি গিফট দিচ্ছ অভিক স্যারকে?’
নীরা প্রতি উত্তরে বলে,
‘আমি যাবো কিনা শিউর নই। এসব ভালো লাগে না।’
‘কি বলছ এসব। তুমি আমার সাথে যেও। দেখবে ভালো লাগবে।’
নীরা কিছু বলে না। অভিক চলে এসেছে। অভিক আশা মাত্রই নীরা অভিকের পিছনে লিফটের উদ্দেশ্যে যায়। নীরা আর অভিক লিফটের ভিতরে দাঁড়িয়ে আছে। অভিক নীরাকে জিজ্ঞেস করে,
‘আজ আসছো তো?’
‘দেখুন, আমার ভালো লাগছে না।’
অভিক রেগে গিয়ে বলে,
‘হোয়াট! ভালো লাগছে না বলতে কি বোঝাচ্ছ নীরা? আমি তোমাকে বলেছিনা আজ যাবে। বেশি অভার অ্যাক্টিং করবে না। আমি সন্ধ্যায় গাড়ি পাঠিয়ে দিব তোমার জন্য।’
‘না, আমি যেতে পারবো।’
‘চুপ! রাগ উঠাবে না।’
নীরা কিছু বলে না। অভিক নীরাকে নিয়ে ওর কেবিনে ঢুকে। সেখানে ওরা নতুন প্রোজেক্টের কাজ নিয়ে আলোচনা করে।
.
দুপুরের দিকে নীরা আশ্রমে এসে ফ্রেশ হয়ে নেয়। আজ কি সত্যিই যাবে অভিকের বাসায় ভাবছে নীরা। কি গিফট দিবে সেটাই ভেবে পাচ্ছেনা। যেহেতু অফিসের সিইও অভিক৷ তাই ভালো দেখে দামী কিছু একটা দিতে হবে। কিন্তু সে নিজে কি পরবে। ভালো ড্রেসও নেই তার কাছে। নীরা লাঞ্চ সেড়ে হ্যান্ডব্যাগ নিয়ে মার্কেটের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পরে।
.
মার্কেটে এসে নীরা অভিকের জন্য ভালো ব্যান্ডের একটা ঘড়ি নেয়। তারপর একটা ওয়ালেট আর একটা ফেমাস সাইন্স ফিকেশন বই নেয় অভিকের জন্য। হাতে মাত্র কয়েক হাজার টাকা রয়েছে। নীরা একটা ড্রেসের দোকানে গিয়ে ব্ল্যাক গাউন নিল। তারপর আবার আশ্রমে চলে এলো।
.
সন্ধ্যায় অভিকের গাড়ি আশ্রমে আসতেই নীরার ধুকপুকানি বেড়ে গেল। সে দ্রুত রেড়ি হয়ে গেল। ব্ল্যাক গাউন এর সাথে ব্ল্যাক সেলোয়ার আর ওড়না পরলো। কানে ঝুমকো পরেছে, চোখে কাজল আর ঠোঁটে গোলাপি লিপস্টিক দিয়েছে। এক হাতে ঘড়ি আর অন্য হাতে কালো ভেলভেট চুড়ি পরেছে। মাথা আচঁড়িয়ে পিছনে একটা ছোট ক্লিপ দিয়ে আটকিয়ে দিল এবং সব চুল পিছনে ছেড়ে দিল। গাউনের সাথে ম্যাচিং করে জুতো পরে নিল। ওড়নাটা একপাশে দিয়ে হাতের মাঝে নিয়ে নিল। ব্যাস রেড়ি নীরা। একটা শপিং ব্যাগে করে তার গিফটগুলো নিল। ভয় পাচ্ছে যদি অভিকের পছন্দ না হয় এগুলো? আশ্রমের সবার কাছ থেকে বিদেয় নিয়ে নীরা গাড়িতে উঠে বসলো। ড্রাইভার গাড়ি ছাড়লো অভিকের বাড়ির উদ্দেশ্যে।
.
অভিকের বাসার ড্রয়িংরুম থেকে শুরু করে সিঁড়িসহ উপরের সব কর্ণার ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। খুব সুন্দরভাবে লাইটিং করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেকে অভিকের বাসায় এসে ভিড় করেছে। সার্ভেন্টরা ছোটাছুটি করছে এদিক ওদিক। জুস কোল ড্রিংকস যে যা খেতে চাইছে তাকে তা-ই দিচ্ছে। এদিকে অফিসের ম্যানেজার সহ অনেক স্টাফরা এসেছে অভিকের বাসায়। অভিকের কিছু ক্লাইন্ড এবং অভিকের কিছু বন্ধু এসেছে। সবাই হৈ হুল্লোড় করছে। অভিক এখনো তার রুমে রেড়ি হচ্ছে দরজা লক করে। তার কিছু বন্ধু এসে অভিকের দরজার সামনে ধাক্কা দিয়ে মজা করে কথা বলছে অভিককে রাগানোর জন্য। অভিক বলেছে তার একজন স্পেশাল মানুষ আসবে! সে না আসা পর্যন্ত অভিক নিচে নামবে না।
.
নীরা অভিকের বাসার সামনে এসে পৌছায়। বাসার বাইরে খুব সুন্দর করে লাইটিং করা হয়েছে। অসম্ভব সাজানো হয়েছে বাসার বাইরেটা। নীরা আস্তে আস্তে বাসার ভিতরে ঢুকে। ভেতরে ঢুকে নীরা পুরোই স্তব্ধ! এতো সুন্দর করে পুরো বাসা ডেকোরেট করা হয়েছে যে নীরা কিছু বলার ভাষাই হারিয়ে ফেলছে। নীরাকে দেখে তার অফিসের একটা মেয়ে এগিয়ে এসে বলে,
‘তুমি এসেছ? আসো ভিতরে।’
নীরা গিফটের ব্যাগটা পিছনে লুকিয়ে রাখে। সবার এতো এতো দামী গিফটের মাঝে তার দেওয়া সামান্য গিফট কারো চোখেও পড়বে না। না আসাই উচিৎ ছিল। শুধু অভিক জোর করেছে বলেই আসা। নীরাকে আজ রাজকুমারীর মতো লাগছে। অনেকেই নীরার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। নীরা এমনিতেই ফর্সা, তারউপর কালো গাউন যেন শরীরে লেপ্টে আছে। এতো সুন্দর মানিয়েছে যেন বলার বাইরে। মেকআপ তো বাদই। নীরা মেকআপ ইউজ করে না। কথায় আছে সুন্দরী মেয়েদের মেকআপ দিয়ে ভুত বানাতে নেই। আর ন্যাচেরাল ত্বকের সৌন্দর্য কালো, শ্যামলা ও ফর্সা মেয়েদের মেকআপ ছাড়াই সুন্দর লাগে।
.
কিছুক্ষণ পর অভিক সিঁড়ি দিয়ে নামতে থাকে। সবাই অভিকের দিকে তাকিয়ে আছে হা করে। অভিক আজ ব্ল্যাক শার্ট ইন করে পরেছে। সাথে ব্ল্যাক জিন্স পেন্ট। ব্ল্যাক শার্টের উপর ব্ল্যাক ব্লেজার পরেছে। পায়ে ব্ল্যাক সুজ। শার্টের বোতামের সাথে ব্ল্যাক সানগ্লাস। মোট কথা অভিকের পা থেকে মাথা অব্দি আজ সব ব্ল্যাক। হাতে ব্যান্ডেড ঘড়ি। চুল গুলো জেল দিয়ে সোজা করে রেখেছে।
অভিক নিচে নামতেই তার বন্ধুরা চেঁচিয়ে উঠলো। একসাথে সবাই হাততালি দিল। নীরা অভিকের দিকে তাকিয়ে পুরো জমে গেল। অভিককে আজ এতটা হ্যান্ডসাম লাগছে যে কারো চোখই সরছে না অভিকের দিক থেকে।
হঠাৎ অভিকের চোখ পরে নীরার দিকে। দু’জনেই চোখাচোখি হয়। অভিক নীরাকে দেখে দেখে তার চক্ষু চড়কগাছ! দুজনেই ব্ল্যাক পরেছে আজ। নীরা চোখে নামিয়ে অন্যদিকে তাকায়। সবাই অভিককে হ্যাপি বার্থডে বলছে।
অভিকের সামনে পাঁচ তলার একটা কেক নিয়ে আসা হলো। অভিক সেটা কাটার সময় সবাই হাততালি দিয়ে অভিককে উইশ করছে। অভিক তার বন্ধুদের কেক খাইয়ে দেয়। তারপর সার্ভেন্টদের বলে সবাইকে কেক কেটে দিতে। অভিক এক টুকরো কেক হাতে নিয়ে এদিক ওদিক কাউকে খুঁজছে। অভিকের বন্ধুরা ধাক্কা দিয়ে অভিককে বলে,
‘কাকে খুঁজছিস?’
অভিক হেসে বলে,
‘আছে, একজন স্পেশাল মানুষ।’
অভিক সেখান থেকে সবার চোখের আড়াল হয়ে যায়।
এদিকে নীরা খুব ঝামেলায় পরেছে। হুট করেই গাউনের চেইনটা খুলে যায়। আর নীরা সেই মেয়েটিকে বলার সুযোগ পায়নি। মেয়েটি ওখান থেকে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছিল। নীরা রান্নাঘরের দিকে এসে দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে পিছনের চেইনটা লাগানোর চেষ্টা করে৷ কিন্তু ব্যর্থ হচ্ছে বারবার।
অভিক নীরাকে খুঁজতে খুঁজতে রান্নাঘরের দিকে আসে। এসে দেখে নীরা কিছু লাগানোর চেষ্টা করছে। অভিক গিয়ে বলে,
‘কি করছ নীরা?’
অভিককে দেখে নীরা থেমে যায়। পিছন থেকে হাত সামনে নিয়ে আসে। মলিন হাসি দিয়ে বলে,
‘কিছু না।’
অভিক নীরার দিকে এগিয়ে এসে বলে,
‘নাও, কেক খাও।’
‘নাহ্, আমি খাবো না। আপনি খান। আমার তৈলাক্ত জিনিস খেতে ইচ্ছে করেনা।’
অভিক ধমক দিয়ে বলে,
‘একটু খেলে কিছু হয়না। আমি দিচ্ছি খাও।’
অভিক নীরার কোনো কথা শুনে না। অভিক নীরার কাছে এসে নীরার মুখে কেক ঢুকিয়ে দেয়। নীরা বাধ্য মেয়ের মতো খেতে শুরু করে।
‘আপনার জেদই সবসময় জিতে যায় স্যার।’
অভিক হেসে বলে,
‘আমার জেদ সারাজীবনই থাকবে। সহ্য করতে পারবে?’
‘সবাই আপনার জন্য অপেক্ষা করছে স্যার। আপনি ওখানে যান।’
অভিক নীরার কথায় কান না দিয়ে নীরার হাত টেনে পিছনে ঘুরিয়ে নীরার গাউনের চেইনটা লাগিয়ে দেয়। ঘটনাটা এত দ্রুত ঘটে যে নীরা আকস্মিত! নীরা অভিকের দিকে ফিরতেই অভিক নীরাকে সুন্দর একটা হাসি উপহার দেয়। অভিক বলে,
‘আমার গিফট কোথায় নীরা?’
নীরা কাঁপা কাঁপা হাতে অভিককে হাতে থাকা ব্যাগটা দেয়। অভিক খুলে দেখে একটা বই। অভিক বলে,
‘আমার পছন্দের ক্যাটাগরির বই! আমি খুব বই পড়ুয়া নীরা। থ্যাঙ্কিউ।’
অভিক আরো দেখে একটা সুন্দর ঘড়ি আর একটা ওয়ালেট আছে। অভিক ওয়ালেটটা নিজের পকেটে ঢুকিয়ে নেয়। তারপর নিজের হাতের ঘড়িটা খুলে নেয়। নীরার দিকে হাত বাড়িয়ে বলে,
‘এনেছ যখন পরিয়ে দেও।’
নীরা অবাকের উপর অবাক হচ্ছে শুধু৷ নীরা অভিকের হাতে তার দেওয়া ঘড়িটা পরিয়ে দেয়। অভিক নীরার দিকে তাকিয়ে বলে,
‘তোমাকে একটুও সুন্দর লাগছে না নীরা।’
নীরা নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে। সুন্দর না লাগলে এখন কি করার আছে তার? অভিক নীরার খুব কাছে এসে, নীরার দু কানের পাশ থেকে ছোট ছোট কিছু চুল নিয়ে সামনের দিকে নিয়ে আসে। চোখের কিনারায় এসে পরেছে চুল৷ অভিক বলে,
‘হুম। এইবার পার্ফেক্ট লাগছে। আসো।’
নীরা শুধু আজ অভিকের কার্যকলাপ দেখছে। অভিককে আজ অন্যরকম লাগছে। অভিক অনেক পরিবর্তন হয়েছে আগের থেকে।
চলবে…
[বিঃদ্রঃ ভেবেছিলাম অনেক বড় করে দিব। কিন্তু ১৫০০+ শব্দ লেখার পর আর হাত চলছে না। বাকিটা আগামী কাল দিব। এবং সারপ্রাইজ একটা আছে। পাশে থাকুন।]