তবুও_বর্ষণের_অপেক্ষা ৫.

0
2409

#তবুও_বর্ষণের_অপেক্ষা
৫.
#WriterঃMousumi_Akter

ঘুম থেকে উঠে রুমের মাঝে পায়চারী করছি কে এই ভূত? এটা তো আলিপ ভাইয়া না।আগের দিন কিস ও দিছে।বিহান ভাই জানলে গালে কয়েকটা থাপ্পড় পড়বে তার হিসাব নেই।বিহান এর অজানা কিছুই থাকে না।আমার কপালে জুটেছে এই বিহান ভাই।সারাক্ষণ ভয় ভয় মন নিয়ে থাকতে হয়। কাল রাতে আবার চিরকুট দিয়েছে।সত্যি কি আমার উপোর কোনো জ্বীনে নজর দিলো।

আম্মু বাজখাই গলায় চেঁচিয়ে উঠলো।এই দিয়া সকাল থেকে অমন পায়চারি করছিস যে।তোর যে কোচিং আছে সেটা কি ভুলে গেছিস।রিয়া রেডি হয়ে গিয়েছে আর তোর রেডি হওয়ার নামে কোনো পাত্তা নেই।আমার কি হাতে একটা কাজ। সব সময় আমার তোর পিছনে লেগে থাকতে হয়।আম্মু এসেই মুখে নুডুলস পুরে দিলো।খেতে খেতে আমি ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম।কোচিং টা বিহান ভাই এর রুমের সাইডে।মানে উনার জানালা দিয়ে দেখা যায়।রিয়া, আর আমি রওনা হলাম।রিয়া আমাকে বলে দিয়া একটা জিনিস খেয়াল করেছিস।

কি?

বিহান ভাই কে খেয়াল করেছিস।

কি খেয়াল করবো।

উনি কিভাবে তোর দিকে তাকিয়ে থাকে।

উনি তাকিয়ে থাকে তোহা আপুর দিকে।আমার দিকে কেনো?তাছাড়া মামাতো ভাই সেজন্য তাকাতেই পারে।

ধূর দিয়া তোহা আপুর সাথে বিহান ভাই মজা নেই।তোহা নিজেও বুঝে ঝুলে থাকে যদি একটু চান্স পাই।বিহান ভাই এর মতো একজন সুদর্শন,হ্যান্ডসাম ব্রিলিয়্যান্ট যুবক কে কে না চাই পটাতে।

কি জানি রিয়া তোহা আপুর যা ন্যাকামি অসহ্য লাগে।

কিরে দিয়া তোর জ্বলে নাকি।

আরে ধূর কি জন্য জ্বলবে।প্লিজ তোহা আপুকে বলিস না।

দিয়া তুই ভাবলি কিভাবে আমি তোহা আপুকে এটা বলবো।আমি সিওর দিয়া বিহান ভাই তোকে ভালবাসে।ভাল না বাসলে অমন রাগি মানুষ তোর দিকে ড্যাবড্যাব দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে কেনো?

তাকিয়ে থাকে আমার দোষ ত্রুটি খুজে কয়েক টা যা তা কথা বলার জন্য।রাস্তায় বিভোর ভাইয়ার সাথে দেখা আমার ছোট মামার ছেলে।বিহান ভাইয়ের বয়সী হবে প্রায়।বিভোর ভাই আমাকে বলে এই দিয়া শোন।

হ্যাঁ ভাইয়া বলুন।

তুই আমাকে আবার আপনি আপনি করছিস কেনো হঠাত।

না আপনারা মামাতো ভাইয়েরা হঠাত হঠাত রং বদল করেন তুমি বললে দেখা গেলো অপমান করলেন।

তুই আমাদের বোন আমাদের তুমি ছাড়া কি আপনি বলবি।

আপনার কাজিন গ্রেট বিহান ভাই এ বলেছে আমি যেনো তাকে তুমি না বলি।সে আমার বড় বয়সে।

দিয়া তুই আমার আর রাফির বোন তাই আমাদের তুমি বলবি।বিহান তো আর ভাই না।

মানে

মানে সে আমাদের বলেছে দিয়াকে সে বোনের নজরে দেখে না।একটা মাত্র ফুফাতো বোন কে সে গার্লফ্রেন্ড হিসাবে দেখে।

রিয়া বলে আমার ও তাই মনে হয়।

বিভোর ভাই বলে মনে হওয়ার কি আছে আমার ভাই আর আমি জানিনা।তার মনে কি চলে।বাট রিয়া আমি কিন্তু দিয়ার ক্লাসমেট কাজিন কে আমার বউ এর মতো ভাবি।আমি বললাম ভাইয়া কথাটা কিন্তু রিয়াকে বলেছে।বিভোর ভাই বলে এইতো আমার বুদ্ধিমতি বোন।

কোচিং এর টাইম হয়ে গিয়েছে।কোচিং রুম থেকে বার বার উঁকি ঝুকি মেরে দেখছিলাম বিহান ভাই কি সুন্দর বাচ্চাদের মতো ঘুমোচ্ছে।কোচিং শেষে আসার সময় দেখি বিহান ভাই জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছে।আমাকে দেখে বলে কিরে শুনলাম পড়াশুনা তে ফাঁকি দিচ্ছিস।আর এত সেজে এসছিস কেনো এই ভোলাভালা ছেলেদের ইমপ্রেস করার জন্য।উনার গা জ্বলানো কথা শুনে আমি রিয়ার হাত ধরে টেনে চলে এলাম বাসায়।ঘুম থেকে উঠেও অসহ্যকর কথা উনার।

বিকালে বাসার সামনের দোকানে সবাই আইসক্রিম খেতে গেলাম।সেই মুহুর্তে বিহান ভাই এর আগমণ ওখান দিয়ে।তোহা আপু বিহান ভাইকে দেখেই বলে,,

বিহান আমায় একটা লিপিস্টিক কিনে দাও না প্লিজ।।
বিহান ভাই আমার দিকে আড় চোখে তাকিয়ে বলে, আমি গরীব টাকা নেই।তোহা আপু বলে বিহান তোমার কাছে টাকা নেই বিলিভ করি না।বিহান ভাই বলে,বিলিভ না করলে তোমার ব্যাপার।জানোই তো জোরপূর্বক কাউকে কিছু বিলিভ করাই না আমি।আবির ভাইয়া বললো এইদিকে আয় তোহা লিপিস্টিক যত গুলা লাগে আমি দিচ্ছি।আমার মামাতো ভাই কে তোরা এত গুলা মেয়ে নির্যাতন করলে কিভাবে হবে।বিহান ভাই বলে আবির তুই না থাকলে তোর এই রাক্ষসী বোনেরা আমাকে ফকির বানাইয়া ছাড়বে।

আমি বই এর দিকে তাকিয়ে আছি বই পড়তে আমার ভালো লাগে সব সময়।আলিপ ভাই একটা বই এনে আমার হাতে দেন।বইটির নাম তুমি আমার প্রেম।এসব টাইপের নাম দেখলে বিশ্রি লাগে তবুও দিচ্ছে যখন কিছু না ভেবে বই টা নিতে যাবো তখন ই বিহান ভাই উনার জুতা দিয়ে আমার পা খুব জোরে পিষে ধরে জুতা দিয়ে। ।এইদিকে পায়ে ব্যাথা পাচ্ছি ওই দিকে বিহান ভাই এর কোনো পাত্তা নেই।উনি ভীষণ বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে আছেন অন্য দিকে।উপায় না পেয়ে বললাম আলিপ ভাই বই নিবো না।আলিপ ভাই আমার হাত ধরে বইটা ধরিয়ে দিলেন।এইবার বিহান ভাই এমন ভাবে আমার হাতে তাকালেন আমি ভয় ই পেয়ে গেলাম।বিহান ভাই বেশী রেগে গেলে কোনো কথা বলেন না।

“আমি উনার ভাবগতি দেখে বললাম ইয়ে বিহান ভাই একটা নেলপালিশ কিনে দিবেন।”

“অগ্নিদৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ না বা হ্যাঁ কোনো কথাই বলে না।”

“দিবেন না।”

বিহান ভাই কোনো কথা না বলে ফোন খুব জোরে আছাড় মেরে বলেন এত হ্যাং করছে ফোন জাস্ট অসহ্য।এটা যে উনার তীব্র রাগের কারণ সে বিষয়ে সন্দেহ নেই আমার।

“বিহান ভাই পায়ে ব্যাথা পাচ্ছি।”

“তো আমি কি করবো।”

“বিহান ভাই প্লিজ।অনেক ব্যাথা পাচ্ছি।”

বিহান ভাই আরো জোরে চেপে ধরলেন।

আবিদ ভাইয়া বলে কিরে দিয়ে চোখ মুখ এমন লাগছে কেনো? মনে হচ্ছে এক্ষুণি কেঁদে ফেলবি।বিহান ভাই তখন উনার পা টা সরায়।আমি ফোন টা তুলে হাতে দিলাম উনার।

“কি কালার নিবি।”

“মেজেন্টা কালার।”

রিয়া বলে বিহান ভাই আমরাও চাই।তোহা আপু বলে আমার ও চাই।

বিহান ভাই আমার কানে কানে বলে তোর এই জাত গুষ্টি আমাকে ফকির বানাবে। যেখানে যাস গুষ্টি সহ যাস।বলেই মানিব্যাগ থেকে এক হাজার টাকার নোট বের করে দোকান দার কে দিয়ে বলেন মেজেন্টা কালার টা এই ভয়ানক মহিলাকে দেন।ওরা সবাই শান্তশিষ্ট মেয়ে ওরা ঝামেলা করবে না।কিন্তু এই যে আমার পাশে যে মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে এই মেয়েটা খুব ই ভয়ানক।

এবার সবাই বলে গাইস দিয়া কিছু চাইলে বিহান ভাই এর পকেটে টাকা উড়ে চলে আসে।আর কেউ চাইলে টাকা থাকে না।

আচ্ছা উনার সমস্যা কি উনি এমন অদ্ভুত ব্যবহার করেন কেনো?

রুশা বলে বিহান ভাই এর নিজের বোন বলে মেজেন্টা কালার চুজ করে দিলেন।

বিহান ভাই বলে কে বোন।বোন তো তোমরা এই বেয়াদব আমার বোন কিভাবে হবে।ও বাদে তোমরা তিনজনে ই আমার বোন।
তোহা আপু বলে আমিও কি তোমার বোন।বিহান ভাই বলে না শালিকা।সবাই খুব জোরে হেসে দেই।

রাত ১২ টা বাজে মন খুব আনচান করছে।ইচ্ছা করছে বিহান ভাই কে হোয়াটস এপ এ একটা মেসেজ দেই।উনি কি জেগে আছে নাকি ঘুমিয়ে গেছে।নেল পালিশ পরেছি পিক টা পাঠিয়ে দেই।সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে বিহান ভাই কে মেসেজ দিয়েই দিলাম।

“জেগে আছেন বিহান ভাই”

“কে আপনি”

“চিনতে হবে না।জেগে আছেন কিনা তাই বলুন।”

“ব্লক দিলাম”

“বিহান ভাই আমি।”

“আমি কে?”

“দিয়া”

“মাঝরাতে আমার মাথা খাওয়ার জন্য ক্যানো মেসেজ দিয়েছিস।”

“আপনাকে অন লাইনে দেখলাম তাই”

“দেখলেই মেসেজ দিতে হবে।কি বলবি বল।”

“এভাবে কথা বলছেন কেনো”

“উনি কিছু রাগের ইমুজি দিয়ে বলেন আর একটা মেসেজ দিলে ব্লক দিবো।কাজের কোনো কথা নেই ফাউ কথার জন্য মেসেজ।”

“এত বিরক্ত হচ্ছেন যে।প্রেমিকাদের সাথে বিজি আছেন নাকি।”

“তোর বাপ ভাইদের মতো আমার বাপ তো ঘরের ভেতর প্রেমিক এনে রাখে নি যে বিজি থাকবো।”

“বাজে কথা বলবেন না।উনার বই আমি নেই নি”

“প্রেমিকাদের সাথে বিজি আছি ডোন্ট ডিস্টার্ব মি।”

মেসেজ দিয়েছিলাম নেল পালিশ পরা হাতের পিক দিবো বলে কি জঘন্য ব্যবহার।আসলে আমি ই বেহায়া।বার বার উনার সাথে কথা বলার ট্রাই করি।

হাতের নেলপালিশ পরা পিক বিহান ভাই এর হোয়াটস এপ্স এ দিয়ে দিলাম।আর উনি যে জুতা দিয়ে পা পিষে ধরে রেখে পায়ের কি অবস্থা করেছেন তার ও পিকচার দিলাম।প্রায় আধাঘন্টা হয়ে মেসেজ সিন করেন না।রাগ করে হোয়াটসঅ্যাপ ব্লক করে দিলাম।

আরো আধাঘন্টা পরে আমার ফোন নাম্বারে মেসেজ এসছে তার হাত মেজেন্টা কালারের নেলপালিশে এতটা সুন্দর না লাগলেও পারতো।

আমি চমকে গেলাম এইভাবে মান অপমান করে আবার এমন অদ্ভুত মেসেজ।এত কিছুর পরেও মেসেজ টা দেখে মনের মাঝে অন্য রকম এক ভাল লাগার সৃষ্টি হলো।

ফোনে মেসেজ এলো দ্রুত ছাদে আয় দিয়া।আমি মেসেজের উত্তর না দেওয়াতে ফোন দিলেন উনি।ফোনটা রিসিভ করার সাথে সাথে উনি বললেন দুই মিনিটের মাঝে ছাদে আয় দিয়া।আমি বললাম এখন কিছুতেই ছাদে যেতে পারবো না আমি।
বিহান ভাই বলেন দিয়া রাগে কিন্ত চরম মেজাজ খারাপ হচ্ছে এমনি চোরের মতো এসছি।দ্রুত আয়।ফোনটা রেখে দশ মিনিট পরে ছাদে গেলাম।থ্রি কোয়ার্টার পরে গায়ে সাদা গেঞ্জি পরে দাঁড়িয়ে আছেন উনি।আমি খুড়িয়ে খুড়িয়ে ছাদে গেলাম।আমাকে খোড়াতে দেখে এগিয়ে এসে বলেন যাক এসছিস।

“আপনি এত রাতে এখানে কিভাবে এলেন।”

“পাশের বাসা থেকে মই এনে ছাদে উঠেছি।নিচে বিভোর দাঁড়িয়ে আছে।দ্রুত বল কি জন্য মেসেজ দিয়েছিলি।”

“আপনি বিভোর ভাই কে নিচে দাঁড়িয়ে রেখে এসছেন।উনি কি ভাববেন যে আপনার সাথে আমার নিশ্চয়ই কিছু আছে।”

“কে কি ভাববে তা নিয়ে তোর মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই।এত রাতে মেসেজ দিয়েছিলি ক্যানো বল।”

“আমি আর কিছুই বলবো না আপনাকে।আপনাকে আমি একটুও বুঝতে পারি না এখন এক রকম তো অন্য টাইমে আরেক রকম।”

শোন দিয়া “কাউকে পুরোটা চিনে ফেললেই অপরপক্ষের মানুষ টা চলে যাবার অজুহাত খোঁজে।তাই আমি রোজ নতুন রূপে আসি তোর কাছে।আমার নতুন চরিত্র উপস্হাপন করি।আমি চাইনা তুই আমাকে জানার আগ্রহ হারিয়ে ফেলিস। বা তুই হারিয়ে যাস”

“কাউকে পুরোপুরি চেনা সম্ভব? পুরোপুরি তো দূরে থাক, চেনাও অতটা সহজ নয়।সেখানে কারো প্রবল ভালোবাসা বা কিছু চিরাচরিত স্বভাব জেনে কিভাবে তাকে পুরোপুরি জেনে নেওয়া যায়?মানুষ বদলায়,বদলানোটা প্রকৃতির নিয়ম।কাউকে চিনতে পুরোটা জীবনও কম পড়ে যায় কখনো কখনো।পাশাপাশি থেকেও চেনা যায় না।
যদি প্রিয় মানুষটার কথা হয়,তবে বলতে পারি রোজ নতুন নতুন রুপে তাকে জানা হয়।শেষ হয় না তাকে জানার।আজকে তার চাউনি বা কালকে তার হাসি তোমার কাছে যদি আগের চেয়ে ভিন্না আলাদা হয়ে ধরা না দেয় তবে নির্দ্বিধায় বলা যায় তাকে তোমার প্রিয় মানুষ ভাবতে পারোনি তুমি।প্রিয় তো তাই যা পুরানো হয় না,পুরানো হয়েও অপ্রিয় হয় না।”

বিহান ভাই আমার কথাগুলো শুনে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন।কেমন যেনো অবাক হয়ে যান উনি আমার কথা শুনে।

তারপর উনি বলেন,,

একটা ছবি দেখেছিলাম, ভাষ্যটা এরুপ-“তারা প্রেমিকার দেহে হাত রেখেও তৃপ্তি পায়না আর আমি দূর থেকে তার হাসি দেখেই তৃপ্তিতে জুড়াই প্রাণ।”
ভীষণ ভালো লেগেছে কথাটা।মাঝেমাঝে প্রশ্ন জাগে,আচ্ছা সব অবয়বই তো এক, সব পুরুষ সব নারী একই গঠনে সৃষ্টি তবে মানুষ কেন একজনে তৃপ্ত না হয়ে অন্য শরীরে মত্ত হতে চায়?দিয়া আমি দূর থেকে তোর হাসিতে মুগ্ধ।”

“আমরা যতই বলি কারো চোখ,হাসি,স্বভাবের প্রেমে পড়েছি অথচ একটা সময় আমরা প্রায়ই দেহের স্বাদ চাই।আমরা বলি, “তোমার ঘাম গায়ের গন্ধ অপ্রিয় হবেনা তবু দেহের ঘ্রাণ কেবল মাদকতাতেই খুঁজি।”

“বিহান ভাই বলেন,,হাসি ছোঁয়ার আগেই কোমরের পরিমাপ কিংবা হাত ছোঁয়ানোর প্রয়াসেই মত্ত হই।এ কেমন প্রেম?শরীরের নেশা কি আত্মাকে ছুঁয়ে দেখার তৃপ্তির চেয়ে বড়ো হয়?”

বিহান ভাই আমার হাত ধরে বলেন তোর কথা গুলো ঠিক দিয়া তবে আমি একজন যে ডিফারেন্স দিয়া।কোনো মাদকতার নেশা আমার নেই।তোর প্রতি আমার অনেক বড় নেশা দিয়া।

“আমি তো কালো।কিসের নেশা তাহলে”

“ওহে শ্যামাবতী,শ্যামলতা
রুপ যে নশ্বর! তবে কেন রুপের প্রেমে পড়ো? অপেক্ষা করাও বয়স বাড়ে তার, লক্ষীর মায়া চেহারায় আর পাওনা, চোখের নিচে ভাজ পড়ে কালি পড়ে।তারপর অন্য রুপের খোঁজে আবার হারাও।অনুভব করেছ তার অপেক্ষা।বিহান ভাই আকাশের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো আকাশের দিকে ছড়িয়ে দিলেন।”

“এই কথা গুলোর মানে কি বিহান ভাই।আপনি কি বুঝাতে চাইছেন এগুলো বলে।”

“তোর বোঝার বয়স হয় নি।বিহান ভাই নিচু হয়ে বসে পায়ে ছুলে যাওয়া জায়গা মলম লাগিয়ে পায়ে হাত বুলিয়ে দেন আর বলেন কেনো করিস এমন দিয়া।আলিপের দেওয়া বই টা যদি না নিতে যেতিস তাহলে তো আর আমার শরীরের রক্ত জ্বলে যেতো না।তোর হাত ধরেছিলো আমার যে কি রাগ হচ্ছিলো।”

“আলিপ ভাই কে নিয়ে আপনার রাগ হয় কেনো?”

“এত কথার উত্তর দিতে পারবো না।এই মাঝ রাতে ডাক্তারের কাছে গেছি বাইক নিয়ে।তাকে ২০০০ টা এক্সট্রা ফিস দিয়েছি ধর মলম আর ওষুধ ঠিক মতো খাবি।আর এই নে বই।এই মাঝ রাতে তোর জন্য দোকানে গিয়ে বই টা নিয়ে এসেছি।মেঘ না চাইতে জল উপন্যাস টা পড়ে দেখিস।”

“আপনি পড়েছেন।”

“আমার এসবের টাইম নেই।পড়ে তুই গল্প বলিস শুনবো।এখন যায় কেউ আসলে আবার মাইন্ড করবে।নিচে বিভোর মশার কামড় খাচ্ছে।।”

“বিহান ভাই প্লিজ বলে যান না কি বুঝাতে চাইলেন।।”

“তোর পায়ে ব্যাথা না হলে এখন ছাদ থেকে ফেলে দিতাম।এত প্রশ্ন করিস কেনো?
বলেই চলে গেলেন উনি।মই বেয়ে নিচে নেমে গেলেন।আমি উনার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম।”

চলবে,,,,

(কেমন লাগলো গাইস আজকের পার্ট।নিচে কিছুটা আংশিক একজনের টাইম লাইন থেকে নিয়ে মিক্সড করা দুই চার লাইন গল্পে সৌন্দর্তা আনতেই নেওয়া।তারপর সবাই কমেন্ট করবেন।পেইজ এ লাইক কমেন্ট চাই।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here