ঘৃণার মেরিন সিজন ৪(পর্ব ৮+৯)

0
584

#ঘৃণার_মেরিন 4
part : 8
writer : Mohona

.

নীড় : আই জাস্ট হেইট ইউ…

জন : ম্যান… নীড় স্যার এখন পুরো জব্দ ।
মেরিন : আমার কাছে ভুল করলে শাস্তি পেতেই হবে। নীড়কে তো আর বাকিদের মতো করে শাস্তি দেয়া সম্ভব না। তাই এভাবেই দিতে হচ্ছে। হ্যা যদি নীড় ভালোমতো যেতে রাজী হতো তবে এ পথ বেছে নিতে হতো না।

তখন নিহীল রেগে রুগে ভেতরে ঢুকলো।
নিহাল : আমার ছেলের সাথে কি করেছো?
মেরিন : আপনি আমার অফিসে? স্ট্রেইঞ্জ।
নিহাল : আমার কথার জবাব দাও । আমার ছেলে কোথায় ?
মেরিন : ছেলের শোকে ভুলে গিয়েছেন নাকি কার সামনে দারিয়ে আছেন ? আর কাকে প্রশ্ন করছেন?
নাহিল : ভুলিনি। আমি মেরিন বন্যা খান নামের একজন হার্টলেস মানুষের সাথে কথা বলছি । আমার ছেলে কোথায়?
মেরিন : আমি কাউকে জবাব দেইনা সেটা নিশ্চয়ই জানেন…
নিহাল : আমি তোমাকে পুলিশে দিবো।
মেরিন : ওকে নাম্বারটা কি আমিই ডায়াল করে দিবো?
নিহাল রেগে বের হয়ে গেলো।
মেরিন : জন… তোমার কি মনে হয় না যে বাবা ছেলে ২জনেরই রাগটা একটু বেশি..।
জন : জী ম্যাম।

.

নীড় : শীট শীট শীট।।। এই মেয়ে টাতো …

তখন ১জন ওর খাবার নিয়ে এলো।
নীড় : এই যে শোনো তোমার কাছে মোবাইল আছে?

¤ : জী স্যার।

নীড় : দাও…

¤ : সরি স্যার পারমিশন নেই।

নীড় : দিতে বলেছি দাও।
নীড় এমনভাবে বলল যে ভয়ে কেপে উঠে বেচারা দিয়ে দিলো। সে চলে গেলো।

নীড় : মোবাইল নিয়ে তো নিলাম। বাট কারো নাম্বার তো মনেই পরছে না। উফফ। পুলিশের নাম্বারও জানিনা। বাট গুগলে তো দেখে নেয়া যাবে।

নীড় পুলিশকে ফোন করলো।

নীড় : হ্যালো মিরপুর পুলিশ স্টেশন ।

পুলিশ : জী।
নীড় : দেখুন আমাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে।
পুলিশ : কে করেছে? কোথায় আছেন আপনি?
নীড় : কিডন্যাপারের নাম মেরিন বন্যা খান । সে আমাকে …
পুলিশ : সে আপনাকে সাড়ে এগারোর ডুপ্লেক্স বাড়িটাতে গৃহবন্দী করে রেখেছে। তাই তো।
নীড় : জী জী। কিছু করুন। মেরিন বন্যা খানকে অ্যারেস্ট করুন।
পুলিশ : কাকে অ্যারেস্ট করবো?
নীড় : মেরিন বন্যা খানকে।
পুলিশ : বলি আমাদের ঘাড়ে কটা করে মাথা আছে শুনি যে মেরিন বন্যা খান কে গ্রেফতার করতে যাবো?
নীড় : আরে আজব তো। আপনারা আমাকে চেনেন না। আমি নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন । আমি কিন্তু চাকরি খেয়ে নিবো । দরকার হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে যাবো।
পুলিশ : হাহাহা। যান যান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে যান। সেও আপনাকে খুব সুন্দর ১টা জবাব দিবে । বাই।

পুলিশ ফোন রেখে দিলো।
নীড় : হ্যালো হ্যালো হ্যালো।।. ড্যাম ইট।
নীড় ফোনটা ছুরে মারলো।

নীড় : মেয়েটা কি মাফিয়া টাফিয়া নাকি? যে পুলিশর পর্যন্ত ওর কথা শোনে।

¤ : স্যার ।।
নীড় : আবার কি?
¤ : কনিকা ম্যাম উঠে গিয়েছে।
নীড় : ওকে আমি আসছি।

.

রাতে…
মেরিন বাসায় ঢুকলো। দেখে কবির-সেতু-নিরা সামনে দারিয়ে আছে।
মেরিন : আপনারা কি বিয়ের গেইট ধরেছেন ? না নিশ্চয়ই। তাহলে দরজা থেকে সরে দারান।
সেতু : নীড় কোথায়?
মেরিন : মেরিন বন্যা খান কাউকে জবাব দেয়না।
কবির : জবাব না দিলে আজকে তোমাকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হবেনা।

কথাটা শুনে মেরিন অট্টহাসিতে ফেটে পরলো।

মেরিন : গুড জোক মিস্টার খান।
বলেই গান বের করে জনের পা বরাবর ফাকা গুলি করতে লাগলো। ৩জন সরে গেলো।
মেরিন : আমার নিশানা সবসময় ভুল হবেনা। আমি দেয়াল ভাঙায় না … উরানো তে বিশ্বাসী।
বলেই মেরিন ভেতরে ঢুকলো।
নিরা : কি করেছিস তুই আমার নীড়ের সাথে?

‘আমার নীড়’ … নিরার মুখে কথাটা শুনে মেরিনের মেজাজ আরও গরম হয়ে গেলো । ১টা গ্লাস আছার দিয়ে ভেঙে ১টা টুকরা নিরার গলার দিকে ছুরে মারলো।
নিরার গলার কিছুটা কেটে রক্ত পরতে লাগলো।
কবির : মেরিন….😡
মেরিন : চুপ।।। 📢। আমাকে একদম চোখ রাঙানি দিবেননা মিস্টার খান। চোখ উপরে ফেলবো । আর তুই… ভুলেও কোনোদিন যেন আর তোর মুখ দিয়ে না বের হয় ‘আমার নীড়’ … মনে রাখিস… নীড় কেবল আমার। শুধু আমার।

.

সকালে…
নীড়ের ঘুম ভাঙলো। দেখলো মেরিন দারিয়ে আছে। হাতে খাবার নিয়ে।
নীড় : তুমি ?
মেরিন : হ্যা আমি। যান ফ্রেশ হয়ে নিয়ে ব্রেকফাস্ট করুন ।
নীড় : তোমার হাতেরটা আমি খাবো সেটা ভাবলে কি করে শুনি?
মেরিন : আমার হাতেরটাই তো সারাজীবন খেতে হবে।
নীড় : নেভার।
বলেই নীড় ওয়াশরুমে চলে গেলো।
মেরিন : পাগল চৌধুরী।

মেরিন বেরিয়ে কনিকার রুমে গেলো। গিয়ে দেখে কনিকা পরে যেতে নিচ্ছে মেরিন ধরে ফেলল। কনিকা মেরিনকে দেখে ভয় পেয়ে গেলো।
মেরিন : ভয় পেওনা। আমি তোমাকে পরে যেতে দিবোনা …
মেরিন কনিকাকে দার করালো। এরপর ধরে ধরে বসিয়ে দিলো।

কনিকা ভয়ে ভয়ে
বলল : থ্যাংক ইউ ।
মেরিন কনিকার কপালে চুমু একে দিলো ।

মেরিন : এতো ভয় পাচ্ছো কেন?
কনিকা : জানিনা…
মেরিন : ভয়ের কি আছে আমি তো তোমার মেয়েরই মতো …
কনিকা : এমা বলেকি…. তুমি আমার বনপাখির মতো কেন হবে শুনি? আমার বনপাখি তো ছোটপাখি।
মেরিন : ….
কনিকা : আমার তোমাদের মতো কাউকে দেখলেই ভয় করে। যদি তোমরা আমার বনপাখিকে ধরে নিয়ে যাও।
মেরিন : একদম নিবোনা।
কনিকা : সত্যি ?
মেরিন : হ্যা সত্যি।
কনিকা : তাহলে তুমিও ভালো।
বলেই কনিকা মেরিনের গালে চুমু দিলো। মেরিনের চোখের কোনে পানি চলে এলো।

বেরিয়ে এলো কনিকার রুম থেকে। বাসার এক কোনে হাটুতে মুখ গুজে কাদতে লাগলো।

নীড় কফি হাতে নিয়ে হাটছে আর বেরোনোর পথ খুজছে । তখন ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্নার শব্দ পেলো।

নীড় : কে কান্না করছে …
নীড় শব্দ ধরে এগিয়ে গেলো। পেলো মেরিনকে।

নীড় : অতৃপ্ত আত্মা … কাদছে। অবাক তো।
নীড় মেরিনের আরেকটু কাছে গেলো।

নীড় মনে মনে : সত্যি কাদছে নাকি আত্মাগিরি করছে…? লেট মি চেক।

নীড় মেরিনের মাথায় কফি ঢেলে দিলো। কোল্ড কফিই ছিলো।

মেরিন চোখের পানি মুছে দারালো।

মেরিন : হুয়াট দ্যা হে… আপনি …?
নীড় : কাদছিলে কিনা পরীক্ষা করে দেখছিলাম।
মেরিন : …
নীড় : তুমি কি বাই অ্যাট এনি চান্স কাদছিলে?
মেরিন : নান অফ ইউ বিজনেস …
বলেই মেরিন চলে গেলো।

নীড় : নান অফ মাই বিজনেস। হুহ। যাই হোক অতৃপ্ত আত্মাটার মাথা কফিতো ঢেলেছি। ইশ হাতে যদি কোল্ড কফি না থাকতো । যাই ভালো আন্টির কাছে যাই …

.

২দিনপর …
মেরিন অফিসে বসে বসে কিছু ভাবছে। তখন নীলিমা এলো।
মেরিন : আরে আন্টি আসো।
মেরিন : নীড়ের কথা জানতে এসেছো?
নীলিমা : না। আমি জানি ও তোর কাছে থাকলে সুস্থই আছে ।তুই জানিস কি হতে চলেছে?
মেরিন : কি ?
নীলিমা : নীড়-নিরার বিয়ে।
মেরিন : বিয়ে?
নীলিমা : হ্যা বিয়ে।
মেরিন : কিন্তু নীড়ই তো নেই।
নীলিমা : নীড়ের সন্ধান পেলেই বিয়ে। দেরি করবেনা।
মেরিন বাকা হাসি দিলো।
মেরিন : ওহ রিয়েলি ?
নীলিমা : হ্যা । কি হবে?
মেরিন : আমার ওপর ছেরে দাও।
নীলিমা : আচ্ছা দিলাম। এই পেপারসগুলো ধর। পড়ে সাইন করে দে।
মেরিন : কিসের পেপারস?
নীলিমা : পড়ে দেখ…

মেরিন : চৌধুরী এম্পায়ারের ৬০% আমার নামে ট্রান্সফার করা হয়েছে…?

নীলিমা : হামমম। চৌধুরী এম্পায়ারের ৬০% শেয়ার আমার নামে নিহাল করেছিলো। সেটা আমি তোমার নামে করে দিলাম।
মেরিন : কিন্তু কেন?
নীলিমা : তোমাকে ত্রিমুখী শক্তির মালকিন করতে। মাহমুদ আর খান সম্রাজ্য তো তোমার ছিলোই। এখন থেকে চৌধুরী সম্রাজ্যও তোমার আন্ডারে।
মেরিন : কিন্তু মিস্টার চৌধুরী ?
নীলিমা : এটা আমার ডিসিশন।
মেরিন : আমাকে তো আমি নিজেই বিশ্বাস করিনা। তুমি বিশ্বাস করে এগুলো দিয়ে দিলে …
নীলিমা : আমি আমার ছেলেকে ভালোবাসি। আর তুমিও আমার ছেলেকে ভালোবাসো। সিগনেচার করে নিজের কাছেই রেখে দিও …
বলেই নীলিমা বেরিয়ে গেলো।

.

পরদিন …

নীড় কনিকার গলায় ছুরি ধরে রেখেছে। কনিকার ভীতু ভীতু মুখ।
সার্ভেন্টসরা সবাই আতঙ্কিত। কনিকাকে ছারতে বলছে।

নীড় : তোমরা তোমাদের ম্যামকে ডাকো। মেরিন বন্যা খানকে ডাকো …

খবর পেয়ে মেরিন ছুটে এলো।

নীড় : এসে পরেছো মিস অতৃপ্ত আত্মা …
মেরিন : কি হচ্ছে কি নীড় …. লেগে যাবে আম্মুর।
নীড় : লাগুক। আই ডোন্ট কেয়ার।
মেরিন : নীড় যদি আম্মু ব্যাথা পায় আমি কিন্তু আপনার নিরার গলা থেকে মাথাই নামিয়ে দিবো।
নীড় : ওকে।
মেরিন : ছারুন নীড়।
নীড় : নীড়ে সবাই বন্দী হয়। বাট নীড়কে বন্দী করা সম্ভবনা। এটাও তুমি করেছো। বাট আর না। আমা পক্ষে আর বন্দী হয়ে থাকা সম্ভব না। সো… লেট মি গো …
মেরিন : আগে আম্মুকে ছারুন।
নীড় : হ্যা ছারবো তো। আগে আমাকে যেতে দাও।
মেরিন : বললাম তো যেতে দিবো। ছারুন আম্মুকে। প্রমিস যেতে দিবো।
নীড় : প্রমিস ?
মেরিন : প্রমিস…

মেরিন প্রমিস করতেই নীড় আর কনিকা হাহা করে হেসে উঠলো। ২জন হাত মিলালো।

নীড় : চলো বন্ধু আজকে ২জন মিলে খুব ঘুরবো।

বলেই কনিকাকে নিয়ে বাইরের দিকে যেতে লাগলো। মেরিনকে ক্রস করে আবার ফিরে এলো।

নীড় : তোমাকে হ্যান্ডেল করা আমার বা হাতের খেল। শুধুমাত্র মেয়ে বলে ছার দেই। কারন আমি মেয়েদের সম্মান করি। আমি কতোটা রাগি তা তুমি জানো। তাই নিজের সাইকোগিরি আমার সাথে দেখাতে এসোনা। হেরে যাবে।

মেরিন মোবাইলটা আছার মারলো। যা যা পেলো চোখের সামনে সব ভেঙে ফেলল। সবাই ভয়ে কেপে উঠলো ।

.

রাতে…
নীড় কনিকাকে নিয়ে বাসায় ফিরে এলো। কনিকার হাতে চকোলেটস , পুতুল…
নীড় তাকিয়ে দেখলো সারা বাড়ি লন্ডভন্ড। মেরিন কপালে হাত দিয়ে বসে আছে। অন্য হাতটা খানিকটা কাটা। কনিকা ভয় পেয়ে গেলো। নীড় নার্সকে বলল কনিকাকে রুমে নিয়ে যেতে। নার্স নিয়ে গেলো।

নীড় ফার্স্ট এইড বক্স নিয়ে মেরিনের পাশে বসলো। মেরিনের হাতটা ধরলো। মেরিন নীড়ের দিকে তাকালো।

নীড় : আমি তোমার মতো অমানুষ নই।
নীড় মেরিনের হাতে ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছে।

মেরিন : ইউ হ্যাভ টু পে ফর দ্যাট। ভেরি ব্যাডলি।
নীড় : তোমার কাছে ব্যাড ছারা গুড কিছুই আশা করা যায়। সকালে যা করেছি সেটা কেবল ট্রেইলার ছিলো। সেই সাথে ওয়ার্নিং ও। এরপর থেকে আর কখনো আমাকে বন্দী করার কথা মাথাতেও এনো না। না হলে ভালো আন্টি যতোই ভালোবাসিনা কেন… তোমার জন্য কষ্ট দিতে বাধ্য হবো। কাল সকালে আসবো। ভয় নেই ভালো আন্টিকে সুস্থ না করা পর্যন্ত আমি তাকে ছারছিনা।
বলেই নীড় চলে গেলো।

.

২দিনপর…
মেরিন চুপচাপ বসে আছে। তখন হন্তদন্ত হয়ে জন ওর কেবিনে ঢুকলো।
জন : ম্যাম ম্যাম ১টা দুঃসংবাদ আছে…
মেরিন : নীড়-নিরার বিয়েটা কবে?
জন : পরশু।
মেরিন : হামমম। গোপনে না প্রকাশ্যে?
জন : গোপনে।
মেরিন : হামমম। তোমার কাছে কাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় আছে জন খান বাড়িকে বউয়ের মতো সাজানোর জন্য । মনে রেখো কালকে মেরিন বন্যা খান আর নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনের গায়ে হলুদ।
জন : জী ম্যাম।
মেরিন : নিশ্চয়ই জানো চৌধুরী দের কোথায় আনতে হবে। আর কারা কারা ইনভাইটেড?
জন : অফকোর্স ম্যাম।

.

পরদিন…
খান বাড়িকে খুব সুন্দর করে সাজানো হলো। কেউ কিছু বুঝতেই পার়ছেনা দাদুভাই ছারা। বিকালে দিকে নিহাল-নীলিমা-নীড়কে তুলে আনা হলো।

নিহাল : এসবের মানে কি? আমাদের এখানে তুলে আনা হয়েছে কেন?
কবির : আমরাই তো অবাক আপনাদেরকে এখানে দেখে।
নিহাল : মিস্টার খান বাড়িটা এভাবে সাজিয়েছেন কেন? বলেছিলাম না বিয়েটা গোপনে হবে। মেরিনের আড়ালে।
কবির : বাড়ি তো আমরা সাজাইনি। মেরিন সাজিয়েছে।
নিহাল : ও জেনে গিয়েছে যে নীড়-নিরার বিয়ে?
কবির : না।
নিহাল : তাহলে কেন সাজিয়েছে?
কবির : সেটা তো আমরাও জানিনা।

মেরিন : আজকে আমার গায়ে হলুদ তাই সাজিয়েছি….

.

চলবে…

#ঘৃণার_মেরিন 4
part : 9
writer : Mohona

.

মেরিন : আজকে আমার গায়ে হলুদ তাই সাজিয়েছি…

সবাই সিড়ির দিকে তাকালো। দেখলো সেজে গুজে মেরিন দারিয়ে আছে। সাদা আর সোনালী রঙের মিশ্রনের ১টা কাপর। লাল রঙের ব্লাউজ। কালো গোলাপের গহনা। অদ্ভুদ সুন্দর লাগছে । নীড় ১বার চোখ ফিরিয়ে নিয়ে আবার তাকালো।

নীড় : ওয়াও…
কথাটা নীড় আস্তে করেই বলল। তবে নিরা কাছেই ছিলো । তাই শুনতে পেলো।

মেরিন সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে এলো।

মেরিন : আজকে দি গ্রেট মেরিন বন্যা খানের গায়ে হলুদ।
সেতু : গায়ে হলুদ মানে?
মেরিন : ও মিসেস খান… কি খেয়ে বড় হয়েছন বলুন তো… গোবর খেয়ে… বিয়ের আগে মানলাম ভিখিরি বাড়ির মেয়ে ছিলেন। বাট বিয়ের পর তো এই খান বাড়ির বউ হয়ে ভালোই ভালো মন্দ খেয়েছেন।
সেতু : মেরিন…
মেরিন : ভুল কিছু বললাম? এখানে আপনি ছারা সবারই ব্লু ব্লাড। নীল রক্ত সকলের। আমি তো রাজ রক্ত। একমাত্র আপনিই ভিখিরি বাড়ির মেয়ে।
কবির : তুমি আমার স্ত্রীকে অপমান করছো।
মেরিন : অপমান তাকে করা হয় যার মান থাকে। যাই হোক আজকে আমি ঝগড়া করতে চাইনা। কারন আজকে আমার জীবনের ১টা শুভদিন। আজকে গায়ে হলুদ। কালকে আমার বিয়ে।
কবির : বিয়ে? কারসাথে?
মেরিন : সেটা জেনে আপনি কি করবেন?
কবির : কি করবো মানে? আমি কি জানতে পারিনা … ভুলে যেওনা তুমি আমার মেয়ে।
মেরিন : কি বললেন? ঠিক শুনতে পাইনি… দাদুভাই তুমি শুনেছো?
দাদুভাই : না দিদিভাই আমি কিছু শুনিনি। আমি তো ওর কথা শুনিইনা।
মেরিন : জন তুমি শুনেছো?
জন : মে বি তিনি বললেন আপনি তার মেয়ে …
মেরিন : মেয়ে…?

মেরিন হাসতে লাগলো। মেরিনের অট্টহাসিতে সারা খানবাড়ি গুমগুম করেছে।

মেরিন : যে মেয়ে বাচলো না মরলো… খেলো নাকি খেলোনা সেই খবর কখনো কোনোদিনও নেননি … সেই মেয়ের বিয়ের কথা শুনে পাত্রর নাম জানতে চাওয়ার আগ্রহ দেখে আমি সত্যিই শিহরিত।

মেরিনের কথা আর হাসিতে নীড় ১টা কষ্ট অনুভব করলো।

মেরিন : যাই হোক… কালকে সবাই আমার জামাইটার দেখা পাবেন। তাকে দেখে সবার তাক লেগে যাবে। এখন হলুদ সন্ধ্যা শুরু করা যাক।

বলেই মেরিন গানটা ওপরে তুলে শূন্যে ফাকা গুলি করলো। আর সাথে সাথে ফুলের বৃষ্টি শুরু হলো। ঢোল-নাগারা বাজা শুরু হলো।

.

মেরিন হলুদের বাটি নিয়ে নীড়ের সামনে গিয়ে দারালো।
মেরিন : আমি চাই সবার আগে আপনি আমাকে হলুদ দিন…
নীড় ওকে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো।
মেরিন : অল টাইম ড্রামা … নীড় আপনাদের ৩জনকে যদি এখানে তুলে নিয়ে আসতে পারলে আরো অনেক কিছু করতে পারি । আমি কোনো ঝামেলা করতে চাইছিনা। প্লিজ একটাবার হলুদ লাগিয়ে দিন। অল্প একটু …
নীড় : লিসেন তুমি আমাকে কোনো কাজ করতে বাধ্য করতে পারবেনা। বুঝেছো।
মেরিন : জেলাস হচ্ছেন বুঝি আমার গায়ে হলুদ দেখে।
নীড় : জাস্ট শাট আপ। তুমি যাকে খুশি বিয়ে করো। তাতে আমার কি? তবে হ্যা তোমার মতো মেয়েরা যে কাউকে ভালোনাসতে পারেনা সেটা আরো ১বার প্রমান হলো…
মেরিন : হাও গ্রেট অ্যাম আই। যাই হোক হলুদটা লাগিয়ে দিন। প্রোগ্রাম শুরু হতে দেরি হচ্ছে। সো ফাস্ট।
নীড় : নো…
মেরিন : আপনিই আমাকে হলুদ লাগাবেন প্রথম।
বলেই মেরিন নীড়ের সামনে গিয়ে দারালো।
মেরিন : যখন ভালোভাবে লাগালেন না তখন আমি আমার স্টাইলেই লাগাবো।
বলেই মেরিন খুব দ্রুত নীড়ের গালে হলুদ লাগিয়ে ওর গালের সাথে নিজের গাল মিশিয়ে নিজের গালেও হলুদ লাগিয়ে নিলো। বিনিময়ে নীড়ের থাপ্পর খেলো।

থাপ্পর মেরে নীড় বেরিয়ে যেতে নিলে পারলোনা। কারন মেরিনের লোকজন ।

ধুমধামের সাথে হলুদ সন্ধ্যা পালন হলো।

.

নীড় বসে বসে ভাবছে।
নীড় : কাকে বিয়ে করছে মেরিন ? কে সে? ও না বলে যে ও আমাকে ভালোবাসে …? তাহলে কিভাবে অন্যকাউকে বিয়ে করতে পারে? ওর মতো মেয়েরা সব করতে পারে। ওদের ভালোবাসাও মিথ্যাই হয়। বুঝতে পারছিনা আমার এতো রাগ উঠছে কেন?

মেরিন : আমি কতো ভাগ্যবতী… নীড় আমার কথা ভাবছে।
নীড় : তুমি ? তুমি আমার রুমে কি করছো?
মেরিন : এই বাড়ি আমার , রুম আমার , আপনি আমার … কাছে এই প্রশ্ন করছেন? নট ডান…

মেরিন সাদা রঙের ১টা থ্রিপীছ পরা। এই প্রথম মেরিনকে এভাবে দেখলো । চুল থেকে টুপটুপ করে পানি ঝরছে। তবে নীড়ের চোথ আটকে গেলো মেরিনের গলার লকেটটাতে। আগে কখনো দেখেনি লকেটটা। চেইনটা দেখেছে বাট লকেটটা আজকে দেখলো। ও মনে করলো মেরিন নিরার গলার লকেটটা কেরে নিয়েছে।

নীড় : তুমি নিরার লকেট কেন পরেছো? নিশ্চয়ই কেরে নিয়ে জোর করে পরেছো?
মেরিন : আপনি এই লকেটটার কথা বলছেন?
নীড় : হ্যা।
মেরিন : ফর ইউ কাইন্ড ইনফরমেশন এই লকেটটা জন্মের পর থেকে আমার গলায় আছে। ১দিনের জন্যও খোলা হয়নি। আপনার নিরার গলায় এটা কিভাবে যাবে শুনি? আমার জানামতে ওর গলায় এই ডায়মন্ড লকেট থাকতে পারেনা…

নীড় মনে মনে : কি বলছে কি মেয়েটা? গত ৩বছর ধরে বনপাখির গলায় আমি লকেটটা দেখছি… আর ও বলে এটা ওর… দেখা দরকার ১বার …

নীড় রুম থেকে বের হয়ে গেলো।

মেরিন : এই যে কোথায় যাচ্ছেন? নিরার গলায় এমন লকেট? কিন্তু কিভাবে? গট ইট… এটার দিকে নজর পরেছে। ভালো লেগেছে। তাই হয়তো তার বাবা বানিয়ে দিয়েছে। মিস্টার খান তো আবার মেয়ের কোনো ইচ্ছাই অপূর্ন রাখেননা।

নিরা : কি চলছে মেরিনের মাথায়? কি হবে কালকে? ও কি ন…
নীড় : বনপাখি…
নিরা : বেবি তুমি?
নীড় : হামম আমি।
নীড় নিরার সামনে এসে দারালো। ওর গলার চেইনটা ধরলো। লকেট আছে।
নিরা : কি ব্যাপার আমার লকেটে কি দেখছো?
নীড় : মেরিনের গলায়ও সেইম লকেট দেখলাম। তাই মনে করলাম হয়তো ও তোমারটা ছিনিয়ে নিয়েছে।

কথাটা শুনে। নিরার মুখের রং উরে গেলো।
নিরা মনে মনে : এখন যদি নীড় বুঝে যায় যে বনপাখি আমি না … মেরিন… তাহলে?
নীড় : কি হলো তোমাকে এমন লাগছে কেন?
নিরা : আসলে কালকে কি হবে ভেবে ভয় লাগছে… ও যদি কাল তোমাকে আমার কাছ থেকে কেরে নেয়?
নীড় নিরাকে জরিয়ে ধরলো।
নীড় : নীড় কেবল নিরার। আমি আছি তো।
নিরা : লাভ ইউ।
নীড় : লাভ ইউ টু। আচ্ছা লকেটের কাহিনি কি? ওর গলায় তোমার মতো লকেট কি করে?
নিরা : লললকেট … আসলে বাবা আমাকে আর ওকে একইরকম লকেট দিয়েছিলো । ছোটবেলায়।
নীড় : ওহ….

.

সেতু : ভীষন চিন্তা হচ্ছে। মেরিন নিশ্চয়ই জেনে গিয়েছে কালকে নীড়-নিরার বিয়ে হবে সেটা। আর তাই এসব করছে।
কবির : কিন্তু এই কথা তো আমরা ৪জন আর নীড়-নিরা ছারা কেউ জানেনা। আমি তো বাবাকেও বলিনি একারনে।
নীলিমা : আপনারা শুধুশুধুই ভয় পাচ্ছেন। এমন কিছুই হয়তো হবেনা। ও হয়তো অন্যকাউকেও বিয়ে করতে পারে। আর মেরিনের যদি নীড়কেই বিয়ে করার হতো তাহলে তো ও নীড়কে তুলে নিয়ে গিয়েই বিয়ে করতে পারতো… 😅…
কবির : মেরিন চুপিসারে কোনো কাজ করেনা।
নিহাল : এখন কালকে সকাল পর্যন্ত তো ওয়েট করতেই হবে… আর কোনো অপশন নেই।
সবাই : হামমম।

.

পরদিন…
দুপুরে খাওয়ার পরই সবার কেমন ঘুমঘুম পাচ্ছে। সবাই ঘুমিয়ে পরলো। আর যখন সবার ঘুম ভাঙলো তখন সবার চোখ রসগোল্লার মতো বড় হয়ে গেলো।

বউ সেজে গান হাতে বসে আছে মেরিন। সব কালো। লেহেঙ্গা কালো , গহনা কালো। পাশে নীড়। ঘুমের রেশ এখনো সম্পুর্ন কাটেনি। নীড়ের গায়ে কালো রঙের শেরওয়ানি। মাথায় কালো রঙের পাগরি।

নিহাল-নীলিমা-নিরা … ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। আর ৩জনের নিচে বড় সাইজের পাত্র রাখা। সেই পাত্রগুলোতে তরল কেমিক্যাল রাখা। আর তার চারদিকে মেরিনের লোকেরা ঘেরাও করে রেখেছে। যেন কেউ কাছে না ভিরতে পারে।

কবির : মামনি।।।
সেতু : মাই বেবি…

নীড় : মামনি বাবা… বনপাখি…

‘বনপাখি’ … ডাকটা শুনে মেরিন অবাক হলো।

নীড় : ওদেরকে এভাবে ঝুলিয়ে রেখেছো কেন?

মেরিন : বনপাখি কে? আপনি নিরাকে বনপাখি ডাকলেন কেন?
নীড় : এটা আমার প্রশ্নের উত্তর নয়। বলো আমার মা-বাবা আর ভালোবাসাকে ওখানে ঝুলিয়ে রেখেছো কেন? বলো… উত্তর দাও…
মেরিন : আগে আমার উত্তর দিন। আপনি ওকে বনপাখি ডাকলেন কেন?
নীড় : আমি ওকে ভালোবেসে ডাকি। পেয়েছো উত্তর…
মেরিন : …
নীড় : নামাও ওদের …
মেরিন : হ্যা নামাবো তো …
বলেই মেরিন ওর সিংহাসন চেয়ারে পায়ের ওপর পা তুলে বসলো।

মেরিন : তবে নামানোর আগে… ছোট্ট একটু কাজ আছে।
নীড় : কি কাজ?
মেরিন : আপনাকে আমায় বিয়ে করতে হবে…
নীড় : অসম্ভব কোনোদিনও না।

কবির : তুমি কি মানুষ মেরিন ?
মেরিন : না। আমি মেরিন।
কবির : ১টা থাপ্পর দিবো মেয়ে তোমাকে।
মেরিন : পারলে দিয়ে দেখান। আমি অমন মেয়ে নই যে জন্মদাতা থাপ্পর দেবে আর আমি হজম করবো। থাপ্পর দিতে এলে হাতটা কেটে ফেলে দিবো।
কবির : তোমার সব মনমানি মেনে নিলেও এটা আমি মেনে নিবোনা । কারন এটা আমার মেয়ের জীবনের ব্যাপার ।
মেরিন : সো হুয়াট । যদি কোনো কথা বলতে আসেন তবে এই কেমিক্যালের মধ্যে আপনার মেয়েকে চুবানো হবে। এর ভেতর ঢুকবে আপনার মেয়ে। আর বের হবে আপনার মেয়ের কঙ্কাল।

সেতু : তোকে আজকে আমি…
বলেই সেতু মেরিনের দিকে তেরে এলে মেরিন ওর গলা চেপে ধরলো।

নীড় : আন্টি…
কবির : সেতু…
মেরিন : তোর সাহস দেখে অবাক হলাম।
বলেই সেতুকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো।

মেরিন নীড়ের সামনে গিয়ে দারালো।

মেরিন : তো নীড় আপনাকে ভাবার জন্য সাড়ে সাত মিনিট সময় দিলাম। আপনি আমাকে বিয়ে করবেন কি করবেন না সেটা ভাবুন… আপনি সময় নিয়ে ভাবুন…

তখন নীড় মেরিনের হাত থেকে ওর গানটা নিয়ে নিলো।

মেরিনের লোকেরা গান উঠাতে নিলে মেরিন ইশারা দিয়ে না করলো।

নীড় : এতো খুশি হয়ো না। না তো ভালোবেসে তোমাকে বিয়ে করবো। আর না তো ঘৃণা করে তোমার জান নিবো। আমাকে নিয়ে কাহিনি তো … আমি এখন তোমার সামনে নিজেকেই শেষ করে দিবো। গুড বাই…

বলেই নীড় নিজেকে শ্যুট করলো।

.

কিন্তু গুলি চললো না।

মেরিন : আমি ভিন্ন অন্যকারো হাতে গেলেনা … আমার গান কাজ করেনা। দিন দেখাচ্ছি কিভাবে কাজ করে…
মেরিন নীড়ের হাত থেকে গান নিলো। এরপর গুলি ভরলো। এরপর ওপরে ফাকা গুলি করলো।

মেরিন : আমি জানতাম আপনি এমনটাই করবেন। তাই গানটা ফাকা করে রেখেছিলাম। এখন বলুন বিয়ে করবেন কি করবেন না?
নীড় : নো…
মেরিন : ওকে… নিরাকে নিচে নামাও…
নিরাকে ধীরে ধীরে নিচে নামানো হচ্ছে।
সেতু-কবির : নিরা ….
কবির : নীড় নীড় … তুমি রাজি হয়ে যাও। নিরাকে বাচাও …
নীড় : ….
মেরিন : মিস্টার এন্ড মিসেস চৌধুরীকে নিচে নামাও।
নিহাল-নীলিমাকে কিছুটা নামাতেই
নীড় বলল : বিয়ে করবো।

মেরিন : ঠিক শুনতে পেলামনা।

নীড় : বললাম যে তোমাকে বিয়ে করবো। তোমাকে বউ বানাবো ।ছেরে দাও সবাইকে।

মেরিন : ওকে । জন… পেপারস।

জন পেপারস নিয়ে এলো।

মেরিন : সিগনেচার প্লিজ।
নীড় : আগে সবাইকে নামাও

মেরিন : আগে সিগনেচার। মেরিন কথার খেলাপ করেনা।

নীড় সিগনেচার করলো। মেরিনও করলো। সাক্ষীরাও করলো। প্রথম সাক্ষী দাদুভাই। কিন্তু নীড় জানেনা ওখানে ১টা কনট্র্যাক্ট পেপারও ছিলো।

মেরিন : সবাইকে নামানো হোক।

সবাইকে নামানো হলো। কেমিক্যাল গুলো সরানো হলো।

নিহাল : কাজটা ঠিক করলেনা মেরিন বন্যা খান।
মেরিন : আহা… মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরী। জন… আমার শাশুড়িমাকে দীপের সাথে চৌধুরী বাড়িতে পাঠাও। সেখানে গিয়ে সে বরনডালা সাজিয়ে বসে থাকবেন। আমাকে আর নীড়কে বরন করার জন্য।

নীড় : জন… মামনি একা না। আমি আর বাবাও যাবো।
মেরিন : নো না… এখনও বিয়েতে কোনো গেস্ট এলোনা , অনুষ্ঠান হলোনা । আর সবথেকে বড় কথা কবুল বলে আমাদের বিয়ে হলোনা। কি করে শশুড়বাড়ি যাই বলুন তো ….? আর কোনো ড্রামা ক্রিয়েট করবেন না প্লিজ… জন…

নীলিমা চৌধুরী বাড়িতে পৌছালো। এদিকে ধুমধামের সাথে বিয়ে হলো। প্রেস-মিডিয়া-পলিটিশিয়ানস সবাই উপস্থিত ।
না চাইতেও নীড়কে বসে থাকতে হলো। না হলে হয়তো ওর মাকে খেসারত দিতে হবে । নীড় তো আর এটা জানেনা যে এই প্ল্যানের ৫০% পার্টনার নীলিমা।

শেষে দাদুভাই বিদায় দিলো ।
মেরিনের হাত নীড়ের হাতে দিলো।

দাদুভাই : তোমার কাছে হয়তো হাস্যকর লাগবে। তবুও বলছি… আমার দিদিভাই কে তোমার হাতে তুলে দিলাম। ওর দায়িত্ব আজ থেকে তোমার। ১টা কথা মাথায় রেখো … তুমি ছারা ওর কেউ নেই….

.

নীলিমা বরনডালা নিয়ে দারিয়ে আছে। গাড়িবহর এসে থামলো। নিহাল হনহন করে নেমে ভেতরে ঢুকলো।
নিহাল : একি… তুমি দেখি সত্যিই বরনডালা সাজিয়ে দারিয়ে আছো…
নীলিমা : তো কি করবো? ঝাড়ু নিয়ে দারিয়ে থাকবো? যাও ভেতরে যাও। বোকা কোথাকার ।
নীড়ও হনহন করে ভেতরে চলে গেলো। নীলিমা স্বাদরে মেরিনকে বরন করে নিলো।
নীলিমা : ওয়েলকাম নতুন চৌধুরানী …
মেরিন : ধন্যবাদ শাশুড়িমামনি …
নীলিমা : শুধু মামনি ডাক…
মেরিন : মামনি …

.

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here