গোধূলিলগ্ন ৪৬

0
234

উপন্যাসঃ”গোধূলিলগ্ন”
শান্তনা আক্তার
পর্বঃ৪৬

মার খেতে-খেতে ক্লান্ত,পরিশ্রান্ত দেহ হাঁপিয়ে উঠেছে সুপ্ত ও সাজিদের। যাবতীয় সত্য স্বীকার করায় তাদের আর ঘাটা হলো না। দুজন পাশাপাশি দুটো চেয়ারে হাত বন্দী অবস্থায় পড়ে রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর মারের ক্ষত ফুলে ফেঁপে উঠছে তাদের। কিছু জায়গা কেটেও গেছে। হাঁপাতে হাঁপাতে একটা সময় চারিদিক কাঁপিয়ে হাসির রোল ফেলল সুপ্ত সাখাওত। সাজিদ আহাম্মক বনে আশ্চর্যান্বিত চোখজোড়া সুপ্তর দিকে আটকে রেখে বলল, ‘শোকে পাগল হলেন নাকি? আচ্ছা, আমি যখন আপনাকে অ্যালার্ট করলাম, তখন পালালেন না কেন? পালানোর জন্য যথেষ্ট সময় ছিল আপনার হাতে।’
সুপ্তর হাসি থামল না বরং হাসির মাত্রা আরও কয়েকশো গুণ বেড়ে গেল। ক্ষত স্থানের মর্মান্তিক যন্ত্রণা তার উপর সুপ্তর অহেতুক হাসি যোগে সাজিদের মেজাজ এবার তুঙ্গে!
‘মার খেয়ে মাথার তার ছিড়ে গেল নাকি? নাকি জ্বীনে ধরেছে আপনাকে? ব্যথায় মরে যাচ্ছি, আর আপনি মিয়া হাসছেন খালি-খালি।’
সুপ্ত ফিসফিস করে বলল, ‘কাব্য শেষ!’
পিনপতন নীরবতায় সুপ্তর ফিসফিস করে বলা কথাটা বেশ ভালো ভাবেই সাজিদের কর্ণকুহরে প্রবেশ করল। সে খানিক অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘কাব্য শেষ মানে?’
‘ওর খাবারে বিশেষ ধরনের বিষ মিশিয়ে দিয়েছিলাম, যার কার্যক্রম এক কি দেড় ঘন্টার মধ্যে শুরু হবে।’
সাজিদ আরও কয়েক দফা অবাক হয়ে বলল, ‘মানে? শুরু থেকে বলুন।’
‘ছলচাতুরী আমার রক্তে বুঝলি সাজিদ? আমি পালানোর কথা একবার মাথায় এনেছিলাম ঠিকই, তবে পরে ভাবলাম পালালেই বা কি? আমার তো এখন টাকার জোর নেই। তাছাড়া আমার সম্পর্কে সবকিছুই ফাঁস হয়ে গিয়েছে। ফলে যা একটু আশা ছিল পুনরায় গুছিয়ে নেওয়ার, তার সবটাই শেষ হয়ে গেল। কাজেই আমার পালিয়ে লাভটা কি হতো? ফুটো পয়সাও ছিল না যে বিদেশে পালাবো। তাই মরেছি যখন, যার জন্য মরেছি তাকে নিয়েই মরবো। দেখ, আমি পেরেছিও। আমার পেছনে আঘাত করা তাইনা? আমি কি সেটা এবার বুঝবে ওই ওভার-স্মার্ট সাংবাদিক কাব্য।’
সাজিদ বলল, ‘আমিতো আজ জানতে পেরেছিলাম কাব্যর প্ল্যান সম্পর্কে। তাও জানতাম না যদি আমার কলিগকে ভুলিয়ে,ফুসলে তার পেট থেকে কথা না বের করতাম। তাকে পরিকল্পনায় রেখেছে, তবে আমাকে নয়! আমি এতদিন কাব্যর এক ডাকে খেয়ে না খেয়ে দৌঁড়ে এসেছি, আর আমাকেই কিনা বুঝতে দিল না এত কিছু! সব রাত্রির জন্য হলো। মরেছে ঠিকই, কিন্তু মরার আগে আমাদের মারার মহা অস্ত্র কাব্যর হাতে দিয়ে গিয়েছে। সেয়ানা কাব্য আমাদের রাস্তা ধরেই আমাদের নিঙড়ে দিল।’
সুপ্ত কঠোরভাবে বলবেন, ‘একদম চুপ! আমাকে নিঙড়ানোর ফল আমি কি দেইনি? ও আমার এই অবধি যেই পরিমাণে ক্ষতি করেছে, তার উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা আমার আগে থেকেই করা ছিল।’
সাজিদের উৎকন্ঠা, ‘তাই নাকি?’
‘হুম, আমার পুরাতন টাকাগুলো নতুন নোটে রূপান্তর হওয়ার পর এমনিতেই আমি ওকে বিষ খাইয়ে মারার প্ল্যান বানিয়ে রেখেছিলাম। কদিন আগে বিদেশ থেকে বিষাক্ত বিষ চোরা রাস্তা দিয়ে এ দেশে আমদানি হয়েছিল, তার কিছুটা তো এখনো পড়ে আছে। পরিমাণে কম থাকায়, আমি গোডাউনে না রেখে বাসাতেই সেগুলো রেখেছিলাম। এক সপ্তাহ হতে আর মাত্র দুটো দিন বাকী ছিল। নিয়ত ছিল, টাকা হাতে পাব আর কাব্য ফিনিশ। তবে সন্ধ্যায় তুই যেটা শোনালি, তারপর আর দুই দিন কি, দুই সেকেন্ডও ইচ্ছে হলো না সাংবাদিকের বাচ্চাটাকে বাঁচিয়ে রাখতে। দ্রুত নতুন প্ল্যান সাজালাম৷ দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে ডাকলাম কাব্যকে। মরার জন্য তরতর করে চলেও আসলো। আফসোস, আরও দুটো দিন আগে দুনিয়া ছাড়বে আমার পছন্দের সাংবাদিক সাহেব! দেখ চোখ আমার ছলছল করছে।’
শেষের বাক্যটা কাঁদো-কাঁদো গলায় নাক টেনে বললেন সুপ্ত সাখাওত যেন তার কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছে। সাজিদ উচ্চস্বরে হেসে ওঠেন সুপ্তর সেই নাক ফ্যাংফ্যাং করে বলা কথায়।
_______
ফ্যাশন হাউজের মেইন গেট হতে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে নাবিলা। বারবার এদিক সেদিক তাকিয়ে চলেছে সে। তার মুখশ্রী স্পষ্ট জানান দিচ্ছে সে কারো জন্য অপেক্ষা করছে। সহসা তার সামনে একটা কালো রঙের গাড়ি ব্রেক কষলো। গাড়ি থেকে কাব্যকে নেমে আসতে দেখে দ্রুত পদক্ষেপে নাবিলা কাব্যর নিকট চলে এলো। অস্থিরতা নিয়ে বলল, ‘এত লেট কেন করলেন? আমি অনেক আগেই আপনার অফিসে গিয়ে ক্যামেরা জমা দিয়ে এসেছি।’
কাব্য হাসিসমেত বলল, ‘জানি, খবর এসেছে কানে। ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আমাদের চ্যানেলেও সম্প্রচার হয়ে গিয়েছে এতক্ষণে। গাড়ির রেডিওতে শুনতে শুনতে আসলাম মিতু ও বাদশার মধ্যকার হওয়া সকল কথোপকথন। এবার দেখবো ধুরন্ধর মিথ্যাশ্রয়ী বাদশার ক্ষমতা কিভাবে টেকে।’
‘আমি তো ভয়-ভয়েই ছিলাম মিতুকে নিয়ে। ধরা পড়ে যায় কিনা, এটা ভেবেই গলা শুকিয়ে আসছিল আমার। এতটা ভয় হরর গল্প, মুভিতেও পাইনি আমি।’
কাব্য হেসে বলল, ‘আমি ভয় পাইনি। উল্টো আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস ছিল মিতুবুড়ির উপর। যেখানে সম্পর্ক ওর প্রিয় লোকেদের, সেখানে ওর থেকে সাহসী ও শক্তিশালী নারী দুটো নেই। ওকে আমার থেকে ভালো কেউ চেনে বলে মনে হয়না।’
‘বিশ্বাস করতে বাধ্য হলাম আপনার কথা। কিন্তু মিস্টার কাব্য, আমাদের এখন করণীয় কি?’
‘কি আবার? আসুন আমার সঙ্গে।’
নাবিলা কাব্যকে অনুসরণ করে তার পিছু নিল।
_____
আঁটসাঁট হয়ে বিছানার একপাশে বসে মিতু। এতদিন নুরুলের মৃত্যুটা বিশাল এক ধোয়াশা ছিল মিতুর নিকট। আজ সেই ধোয়াশার খোলাসা হলো বাদশার কপট স্বীকারোক্তির মাধ্যমে। ছাতার হাতলের এক কোণে গুপ্ত ক্যামেরা সেট করা ছিল। মিতুর এখানে আসার মূল উদ্দেশ্যে বাদশার মুখোশ টেনে সামনে আনা। পরিকল্পনা কাব্যর হলেও, নিখুঁত অভিনয়ে কার্য হাসিল মিতুর হাতেই সম্পন্ন হয়েছে। কিছুক্ষণ চিন্তায় ডুবে থেকে মিতু বলল, ‘কাব্য ভাই এহনো আহে না ক্যান? দম যে আর নেওন চলে না। পরাণ ধরফর করতাছে। নাবিলা ম্যামরে তো হেই কহন ছাতাখান দিছি, হেয় কি ছাতাখান কাব্য ভাইয়ের হাতে পৌঁছাইতে পারে নাই? হায়-হায়, যদি না পৌঁছাইতে পারে, তাইলে এত পরিশ্রম সব পানিতে! হাত-পাও ঠান্ডা হইয়া আইতাছে আমার। কেমনডা যে লাগে!’
আচমকাই বাহির থেকে ভেসে আসলো শোরগোলের বিকট শব্দ। মিতু দেরি না করে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ল শব্দের খোঁজে।
বাদশার শার্টের কলার কাব্যর মুষ্টিতে। সে এলোপাতাড়ি কিল,ঘুষি দিয়ে চলেছে বাদশার পেট,মুখ, বুকে। মিতুর তা দেখে চোখ হলো চড়কগাছ। সে বাঁধা দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসার মূহুর্তে তার দৃষ্টি ছুটে যায় লুৎফরের পানে। লুৎফর পালানোর জন্য উদ্যত হলে মিতু তার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। কোমড়ে এক হাত গুজে বলল, ‘ওই চামচা, তোর বসরে রাইখ্যা পালাস ক্যান এহন? এহন তোর আরও বেশি কইরা চামচাগিরি করনের কথা। কিন্তু তুই হেইডা না কইরা পলাইতাছোস ক্যান? বুঝছি, নিজে বাঁচলে বাপের নাম। শনি আইছে যে তোগো কপালে, এহন তো পালাবিই।’
লুৎফর হাতজোড় করে ভয়কাতুরে কন্ঠে বলল,
‘আমাকে যেতে দাও বোন, আমি আর কখনো আমার মুখ দেখাবো না। গড প্রমিস।’
‘তোর গুষ্টিরমাথা! তুই আগে ক আমার বুবু কোনহানে?’
লুৎফর এক টানে বলল, ‘ধানমন্ডি-২, বাড়ি নাম্বার ১৩, সেকেন্ড ফ্লোরের ডান দিকের ফ্ল্যাটে আছে তোমার বোন। এখন আমাকে যেতে দাও।’
মিতু খ্যাঁক করে বলল, ‘এহ, আইছে! এহন তুই জোরে জোরে হাসবি। আমার সামনে যেমন কইরা হাসোস সবসময়, হুবহু ওমনে হাসবি। তারপর তোরে ছাড়মু।’
লুৎফরের অসহায় চাহনি, ‘হাসি তো আসছে না বোন।’
মিতু নাছোড়বান্দার ন্যায় বলল, ‘হাসি না আইলেও হাসতে হইবো। তোর হাসি না দেইখ্যা আমি নড়তাছি না। হাস কইতাছি চামচার ঘরের চামচা!’
লুৎফর কূল দিশা না পেয়ে হাসার চেষ্টা করল। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও তার সেই গগনবিদারী অট্টহাসির মতো করে হাসতে পারলো না। ওইদিকে পুলিশ এসে কাব্যকে থামিয়ে ফেলেছে। নুরুলের খুন ও মিতু,মায়া,সেতুর সঙ্গে করা অপরাধের দায়ে তাকে এরেস্ট করা হয়। বাদশা ও লুৎফরের হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ৷ বাদশার সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। সে তার বিক্ষিপ্ত চাহনি দ্বারা মিতুকে ভস্ম করতে ব্যস্ত। মিতু বাদশার দিকে কয়েক কদম এগিয়ে গিয়ে বলল,
‘পাপ, বাপকেও ছাড়ে না। খারাপের রাজত্ব ক্ষণস্থায়ী। পারলে ভালো হওয়ার চেষ্টা করবেন। আমি আপনার মাধ্যমে অনেক কিছু শেখার সুযোগ পেরেছি। যদিও আপনার উদ্দেশ্য আমাকে ব্যবহার করা,তবুও ধন্যবাদ।’
কাব্য এখনও নিজেকে ধাতস্থ করতে পারেনি।
তার চোখ যেন অগ্নিপিণ্ড। বাদশা চলে যাবার সময় মিতুর উদ্দেশ্যে বলল, ‘তোকে গেঁয়ো ভেবে সহজ ভাবে নেওয়াটাই আমার সবচেয়ে বড়ো ভুল ছিল। যাই হোক, ছাড়া পেলে আবার দেখা হবে।’
বাদশার কথার ধরণ ঠিক কি বোঝালো, তা মিতুর অজানা। নির্বিকারচিত্তে সে বাদশার চলে যাবার পানে চেয়ে থাকল। কাব্য মিতুর মুখোমুখি হতেই মিতুর টনক নড়ে। কাব্যর কড়া দৃষ্টি। মিতু অপ্রস্তুত হয়ে বলল, ‘কি করেছি আমি? এভাবে তাকাচ্ছো কেন?’
সঙ্গে সঙ্গে কাব্য পাঁচ আঙুলের ছাপ বসিয়ে দিল মিতুর গালে। চেঁচিয়ে বলল, ‘নিজেকে খুব সাহসী মনে করিস তাইনা? চড়টা সেদিন মারা উচিত ছিল যেদিন বাদশার আদেশে আমাকে মিথ্যে বলে তাড়িয়ে দিয়েছিলি। ইচ্ছে করছিল দুহাতে গলা টিপে মেরে ফেলি তোকে। একটা র‍্যাম্প ওয়াক করে নিজেকে বড়ো মাপের অভিনেত্রী, মডেল মনে করে ফেলেছিস! শোন, তোর সেদিনকার সস্তা অভিনয়ে আমার রাগ ছাড়া অন্য কিছু হচ্ছিলো না। তোকে ছাড়ানোর জন্য রাত জেগে পরিকল্পনা করলাম, পরের দিন শুনি তুই উধাও! তখন কেমন অবস্থা হয়েছিল আমার ভাবতে পারবি তুই? কখনোই পারবি না। কারণ ভালো তো আমি বাসি, তুইতো আর না।’
‘কাব্য ভাই তুমি আমার দিকটা….’
মিতুকে থামিয়ে বাধ সাধল কাব্য, ‘একদম চুপ। কথা শুনবি শুধু। তুই যতই নিজেকে সাহসী, বুদ্ধিমতী মনে করিস না কেন, সবসময় তোর থেকে আমি কয়েক ধাপ বেশি বুঝি। না লুকিয়ে সবটা যদি আগেই বলে দিতি, তাহলে আজ এত কিছু হতো না। তোর ভাগ্য ভালো যে নাবিলার মতো একজনের সাহায্য পেয়েছিলি, নইলে ওই রাতে কোথায় যেতিস তুই তোর মেয়েকে নিয়ে? এমন বোকামি কেউ করে? আরে আমি তোকে পড়তে পারি। তুই অমনটা করায় মাঝখান দিয়ে সেতুকে নিয়ে টানাহেঁচড়া করল ওই বাদশা। একটা দিন অপেক্ষা করলে খুব কি ক্ষতি হতো?’
মিতুর ঠোঁট ভেঙে কান্না আসলো। কাব্য আরও কয়েক দফা রেগে বলল, ‘কান্না থামা! এখন কান্না করে লাভ কি? সেতুর কাছে যেতে হবে আমাদের। ওর বদমাশ হাসবেন্ডটাকেও উচিত শিক্ষা দিতে হবে। জঘন্য লোক একটা।’
কাব্যকে অনুসরণ করে পেছন পেছন হাঁটছে মিতু। বাহিরে গাড়ির বেশ নিকটে আসলে হঠাৎ কোন বার্তা ছাড়াই দাঁড়িয়ে পড়ল কাব্য। মাথা চেপে ওইভাবেই মিনিট কয়েক ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রইল সে। তার চড়া কন্ঠের প্রভাবে বিশাল ভয় ঢুকে গিয়েছে মিতুর মনে। তাই কাব্যর হঠাৎ থেমে যাওয়ার কারণ জানার ইচ্ছে থাকলেও প্রশ্ন করার সাহস হলো না। ধিরে ধিরে কাব্য মাটিতে বসে পড়ল।
চিৎকার দিয়ে বলল, ‘আমার বুক জ্বলে যাচ্ছে রে মিতুবুড়ি।’
কথাটা মিতুর শ্রবণেন্দ্রিয় স্পর্শ করতেই মিতু ছুটে গিয়ে কাব্যর একহাত ধরে ফেলল। আতংকিত গলায় সে বলল, ‘তোমার কি হয়েছে কাব্য ভাই? বুক কেন জ্বলছে? দেখি,দেখি।’
মিতু কাব্যর বুক ডলতে থাকল। নাবিলা এ অবধি কোন রা করেনি। করার প্রয়োজন ছিল না বিধায়। সময় করে পরে মিতুর সঙ্গে কথা বলবে এই ভেবে চলে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো৷ তিনি তার গাড়িতে উঠবে করেও দূর থেকে মিতু ও কাব্যর অস্বাভাবিক অবস্থা দেখে ছুটে আসলো দ্রুত পায়ে।
‘মিস্টার কাব্যর কি হয়েছে মিতু? উনি এমন করছেন কেন?’
মিতুর থেকে কোন উত্তর পেল না নাবিলা। হঠাৎ করে কাব্যর গলা দিয়ে রক্তবমি হতে থাকল। এমন ভয়ানক দৃশ্যে মিতুর কলিজা এবার পানিশূন্য! মিতুর হাত রক্তে মাখামাখি অবস্থা। কাব্যর চোখ উল্টো হয়ে আসছে। গলা দিয়ে কথা বের হচ্ছে না। মিতুর ভুবন কাঁপানো কান্না। সব মিলিয়ে বিশৃঙ্খল এক অবস্থা তৈরি হলো কয়েক মুহুর্তের ব্যবধানে।
চলবে ইনশাআল্লাহ….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here