উপন্যাসঃ”গোধূলিলগ্ন”
শান্তনা আক্তার
পর্বঃ৪৫
সুপ্ত সাখাওতের নিজ বাড়িতে আয়োজিত নৈশভোজের নিমন্ত্রণে প্রধান অতিথি কাব্য। ঘড়ি ধরে ঠিক রাত আটটায় কাব্য, সুপ্তর বাড়ি এসে পৌঁছাল। সদর দরজায় দাঁড়িয়ে হাতে থাকা বিশাল বুকেটা একপাশে নিয়ে বেল বাজানোর জন্য হাত বাড়ানোর পূর্বেই দরজা খুলে গেল। সামনে প্রশস্ত হাসির লোকটার চোখে চোখ পড়তে কাব্যও একগাল হাসল। হাসি মুখে ধরে বলল, ‘দেরি করে ফেললাম! এটা আপনার জন্য।’
কাব্য ফুলের বুকেটা এগিয়ে দিলে সুপ্ত হাত বাড়িয়ে গ্রহণ করে।
‘এটার দরকার ছিল না সাংবাদিক সাহেব। ভেতরে চলুন।’
সুপ্ত সরে গিয়ে জায়গা দিল। কাব্য ভেতরে যেতে-যেতে বলল, ‘এটা তো কিছুই না, আপনার জন্য বিগ সারপ্রাইজ এনেছি। এনি গেস?’
সুপ্ত কয়েক মুহুর্ত ভাবল।
‘কি বলুনতো সাংবাদিক সাহেব?’
‘চেষ্টা করুন। আরেকটু ভাবুন।’
সুপ্তর চিন্তাপূর্ণ মুখশ্রী, ‘ধরতে পারবো না হাজার ভাবলেও।’
কাব্য হেসে বলল, ‘আচ্ছা একটা হিন্ট দেই। কাঙ্ক্ষিত কিছু, যেটা এই মুহুর্তে আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
সুপ্তর ঠোঁট প্রসারিত হয়ে এলো। প্রসন্নচিত্তে সে বলল, ‘তবে কি আমার পুরাতন টাকা!’
‘এমনটাই।’ বলল কাব্য।
সুপ্তর উৎকন্ঠা, ‘এক সপ্তাহের আগেই! বাহ সাংবাদিক সাহেব, বাহ! আপনি সত্যিই অসাধারণ ব্যক্তিসত্তার মানুষ। আপনার মতো এমন একজনের বন্ধু হতে পেরে আমি যতটা খুশি, ততটা প্রকাশ করা আমার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব বলতে পারেন।’
_________
বাহিরের ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির প্রভাবে পরনের কাপড়ের বেশ কিছু জায়গাজুড়ে ভিজে গিয়েছে মিতুর। রিকশা থেকে নেমে ছাতা মেলতে গিয়ে এই হাল তার। চুলে বিন্দু বিন্দু পানি কণা আটকা পড়া। মিতু আনমনে করিডরে বসে চুল ঝাড়ছিল এমন সময় শুনতে পায়, ‘বস ভেতরে যেতে বলেছে আপনাকে।’ লুৎফরের কন্ঠ শ্রবণে এলে মাথা উঁচিয়ে দেখল মিতু। রা করল না সে। ছাতা ভাজ করে এগিয়ে গেল বাদশার ক্যাবিনের দিকে।
মিতুকে দেখে চেয়ারে ঋজুভঙ্গিতে বসল বাদশা।আলতোভাবে গোঁফে হাত চালিয়ে বলল,
‘জানতাম তুমি ফিরে আসবে।’
মিতু অনুমতি চেয়ে বিপরীতমুখী চেয়ারে বসল। ছাতাটা বুকের সঙ্গে এঁটে সে বলল, ‘আমার বুবুকে কোথায় রেখেছেন?’
মিতুর প্রশ্নের পৃষ্ঠে বাদশা হেসে উঠল। পরক্ষণে মুখ কঠিন করে উগ্র মেজাজে বলল,
‘বলবো না। আমাকে ভালোই নাকানিচুবানি খাইয়েছিস, এবার তুইও খা।’
‘আপনি আমার বুবুকে কেন ধরে এনেছেন? সে কি করেছে? যা করার আমি করেছি।’
‘কান টানলে মাথা আসে, তেমনই বড়ো বোনকে টানলে ছোট বোন আসে। আর কোন প্রশ্ন?’
মিতুর ঝিমধরা কন্ঠ, ‘আমার মেয়েকে আটকে রেখে আমাকে ব্যবহার করেছেন, এর শাস্তি এখনও পাওনা আপনার। এখন আবার আমার বোনকে দিয়ে সেই একই কাজ! আপনি নিজেকে কি মনে করেন বলুনতো?’
‘বুদ্ধিমান ব্যক্তি।’ বাদশার কপট উত্তর মিতুর সমস্ত শিরা-উপশিরায় আগুন জ্বালিয়ে দিল। তার আগুন ঝরা চোখ আঁটসাঁট দেহবিশিষ্ট বাদশার হাসির কারণ হলো আরও একবার। হাসতে-হাসতে বাদশা হাতের ইশারায় লুৎফরকে কাছে ডাকে। লুৎফর এগিয়ে গেলে বাদশা বলল,
‘আগে ছিল গেঁয়ো বাঘিনী, এখন হয়েছে শহুরে বাঘিনী। কিন্তু বনের বাদশা কি কখনো বাঘিনীতে কুপোকাত হয় বল?’
লুৎফর গগনবিদারী অট্টহাসি হেসে বলল,
‘নাতো! বাদশা তো বাদশাই। তার সামনে টেকার ক্ষমতা কার?’
তখন দাঁত কামড়ে মিতু বলল, ‘আমি চলে এসেছি, এবার আমার বুবুকে ছেড়ে দিন।’
লুৎফর বলল, ‘হ্যাঁ আপনার বোনকে ছেড়ে দেই, আর আপনি আবার পালান নাকি?’
বাদশা বলল, ‘ছাড়া তো সম্ভব না তাকে। আর তোমাকেও ফিরিয়ে নেব না। যে রাস্তা ধরে এসেছো, সে রাস্তা ধরে চলে যাও।’
শূন্যচোখে কয়েকমুহুর্ত বাদশার দিকে তাকিয়ে থেকে মিতু বলল, ‘মানে? চলে যাব?’
‘হ্যাঁ, চলে যাও।’ বলল বাদশা।
‘আর আমার বুবু?’
‘আমার জিম্মায় থাকবে।’
‘আমি না থাকলে তাকে রেখে কি করবেন আপনি?’
‘প্রতিশোধ নেব।’ বাদশার ভাবলেশহীন, নির্বিকার উত্তর।
মিতু কপট রাগ নিয়ে বলল, ‘এসবের মানে কি? কি চাচ্ছেন আপনি?’
বাদশা ও লুৎফর সমস্বরে হেসে উঠল। মিতুর অনূভুতিশূন্য আচরণ। লুৎফর বলল,
‘আমার স্যার আপনার উপর খুব রাগ করেছে। তাই আপনাকে দিয়ে আর কাজ করাতে চান না। কাজেই, আপনি এবার আসুন।’
‘আমি যাব না আমার বুবুকে ছাড়া। কোত্থাও যাব না। আপনারা আমার বুবুকে ছেড়ে দিন।’
বাদশা ঔৎসুক করে বলল, ‘ছাড়বো না তাকে। সারাজীবনের জন্য রেখে দেব কালকুঠুরিতে। তবে….!’ ইচ্ছে করে থমকাল বাদশা। তার কথার জের ধরে মিতু শুধায়, ‘তবে? তবে কি?’
‘তবে আপনি যদি আমার বসের পা ধরে ক্ষমা চেয়ে তার রাগ কমান, তাহলে ভেবে দেখবেন আপনাকে দিয়ে পুনরায় কাজ করাবেন কি না।’ বলল লুৎফর।
মিতু স্বল্প কিছু সময় ভেবে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াল। খাদে পরিণত কন্ঠে সে বলল,
‘আমি রাজী।’
বাদশা হাতের বাম দিকে চেয়ার ঘুরিয়ে বলল,
‘এসো, সাদরে নিমন্ত্রণ দিল আমার পা-জোড়া।’
মিতু ধির কদমে এগিয়ে গেল। বুকে সেঁটে থাকা ছাতাটি সেভাবেই বাম হাতের কবলে ধরে রেখে হাটু ভেঙে বসল। এরপর ডান হাত বাড়িয়ে বাদশার পা ধরে নীমিলিত চোখে সে বলল,
‘আমাকে মাফ করুন বাদশা বস। আমার ভুল হয়ে গেছে, যা দ্বিতীয়বার আর হবে না।’
হঠাৎ মিতুর দুকানে মৃত্যুবাণ হয়ে দৌঁড়াতে থাকল বাদশা ও লুৎফরের অশ্রবণীয় সেই অট্টহাসি, যার তান্ডবে সমস্ত শরীর আগ্নেয়গিরির ভয়ানক অগ্নুৎ্পাত হানার ন্যায় জ্বলে উঠল মুহুর্তেই।
______
খাওয়াদাওয়ার পর্ব চুকিয়ে মদের আসর বসেছে। সুপ্ত দুটো ড্রিংকস তৈরিতে ব্যস্ত৷ গুমোট বাতাবরণটার অবসান ঘটিয়ে কাব্য বলে উঠল,
‘আপনার বাড়িটা বেশ বিলাসবহুল। পছন্দ হয়েছে আমার। আপনার ডিজাইন করা কি?’
সুপ্ত ড্রিংকস এর গ্লাস কাব্যর দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, ‘হুম, আমারই।’
কাব্য নড়েচড়ে বসে ড্রিংকস হাতে নেয়। বলে,
‘এ কয়দিনে আপনার সম্পর্কে মোটামুটি সবই জানা হলো। কাছ থেকে চেনাও হলো আপনাকে। তবে আমার প্রশ্ন, এখন যদি আমি আপনার সবকিছু ফাঁস করে দেই তাহলে?’
কাব্যর এহেন কথায় সুপ্তর কপালে সুক্ষ্ম ভাজ পড়ে। পরমুহূর্তে তিনি দুপাটি দাঁত বের করে উচ্চস্বরে হেসে ওঠেন।
‘আপনি বিশ্বাসযোগ্য সাংবাদিক সাহেব। আপনার চোখে প্রতারণা, জালিয়াতির ছিটেফোঁটাও নেই। আই ট্রাস্ট ইউ মিস্টার।’
‘তাই?’ কাব্যর কৌতূহলী চোখ।
‘হুম, কারণ প্রতারণা ভালোদের দ্বারা হয়না। অসম্ভব কাজ এটা তাদের পক্ষে।’
‘তাহলে আপনি বলছেন আমি ভালো?’
‘অবশ্যই আপনি ভালো, সাংবাদিক সাহেব।’
‘কিভাবে বুঝেছেন তা?’
‘আপনার কাজ দেখে। নিজের সমস্যা মনে করে অন্যকে যেভাবে সাহায্য করেন, তা দেখে। এছাড়াও পরিবারের প্রতি আপনার দুশ্চিন্তা দেখে স্পষ্ট বলা যায় আপনি একজন জেনুইন পারসন। আমি একজন খারাপ মানুষ৷ যার কি না পরিবার নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। তারা বাঁচুক, মরুক তাতে আমার কিছুই আসে-যায়না। তাই আমার কোন দুর্বলতাও নেই। যারা ভালো, তারা কাছের মানুষকে নিয়ে ভয় পায়। আর এটাই তাদের মস্ত বড়ো দুর্বলতা। দেখুন না আপনাকেই। পরিবারের জন্য আমার দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলেন। এ থেকে স্পষ্ট প্রমাণ হয় আপনি কতটা ভালো।’
সুপ্ত কথা শেষ করলে কাব্য করতালি দেওয়া শুরু করল।
‘আপনার কথাটা ভালো লাগলো, সুপ্ত। তবে ভালো হলে কি খারাপের সাথে হাত মেলাই?’
সুপ্ত কিঞ্চিৎ রেগে বলে, ‘আরে ভাই বললামই তো পরিবারের জন্য করেছেন সেটা! আচ্ছা আপনি খারাপ, হয়েছে?’
কাব্য মাথা নাড়ে৷ সুপ্ত বলে, ‘ড্রিংকস নিচ্ছেন না যে?’
‘এইতো।’ কাব্য গ্লাস মুখের কাছে নিলে বেল বেজে উঠল। সুপ্ত সাখাওত ‘স্বপন’ বলে ডেকে উঠলে কাব্য বাধ সাধে, ‘আমি খুলছি, সমস্যা নেই।’
‘আপনি কেন?’
‘ব্যাপার না, নিজেরাই তো।’
অল্প কিছু সময়ের মধ্যে সুপ্তর চারপাশে পুলিশ ঘেরাও দিল। বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যানও উপস্থিত ছিল। যার মধ্যে সাজিদও আছে৷ সে সবার পেছনে গা ঢাকা দিয়ে দাঁড়িয়ে। সুপ্ত সাখাওত কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে চারিপাশে চোখ ঘুরিয়ে কাব্যর দিকে তাকায়। অদ্ভুত ছিল কাব্যর সেই চাহনি। সুপ্তর বুকের ভেতর কেমন খচখচ হতে থাকল কাব্যর ঠোঁটের সেই দূর্ভেদ্য হাসি দেখে। একজন পুলিশ সুপ্তর মুখোমুখি হয়ে বলল, ‘আপনার কালো ব্যবসার প্রতিটি ক্ষেত্র এবং স্থান চিহ্নিত করা হয়ে গিয়েছে। একইসাথে আপনার সাথে জড়িত সকলেই বন্দী প্রায়।’
সুপ্ত পুলিশের বলা কথা উপেক্ষা করে কাব্যর সামনাসামনি হয়ে শীতল কণ্ঠে বলল,
‘মজা হচ্ছে?’
কাব্য দুদিকে মাথা নেড়ে বলল,
‘না, ক্লাইম্যাক্স এন্ড বিগ সারপ্রাইজ।’
সুপ্ত তারস্বরে বলল, ‘তোর চৌদ্দগুষ্টিকে শ্মশানে পাঠাবো ইতর!’ বলে সুপ্ত প্যান্টের পকেট থেকে রিভলবার বের করে কাব্যর দিকে তাক করার আগেই সুপ্তকে পেছন থেকে ধরে ফেলা হয়। সুপ্ত পাগলা ঘোড়ার ন্যায় ছুটোছুটি করছে আর অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করে চলেছে কাব্যকে। এরূপ আচরণের জন্য সুপ্তর দু হাটু, পিঠে বেত্রাঘাত চালানো হলো সমানতালে। বিক্ষিপ্ত, বিক্ষুব্ধ সুপ্তর তেজ কমে এলে তাকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হলো। সাজিদ ভিড় ঠেলে কাব্যর কাছে এসে বলল, ‘আপনি দুর্দান্ত স্যার৷ আপনার প্রশংসা আপনি নিজে।’
কাব্য হেসে বলল, ‘থ্যাংকস সাজিদ।’
একজন ইন্সপেক্টর কাব্যর দিকে হাত বাড়িয়ে প্রসন্নচিত্তে বললেন, ‘অভিনন্দন মিস্টার কাব্য। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাহায্য করার জন্য। এভাবেই সর্বদা আমাদের সাহায্য করবেন আশা রাখি।’
‘অবশ্যই, বলতে হবে না।’ বলল কাব্য।
‘আসি তাহলে, দেখা হবে আবার।’
‘আরেকজনকে না নিয়ে চলে যাচ্ছেন যে স্যার?’
কাব্যর ডাকে ফিরে তাকান ইন্সপেক্টর। কৌতূহল নিয়ে শুধান, ‘আরেকজন? আরেকজন বলতে?’
কাব্য সাজিদের দিকে হাত জাগিয়ে বলে,
‘এনাকে।’
সাজিদের চোখ বড়ো হয়ে আসে। বিস্ময়াহত কন্ঠে সে বলে, ‘কি যা-তা স্যার? আমাকে কেন?’
কাব্য তাচ্ছিল্য করে হেসে বলল, ‘জানো না নাকি?’
সাজিদের নির্ভয় স্বীকারোক্তি, ‘না।’
কাব্য সাজিদের কানে কানে বলল,
‘আজ রাত্রি স্বপ্নে এসে তোমার নাম বলে গিয়েছে।’ কথাটা বলে শব্দ করে হেসে উঠল কাব্য। সাজিদ থতমত খেল। কাব্য বলল,
‘রাত্রি তার রক্ত দিয়ে তোমার নাম লিখে গিয়েছিল। তখন আমি বুঝে গিয়েছিলাম সুপ্ত আর তোমার কোন একটা কানেকশন নিশ্চয়ই আছে। এটা ভাবার কারণ, কিছুদিন আগে গ্রামের প্রজেক্টের কাজে আমার সাথে হওয়া ছোট থেকে ছোট বিষয় সুপ্তর জানা। যা তুমি আর রাত্রি ব্যতীত কারো জানার কথা না।’
সাজিদের চড়া গলা, ‘তো? আমার নাম লিখলেই বা কি? এটা কেমন প্রমাণ?’
কাব্য রোষাবিষ্ট কন্ঠে চেঁচিয়ে বলল,
‘একজন মরণাপন্ন মানুষ তার খুনি ছাড়া লাভারের নাম লিখবে না ইউ ষ্টুপিড!’
‘তারপরও এটা কোন যথেষ্ট প্রমাণের আওতাভুক্ত নয়। আপনি অহেতুক ব্লেম দিচ্ছেন আমায়।’
সাজিদ সুপ্তকে নিষেধ করেছিল কাব্যকে তার সম্পর্কে জানাতে। সুপ্ত নিজেও জানাতে অনাগ্রহী ছিল বিধায় সাজিদ নিশ্চিত সুপ্ত সাখাওত কাব্যকে তার নাম বলেননি। ফলে সাজিদের আত্মবিশ্বাস প্রখর। যা তার ভাবমূর্তিতে স্পষ্ট প্রতীয়মান। সহসাই একজন পুলিশ কর্মকর্তা সাজিদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনি যে গুপ্তচর হিসেবে কাজ করছিলেন, তার প্রমাণ আমরা সুপ্ত সাখাওতের বডিগার্ডদের মাধ্যমে পেয়েছি। তাছাড়া নিজের মুখ দিয়ে কিভাবে কথা বের করাতে হয়, তা আমাদের ভালো মতোই জানা।’ বলে ঘাড় ধরে টেনে নিয়ে গেল সাজিদের।
কাব্য বুক ভরে শ্বাস নিল। এরপর পরই চিন্তার বলিরেখা ভেসে উঠল তার চওড়া কপালজুড়ে।
সে বেশ চঞ্চল পদক্ষেপে প্রস্থান করল সেখান থেকে।
চলবে ইনশাআল্লাহ…
বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ।