গল্পের নাম: বৃষ্টি_থামার_পরে পর্ব ১০ : সিদ্ধান্ত

0
2192

গল্পের নাম: বৃষ্টি_থামার_পরে
পর্ব ১০ : সিদ্ধান্ত
লেখিকা: #Lucky_Nova

“বিয়ে করবো না। তার চেয়ে জেলে যাব।” একদৃষ্টিতে সামনের দিকে তাকিয়ে বলল মিহি।
এরোন গাড়ি থামিয়ে অবাক হয়ে ওর দিকে তাকালো। অবাক হওয়ার মাত্রাটা যেন বেড়েই চলেছে। এতদিন এসব কি ছিলো তাহলে! যখন ভালোবাসে না আগে বলেনি কেনো? এখন এতকিছুর পর কেনো বলছে? নাকি এখন ওকে আর ভালো লাগছে না!
তাহলে কি তিমিরের কথাই ঠিক?
‘আরে ইদানীংকার মেয়েরা সব ফালতু। দুইদিনের জন্য তোকে ঘুরাবে। ভালোবাসি কথাটা বলবে না। যাতে পরে ছেড়ে দেওয়ার সময় অনেক মিথ্যা ড্রামা করতে পারে। আমি তোমাকে ভালোবাসি না, জীবনেও বলেছি ভালোবাসি? বলিনি, ব্লা ব্লা ব্লা। এরা অনেক চালাক।’ তিমিরের সেদিনের বলা এই কথাগুলো মনে পরে গেল এরোনের।
সত্যিই কি এমন? সবাই এমন? কিন্তু ওর ত অন্যরকম মনে হয়েছিলো।
কিছুক্ষণ চুপ করে মিহির দিকে তাকিয়ে রইল এরোন। মিহি চুপচাপ সামনের দিকেই তাকিয়ে আছে।
মিহির মন বলছে ছুটে পালাই। শুধু সুযোগের অপেক্ষা। সে আড়চোখে একবার এরোনকে দেখে নিলো।
“এতদিন কি ছিলো তাহলে?”
মিহি নড়েচড়ে বসে ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে বলতে লাগল, “দেখুন প্রথম থেকেই সব ভুল ছিলো। ওই চিঠিটা এক বড় আপু র‍্যাগ দিয়েছিলো আপনাকে দেওয়ার। আর আমাকে বলতেও মানা করে দিয়েছিল।”
“র‍্যাগ?” তাচ্ছিল্যের চোখে তাকালো এরোন।
মিহি মাথা নাড়লো।
“এর পরে যা যা করেছো সেগুলোও র‍্যাগ ছিল?” শক্ত মুখে বলল এরোন।
“ওগুলো র‍্যাগ ছিলো না। ওগুলো…।” এটুকু বলে মিহি থেমে গেল। কারণ ওগুলোর ত দোষ সম্পূর্ণ ওর নিজের।
মিহি জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে কাঁপা গলায় বলল, “আপনাকে আগে বলা উচিত ছিলো আমার। আমি ভয়ে নাটক করে গেছি…”
“কিসের ভয়ে?” স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল এরোন।
মিহি নিশ্চুপ হয়ে গেল।
স্থির হয়ে থাকলেও ভিতরটা হিমশীতল হয়ে যাচ্ছে এরোনের। মিহিকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে ওর।
মেয়েটা কি সত্যি বলছে! নাকি পরিবারের জন্য নাটক করছে! নাকি ওর সাথে সত্যিই ভালোবাসার অভিনয় করেছে!
তীব্র জ্বালা চাড়া দিয়ে উঠছে বুকে। তবুও সে মিহিকে ছাড়তে নারাজ। তাই ভুল ঠিক বিচার না করেই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল এরোন।
সে গাড়ি থেকে নেমে গাড়ি বাহিরে থেকে লক করে দিলো।
মিহি হা হয়ে দ্রুত নিজের সাইডের দরজা খোলার চেষ্টা করতে লাগল৷ কিন্তু কোনো লাভ হলো না।
উপায় না পেয়ে অসহায়ের মত বসেই থাকতে হলো ওকে।
মিনিট কয়েক পরেই এরোন ফিরে এসে গাড়িতে বসলো।
তারপর গাড়ি স্টার্ট দিলো। সাথে সাথে মিহি বলে উঠল, “এখন আবার কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে?”
“To hell.” গম্ভীর গলায় বলল এরোন।
“ম ম ম মানে?”
“ওহো কাপকেক, চিল! I Won’t Eat you THIS soon.” দাতেদাত চিপে বাঁকা হাসির সাথে সামনের দিকে তাকিয়ে বলল এরোন।
এটুকুতেই গা হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেল মিহির।
“আ…আমি নামবো।” বলেই মিহি অযথা গাড়ির দরজা ধাক্কাতে লাগলো। আর এরোন তার মত ড্রাইভ করে যেতে লাগল।
ছেলেটা কি করতে চাইছে সেটাই বুঝে পাচ্ছে না মিহি। তাই সারা রাস্তা আতঙ্কেই কেটে গেল ওর। অনেক ক্ষণ পর কোথাও একটা এসে গাড়ি থামালো এরোন।
“এটা কোথায় আনলেন!” তড়িৎ গতিতে প্রশ্ন করলো মিহি।
এরোন উওর না দিয়ে নিজের সিট বেল্ট খুলে গাড়ি থেকে নামলো। তারপর ওপাশে এসে গাড়ির দরজা খুলে মিহিকে নামতে ইশারা করলো।
কিন্তু মিহির সাহসই হলো না নামার।
“কি হলো!” শক্ত গলায় ভ্রু কুচকে বলল এরোন।
মিহি ভয়ে কাচুমাচু হয়ে বসে রইলো।
“নাকি কোলে তুলে নিয়ে যাব?”
শোনার সাথে সাথে হকচকিয়ে গেল মিহি আর দ্রুত নেমে পরলো গাড়ি থেকে। কারণ এই ছেলে চাইলে সব করতে পারে।
“গুড গার্ল।”
গাড়ির দরজা বন্ধ করে এরোন সামনের বাড়িটার দিকে পা বাড়ালো। কিন্তু দুই পা এগিয়েই থেমে দাঁড়ালো এরোন। তারপর একটা নিঃশ্বাস ফেলে বিরক্তিকর দৃষ্টিতে পিছনে তাকালো। কারণ মিহি ওর সাথে না এগিয়ে, জায়গায় দাঁড়িয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে হাত কচলাচ্ছে।
এরোন এগিয়ে এসে মিহির হাতের দিকে হাত বাড়াতেই ছিটকে সরে গেল মিহি।
মুহুর্তে এরোনের মেজাজ বিঘড়ে গেল। কিন্তু তাও ঠান্ডা গলায় বলল,”চুপচাপ আসো।”
এরোনের কথায় মিহির মতিগতির পরিবর্তন হলোনা। সে এখনো বিরাট তিক্ততার সাথে নিচের দিকে তাকিয়ে এদিক ওদিক দৃষ্টি বিচরণ করাচ্ছে। আর মনে মনে খারাপ চিন্তার বাসাও বানিয়ে ফেলেছে।
এরোন আবার এগিয়ে গিয়ে ওর ওড়না ধরলো। আর মিহি কিছু বলার আগেই এরোন ওর ওড়না ধরেই এগিয়ে যেতে লাগল।
“ছাড়ুন এটা!” ওড়না ছাড়ানোর চেষ্টা করতে লাগল মিহি।
কিন্তু কোন লাভ হলো না। বরং বাধ্য হয়ে মিহিকেও এগুতেই হলো।

বাড়ির দরজা এক হাতে দিয়ে ঠেলে খুলল এরোন। সাথে সাথে ভিতর থেকে ঠুস ঠাস করে বেলুন ফাটার আওয়াজ হলো। তারপরই এরোনের সব বন্ধুরা আনন্দের চিৎকার করে সামনে এসে দাঁড়ালো।
মিহি অনেক চমকে গেলেও এরোন একটুও চমকালো না। এরোনই ওদের খানিকক্ষণ আগে ফোন করেছিলো আর এখানে আসতে বলেছিলো।

“ওহো~~~~ বউয়ের আঁচল ধরা শিখে গেছো!” বলল সুজিত।
এরোন ওর হাতে ধরে থাকা মিহির ওড়নায় দিকে তাকালো। মিহিও খেয়াল করে জলদি নিজের ওড়নার প্রান্তভাগ টেনে নিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে গেল।
কিন্তু কাজ হলোনা। এরোন আরো শক্ত করে ধরে মিহির দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।
অন্যদিকে এরোনের বন্ধু বান্ধবীরা মুখ চিপে হাসতে লাগলো।
মিহি ইতস্তত বোধ করতে লাগল। ওড়নাটা ঠিকঠাক গায়ে জড়ানো ত আছে কিন্তু প্রান্তভাগ এই ছেলে শক্ত করে ধরে আছে। ছাড়াছাড়ির নাম নেই।
“ঝগড়া করেছিস নাকি?” রীক সন্দেহের চোখে তাকিয়ে বলল।
এরোন ওকে উওর না দিয়ে গম্ভীর মুখে প্রীতিকে বলল, “ওকে উপরে নিয়ে যা।”
বলে এরোন মিহির ওড়নায় প্রান্তভাগ ছেড়ে দিল।
সবাই বুঝলো কিছু একটা ঝামেলা হয়েছে।
প্রীতি মাথা ঝাঁকিয়ে এগিয়ে এসে মিহির হাত ধরলো। এক প্রকার বাধ্য হয়েই প্রীতির সাথে দোতালার উদ্দেশ্য পা বাড়ালো মিহি।

মিহি উপরে চলে যেতেই সবাই ঝেঁকে ধরলো এরোনকে। সবার এক প্রশ্ন, কি হয়েছে! কোনো সমস্যা কিনা!
এরোন সোফায় গা হেলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করল।
সবাই প্রশ্ন করেই যেতে লাগল।
অবশেষে এরোন ফোস করে একটা নিঃশ্বাস বের করে দিয়ে বলল, “বিয়ে করবে না।”
“কে করবে না?” হা হয়ে বলল মিথুন।
“মিহি?” প্রশ্ন করল রুনা।
“হু।” চোখ খুলে উপরের দিকে দৃষ্টি আবদ্ধ রেখে বলল এরোন।
“হোয়াট?” একসাথে হা হয়ে বলে উঠলো সবাই।
“জানতাম।” তাচ্ছিল্য ভাব ফুটিয়ে বলল তিমির।
তিমিরের সাথে এলমার মুখেও তাচ্ছিল্যের ভাব প্রকাশ পেল। এলমাই সে যে এরোনকে দেওয়া মিহির চিঠিটা সবার সামনে পড়েছিলো।
“মানে বিষয়টা কি?” অবাক হয়ে বলল মেঘ।
এরোন কিছু না বলে বিরক্তির সাথে উপরের দিকে তাকিয়ে রইল।
“আরে ডিটেইলস না বললে বুঝব কিভাবে?” মেঘ বিরক্ত হয়ে বলল।
অন্যরাও উওরের অপেক্ষায় আছে।
“সব ত ঠিকই ছিল। ও না তোকে ভালোবাসে? তাহলে বিয়ে করবে না কেনো?” রুনা প্রশ্ন করলো।
“Shut up guys.” সবাইকে উদ্দেশ্য করে তিমির বলল।
তারপর এরোনকে বলল,”এখন তাহলে কি করতে চাচ্ছিস! বিয়ে ত ওই মেয়ে করবে না৷ নিশ্চিয় ভালোবাসে না বলে নাটক জুড়ে দিয়েছে! আমি আগেই বলেছিলাম, এসব লাভ সাভ এ জড়াস না। ফালতু মেয়ে। তোর ত উচিত ওই মেয়েকে একদম…”
“মুখ সামলে কথা বল।” মাথা তুলে তাকিয়ে তীব্র রাগের সাথে কঠোর গলায় বলে উঠল এরোন। হাতও মুষ্টি বদ্ধ হয়ে এলো ওর।
তিমির আবার তাচ্ছিল্যের হাসি দিল। আর বলল, “সিরিয়াসলি! ওই মেয়ের জন্য এখন আমাকে গরম দেখাচ্ছিস! ওয়াও!”
“তুই বেশি করছিস, এরোন।” চোখ ঝাঁঝিয়ে বলল এলমা।
এরোন চোখ বন্ধ করে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে লাগল।
তিমির এরোনের ব্যবহারের কারণে সোফা থেকে উঠে বেলকোনিতে চলে গেল।
এরোন ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলো। কিন্তু কিছু বলল না।
“বিয়ে করবে না তাও তোর সাথে এসেছে কেনো?” রুমা ভ্রুকুটি করে বলল।
“আসেনি। নিয়ে এসেছি।” সহজ গলায় বলল এরোন।
“তুলে?” মেঘ বিস্মিত হয়ে গেল।
এরোন উওর দিল না।
“সিনেমা নাকি ভাই?” সুভাষ বিস্ময়ে বলে উঠল।
“আমার মনে হয় তোর এখানেই থেমে যাওয়া উচিত। জোর করে এসব হয় না।” বুকের কাছে হাত গুজে গম্ভীরমুখে বলল এলমা।
এরোন মেঝের দিকে অন্যমনস্ক হয়ে তাকিয়ে রইল।
বাকিরা মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগল।
“তাহলে এখন?” মিথুন উদ্ধিগ্ন হয়ে উঠলো।
“এখন আর কি! মেয়েটাকে বাসায় দিয়ে আয় এরোন।” সিরিয়াস ভঙ্গিতে বলল এলমা।
শুনে সবাই এরোনের দিকে তাকালো।
এরোন এখনো চুপচাপ মেঝের দিকে অন্যমনস্ক হয়ে তাকিয়ে আছে। মুখটা বিবর্ন হয়ে আছে।
প্রায় কয়েক মিনিট সবাই এরোনের উওরের অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু কিছুই শোনা গেল না।
তাই এলমা মিথুনকে বলল, “তুই যা। ওই মেয়েকে বাসায় দিয়ে আয়।”
“না।” এতক্ষণ পর এরোন মুখ খুলল।
সবাই প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকালো।
“না মানে?” ভ্রু কুচকে বলল এলমা।
“না মানে না। ওর আমাকেই বিয়ে করতে হবে। আমার ফিলিংস নিয়ে খেলার কোনো অধিকার ওর ছিলো না, তাও ও খেলেছে। এখন আমি যেটা করবো সেটা মেনে নিতে ও বাধ্য।”
সবাই শুনে হতভম্ব হয়ে গেল।
“কি উল্টাপাল্টা বকছিস! পাগোল হয়ে গেছিস! জোর করে কিভাবে বিয়ে করবি! উলটা কেস খেয়ে বসে থাকবি!” এলমা বলল।
এরোন ঠোঁটের কোনে বাঁকা হাসি হাসলো।
ওদের কারো বোঝার আর কিছু বাকি রইলো না।

“কিন্তু এভাবে করাটা কি ঠিক হবে?” মিথুন চিন্তিত হয়ে বলল।
“আজ পর্যন্ত আমি ভুল কি করেছি!” তীক্ষ্ণ চাহনির সাথে বলল এরোন।
‘ভুল ত আমি করেছি। তোকে নিজের মনের কথা না বলে। আর ওই মেয়েটাকে তোর কাছে আসতে বাঁধা না দিয়ে।’ মনে মনে বলল এলমা।
এলমা জানে এরোন একবার মনস্থির করে নিলে সেটা আর কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। শেষ অব্দি এরোন সেটা করেই ছাড়বে।

এরোন উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বলল, “বিয়ে হবে। সো, সব রেডি কর।”
বলে এরোন দোতালায় উঠে গেল।
সবাই আবার মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগল।
তাই মেঘ গলা ঝেড়ে নিয়ে বলল, “গাইজ, এরোন সব সামলে নিবে। i mean, মিহিকে। আপাতত আমাদের উচিত বিয়ে বাড়ি সাজানো। লেটস ডু ইট।”
“লেটস ডু ইট!” মেঘের সাথে তাল মিলিয়ে সবাই উচ্ছ্বাসের কন্ঠে বলে উঠল।
শুধু এলমাই অন্যমনস্ক হয়ে রইল।

মিহি বিছানায় দুই হাঁটু ভাজ করে তার উপর মাথা গুজে কাঁদছিল। হঠাৎ কারো পায়ের আওয়াজ কানে আসতেই মাথা তুলে তাকালো।
আর তাকাতেই এরোনকে দেখে চোখ মুখ শক্ত করে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে চোখ মুছলো।
এরোন বুকের কাছে হাত গুজে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,”তোমার আমাকেই বিয়ে করতে হবে। কাদো আর যাই করো তাতে আমার কিছু যায় আসে না। তাই নিজেকে প্রিপেয়ার করে রাখো।”
মিহি তাচ্ছিল্যের চোখে তাকিয়ে বলল, “আমি ত আগেই বলেছি! আমি কোনোদিনো আপনাকে বিয়ে করবো না। কারণ আমি আপনাকে ভালোবাসি না।”
রাগ আর ক্ষোভের কারণে ঠোঁট কাঁপতে লাগল মিহির।
এরোন একই ভঙ্গিতে তাকিয়ে রইল। যদিও মিহির বলা শেষ কথাটা অনেক বেশি প্যারা দিচ্ছে ওকে। ‘ভালোবাসে না।’ কথাটা যতবার শুনছে ততবারই বিষের মত লাগছে।
মিহি আবার মুখ ঘুরিয়ে অন্যদিকে তাকালো।
“Well, তাহলে দ্বিতীয় অপশন ত নিশ্চয় জানো!” বলতে বলতে হাত মুষ্ঠিবন্ধ করে ফেলল এরোন।
“হ্যা জানি। সেটাই বেছে নিতে চাই আমি।” শক্ত মুখ করে মেঝের দিকে তাকিয়ে বলল মিহি।
এরোন এবার ওর দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো।
বুঝতে পেরেই মিহি ভয়ে ঢোক গিললো। কিন্তু মনে মনে যথেষ্ট সাহস সঞ্চয় করার চেষ্টা করতে লাগল।
এরোন মিহির কাছে এসে ওর দিকে ঝুঁকতেই ও ঘাবড়ে মাথাটা একটু পিছনে সরিয়ে নিলো।
“ভাবার জন্য শুধু আজ রাতটাই দেব।” মিহির দিকে গম্ভীর চোখে তাকিয়ে বলল এরোন।
মিহি হালকা অশ্রুসিক্ত চোখে এরোনের চোখের দিকে তাকালো। যে চোখে শুধুমাত্র ক্ষোভ ছাড়া আর কিছুই নেই। বিন্দুমাত্র ভালোবাসাও নেই।
“আমি ভেবেই নিয়েছি। নতুন করে ভাবার কিছুই নেই।”
এরোন মিহির দুইপাশে হাত রেখে আরেকটু কাছে আসতেই মিহি চমকে বলে উঠল, “আ…আমার সাথে বাজে কিছু করার চেষ্টা করলে আ..আমি কিন্তু চিৎকার করব।”

(চলবে…)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here