খোঁজ পর্ব ১৩

0
446

#খোঁজ ১৩_তম_পর্ব
লেখক মোঃ কামরুল হাসান

হঠাৎই খেয়াল করলাম অদিতির হাতের দশটা আঙুলের ছবি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে! এমনকি ওর হাতেও কোন ধরনের কাটাকাটির চিহ্ন পর্যন্ত দেখতে পেলাম না। এখন কথা হচ্ছে এটা যদি অদিতির বডি হয় তবে তার হাতের কনিষ্ঠ আঙুলের সাথে যে আরও ছোট্ট একটা আঙুল ছিলো। সেটা কোথায় উধাও হয়ে গেলো?

আর বডিটা যদি অদিতির না হয়, তবে সে এখন কোথায়? আর ছবিতে যে বডি দেখা যাচ্ছে সেটাই বা কার? আর কি কারনেই বা সেই মহিলাকে খুন করা হলো? হঠাৎই আমার মাথার ভিতর এতগুলো প্রশ্ন জবাব পাওয়ার আশায় অস্থির হয়ে উঠলো।

অদিতির বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙুলের সাথে যে আরও একটা ছোট্ট আঙুল ছিলো। সেটা একমাত্র তার সাথে যারা ঘনিষ্ঠ হয়ে মিশেছে, তারাই শুধু বলতে পারবে। পুলিশের পক্ষে বা বাইরের কারও পক্ষেই এই কথা জানার কথা নয়। ঘনিষ্ঠ কেউ না বললে তাদের পক্ষে জানা সম্ভবও নয়।

নিকট আত্মীয় হিসেবে আমি ও আমার শ্বাশুড়ি যখন বডি টাকে অদিতির বলে চিহ্নিত করলাম। তখন আর কারই বা সন্দেহ থাকতে পারে? আর বডিটা আমরা দুজন অদিতির বলে সনাক্ত করার পরেই পুলিশ অফিসার নিশ্চিত হয়ে বডিটা আমাদের কাছে হস্তান্তর করে ছিলো। এখানে তাদের কোন ভুল নেই। ভুল যা ছিলো আমার আর আমার শ্বাশুড়ির।

আমিও সেই মূহুর্তে কাপড় চোপড় গহনাপত্র দেখে মোটেই বুঝতে পারিনি সেটা অদিতির বডি নয়! অন্য কারও? কিন্তু আমার শ্বাশুড়ি তিনিও কি আমার মতোই খেয়াল করেনি, বা বুঝতে পারেন নি বডিটা অদিতির নয়? নাকি আরও অন্য কিছু আছে এতে? কারণ আমার শ্বাশুড়ি একের পর এক মিথ্যা কথা বলে এ পর্যন্ত সত্যি ঘটনা গোপন করে এসেছেন। তাই তার উপর আর কতোটা বিশ্বাস করা যায়? আমি সত্যিই ভেবে পেলাম না।

অনেকক্ষন এটা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে বুঝতে পারলাম। যার বডিটা আমরা অদিতির বলে মনে করেছি। তাঁকে নিশ্চিত পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। যাতে করে অদিতি সবার কাছে মৃত বলে স্বীকৃতি পায়! কেউ যেনো আর কোনদিন তার খোঁজ না করতে পারে। একজন মৃত মানুষকে কেউ কি কখনো খুঁজে বেড়ায়? তাই হয়তো হতো। যদি আমি ছবিতে অদিতির বডি টাকে ভালো করে খেয়াল না করতাম।

এই ব্যাপারটার মর্ম কথা উপলব্ধি করে আমি চমকে উঠলাম। তবে কি অদিতি নিজেই চাইছে কেউ যেনো আর তার খোঁজ না করে? কথাটা উপলব্ধি করে এতোটাই অবাক হয়েছি যে, আমার হাত পা দূর্বল হয়ে আসছে। অদিতি কেন এমনটা করলো, শুধুই কি আমার কাছ থেকে মুক্তি পেতে? কিন্তু কেন? আমার সাথে তার সবকিছুই তো ঠিক ঠাক ছিলো। তবে কি সে এতোদিন ধরে আমার সাথে অভিনয় করে গেছে? তার মনের মধ্যে তাহলে অন্য আরেক জনের বাস ছিলো?

বুঝতে পারলাম এতোকিছু নিয়ে ভাবতে গেলে সত্যিই আমি পাগল হয়ে যাবো। তাই সব কথা জানাতে লিটুর কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।

পরেদিন লিটুর কাছে যাবো বলে নিজের কামরা থেকে বেরিয়েছি। এমন সময় বাবা আমাকে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কোথাও যাচ্ছো মনে হচ্ছে? জবাব দিলাম জ্বি হ্যা ! একটু থানায় যেতে হবে আমাকে। তিনি আমার কথা শুনে গম্ভীর কন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন, সেখানে আর তোমার কি দরকার? জানি বাবার পছন্দ নয় আমি আর অদিতির বিষয় নিয়ে সময় নষ্ট করি। তাই তিনি যা শুনতে পছন্দ করবেন তাই বললাম, বাবা! অদিতির মৃত দেহের কয়েকটি ছবি দেখে আমার সন্দেহ হচ্ছে সে মারা যায়নি। অদিতি এখনো বেঁচে আছে।

বাবা আমার কথা শুনে কিছুটা অবাক হলেন কিন্তু তা মুখে প্রকাশ করলেন না। শুধু বললেন, তোমার সন্দেহ করা আর না করায় কি আসে যায়? সেটা প্রমাণ করতে অনেক দৌড়াদৌড়ির প্রয়োজন। সেটা আমি তোমাকে করতে দেবো না। অদিতি বেঁচে থাকুক আর মারা যাক। তাতে তোমার এবং এই পরিবারের কারও এখন আর কিছু এসে যায় না। কিন্তু বাবা আমি অদিতির কাছে জিজ্ঞেস করতে চাই, সে কেন আমাকে নিয়ে এমন জঘন্য ভাবে খেলা করলো?

বাবা আমার কথা শুনে বললেন, ওসব কথা বাদ দাও! অদিতি কোন কালেই তোমার যোগ্য ছিলো না! আর এখন তো নয়ই! তাই ঐ বিষয়টা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলাই ভালো। আমিও বাবার কথার সাথে সুর মিলিয়ে বললাম, সেটা আমি বুঝতে পেরেছি বাবা! তিনি বললেন, তোমার বোধদয় হয়েছে শুনে খুশি হলাম।

এখন আমার সাথে চল! জিজ্ঞেস করলাম আপনার সাথে কোথায় যেতে বলছেন? আমার বন্ধুর মেয়ে কে দেখতে আমার সাথে তাদের বাড়িতে যাবে তুমি! আমি মাথা নিচু করে বললাম, দুঃখিত আমি এখন আপনার কথা রাখতে পারছি না। বাবা আমার কথা শুনে থমথমে গম্ভীর কন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন, তা আমার কথা কেন রাখতে পারছো না তুমি? জ্বি, আমি অদিতির সাথে শেষ বোঝাপড়া করেই অন্য কাউকে আমার জীবন সঙ্গিনী করতে চাই! নয়তো নয়!

বাবা উত্তেজিত হয়ে মা’কে ঠেকে উঠে বলেন, তোমার ছেলের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে! তাঁকে আমার সামনে থেকে নিয়ে যাও! আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে ওর মুখ দেখে। পারলে বোঝাও গিয়ে আমার কথার অবাধ্য যেনো না হয়? মা আমার হাত ধরে একরকম টেনে বাবার সামনে থেকে নিয়ে গেলেন। আর খুব করে বোঝালেন আমি যেনো কোনভাবেই বাবার অবাধ্য হওয়ার চেষ্টা না করি। এতোকিছুর পরে আর বাড়ি থেকে বের না হয়ে ঘরে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। মনে মনে ভাবলাম, বাবার সামনে কথাটা আমার বলাই উচিত হয়নি।

পরেরদিন সবার অগোচরে লিটুর কাছে গিয়ে সব কথা খুলে বললাম, লিটু আমার মোবাইলের ছবি ও ওদের কাছে থাকা ছবিগুলো অনেকক্ষন ধরে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে বললো, ছবিগুলো ঠিকই আছে। ছবিতে ডেড বডির আঙুল গুলো সম্পূর্ণভাবে অক্ষত আছে। কোন আঙুল কাটা পড়েনি, তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। লিটু আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, আচ্ছা সায়েম! তুই কি শতভাগ নিশ্চিত যে, অদিতির বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙুলের সাথে আর-ও একটা ছোট্ট আঙুল ছিলো?

আমি সোজাসাপটা জবাব দিলাম নিশ্চয়ই! আমি মোবাইলে অদিতির আগের ছবিগুলো দেখাতে গিয়েও আর দেখাতে পারলাম না। কারণ যে কয়েকটি ছবি আমার কাছে আছে তাতে অদিতি নিজের বাম হাতটা সুকৌশলে শাড়ির আঁচলের ঢেকে রেখেছে। তাই লিটুর কথার জবাব দিতে গিয়ে বললাম।

আমার সাথে না-হয় অদিতির স্বামীস্ত্রীর সম্পর্ক। তাই তুই কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে থাকতে পারিস। কিন্তু ওর মায়ের থেকে তো অদিতির সমন্ধে আর কেউ বেশি জানে না। ইচ্ছে করলেই তুই উনাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারিস?

লিটু চিন্তিত হয়ে বলে, ঠিক তা না। তুই শিওর থাকলেই চলবে। আমি তোর কথায় বিশ্বাস রাখি। কিন্তু তবুও এই ছবিটা দেখিয়ে সবকিছু হবে না। এই একটা বিষয়ের জন্য পুরো কেসের চিত্রটা পাল্টে যাবে। এখন আমরা অদিতির খুনিকে খুঁজে বেড়াচ্ছি। অদিতির খুনের সাথে সাথেই ওর খোঁজ করা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন অদিতির খোঁজ আবার শুরু হবে। নতুন একটা খুনের মামলা দায়ের করা হবে।

আর এর জন্য অদিতি মানে সেই বডি টার এবং অদিতির মায়ের ডিএনএ টেস্ট করতে হবে। আর সেই টেস্টে তোর শ্বাশুড়ির সাথে অদিতির ডিএনএ-র মিল খুঁজে না পাওয়া গেলেই কার্যক্রম শুরু করা যাবে। তাতে করে সাময়িক ভাবে কেসটার গতি কিছুটা হলেও কমে যাবে। আর এই সুযোগে আসল অপরাধী আমাদের হাত থেকে অনেক দূরে চলে যাবে।

যা এই কেসটার তদন্ত একেবারে স্থবির করে দিবে। হয়তো এমনিভাবেই অদিতির খোঁজ পাওয়া আর হবে না! এবং সেই মহিলার খুনি কেও হয়তো আর খুঁজে পাওয়া যাবে না?

হঠাৎই আমি একটুখানি উত্তেজিত হয়ে বলে উঠলাম তবে কি তোরা আসল অপরাধী কে ধরে ফেলেছিস? লিটু আমার দিকে তাকিয়ে আছে। জিজ্ঞেস করলাম অমন করে তাকিয়ে আছিস কেন?

লিটু জিজ্ঞেস করে অদিতি তোকে ভালো বাসতো? আমি বুঝতে পারছি কেন এমন প্রশ্ন করতে হচ্ছে লিটু কে? তাই আমি সত্যি জবাবটাই দিলাম। আমি এতোদিন তাই জানতাম! লিটু হেসে বলে অদিতির প্রতি তোর ভালোবাসাটা এখনো সেই আগের মতোই আছে দেখে কিছুটা অবাক হলাম আমি।

কিন্তু দুঃখের বিষয় অদিতি তোকে ভালোবাসেনি! তুই ওঁকে খুঁজে পাওয়ার জন্য এখনো উতলা হয়ে আছিস দেখে খুব আশ্চর্য হয়েছি আমি। আমি জবাব দিলাম শুধু ভালোবাসলেই কেউ কাউকে খুঁজে পাওয়ার জন্য উতলা হয়ে উঠে না! অধিক ঘৃণা করলেও খোঁজে বেড়ায়? সেই ঘৃণার বিষবাস্প তার উপর উগড়ে দিতে!

আমি আজ তাই চাই ওঁকে খুঁজে পাওয়া যাক। এরজন্য যা করতে হয় আমি করতে রাজি আছি। লিটু আমার কথা শুনে পিঠ চাপড়ে দিয়ে বলে, আমি তোর মনের ভাব বুঝতে পারছি। কিন্তু তার জন্য তোকে তোর মুখ বন্ধ রাখতে হবে। এই ছবিটার সমন্ধে কারও সাথেই কোন কথা বলতে পারবি না তুই!

আমি ওর কথা শুনে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কিন্তু কেন? লিটু চাপা কন্ঠে বলে, কারণ আমার ধারণা অদিতি তার পুরাতন প্রেমিকের সাথেই আছে। আর অচিরেই আসলাম কে আমি গ্রেফতার করতে যাচ্ছি। আমি নিশ্চিত সে আসলামের সাথেই আছে। আর অদিতির খোঁজ পাওয়া গেলেই তার জায়গায় যে খুন হয়েছে তার কেসটা শুরু হবে।

জিজ্ঞেস করলাম সেটা কি ছবিটার বিষয় সামনে আনলে করা সম্ভব নয়? লিটু আমার কথা বুঝতে পেরে বলে, তা সম্ভব! কিন্তু এতে করে যে সময় নষ্ট হবে, আমি তা করতে চাইছি না। কারণ এই কেসটা দিয়ে আমি আমার কৃতিত্ব উর্ধতন কর্মকর্তাদের সামনে আনতে চাই!

জিজ্ঞেস করলাম কবে আসলাম কে ধরতে পারবি? লিটু আমার দিকে তাকিয়ে রহস্য ভরা হাসি দিয়ে বলে, কাল থানায় এসে একবার খোঁজ নিয়ে যাস! কি আর করা যাবে? অফিসার আর বন্ধু যাইহোক লিটুর কথা আমি শুনতে বাধ্য হলাম।

রাতটা অনেক অস্থির ভাবে কাটিয়ে সকাল হতেই লিটুর কাছে থানায় ছুটে গেলাম। আসলাম কে কি সে ধরতে পেরেছে কি-না তাই জানতে? ও তার আগে বলে নিতে চাই, লিটু কেমন করে আসলাম কে গ্রেফতার করলো?

আমি যেদিন লিটুর সাথে দেখা করতে আসতে চেয়েও বাবার কারণে আসতে পারিনি। সেদিন রাতেই লিটুর কাছে এক শুভাকাঙ্ক্ষীর ফোন আসে। আসলাম নামের সন্ত্রাসী কোথায় লুকিয়ে আছে সেটা সে জানে। পুলিশ যদি আগ্রহী থাকে তবে সে ঠিকানাটা বলতে পারে? লিটু তৎক্ষনাৎ রাজি হয়ে তার নাম জানতে চায়। কিন্তু সে তার নাম বলতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করে বলে, তার নাম জানার প্রয়োজন নেই।

যেটা জানার প্রয়োজন, সেটা জানার ইচ্ছে থাকলে বলতে পারে? লিটু তাতেই রাজি হয়ে বলে, ঠিকানাটা বলুন। সেই শুভাকাঙ্ক্ষী যে ঠিকানা দেয় তা এক জঙলের মধ্যে। সেখানে যেতে হবে রাতের বেলায়। কারণ দিনের বেলায় আসলাম কোথায় থাকে কেউ জানে না।

লিটু সেই শুভাকাঙ্ক্ষীর কথা মতো গভীর রাতে তার দলবল নিয়ে সেখানে গিয়ে পৌঁছে। গিয়ে দেখে আসলাম অতি সাধারণ ভাবে একটা ঝুপড়ি ঘরে শুয়ে আছে। তাঁকে ঘুমন্ত অবস্থায় সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে সে নিজের নাম রঞ্জু বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু পুলিশের লাঠির মুখে সত্যি স্বীকার করতে বাধ্য হয়।

লিটু আমাকে দেখেই গর্বিত ভঙ্গিতে বলে, আমার সাথে আয়! জিজ্ঞেস করলাম কোথায় নিয়ে যেতে চাস? লিটু হেসে বলে, এতোদিন ধরে আমরা যার অপেক্ষায় ছিলাম সেই আসলামের কাছে! খবরটা শুনে আমি সত্যি ভীষণ খুশি হলাম। তাই ওর পিছনে চললাম। থানার অন্য আরেক প্রান্তে বিশেষ ভাবে তৈরি হাজতে তাকে রাখা হয়েছে।

গিয়ে দেখি আসলাম গুটিশুটি মেরে কামরার এক কোনায় বসে আছে। লিটু হাতের রোলটা দিয়ে শিকের উপর আঘাত করতেই আসলাম নামের লোকটা আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকালো। তাকে যে কঠিন ভাবে প্রহার করা হয়েছে। তা তাকে এক ঝলক দেখেই আমি বুঝতে পারলাম। এই লোকটাকে দেখে কথিত আসলামের সাথে আমি ঠিক মিলাতে পারলাম না!

এই ছোটখাটো হাঁড় লিকলিকে মানুষটা একসময় নামকরা সন্ত্রাসী ছিলো বলে, আমার বিশ্বাস হতে চাইছে না। যাইহোক সে ই যে আসলাম তা লিটু আমাকে নিশ্চিত করে বললো। আমি আসলামের দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, লিটু! অদিতি কোথায়? আমার কথা শুনে হঠাৎ করেই লিটুর আনন্দে উদ্ভাসিত মুখে আঁধার নেমে এলো।

আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, কি হলো কথা বলছিস না কেন? লিটু! অদিতি কোথায়? লিটু গম্ভীর কন্ঠে জবাব দেয়, এটা এখনো ওর মুখ থেকে বের করতে পারিনি। বদমাশটা বারবার করে শুধু বলছে অদিতি কে সে নিজের হাতে খুন করেছে। আমরা যার মৃত দেহ পেয়েছি সেটাই অদিতির মৃত দেহ। আকরাম খান কে ফাঁসিয়ে দিতেই অদিতি কে সে খুন করেছে। আমি লিটুর চোখে চোখ রেখে দৃঢ়কণ্ঠে বললাম, আমি তা বিশ্বাস করি না। যাকে সে খুন করেছে সে অদিতি হতে পারে না। অবশ্যই সে অন্য কেউ ছিলো?

আর মিতুলই বা কোথায়?

চলবে,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here