খোঁজ পর্ব ১২

0
390

#খোঁজ ১২তম_পর্ব
লেখক মোঃ কামরুল হাসান

এই পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে যারা সমাজে নিজের মান সম্মান টিকিয়ে রাখতে অনেক অসাধ্য কাজ করে বসে। আবার অনেকে এই সম্মানের দিকে তাকিয়ে করতে পারে না এমন কোন কাজ নেই। এমনকি তারা সম্মান টিকিয়ে রাখতে নিজের সন্তানকেও বিসর্জন দিতে দ্বিধা করে না! আমার বাবা ঠিক তেমনটা না হলেও, মান সম্মানকে তিনি নিজের জীবনের থেকেও বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। তার কথা অনুযায়ী সম্মানহীন বেঁচে থাকায় কোন আত্মতুষ্টি নেই! আর যার আত্মসম্মান নেই সে রাস্তার নেড়িকুত্তার চেয়েও নিকৃষ্ট!

তাই ভয় হচ্ছে মনের গহীনে। আমার বাবার পক্ষেও সম্মানের জন্য অনেক কিছু করা সম্ভব। তবে হয়তো বা তিনি নিজের সন্তান কে ছাড় দিবেন? কিন্তু সেখানে আমার বাবা তো অদিতির শ্বশুর মাত্র! তার উপর তিনি আবার অদিতির প্রতি মোটেই সন্তুষ্ট ছিলেন না। একে তো তার ছেলে সকলের অবাধ্য হয়ে অদিতির মতো সাধারণ ঘরের একজনকে বিয়ে করে বাড়িতে এনে তুলেছে। আর তাতে করে সমাজে এই বিষয় নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না? ফলস্বরূপ নানা জনের নানা কথা শুনতে হয়েছে আমার পরিবারকে।

দ্বিতীয়ত অদিতি নিজেই একদিন বাবার মুখে মুখে তর্ক করে তার নজরে ঘৃণার পাত্রী হয়ে উঠেছে! যদিও ভুলটা আমার বাবারই কিন্তু তবুও সেদিন অদিতিকে তিনি অগ্নি দৃষ্টিতে পুড়িয়ে ছাঁই করে দিতে চেয়েছিলেন। তাই এমন পুত্রবধূকে আমার বাবার মতো মানুষ কোন শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও আমি অবাক হবো না। কিন্তু তাই বলে, একটা কথার জন্য আমি তাকে দোষী সাব্যস্তও করতে পারি না!

যাইহোক বাবার প্রতি এমন সন্দেহ পোষণ করা আমার কতোটা যুক্তিসঙ্গত হচ্ছে তা আমি বুঝতে পারছি না? এমনও তো হতে পারে আমি যা ভাবছি তার কোন বাস্তবতা নেই? এগুলো শুধুই আমার মনের ভ্রান্ত ধারণা। এমনও তো হতে পারে এগুলো তিনি শুধু পুত্রবধূর প্রতি ঘৃণার ভাব থেকেই বলেছেন? মনে মনে তাই কামনা করি। সেটাই যেনো হয়।

কিন্তু তবুও কেন জানি বাবার উপর আমি সম্পূর্ণ আস্থাও রাখতে পারছি না। আবার এটাও বুঝতে পারছি না, অদিতি যেমন করে নিখোঁজ হয়েছে। সেখানে বাবার হাত কেমন করে থাকতে পারে?

তাই জোর করে মাথা থেকে উল্টোপাল্টা চিন্তা ঝেড়ে ফেলে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরদিন ঘুম থেকে জেগেই বুঝতে পারলাম তরু এখন আমার প্রতি একটু বেশিই যত্নবান হয়ে উঠেছে। আমার বুঝতে অসুবিধা হলো না, শ্বাশুড়ি আম্মা তরু কে ভালো করেই বুঝিয়ে পড়িয়ে রেখেছেন। কেমন করে শিকার করতে হয়? আমি এমন এক সমস্যার সম্মূক্ষীন হলাম। না পারছি তরু কে কড়া গলায় কিছু বলতে। আর না পারছি ওর এমন গা ঘেঁষা ব্যাবহার সহ্য করতে!

আমার শ্বশুর মশাই আর যাইহোক ভালো মানুষ! তাই তাকে বারান্দায় একা একা বসে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করলাম, আপনার কাছে একটা কথা জিজ্ঞেস করার ছিলো? তিনি আমার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কি জানতে চাও আমার কাছে?

এমন কথা জিজ্ঞেস করতে আমার নিজেরও কেমন যেনো অস্বস্তি হচ্ছিল। কিন্তু তবুও সত্যিটা জানতে এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব আমাকে কাটিয়েই উঠতে হবে। নয়তো সত্যের মুখোমুখি হওয়া যাবে না। একটু রয়েসয়ে বললাম, পুলিশের কাছে কথাটা জানতে পারলাম। তিনি আমার কথা শুনে জিজ্ঞেস করলেন, পুলিশ কি কথা বলেছে? জ্বি, অদিতির একজন প্রেমিকের কথা বলছে ওরা! আমার সাথে বিয়ের আগে নাকি অদিতি আসলাম নামে একজন সন্ত্রাসীর প্রেমিকা ছিলো? আমি এই কথা জিজ্ঞেস করার পরে শ্বশুর মশাই আমার দিকে এমন ভাবে তাকালেন, যেনো আমার মতো এমন আজীব মানুষ এর আগে তিনি দেখেনি?

তিনি সেইরকম বিস্ময় ভরা দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে এরচেয়ে অধিক বিস্ময়াভিভূত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি বলছো এসব? তোমার কি মাথা নষ্ট হয়ে গেছে! যে মানুষটা চলে গেছে! তাঁকে নিয়ে এমন কুরুচিপূর্ণ কথা বলতে তোমার বিবেকে একটু বাঁধলো না? তুমি কি মানুষ!

বুঝতে পারলাম পুত্রী শোকে তার মাথাটা গেছে! তাই আর কাল বিলম্ব না করে চলে এলাম নিজের ঘরে। এসেই তরুর পাল্লায় পড়লাম। তরু সুন্দর করে শাড়ি পড়ে এসে বললো, দেখুন তো দুলাভাই! আমাকে দেখতে কেমন লাগছে?

ভালো বলে চুপ করে রইলাম। তরু হতাশ কন্ঠে জিজ্ঞেস করে, শুধু ভালো! চমৎকার লাগছে না আমাকে? ওর দিকে তাকিয়ে চুপ করে রইলাম। তরু কাছে এসে আমার হাত ধরে টানতে টানতে বলে, চলুন!

আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কোথায় যাবো তোমার সাথে? তরু আবেগে কেঁপে ওঠে বলে, আপনার যেখানে মন চায়, সেখানে নিয়ে চলুন আমাকে! আমি ওর হাত ছেড়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, তরু! তোমার কি শরীর খারাপ?

তরু আমার মুখে এমন কথা শুনে জিজ্ঞেস করে, কেন বলুন তো? হঠাৎ এমন কথা জিজ্ঞেস করলেন কেন? তরু জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি জবাব দিলাম, আমার শরীর খারাপ তো! তাই বলছিলাম। তোমার আপার কথা ভেবে ভেবে আমার শরীর খারাপ হয়ে গেছে! কারও সাথে ঘুরে বেড়ানোর মনমানসিকতা এখন আমার নেই! নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছো সমস্যাটা?

হঠাৎই তরু এই কথা শুনে দৌড়ে বেড়িয়ে গেল। বুঝতে পারলাম না। নিজের অজান্তেই ওর মনে কষ্ট দিলাম কি-না? তবে যাইহোক তরু মনে হচ্ছে আর আমার সামনে আসবে না। একদিক দিয়ে দেখলে ভালোই হয়েছে। সমস্যা বড় হওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেছে!

আমার শ্বাশুড়ি সন্ধ্যার আগে আগে বাড়িতে এসে পৌঁছালো। আমাকে দেখতে পেয়ে তিনি কিছুটা আশ্চর্য হলেন। জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কখন এলে? আমি গম্ভীর কন্ঠে জবাব দিলাম, আপনার সাথে দেখা করতে কাল থেকে এখানে এসে বসে আছি।

উনার চাহনি দেখেই বুঝতে পারছি তিনি জানতে চাইছেন, কেন এসেছি? তাই আমি বললাম, কিছু জরুরি কথা বলার ছিলো। তাই আমাকে আপনার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। আপনি বাইরে থেকে এসেছেন। ফ্রেস হয়ে আসুন, আমি আপনার জন্য অপেক্ষা করছি। তিনি বললেন, তারাহুরোর কি আছে বাবা!

আমি তো আর এখনই কোথাও চলে যাচ্ছি না? আমি তেমনি গম্ভীর কন্ঠেই বললাম, জানি! কিন্তু আমি চলে যাবো! আমার শ্বাশুড়ি আমার আসার খবর পেয়েও না জানার ভাণ করছে দেখেও আমি খুব একটা অবাক হলাম না। কারণ আমি বুঝতে পেরেছি তিনি এমন টাইপের মানুষই! তাই তার কোন লুকোচুরি খেলাতেই আজ আমার আর কিছু যায় আসে না।

তিনি অবলীলায় হেসে বলে উঠলেন, তুমি যেতে চাইলেই কি আমি তোমাকে যেতে দেবো সায়েম? হাজার হলেও তুমি আমার একটাই মেয়ের জামাই! উনার কথা শুনে মনে মনে আমিও হেসে উঠে ভাবলাম, তাই হয়তো ছাড়তে চাইছেন না? ছোট মেয়ের জামাই করে রেখে দিতে চাইছেন!

আমার শ্বাশুড়ির কোন কথাই আমি আর শুনতে রাজি হলাম না। তাই উনি বসে পড়ে জিজ্ঞেস করলেন, কি কথা বলতে চাও শুনি? হঠাৎই আমার শরীরে কেউ যেনো আগুন জ্বালিয়ে দিলো। আমি সেই জ্বালায় উত্তেজিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলাম, আপনারা মা আর মেয়ে মিলে আমার জীবনটা নিয়ে এমন করে কেন খেলা করলেন?

আমার কথা শুনে তিনি এমন ভাব করলেন, যেনো তিনি কোন কিছুই বুঝতে পারছেন না। আমি উনার এমন অভিনয় দেখে বললাম, দয়া করে আর ছলচাতুরী করবেন না, আম্মা!

জিজ্ঞেস করলাম, না করতে পারবেন, অদিতির একজন নাম করা সন্ত্রাসীর সাথে প্রেম ছিলো না? ঐ লোকটার সাথে অদিতির বিয়ে হয়নি? আর সেই মেয়ে কে তার অতীতের সকল কথা গোপন রেখে আমার সাথে বিয়ে দিয়েছেন!

এটা কি প্রতারণা নয়? কেমন করে পারলেন এমনটা করতে? আপনার কি একবারও মনে হয়নি, একদিন যখন সত্যিটা আমি জানতে পারবো। তখন আমাদের সম্পর্কের উপর সেটা কতোবড় আঘাত হানতে পারে? আর আপনি তো আপনি! আপনার মেয়ে অদিতিই বা কোনদিকে কম আপনার থেকে? সেও তো আমাকে তার অতীত জীবনের কথা বলতে পারতো?

আমি একের পর এক অভিযোগ করে যাচ্ছি কিন্তু আমার শ্বাশুড়ি এর একটারও কোন প্রতিবাদ বা জবাব দিচ্ছেন না! আমি তার এমন নির্লিপ্ত ভাব দেখে অবাক হয়ে গেলাম। জিজ্ঞেস করলাম কেন এমন করলেন আমার সাথে? তবুও তিনি কোন জবাব দিলেন না।

তাই দেখে হাত জোড় করে জিজ্ঞেস করলাম, সত্যি করে বলুন তো! কেন এমন করেছেন আমার সাথে?

এবার তিনি মুখ তোলে চাইলেন আমার দিকে। বললেন কি বলবো আমি? তুমি যে কথাগুলো জেনেছো! আমার সামনে এর জবাব চাইতে এসেছো। এর সবগুলো কথাই যে সত্যি! কিন্তু এর জন্য কি জবাব দিবো আমি! কি জবাব দিলে তুমি সন্তুষ্ট হতে পারো? তা তো আমার জানা নেই বাবা!

আমি উনার মুখের বাবা ডাকে আজ আর সন্তুষ্ট হলাম না। চুপ করে মুখ বুঁজে চলেও এলাম না। জিজ্ঞেস করলাম, শুধু একটা কথার জবাব দিবেন? তিনি মাথা নিচু করে বললেন, বল? অদিতির জীবনের এমন একটা কালো অধ্যায় লুকিয়ে রেখে কেন আমার সাথে বিয়েটা দিলেন?

তিনি বললেন, লোভ! বাবা বড় লোভে পড়ে গিয়েছিলাম! উনার কথা বুঝতে না পেরে চেঁচিয়ে উঠে জিজ্ঞেস করলাম মানে?

আমার শ্বাশুড়ি হঠাৎ করে চোখের জল ফেলে বললেন, আমি যেদিন প্রথম তোমাকে অদিতির সাথে দেখি। সেদিনই তোমাকে মেয়ে জামাই হিসেবে পাওয়ার লোভ জন্মে আমার অন্তরে। অদিতি কম বয়সে আসলামের প্রেমে পড়ে। আমি তার কিছুই জানতাম না। যেদিন জানতে পারি ততদিনে ওদের সম্পর্ক অনেক গভীরে চলে গেছে! ওরা দু’জন মিলে বিয়ে করে নিয়েছিল। তখন আমার আর কিছুই করার ছিলো না। আমি সবসময় আমার মেয়ের জন্য তোমার মতো একজন জামাইের স্বপ্ন দেখেছি। কিন্তু অদিতির জন্য আমার সেই স্বপ্ন ধুলোয় মিশে যায়!

আমি কোন দিন ভাবতে পারিনি আমার বড় মেয়ে অদিতি এমন করে আঘাত দিবে আমার অন্তরে! তবুও যা হয়েছে। সেটা তো আর পাল্টে ফেলা যাবে না! তাই আমি ওঁকে ওর মতো ছেড়ে দিয়ে চলে এসেছিলাম। কিন্তু হঠাৎই একদিন অদিতির ভুল ভাঙে। তখন সবকিছু ছেড়ে ছুঁড়ে অদিতি আমাদের এখানে চলে আসে। তখন অদিতি অন্তঃসত্ত্বা!

এটা দেখে আমি বুঝতে পারি, অদিতি আর কখনো আসলামের কাছে ফিরে যেতে চায়না। নয়তো অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সে এখানে চলে আসতো না?

আমি আমার শ্বাশুড়ির কথা শুনে বিস্ময়ের শেষ প্রান্তে পৌঁছে জিজ্ঞেস করলাম, তবে কি মিতুল অদিতির সন্তান? উনি চোখের জল মুছে জবাব দিলেন, হুম! মিতুল অদিতিরই সন্তান!

জিজ্ঞেস করলাম, তবে যে সেদিন? আমি মিথ্যা বলেছিলাম বাবা! নিজের মেয়ের সংসার বাঁচাতে মিথ্যা বলেছিলাম বাবা! মা হিসেবে এটাই আমার তখন ঠিক মনে হয়েছিল। জানি তোমার সাথে আমি ভীষণ অন্যায় করেছি! তাই হয়তো আমার মেয়ে অদিতির আজ এমন করুন পরিনতি হয়েছে?

আমি বললাম সত্যি আপনি আমার সাথে ভীষণ অন্যায় করেছেন। আপনার মেয়ে অদিতিও আমার সাথে এমনটাই করেছে! আমার কথা শুনে আমার শ্বাশুড়ি বলে উঠে না বাবা! অদিতি তোমাকে সবকিছু বলে দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু আমার লোভ তাঁকে কঠিন ভাবে বাঁধা দেয়। সে তোমার সাথে কোন ছলচাতুরী করেনি। শুধু আমার অনুরোধ রেখেছে। তোমার সাথে যা অন্যায় করার আমি করেছি। আমি তার প্রায়শ্চিত্ত করতেও প্রস্তুত আছি বাবা! জিজ্ঞেস করলাম, কেমন করে? পারবেন আমার আগের সুন্দর জীবনটা ফিরিয়ে দিতে?

তা আমি পারবো না হয়তো? কিন্তু তুমি আবার আগের মতোই সুখী হতে পারো বাবা! এতো কষ্টের মাঝেও একটুখানি হেসে জিজ্ঞেস করলাম, কেমন করে আম্মা? তুমি তরু কে বিয়ে কর! আমি তরু কে তোমার হাতে তুলে দিতে চাই! তুমি অমত করো না বাবা! তরু তোমাকে নিশ্চয়ই সুখী করতে পারবে। কি বলবো ভেবে পেলাম না। দেখি দরজার আড়ালে তরু দাঁড়িয়ে আছে।

আমাদের কথা সে সবই শুনছে! তাই বললাম, আপনার মাথাটা কি নষ্ট হয়ে গেছে? তরু কে কখনো আমি সেই ভাবে দেখি না! আর তরু কখনো অদিতির জায়গা নিতে পারে না। তা সম্ভব নয়! আমি অদিতির জায়গায় আর কাউকে বসাতে পারবো কি-না? তা আমি নিজেও জানি না!

চলে আসার সময় জিজ্ঞেস করলাম, অদিতি কি আসলামের সাথে যোগাযোগ করে ছিলো? নাহ্! আসলাম কে অদিতি ঘৃণা করে! সে আর কখনো আসলামের কাছে ফিরে যেতে পারে না। আর আসলাম বেঁচে আছে কি-না? তা তো বলতে পারছি না। জিজ্ঞেস করলাম, যদি বেঁচে থাকে। তবে কি মিতুল কে সে নিয়ে যেতে পারে? আমার শ্বাশুড়ি জবাব দিলো, আমিও তো বাবা সেই জবাব খুঁজে বেড়াচ্ছি! মিতুলের কি হলো?

আকরাম খানের কথা মতো পুলিশ হন্যে হয়ে সেই লোকটা কে খুঁজে চলেছে। দুজনের একজনকে খুঁজে পেলেই এই কেসটার সুরাহা হতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। এক আকরাম খানের পিছু নেওয়া সেই লোকটা। আর দ্বিতীয় টাকার ব্যাগ নিয়ে চলে যাওয়া মোটরসাইকেল আরোহী!

কিন্তু কাউকেই পুলিশ হাতের কাছে পাচ্ছে না। লোক দটি যেনো এই জগতের কেউ নয়। এমনি ভাবে হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে!

এমন করে কেসটা প্রায় বন্ধ হতে চলেছে। এদিকে আমার বাবা আমার বিয়ের ব্যাবস্থা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কিন্তু এতোকিছুর পরেও আমি অদিতির জায়গায় কাউকে বসাতে প্রস্তুতি নিতে পারছিলাম না! সত্যি লোকে যে বলে প্রথম প্রেম ভোলা যায় না। তা হয়তো একেবারে মিথ্যা নয়।

আমি মোবাইলে অদিতির ছবিগুলো দেখি। আর প্রশ্ন করি এমন করে কেন চলে গেলে? হঠাৎ একদিন ওর মৃতদেহের একটা ছবি আমার হুঁশ উড়িয়ে দিলো! আরে একি?

চলবে,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here