ওয়েডিং প্ল্যানার 5

0
1903

#গল্পকথারা

ওয়েডিং প্ল্যানার

5

রেস্টুরেন্টে এসে সুন্দর ফুল দিয়ে সাজানো একটা টেবিলের সামনে বসা ঈশানকে দেখতে পেলো নীতি । নীতি সেখানে এসে বসতে প্রথমেই ঈশান অনেকবার ক্ষমা চাইলো । মেখলা শুধু বললো

‘ ‘ ঠিক আছে । ‘ ‘

‘ ‘ আমি জানি তোমাকে যতটা সময় দেবার কথা দিতে পারছিনা নীতি । আমাকে একা সব দেখাশোনা করতে হয় । অবশ্য অদ্যুত আমাকে খুব সাহায্য করে । ‘ ‘

‘ ‘ অদ্যুত ! ‘ ‘

‘ ‘ সেকি আজকে যার সাথে এখানে এলে তার নামটা পর্যন্ত জিজ্ঞেস করোনি ! ও অদ্যুত , আমার পার্সোনাল সেক্রেটারী । ‘ ‘

‘ ‘ ওঃ ! ‘ ‘

এরপরে আর বিশেষ কোনো কথা হলোনা । একটার পর একটা দামী খাবারের প্লেট আসতে শুরু করলো যেগুলো খাওয়া তো দূর নীতি নাম পর্যন্ত জানেনা । তার এমন দামী রেস্টুরেন্টে বসে খাবার অভ্যাস নেই । নীতি একটু ইতস্তত করতে লাগলো । কিন্তু ঈশান সেটা বুঝতে পারলো না কারণ সে খেলো কম আর মোবাইলে কথা বললো বেশী । এমনকি নীতির সাথেও পরে আর কোনো কথা হলোনা । আর কথা হলোনা বলে নীতিও আর বৈভবের ব্যপারে ঈশানকে কিছু বলার সু্যোগ পেলো না ।

ঈশান যতটা খেলো নীতি তার থেকেও কম খেলো । ঈশান তার জরুরী মিটিং আছে বলে নীতিকে কারে তুলে দিয়ে তার সেক্রেটারী অদ্যুতকে বললো নীতিকে বাড়ী পৌঁছে দিতে । কারে ওঠতে গিয়ে নীতি শেষ একবার চেষ্টা করলো ঈশানকে বৈভব সম্বন্ধে বলার । কিন্তু সে বৈভবের নাম উচ্চারণ করতেই ঈশান বলে উঠলো

‘ ‘ হ্যাঁ ওই ওয়েডিং প্ল্যানার বৈভবের সঙ্গে আমার কথা হয়ে গেছে । ও সব ঠিকমতো দেখাশোনা করবে বলেছে । তুমি চিন্তা করো না ! ‘ ‘

নীতি আবার কিছু বলতে যাচ্ছিল তার আগেই ঈশানের মোবাইল আবার বেজে উঠতে সে মোবাইল কানে নিয়ে কারের সামনে থেকে চলে গেল । যাবার আগে একটা হাত তুলে নীতিকে বাই বাই করলো । নীতিও চুপচাপ কারে এসে বসে ভাবছিল কবে সে ঈশানকে বৈভবের ব্যপারে বলার সু্যোগ পাবে !

রাস্তায় যেতে যেতে নীতির এতো খিদে পেয়ে গেল সে আর থাকতে না পেরে ইশানের সেক্রেটারী অদ্যুতকে জিজ্ঞেস করলো

‘ ‘ আপনি খেয়েছেন ? ‘ ‘

অদ্যুত একটু অবাক হলো । সে ড্রাইভিং করতে করতেই মাথা নাড়িয়ে না করলো । তখন নীতি বললো

‘ ‘ যদি আপনি আপনার স্যারকে কিছু বলে না দেন একটা কথা বলবো ! ‘ ‘

অদ্যুত আবার অবাক হলো ।

‘ ‘ ম্যাম আপনি নিশ্চিন্তে বলতে পারেন । ‘ ‘

অদ্যুতের থেকে আশ্বাস পেয়ে নীতি বললো

‘ ‘ এই পাশের কোনো একটা ছোট হোটেল বা রেস্টুরেন্ট দেখে গাড়ীটা পার্ক করবেন ! আসলে আমার খুব খিদে পেয়েছে । ‘ ‘

অদ্যুত এতক্ষণে সরাসরি নীতিকে দেখতে সে আরো অপ্রস্তুত হয়ে বললো

‘ ‘ আসলে অতো দামী রেস্টুরেন্টে অতোরকম ডিশ দেখে আমার তখন খিদে চলে গেছিল । আমি ওইসব খেয়ে অভ্যস্ত নই । তখন কিছুই খেতে পারিনি । ‘ ‘

‘ ‘ মেট্রোর সাবওয়ের কাছে গাড়ী নিয়ে যাচ্ছি । ওখানে কয়েকটা ভালো ভালো রেস্টুরেন্ট আছে । ‘ ‘ অদ্যুত বলতেই নীতি সাথে সাথে হাতে তালি দিয়ে বলে উঠলো

‘ ‘ আপনিও মেট্রোর সাবওয়ের কাছের রেস্টুরেন্ট গুলোতে খান বুঝি ! তাহলে টুকটাক আহারে চলুন । ওটা আমার ফেবারিট । ‘ ‘

অদ্যুত গাড়ী ঘুরিয়ে নিলো । সে আর বললো না টুকটাক আহার তারও ফেবারিট রেস্টুরেন্ট ।

নীতি রেস্টুরেন্টের চেয়ারে বসে ঈশানের সেক্রেটারী অদ্যুতকে বসতে বলতে সে একটু বিব্রত বোধ করলো । নীতি বুঝতে পেরে বললো

‘ ‘ আপনিও তো কিছু খাননি ! ‘ ‘

‘ ‘ আমি অন ডিউটি খেতে পারবো না ম্যাম ! ‘ ‘

‘ ‘ আর আমি একা একা খেতে পারবো না । আমাকে আপনার ডিউটির মধ্যে নাই বা ধরলেন । ‘ ‘ নীতি বলাতে অদ্যুত সামনের চেয়ারে বসে গেল ।

চলবে ……..

……..

#bengalistory #bengali #golpokothaara #kindle #kobobooks #kobo #amazonkindleunlimited #amazonkindlebooks #stories #bengalistyle #bengaliliterature #bengalis #shortstory #ShortStoryCollection #shortstorywriting #ebook #ebookreader #ebookpdf #ebooksale #pratilipibengali

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here