#গল্পকথারা
ওয়েডিং প্ল্যানার
2
পরে বৈভব হিসাব করে দেখলো নীতির সাথে এই হীর ব্যবসায়ীর ছেলের বিয়ের আর ঠিক আঠাশ দিন বাকি আছে । সে কি করবে বুঝে পেলো না ! সেকি না বলে দেবে ! যতোই যাহোক নিজের চোখের সামনে নিজের প্রাক্তন স্ত্রীর বিয়ে দেখা তাও সেই বিয়ের আয়োজন তাকেই করতে হবে ।
ওদিকে নীতিও আড়ষ্ট হয়ে গেছে । সে তখন চার বছর আগে তার অতীতে ফিরে গেছে । বৈভবের সাথে তার সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছিল । কিন্তু গোল বাঁধলো বিয়ের দিন থেকে । পাত্রপক্ষ সমানে বলতে লাগলো বৈভবকে যেই বিয়ের আংটি দেওয়া হয়েছে সেটা নকল হীরা । বৈভবের মা এটা নিয়ে বিয়ের পরেও নীতিকে কথা শুনিয়ে গেলেন ।
নীতি যতবার বললো এই হীরের আংটিটা তার ঠাকুরদাকে তার শ্বশুর মশায় দিয়েছিলেন । খাঁটি আর দুষ্প্রাপ্য হীরে বসানো এই আংটিতে । কিন্তু বৈভবের মা বললেন তারা তাদের বিশ্বস্ত ও বহুদিনের পুরোনো সোনার দোকানে দেখিয়েছেন এই আংটি । স্বর্ণকার বলেছে এটা নকল হীরে ।
এই নিয়ে ঝামেলা এতো বাড়লো যে পরে বৈভবও নানাভাবে কথা শোনাতে শুরু করলো নীতিকে । নীতি আর থাকতে পারলো না । আঠাশ দিনের মাথায় বৈভবের বাড়ী ছেড়ে চলে গেল । পরে ডিভোর্স হয়ে যাবার পরে সেও জানেনা বৈভব কি করছে আর বৈভবও জানতো না যে নীতি বিদেশে পাড়ি দিয়েছে ।
এখনো এয়ারপোর্টে নীতিকে দেখে বৈভবের এটাই মনে হলো নকল হীরের আংটি দিয়ে যে বিয়ে করে সে এখন আবার হীরে ব্যবসায়ীর ছেলেকে ফাঁসিয়েছে !
বিয়ের যেহেতু আর বেশী দেরী নেই তাই বৈভব আর নীতি কিছুই করতে পারলো না । নীতি যদিও একবার তার হবু বরকে ফোনে মৃদু ভাবে জানিয়েছিল ওয়েডিং প্ল্যানার চেঞ্জ করা যায় কি না তার হবু বর ঈশান কারণ জিজ্ঞেস করতে সে আর কিছু বলতে পারেনি ।
বৈভব নীতিকে আর নীতি বৈভবকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলো তারা প্রফেশনাল সম্পর্ক বজায় রাখবে । কোনরকম ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ যেন তাদের মধ্যে না আসে এই কদিন সে ব্যপারে তারা দুজনেই সতর্ক ছিল ।
চলবে …….
