এক_চিলতে_রোদ Part_57

0
3843

এক_চিলতে_রোদ Part_57
#Writer_Nondini_Nila

রিহানের বিয়েতে যাওয়া জন্য আমি জেদ ধরে বসে আছি। ভাইয়া যাবে না কিন্তু আমার জেদের কাছে হার মেনে রেডি হচ্ছে। রাগে গজগজ করতে করতে।
আমি শাড়ি পরেছি। লাল টকটকে শাড়ি। ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে বলল,

‘ তুই এতো রিহানের বিয়েতে যাওয়ার জন্য পাগল হচ্ছিস কেন সত্যি করে বল তো।’

আমি‌ হাতে চুড়ি পরতে পরতে বললাম, ‘ প্রিয়ন্তী আপু নাকি সন্দেহ করেছে। কোন ভাবে জেনে গেছে আমাকে রিহান লাইক করতো। তাই তিনি দেখতে চান আমি যাই কিনা না গেলে সিউর হয়ে যাবে। এজন্য রিহান আমাকে কল করে জানিয়েছে আমি যেন আপনাকে নিয়ে বিয়েতে উপস্থিত থাকি।আর তিনি আমাকে আগে ভালোবাসেও এখন মনে হয় প্রিয়ন্তী আপুর উপর কিছুটা দুর্বল।তিনি চান না স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হোক।’

‘ও আচ্ছা।’

ভাই আমার কথা শোনার পর রাগ করেনি নিজেই রেডি হলো।
আমাকে লাল শাড়ি পড়তে দেখে আমার কাছে এসে বলল,

‘লাল রং আমার কখনোই পছন্দ না। কিন্তু তোর গায়ের এই রং টা দেখার পর আমার এই রং পছন্দ হয়ে গেল।’

‘এটা আমাকে লতা পছন্দ করে দিয়েছে।খুব করে বলেছে‌ আমি যেন এই শাড়িটা আমি পড়ে যায়। আমাকে নাকি লাল কালারে খুব সুন্দর লাগবে।’

‘ওর পছন্দ মানেই তো খালি লাল।’

ভাইয়া আমার সাথে ম্যাচিং করে খয়রি কালার শার্ট পরলো। শাড়ি পরতে ভাইয়া আমাকে হেল্প করেছে আমিও এখন পারি অনেকটা। কিন্তু ভাইয়াকে কুচি ঠিক করে ধরতে হয়েছে।
আসার সময় আমি চাচীর কাছে গেলাম। চাচী বিছানায় বসে চা খাচ্ছে। আমি যেতে আমার দিকে তাকালো। আজকে আমার সাথে কথা বললা চাচি ফাস্ট। অনেকদিন পর চাচি নিজে আমাকে কাছে টেনে বললো,,

‘সাবধানে যাবি আর সাবধানে ফিরে আসিস।’

চাচি কথা শুনে আমার চোখ ছল ছল করে উঠলো।

‘তুমি আমার সাথে কথা বললে চাচি।’

‘কেন তুই কি চাইছিলি। যে তোর সাথে কথা না বলি আর আমি।’

‘কি সব বলছো। এটা আমি কেন চাইবো। আমি তো চাই তুমি আমার সাথে আগের মতো আবার কথা বলো। বক ধমকাও তাও কথা বলো।’

‘তোকে কি দিয়ে তৈরি করেছে বলতো? এতকিছুর পরও তুই আমার এত সেবা যত্ন করিস কেন?’

‘এতকিছু কি? তোমার আমার উপর সম্পূর্ণ অধিকার আছে। আমি তোমাকে আমার গার্জেন মনে করি। তুমি আমাকে বকবে মারবে আমি তোমাকে কিছুই বলবো না। শুধু আমাকে একটু ভালোবাসা দিও তাহলেই বকা মারা সবকিছুর হজম করে নেবো।’

চাচি আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল সেই দিন।চাচির সাথে আমার সম্পর্কটা আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে যায়। রিহানের বিয়েতে এসে ইমা আপু সাথে দেখা তারা তো দুদিন ধরে খাচ্ছে বিয়ে।
ভাইয়া আমার হাত এক সেকেন্ড এর জন্য ও ছাড়েনি।ইমা আপুর কাছে গিয়ে শুধু ছারলো।

রিহানের সাথে আলাদা করে কথা হয়নি কিন্তু প্রিয়ন্তী আপুর সাথে কথা হয়েছে।তার কাছে আমাকে ইমা আপু নিয়ে গেলো। আপু আমাকে টেনে নিজের কাছে বসলো।

আর মুখে হাসি ফুটিয়ে বললো, ‘ ঊষা তুমি এসেছো আমি খুব খুশি হয়েছি।’

আমিও বিনিময়ে হাসি দিয়েছি। ইমা আপু ও লাল শাড়ি পরেছে আমিও। কিন্তু কনে পরেছে গোলাপি রঙের শাড়ি। আপুকেও সুন্দর লাগছে। প্রিয়ন্তী আপুদের পরিবারের সবাই চলে এলে। খাবারের ধুম পরলো। আমি আর ইমা আপু বসেছি আমার পাশে ইহান ভাই। খাবার খেতে গিয়ে আমার লিপস্টিক একদম চলে গেলো। হাত ধুতে এসে আয়নায় তাকিয়ে দেখি আমার লিপস্টিক ঠোঁটের বাইরে লেগে আছে। আর ঠোঁটেই নাই।
এখন এসব পরিষ্কার করতে হবে কি দিয়ে করবো। পানি দিয়ে কি মুখ ধুয়ে ফেলবো কিন্তু তাহলে তো কাজল লেপ্টে যাবে।
আমার চিন্তিত মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভাইয়া ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে?

বলতে বলতে আমার দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারে আর নিজের রুমাল বের করে আমার ঠোট ভালো করে মুছে দেয়।
রিহান ওর শশুর বাড়ি চলে যায়। আমরা চলে আসবো তখন ইমা আপু বলে তাদের বাসায় যেতে আজ। কাছে বাসা এখন রাত ও হয়ে গেছে।

‘ ইহান আজ আমাদের বাসায় থেকে যা।’

‘ কাল আমার অফিস আছে। ঊষা ও কলেজ আছে। থাকা পসিবল না।’

আমাদের রাত 10 টাই বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হতে হলো। ওইখানে থেকে আসতে 2 ঘন্টা লাগে। শীত হালকা পরা শুরু করে দিয়েছে তার উপর এই রাতে জানালা খুলে রাখা হয়েছে আমার জন্য। ঠান্ডা বাতাসে ভালো লাগছে সাথে শীতে কাঁপছি আমি। জর্জেট শাড়ী হ‌ওয়ায় আরো শীত লাগছে তা খেয়াল করে ভাইয়া আমাকে টেনে জানালা থেকে ভেতরে এনে জানালা আটকে দিলো।

‘ জানালা আটকালেন কেন? খুলেন।’

‘ শীতে কাঁপা কাঁপি করছিস তাও জানালা খুলে রাখতে বলছিস পাগল নাকি তুই।’

‘ শীত করলেও আমার ভালো লাগে। কিন্তু এখন আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।জানালা খুলেন না হলে আমি এখানে থাকতে পারবোনা।’

‘ অসুস্থ হয়ে পরবি তো।’

‘ কিছু হবে না। প্লিজ জানালা খুলেন।’

আমার কথা শুনলো না ভাইয়া। জানালা বন্ধ করেই রাখলো। আমি রাগ করে গাল ফুলিয়ে বসে আছি। ভাইয়া তার তোয়াক্কা করলো না।
বাসায় এসে গাড়ি পার্ক করে ঊষার দিকে ইহান তাকিয়ে দেখে ঊষা ঘুমিয়ে গেছে। সিট বেল খুলে ঊষার কাছে এসে ওকে ডাকতে গিয়েও থেমে যায়। মুখের উপর পরে আছে ওর ছোট চুল গুলো। বেনি করা আছে ঊষা চুল। ইহান হাত বাড়িয়ে আগুল দিয়ে চুল সরিয়ে ঘুমন্ত ঊষার মায়াবী মুখের দিকে অপলক তাকিয়ে র‌ইলো।

তাকিয়ে থাকলে এখানে ভোর হয়ে যাবে তাই নিজের দৃষ্টি সংযত করে ঊষাকে পাঁজাকোলা তুলে ভেতরে আসে। এখন প্রবলেম হয় কলিং বেল চাপ দেওয়া নিয়ে। বাধ্য হয়ে ঊষাকে ডাকতে হয়।

আমি ডাক শুনে লাফিয়ে উঠি। চোখ মেলে নিজেকে ভাইয়ার কোলে দেখে চমকে উঠে বলি,

‘ এসব কি কোথায় আমরা।’

‘ বাসায়। কথা না বলে কলিংবেল চাপ।’

‘ আপনি আমাকে না ডেকে কোলে তুলেছেন কেন নামান।’

‘ উঠেই যেহেতু পরেছিস কি আর করার। কিন্তু এখন নামানো যাবে না তুই এইভাবে কাজ কর।’

‘ কেন? নামান আমাকে।’

আমি জরাজরি করছি ভাইয়া নামালো না। আমি বাধ্য হয়ে ওই ভাবেই কলিং বেল বাজালাম। লতা দরজা খুললো ঘুম ঘুম চোখে। ভাইয়া ওকেও তোয়াক্কা করলো না ওইভাবে উপরে চলে এলো। লতা বড় বড় চোখ করে আমাদের দিকে তাকিয়ে র‌ইলো।

আমি রুমে এসে ভাইয়ার সাথে ঝগড়া করলাম এই
নিয়ে। ভাইয়া কথা কানে নিলো না ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে পরলো। আমিও বকবক করতে করতে ফ্রেশ হয়ে আসতে আমাকে টেনে বুকের উপর আছড়ে ফেলে চেপে ধরে বললো,

‘ তুই দিন দিন ঝগড়ুটে হয়ে যাচ্ছিস ঊষা।’

‘ ছারুন আমাকে।লতার সামনে আমাকে ওইভাবে এটা নিয়ে লতা আমাকে লজ্জা দেবে কাল।’

‘ কি আচ্ছা আমি লতার সাথে কথা বলবো।’

‘কি আপনি আবার কি কথা বলবেন।’

‘ এই যে তোকে যেন এসব বলে লজ্জা না দেয়।’

‘ আপনি আসলেই পাগল।একদম এসব বলতে যাবেন না।’

‘কেন?’

‘ আমি বলেছি তাই‌ ।ও আমার ফ্রেন্ডের মতো তাই আমাকে বলতেই পারে।আপনি এসব নিয়ে কথা কেন বলবেন।’

‘ আচ্ছা বলবো না। এখন ঘুমা তো কথা অফ করে।’

আমার ঘুমিয়ে পরলাম।
কলেজ যাওয়া। ভাইয়ার সাথে দুষ্টু মিষ্টি ঝগড়া ভালোবাসা নিয়ে এসবে আমার সময় এগিয়ে যাচ্ছে। চাচি একদিন একটু দাঁড়িয়েছিলো। তার পা ঠিক হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ। ইমা আপুর ছয় মাস চলছে এখন খুব সাবধানে থাকতে হয়।
লতা তার বয়ফ্রেন্ড নিয়ে আছে। দেখতে দেখতে তিন মাস চলে গেলো। রনির পরিবার গ্ৰামে থেকে এসে লতাকে দেখে গেছে।লতা সেকি লজ্জা। চাচি নিজের হাতে শাড়ি পরিয়ে দিয়েছিলো। আরেকটা কথা চাচির পা এখন সুস্থ হয়ে গেছে।লতার বাবা মা ভাই বোন সবাই আমাদের বাসায় এসেছে।
বিয়ে যে এখানে থেকেই হবে।
এক সপ্তাহ পরে বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। ধুমধাম করে বিয়ে হবে। লতা এই বাসার কাজের মেয়ে কেউ মনে করে না চাচি ছাড়া।এতো বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ভাইয়া তা নিয়ে চাচি কটমট করছে। আমাকে একটু একটু সহ্য করতে পারে। কিন্তু তার কৃপণ স্বভাব যায়নি।

চাচির কথা কানেই নিলো না ভাইয়া খুব বড় আয়োজন করলো। লতার পছন্দে মার্কেট করেছে। লাল বেনারসি বিয়ের জন্য।

আজ গায়ে হলুদ পার্লার থেকে লোক এসে সাজিয়েছে লতাকে। রনিকে গায়ে হলুদ আমাদের বাসায় দেওয়া হবে। স্টেজের এক পাশে লতা আরেকপাশে রনিকে বসানো হয়েছে। সবাই ওদের হলুদ ছুঁয়ে দিলো আমিও দিলাম লতাকে খুব সুন্দর লাগছে। হলুদ আর লাল মিক্সড করা শাড়ি পরেছে আর ফুলের গহনা।
আমি পরেছে শুধু হলুদ শাড়ি তার সাথে সাদা ফুলের গহনা। সবার হলুদ নিয়ে ছুড়াছুড়ি করছে পাশে ইমা আপু গম্ভীর হয়ে বসে আছে। তার এখন হলুদ ছুয়া যাবে না‌। এজন্য তার মন খারাপ আমি গিয়ে একটু কথা বলে এলাম। চাচি মুখ কালো করে
এ আছে এতো টাকা খরচ দেখে তার প্রাণ পাখি যেন উড়ে যাচ্ছে।

এগারোটায় নিজের রুমে আসতে পারলাম। হলুদ দিয়ে ভূত করে ফেলেছে বাথরুমে গিয়ে ধুয়ে এলাম। কিন্তু হলুদ কাটেনি ভালো মতো। আমি ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে শাড়ি দেখছি। শাড়িতেও লেগেছে।কাঁচা হলুদ শাড়ির রঙ এজন্য হলুদ লাগায় লাল হয়ে আসছে। তখন ভাইয়া কোথা থেকে হলুদ এনে আমার পেছনে থেকে জরিয়ে ধরে সারা মুখে লাগিয়ে দিলো। আমি কিছু বলার সুযোগ পেলাম না। ভাইয়া আমাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে কোমর জড়িয়ে ধরে আমার হলুদের ভরপুর মুখের দিকে তাকিয়ে র‌ইলো।

আমি তীব্র রাগ নিয়ে বললাম, ‘ আপনি এটা কি করলেন? আমি কতো কষ্ট করে এতোক্ষণ এসব পরিষ্কার করলাম। আর আপনি আবার সব নষ্ট করে দিলেন।’

ভাইয়া কথার প্রেক্ষিতে কিছু বললো না। নিজের মুখ এগিয়ে আনতে লাগলো। তার নিঃশ্বাস আমার চোখে মুখে আছড়ে পরছে আর বুকের ধুকপুক বেড়ে চলেছে। আমি ছারানোর চেষ্টা করতে করতে বকছি। ভাইয়া আরো শক্ত করে আমার কোমর চেপে ধরে তার বাম গালের সাথে আমার ডান গালে স্পর্শ করলো। এই এক‌ই ভাবে বিপরীতে গালেও স্পর্শ করলো। আমার সারা শরীর থরথর করে কেঁপে উঠল। আমি ফ্রিজ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি শক্ত পায়ে।
ভাইয়া নিজের দু গালে হলুদে মাখামাখি করে বললো,

‘আমাদের তো গায়ে হলুদ হয়নি তাই আমাদের গায়ে হলুদ পূরণ করছি।তাছাড়াও তোর ১৮ বছর পূরণ হলে আমাদের আবার অনুষ্ঠান করে বিয়ে হবে অনেক বড় অনুষ্ঠান করে।’

বলে আমাকে ছেড়ে দিলো। আমি স্তব্ধ হয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে রইলাম। মাঝে মাঝে এমন সব কাজ করে না আমার হার্ট বিট বের হয়ে আসতে চায়।

বিয়ের দিন লতাকে লাল টুকটুকে ব‌উ সাজানো হলো। লতা কে চেনা যাচ্ছে না। যাওয়ার সময় সে কি কান্না লতা। বউ নিয়ে চারটার সময় বেরিয়ে গেলো। আগেই বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বউ নিয়ে তারা গ্রামে যাবে দুইদিন থেকে তারপর আবার আসবে। আসতে তো হবেই রনি চাকরি তো করে এখানে। তাই রনিকে চাকরি এখানে আসতেই হবে।বিদায়ের সময় লতা সে কি কান্না আমাকে জড়িয়ে ধরে। আমি ও ওকে জড়িয়ে ধরে নাকের জল চোখের জল এক করে কাঁদলাম। কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি মাথায় নিলাম সবার চোখে পানি। লতা আমি সবসময় একসাথে থাকতাম তো আমাদের কষ্টটা অন্যরকম। সবার থেকে বেশি।

লতারা চলে যাওয়ার পর অনেকক্ষণ কাঁদলাম ভাইয়ের বুকে মাথা রেখে। আমার কান্না থামাতে না পেরে ইহান ভাই আমার ঠোটে নিজের ঠোট দিয়ে চুমু খেতে লাগল। এমন সময়ে কেউ এমন কাজ করে।5 মিনিট পর ছেড়ে আমাকে আস্তে আস্তে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল,

‘দুদিন পরেই তো চলে আসবে। এতো কাঁদছিস যেন আর আসবে না।’

‘আমার খুব মন খারাপ হচ্ছে আমরা সব সময় একসাথে থাকতাম ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।এখন তো ওকে ছাড়াই আমাকে থাকতে হবে। ও তো আর এই বাসায় থাকবে না।’

‘কাদিস না দিনে তো। এখানে থাকবেনা তো কোথায় থাকবে। বাসা একা পরে থাকবে নাকি।’

‘ হুম।’

দুইদিন পর লতাদের আনতে গেলো কয়েকজন। বেশি গেলে রনিদের চাপ পরবে তাই।

???

দেখতে দেখতে ৫ বছর অতিক্রম হয়ে গেল। জীবনে সুখ-দুঃখ, কান্না-হাসি সবকিছুই থাকে। একটা জীবনে যেমন সবসময় দুঃখ থাকে না তেমনি সবসময় সুখে থাকে না। আমাদের জীবন সবকিছু নিয়েই।একটা সময় আমার এই জীবনটাকে সবচেয়ে দুঃখের মনে হতো। মনে হতো কেন এই পৃথিবীতে আমি বেঁচে আছি।কেন বেঁচে আছি যাকে কেউ ভালোবাসে না। যার জীবনে শুধু কষ্ট যে একটু ভালোবাসার জন্য দুয়ারে দুয়ারে চেয়ে থাকে। একটু ভালোবাসা একটু কেয়ারের জন্য যার বুকটা হাহাকার করে। ভালোবাসার জন্য আমার বুকের ভেতর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। বুকের ভেতরটা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। খুব কম সময়ে যেন আমি অনেক বড় হয়ে গেছি লাম। বারবার বাবা-মাকে দোষারোপ করেছি। কেন তারা আমাকে এই পৃথিবীতে একলা ফেলে চলে গেছে।তারা যেহেতু থাকতে পারবে না। কেন আমাকে একা রেখে গেছে তাদের সাথে কেন আমাকে নিয়ে গেল না?কিন্তু এখন আমার সেই অভিযোগগুলো আর আসে না
বাবা-মার প্রতি সমস্ত রাগ অভিমান যেন আমার ধুয়ে মাটি হয়ে গেছে।

আল্লাহ যা করে তার পেছনে কোন না কোন কারণ অবশ্য‌ই থাকে। বাবা- মাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিলেও। আমার জন্য রেখে গিয়েছে ইহান ভাইয়াকে।যে আমার জীবনে এসে আমার সমস্ত দুঃখ – কষ্ট মুছে আমার জীবনটাকে সুখের সমৃদ্ধি করে তুলেছে। যার জন্য আমার নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবতী নারী মনে হয়। যার এত ভালো একটা হাজবেন্ড আছে। যার হাজবেন্ড তাকে চোখে হারায় এতো এতো ভালোবাসে। যে ভালোবাসার কোনো শেষ নেই।
আমাদের বিবাহের আজ 5 বছর পূর্ণ হল। পাঁচ বছরের বিবাহ বার্ষিকী নিয়ে একটা বিশাল বড় আয়োজন করেছে ভাইয়া। বিবাহ বার্ষিকী পালন করবে যে।মুখের উপর কিন্তু আমি এখন আর তাকে আপনি করে ডাকতে পারিনা ভাইয়া বলতে পারিনা। তাকে এখন আমার তুমি করে ডাকতে হয়। আর ভাইয়া বললেই গালের মধ্যে চর মারতে আসে এই তো সেদিন।

ইহান ভাইয়া রুমে ছিলো আমাদের পুচকু সোনা দুটো কাঁদছিলো। ( আপনাদের তো বলাই হয়নি। আমরা কিন্তু জমজ সন্তানের বাবা মা হয়েছি। আমাদের ছেলে- মেয়ের বয়স দুই বছর ওরা একটু একটু হাঁটতে পারে।
( ছেলে মেয়ের নাম ঈশান-ঈশা এই নামের দাতা হচ্ছে আমার পাঠক গনরা।তাদের নাম রেখে দিলাম।)
ভাইয়া তো ওদের মাথায় করে রাখে। চাচি আমাকে বউ হিসাবে মেনে নিয়েছে অনেকদিন আর আমাদের সন্তানদের যে এত ভালবাসে কি বলবো।) ভাইয়া দুজনকে কোলে তুলে কান্না থামানোর চেষ্টা করছিলো কিন্তু তারা থামছে না তাই আমাকে ডেকে উঠলো। আমি তখন নিচে রান্না করছিলাম।

‘ ঊষা কোথায় তুমি? বাবুরা কাঁদছে শুনতে পাচ্ছো না। ওদের খিদে লেগেছে।’

ভাইয়ার চেঁচানো শুনে ছুটে রুমে চলে আসি।
দুজনকে দুই হাত দিয়ে ধরে কান্না থামানোর জন্য নানান কথা বলে যাচ্ছে। এইসময় চাচি গোসল করছে। আমি এসেই বললাম,

‘ভাইয়া আমার কাছে দিন।’

ভাইয়া বলতেই ভাইয়া রক্তচোখে আমার দিকে তাকালো।
আমি ঢোক গিলে ভাইয়া চোখের দিকে তাকিয়ে হাত বাড়িয়ে ছেলেকে কোলে তুলে নিলাম। ভাইয়া গম্ভীর গলায় বললো,
‘বলেছি না আমাকে আর ভাইয়া বলবি না আর একবার ভাইয়া বললে তোর কানের নিচে মারব।আপনি করে বললি কেন? আমিও তুমি করে বলবো তো তুমি করে বলবি। তাহলে না বর বউ লাগবে
আমাদের সন্তান হয়ে গেছে এখনো এইসব কি? ওরা বড় হয়ে দেখবে মা বাবাকে ভাইয়া বলছে তখন আমাকে ওরা মামা বলা শুরু করবে। আজকে লাস্ট এরপরে যদি আর কখনো এইসব শুনেছি না। তোর খবর আছে।’

আমি গাল ফুলিয়ে বললাম, আপনি তাহলে তুই তুই করে বলছেন কেন? তুমি করে বলতে পারেন না!

‘এটাতো আমি রাগে বলেছি এখন থেকে তুমি করে বলব।’

আমি ফিটার এনে ছেলেকে খাওয়াতে লাগলাম। কি ফাজিল ছেলে খাচ্ছে না। আমি রেগে বললাম,

‘ দেখেন খাচ্ছে না।’

‘ আবার।’

‘আচ্ছা সরি। দেখো খাচ্ছে না। আমার রান্না পুড়ে গেলো। আমি যাই। এখন তো কাঁদছে ও না। আর কাঁদলে তুমি ওকে ফিডার খাওয়াবে।’

‘ তোমাকে রান্না করতে বলেছে কে? দুজন কাজের লোক রেখে দিয়েছি। তাও তোমাকে রান্না করতে হবে কেন? আমার সন্তানকে কান্না করিয়ে কাজ করাটা আমি বরদাস্ত করবো না একদম।’

‘ আমি কাজ করি নাকি। আমি তো শুধু রান্না টাই করি। ওদের রান্না আমি তোমাদের কেন খাওয়াবো।’

ঘাড়ে কারো উষ্ণ স্পর্শ পেয়ে কল্পনা থেকে বেরিয়ে এলাম। আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শাড়ি ঠিক করছিলাম। গারো নীল কালারের শাড়ি তার মধ্যে সাদা কাজ। এটা বিবাহ বার্ষিকীতে পরার জন্য কাল রাতে ইহান ভাইয়া দিয়েছে। এখন আমি শাড়ি সম্পন্ন পরতে পারি। না পারলে চলবে নাকি। ভাইয়ার জন্য আমাকে প্রতিদিন রাতেই শাড়ি পরতে হয়। না পারা কালে তিনি পরিয়ে দিয়েছে।তারপর ইচ্ছে মতো সাজিয়েছে। ভাইয়া তার হাত আমার খোলা পেটের ওপর রেখে ঘাড়ের উন্মুক্ত স্থানে ঠোঁট ডুবিয়ে রেখেছে। এই স্পর্শ প্রথম না হাজারবার এই স্পর্শ শরীরের আনাচে কানাচে পড়েছে। তাও সে আগের মতো এখনো এই স্পর্শে আমার সারা শরীর কেঁপে ওঠে। আমি চোখ বন্ধ করে শাড়ি খামছে ধরে দাঁড়িয়ে আছি। ভাই আমার কাঁধে থেকে ঠোঁট সরিয়ে কাঁধে নিজের ঠোঁট রেখে আমাকে মৃদুস্বরে ডেকে ওঠে,

‘ ঊষা তোমাকে তো নীলপরি লাগছে। দিন দিন যেন আরো সুন্দরী হয়ে যাচ্ছে। আর আমি সেই রুপে বারবার নতুন করে প্রেমে পরছি।’

ভাইয়ার কথা শুনে আমি চোখ মেলে তাকালাম। ভাইয়ার নীল শার্ট কোর্ট পরেছে। আয়নায় নিজেদের প্রতিচ্ছবি দেখছি। আয়নার মাঝে ভাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমি লজ্জায় মাথা নুইয়ে নিলাম।

তখন আমাদের ছোট বাচ্চা রা চলে এলো ওদেরকে ও নীল ড্রেস পরানো হয়েছে। দুই জন হাতে চকলেট নিয়ে খেতে খেতে আসছে।মুখ নষ্ট করে ফেলেছে। ওদের আওয়াজ পেয়ে আমরা সরে পরলাম আর ওদের মুখ দেখে আমি চেঁচিয়ে উঠলাম।

‘এসব কি ওদের চকলেট কে দিয়েছে? পুরো মুখটা নষ্ট করে। কি সুন্দর সাজিয়ে দিয়েছিলাম দুজনকে।’

ভাইয়া চোরের মতো মুখ করে তাকিয়ে আছে। আমি সিওর ভাই এই কাজ করেছে আমি রাগী চোখে ভাইয়ার দিকে তাকালাম। ভাইয়া বললো,

‘আমি কি করতাম ওরা কাঁদছিল তাই চকলেট দিয়ে কান্না থামিছেছি। ওরা যে অবস্থা করবে কে জানে?’

‘তুমি আসলেই এখন সব মেহমান চলে আসবে। আর ওদের কি অবস্থা। আমি আর ওদের ঠিক করতে পারব না। যা করার তুমি করো।’

বলে রাগ নিয়ে বেরিয়ে এলাম।ভাইয়া পেছন থেকে বলেছে।

‘স্যরি প্লিজ কিছু করো। ওদের আমি সামলাতে পারবো না একা। খুব দুষ্টু ওরা।’

আমি দরজার কাছে এযে পেছনে ফিরে তাকিয়ে বললাম, ‘সরি, আই ক্যান হেল্প ইউ।’

আমি বেরিয়ে গেলাম। আর এদিকে ইহান ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাথরুমে গেল সেখানে গিয়ে পুরো পোশাক ভিজিয়ে ফেলল,

‘ইশ কত সুন্দর ম্যাচিং ড্রেস কিনে এনেছিল। এখন এই ড্রেসটা চেঞ্জ করতে হলো। ওদের সাদা ফ্রক একজনকে। আরেক জনকে সাদা শার্ট প্যান্ট পরিয়ে দিল।’

পরাতে গিয়ে ইহানের মাথা খারাপ হয়ে গেল
এত দুষ্টু হতে পারে।সবাই বলে ছেলে মেয়ে নাকি ওর মত হয়েছে। ছোটবেলায় ওনাকি অনেক দুষ্ট ছিল । এসব অবশ্য আম্মু বলে। এদেরকে পরিপাটি করতে হাঁপিয়ে গেলো ইহান।
নিজে হইচই শোনা যাচ্ছে সবাই চলে এসেছে মনে হয়।
আমি চাচির রুমে এলাম চাচি রেডি হয়ে গেছে চাচিকে নিয়ে নিচে এলাম। নিচে এসে দেখলাম ইমা আপু চলে এসেছে তার ছেলেকে( তার নাম রিদওয়ান) নিয়ে। পাশে রিফাত ভাইয়া। ইমা আপু‌র ছেলের পাঁচ বছর। লতা এসেছে ওর কোলে ওর মেয়েকে নিয়ে ওর মেয়ের কেবল 6 মাস। ( লতার মেয়ের নাম রিতা) রিহানকেও দাওয়াত করতে ভুলিনি। রিহান এসেছে প্রিয়ন্তীকে নিয়ে তাদের সাথে কথা বললাম। সবাই ভাইয়ার কথা জিজ্ঞেস করছে।
অনুষ্ঠানে সবাই আছে শুধু নেই ইলা আপু। তাকে মিস করছি তাকে ভিডিও কল দিয়ে ফেললাম সে তো এখন সুইজারল্যান্ড আছে। স্বামী নিয়ে।
ভাইয়া এলো দুই জনকে দুই কোলে নিয়ে দুজন ভাইয়ের চুল টানছে নামবে বলে। কিন্তু ভাইয়া নামাচ্ছে না।

নিচে আসতেই ইমা আপু আমার ছেলে টাকে কোলে নেওয়ার চেষ্টা করল। আমার ছেলেটা হচ্ছে পাজির হাড্ডি।‌ ‌আমি ইহান ভাই চাচীর ছাড়া আর কারো কাছে থাকে দাদার কাছে ও যায় না। লেখিকা নন্দিনী নীলা এতো পাজি ছেলেটাকে নিতে পারল না তাই মেয়ে টাকে নিলো কোলে। আমি গিয়ে লতার মেয়েটাকে কোলে নিলাম
প্রথমে সুন্দর মতো আসলো তারপর হেসে দিয়ে কান্না করে দিলো। ধুর যার যার সন্তান তার কাছেই থাক। চাচি এসে আমার ছেলেটাকে কোলে নিয়ে বসে আছে। এবার ভাই আমাকে এক হাতে চেপে ধরে সবার আড়ালে নিয়ে এলো,

‘কি হলো এখানে নিয়ে আসলে কেন?’

‘তোমার জন্য দেখ না। আমার কি অবস্থা? দুটো এতো পাজি হয়েছে কিভাবে সামলাও তুমি!’

‘এবার বুঝেন ঠেলা। একটু মারলে তো আমাকে বকে শেষ করেন।’

‘আচ্ছা সরি এবার একটু আদর করো। দেখো আমার চুল টেনে মুখে খামচি দিয়ে কি করে ফেলেছে?’

‘ বেশ হয়েছে। ছারো তো সবাই অপেক্ষা করছে। কেক কাটতে হবে।’

ভাইয়ার ছারলো না, উল্টা আমাকে আরো শক্ত করে চেপে ধরে ঠোটে চুমু খেতে লাগলো।

ভাইয়া মাঝে মাঝে এমন সব কাজ করে না রাগ হয়
এখন কি এসব করার সময় কি আর করব আমি তো তাকে কিছু বলতে পারিনা। বারন করতে পারি না।তার ভালোবাসায় সাড়া না দিয়ে আমিও থাকতে পারবো না। এই মানুষটার জন্য আমি সব করতে পারি সব কিছু ত্যাগ করতে পারি। এই মানুষটা আমার জীবনে সূর্যের মতো।যে আমার জীবনে এসে আমার জীবন টাকে আলোয় আলোকিত করে তুলেছে।
যতদিন বেঁচে আছি এই মানুষটার বুকের মাঝে থাকতে চাই, বাঁচতে চাই। তাকে ঘিরে আমার সমস্ত সুখ। আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ সে আর আমার সন্তানরা। যাদের নিয়ে আমি পাড়ি দিতে চাই সুখের দিন গুলো।
আমার জীবনে ভাইয়া এসেছিলো এক চিলতে রোদ হয়ে। সুখের বার্তা নিয়ে আজ আমার জীবনটা আনন্দে ভরপুর শুধু তার জন্য। এখন চাচিও আমাকে ভালোবাসে সবাই ভালোবাসে। এই সব কিছুর শুধু মাত্র তার জন্য হয়েছে। আমার ভালোবাসা আমার ইহান ভাইয়ের জন্য।
( ফারিয়ার বাবা মা ধরে একটা ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছিলো ফারিয়াকে। ফারিয়া ঝামেলা করে তাকে ডিবোর্স দিয়ে বর্তমানে নিজের বাবা মায়ের কাছে আছে। ভাইয়াকে মাঝে মাঝেই কল করে এটা সেটা বলে। ভাইয়া রিসিভ করে না কিন্তু প্রতিনিয়ত নাম্বার চেঞ্জ করে এজন্য ধরতে হয়। কিন্তু এখন ভাইয়া কথা বলে না ফারিয়া কল করলেই আমি তার সাথে কথা বলি। সে ভাইয়াকে দিতে বলে আমার সাথে ঝগড়া করে রেখে দেয়।ব্যাপারটা নিয়ে আমি ভালোই ইনজয় করি।)
কেক কাটার‌ পর ভাইয়া একটা গান গেয়েছিল। গানের তালে সবাই নাচছিলো লতার বাচ্চা কে ওর শাশুড়ির কাছে দিয়ে। আমাকেও ভাইয়া টেনে ডান্স ফ্লোরে নিয়ে কোমর জড়িয়ে ধরে নাচাতে লাগে।
নাচের মাঝে ভাইয়া আমার কপালে গালে চুমু দিতে লাগে একটু পর পর।

তোমার নামের রোদ্দুরে
আমি ডুবেছি সমুদ্দুরে
জানি না যাবো কদ্দুরে এখনও ।
আমার পোড়া কপালে
আর আমার সন্ধ্যে সকালে
তুমি কেন এলে জানি না এখনও ।
ফন্দি আঁটে মন পালাবার,
বন্দী আছে কাছে সে তোমার ।

যদি সত্যি জানতে চাও
তোমাকে চাই, তোমাকে চাই ।
যদি মিথ্যে মানতে চাও
তোমাকেই চাই ।

হল শুরু সাতদিনে
এই খেলাধূলো রাত দিনের
জানি বারন করার সাধ্যি নেই
আর আমার ।
তোমার নামের মন্দিরে
আর তোমার নামের মসজিদে
কথা দিয়ে এসেছি বারবার ।
বিন্দু থেকে সিন্ধু হয়ে যাও,
তুমি ইচ্ছে মতো আমাকে সাজাও ।

যদি সত্যি জানতে চাও
তোমাকে চাই, তোমাকে চাই ।
যদি মিথ্যে মানতে চাও
তোমাকেই চাই ।

মনের গভীরে, ঘুমের শরীরে
তোমাকে নিয়ে ডুবে যাবো ।
আমার কাছে কারণের আছে
নিজেকে আমি খুঁজেই নেবো ।

যদি সত্যি জানতে চাও
তোমাকে চাই, তোমাকে চাই ।
যদি মিথ্যে মানতে চাও
তোমাকেই চাই ।।

?????সমাপ্তি?????
( আসসালামু আলাইকুম। পাঠকদের জন্য ভালোবাসা অবিরাম ❤️। অনেকদিন ধরে গল্পটা চলছিলো।অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন আপনারা। অনেক ধন্যবাদ এতো ভালোবাসা দেবার জন্য।ইহান ঊষার গল্পটা শেষ হয়ে গেলো খুব মিস করবো আমি। আপনারা করবেন কিনা জানি না। দয়া করে নীরব পাঠকরা আজকে একটা সুন্দর মন্তব্য করে কমেন্ট করবেন। সম্পূর্ণ গল্পের আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে ভালো লেগেছে না খারাপ হয়ে গেছে সবকিছু তুলে ধরবেন প্লিজ। আপনাদের কিছু ভালো কথা শুনে আমাদের লেখার প্রতি আগ্রহ বাড়ে। সবাই বড় কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন। আল্লাহ হাফেজ ভালো থাকবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আরো গল্প আপনাদের উপহার দিতে পারি।আমার ভালোবাসা নিবেন। নীলু)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here