এক_চিলতে_রোদ Part_4

0
3181

এক_চিলতে_রোদ Part_4
#Writer_Nondini_Nila

সারা শরীর ব্যাথায় টান টান হয়ে আছে। কিন্তু এখন তার থেকেও বেশি ব্যথা পাইছি পায়ে। দুবার হোঁচট খেয়ে বুড়ো আঙ্গুল ছুলে গেছে।
ব্যাথায় পা নাড়াতে পারছি না ঠোঁট কামড়ে ধরে ব্যাথা সহ্য করছি। মাথা দপদপ করছে খিদে লেগেছে প্রচুর। সারাদিন না খাওয়া স্কুলে গিয়ে শুধু পানি খেয়েছিলাম। বাম হাতটা উঁচু করে ঘড়ির টাইম দেখে নিলাম দুটো বাজে। এত রোদ উঠেছে তার তীব্র আলোয় আমার ঘেমে একাকার। এখন বাসায় গিয়ে আগে খেয়ে নেব। চাচি এতে যতই বকাবকি করুক না কেন?
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বাসা পর্যন্ত পৌছালাম। আসছে আসতে তিনটে বেজে গেছে।ভেতরে এসে সোজা নিজের রুমে চলে গেলাম কাউকে দেখলাম না। ড্রেস চেঞ্জ করে চোখে মুখে পানি দিয়ে বের হতেই দেখা লতার। ও আমার কাছে এসে দাঁড়ালো।
“সবাই ক‌ই?
লতার দিকে তাকিয়ে বললাম। তারপর বিছানায় বসে পায়ের ব্যাথা পাওয়ার স্থান দেখতে লাগলাম।
“সবাই খেয়ে গেল। রুমে আছে চল খেয়ে নেয়‌। সকালেও তো খেলি না। এই তোর পায়ে কি হয়েছে?
বলতে বলতে এগিয়ে এলো।
এ ম্যা এই কি করে?
আমি মাথা উঁচু করে বললাম,, হোঁচট খাইছি আসার সময়।
লতা ব্যথিত মুখে বলল,, কি করে? হেঁটে এসেছিস?
আমি ছোট করে হুম বলেই উঠে দাঁড়ালাম।
লতা দুঃখ প্রকাশ করে বলল,, ইশ কি অবস্থা? উঠছিস কেন তোর আমি এখানেই দিয়ে যাবনি।বসে থাক।
“না দরকার নাই চাচি জানতে পারলে খবর আছে চলো।
লতা আর কিছু বলল না। দুজনে খেতে বসেছে ইলিশ মাছ রান্না করেছে কিন্তু মাছ আছে একটা কে খাবো লতা আমাকে খেতে বলল কারন আমার ইলিশ অনেক পছন্দের তাই। কিন্তু লতার দিকে তাকিয়ে খেতে পারলাম না ওকে দিয়ে দিলাম। গাল নিয়ে খেতে বসেছি একটু গুচ্ছত নিয়েছি বলতে এক পিছ তখন যন্ত্রনা করছে ওফ আংগুল যে কাটা আমার ঠোট কামড়ে ধরে ব্যাথা সহ্য করছি খেতে ও লেগেছে আবার এই ব্যাথা অনেক কষ্ট করে খাচ্ছি। তখন চাচী এসে উপস্থিত।
জ্বালাপোড়া হাত নিয়ে খাচ্ছিলাম তখন চাচি এসে বলল,,
এসেই গিলতে বসেছিস? সেটাই তো পারিস খালি গিলতে।
আমি চমকে উঠলাম।
“চাচি খুব খিদে পেয়েছিল সকালে তো কিছু খাই নি‌ তাই।
চুপ গিলে আমাকে উদ্ধার করো।বিকেলে ইহানের বন্ধুরা আসবে সব কিছু রেডি করতে হবে‌।
আচ্ছা করছি।
চাচি বিরক্ত মুখ করে চলে গেল।

বিকেলে রান্নাঘরে ভাইয়ার বন্ধুবান্ধবীদের জন্য হালকা খাবার রান্না করছি আমি আর লতা।
চাচি দাড়ি এ দাড়িয়ে তার তদারকি করছে। সন্ধ্যার আজান দিতে আমি রুমে চলে এলাম নামাজ পড়তে হবে।
নামাজ পড়ে বাইরে আসতে চাচি আমাকে ডাকলো।
কাছে যেতেই বললো,,
যা ছাদে যা। একটু পরে নাকি ওপরে বসে আড্ডা গল্প করবে।
আমি একা।
তো কে যাবে তোর সাথে? উপরে গিয়ে মাদুর পাত। চা করে নিয়ে যা সাথে আর পপকন ভেজে নিয়ে যা।
কিন্তু চাচি একা ছাদে আমার তো ভয় লাগে অন্ধকার আমি একা।
তোকে একাই যেতে হবে লতা এখন যেতে পারবে না। ওকে আমি ইহানের রুমে পাঠিয়েছি।
বলে চাচা আমার সামনে থেকে চলে গেল।চাচির যাওয়ার দিকে আমি ভয়ে মুখ করে তাকিয়ে আছি। আমি একা ছাদে কি করে যাব আমি অন্ধকারে ভয় পায় আর ছাদে তো লাইটও নাই। থাকবে কী করে ইমা আপু তো ছাদে বসে হাওয়া খায় তারা নাকি অন্ধকারে ভালো লাগে। রান্নাঘরে এসে পপকন ভেজে।আর চা বানিয়ে ফ্লাক্সে ভরে নিলাম। সবকিছু নিয়ে হালকা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ছাদে যাচ্ছি ভয়ে আমার হাত পা কাপছে। উপরের ছাদের গেটের কাছে আসতেই আমার সারা শরীর থরথর করে কেপে উঠলো।
ছাদের দরজা খুলছ অন্ধকারে তাকাতে ভয়ে আমার হৃদপিণ্ড কেঁপে উঠল। বুকের ভেতর ধরফর করছে। আমার ভূতে ভয় বরাবরই। তবুও ছাদে পা রাখলাম ঠান্ডা বাতাস এসে আমার মাথার ওড়না ফেলে দিল। শুধুই আমার মনে হচ্ছে কেউ আমার আশেপাশে আছে।আমি এগিয়ে কাঁপা কাঁপা শরীর নিয়ে ছাদের মাঝামাঝিতে গিয়ে সবকিছু নিচে রাখলাম। এদিক-ওদিক শুধু তাকাতাকি করছি মন বলছে আমার পাশেই ভূত দাড়িয়ে আছে। এই বুঝি আমার ঘাড় মটকে দেবে।অসহায় মুখ করে চোখ ছোট ছোট করে কাচুমাচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। তখনই একটা জোরে দমকা হাওয়া এসে আমার শরীর লাগলো। আমাকে আর পায় কে ভয়ের চোটে আমি এবার চিৎকার করে পেছন দিকে দৌড় দিলাম। কিন্তু বেশিদূর এগোতে পারলাম না পায়ে ব্যথা ছিল আমি তো ভালো মতো হাঁটতে পারিনা দৌড় দিয়ে হাঁটবো কিভাবে? পায়ের অসহ্য যন্ত্রণায় ধপ নিচে পড়তে নিলাম। তখনই কেউ আমাকে জাপ্টে ধরলো। আমি তার বুকে হুমরি খেয়ে পড়লাম। ভয়ে আমার সারা শরীর থরথর করে কাঁপছে বুকের ভেতর হাটবিলা ধড়াস ধড়াস করছে। আমি কিছু না ভেবেই। সামনের লোকটাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কেদে উঠলাম। একবার ভাবলাম না আমার সামনে লোকটা কে দাঁড়িয়ে আছে?

ইহানের ছোটকালে ফ্রেন্ড যাদের সাথে ইহান ছোটবেলায় স্কুলজীবন পড়েছে বেস্ট ফ্রেন্ড বলা যবলা। দীর্ঘদিন পর তাদের সাথে আবার আজ গল্পে জমে উঠেছে। নিজের রুমে সবাইকে নিয়ে চটিয়ে আড্ডা দিচ্ছে ইহান।তখনই ওর ফোনটা বেজে ওঠে আর ফোনের নাম্বার এ ক্লিক করে দেখে দেশের বাইরে থেকে কল এসেছে।কল টা দেখে সবার মাঝখান থেকে উঠে বেরিয়ে আসে কিন্তু নেটওয়ার্ক প্রবলেম করছে। কিন্তু কথা বলাটা খুবই দরকার খুব স্পেশাল একজন বিধান ইহান নেটওয়ার্কের জন্য একেবারে ছাদে এসে পা রেখে। তখনই কেউ একজন ছাদের মাঝখান থেকে চিৎকার করে ছুটে এসে ওকে জাপ্টে ধরে। ইহান বিশময় হতভম্ব হয়ে যায়।অন্ধকারে তার মুখটা স্পষ্ট দেখতে পারছে না বিশেষ করে সে একদম ইহানের বুকে মাথা রেখে জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। কে এমন করে জড়িয়ে ধরতে পারে আর ছাদে বসে কি করছে একা একা? কান্না কন্ঠে মেয়েটা ভূত ভূত বলছে এবার কন্ঠটা চেনা চেনা লাগছে ইহানের।
মৃদু স্বরে বলে ওঠে ঊষা।
ঊষা আগন্তকের কন্ঠ শুনে বুঝতে পারে এ আর কেউ না। তার ইহান ভাইয়া যাকে সে জড়িয়ে ধরেছে ভয়ের চোটে। নিজের ভয়ে কান্না আস্তে আস্তে কমিয়ে ইহানকে ছেড়ে দাঁড়ায়। ইহান আবছা আলোয় দেখতে পায় ঊষার কান্নামাখা ভয়ার্ত মুখ। চোখে মুখে পানি লেপ্টে আছে। ভয়ে মেয়েটা এখনো প্রফ আছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে অন্ধকারে ভয় পায়
এবার ইহান রেগে উঠলো,,
ঊষা তুই একা ছাদে কি করছিস এখন?দেখে তো মনে হচ্ছে ছাদে এসেই ভয় পেয়েছিস তাহলে একা ছাদে কেন এসেছিস যেখানে ভয় পাস?
ইহান কপাল কুঁচকে তাকিয়ে আছে ঊষার দিকে‌।

আমি ভাইয়ার রাগী কন্ঠ শুনে ভয় পেয়ে গেলাম। ঠোঁট চেপে ধরে কান্না‌ আটকানোর চেষ্টা করছি। পারছিনা ফুপিয়ে যাচ্ছি। এবার ভাইয়া ধমকে উঠল আমার কান্না সাথে সাথে থেমে গেল।
আমি বললাম,,আমাকে তো চাচি আসতে বলল আপনারা সব ফ্রেন্ডরা নাকি ছাদে বসে গল্প করবেন। তাই আমি আপনাদের বসার জায়গা ঠিক করার জন্য এসেছি।
ইহান ভাইয়া আমার কথা শুনে অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তারপর আমাকে বলল,,
তাহলে কাউকে নিয়ে আসতি। তুই তো ভয় একদম জ্ঞান হারানোর অবস্থা হয়েছিস।
আমি বললাম, কাকে নিয়ে আসবে সবাই তো ব্যস্ত আমার একা আসতে হলো। কি করবো আমি অন্ধকারে খুব ভয় পাই তাই আপনাকে। আমি সরি।
ভয়ে মধ্যে লজ্জায় এসে জড়ো হলো আমার মধ্যে। ছিঃ ছিঃ ভাইয়া কি রকম ভাবে জড়িয়ে ধরেছিলাম
আমাকে কি ভাবছে আল্লাহ জানে?
ভাইয়া আচমকা ফোনের ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে আমার মুখে ধরলো। আচমকা চোখের উপর লাইটের আলো পরতে আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম।
ইহান ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে ফোন ঊষার মুখের দিকে ধরে আছে।উসা ঠোঁট কামড়ে ধরে চোখ বন্ধ করে আছে নাক মুখ লাল করে ফেলেছে চোখ ফুলে ফুলে উঠেছে। ঊষার গোলাপী ঠোট ফর্সা মুখ গোল মুখের আকৃতি ঘন কালো চোখের পাপড়ি যা কাঁপছে। ইহানের চোখ হুট করে ঊষার গলায় গিয়ে পড়ল।সেদিকে তাকে ভয়ঙ্কর রকমের শক খেলো।ঊষর মাথা থেকে ওড়না পড়ে গেছে তাই ওর নরম বুকের উপর নেই একপাশে রাখা তাই গলায় একটা ছোট্ট কালো তিল ইহানে চোখে পড়ল। ইহান তাড়াতাড়ি সেদিক থেকে চোখ সরিয়ে নিল সাথে নিজের ফোনের লাইট ও।
চোখের উপর থেকে আলো সরে যেতেই ঊষা পিটপিট করে তাকালো।
ইহান ভাইয়া এখন ওর দিকে তাকিয়ে নেই অন্যদিকে তাকিয়ে আছে।
অন্যদিকে তাকিয়ে থেকে ইহান ভাইয়া বলল,
“চল আমি লাইট ধরছি তুই সব ঠিক কর।
কথাটা বলে ভাইয়া ছাদের মাঝামাঝিতে চলে গেল। আমি হতভম্ব হয়ে ভাইয়ার পেছনে পেছনে আসলাম।
সবকিছুর মাঝে ইহান নিজের ফোনটা রিসিভ করতে ভুলে গেছে। আর ও সাশ থেকেও ফোন দেওয়া অফ হয়ে গেছে।
কি হলো দাঁড়িয়ে আছিস কেন? তাড়াতাড়ি কর আমাকে নিচে যেতে হবে!
ইহান ভাইয়ার কথা শুনে তাড়াতাড়ি আমি নিচে বসে পরলাম।থাদের কোনা থেকে ঝাড়ু এনে আগে ঝাড়ু দিয়ে নিলাম । মাদুর ভালো করে ছাদে মেললাম একটা পারছিলাম না বলে ইহান ভাইয়া আমাকে সাহায্য করল।
চল আমার সাথে নিচের চল আবার আমাদের সাথে আসিস।
কথাটা বলেই ভাই আগে আগে পা ফেলতে লাগলো আমি পেছনে আসছি।
সিড়ির নিচে গিয়ে ভাইয়া দাঁড়িয়ে লাইট ধরল। আর আমাকে ঘড়ি হাতে রেখে বলল পায়ে কি হয়েছে?
আমি চমকে মাথা তুলে ভাইয়া দিকে তাকালাম।
ভাই আমার পায়ের দিকে তাকিয়ে আছে।আমি কিছু বলছি না ওই ভাবেই একদম নিচে নেমে এলাম।তখনই হুট করে ভাইয়া লাইট আমার পায়ের দিকে ধরে দেখছিল কি যেন দেখে মাথা ঝুঁকিয়ে নিল ব্রু কুঁচকে।
আমি ভাইয়াকে মাথা ঝুঁকতে দেখে তাড়াতাড়ি সিড়ির উপরে উঠে দাঁড়ালাম হকচকিয়ে।
পায়ের এ অবস্থায় কিভাবে হল তোর?
আমি কি বলবো ভেবে পাচ্ছিনা আমতা আমতা করে বললাম, স্কুলে থেকে আসার সময় হোচট খেয়ে ব্যথা পেয়েছে।
ভাইয়া বলল,, হোঁচট খেলি কেন তুই কি হেঁটে আসিস নাকি? গাড়িতে আসলে হোঁচট খেলে কোথায় হাঁটার জায়গা তো শুধু বাসার গেট আর স্কুলের মাঠ!
আমি মাথা নিচু করে আছি আমি যে হেঁটে এসেছি সেটা বলতে পারছি না।
ভাইয়া কিছু না বলে আমাকে নিয়ে নিচে নেমে এলো। আমি নিচে আছি সবাই ছাদে চলে গেছে। তখনই ইমা আপু এসে আমাকে জোর করে ধরে ছাদে নিয়ে এলো।আমাকে খুরিয়ে হাঁটতে দেখেই বুঝতে পেরেছে আমি হেঁটে এসেছি স্কুল থেকে তার জন্য আমাকে বকলো
সাথে এটাও বলল টাকা না থাকলে আমার থেকে নিয়ে যেতি। আমি আপুর সাথে ছাদে এসে দাড়ালাম সবাই গোল হয়ে জড়ো হয়ে বসে আছে কি যেন বলে হাসাহাসি করছে ইহান ভাইয়া তাদের মাঝখানে আছে। অবসাদে আসতেই ইহান বয় ফ্রেন্ডের মধ্যে কে যেন আপুকে দেখতে আসলো তার উত্তরে হাসতে হাসতে তাদের পাশে গিয়ে বসল। আমি ছাদের দরজায় দাঁড়িয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে আছি। খুশিতে আমার চোখ দুটো ঝলমল করছে। কত ফ্রেন্ড ভাইয়া আমারও যদি এতো ফ্রেন্ড থাকতো। আমার মনে আছে যখন আমি অনেক ছোট ছিলাম তখন আমার অনেক ফ্রেন্ড ছিল যখন আমি প্লে তে পড়তাম আম্মুর সাথে স্কুলে যেতাম। কত ফ্রেন্ড ছিল আমার সবাই কত ভালোবাসতো আমাকে। আর এখন আমার একটাও ফ্রেন্ড নেই
ক্লাসের কেউ আমাকে ফ্রেন্ড বানায় না। আজ আমার বাবা-মা বেঁচে থাকলে আমি এমন হাসিখুশি থাকতাম ইমা ইলা আপুর মত এতো কাজ করতে হয়তো না। অনেক ফ্রেন্ড থাকতো তাদের সাথে ঘুরতে যেতাম ্ফুচকা খেতাম তারপর আড্ডা দিতাম আব্বু আম্মুর সাথে টেবিলে বসে আমার ফেভারিট খাবার খেতাম। আম্মু আমাকে খাইয়ে দিত আমি আমার পছন্দের ড্রেস কেনার জন্য বড় বড় শপিং মলে যেতাম। বড় বড় রেস্টুরেন্টে আব্বু-আম্মুর সাথে খেতে যেতাম মাঝে মাঝে
সব সময় আনন্দে থাকতাম হই হুল্ল করতাম।আচমকা আমার চোখটা ঝাপসা হয়ে এলো পৃথিবীর সমস্ত দুঃখ আমাকে সে গ্রাস করল। পৃথিবীতে কেন বেঁচে আছি আমাকে তো কেউ ভালোবাসে না
কেউ আমার জন্য ভাবে না কেউ আমার একটু যত্ন করে না।কেউ আমার দুঃখে দুঃখ পায়না। কেউ আমার আঘাতেই চোখের জল ফেলে না। কেউ আমার আনন্দে আনন্দিত হয় না। কেউ আমাকে মন প্রাণ উজাড় করে ভালোবাসে না। যার আমাকে ভালবাসতে তারাই আমাকে ছেড়ে চলে গেছে তাহলে এই পৃথিবীতে আমি একা কেন আছি যার কেউ নেই ভালোবাসার মতো তার এই পৃথিবীতে থাকার ও বোধহয় অধিকার নেই। এমন কেউ কি আমার জীবনে আসবে না যে আমার মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। যে আমার একটু চোখের জলে পাগলামো করবে। যে তার ভালোবাসা দিয়ে আমার জীবনের সমস্ত দুঃখ ভুলিয়ে সুখের সাম্রাজ্যে তৈরি করবে।
চোখ বেয়ে বৃষ্টির মত পানি পড়ছে এমন কেউ এমন কেউ কি কখনো আসবে না আমার জীবন কখনো না।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here