উড়ো পাতার ঢেউ পর্ব ২০

0
553

#উড়ো_পাতার_ঢেউ
#লেখা: ইফরাত মিলি
#পর্ব: ২০
_________________

বর্ষণমুখর দিন। আকাশের রং ধূসর। কাচের জানালায় আছড়ে পড়ছে বৃষ্টি। ক্যানিয়ল ভার্সিটিতে প্রবেশ করার পথে বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছে। তবে অতটা ভেজেনি। পোশাক বলতে গেলে শুষ্ক আছে। হাত দিয়ে ভেজা চুলগুলো ঝেড়ে নেওয়ার ব্যস্তক্ষণে দু চোখ গিয়ে আটক হলো ইরতিজার উপর। ইরতিজা জানালার পাশে থাকা টেবিলে একলা বসে রয়েছে। এ সময়ে ক্যান্টিনে বলতে গেলে তেমন স্টুডেন্টদের উপস্থিতি নেই। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কয়েকজন বসে রয়েছে। ক্যানিয়লের ওষ্ঠকোণের বাঁ দিকটা ঈষৎ চওড়া হলো। এসে ইরতিজার সামনের চেয়ারটায় বসে বললো,
“যথেষ্ট হয়েছে, বন্ধ করো এটা। লোকজন দেখছে তো।”

ইরতিজার বিস্মিত মনটা নড়েচড়ে উঠলো।
“কী দেখছে লোকজন?”

“এই যে, আমার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিলে।”

হাতেনাতে ধরা খাওয়ার মতো অবস্থা অনুভব হলো ইরতিজার। এ কথা সত্য সে তাকিয়ে ছিল ক্যানিয়লের দিকে। কিন্তু তাই বলে কি ফ্যালফ্যাল করে? প্রতিবাদ করে উঠলো সে,
“আমি তোমার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিলাম না।”

“অবশ্যই ছিলে। আমি তোমাকে সাবধান করছি গার্ল, এমন করে তাকিয়ে থাকবে না। তুমি যেমনভাবে তাকিয়ে থাকো তাতে মানুষজন দেখলে মনে করবে আমাদের মধ্যে রিলেশনশিপ চলছে। আর এটা মনে করলে আমার প্রেস্টিজ কোথায় গিয়ে ঠেকবে নিশ্চয়ই ধারণা করতে পারছো?”

ক্যানিয়ল এইমাত্র ছোটো করলো তাকে। ইরতিজা চুপচাপ ব্যাপারটা হজম করে নেওয়ার চেষ্টা করলো। যদিও কথাটা বদহজম হয়ে এর প্রতিবাদ বেরিয়ে আসতে চাইছিল তার গলা ছুটে। সে অস্ফুট স্বরে উচ্চারণ করলো,
“পাজি!”

“কী বললে?”

“তুমি যা তোমাকে সেটাই বলা হয়েছে।”

“আমি কী? কী বলেছো তুমি?”

ইরতিজা ভেংচি কেটে চুপ রইল।
ক্যানিয়ল গভীর বিরক্ত মিশ্রিত কণ্ঠে বললো,
“মাঝে মাঝে তোমাদের মাতৃভাষাটা মাথায় পেইন ধরিয়ে দেয়। মানে তোমরা পাকিস্টানিরা কথায় কথায় উর্ডু ব্যবহার না করে থাকতে পারো না, তাই না? আমি জানি আমাকে খারাপ মিন করে কিছু বলেছো তুমি। সমস্যা নেই, আশা রাখি ওটা অতটাও খারাপ ছিল না। আর খারাপ থাকলেও সমস্যা নেই। আমি মোটামুটি ধরনের খারাপ বলতে গেলে।”
ক্যানিয়ল ক্যান্টিনের আশেপাশে চোখ বুলিয়ে বললো,
“তোমার সাথের প্লে গার্লটা কোথায়? সবসময় তো তোমার সাথেই বডিগার্ডের মতো ঘুর ঘুর করে।”

ইরতিজা রুষিত কণ্ঠে বললো,
“ওকে প্লে গার্ল বলো কেন তুমি?”

“কারণ ও প্লে গার্ল।”

“ও মোটেই প্লে গার্ল নয়।”

“অবশ্যই ও প্লে গার্ল! অনেক প্রমাণ পেয়েছি এ ব্যাপারে। প্রমাণ আমার নিজের সাথেও ঘটেছে। জানো, আগে ও আমাকে দেখলেই কেমন কেমন করে যেন তাকাতো! মূলত আমার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতো। কিন্তু ওর ওই চাহনিতে মনে হতো আমার পুরো শরীরে কেউ পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে! ওর চাহনি সহ্য না করতে পেরে একদিন ওকে ডিরেক্ট বললাম, ‘লিসন প্লে-গার্ল, আমার দিকে আর কখনও এরকমভাবে তাকাবে না। আমি ডক্টরদের পছন্দ করি না, নইলে ডক্টর দিয়ে সার্জারি করিয়ে তোমার চেহারা হতে চোখ অদৃশ্য করে দিতাম! তোমার চেহারায় চোখের কোনো অস্তিত্ব থাকতো না আর’।”

বিভীষিকাময় কথায় ইরতিজার শরীর শিরশির করে উঠলো। অথচ অন্যদিকে ক্যানিয়লের মুখ একেবারে প্রাঞ্জল।
ভয় বিষয়টা জ্বলে উঠে আবার নিভু নিভু করছে ইরতিজার মাঝে। কৌতূহলের বশবর্তী হয়ে সে ক্যানিয়লকে প্রশ্ন করে ফেললো,
“ক্যানিয়ল, তুমি কি আসলেই সন্ত্রাসী?”

ক্যানিয়ল প্রশ্নটা শুনে চোখ সরু করলো। বাঁকা চোখে চেয়ে বললো,
“যদি সন্ত্রাসী হই তাহলে কী করবে?”

“কিছু করবো না, শুধু জানতে চাইছি।”

ক্যানিয়লের দু চোখ সন্দিহান। বললো,
“উহুঁ, মনে হচ্ছে তুমি কিছু করবে। কী করবে?”
হঠাৎই ক্যানিয়লের চোখ-মুখ সচকিত হয়ে উঠলো। আতঙ্কিত গলায় বললো,
“হেই পাকিস্টানি গার্ল, তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরার চিন্তা ভাবনা করছো না তো?”

ইরতিজার দুই ভ্রুর মধ্যস্থলে ভাঁজ পড়লো।
“কী?”

“মনে হচ্ছে তুমি এটাই করবে। আমি যদি সন্ত্রাসী হই তাহলে আমায় জড়িয়ে ধরবে তুমি। তোমার কি সন্ত্রাসী ছেলে পছন্দ?”

ইরতিজা ক্যানিয়লের কথা বিশেষ গায়ে মাখলো না। ক্যানিয়ল এসব কথা বলে মূল বিষয় ঢাকা দিতে চাচ্ছে বোধহয়। সে স্বতন্ত্র কণ্ঠে বললো,
“সেদিন ওই ছেলেগুলোকে কেন মেরেছিলে? ওদের কী অপরাধ ছিল যার কারণে এত মেরেছো ওদের?”

“এটা জানা কি এতটাই জরুরি তোমার জন্য?”

“হ্যাঁ, আমি কৌতূহল বোধ করছি।”

“ওদের কেন মেরেছি এটা সবাই জানে, তুমি জানো না এটা তোমার ব্যর্থতা। এই সামান্য ব্যাপারটা আমার বলে জানিয়ে দেওয়া সমীচীন দেখায় না।”
ক্যানিয়ল যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়িয়ে বললো,
“আর হ্যাঁ, সন্ত্রাসী ছেলেদের এত পছন্দ করো না। সন্ত্রাসীরা ভালো হয় না। ওরা ভালো হয় না বলে যে ভালো হিসেবে আমাকে ধরে নেবে এটাও করো না। কারণ আমাকে ভালো মনে হলেও আমি আসলে অতটাও ভালো নই।”

ক্যানিয়ল মৃদু হেসে চলে গেল।

ইরতিজা কিছুক্ষণ ক্যানিয়লের যাওয়ার পথে তাকিয়ে রইল। তারপর মোবাইল বের করে কল দিলো জুহির কাছে। রিং হওয়ার একটু পরই কল রিসিভ হলো। ইরতিজা বললো,
“তুমি কোথায়?”

“সেকেন্ড ফ্লোরের করিডোরে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখছি। তুমি কোথায়? ক্লাস থেকে বের হয়ে কোথায় চলে গিয়েছো?”

ইরতিজা কিন্তু ক্যান্টিনে আসার আগে বলে এসেছিল জুহিকে। কিন্তু মেয়েটার মনে নেই সেই কথা। যাক গে, যার জন্য কল দেওয়া। ইরতিজা বললো,
“ক্যানিয়ল ওই ছেলেগুলোকে কেন মেরেছিল?”

“কোন ছেলে? আর্থা…”

“হ্যাঁ, আর্থার আর ওর বন্ধুদের কেন মেরেছিল?”

“কারণ ওরা সারাহ নামের একটা মেয়েকে উত্যক্ত করেছিল। ইট’স আ বুলিং কেস! আর্থারদের মারার আগে লিওন নামের একটা ছেলেকে হ্যারেজ করার জন্য ম্যাক আর হোয়াইটকেও মেরেছিল ক্যানি। ও প্রায়শই এমন মারধর করে থাকে। এসব ব্যাপার যত এড়িয়ে চলা যায় ততই ভালো। কিন্তু তুমি হঠাৎ ক্যানিকে নিয়ে এত ভাবছো কেন? হঠাৎ ওকে নিয়ে এত আগ্রহ কেন দেখা যাচ্ছে তোমার মাঝে? তুমি ঠিক আছো?”
জুহির গলা চিন্তিত।

ইরতিজা ঢিমে গলায় উত্তর দিলো,
“আমাকে কি বেঠিক লাগছে তোমার কাছে?”

জুহি প্রত্যুত্তর দিলো না।
“রিশনকে দেখতে পাচ্ছি না। ওর খোঁজ করতে যাচ্ছি আমি। তুমি ক্লাসে এসো, দেখা হবে ক্লাসে।”

জুহি কল কেটে দেওয়ার পর ইরতিজা বিষয়টা নিয়ে ভাবতে লাগলো। ক্যানিয়ল কি দুর্বলদের হয়ে শক্তিশালীদের সাথে লড়লো? বিষয়টা একদিক থেকে ভালো, তবুও এটা ঠিক করেনি। সে নিজে কেন এর শাস্তি দেবে? আইনি সহায়তা তো নিতে পারে। ইরতিজার মনে পড়লো ক্যানিয়ল বলেছিল সে পুলিশ আর ডক্টরদের ঘৃণা করে। পুলিশ আর ডক্টর ঘৃণা করে কেন? ভাবনার বিষয় তো! ইরতিজা ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে এলো ক্যান্টিন থেকে। ক্যানিয়লকে দেখতে পেল। বেশিদূর চলে যায়নি।
ইরতিজা দৌড়ে এসে ক্যানিয়লের পাশে দাঁড়াতেই থেমে গেল ক্যানিয়ল। চেয়ে দেখলো ইরতিজা হাঁপাচ্ছে। এবং তাকে প্রশ্ন করলো,
“তুমি পুলিশ এবং ডক্টর ঘৃণা করো কেন?”

ক্যানিয়ল বিস্ময়পূর্ণ অক্ষিতে তাকিয়ে আছে। এই মুহূর্তে সে কি ভাবছে ভাবনাটা একান্ত তার শরণাপন্ন। কালো হিজাবে বেষ্টিত শ্যামবরণ কোমল মুখটিতে তাকিয়ে রইল বেশ কিছুক্ষণ। অতঃপর ইরতিজার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে সে পাল্টা প্রশ্ন করলো,
“তুমি আমাকে পছন্দ করো কেন?”

হৃদয় দোর খুলে গেল ইরতিজার। খোলা দোর দিয়ে হুড়মুড় করে পাগলা শীতল হাওয়া প্রবেশ করে হৃদয় উপকূলে শৈত্যপ্রবাহ বইয়ে দিলো। হৃদয়ের সকল অনুভূতি, কার্যকলাপ শীতল রূপ নিলো, জমে গেল বরফের মতো। স্থির চিত্ত, দৃষ্টি নিয়ে সে তাকিয়ে রইল ক্যানিয়লের মুখপানে।
ক্যানিয়ল বললো,
“পরশু রাতে আমার বাড়িতে দুজন আততায়ী প্রবেশ করেছিল! তারা যখন আমায় আক্রমণ করতে চেয়েছিল তখন আমি খানিক ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। ঘাবড়ানোর পরিমাণটা কম ছিল। তখন যতটা ঘাবড়ে গিয়েছিলাম তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি এখন ঘাবড়ে যাচ্ছি আমি! হ্যাঁ, হঠাৎই তোমার সামনে আমি খুব ঘাবড়ে যাচ্ছি পাকিস্টানি গার্ল!”

ইরতিজা একই রকম তাকিয়ে রইল। ক্যানিয়ল অলিন্দের কর্ণারে এগিয়ে এসে বৃষ্টির পানি ধরলো হাত বাড়িয়ে। পানিটুকু ছুঁড়ে মারলো ইরতিজার মুখে।
ঠান্ডা পানির ঝাপটায় ইরতিজা কেঁপে উঠলো। কেটে গেল স্তব্ধতাও।

“বৃষ্টি পছন্দ করো ইজা?” ক্যানিয়ল প্রশ্ন করলো।

ইরতিজা দুই পাশে মাথা নাড়লো। যার অর্থ ‘না’।

“কেন পছন্দ করো না?”

“অনেক অপছন্দের কারণ থাকে না।”

ইরতিজা ঘুরে পা বাড়ালে ক্যানিয়ল বলে উঠলো,
“তাহলে তো অনেক পছন্দেরও কারণ থাকে না। আমাকে পছন্দ করো এটাও কি কারণহীন? না কি অনেক বড়ো একটা কারণ আছে?”

ইরতিজা ক্যানিয়লের কথা শুনে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। ক্যানিয়লের কথা শেষ হতেই দ্রুত পা চালিয়ে চলে গেল। তার দিনগুলো ইদানিং স্বাভাবিকতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে না। কেমন অস্বাভাবিক যায়!

_________________

আন্দ্রেজ ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে মার্টাকে পছন্দ করে, ব্যাপারটা আজ জানতে পারলো ইরতিজা। রিশনের কাছে শুনেছিল জুহি পছন্দ করে আন্দ্রেজকে, আর আজ শুনলো আন্দ্রেজ পছন্দ করে মার্টাকে। ইরতিজা জুহির জন্য খারাপ লাগা অনুভব করলো। সে আসলেই জুহির চোখে আন্দ্রেজের জন্য প্রকৃত অনুভূতি লক্ষ করেছে।
আন্দ্রেজ মার্টাকে পছন্দ করে এ ব্যাপারটা আন্দ্রেজই বলেছে। ইরতিজা তখন একা ছিল, কথায় কথায় এ ব্যাপারটাও শেয়ার করেছে আন্দ্রেজ। সব শোনার পর ইরতিজা বললো,
“তো তুমি মার্টাকে এ ব্যাপারে বলেছো কিছু?”

“না। বলবো না এ ব্যাপারে কিছু। এটা বলার মতোও না।”
আন্দ্রেজ নিজের পায়ের দিকে তাকিয়ে ভারাক্রান্ত মনে বললো,
“যখন থেকে আমার পায়ের এই অবস্থা হলো তখন থেকেই নিজেকে ভীষণ তুচ্ছ অনুভব হয়েছে আমার! তুচ্ছ মানুষ সাধারণত বেশি তাচ্ছিল্যের শিকার হয়। আমার পছন্দটা অন্যরকম থাকবে, অপ্রকাশিত! অপ্রকাশিত অনুভূতি তিক্ত নয়। বরং মিষ্টি একটা ব্যাপার আছে এর মাঝে। এটা উপলব্ধি করতে ভালো লাগে। যারা নিজের অনুভূতি অপ্রকাশিত রাখে তারা বুঝতে পারে এর মিষ্টতা!”

ইরতিজার একবার বলতে ইচ্ছা হলো জুহির কথা, কিন্তু বলতে পারল না। কেমন দমবন্ধ লাগছিল এমন মুহূর্তে। ঠিক সময়ে সাজিদের কলটা এসে তাকে দমবন্ধ অবস্থা থেকে টেনে তুললো। সে আন্দ্রেজকে রেখে চলে এলো ক্যাম্পাসের এক প্রান্তে। এখানে চেরি গাছ আছে। এখন এ গাছে ফুল নেই। বসন্ত এলেই ফুলে ফুলে ভরে যাবে সব গাছ। একটা চেরি গাছের নিচে দাঁড়ালো ইরতিজা।
কল রিসিভ করে শুনতে পেল সাজিদের ব্যস্ত কণ্ঠ,
“তোমার সাথে পরে কথা হবে ইরতিজা, গুরুত্বপূর্ণ ডাক পড়েছে, যেতে হবে।”
সাজিদ কল কেটে দিলো।

ইরতিজা অবাক। সাজিদ কী করলো এইমাত্র? কল দিলো, আবার কীসব বলে কল কেটেও দিলো? এই মানুষটা এমন কেন? ক্লান্তির নিঃশ্বাস ত্যাগ করলো ইরতিজা। এই লোকটা যদি সত্যিই তার হাসব্যান্ড হতো তাহলে কী হতো? সারাক্ষণ বোধহয় ক্লান্তি, হতাশা আর বিরক্তির নিঃশ্বাস ত্যাগ করেই জীবন যেত!

কয়েক মিনিট পার হওয়ার পর ফোনটা আবার বেজে উঠলো। মা কল দিয়েছে।

“তুমি কি এখন বাসায় আসতে পারবে?”

“এখন? বাসায়? কেন?”

“এলেই তো দেখতে পাবে, প্রশ্ন করছো কেন?”

“এমনভাবে যখন বলছো নিশ্চয়ই আর্জেন্ট?”

“হুম, একজন তোমার সাথে দেখা করতে এসেছে।”

থমকে গেল ইরতিজা। সর্বপ্রথম জোনাসের নামটা মনে পড়লো তার। ভাঁজ পড়লো কপালে। জোনাস এসেছে? ছেলেটা আবার কেন এলো? তাও আবার একেবারে বাড়িতে!

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here