ইফ্রিতে মুসনাত পর্ব ২

0
605

#ইফ্রিতে_মুসনাত
#পর্বঃ০২
#লেখিকাঃ আস্থা রাহমান শান্ত্বনা

খানিকটা সময় পর বাহিরে কোলাহলের আওয়াজ পাওয়া গেল। সায়মা আয়ানার দিকে তাকিয়ে বলল, ” নিয়ন বোধহয় চলে এসেছে। আমি একবার ওইদিক টা দেখে আসি। কিছুক্ষণ পর এসে তোকে নিয়ে যাব।” আয়ানা মাথা নাড়াল। সায়মা চলে যাওয়ার অনেকক্ষণ কেটে যাওয়ার পর আয়ানা উঠে আয়নার সামনে গিয়ে মাথার ওড়নাটা ঠিক করে নিচ্ছে, ক্লিপগুলো বোধহয় আলগা হয়ে গেছে। ঠিক তখন দেখল আয়নার মাঝখানটায় রক্তের ধারা গড়িয়ে পড়ছে। ভয়ে আয়ানার শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে। আয়নায় রক্ত আসল কোথা থেকে? ভয়ে ভয়ে রক্তটা নিজের হাতে ছুয়ে নিল আয়ানা। কাছে নিয়ে দেখল এটা সত্যিই রক্ত। একদম টাটকা গরম রক্ত, যখন তৎক্ষনাৎ কেউ রক্ত দান করলে তার রক্ত যেমন গরম থাকে এই রক্ত ও তেমন টগবগে গরম। ভয়ে আয়ানা সরে গিয়ে চিৎকার করে উঠল।
আবার সেই বিশ্রী হাসির শব্দ সারাঘরে ছড়িয়ে পড়ল।
আয়ানা তাড়াতাড়ি করে রুমের দরজা খুলে বের হওয়ার চেষ্টা করল। কিন্তু দরজায় লক পড়ে গেছে, বারবার নব ঘুরিয়ে দরজা খুলতে পারছেনা আয়ানা। বাধ্য হয়ে দরজা ধাক্কাতে ধাক্কাতে চিৎকার করতে লাগল,
” আপু, মা কেউ আছো? দরজাটা খুলে দাওনা। মা, ও মা কোথায় তুমি? আমাকে বাহিরে বের করো। কেউ দরজাটা খুলে দাও। আমি আটকে গেছি।”
কিন্তু আয়ানার কন্ঠস্বর দরজার বাহিরে গেলনা। হাসির শব্দ আরো বিকটতর হয়ে উঠল। আয়ানা পিছনে ঘিরে ঢক গিলে কাপা কাপা কন্ঠে বলল,
” কে আছো এখানে? কেন এমন করছো?”
কোনো উত্তর এলনা, তবে হাসির শব্দ ক্ষীণ হতে হতে একসময় মিলিয়ে গেল।
সাথে সাথে দরজাটাও আপনাআপনি খুলে গেল। আয়ানা দেরী না করে বেরিয়ে গেল। সারাবাড়ীতে কাউকে দেখতে পাচ্ছেনা ও। সবকিছুর আয়োজন ঠিক ই আছে, কিন্তু সব জনমানবশূণ্য। বর আনতে কি সবাই বাহিরে গেছে?
খুজতে খুজতে বাড়ীর বারান্দায় এলে এল আয়ানা। বারান্দায় ছোটভাই আয়াত কে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করল,
” ভাই, মা কোথায়? সবাই কোথায় গেল?”
আয়াত হকচকিয়ে উঠে বলল, “তুই এখানে কেন এসেছিস? তোকে না রুমে থাকতে বলেছে?”
” তুই আগে বল মা আর আপু কোথায়?”
আয়াত কোনো উত্তর না দিয়ে বাড়ীর গেটের বাহিরের জটলাটা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। আয়ানা হতভম্ব হয়ে গেল, সবাই একসাথে এখানে কেন? নিয়ন কে ভিতরে আনতে এতজন গেছে!
আয়ানা কৌতূহল চেপে না রাখতে পেরে জটলার উদ্দেশ্যে চলল। আয়াত পিছন থেকে বারণ করে বলল, “আপু ওখানে যাসনা। মা তোকে যেতে বারণ করেছে।”
আয়ানা আয়াতের বারণ উপেক্ষা করে জটলার কাছে চলে এল। সবাই চুপচাপ ভীড় করে দাঁড়িয়ে আছে। টুকরো টুকরো কথা বলছে একে অন্যের সাথে, আয়ানাকে দেখে কেউ কেউ বাকা চোখে তাকাচ্ছে। আয়ানা ভীড় ঠেলে সামনে এসে দেখল মা, আব্বু, সায়মা আপু আর মাহমুদ ভাই চুপচাপ গম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে আছে। সামনে একটা এ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে আছে, দুজন অনডিউটি পুলিশকর্মী সাদা পোষাক পড়া দুজনকে গাড়ি থেকে কি যেন নামাতে বলছেন।
আয়ানা বলে উঠল, ” এখানে এ্যাম্বুলেন্স কেন? কার কি হয়েছে?”
আয়ানার কথায় সবার মৌনব্রত ভাঙ্গল। সায়মা এসে আয়ানাকে কিছুটা ধরা গলায় বলল, “তুই এখানে কেন এসেছিস? চল বাড়ীর ভেতরে চল।”
“দাড়া আপু, আমাকে জানতে দে এখানে এ্যাম্বুল্যান্স আর পুলিশ কেন?”
কেউ কিছু বলছে না দেখে আয়ানা আবার বলল, “কেউ তো আমায় বলবে!”
সাদা পোষাকপড়া ওয়ার্ডবয় গুলো সাদা কাপড়ে আবৃত লাশগুলোকে নামিয়ে সারি সারি করে রাখল। আয়ানা অদ্ভুত দৃষ্টিতে লাশগুলোর দিকে তাকিয়ে বলল,
” এগুলো কার লাশ আব্বু?”
আয়ানার মা হু হু করে কেদে উঠল। আয়ানা আর কিছু না বলে প্রথমে রাখা লাশটার উপরের সাদা কাপড় টা সরাল। কাপড়টা সরাতেই আয়ানা আতকে উঠে দুপা পিছিয়ে গেল। লাশটা নিয়নের ছিন্নভিন্ন রক্তাক্ত দেহের। সায়মা এসে আয়ানাকে বুকের কাছে জড়িয়ে ধরল।
একজন পুলিশ আয়ানার বাবার উদ্দেশ্যে বলতে লাগল,
” এই সেই লাশগুলো, যেগুলো একটু আগে আপনার বাড়ীর বিপরীতে সড়কে এক্সিডেন্ট হয়েছে। এত মারাত্নক এক্সিডেন্ট হয়েছে যে গাড়ী বাজেভাবে দুমড়ে মুচড়ে সাথে সাথেই সবাই প্রাণ হারিয়েছে। সড়কের পাশে জঙ্গলটাতে এই ৭টি লাশ পেলাম। উনাদের বাড়ীর লোকদের জানাবেন অতি সত্ত্বর থানায় যোগাযোগ করতে। আমরা লাশগুলো পোস্টমর্ডেমের জন্য নিয়ে যাচ্ছি।”
একে একে লাশগুলো আবার এ্যাম্বুলেন্সে উঠানো হল। সাথে সাথে আয়ানার মার হুহু স্বরে কান্না আবার শুরু হল। আয়ানা কেদে কেদে কিছু একটা বলতে চাইল কিন্তু বলার আগে অজ্ঞান হয়ে পড়ল।
.
আয়না তার কাছাকাছি ঝুকে থাকা একজোড়া ভয়ংকর লাল মণিওয়ালা চোখ দেখতে পেল। মণিগুলো ছাড়া আর পুরো চোখের কোটর ই কালো বর্ণের। বাম দিকে কপাল থেকে নাক পেরিয়ে ডান থুতনী ভয়ানক ভাবে ছড়ে যাওয়া একটা চেহারা স্পষ্ট হল। এত বাজে আর ভয়ংকর দেখতে যে আয়ানার বমি চলে আসতে লাগল। আয়ানা শোয়া থেকে উঠতে চাইলেও উঠতে পারছেনা, আয়ানার এই অবস্থা দেখে চেহারাটা দাত বের করে একটা হাসি দিল। হাসি দেওয়ার সাথে সাথে চেহারাটার ঠোট বেয়ে গাঢ় লাল রক্ত পড়তে লাগল। রক্তের কয়েকটা ফোটা আয়ানার গালের উপর পড়ছে। আয়ানা মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিতেই দেখল তার মাথার পাশে রাখা নিয়নের হাসিমাখা কাটা মাথাটা তার দিকে তাকিয়ে আছে।
আয়ানা চিৎকার করে শোয়া থেকে উঠে বসল। ভয়ে হাপাতে হাপাতে বুঝতে পারল সে এতক্ষণ খারাপ স্বপ্ন দেখছিল। তার খুব ভয় লাগছে, রুমে কেউ নেই। আয়ানা জড়োসড়ো হয়ে বসে রইল এক কোণে।
আয়মান শাফি আর মাহমুদ সোফায় বসে আছেন, বিপরীতে থাকা অন্য সোফায় একজন পাগড়ী পরা নূরানী চেহারার লোক বসে বসে তসবীহ গুনছেন। সালমা আরা লম্বা ঘোমটা মাথায় অন্য দরজার পর্দায় গা ঘেষে দাঁড়িয়ে আছে। আয়মান শাফি চোখের পানি মুছে ধরা গলায় বলল,
“হুজুর আপনি যা বলেছেন, আমি তাই করেছি। কিন্তু যেটা চেয়েছি সেটা তো হল ই না উলটো আমার মেয়ের জীবনটা বরবাদ হয়ে গেল। এখন আমি কি করব হুজুর!” মাহমুদ তাকে শান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেন।
হুজুর একটু গম্ভীর হয়ে বলল, ” এতদিন তোমাদের দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী আমি সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কোনো সাধারণ জ্বীনের আছর ভেবে তোমার মেয়েকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে বলেছি। এতে তার আছর কেটে যেত, কেননা এই ধরণের কার্যকলাপ করা জ্বীনদের অবিবাহিত মেয়েদের উপর বেশী নজর থাকে।”
একটু থেমে হুজুর আবার বলতে শুরু করলেন,
” কিন্তু আমার ধারণা ভুল ছিল, এই কোনো সাধারণ জ্বীন নয়।
তবে আয়ানার সাথে আমার একান্তে কিছু কথা বলা প্রয়োজন।”
আয়মান শাফি সালমা আরাকে আয়ানাকে ডেকে দেওয়ার ইঙ্গিত দিলে হুজুর বাধা দিয়ে বললেন,
“এখন নয়, আয়ানা এখন মানসিকভাবে দৃঢ় নয়। এতবড় একটা ঝড় যাওয়ার পর সে নিশ্চয়ই ভিতরে ভিতরে খুব ই ভেঙ্গে পড়ছে।
এখন কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করে সঠিক উত্তর পাওয়া সম্ভব হবেনা। তাকে স্বাভাবিক হতে দাও, তারপর নাহয় আমি ওর সাথে কথা বলব। যা হয়েছে তা নিয়ে আর দুশ্চিন্তা করোনা, এখন আয়ানার ব্যাপারে ভাবো।ওকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করো। আল্লাহ ভরসা।”
সালমা আরা আর সায়মা আয়ানার পাশে বসে আছে। আয়ানা কারো সাথেই কোনো কথা বলছেনা, চুপচাপ নির্লিপ্তদৃষ্টিতে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আছে। সালমা আরা শাড়ির আচলে মুখ চেপে কাদতে কাদতে বললেন,
” আমার মেয়েটার কি হয়ে গেল! আল্লাহ আমার মেয়ের সাথে এমন কেন হল?”
সায়মা নিজের মাকে শান্ত্বনা দিতে দিতে বলল,
“সব ঠিক হয়ে যাবে মা। এভাবে কান্নাকাটি করোনা।
দেখো যার কাদার কথা সে কেমন পাথর হয়ে বসে আছে। তুমি কেন কাদছো বলো তো। এই আয়ানা, একটু কেদে মনটাকে হালকা করে নে।
তোর নির্লিপ্ততা সবাইকে কষ্ট দিচ্ছে। এমন করে ভেঙ্গে পড়িসনা, আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে। আগের মত হয়ে যাবে, তুই একটু স্বাভাবিক হ। আমাদের সাথে কথা বল।”
সায়মার স্বামী মাহমুদ এসে বলল, ” সায়মা, ওকে জোর করোনা। স্বাভাবিক হতে একটু সময় তো লাগবে। ওকে ওর মত করেই থাকতে দাও, তুমি বরঙ সবসময় ওর পাশে থাকো। ভুলেও ওকে একা ফেলে রেখোনা।”
.
” তোমার পুরো নাম কি মা?”
” জান্নাত নূর আয়ানা।”
” মাশা আল্লাহ সুন্দর নাম। আচ্ছা রাতে ঘুমের মধ্যে তুমি কোনো বাজে স্পর্শ টের পাও?”
প্রশ্নটা শুনে আয়ানা একটু চমকে উঠল। এমনিতেই হঠাৎ হুজুরের সামনে তাকে নিয়ে আসায় একটু অবাক হল। কি কারণে বাসায় হুজুর ডাকা হল ঠিক বুঝে উঠতে পারলনা আয়ানা। নিয়নসংক্রান্ত কোনো ব্যাপারে নয় তো! নিয়নের কথা ভেবে আয়ানার মনটা একটু ভার হয়ে গেল। কিন্তু হুজুর এই ব্যাপারটা কি করে জানল, আব্বু কি হুজুরের সাথে এসব নিয়ে আলোচনা করেছে।
আয়ানাকে চুপ থাকতে দেখে হুজুর নরমকন্ঠে বলল,
” ঘাবড়িওনা মা, তুমি আমাকে নিশ্চিন্তে সবটা খুলে বলতে পারো।”
” জ্বী। আমি প্রায়ই ঘুমের মধ্যে বাজে স্পর্শ অনুভব করি।”
” কবে থেকে এই সংক্রান্ত ঘটনাগুলো ঘটে যাচ্ছে?”
” গত ১মাস ধরেই।”
” তুমি কি কোনো ছায়া দেখো বা যে তোমাকে স্পর্শ করছে তাকে দেখেছো?
” আমি মাঝে মাঝে আমার ছায়ার সাথে আরেকটি হালকা কিম্বাকার কালো রঙ্গের ছায়া দেখতে পাই। তাকে আমি দেখিনি, তবে একরাতে ভীষণ ভয়ানক চেহারা দেখেছি। তার চোখগুলো মণি লাল বর্ণের ছিল, চোখের কোটর ছিল সম্পূর্ণ কালো। এতটাই বাজে দেখতে তাকে দেখা মাত্রই আমার বমি পেয়ে যাচ্ছিল।” একে একে আয়ানা সবগুলো ঘটনা ই খুলে বলল। হুজুর একটু চুপ থেকে বলল, ” তুমি নিয়মিত নামায পড়ো আর ঘুমের দোয়া পড়ে ঘুমাও?”
” বেশিরভাগ সময় পড়া হয়না।”
” তোমার উপর এক ভয়ানক জ্বীনের আছর পড়েছে। সে তোমার এসব উদাসীনতার সুযোগ নিচ্ছে। তুমি নিয়মিত নামায পড়ো, আর সবসময় পাক-পবিত্র থাকার চেষ্টা করবে। রাতে আয়াতুল কুরসী পড়ে ঘুমাবে।”
আয়ানা মন দিয়ে হুজুরের কথাগুলো শুনল। জ্বীনের কথা শুনে তার শরীরটা কেমন কাটা দিয়ে উঠছে।
আয়ানার মা, বাবা, সায়মা আর মাহমুদ একত্রে বসে কথা বলছে। সবার মুখেই চিন্তার ছাপ। সায়মা বলে উঠল, আব্বু, কাল আমাকে সিলেটে চলে যেতে হবে। আমার জায়ের মা খুব অসুস্থ তাই উনি তার মায়ের চিকিৎসা করানোর জন্য বাবা-ভাইকে নিয়ে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন। শ্বাশুড়ীমা একা হয়ে গেছেন আর শরীর ও অত ভাল যাচ্ছেনা, তাই কয়েকটা মাস আমাকে শ্বশুড়বাড়ীতেই থাকতে হবে।”
আয়মান শাফি মাহমুদকে জিজ্ঞেস করলেন, ” তুমিও কি থাকছো?”
” না আব্বু, আমার ছুটি শেষ হয়ে গেছে। সায়মা মায়ের কাছে থাক, আমি একাই ফিরে যাব। পরে ভাবী আসলে সায়মাকে আবার নিয়ে যাব।”
“ঠিক আছে, কাল রওনা দিয়ে দিও। আয়ানাকে নিয়ে খুব চিন্তা হচ্ছে আমার। মেয়েটা এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে পারলনা আর তার উপর জ্বীনের আছরে ভয় পেয়ে আছে। একমূহুর্তের জন্য একা ছাড়তে ভয় লাগে।”
” আব্বু আমি বলছিলাম কি, আয়ানা আমার সাথে সিলেটে নিয়ে যাই। কয়েকটাদিন চারদেয়ালের বাহিরে সময় কাটালে ওর মনখারাপ-ভয় কেটে যাবে। আগের মত স্বাভাবিক ও হয়ে যাবে।”
মাহমুদ ও সায়মার সাথে সহমত প্রকাশ করে বলল,
” সায়মা এটা ঠিক বলেছে আব্বু। আমার মনে হয়, আয়ানার জন্য এটা ভাল হবে। আর চিন্তা করবেননা, ওখানে ওর কোনো অসুবিধা কিংবা যত্ন আত্তির কোনো ক্রুটি হবেনা।”
” তোমরা যখন এত করে বলছো, আয়ানা সায়মার কাছে কিছুদিন বেড়িয়ে আসুক। তোমরা কখন রওনা দিবে বলে রেখো, আমি যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিব।”
পরেরদিন সকালে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আয়ানা, সায়মা আর মাহমুদ সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেল।
(চলবে…..)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here