#আসক্তির_শেষ_বেলায়_তুমি
#পর্বঃ০৭
#লেখকঃআয়ান_আহম্মেদ_শুভ
*অয়ন নিজের সামনে দেখতে পায় ঈশাকে। সকাল সকাল ঈশা হঠাৎ করে অয়নের বাড়িতে! ব্যাপারটা বুঝতে পারলো না অয়ন। অয়ন কৌতুহলী কন্ঠে ঈশাকে উদ্দেশ্য করে বলল
— আপনি এতো সকালে আমার বাড়িতে কি করতে এসেছেন?
— ওহহ স্যার, আসলে আপনার আম্মু আমায় ডেকেছে এখানে আসার জন্য।
— আমার আম্মু আপনাকে এখানে কেনো আসতে বলবে? মাথা আপনার গেছে নাকি আমার? আপনি কে? আমার অফিসের স্টাফ হয়ে আপনি আমার বাড়িতে! সত্যি বুঝতে পারলাম না কিছু।
— সেসব আপনার বুজতে হবে না। আপনি অফিসে যাচ্ছেন অফিস যান। আমি আমার কাজ শেষ হলেই চলে যাবো।
ঈশা কথাটা শেষ করতেই অয়নের সামনে দিয়ে হনহন করে বাড়ির মধ্যে চলে যায়। অয়ন দরজার সামনে ঠাঁই অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। কি হচ্ছে কিছুই অয়ন বুঝতে পারছে না। অয়ন অধরার দিকে তাকাতেই দেখতে পেলো অধরা ও অয়নের মুখের দিকে কৌতুহল পূর্ণ দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে। হয়তো অধরাও শকড হয়ে গেছে। অয়ন অধরাকে উদ্দেশ্য করে বলল
— মেয়েটা আজব নাকি আমার পরিবার আজব আল্লাহ জানে? চলো অফিসের জন্য লেট হয়ে যাচ্ছে।
— হুম হয়তো বা। স্যার আজ আমার অফিসে যেতে একটু লেট হবে। আমি একটু হসপিটালে যাবো। আপনি কি আমায় হসপিটাল উবদি লিফ্ট দিয়ে দিবেন?
অধরার হসপিটালে যাওয়ার কথাটা অয়ন এর একটুও পছন্দ হলো না। অয়ন মুখটা গম্ভীর করে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ল। রোহানের সাথে অধারার দেখা করার কথাটা শুনলেই অয়নের মাথা কাজ করে না। এই পৃথিবীতে যদি অয়নের কাছে কোনো কুৎসিত মানুষ থাকে, যাকে দেখার ইচ্ছা তো দূর! যার সাথে কথা বলতেও রুচিতে বাঁধে। এমন মানুষ শুধু মাত্র রোহান। কেনো অয়ন রোহানকে এতোটা ঘৃণা করে সেটা অয়ন নিজেও জানে না। হয়তো অয়নের থেকে তার প্রিয়জনকে কেড়ে নেয়ার কারনেই হবে। অয়ন গাড়ি ড্রাইভ করছে অধরা অয়নের দিকে আড় চোখে বার বার তাকাচ্ছে। আপন মনে ভাবছে অধরা “সেই দিন যদি নিজের পরিবারের কথাটা না ভেবে অয়নের কথাটা শুনতাম তবে হয়তো আজ গল্পটা ভিন্ন হতে পারতো। কিন্তু তখন আমার কাছে কিছু করার ছিলো না। অয়ন কখনও আমার পরিস্থিতি বুঝবে না। আমি মানছি আমার ভুল ছিলো। আমার অপরাধ হয়েছে অয়নের সাথে প্রতারণা করাটা আমার উচিত হয়নি। ও আমায় মন থেকেই ভালোবেসে। তবে দিন শেষে আমি অসহায়”। অয়নের সাথে কাটানো অতীতের কিছু মুহুর্তের কথা ভাবতেই অধরা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। অয়ন হসপিটালের সামনে এসে অধরাকে বলল
— চলে এসেছি নেমে পড়ো। আর হ্যাঁ গাড়ি কি পাঠিয়ে দিবো? নাকি রিকশা করে আস্তে পারবে?
— ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি হয়তো ভুলে গেছেন আমি পায়ে হেঁটে চলতে বেশি পছন্দ করি। গাড়ির প্রয়োজন নেই আমার।
— ওকে। আসছি সাবধানে থেকো।
অয়ন কথাটা বলতেই গাড়ি স্টার্ট করলো। অধরা ও হসপিটালে প্রবেশ করলো। হসপিটালে এসে অধরা সোজা রোহানের কেবিনে চলে আসে। কেবিনের সামনে আসতেই অধরা চমকে উঠলো। মাথায় যেনো তার আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। অধরা কেবিনের দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখলো রোহান এখানে নেই। অধরা রোহানকে দেখতে না পেয়ে খানেকটা বিচলিত হয়ে পরে। এই স্বামীর জন্য সে নিজের আত্নসম্মানকে বিসর্জন দিয়েছে। নিতান্তই একটা ছোট্ট জীবের মতো করে নিজের জীবন পার করছে। আর আজ সেই স্বামী হঠাৎ করে কোথায় চলে গেলো? অধরা বিচলিত হয়ে রিসিপসনে দৌড়ে চলে যায়। ওখানে গিয়ে অধরা একটা মেয়েকে বলল
— ম্যাম ৭৩ নং রুমের পেসেন্ট তার কেবিনে নেই কেনো? উনি কোথায় গেছেন?
— ওয়েট ম্যাম আমি দেখছি এক মিনিট।
— প্লিজ একটু তারাতাড়ি করবেন। উনি এখনো সুস্থ হয়নি। কোথায় চলে গেলো!
— জ্বি ম্যাম উনি গতকাল এখান থেকে চলে গেছেন। আর ওনার স্বাস্থ্য মোটামুটি এখন ভালোই। কিন্তু কেনো ম্যাম? কি হয়েছে?
— না কিছু হয়নি। আমি বুঝতে পারছি না ওকে এখানে আমি এডমিট করিয়েছি। আমাকে না জানিয়ে ওকে ছাড়া হলো কেনো?
— সরি ম্যাম ওনার স্ত্রী এসে ওনাকে এখান থেকে নিয়ে গেছে। তাই আমরাও কোনো বাধা দেইনি।
রিসিপসনে থাকা মেয়েটার কথা শুনে অধরার পায়ের নিচ থেকে যেনো মাটি সরে যায়। রোহানের স্ত্রী তো সে নিজেই। আর সে ছাড়া রোহানের আবার কে চলে আসলো! কথাটা ভাবতেই অধরার মাথা ঘুরে গেলো। অধরা নিজেকে একটু শান্ত করার চেষ্টা করে বলল
— ওকে ঠিক আছে। আমি আসছি।
অধরা হসপিটাল থেকে বেরিয়ে যায়। অধরা রাস্তা দিয়ে হাঁটছে আর ভাবছে রোহানের স্ত্রী কে? আর রোহান তাকে না জানিয়ে কোথায় চলে গেলো? অধরার মাথাটা যেনো আজ কোনো ভাবেই কাজ করছে না। অধরা রোহানের বাড়ি চলে আসলো। রোহানের অসুস্থতার সময় এই বাড়ি বিক্রি করে রোহানের চিকিৎসা চালানো হয়। রোহান এই বাড়ি ছাড়া আর কোথায় বা যাবে? অধরা গেটের দারোয়ানেকে উদ্দেশ্য করে বলল
— চাচা এখানে কি রোহান সাহেব থাকে?
— জ্বি স্যার তো আগামীকাল বাড়ি ফিরেছে। আপনি কে?
— আমি কি ওনার সাথে একটু দেখা করতে পারি?
— দাঁড়াও মা আমি স্যারকে জ্বিগাস করে নেই।
অধরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলো। এই বাড়ি বিক্রি করার পর আবার কি করে রোহানের হয়ে গেলো? আর রোহান ও এই বাড়িতে কেমন করে আসলো? কোনো কথার মধ্যেই মিল খুঁজে পাচ্ছে না অধরা। অধরা কিছু সময় অপেক্ষা করার পর দারোয়ান এসে অধরাকে বলল
— রোহান স্যার কারোর সাথে দেখা করতে চাইছে না মা। তুমি অন্য দিন এসো!
— চাচা আপনি ওনাকে বলুন আমার খুব প্রয়োজন। আমি শুধু ওনার সাথে একটু দেখা করতে চাই। প্লিজ!
— আমি বলেছি তুমি অনেক দূর থেকে এসেছো কিন্তু উনি আমার কথা শোনেনি।
— চাচা আপনি ওনাকে কল করুন। আমি কথা বলছি। এই টুকুই ব্যাস।
অধরার কথা শেষ হবার পূর্বেই ব্যাল্কনির সামনে থেকে কেউ একজন দারোয়ান কে উদ্দেশ্য করে বলল
— কি হলো? আপনার কাজ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা। লোকের সাথে তামাশা করা নয়।
লোকটির কথাটা শুনতেই অধরার আর বুঝতে অসুবিধা হলো না এটা কার কন্ঠ। অধরা ব্যাল্কনির দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলো তার সেই প্রিয় স্বামী দাঁড়িয়ে আছে। আর তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে একজন অপরিচিত নারী। অধরাকে দেখতে পেতেই রোহান বাকা হাসি দিয়ে অধরাকে উদ্দেশ্য করে বলল
— আরে অধরা যে। দারোয়ান কে নিয়েও আর পারি না। বলেছি ভিক্ষারিদের বেশি সময় গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে না দিতে। অথচ দেখো, ছাড়ো সেই সব ভিতরে আসো তুমি।
রোহানের কথার মানে অধরা বেশ বুঝতে পারছে। রোহান তাকে ভিক্ষারির সাথে তুলনা করছে। অধরা বাড়ির মধ্যে চলে আসলো। অধরার সামনে রোহান আর সেই মেয়েটা সোফায় বসলো। অধরা দাঁড়িয়ে আছে। রোহান অধরাকে উদ্দেশ্য করে বাঁকা হাসি দিয়ে বলতে লাগলো
— তো বলো হঠাৎ করে আমার সাথে একটু দেখা করতে কেনো চেয়েছো?
— রোহান তুমি ঠিক আছো তো! আর এই মেয়েটা কে? আমি তোমায় হাসপাতালে খুঁজতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বলল তুমি নাকি বাড়ি চলে এসেছো! আমায় বললে না কেনো?
— ওয়েট তোমার সব প্রশ্নের উত্তর আমি দিবো। তার আগে আমায় এটা বলো ডিভোর্স লেটার কি এখনও পাওনি তুমি?
ডিভোর্স লেটার এর নাম শুনতেই অধরার মুখের উপর যেনো কালো ছায়া নেমে এলো। কি সব বলছে রোহান? বোঝাল উপায় নেই অধরার। অধরা অবাক হয়ে বলল
— ডিভোর্স মানে? আমি তোমার কথার মানে বুঝতে পারছি না রোহান। একটু স্পষ্ট করে বলবে?
— আজ কাল উকিল গুলো আসলেই আবা* মার্কা কাজ করে। এতো দেড়ি কেনো করে ওরা? ওদের লেট এর কারনে এই সব নমুনা আমাদের সামনে চলে আসে। যত্তসব!
— রোহান তুমি সত্যি ঠিক আছো তো? তোমার কথার কোনো মানেই আমি বুঝতে পাচ্ছি না।
— মানে না বোঝার মতো এতোটাও বোকা তুমি না অধরা। দেখো অধরা তোমার মতো একটা পতিতালয়ের নারীর সাথে কি আদু আমায় যায়? না তুমি বলো। আমি জীবনেও একটা পতিতার সাথে নিজের লাইফ পার করতে পারবো না। তাই তোমায় ছেড়ে দিয়েছি। এখন থেকে আর আমায় কষ্ট করে দেখতে আসা লাগবে না তোমায়। ঐ সময় টুকুতে কোনো নতুন ছেলের সাথে! বুঝতেই তো পারছো তোমার যা কাজ সেটাই করবে!
রোহানের কথাটা শুনে অধারার পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যায়। নিজের কান কে যেনো আজ বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে তার। নিজের স্বামীর চিকিৎসা চালিয়ে যেতে একটা ছেলের বাড়িতে তাকে পড়ে থাকতে হয়েছে। রক্ষিতা হয়তো তার উপাধি ছিলো। তবে আসলেই কি সে রক্ষিতাই ছিলো? নিজের স্বামীর জন্য হাজারটা অপমান সহ্য করেছে অধরা। আর আজ সেই স্বামী অধরার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে তার জায়গাটা কোথায়! আজ অধারার বাক শক্তি সম্পূর্ণ ভাবে স্তব্ধ হয়ে গেছে। রোহানকে কি বলবে বা বলি উচিত সেটা অধরা যেনো গুলিয়ে ফেলেছে আজ। অধরা মাথাটা নিচু করে দু ফোঁটা অশ্রু জল বিসর্জন দিয়ে বলল
— বাহ পুরুষ মানুষ বাহ রে বাহ! এক মিনিটের মধ্যেই নিজের আসল রূপে ফিরে এসেছো। আজ তোমার কাছে আমি একটা পতিতা হয়ে গেছি। আচ্ছা আমি মানছি আমি রক্ষিতা ছিলাম। অয়নের সাথে আমার অনেক গভীর সম্পর্ক হয়ে গেছে। তবে একটা কথা আমায় বলবে? এই সব কার জন্য করেছি আমি? হাসপাতাল থেকে তোমায় বের করে দিচ্ছিলো। আমার বাবা মা আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো। তোমার চিকিৎসা চালানোর মতো কোনো অবস্থাতেই ছিলাম না আমি। তাই বাধ্য হয়ে অয়নের প্রস্তাবে রাজি হতে হয়েছে আমায়। আর আজ কি না সেই তুমি আমায়…!
— ওহহ শার্ট আপ। তুমি কার কার সাথে শুয়েছো তার জানার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। আমি তোমার মতো একটা মেয়ের সাথে থাকতে পারবো না। এটাই হচ্ছে কথা। তা ছাড়া বিয়ের পর থেকে তো আজ উবদি আমি তোমায় কখনও একটিবার ভুল করেও স্পর্শ করে দেখিনি। সো আমার উপর তোমার কোনো কথা থাকতে পারে না।
— স্পর্শ! সেটা তো অয়ন ও আমায় করেনি রোহান। অথচ দেখো আজ তোমার চোখে আমি পতিতা হয়ে গেছি। ভালো দাম দিয়েছো তুমি। নিজের খারাপ সময় ব্যবহার করে আজ ভালোই দাম দিলে।
— কত টাকা চাই তোমার? কত টাকা হলে আমার চোখের সামনে থেকে সারা জীবনের মতো বিদায় হবে? বলো তোমার মূল্য কত? সুদ সমেত ফিরত দিবো আমি।
— টাকা চাই না রোহান। আমার টাকার কোনো প্রয়োজন নেই। আজ আমি একদম পরিস্কার বুঝতে পারছি বাবা মা আমার ভালোর জন্য নয়। বরং আমার জীবনটা নষ্ট করে দিতেই তোমার মতো একটা অমানুষের সাথে বিয়ের সম্পর্কে আবদ্ধ করেছিলো আমায়। তোমার জন্য আমি কি হারিয়েছি তা তুমি জানো না। যেটা আমি হারিয়েছি তার কোনো মূল্য হয় না। সেটা অমূল্য সম্পদ।
— হয়েছে লেকচার ঝাড়া? আসলে তোমাদের মতো মেয়েদের সমস্যা কি জানো তো! ছেলে দেখতে যেমন হোক পকেটে টাকা আছে মানে তোমার মন প্রান দেহ সব দিয়ে দিতে একদম প্রস্তুত থাকো। আর যখন টাকা ফুরিয়ে যাবে তখন নতুন কাউকে খুঁজবে। ব্লাডি বিচ। বাই দ্যা ওয়ে তোমার সাথে কোনো দিন আমার ভালোবাসা ছিলো না। আমার তোমার বাবার সম্পত্তির উপর নজর ছিলো। আর আমার জালে তোমার বাবা ফেঁসে গেলো। আফসোস আমার এক্সিডেন্টটা আমার সব প্লান নষ্ট করে দিলো। যাই হোক এখন ভালোয় ভালোয় বিদায় নাও। নয়তো সিকিউরিটি ডাকবো।
— হাহাহা এতো দিন পর সত্যিটা আজ বলেই ফেললে। যাক ভালো থাকো সেটাই চাই। আর সিকিউরিটির প্রয়োজন নেই। আমি এমনিতেই চলে যাচ্ছি।
* অধরা কথাটা শেষ করতেই রোহান বাকা হাসি দিয়ে অধরাকে বিদায় দিলো। রোহানের বলা প্রত্যেকটা কথা অধরার কানে থাকেনি। বরং সোজা অধরার বুকে এসে আঘাত করেছে। মানুষ এতোটা তারাতাড়ি বদলে যায় কেমন করে? অধরা ভেবে পায় না। যার জন্য নিজের সব কিছু বিসর্জন দিয়েছে অধরা আজ সেই লোকটা অধরাকেই পতিতা বানিয়ে ফেলেছে। অধরা রাস্তা দিয়ে হাঁটছে আর চোখ থেকে নোনা জল ফেলছে। আজ মনে হচ্ছে অধরার শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে খুব। একটা ভুল সিদ্ধান্তের কারনে অধরা আজ সব কিছু হারিয়ে ফেলেছে। অধরার ইচ্ছে করছে চিৎকার করে কান্না করতে। বুকের উপর থাকা ভারী কষ্টের বোঝাটা হালকা করতে। কিন্তু সে এটা পারছে না। আজ সে কষ্টের সাগরের মাঝ খানে ডুবে হাবুডুবু খাচ্ছে। অয়নের অফিসের সামনে আসতেই অধরা নিজের চোখের সামনে পথ দেখতে পাচ্ছে না আর। মনে হচ্ছে তার এই দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার সময় চলে এসেছে। অধরা নিজেকে সামলাতে না পেরে রাস্তার মাঝ খানেই ধপাস করে পড়ে যায়। তারপর আর কি হয়েছে সেটা সে বলতে পারবে না। অধরা অজ্ঞান হয়ে গেছে।
* জ্ঞান ফিরতেই অধরা নিজের চোখ জোড়া খুলল। চোখ খুলতেই অধরা দেখতে পায় অয়ন তার পাশেই বসে আছে। অয়নের হাতের মুঠোয় অধারার হাত। অধরা ভালো করে অয়নের পাশে তাকাতেই দেখতে পায়………………
#চলবে………………
[ গতকাল পর্ব দিতে পারিনি। তাই আজ একটু বড় করে দিয়েছি। গল্পটা কেমন লাগলো? কমেন্ট করে জানান। আর বেশি বেশি লাইক করুন। ধন্যবাদ]